Tag: Kolkata

Kolkata

  • Utkarsh Entrepreneurship: “উদ্যোক্তা হওয়ার মধ্যেই রয়েছে ভারতের গ্লোবাল লিডার হওয়ার যাত্রার চাবিকাঠি”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    Utkarsh Entrepreneurship: “উদ্যোক্তা হওয়ার মধ্যেই রয়েছে ভারতের গ্লোবাল লিডার হওয়ার যাত্রার চাবিকাঠি”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উদ্যোক্তা হওয়ার মধ্যেই রয়েছে ভারতের অর্থনৈতিক উত্থান এবং গ্লোবাল লিডার হওয়ার যাত্রার চাবিকাঠি।” কথাগুলি বললেন সঞ্জীব সান্যাল, ভারত সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। ১৩ সেপ্টেম্বর উৎকর্ষ এন্টারপ্রেনারশিপ কনক্লেভ ২০২৫-এর উদ্বোধনী সেশনে ভাষণ দেন তিনি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা (Swadeshi Path) হয়েছিল ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে। স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ, লঘু উদ্যোগ ভারতী এবং অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের সহযোগিতায় হয়েছে অনুষ্ঠান (Utkarsh Entrepreneurship)। স্বাবলম্বী ভারত অভিযানের অধীনে আয়োজন করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠানের।

    বেকার সমস্যার সমাধান (Utkarsh Entrepreneurship)

    পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ৪০০-এরও বেশি উদ্যোক্তাদের এই সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় সান্যাল ভারতীয় যুব সমাজের মধ্যে বেকার সমস্যার সমাধান এবং টেকসই জাতীয় উন্নয়ন চালানোর ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের ভূমিকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “যদি এমন কোনও হাতিয়ার থাকে যা দেশের অর্থনীতির উন্নতি করতে পারে এবং ভারতকে একটি বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, তবে তা হল উদ্যোক্তাবৃত্তি।” তিনি বলেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংস্থাগুলিকেও এই ইকোসিস্টেমকে আরও মজবুত করতে কাজ করে যেতে হবে।” স্বাবলম্বী ভারত অভিযান (দক্ষিণ বঙ্গ প্রদেশ)-এর সমন্বয়ক বটেশ্বর জানা উদ্যোগটির বিস্তারিত দিকটি তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ চার বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে উদ্যোগপ্রণোদনা বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সম্মেলনে ১৮০-এরও বেশি উদ্যোক্তাকে তাঁদের অবদান ও সাফল্যের জন্য সম্মানিত করা হয়।

    উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার নির্দেশ

    উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ডঃ ধনপত রাম আগরওয়াল (সারা ভারত সহ-সমন্বয়ক, স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ), প্রফেসর সুমন চক্রবর্তী (পরিচালক, আইআইটি খড়গপুর), ডঃ অরবিন্দ চৌবে (পরিচালক, এনআইটি দুর্গাপুর)। উপস্থিত ছিলেন এমএসএমই এবং এনএসআইসির প্রতিনিধিরা। তাঁরা উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং ভবিষ্যত বৃদ্ধির সুযোগ নির্ধারণ বিষয়ে নির্দেশ দেন। প্রযুক্তিগত অধিবেশনে এমএসএমই, এনএসআইসি, সিডবিআই, এসবিআই, পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাংক, ব্যাংক অফ মহারাষ্ট্র, সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এবং কানাড়া ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করে, যেগুলি উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শের মাধ্যমে সাহায্য করতে প্রস্তুত (Utkarsh Entrepreneurship)।

    মূল অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সতীশ কুমার (সমগ্র ভারত সংগঠক, স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ) বলেন, “বিশ্ব এখন ভারতকে ‘তৃতীয় পথ’ হিসেবে দেখছে, যা শান্তি ও টেকসইয়ের ভিত্তিতে নির্মিত। স্বদেশি জিনিসপত্র ব্যবহার ভারতের উত্থানের পথ প্রশস্ত করার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। যদি ভারতীয়রা দেশীয় পণ্য ব্যবহার শুরু করেন এবং বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনেন, তাহলে ভারত (Swadeshi Path) একটি গ্লোবাল অর্থনৈতিক মহাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, এটা দূর ভবিষ্যতের কথা নয়।” তিনি বলেন, “বিশ্বায়ন যখন শক্তি হারাচ্ছে, তখন আত্মনির্ভরতা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা নতুন বিশ্বব্যবস্থার সংজ্ঞা নির্ধারণ করবে (Utkarsh Entrepreneurship)।”

  • Weather Update: বৃষ্টি থেকে সাময়িক স্বস্তি, ফের বর্ষা কবে?

