Tag: Kashmir

Kashmir

  • Hamas: পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল হামাস, কাশ্মীরকে অশান্ত করার ছক?

    Hamas: পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল হামাস, কাশ্মীরকে অশান্ত করার ছক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Hamas)! বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) পালিত হয়েছে ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’। সেখানে আয়োজন করা হয়েছিল ভারত-বিরোধী এক জঙ্গি সম্মেলনেরও। অভিযোগ, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন যোগ দিয়েছিল ওই সম্মেলনে। জানা গিয়েছে, সম্মেলনে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তইবার নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হামাসের প্রবীণ নেতারাও।

    কাশ্মীর সংহতি দিবস (Hamas)

    এদিন রাওয়ালকোটের শহিদ সাবির স্টেডিয়ামে কাশ্মীর সংহতি ও হামাস অপারেশন আল আকসা বন্যা শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথিদের মধ্যে ছিলেন জইশের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই তালহা সইফ, জইশের কমান্ডার আসগর খান কাশ্মীরি ও মাসুদ ইলিয়াস। লস্করের শীর্ষ স্থানীয় নেতারাও ছিলেন। এই সম্মেলনেই যোগ দিয়েছিলেন ইরানে হামাসের প্রতিনিধি খালিদ আল কাদুমি।

    জইশ এবং লস্কর

    বৈঠকে খালিদ ছাড়াও হামাসের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন প্যালেস্তাইনি নেতাও উপস্থিত ছিলেন। এই জঙ্গি নেতারা আলাদা করে বৈঠক করেন জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের প্রধান মওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গেও। ভারতের (Hamas) মাটিতে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ এবং লস্করের সদস্যরা। ভারত-বিরোধী এই সব জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হামাস নেতাদের বৈঠকে ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এই হামাসই অতীতে একাধিকবার কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল। সেই সময় জল্পনা ছড়িয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়ার জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে হামাসের যোগসূত্র থাকতে পারে। কাশ্মীর সংহতি দিবসের এই অনুষ্ঠানই ফের উস্কে দিল সেই জল্পনাই।

    কাশ্মীর সংহতি দিবস পালনের সূচনা

    ১৯৯১ সালে কাশ্মীর সংহতি দিবস পালনের সূচনা করেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সেই থেকে ফি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটি পালন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। পাকিস্তানের (POK) সব সরকারি প্রতিষ্ঠানেও ছুটি থাকে এদিন। সাম্প্রতিক অতীতে দিনটিকে ভারত বিরোধী প্রচারের কাজে ব্যবহার করছেন পাকিস্তানের রাজনীতির কারবারিরা। প্রতিবারই আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। ভারতের সেই আপত্তি অগ্রাহ্য করে এবারও কাশ্মীর সংহতি দিবস পালন করেছে পাকিস্তানের সরকার। ভারতের হাতে নিপীড়িত কাশ্মীরবাসীর পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Hamas)।

    ‘আল আকসা ফ্লাড’-এর ব্যানারে সম্মেলন

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এবার যে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল, তা করা হয়েছিল ‘আল আকসা ফ্লাড’-এর ব্যানারে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর এই নামেই ইজরায়েলে অপারেশন চালিয়েছিল হামাস। প্যালেস্তাইনের এই জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে সেদিন প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭০০ জন নিরীহ মানুষ। আল আকসা হল জেরুজালেমের এক মসজিদ। এই মসজিদের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব দাবি করেছে একই সঙ্গে মুসলিম ও ইহুদি দু’পক্ষই। হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যে লড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল তার অন্যতম নেপথ্য কারণ এটিও। ইজরায়েল ইহুদি রাষ্ট্র। আর হামাস মুসলিম। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আল আকসা ফ্লাডের ব্যানারে সম্মেলন হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত। কারণ এই নামকে হাতিয়ার করেই মুসলিম ভাবাবেগকে উস্কে দিতে চাইছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেটাকে কাজে লাগিয়েই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঘাঁটি গাড়ছে বিভিন্ন দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলি (Hamas)।

