Tag: Kerala

Kerala

  • Prakash Javadekar: ওয়াকফ জমির তালিকা প্রকাশের দাবি! কেরলের এলডিএফ এবং ইউডিএফকে কটাক্ষ প্রকাশ জাভড়েকরের

    Prakash Javadekar: ওয়াকফ জমির তালিকা প্রকাশের দাবি! কেরলের এলডিএফ এবং ইউডিএফকে কটাক্ষ প্রকাশ জাভড়েকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরল (Kerala) সরকারের কাছে ওয়াকফ জমির পূর্ণ তথ্য প্রকাশের দাবি জানালেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর (Prakash Javadekar)। মঙ্গলবার পলাক্কাদে এক সভায় বিজেপির এই প্রভাবশালী নেতা জানিয়েছেন, এই তথ্যের মধ্যে সরকারি জমি, ব্যক্তিগত জমি, কৃষকদের জমি, এবং অন্য ধর্মের মানুষের জমি—সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের কাছে এসব তথ্য ইতিমধ্যেই রয়েছে । সরকারের উচিত ২০ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রকাশ করা।

    ওয়াকফ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

    ওয়াকফকে কেন্দ্র করে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, এটি বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওয়াকফ বোর্ড যে কোনও সম্পত্তির দাবি করতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, মন্দির বা চার্চের বিষয়ে যদি কোনও বিতর্ক থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট পক্ষ আদালতে যেতে পারে। কিন্তু ওয়াকফের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে, তা আদালতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এটি দেশের মধ্যে দুটি ভিন্ন আইন ব্যবস্থা সৃষ্টি করছে, যা কেরলের জনগণ উপলব্ধি করতে পারছে। তাঁর কথায়, ওয়াকফ একটি সাম্প্রদায়িক সমস্যা নয়, বরং এটি অসাম্প্রদায়িক সমাজের বিরুদ্ধে একচেটিয়া মনোভাবের প্রকাশ (Prakash Javadekar)। 

    মুনাম্বাম এলাকায় ওয়াকফ বোর্ডের ভূমিকা

    মুনাম্বাম এলাকায় ওয়াকফ বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রকাশ (Prakash Javadekar)। সম্প্রতি ওই অঞ্চলে জমির অধিকার নিয়ে বিতর্ক চলছে। তিনি কেরল (Kerala) সরকারের কাছে জানতে চান, মুনাম্বামের জমি কি ওয়াকফের অন্তর্গত? ওখানে প্রায় ৬০০ খ্রিস্টান পরিবারের বাস। ওয়াকফ বোর্ডের তরফে তাদের উঠে যেতে বলা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে ওই জমি নাকি ওয়াকফের অন্তর্গত। এই ঘটনায় মুনাম্বামে আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি। দলের সাংসদ সুরেশ গোপি এই বিষয়ে কেরালার শাসক জোট (এলডিএফ) এবং বিরোধী জোট (ইউডিএফ)-এর মুসলিম সম্প্রদায়কে তোষণনীতির সমালোচনা করেছেন। বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি শোভা সূরেন্দ্রন অভিযোগ করেছেন, এলডিএফ এবং ইউডিএফ মুনাম্বামের মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং তারা ওয়াকফ সংশোধনী বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট না করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Landslide: ভারী বৃষ্টি হলেই ভাঙছে পাহাড়, বার বার ভারতে নামছে ভূমিধস, কী কারণে?

    Landslide: ভারী বৃষ্টি হলেই ভাঙছে পাহাড়, বার বার ভারতে নামছে ভূমিধস, কী কারণে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত। পাহাড়ে একাধিক জায়গায় ধস (Landslide) নেমেছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে রয়েছে। ধসের কবলে রাস্তার পাশাপাশি বাড়িও রয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং নয়, কিছুদিন আগে কেরলের কেরলের ওয়েনাডে ভারী বৃষ্টির জেরে ভূমি ধসের ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন দেশবাসী। এই বিপর্যয়ে ২০০ জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। বার বার ধস কেন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ভূমি ধস প্রবণ এলাকা কোনগুলি? (Landslide)