    Weather Update: বৃষ্টি থেকে সাময়িক স্বস্তি, ফের বর্ষা কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা কয়েকদিনের ভিজে আবহাওয়ার পর সাময়িকভাবে বৃষ্টি থেকে (Kolkata) বিরতি পেতে চলেছে কলকাতা। যদিও আগামী সপ্তাহ থেকে ফের বজ্রবিদ্যুৎ ও ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। সর্বশেষ আবহাওয়ার পূর্বাভাস (Weather Update) অনুযায়ী, শহরে রবিবার ৩১ আগস্ট এবং সোমবার ১ সেপ্টেম্বর হালকা বৃষ্টি হবে। এতে সাময়িক স্বস্তি পাবেন কলকাতাবাসী। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী দু’দিন আকাশ সাধারণত মেঘলা থাকবে এবং হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বড় কোনও সতর্ক বার্তা নেই। দিনের তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬–২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই ছোট্ট বিরতিটুকু অনেকটাই স্বস্তি দেবে শহরবাসীকে।

    বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি (Weather Update)

    তবে এই স্বস্তি বেশি দিন স্থায়ী হবে না। মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর থেকে ফের শুরু হবে বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবার ৩ সেপ্টেম্বরও আবহাওয়া থাকবে একই রকম। তবে এই দু’দিনের বৃষ্টি ও ঝড় আগের শান্ত আবহাওয়ার তুলনায় অনেক বেশি প্রভাব ফেলতে পারে বঙ্গ জীবনে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, শহর থাকবে মূলত মেঘাচ্ছন্ন। ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে সতর্কবার্তাগুলি কিছুটা হ্রাস পাবে। যদিও মাঝেমধ্যেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়ে গিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে কলকাতার বাসিন্দারা কিছুক্ষণের জন্য শরতের পরিষ্কার আকাশের মুখ দেখতে পারবেন। যদিও আবারও হাতের কাছে ছাতা রাখতে হবে। কারণ সেপ্টেম্বর মাসে ফের শুরু হবে বজ্রপাত ও ঝড়বৃষ্টি (Weather Update)।

    মঙ্গলে বৃষ্টি

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রবি ও সোমবার বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। মঙ্গলে বৃষ্টি হবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ায়। বুধবার বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়ই। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। রবি (Kolkata) ও সোমবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে। বাকি জেলাগুলিতেও রয়েছে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Update)।

  • Dengue in Kolkata: কলকাতায় বাড়ছে ডেঙ্গি, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১২৮

    Dengue in Kolkata: কলকাতায় বাড়ছে ডেঙ্গি, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১২৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণের (Dengue in Kolkata) সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কলকাতা (kolkata) মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের (KMC) এক আধিকারিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অগাস্ট মাসের শুরুতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫৫। তবে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮৩-এ, অর্থাৎ মাত্র ২১ দিনের মধ্যে ১২৮ জন নতুন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত মোট ৩৮৩ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে। শুধু গত সপ্তাহেই নতুন করে ৪০ জন ডেঙ্গিতে (Dengue in Kolkata) আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।

    সাতটি ওয়ার্ডকে ডেঙ্গি-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে

    ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা (KMC) সাতটি ওয়ার্ডকে ডেঙ্গি-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই তালিকায় রয়েছে বালিগঞ্জের সানি পার্ক ও কুইন্স পার্ক, লেক গার্ডেন, তপসিয়া, পিকনিক গার্ডেন, খিদিরপুর, যোধপুর পার্ক এবং ভবানীপুরের কিছু অংশ। পুরসভা সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাস থেকেই এই এলাকাগুলিকে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। তবে গত দুই সপ্তাহে নতুন করে কোনও এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় যুক্ত করা হয়নি। শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগকে নির্মাণস্থল ও সম্ভাব্য মশার প্রজননস্থানে (Dengue in Kolkata) বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সচেতনতা দলের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে জল জমা প্রতিরোধ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে।