    পাক চেষ্টা ব্যর্থ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই চাইছে জম্মু-কাশ্মীরের ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরতে। যদিও সেই মঞ্চে মিথ্যাচার চালিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি ইসলামাবাদ। এবার হামাস কমান্ডারকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ে এসে পাক (POK) প্রশাসন বিশ্বের দরবারে এই বার্তাই পৌঁছে দিতে চাইছে, প্যালেস্তাইন এবং কাশ্মীরের সমস্যা একই। মধ্য প্রাচ্যে গাজার মতোই কাশ্মীরে চলছে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার। কাশ্মীর ইস্যুতে বিশ্বের মুসলমান দেশগুলিকে পাশে পেতে বহু কাঠখড় পুড়িয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। তবে বেশিরভাগ মুসলিম দেশই রয়েছে ভারতের সঙ্গে। সৌদি আরব, ইউএই, কাতার এবং কুয়েত তো রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে বরাবর ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক ও মালয়েশিয়া।

    তিনটি জঙ্গি সংগঠনের মাথারা

    বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে সম্মেলন হয়েছে, সেখানে জড়ো হয়েছিলেন তিনটি জঙ্গি সংগঠনের মাথারা। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই তিন জঙ্গি সংগঠনকে একত্রিত করে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতার ছক কষছে পাক সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। মোদি জমানায় শান্ত হয়েছে ভূস্বর্গ কাশ্মীর। সেই কাশ্মীরেই জেহাদের স্বপ্ন ফেরি করে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ফের রক্তাক্ত করে তুলতে চাইছে কাশ্মীরকে। সেই কারণেই সীমান্তের ওপারের জঙ্গি ঘাঁটিগুলির ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

    ঘটনাচক্রে, এদিন যখন সম্মেলন চলছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে, ঠিক তখনই মুজফফরাবাদে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ শেষে তিনি স্লোগান দেন, ‘কাশ্মীর বনেগা পাকিস্তান’। আরও একধাপ এগিয়ে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির আহমেদ দাবি করেন, একদিন গোটা কাশ্মীর হবে পাকিস্তানের অংশ (POK)। পাক সেনা কাশ্মীরের স্বাধীনতা লড়াইয়ের সঙ্গেই আছে বলেও জানান তিনি (Hamas)।

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি-বাহিনী গুলির লড়াই, ওড়ানো হল সন্ত্রাসীদের ডেরা, শহিদ জওয়ান

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি-বাহিনী গুলির লড়াই, ওড়ানো হল সন্ত্রাসীদের ডেরা, শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হলেন এক জওয়ান (Jammu Kashmir)। সোমবার দুপুরে ওই জওয়ানের শহিদ হওয়ার (Army Personnel Killed) খবর জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। রবিবার গভীর রাত থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরের জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায়।

    জঙ্গিদের ডেরায় হানা (Jammu Kashmir)

    জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায় জঙ্গিদের একটি ডেরার সন্ধান পেয়ে রবিবার গভীর রাতে হানা দেয় সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। ছুড়তে শুরু করে গ্রেনেডও। গুলিবিদ্ধ হন ওই জওয়ান। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে জঙ্গিদের ওই আস্তানা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে সেনা। সোমবার সকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় গুলির লড়াই চলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জঙ্গিদের সন্ধানে এলাকা ঘিরে তল্লাশি শুরু করেছে সেনা, আধাসেনা ও পুলিশ।

    ৬ মাসে খতম ২৩ জঙ্গি

    ডিসেম্বরের ২১ তারিখ সন্ধ্যায় সোপোরের ডাঙ্গিওয়াচা এলাকায় জঙ্গিদের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি একে সিরিজের রাইফেল, একটি পিস্তল এবং ২৫০ রাউন্ড গুলি। জানা গিয়েছে, গত বছরের মে মাস থেকে পয়লা নভেম্বর পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ২৩ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। শহিদ হয়েছেন বাহিনীর ২৪ জন জওয়ান। এঁদের মধ্যে কাশ্মীরে শহিদ হয়েছেন ৬ জন। আর জম্মুতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন।