    আরএমএসআই (RMSI) নামে একটি প্রযুক্তিগত সংস্থা মূলত ভূমিধসের (Landslide) কারণ নিয়ে কাজ করে। তারা দেশের (India) অন্যান্য ভূমিধস-প্রবণ অঞ্চলের সঙ্গে তুলনা করে বিভিন্ন রাজ্যে ভূমিধসের ধরণগুলি বিশ্লেষণ করে। ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের আনুমানিক ৩০ শতাংশ জমি পাহাড়ি এলাকায়। ২২টি রাজ্য এবং পুদুচেরির কিছু অংশ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, কেরল, মেঘালয়, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশ।   

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে মরশুমের প্রথম তুষারপাত সিকিমের ছাঙ্গুতে, কিন্তু পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে?

    ভূমিধসের কী কী কারণ রয়েছে?

    গবেষকদের মতে, দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনই ভূমিধসের অন্যতম কারণ। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্ষিক বৃষ্টিপাতের তীব্রতা আগামী দশকগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। উদাহরণস্বরূপ, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু শহরে ২০৫০ সালের মধ্যে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের তীব্রতা ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ২০৮০ সালের মধ্যে অসমের গুয়াহাটিতে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় রাস্তা তৈরি ধসের (Landslide) অন্যতম কারণ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৫০ সাল নাগাদ ভারতের রাস্তার দৈর্ঘ্য ৩, ৯৯,৯৪২ বর্গ কিমি। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬২, ৯৫, ৭১৭ বর্গ কিমি হয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় চার লক্ষ বর্গ কিমি থেকে বেড়ে প্রায় ৬৩ লক্ষ বর্গ কিমি হয়েছে। ফলে, প্রচুর পরিমাণ গাছ কেটে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।

    ভূমিধসের তিন প্রধান কারণ

    ভূমিধসের মূলে প্রধানত তিন কারণ। মূল কারণগুলি হল ভূতত্ত্ব, জমির গঠন ও মানুষের কার্যকলাপ। কোনও এলাকার ভূতত্ত্ব ও জমির গঠনের ওপর সেই এলাকা ভূমিধস প্রবণ হবে কিনা তা নির্ভর করলেও মানুষের যথেচ্ছ কার্যকলাপকে অস্বীকার করা যায় না। কেরলে সাম্প্রতিক বছরে ভূমিধসের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উঠে আসছে বেআইনি নির্মাণ কাজ, নিয়ম বহির্ভূতভাবে জমিতে চাষাবাদ। এছাড়াও নিয়ম না মেনে সেচ, বনভূমি উজাড়, বেআইনি খনন কাজ, গাছ ধ্বংস ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। কেরলে অতিবৃষ্টি ভূমিধসের অন্যতম কারণ। কারণ অতিবৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মত, বিগত কয়েক বছর ধরে অপরিকল্পিত বাসস্থান নির্মাণ ঘন ঘন ভূমিধসের অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া গত কয়েক বছরে ভৌগলিক পরিবর্তন ঘটায় এই সমস্যা আরও বেড়েছে।

    সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা কী বললেন?

    সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা পুষ্পেন্দ্র জোহারি বলেন, ‘‘যখন আমরা উন্নয়ন করার নামে প্রাকৃতিক পরিবেশকে নষ্ট করি। বিশেষ করে গাছপালা কেটে ফাঁকা করে, জল শোষণের ধরণগুলি পরিবর্তন করে বা নরম  জমিতে রাস্তা এবং বিল্ডিং তৈরি করে ভূমি ধসে (Landslide) প্রবণতা বাড়িয়ে দিই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ‘মুসলিম রাষ্ট্র হবে ভারত, ধ্বংস করা হবে আরএসএস-কে’! কেরলে প্রচার ইসলামি মৌলবাদীদের