    ডেঙ্গিতে (Dengue in Kolkata) মৃত্যু উদ্বেগ বাড়ছে

    ডেঙ্গির দাপটে ইতিমধ্যেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে শহরে। ৯ অগাস্ট, বালিগঞ্জ সানি পার্কের বাসিন্দা স্বরূপ মুখার্জি (৭৫) ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ১৪ অগাস্ট, বেহালা পর্ণশ্রীর গাবতলা লেনের বাসিন্দা অরিজিৎ দাস (৩৫) প্রাণ হারান। এর আগে, ২১ জুন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ১৩ বছরের কিশোরী সরোণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয় ডেঙ্গিতে।

    দ্রুত বাড়ছে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণও

    শুধু ডেঙ্গিই (Dengue in Kolkata) নয়, একইসঙ্গে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণও আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। কলকাতা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৬০৫। ১০ অগাস্ট পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১,১৫৬ — অর্থাৎ মাত্র ১৪ দিনের ব্যবধানে ৪৪৯ জন নতুনভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের মতে, এই বৃদ্ধির হার যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

  • Kolkata: মহিলাদের নিরাপত্তা নেই কলকাতায়, প্রকাশ পেল রিপোর্টে, নারী সুরক্ষায় এগিয়ে দেশের কোন কোন শহর?

    Kolkata: মহিলাদের নিরাপত্তা নেই কলকাতায়, প্রকাশ পেল রিপোর্টে, নারী সুরক্ষায় এগিয়ে দেশের কোন কোন শহর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় (Kolkata) নারী সুরক্ষার চিত্র ফের উদ্বেগজনক। ন্যাশনাল অ্যানুয়াল রিপোর্ট অ্যান্ড ইনডেক্স অন ওমেন্স সেফটি (NARI) ২০২৫ অনুযায়ী, দেশের মধ্যে সবচেয়ে অসুরক্ষিত শহরের তালিকায় উঠে এসেছে আমাদের রাজ্যের কলকাতার নাম। দিল্লি ও পাটনার অবস্থানও একই রকম খারাপ। অন্যদিকে, সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসেবে উঠে এসেছে মুম্বই, কোহিমা, বিশাখাপত্তনম ও ভুবনেশ্বর। এই সমীক্ষায় দেশের ৩১টি শহরের ১২,৭৭০ জন মহিলার মতামত নেওয়া হয়। রিপোর্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকার।

    দেশের মোট নারী সুরক্ষা সূচক এখন ৬৫ শতাংশ

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের (Kolkata) মোট নারী সুরক্ষা সূচক এখন ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ, এখনও অনেক নারী (Women) তাঁদের শহরে নিরাপদ বোধ করেন না। মুম্বই ও কোহিমা সুরক্ষিত শহরের তালিকায় থাকলেও আইজল, গ্যাংটক, ইটানগর এবং ভুবনেশ্বরকেও তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ধরা হয়েছে। অপরদিকে, রাঁচী, শ্রীনগর, ফরিদাবাদ এবং জয়পুরকেও নিচু স্থানে রাখা হয়েছে। এই রিপোর্ট পরিষ্কার করে দিয়েছে—শহর যত বড়, সুরক্ষা তত বেশি—এই ধারণা ভুল।

    সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মহিলাদের (Kolkata) মতামত অনুযায়ী:

    হেনস্থার অভিযোগ জানালে মাত্র ২৫ শতাংশ নারীই কার্যকর পদক্ষেপ পেয়েছেন।

    প্রতি তিনজনের মধ্যে দু’জন নারী হেনস্থার ঘটনা প্রকাশ করতেই দ্বিধা বোধ করেন, যার ফলে অনেক ঘটনা প্রশাসনের নজরে আসে না।

    ৬৯ শতাংশ নারী মনে করেন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে ৩০ শতাংশ এখনও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট।