    আরও পড়ুন: ভারতের শক্তি অন্তর্নিহিত রয়েছে একতার মধ্যে, মনে করেন মোহন ভাগবত

    এদিকে, ফি বার (Jammu Kashmir) শীতে তুষারপাতের আগে রাজৌরি এবং পুঞ্চের জঙ্গল দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সেই কারণেই প্রতিবারের মতো এবারও গত কয়েক মাস ধরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ওই সব অঞ্চলের জঙ্গলে। অনুপ্রবেশ রুখতে প্রাণপণ করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তার পরেও নিরাপত্তার ফাঁক গলে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কাশ্মীরে অশান্তি জিইয়ে রাখতেই পাকিস্তান মদত (Army Personnel Killed) দেয় এই অনুপ্রবেশে (Jammu Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Polls: শীতের পরেই জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ইঙ্গিত উপরাজ্যপালের কথায়

    Panchayat Polls: শীতের পরেই জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ইঙ্গিত উপরাজ্যপালের কথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এবার জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) পঞ্চায়েত (Panchayat Polls) ও পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির ইঙ্গিত মিলল উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার কথায়। এই নির্বাচনই হবে শীতের পরে। তিনি বলেন, “আবহাওয়া ভালো হওয়ার পরে পঞ্চায়েত নির্বাচন অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে।” প্রসঙ্গত, ভূস্বর্গে শেষবার পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালে। এক দশক পর বিধানসভা নির্বাচন হয় জম্মু-কাশ্মীরে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা।

    কী বললেন উপরাজ্যপাল? (Panchayat Polls)

    রবিবার ঝিরি মেলা ময়দানে আয়োজিত সভায় কৃষক ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন উপরাজ্যপাল। সেখানেই তিনি দেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ইঙ্গিত। পূর্বতন সরপঞ্চদের প্রসঙ্গের অবতারণা করে উপরাজ্যপাল বলেন, “আমি একটি বিষয় নিশ্চিতভাবে বলতে চাই যে এখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু একটি সাংবিধানিক সমস্যা ছিল।” তিনি বলেন, “স্থানীয় সংস্থাগুলিতে (পঞ্চায়েত ও পুরসভা) অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য কোনও সংরক্ষণ ছিল না। তাই আইন (জম্মু ও কাশ্মীর পঞ্চায়েতি রাজ আইন) সংশোধন করতে হয়েছিল। সংসদে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।”

    পঞ্চায়েত আইন সংশোধন

    তিনি বলেন (Panchayat Polls),  “আইন সংশোধন হওয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে পথ প্রশস্ত হয়েছিল। এরই মধ্যে চলে আসে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন।” উপরাজ্যপাল বলেন, “আমি পাক-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (পিওজেকে), পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থী, উপজাতি, বাল্মিকী এবং ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে উপকৃত হওয়া অন্যান্য বঞ্চিত অংশের পরিবারগুলির অধিকার রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের কৃষকদের ক্ষমতায়ন করা আমার লক্ষ্য, যার জন্য আমরা কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট খাতে রূপান্তরের গতি বাড়াতে কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়েছি। গ্রামীণ এলাকার যুবসমাজ যাতে সমান সুযোগ পায় এবং নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায়, সেই বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করব।”

    আরও পড়ুন: লাহোরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাক জঙ্গি লখভি, প্রকাশ্যে সেই ছবি

    প্রসঙ্গত, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ১১ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটাররা ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন নাম অন্তর্ভুক্তি, নাম বাদ দেওয়া এবং সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সূত্রের খবর, চূড়ান্ত (Jammu & Kashmir) ভোটার তালিকা (Panchayat Polls) প্রকাশিত হবে ৬ জানুয়ারি, ২০২৫-এ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Attack: ভূস্বর্গে দুই ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করে খুন, সেনার হামলায় নিকেশ দুই জঙ্গি