    NIA: ‘মুসলিম রাষ্ট্র হবে ভারত, ধ্বংস করা হবে আরএসএস-কে’! কেরলে প্রচার ইসলামি মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৫০ সালের ১ জানুয়ারির ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করা হবে। এমনই চাঞ্চল্যকর ও ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এসেছে কেরলে। ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর এই চক্রান্তের মূল কুচক্রী হল নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই) শাখা সংগঠন সোশালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া। তাদের সঙ্গে জুড়েছে আরও কয়েকটি উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠন। গোয়েন্দাদের দাবি, শুধু ঘোষণা করাই নয়, এ নিয়ে তারা পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি দুটোই শুরু করে দিয়েছে। ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরি করার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যম জুড়ে শুরু হয়েছে প্রচারও (Kerala)। আরও ভয়ঙ্কর তথ্য, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে (RSS) ২০৪০-এর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছে উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলি। এনিয়ে চলছে রীতিমতো প্রচারও। ভয়ঙ্কর এই চক্রান্ত প্রকাশ্যে এনেছে এনআইএ (NIA)। 

    সময়সীমা বেঁধে দিয়ে চলছে প্রচার (NIA)

    সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (Kerala) এবং অন্যান্য ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলি যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কেরলে তারা শাসন করতে চায় ২০৩১ সালের মধ্যে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে তারা ধ্বংস করতে চায় ২০৪০ সালের মধ্যে, ভারতকে তারা শাসন করতে চায় ২০৪৭ সালের মধ্যে এবং ভারতবর্ষকে ইসলামিক রিপাবলিক দেশ হিসেবে তারা ঘোষণা করবে ২০৫০ সালের ১ জানুয়ারি।

    এমন অ্যাজেন্ডা (RSS) দীর্ঘদিনের, তদন্তে এনআইএ

    এনআইএ-র (NIA) দাবি, মৌলবাদীদের যে অ্যাজেন্ডা সামনে এনেছে তা এখনকার নয়। অনেক দিন ধরেই চলছে। এর আগে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করার বক্তব্য এবং সে সংক্রান্ত পুস্তিকা বিতরণও করতে দেখা গিয়েছে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে। এনিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। চলতি বছরের ২৬ জুন এনআইএ-র রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে কেরলের আরএসএস (RSS) নেতা শ্রীনিবাসনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যার পিছনে যুক্ত থাকতে দেখা যায়, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়াকে।

    গোটা পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এনেছে এনআইএ

    এনআইএ (NIA) কেরল হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা করে সেখানে তারা ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলির যাবতীয় পরিকল্পনা তুলে ধরে। এনআইএ আরও জানায়, ২০৪৭ সালের মধ্যে তারা (মৌলবাদী সংগঠন) ভারতবর্ষে ইসলামিক শাসনকে কায়েম করতে চায় এবং সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে আরএসএস (RSS) নেতাকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ও এসডিপিআই-এর একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আট পাতার একটি ইস্তাহার। এখানেই লেখা ছিল ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্তের কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mpox: পুজোর আগে ভারতে হানা মাঙ্কিপক্সের ভয়ানক ভ্যারিয়েন্টের! কেন সতর্ক করেছিল ‘হু’?

    Mpox: পুজোর আগে ভারতে হানা মাঙ্কিপক্সের ভয়ানক ভ্যারিয়েন্টের! কেন সতর্ক করেছিল ‘হু’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পুজো। তার ঠিক আগেই মাঙ্কিপক্সের (Mpox) নতুন উপরূপ ‘ক্লেড ১বি’-এর সংক্রমণের হদিশ মিলল ভারতেও। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কেরলের মলপ্পুরমে এক যুবকের শরীরে মাঙ্কিপক্সের ক্লেড ১বি-র সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এমপক্সের নতুন উপরূপ ক্লেড ১ প্রসঙ্গে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

    ভারতে প্রথম আক্রান্ত

    সরকারি সূত্রে খবর, কেরলের মলপ্পুরমে এক রোগীর শরীরে এমপক্সের (Mpox) ক্লেড ১বি-র সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এমপক্সের এই উপরূপে প্রথম কেউ আক্রান্ত হলেন ভারতে। বছর আটত্রিশের ওই রোগী সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ফিরেছিলেন। দেশে ফেরার পর থেকেই তাঁর বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। গত মাসেই দেশে ফেরার পর থেকে জ্বরে ভুগছিলেন ওই রোগী। ত্বকে র‌্যাশ বেরিয়েছিল। চিকেনপক্সে যেমন হয়, অনেকটা সেই রকমই। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে যান তিনি। সেই সময়ে উপসর্গ দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকের। নমুনা পরীক্ষা করা হলে শরীরে এমপক্সের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর আগে দিল্লিতে এক রোগীর শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তবে সেটি ছিল ক্লেড ২ উপরূপের সংক্রমণ।