    কী বলছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন

    বিশেষজ্ঞদের মতে (Kolkata), আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সমাজের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। কলকাতা ও দিল্লির মতো মহানগরীগুলিতে নারী সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে, অথচ উন্নতি কোথায় হচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। এই রিপোর্ট আবারও দেখিয়ে দিল—নারী সুরক্ষায় প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হলে প্রশাসনিক সদিচ্ছা, দ্রুত পদক্ষেপ এবং সামাজিক সচেতনতা—এই তিনটিই একসঙ্গে প্রয়োজন। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন বিজয়া রাহাতাকর এনিয়ে বলেন, ‘‘নারীদের কেবল রাস্তাঘাটে অপরাধ থেকে নয়, সাইবার অপরাধ, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং মানসিক হয়রানি (Women) থেকেও রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।’’

  • PM Modi: “যারা নকল কাগজপত্র নিয়ে এখানে আছে, তাদের দেশ থেকে যেতেই হবে,” সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “যারা নকল কাগজপত্র নিয়ে এখানে আছে, তাদের দেশ থেকে যেতেই হবে,” সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের যেতেই হবে। যারা নকল কাগজপত্র নিয়ে এখানে আছে, তাদের এখান থেকে যেতেই হবে।” শুক্রবার দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’ সভায় বলতে উঠে সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “এখান থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে হবে কি (TMC) না? কে তাড়াবে? বিজেপি তাড়াবে। তাই বিজেপিকে জেতান। বিজেপিকে ভোট দিন। অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা ছেড়ে পালাবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের কাছে সম্পদ কম। যুব সমাজকে উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে, নাগরিকদের সুবিধা দিতে হবে। অনুপ্রবেশকারীরা রোজগার কেড়ে নিচ্ছে। নাগরিকদের অধিকারে ভাগ বসাচ্ছে। মা-বোনেদের সম্মানে হাত দিচ্ছে।” এর পরেই তাঁর তোপ, “তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। ভোটব্যাংকের জন্য প্রশ্রয় দিচ্ছে। জমি কেলেঙ্কারি হচ্ছে। কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, আদিবাসীদের জমি দখল করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমি লালকেল্লার প্রাচীর থেকেও বলেছি, অনুপ্রবেশকারীদের যেতেই হবে। যারা নকল কাগজপত্র নিয়ে এখানে আছে, তাদের এখান থেকে যেতেই হবে। এই ভাবে তৃণমূল সরকারকেও এখান থেকে বিদায় নিতে হবে।”

    বিজেপি যা ভাবে, তা করে দেখায় (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি যা ভাবে, তা করে দেখায়। তার তাজা প্রমাণ অপারেশন সিঁদুর। বাংলা ভাষা, সংস্কৃতির উন্নয়নে বিজেপি নিয়োজিত।” তিনি বলেন, “বিজেপি সরকার সগর্বে বাংলা ভাষা আর বাংলা সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরাই বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছি।” তিনি বলেন, “বাংলাকে এমন একটা জায়গায় পৌঁছে দিতে চাই, যেখানে বাংলার একজন যুবককেও কাজের জন্য বাইরে যেতে না হয়। দেশের সব চেয়ে বড় চিন্তা অনুপ্রবেশকারীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে।” তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ সময়ের আগে চিন্তা করেন। অথচ তার পরেও অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের যুবকদের চাকরি ছিনিয়ে নিচ্ছে। পরিকাঠামো উন্নয়নেও বাধা দিচ্ছে। এই জন্যই ভারত সরকার এত বড় অভিযান শুরু করেছে। কিন্তু ইন্ডি জোট তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছে। অনুপ্রবেশকে সমর্থন করছে।” তিনি বলেন, “বাংলায় অনুপ্রবেশ ঘোর সামাজিক সংকট তৈরি করছে। এটা থামাতেই হবে। এজন্য আমি লালকেল্লা থেকে ডেমোগ্রাফিক মিশনের কথা ঘোষণা করেছি (TMC)।”