    Terrorist Attack: ভূস্বর্গে দুই ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করে খুন, সেনার হামলায় নিকেশ দুই জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্ত ঝরল জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। গত ৯ দিনের মধ্যে পর পর দুবার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল। আর এবার জঙ্গিদের (Terrorist Attack) হামলায় জম্মু-কাশ্মীরের কিস্তেওয়ার থেকে দুই ভিলেজ ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করা হয়। পরে তাদের হত্যাও করে জঙ্গিরা। পরিযায়ী শ্রমিকদের পর এবার নিশানায় নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনায় চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে উপত্যকায়।

    চোখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবি পোস্ট (Terrorist Attack)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাজির আহমেদ ও কুলদীপ কুমার নামক দুই নিরাপত্তারক্ষীকে মুঞ্জলা ধর জঙ্গল থেকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। তারা গরু চড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের অপহরণ করে খুন করে জঙ্গিরা (Terrorist Attack)। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা বাড়ি না ফেরায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। জইশ-ই-মহম্মদের শাখা কাশ্মীর টাইগারস এই হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। চোখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবিও পোস্ট করেছে তারা। এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। এই এলাকাটিতে গত কয়েক মাস ধরে জঙ্গি-হামলা হয়েই চলেছে। একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন, সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের সময় অন্তত দুবার এলাকায় জঙ্গি ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে। দিন কয়েক আগেই শ্রীনগরের বাজারে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছিলেন। ২৯ শে অক্টোবর, সেনাবাহিনী জম্মু জেলার বাটাল এলাকায় একটি অ্যাম্বুল্যান্সে হামলাকারী তিন জঙ্গিকে হত্যা করে।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    যৌথ অভিযানে দুই জঙ্গি নিকেশ

    ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানের অধীনে সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর শুক্রবার বারামুল্লা জেলার সোপোর এলাকায় দুই জঙ্গি (Terrorist Attack) নিহত হয়েছে। কাশ্মীর জোন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বারামুল্লার সোপোর এলাকার পানিপোরায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কিত একটি নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা একটি যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছিল। তল্লাশি চালানোর সময় গুলি বিনিময় হয়। তাতে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। সনাক্তকরণ এবং সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। অপরাধমূলক উপকরণ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও বিশদ বিবরণ অনুসরণ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০ অক্টোবর গান্দেরবাল জেলার শ্রীনগর-লেহ জাতীয় সড়কে একটি টানেল নির্মাণের জায়গায় জঙ্গিরা হামলা চালালে একজন ডাক্তার এবং ছয়জন নির্মাণ শ্রমিক নিহত হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাব নিয়ে ধুন্ধুমার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়, কড়া প্রতিক্রিয়া পদ্মের

    BJP: ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাব নিয়ে ধুন্ধুমার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়, কড়া প্রতিক্রিয়া পদ্মের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও আইনি বৈধতা নেই।” ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাবের কপি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে এমনই মন্তব্য করলেন জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি (BJP) বিধায়করা। ৬ নভেম্বর, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) ফের ৩৭০ ধারা ফেরাতে চেয়ে প্রস্তাব পাশ হয় জম্মু-কাশ্মীর বিধাসভায়। প্রস্তাবটি পেশ করে রাজ্যের শাসক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন পদ্ম বিধায়করা। দু’পক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচিতে তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। পরে অবশ্য ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে যায় প্রস্তাবটি। সেই প্রস্তাবটিরই কোনও আইনি বৈধতা নেই বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (BJP)

    জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির সুনীল শর্মা বলেন, “প্রস্তাবটি দিনের কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত না করেই পেশ করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ভাষণ নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল। কিন্তু সরকার কৌশলে এবং হঠাৎ করে এই প্রস্তাবটি নিয়ে এল।” তিনি এই প্রস্তাবটিকে ‘অবৈধ’ ও ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দেন। তিনি বলেন (BJP), “এর কোনও আইনি বৈধতা নেই। কারণ এই (জম্মু-কাশ্মীর) বিধানসভা সংসদ বা সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বে নয়।” ৩৭০ ধারাকে ইতিহাস বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন আর কেউ এই ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারবে না।”