    আরও পড়ুনঃ মধ্য চল্লিশেই স্পষ্ট লক্ষণ? অ্যালজাইমার্স রোগের জানান দেবে কোন উপসর্গ?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ

    মাঙ্কিপক্সের (Mpox) নতুন উপরূপ বিশ্বের একাধিক দেশে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। যেহেতু সেটি দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়ায়। অফ্রিকায় ছড়ানোর পর গত অগাস্ট মাসে এমপক্স নিয়ে গোটা বিশ্বে সতর্কতা জারি করে হু (WHO)। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্বের একাধিক প্রান্তে উদ্বেগের মধ্যেই সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে উৎসবের মরশুমে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্র। আশির দশকে প্রথম মাঙ্কি পক্সের খোঁজ মিলেছিল। তার পর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ, মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ। আর যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা, তাদের বাস মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলে (রেন ফরেস্ট)। চিকেন পক্সের মতো মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে কেবল গায়ে র‌্যাশ কিংবা ফুসকুড়ি বেরোয়। কিন্তু মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে সারা গায়ের পাশাপাশি, লসিকাবাহেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CS Srinivasan: টাকা দ্বিগুণের প্রলোভন! ১৭ কোটি জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা সিএস শ্রীনিবাসন

    CS Srinivasan: টাকা দ্বিগুণের প্রলোভন! ১৭ কোটি জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা সিএস শ্রীনিবাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ কোটি টাকার বিনিয়োগ জালিয়াতির তদন্তে এবার কেপিসিসি সেক্রেটারি সিএস শ্রীনিবাসনকে (CS Srinivasan) গ্রেফতার করল কেরল পুলিশ। আগেই এই বিনিয়োগ জালিয়াতির মামলায় নাম জড়িয়েছিল কেরলের কংগ্রেস নেতা সিএস শ্রীনিবাসনের। আর এবার ১৩ অগাস্ট মঙ্গলবার কালাডি থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন তিনি। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, শ্রীনিবাসন আগাম জামিনের আবেদন দাখিল করার পরে আত্মগোপন করে ছিলেন, কিন্তু কালাডি থেকে জেলা কাইম ব্রাঞ্চ তাঁকে গ্রেফতার (Kerala Congress leader arrested) করে।   

    ঠিক কী জানা গিয়েছে? (Kerala Congress leader arrested) 

    শ্রীনিবাসন (CS Srinivasan) ত্রিশুর কর্পোরেশনের স্থায়ী কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান। এছাড়াও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন, যে প্রতিষ্ঠানেই বিনিয়োগ জালিয়াতির মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, ত্রিশুরের পুনকুনমের সদর দফতরে আর্থিক সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে অভিযোগে বিনিয়োগকারীরা বলেছেন যে হেওয়ান নিধি লিমিটেড এবং হিওয়ান ফাইন্যান্সে তাদের মোটা অঙ্কের টাকা জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাঁচ বছরে টাকা দ্বিগুণ হওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল। তাদের মতে, কোম্পানি তাদের টাকা ফেরত না দেওয়ায় প্রায় ১৭ কোটি টাকার জালিয়াতি করেছে।  
    তাদের আরও অভিযোগ, কংগ্রেস নেতা সিএস শ্রীনিবাসন (CS Srinivasan) এবং সুন্দর মেননের রাজনৈতিক ও সামাজিক সম্পৃক্ততার উপর আস্থা রেখেই হিওয়ান ফাইন্যান্স এবং হিওয়ান নিধি কোম্পানিতে লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তাঁরা। তবে এখন কোম্পানি মূল অর্থ বা প্রতিশ্রুত সুদ ফেরত দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। শুধু ব্যর্থই নয়, বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দিতেও অস্বীকার করেছে ওই প্রতিষ্ঠান। পুলিশের মতে, সংস্থাটি আরবিআই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে সমস্ত বিনিয়োগ সংগ্রহ করেছে। 

    আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণের বাংলা চাইনা চাইনা’, কলকাতায় আজ ধিক্কার মিছিলের ডাক বিজেপির

    প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের (CS Srinivasan) 

    এই মাসের শুরুতে, ৪ অগাস্ট, ত্রিশুর ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই বিনিয়োগ জালিয়াতির মামলায় হিওয়ানের চেয়ারম্যান সুন্দর মেননকে গ্রেপ্তার করে। এই সংক্রান্ত মোট ১৮টি মামলা ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। প্রায় ৩০০ জন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই পুলিশ হিওয়ান কোম্পানি এবং এর মালিকদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পদক্ষেপ নেবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslide: ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকশপথে পরিদর্শন করলেন মোদি

    Wayanad Landslide: ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকশপথে পরিদর্শন করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার, সকাল ১১ টায় তিনি প্রথমে কান্নুরে পৌঁছান, তারপরে তিনি ভূমিধস ও দুর্গত এলাকাগুলিকে আকশপথে পরিদর্শন করেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চূরমালা এবং মুন্ডাক্কাই এলাকায়। সেখানে ভূমিধসের পরে দুর্গত মানুষদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি এবং সেই সঙ্গে দেন সাহায্যের আশ্বাস।

    ধ্বংসের চিত্র নিজের চক্ষে প্রত্যক্ষ করেন মোদি (Wayanad Landslide)

    এদিন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ এবং কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সুরেশ গোপী। আকাশপথে সমীক্ষা করে ভূমিধসের উৎপত্তি কেন্দ্রকেও পরিদর্শন করেন মোদি। এই ভূমিধসের উৎসস্থল ছিল ইরুভাঝিনজি পুঝা নদীর অঞ্চল। ধসের ফলে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলির মধ্যে হল পুনচিরিমাত্তম, মুন্ডক্কাই এবং চুরমালা। এই সব এলাকায় অতিভারী বৃষ্টির ফলে ভূমিধসজনিত ধ্বংসের চিত্র নিজের চক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। উদ্ধারকারী বাহিনীরা কীভাবে কাজ করেছে, সেই বিষয় সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেন।

    ২০০০ কোটি টাকা সাহায্যের আনুরোধ

    ভূমিধসের স্থানগুলি (Wayanad Landslide) পরিদর্শন করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এবং আহত মানুষদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সেই সঙ্গে একটি ত্রাণ শিবির ও স্থানীয় হাসপাতালে যান। তাঁদের সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন মোদি। এরপর এখানকার স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। তবে অঞ্চলগুলিতে পুনর্বাসন ও ত্রাণ কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কেরল সরকারের পক্ষ থেকে ২০০০ কোটি টাকা সাহায্যের জন্য অনুরোধ করা হয়।

    আরও পড়ুনঃ পুরস্কার ২০ লক্ষ! সেনা কনভয়ে হামলাকারী চার জঙ্গির স্কেচ প্রকাশ কাশ্মীর পুলিশের

    রাহুলের ধন্যবাদ

    এদিকে, বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) আপনি ব্যক্তিগত ভাবে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে পরিদর্শন করেছেন। আপনার সিদ্ধান্তটি বেশ ভালো।”

    গত ৩০ জুলাই এই অঞ্চলে ভূমিধসের কবলে কমপক্ষে ২২৬-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত আরও অনেক মানুষ নিখোঁজ। বেসরকারি মতে, এই সংখ্য়াটা ৪০০-র বেশি। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে সম্প্রতি সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলির সবচেয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই ধসজনিত বিপর্যয়ে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslides: কুর্ণিশ! টানা ৩ ঘণ্টা ভারতনাট্যম নেচে উপার্জিত অর্থ ওয়ানাড় ত্রাণ তহবিলে দান কিশোরীর