    প্রধানমন্ত্রীর মুখে দুর্নীতি বিরোধী বিলের প্রসঙ্গও

    এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মুখে শোনা গেল দুর্নীতি বিরোধী বিলের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “এবার লোকসভায় বিজেপি এক বড় দুর্নীতি-বিরোধী বিল নিয়ে এসেছে। বাংলাকেও সেই বিলের কথা বলব। আমাদের দেশে একজন সরকারি কর্মী, সে তিনি সাফাইকর্মীই হোন বা গাড়ির চালক, তাঁকে জেলে ঢোকানো হলে ৫০ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি না পেলে নিয়ম অনুযায়ী সাসপেন্ড হয়ে যান। কিন্তু মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী যদি জেলে যান, তাহলে তাঁদের জন্য কোনও আইন নেই!” পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ দেখেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে এমন একজন জেলে গিয়েছেন, যাঁর বাড়ি থেকে নোটের পাহাড় মিলেছে। তাও তিনি চেয়ার ছাড়তে রাজি ছিলেন না। তৃণমূলের আরও এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রেশন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ছিল (PM Modi)। তিনিও চেয়ার ছাড়তে রাজি ছিলেন না। এমন লোক যাঁরা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন, তাঁদের সরকারি পদে থাকার অধিকার আছে কি (TMC)?”

  • PM Modi: “যতদিন বাংলায় তৃণমূলের সরকার থাকবে, ততদিন উন্নয়ন থমকে থাকবে,” দমদমে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “যতদিন বাংলায় তৃণমূলের সরকার থাকবে, ততদিন উন্নয়ন থমকে থাকবে,” দমদমে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যতদিন বাংলায় তৃণমূলের সরকার থাকবে, ততদিন বাংলায় উন্নয়ন থমকে থাকবে। তৃণমূল গেলে তবেই আসল পরিবর্তন আসবে। টিএমসি যাবে, তবেই আসল পরিবর্তন আসবে।” শুক্রবার দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে (Kolkata) ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’ সভায় বলতে উঠে এই ভাষায়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আক্রমণ শানালেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে। এদিন বাংলায়ই ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “সবাই আমার প্রণাম নেবেন। ছোটরা ভালবাসা।” এরপরই তিনি দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দির ও কালীঘাট মন্দির-সহ একাধিক মন্দিরের কথা উল্লেখ করে ‘প্রণাম’ জানান। তিনি বলেন, “আমি এমন একটা সময়ে কলকাতায় এলাম, যখন দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কুমোরটুলিতে প্রতিমা গড়া চলছে। এর সঙ্গে যখন উন্নয়ন জুড়ে যায়, তখন খুশি দ্বিগুণ হয়ে যায়।”

    প্রধানমন্ত্রীর বাণ (PM Modi)

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী একের পর এক বাণ নিক্ষেপ করতে থাকেন রাজ্য সরকারকে। তিনি বলেন, “প্রথমে কংগ্রেস, তারপর বামেদের শাসন দেখেছে বাংলা। ১৫ বছর আগে আপনারা মা-মাটি-মানুষে বিশ্বাস করে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে আগের চেয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হল। ‘ক্রাইম’ এবং ‘কোরাপশন’ টিএমসি সরকারের পরিচিতি।” তিনি বলেন, “বাংলার জন্য যে টাকা আমরা সরাসরি রাজ্য সরকারকে পাঠাই, তার বেশিরভাগই লুট হয়ে যায়। আপনাদের জন্য খরচ হয় না। টিএমসি ক্যাডারের জন্য খরচ হয়। এই জন্য জনকল্যাণে পিছিয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আগে ত্রিপুরা, অসমের এই হাল ছিল। যবে থেকে বিজেপি সরকার এসেছে, তবে থেকে ওই দুই রাজ্যেই পাচ্ছে গরিব কল্যাণ যোজনার লাভ।”