    অমিত মালব্যের বক্তব্য

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “প্রস্তাবটি একটি মজার পরিবর্তন, যা শাসক ন্যাশনাল কনফারেন্সের নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটায়।” তিনি লেখেন, “৩৭০ ধারা সম্পূর্ণভাবে পুনর্বহালের ওপর জোর দেওয়ার পরিবর্তে, প্রস্তাবটি এই বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনার আহ্বান জানায়— যা ৫ আগস্ট ২০১৯-পরবর্তী বাস্তবতাকে স্বীকার করে নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।”

    আরও পড়ুন: জয়ের পরই ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে ফোন মোদির, ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে নমো-প্রশস্তি

    উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা

    এদিকে, ৩৭০ ধারা নিয়ে বৃহস্পতিবারই উত্তপ্ত হয় জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা। এদিন রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় মার্শালদের।এদিন অধিবেশন শুরুর সময় আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখ ৩৭০ ধারার সমর্থনে একটি পোস্টার তুলে ধরেন। এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক হইচই। এর পর প্রথমে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষে শুরু হয় ধস্তাধস্তি, পরে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, ওই বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল এবং কংগ্রেস। বিজেপির (BJP) জম্মু-কাশ্মীর সভাপতি রবীন্দ্র রায়না ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোটকে নিশানা করে বলেন, “ওরা পাকিস্তানের হাত শক্ত করছে। জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jammu And Kashmir: ৩৭০ ধারা ফেরাতে প্রস্তাব পাশ জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়

    Jammu And Kashmir: ৩৭০ ধারা ফেরাতে প্রস্তাব পাশ জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভূস্বর্গে (Jammu And Kashmir) দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “পৃথিবীর কোনও শক্তিই আর ৩৭০ ধারা ফেরাতে পারবে না।” আর ৬ নভেম্বর, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) ফের ৩৭০ ধারা ফেরাতে চেয়ে প্রস্তাব পাশ হল জম্মু-কাশ্মীর বিধাসভায়। এদিন সভায় প্রস্তাবটি পেশ করে রাজ্যের শাসক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স।

    বিধানসভায় হট্টগোল (Jammu And Kashmir)

    প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন বিজেপি বিধায়করা। দু’পক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচিতে বিধানসভা কার্যত পরিণত হয় হট্টমেলায়। পরে অবশ্য ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে যায় প্রস্তাবটি। এনিয়ে এদিন বিধানসভায় কোনও আলোচনাই হয়নি। ছ’বছর পরে গত সোমবার অধিবেশন বসে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়। প্রথম দিনেই ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিধানসভায়। সেদিন বিধানসভার স্পিকার ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায়ক রহিম রাঠেদার জানিয়েছিলেন এই ধরনের প্রস্তাব তিনি অনুমোদন করছেন না। সেদিন প্রস্তাবটি পেশ করেছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির দল।

    প্রস্তাব পেশ উপমুখ্যমন্ত্রীর

    বুধবার শাসক দলের তরফে প্রস্তাবটি পেশ করেন উপমুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের কারণে বাইরের লোকজনও সেখানকার জমি কিনছেন। তাই অসুবিধার মুখ পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের।” প্রস্তাবের বিরোধিতা করে (Jammu And Kashmir) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সুনীল শর্মা বলেন, “উপরাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।” এনসির আনা প্রস্তাবকে সমর্থন করে কংগ্রেস। বিরোধিতা করে বিজেপি। পদ্ম-বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন ‘অগাস্ট ৫ জিন্দাবাদ’, ‘জয় শ্রীরাম’, ‘বন্দে মাতরম’, ‘জাতীয় বিরোধী অ্যাজেন্ডা নেহি চলেগা’, ‘পাকিস্তানি অ্যাজেন্ডা নেহি চলেগা’।

    আরও পড়ুন: জয়ী হতে চলেছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস

    প্রস্তাবে কেন্দ্রের কাছে ৩৭০ ধারা ফেরানোর বিষয়ে জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার আর্জি জানানো হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সুনীল শর্মা সরব হয়েছেন স্পিকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে (Jammu And Kashmir)। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে খবর আছে যে আপনি গতকাল মন্ত্রীদের একটি বৈঠক ডেকেছিলেন এবং নিজেই প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেছেন।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার লোপ করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। সেই মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ৩৭০-এ জম্মু ও কাশ্মীরকে যে বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়েছিল (Article 370), তা সাময়িক (Jammu And Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Jammu Kashmir: উপত্যকায় দফায় দফায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ! অনন্তনাগে খতম ২ জঙ্গি, শ্রীনগরে চলছে অভিযান