    Wayanad Landslides: কুর্ণিশ! টানা ৩ ঘণ্টা ভারতনাট্যম নেচে উপার্জিত অর্থ ওয়ানাড় ত্রাণ তহবিলে দান কিশোরীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিণী শ্রী নামে ১৩ বছর বয়সি তামিলনাড়ুর এক কিশোরী টানা তিন ঘণ্টা ভরতনাট্যম নৃত্য পরিবেশন করেছে। কেন জানেন? নিজের জন্য সে এই নাচ করেনি। শুধুমাত্র কেরলের (Kerala) ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ করতেই সে এই উদ্যোগ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তার জমানো অর্থ সহ ১৫ হাজার টাকা সে ত্রাণ তহবিলে দান করেছে। তার এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানিয়েছে দেশবাসী। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করে তাকে আশীর্বাদ করেছেন।

    ওয়েনাড়ে চলছে অভিযান (Wayanad Landslide)

    কেরলে (Kerala) ওয়েনাড়ে ব্যাপক ভূমিধসের কারণে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ৩০০ বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ব্যাপক সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। এদিকে সেনাবাহিনীর কর্মী, এসওজি কর্মকর্তা এবং বন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ দল বৃহস্পতিবার থেকে বনের অভ্যন্তরে সুজিপ্পাড়ার সানরাইজ ভ্যালিতে অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছে। দশ দিনের উদ্ধার অভিযান শেষ করার পরে ফেরার পথে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এরপর, উদ্ধার অভিযানের দায়িত্ব এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, ফায়ার ফাইটার্স ফোর্স এবং কেরল পুলিশের বাহিনীকে হস্তান্তর করা হবে। তিরুবনন্তপুরম, কোঝিকোড়, কান্নুর এবং বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ৫০০ সদস্য নিয়ে গঠিত ভারতীয় সেনা একটি ব্যাটালিয়ন ফিরে আসতে চলেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দ্বারা অস্থায়ীভাবে নির্মিত বেইলি ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি দল এলাকায় থাকবে।

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ওই কিশোরীকে দেখা করে আশীর্বাদ করেছেন

    ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারগুলি এখন অনুসন্ধান অভিযানে সহায়তা করছে। ৩০ জুলাই ওয়েনাড় (Wayanad Landslide) বিপর্যয়ের শিকার হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭০০ কেজিরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী, ৮ জন বেসামরিক ব্যক্তি এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের দলগুলিকে হেলিকপ্টার দ্বারা এয়ারলিফ্ট করা হয়েছে। এদিকে, শনিবার ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড় পরিদর্শনে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shashi Tharoor: বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে নাকি ‘স্মরণীয় দিন’ কাটিয়েছেন শশী! তুলোধনা করল বিজেপি

    Shashi Tharoor: বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে নাকি ‘স্মরণীয় দিন’ কাটিয়েছেন শশী! তুলোধনা করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা ওয়েনাড়ের পদত্যাগী সাংসদ রাহুল গান্ধীর পর এবার অকুস্থলে গেলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। ধসে-বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে শশী বিলোলেন ত্রাণ। সেই ‘দানে’র ছবির ভিডিও শশী আবার পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্যাপশনে তিরুবনন্তপূরমের সাংসদ লিখলেন, “ওয়েনাড়ে স্মরণীয় দিনের কিছু স্মৃতি।” ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ট্রাক থেকে ত্রাণ সামগ্রী নামাচ্ছেন এই কংগ্রেস নেতা। ধস-বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখছেন তিনি। বিলোচ্ছেন ত্রাণ।

    বিজেপির নিশানায় কংগ্রেস (Shashi Tharoor)

    শশীর এই ‘স্মরণীয় দিন’ শব্দবন্ধেই আপত্তি তুলেছে বিজেপি। শশীর শব্দচয়ন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মৃত্যু এবং বিপর্যয় শশী থারুরের কাছে স্মরণীয়।” কেবল মালব্য নন, সোশ্যাল মিডিয়ায়ও শশীর পোস্ট নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। একটা ট্র্যাজেডি কীভাবে স্মরণীয় হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরাও।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় মুন্ডুপাত শশীর