    “বাঁচতে চাই, তাই বিজেপি চাই”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলার গৌরবোজ্জ্বল অতীত আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই এক সঙ্গে বলতে হবে তৃণমূলকে সরাও। বাংলাকে বাঁচাও।” তিনি বলেন, “পরিবর্তন চাই। এমন পরিবর্তন, যা মেয়েদের সুরক্ষা দেবে, যা দোকান আর ঘর জ্বালানো বন্ধ করবে, গরিবের অধিকার গরিবকে পাইয়ে দেবে, কৃষকের উন্নতি হবে।” এদিনের সভায় ছাব্বিশের ভোটের স্লোগানও বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “বাঁচতে চাই, তাই বিজেপি চাই!”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় বিজেপির সরকার বানান। আমরা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্নের বাংলা বানিয়ে দেব। বিকশিত বাংলা, মোদির গ্যারান্টি।” তিনি বলেন, “বাংলার উন্নয়নের জন্য বিজেপির কাছে রোডম্যাপ আছে। কিন্তু তৃণমূলের নেই। তৃণমূল উন্নয়নের শত্রু। তার সাক্ষী এই দমদমের মানুষও।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্মার্ট সিটি মিশনে এখানকার অনেক উন্নতি হতে পারত। কিন্তু তৃণমূলের সরকার সেই প্রকল্প যুক্ত হল না। তৃণমূলের কাজ হল, যে কোনও উপায়ে পশ্চিমবঙ্গে (Kolkata) কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রূপায়ণ আটকানো।” প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আবেদন, “আপনারা এখানেও একবার বিজেপিকে সুযোগ দিয়ে দেখুন।”

  • BJP: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায় ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ বিজেপির

    BJP: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায় ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায়  ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ করতে রাজ্য বিজেপির (BJP) মহিলা মোর্চাকে বললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল (Sunil Bansal)। অবশ্য ঘোষণা নয়, এই কর্মসূচির কথা প্রস্তাব আকারে পেশ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্য নেতাদের তা বিবেচনাও করতে বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বনসল।

    ‘নারী শক্তি সম্মেলন’ (BJP)

    সোমবার ন্যাশনাল লাইব্রেরির প্রেক্ষাগৃহে আয়োজন করা হয়েছিল ‘নারী শক্তি সম্মেলনে’র। রাজ্য মহিলা মোর্চা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বনশল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, মাফুজা খাতুন এবং মীনাদেবী পুরোহিত। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন হতে আর মাস ছয়েক (পুজোর মাস এবং অন্যান্য উৎসব অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে) দেরি বলে স্মরণ করিয়ে দেন বনশল। এই কয়েক মাসে মহিলা মোর্চাকে কোন কোন জনসংযোগ কর্মসূচি হাতে নিতে হবে, তা উল্লেখ করার পর বনশল বলেন, “আমি চাই ব্রিগেডে যেমন জনসভা হয়, সেই রকম ভাবে কলকাতায় এক লাখ মহিলার জমায়েত করা হোক। কারণ এই মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলেই মহিলাদের ওপরে অত্যাচার হচ্ছে সব চেয়ে বেশি। তাই মহিলারাই পথে নেমে মুখ্যমন্ত্রীকে সরানোর ডাক দেবেন।” তিনি বলেন, “এখানে শুভেন্দুদা রয়েছেন। তিনি এবং অন্য নেতারা যদি আমার সঙ্গে সহমত হন, তাহলে আমার মনে হয় একটা কর্মসূচির ডাক দেওয়া যেতেই পারে। জনসভা নয়। সারা বাংলা থেকে এক লাখ মহিলা এসে নামবেন কলকাতার রাস্তায় আর মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দেবেন (BJP)।”

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, “যদি আমরা এক লাখ মহিলাকে নিয়ে এই মহিলা ব্রিগেড করতে পারি, তাহলে সেটা হবে ঐতিহাসিক ব্রিগেড। আপনারা যাঁরা আজ এখানে রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকে ২০০ জন করে মহিলাকে আনতে পারলেই সংখ্যাটা এক লাখ ছাপিয়ে যাবে। আজ থেকেই খাতায় নাম লিখতে শুরু করুন যে, আমি এই ২০০ জনকে আনব।” মহিলা মোর্চার এক পদাধিকারী বলেন, “ব্রিগেডেই হোক বা কলকাতার রাজপথে, লক্ষাধিক মহিলাকে নিয়ে কলকাতার বুকে এই কর্মসূচি রূপায়িত (Sunil Bansal) হলে, তাহলে তা সত্যিই ইতিহাস হয়ে থাকবে (BJP)।”

  • Kolkata Matrimony Fraud: ম্যাট্রিমনি সাইটে বাংলাদেশি ফাঁদ! হোটেলে ডেকে কলকাতার যুবকের সব কিছু লুট তরুণীর