    Jammu Kashmir: উপত্যকায় দফায় দফায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ! অনন্তনাগে খতম ২ জঙ্গি, শ্রীনগরে চলছে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত উপত্যকা। দফায় দফায় চলছে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ। শনিবার সকাল থেকেই জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) অনন্তনাগে জঙ্গি দমন অভিযান শুরু হয়। সেই অভিযানে মৃত্যু হল দুই জঙ্গির। শ্রীনগরেও চলছে এনকাউন্টার। বান্দিপোরাতেও অভিযান চলে শুক্রবার সন্ধ্যায়। 

    তল্লাশি জারি অনন্তনাগে

    সেনা সূত্রে খবর, শনিবার সকালে অনন্তনাগের হল্কান গলি এলাকায় জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। ওই অভিযানেই দু’জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। যে দুই জঙ্গিকে (Jammu Kashmir) নিকেশ করা হয়েছে, তারা এ দেশের নয়। অন্য দেশ, সম্ভবত পাকিস্তান থেকে এসেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই এ দিন সকালে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ঘণ্টাখানেক ধরে সেই সংঘর্ষ চলে। শেষ আপডেট অনুযায়ী, দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। এখনও তল্লাশি জারি রয়েছে। আরও জঙ্গির উপস্থিতি আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই জঙ্গিরা কোন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত, তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

    শ্রীনগরে অভিযান

    অন্যদিকে, শনিবার শ্রীনগরেও (Jammu Kashmir) এনকাউন্টার শুরু হয়েছে বলে খবর। বড়সড় জঙ্গি দমন অভিযান চলছে দোদা, কিস্তেওয়ার, পুঞ্চ, রাজৌরি সহ জম্মু-কাশ্মীরের ৩০ জায়গায়। সেনা সূত্রে খবর, শনিবার সকালে শ্রীনগরের খানিয়ার এলাকাতেও জঙ্গিদের খোঁজে একটি অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযান চলছে সেখানে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছেন তাঁরা। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, খানিয়ারে এখনও জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলছে সেনার। বান্দিপোরায়ও জঙ্গি দমন অভিযান চলছে। 

    জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপ ঘটেছে উপত্যকায়। কখনও সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। কখনও হামলা চালিয়েছে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের উপর। শুক্রবারও কাশ্মীরের বদগাঁওয়ে ভিন্‌ রাজ্যের দুই শ্রমিককে লক্ষ্য করে গুলি করে জঙ্গিরা। তার পর থেকেই জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, জঙ্গিরা হামলার পর নিকটবর্তী একটি জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। পরে সেনার কাছে খবর আসে নগরের খানিয়ারে একদল জঙ্গি আশ্রয় নিয়েছে। সেই খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযানে যায় সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনী। উপত্যকায় যেকোনও মূল্যে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় সেনা ও প্রশাসন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নিশানায় শহুরে নকশালরা, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা প্রয়োজন”, বললেন মোদি

    PM Modi: নিশানায় শহুরে নকশালরা, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা প্রয়োজন”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ধর্মনিরপেক্ষতার শর্ত মেনে নাগরিক বিধির ক্ষেত্রে সমস্ত বৈষম্যের অবসান হওয়া উচিত। সামাজিক ঐক্যের (National Unity) স্বার্থে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা প্রয়োজন।” কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে শহুরে নকশালদের নিশানা করলেন এবং এ জন্য তিনি বেছে নিলেন ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে’র মঞ্চকে। বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিবস।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (PM Modi)