    সোশ্যাল মিডিয়ায় জনৈক রেই লিখেছেন, “৩০০-র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এবং রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ এই কংগ্রেস নেতা কিনা বলছেন স্মরণীয় দিনের স্মৃতি।” এক্স হ্যান্ডেলে জনৈক অনুরাগ লিখেছেন, “এলিট সাংসদ শশী থারুরের সঙ্গে পরিচয় করুন। তিনি ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাডে গিয়েছিলেন একটি স্মরণীয় দিন পেতে।” অন্য এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, “একটি দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকায় একটি স্মরণীয় দিন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আবেশে নষ্ট হয়ে গিয়েছে (Shashi Tharoor)। দুঃখের বিষয়, এটি সম্পর্কে পোস্ট করা আসলে সাহায্য করার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিঃস্বার্থ সেবার চেয়ে সেলফিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।”

    আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের হিন্দু মন্দিরে অশ্লীল ভিডিও তৈরি! গ্রেফতার দিলশাদ ও আজিম

    গত মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির জেরে ধস নামে ওয়েনাড়ে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় চুরালমালা, মুন্ডাক্কাই, অট্টামালা, নুলপুঝার মতো গ্রামগুলি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বলি হয়েছেন তিনশোরও বেশি মানুষ। স্বজন হারানোর কান্নায় ভারী হয়েছিল ওয়েনাড়ের বাতাস। কান্না বুকে চেপে ওয়েনাড় যখন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালাচ্ছে, তখন বৃহস্পতিবার সেখানে বোন প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে হাজির হন কংগ্রেসের ‘যুবরাজ’। ঘটনার দুদিন পরে যান স্থানীয় পদত্যাগী সাংসদ (রাহুল এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। এবারও জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তবে একই সঙ্গে দুটি কেন্দ্রে জয়ী হওয়ায় ওয়েনাড়ের সাংসদ পদে ইস্তফা দেন রাহুল। এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন প্রিয়ঙ্কা) রাহুল। তার (BJP) পর এদিন গেলেন শশী (Shashi Tharoor)। এবং দিনটিকে করে তুললেন ‘স্মরণীয়’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Wayanad Landslide: দুর্গতদের জন্য তৈরি মানবসেতু! বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা

    Wayanad Landslide: দুর্গতদের জন্য তৈরি মানবসেতু! বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন কেটে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি। ভয়াবহ ভূমি ধসে (Wayanad Landslide) প্রাণহানি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কাদা ও বালির স্তূপ থেকে একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে৷ তবে বৃষ্টি মাথায় নিয়েও প্রতিকূল পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনা জওয়ানরা (Indian Army)। এবার দুর্গতদের উদ্ধার করতে মানবসেতু তৈরি করলেন তাঁরা। কোলে করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিলেন শিশুদের।  

    সেনাবাহিনীর উদ্ধারকাজের ভিডিও প্রকাশ্যে

    কাদা আর বালির স্তূপ ঘেঁটে ঘেঁটে এখনও প্রাণের খোঁজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। সম্প্রতি ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) সেনাবাহিনীর উদ্ধারকাজের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, কীভাবে হাতে হাত ধরে মানবসেতু তৈরি করেছেন জওয়ানেরা (Indian Army)। ওয়েনাড়ের চূড়ামালা গ্রামে এই মানবসেতু তৈরি করেছিলেন জওয়ানরা।

    প্রবল স্রোতে বইছে নদী। তার উপরে দুদিকের স্থলভাগে দড়ি টাঙিয়ে কোনও রকমে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষকে। মাঝে সেনা জওয়ানেরা দুহাত বিছিয়ে দড়ি ধরে সংযোগ রক্ষার চেষ্টা করছেন। শিশুদের কোলে তুলে নিরাপদ স্থানে তাঁদের পৌঁছে দিচ্ছেন জাওয়ানরা। ১২ জন জওয়ান মিলে এই মানবসেতু তৈরি করেছিলেন ওই গ্রামে।

    মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫০-র গণ্ডি

    এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে (Wayanad Landslide) এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫০-র গণ্ডি। ২০০ জনেরও বেশি আহত গ্রামবাসীকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ৷ তাঁদের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ এখনও পর্যন্ত ৩,০০০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন উদ্ধারকারীরা৷ উদ্ধারকাজে নামানো হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারও। যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরা এখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ইট, কাঠ বালি, কাদা সরিয়ে স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। 

    আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে কেরলের ওয়েনাড়ে ধস, মৃত্যু ৮০ পার! চাপা পড়ে শতাধিক

    তবে এখনই শেষ হচ্ছে না এলাকাবাসীর দুর্ভোগ (Wayanad Landslide)। আবহাওয়া দফতরের তরফে ওয়েনাড় এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১ অগাস্ট ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এই সব স্থানে। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, ২ অগাস্টও ওয়েনাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে নতুন করে আবার চিন্তার ভাঁজ পড়ছে সকলের কপালে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: আগাম সতর্ক করা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়নি কেরল, ওয়েনাড় নিয়ে বিস্ফোরক অমিত শাহ

    Amit Shah: আগাম সতর্ক করা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়নি কেরল, ওয়েনাড় নিয়ে বিস্ফোরক অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধ্বংসী ধসে তছনছ হয়ে গিয়েছে কেরলের ওয়েনাড় জেলা (Wayanad landslides)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২৭৬। এর পাশাপাশি, ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মাটির নীচে আরও অনেকেই চাপা পড়ে রয়েছেন। এমন বিপর্যয়ের জন্য কেরলের বামপন্থী সরকারকেই দায়ী করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যসভায় জানিয়েছেন, কেরল সরকারকে আগাম সতর্ক করা হলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। বামপন্থী সরকারের কাছে এতজন মানুষের প্রাণের কি কোনও মূল্য নেই? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার জানিয়েছেন, এমন মহাবিপর্যয় যে হতে পারে তার আগাম সতর্কবার্তা ২৩ জুলাই কেরল সরকারকে জানানো হয়েছিল।

    ভূমিধস নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতি না করার আহ্বান শাহের (Amit Shah)

    রাজ্যসভায় বুধবার অমিত শাহ (Amit Shah) নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই ভূমিধস নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতি না করার আহ্বান জানান তিনি। রাজ্যসভায় অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “আমি একটা বিষয় স্পষ্ট করতে চাই। ২৩ জুলাই, ঘটনার সাত দিন আগে কেরল সরকারকে (Wayanad landslides) একটি আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছিল কেন্দ্র। তারপরে ২৪ এবং ২৫ জুলাই, আমরা আবার তাদের সতর্ক করেছিলাম। ২৬ জুলাইয়ে পাঠানো সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল, ২০ সেন্টিমিটারের বেশি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং সেখানে ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে।”

    প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কমপক্ষে ৭ দিন আগে সর্তকতা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে ভারতে

    রাজ্যসভায় অমিত শাহ (Amit Shah) বুধবার আরও জানিয়েছেন যে, বিশ্বের মধ্যে মাত্র চারটি দেশই রয়েছে, যারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কমপক্ষে ৭ দিন আগে সেই সংক্রান্ত সতর্কতা দিতে পারে। আমাদের দেশ তাদের মধ্যে একটি। অমিত শাহ আরও জানিয়েছেন, বিপদের আভাস পাওয়া মাত্রই কেরলে আগে থেকেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর নয়টি দলকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের পাঠানো সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরায়নি কেরলের বামপন্থী সরকার। সেই কারণেই এই বিপর্যয় ঘটেছে বলে রাজ্যসভায় জানিয়েছেন অমিত শাহ।

    ১,২০০ উদ্ধারকর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন বলে জানা গিয়েছে

    অমিত শাহ (Amit Shah) বুধবার দাবি করেন, এনডিআরএফ দল আসার পরই কেরল সরকার সতর্ক হয়ে গেলে, ধসে এত মৃত্যু হত না। তবে, এখন ওয়েনাড় বিপর্যয় মোকাবিলায় কেরল সরকার এবং সেখানকার জনগণের পাশে দৃঢ়ভাবে রয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার, এমনই আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং একটি ডগ স্কোয়াডের নেতৃত্বে ধসে ক্ষতিগ্রস্ত চুরমালা এলাকায় উদ্ধার অভিযান চলছে। বর্তমানে, ভারতীয় সেনাবাহিনী, ডিএসসি সেন্টার, টেরিটোরিয়াল আর্মি, এনডিআরএফ, ভারতীয় নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনার অন্তত ১,২০০ উদ্ধারকর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share