    Kolkata Matrimony Fraud: ম্যাট্রিমনি সাইটে বাংলাদেশি ফাঁদ! হোটেলে ডেকে কলকাতার যুবকের সব কিছু লুট তরুণীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও ভিনরাজ্যে বাংলাভাষী মানুষের হেনস্থা নিয়ে তরজার মধ্যেই এবার ম্য়াট্রিমনি সাইটে (Kolkata Matrimony Fraud) ফাঁদ পেতে ঠকানোর অভিযোগ উঠল এক তরুণীর বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণীর কাজ-কারবার বাংলাদেশের এক যুবকের সঙ্গে হাত মিলিয়েই। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ম্যাট্রিমনি সাইটে নিজের ছবি আপলোড করেন এক যুবক। আলাপ হয় এক তরুণীর সঙ্গে। কথাবার্তা বলার পর মুখোমুখি দেখা করার পালা। এয়ারপোর্ট আড়াই নম্বর গেট এলাকার একটি হোটেলে দেখা করার পরিকল্পনা করেন দু’জনে। ওই হোটেলে গিয়ে বিপত্তি। সর্বস্ব খুইয়ে পুলিশের দ্বারস্থ যুবক। প্রতারণার অভিযোগে ওই তরুণী এবং তার সঙ্গী বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।

    ফাঁদ পেতে গ্রেফতার তরুণী

    গত ২৭ জুলাই দায়ের হওয়া এক জালিয়াতির মামলার সূত্র ধরে ফের এপারে ঘাঁটি গেড়ে থাকা এক বাংলাদেশি নাগরিকের সন্ধান পেল পুলিশ। অভিযোগ ছিল, ম্যাট্রিমনি সাইট-সূত্রে আলাপ হওয়া ওই তরুণী কফিতে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে দেন ওই যুবককে। তারপর, তন্দ্রাচ্ছন্ন করে যুবকের সর্বস্ব লুট করে চম্পট দেয়। কয়েক ঘণ্টা পর ঘুম ভাঙে যুবকের। দেখেন তাঁর সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা, ব্যাগ কিছুই নেই। তরুণীও উধাও। এরপর হোটেল কর্তৃপক্ষের সাহায্যে এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যুবক। তদন্তে নেমে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। যুবকের থেকে ফোন নম্বর নিয়ে তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন পুলিশ আধিকারিকরা। নিজেদের পাত্র হিসাবে পরিচয় দেন তাঁরা। এরপর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৭ জুলাই রাতেই এয়ারপোর্ট লাগোয়া হোটেল থেকে অভিযুক্ত তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়।

    চুরির মাল চলে যেত বাংলাদেশে

    পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত তরুণী জেরায় জানান, তিনি এক যুবকের কাছে চুরির মালপত্তর বিক্রি করেন। এরপর দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে তরুণীর চুরির পার্টনার ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে, চোরাই মালের রিসিভার ওই যুবক আদতে বাংলাদেশি। তার কাছ থেকে বাংলাদেশের (Bangladeshi Matrimony Fraud) পাসপোর্ট, ভিসা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তরুণীর দাবি, লুটের জিনিসপত্র তরুণী ওই বাংলাদেশি যুবকের হাতে তুলে দিত। তারপর যুবক সেগুলি নিয়ে বাংলাদেশি চলে যেত। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কারও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের জড়িত থাকার সম্ভাবনা দেখছেন তদন্তকারীরা।

  • BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ঠিক এই প্রশ্ন তুলেই সিবিআইকে (CBI) ধমক দিল আদালত। তথ্যপ্রমাণ জোগাড় হয়ে গিয়েছে দু’বছর আগেই (BJP leaders Death Case)। তার পরেও কেন অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হল চার বছর পর? প্রশ্ন আদালতের।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন (BJP leaders Death Case)