    এদিন গুজরাটের নর্মদা জেলার কাভেড়িয়ায় বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান দেশের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রীকে। সেখানেই বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তৃতায় উঠে এসেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির কথা, উঠে এসেছে এক দেশ, এক ভোটের কথাও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমরা সকলেই এক দেশ, এক পরিচয় – আধারের সাফল্য দেখছি। সারা বিশ্বও এটি নিয়ে আলোচনা করছে। আগে ভারতে বিভিন্ন কর ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু আমরা এক দেশ, এক কর ব্যবস্থা – জিএসটি চালু করেছি। আমরা দেশের বিদ্যুৎ খাতকে শক্তিশালী করেছি এক দেশ, এক বিদ্যুৎ গ্রিডের মাধ্যমে।” তিনি (PM Modi) বলেন, “আমরা গরিবদের জন্য এক দেশ, এক রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন সুবিধা সংযুক্ত করেছি। আমরা দেশের জনগণকে আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে এক দেশ, এক স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা প্রদান করেছি।”

    আরও পড়ুন: অন্য মহিলার সামনেও জোরে কোরান পড়তে পারবেন না আফগান মহিলারা!

    এক দেশ, এক ভোট

    শহুরে নকশালদেরও ছেড়ে কথা বলেননি তিনি। রাষ্ট্রীয় একতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকার এক দেশ, এক ভোট চালু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সব বিধানসভার ভোট হলে জাতীয় ঐক্য আরও দৃঢ় হবে।” শহুরে নকশালদের নিশানা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু শক্তি ভারতের অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করতে ও বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহ করতে চায়। মানুষকে এই শহুরে নকশালদের চিনতে ও তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানাচ্ছি।” প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এসেছে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “৭০ বছর ধরে বিআর আম্বেদকরের সংবিধানের নীতিগুলি এই অঞ্চলে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। ৩৭০ ধারা ছিল একটা দেওয়ালের মতো, যা আমাদের (National Unity) সংবিধানের বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছিল।” তিনি (PM Modi) বলেন, “এই ধারা এখন চিরকালের জন্য কবরে শায়িত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

    Indian Army: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানববিহীন যান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করেই জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার সেনার তরফে এ খবর জানানো হয়েছে।

    কী বলছেন সেনা কর্তা? (Indian Army)

    ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সমীর শ্রীবাস্তব বলেন, “আমরা মানববিহীন যান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেছি। এটি আমাদের দ্রুত এবং নির্ভুল ফল দিয়েছে… আমরা এক সেনা কুকুর হারিয়েছি।” তিনি বলেন, “আমরা যখন জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিলাম, তখন কুকুরটি সামনে ছিল। জঙ্গিরা তাকেই লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তার আত্মত্যাগের কারণে অনেকের জীবন রক্ষা পেয়েছে।”

    শহিদ ‘ফ্যান্টম’

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর চার বছরের পুরনো স্নিফার এই কুকুরটির নাম ‘ফ্যান্টম’। সেনা সূত্রে খবর, সৈন্যদের সুরক্ষা দিতে গিয়ে জঙ্গিদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করার সময় গুলির ঘায়ে কুকুরটি মারাত্মকভাবে জখম হয়। শ্রীবাস্তব (Indian Army) বলেন, “এই অভিযানের পর এমন খবর ছড়িয়েছিল যে সেনাবাহিনী বিএমপি ব্যবহার করেছে। আমরা সেই ধরনের যান ব্যবহার করেছি। কারণ এলাকাটি দুর্গম ছিল। ৩০ ডিগ্রির ঢাল ও ঘন জঙ্গলের কারণে আমরা জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্ত করার পর ওই যান ব্যবহার করেছি।”

    আরও পড়ুন: তোষণের রাজনীতি! অবাধে চলছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন মমতা!