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছিলেন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। সেই মামলায় মাত্র দু’দিন আগেই অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে ১৮ জনের। তার মধ্যে আবার তিনজনই হলেন তৃণমূলের নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং কলকাতা পুরসভার দুই কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং পাপিয়া ঘোষ। শুক্রবার কলকাতার বিচার ভবন সেই মামলায় ১৮ জনকেই সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পাঠাতে বলা হয়েছে চার্জশিটের প্রতিলিপিও। আদালত এদিন জানিয়ে দেয়, কেবল ওই ১৮ জনই নন, মূল চার্জশিটে যে ২০ জনের নাম রয়েছে, তাঁদেরও সমন পাঠাতে হবে।

    সিবিআইকে ধমক আদালতের

    বিচারকের এই নির্দেশের পর সিবিআইয়ের তরফে আদালতকে জানানো হয়, সকলকে চার্জশিট পাঠাতে তাদের মাসখানেক সময় লাগবে। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক। বলেন, “চার বছর পর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিচ্ছেন। এটা কী ম্যাটার অফ জোক? চার বছর ধরে কী করছিলেন? চার্জশিটে তো দেখলাম তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে দু’বছর আগেই।” তিনি বলেন, “তদন্তের অধিকার দেওয়া হয়েছে মানে সেটা আপনাদের খামখেয়ালির ওপর নির্ভর করতে পারে না।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ জুলাই। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, ওই দিনই অভিযুক্তদের আদালতে হাজির থাকতে বলা হবে (BJP leaders Death Case)।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ভোট পরবর্তী হিংসা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিজয়ী দল তৃণমূলকে। ওই সময়ই ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিজিৎ খুন হন বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ২ মে ফল ঘোষণার দিনই অভিজিৎকে পিটিয়ে, গলায় কেবল টিভির তার জড়িয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত অরুণ দে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন গত সপ্তাহে (BJP leaders Death Case)।

  • Kasba Gangrape: কসবাকাণ্ডে গড়িয়াহাটে বিক্ষোভ বিজেপির, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

    Kasba Gangrape: কসবাকাণ্ডে গড়িয়াহাটে বিক্ষোভ বিজেপির, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবার (Kasba Gangrape) সাউথ ক্যালকাটা ল-কলেজে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার পথে নামে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি (Bjp) এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল গড়িয়াহাট পর্যন্ত পৌঁছতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

    শান্তিপূর্ণভাবে চলতে থাকা মিছিলে হঠাৎই পুলিশ হস্তক্ষেপ করে, অভিযোগ বিজেপির

    গেরুয়া শিবিরের (Bjp) দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে চলতে থাকা (Kasba Gangrape) মিছিলে হঠাৎই পুলিশ হস্তক্ষেপ করে, যার জেরে ধাক্কাধাক্কি এবং হট্টগোল শুরু হয়। বিজেপির অভিযোগ, কোনও উসকানি ছাড়াই পুলিশ কর্মীদের আটকে দেয় এবং কয়েকজনকে প্রিজন ভ্যানে তুলে আটক করা হয়। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও আটক করা হয় বলে দলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

    আন্দোলন চলবে হুঁশিয়ারি বিজেপির (Kasba Gangrape)

    উল্লেখ্য, কসবার ওই কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, মূল অভিযুক্ত মনোজিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত এবং কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসেবেও কাজ করত সে। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই রাজনৈতিকভাবে ব্যাকফুটে তৃণমূল। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, শাসকদলের আশ্রয়ে রাজ্যে অপরাধ বাড়ছে এবং প্রশাসন তা ধামাচাপা দিতে মরিয়া। দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, যতদিন না অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, ততদিন রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন কটাক্ষ করে বলেন, “তৃণমূলের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই পুলিশ বাধা দেয়, কারণ তারা শাসকদলের হয়ে কাজ করছে (Kasba Gangrape)।”

    কসবা-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবারও রাস্তায় নামে বিজেপি

    কসবা-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবারও রাস্তায় নামে বিজেপি। কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। তারা পথ অবরোধও করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সত্ত্বেও পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে। এদিকে এবিভিপি (অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ) দাবি করেছে, ধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি দক্ষিণ কলকাতা টিএমসিপি-র সম্পাদক পদে রয়েছেন। তাদের আরও দাবি, গ্রেফতার হওয়া অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গেও টিএমসিপি-র ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

LinkedIn
Share