    তিনি বলেন, “গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জঙ্গিদের সম্পর্কে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ করি। জঙ্গিরা যে উদ্দেশ্যে এসেছিল, তা পূরণ না হওয়ায় ওরা আমাদের কনভয়ে গুলি চালিয়েছে।” শ্রীবাস্তব বলেন, “জঙ্গিরা যেভাবে সজ্জিত ছিল, তাতে মনে হয় তারা বড় কোনও উদ্দেশ্যে এখানে এসেছিল। জঙ্গি সংগঠনগুলো পোস্ট করেছিল যে, তারা বড় কিছু করার পরিকল্পনা করছিল। তাই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। সমস্ত সংস্থা, যার মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও রয়েছে, সবার মধ্যে সমন্বয় থাকায় সাফল্য এসেছে।” জম্মু-কাশ্মীরের আখনুরে জঙ্গিরা একটি সেনা অ্যাম্বুলেন্সের ওপর গুলি চালায়। পাল্টা গুলি চালায় সেনাও। দ্রুত ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। তল্লাশি শুরু করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী (Jammu And Kashmir)। খতম হয় তিন জঙ্গি (Indian Army)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jammu And Kashmir: “কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক, তাই ঠাঁই হয়নি ওমর মন্ত্রিসভায়”, কটাক্ষ বিজেপির

    Jammu And Kashmir: “কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক, তাই ঠাঁই হয়নি ওমর মন্ত্রিসভায়”, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক। তাই ঠাঁই হয়নি ওমর আবদুল্লার (জম্মু-কাশ্মীর) মন্ত্রিসভায় (Jammu And Kashmir)।” রাহুল গান্ধীর দলকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানাল বিজেপি (BJP)। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির মুখপাত্র প্রদীপ ভান্ডারি লিখেছেন, “জম্মু-কাশ্মীরের নয়া মন্ত্রিসভায় কংগ্রেসের ঠাঁই হয়নি। ন্যাশনাল কনফারেন্স এখন বুঝতে পেরেছে যে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক। এই ঘটনা ইন্ডি জোটের ভঙ্গুরত্ব প্রদর্শন করে। তাদের জোট ভেঙে গিয়েছে। এই জোটে কংগ্রেস একটা জোকে পরিণত হয়েছে। তাদের প্রতি কারও শ্রদ্ধাও নেই।”

    অমিত মালব্যর খোঁচা (Jammu And Kashmir)

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “কেবল হরিয়ানা নয়, জম্মু-কাশ্মীরেও কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কংগ্রেস তাদের (কংগ্রেসকে) সরকারে নেয়নি। রাহুল গান্ধীর দল ৬টি আসনে জিতেছে (সপ্তম প্রার্থী জয়ী হয়েছে নির্দল হিসেবে), যদিও তারা প্রার্থী দিয়েছিল ৩২ আসনে।” জনতা দল (ইউনাইটেড) মুখপাত্র রাজীব রাজন প্রসাদ সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “কংগ্রেসের যোগ দেওয়া উচিত ছিল। প্রধান ইস্যুগুলিতে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে কংগ্রেসের মতপার্থক্য হতে পারে। কিন্তু তাদের সরকারে যোগ দেওয়া উচিত ছিল। সরকারে যোগ না দিয়ে তারা মানুষকে আঘাত করল।”

    কটাক্ষ প্রহ্লাদ জোশীরও

    ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে জোট না হলে, ভূস্বর্গে কংগ্রেস একটা আসনও পেত না বলেন দাবি (Jammu And Kashmir) করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনে কংগ্রেস কোথাও ছিল না। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে জোট করায় তারা ৬টি আসন পেয়েছে। তা না হলে একাধিক রাজ্যের মতো জম্মু-কাশ্মীরে শূন্য হয়ে যেত কংগ্রেস।” উপত্যকার বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে বিজেপি। সেখানকার ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ভোট গণতন্ত্রের সব চেয়ে বড় উৎসব। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের রায়কে আমরা সম্মান জানাচ্ছি। সর্বোপরি, এই নির্বাচনে জয় হয়েছে গণতন্ত্রের।”

    আরও পড়ুন: যত নষ্টের গোড়া ট্রুডো! নিজ্জর খুনে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা ভারতের

    জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০টি। এর মধ্যে ৪২টি আসনে জয়ী হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। পদ্ম ফুটেছে ২৯টি কেন্দ্রে। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ৬টি আসন। বুধবারই শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে মুখ্যমন্ত্রী পদে (BJP) শপথ নেন ওমর (Jammu And Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share