Tag: kolkata police

kolkata police

  • TET Agitation: “এই সরকারকে একটাও ভোট না”, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন চাকরিপ্রার্থীরা

    TET Agitation: “এই সরকারকে একটাও ভোট না”, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন চাকরিপ্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল করুণাময়ী। অনশন আন্দোলনের (TET Agitation) মাঝেই চ্যাংদোলা করে টেনে হিঁচড়ে করুণাময়ীতে আন্দোলনকারীদের তুলে দিল পুলিশ। ৬১ ঘণ্টার অনশন ভেঙে দিল ১৫ মিনিটেই! প্রতিবাদে সরব আন্দোলনকারীরা। তিনটি বাসে ঠাসাঠাসি করে তোলা হল চাকরিপ্রার্থীদের। আটক করে নিয়ে যাওয়া হল থানায়। প্রায় ছয় ঘণ্টার বাক্য বিনিময়। তারপর অবশেষে জোর করে অনশন আন্দোলন ভেঙে দিল পুলিশ। পাঁজাকোলা করে যখন পুলিশ ভ্যানে তোলা হচ্ছিল চাকরিপ্রার্থীদের। আর সেই সময়ই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন আন্দোলনকারীরা।

    আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, “মেয়েদেরকে মেরেছে, এটা অমানবিক আজ থেকে আমরা প্রতিজ্ঞা করলাম, এই সরকারকে আর একটাও ভোট দেব না।” অন্য আরেকজন অভিযোগ করেন, “পুলিশ নাকে ঘুষি মেরেছে।” অপরজন বলেন, “এই সরকারের সব কাজ রাতের অন্ধকারে হয়। রাত্রে প্রার্থীদের তোলা হয়। রাত্রে রেজাল্ট বের করা হয়। রাত্রে নিয়োগ হয়।” আন্দোলনকারীদের মধ্যে তিনজন নিখোঁজ বলেও অভিযোগ করা হয়েছে এদিন। এক মহিলা টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী বলেন, “অচিন্ত্য ধারা, অচিন্ত্য সামন্ত, অর্ণব ঘোষ, এই তিন জনের কোনও ট্রেস আমরা পাচ্ছি না। এই তিন জনের গায়ে যদি একটাও আঁচড় লাগে, কলকাতার রাজপথে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এখানে চাকরিপ্রার্থীদের লাশ দেখবেন।” এক আন্দোলনকারীর আক্ষেপ, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী একজন মহিলা৷ তাঁর নির্দেশ ছাড়া এসব হয়নি৷ মুখ্যমন্ত্রী এতটা নির্মম হবেন, ভাবতে পারিনি৷”  আন্দোলনকারীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধীরা।

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, জোর করে টেট উত্তীর্ণদের তুলল পুলিশ

    ভোররাতে আটক চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ বাসে করে এনে শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশনে ছেড়ে দেয়। তবে এত কিছুর পরেও আজ ভোরেই ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের একাংশ শিয়ালদা স্টেশন চত্বর থেকে ফিরে যান ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে তাঁদের অবস্থান মঞ্চে। আন্দোলনকারী মহিলাদের নিরাপত্তা প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পুলিশ কীভাবে মহিলা আন্দোলনকারীদের ভোররাতে শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন চত্বরে ছেড়ে দিল? তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে? এই প্রশ্নও তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। 

    এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অবস্থানকে নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে তুলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?”

     


    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইটে লেখেন, “হিটলারের বাহিনীর মতো মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পুলিশ নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে আন্দোলনরত ২০১৪-র টেট  উত্তীর্ণদের তুলে দিয়েছে। যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের কাছে আইন মেনেই অবস্থান করছিলেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Mominpur clash: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    Mominpur clash: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর হিংসায় (Mominpur clash) ভোট বাক্সের রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বিজেপি (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইট করে এ নিয়ে খোঁচা দিয়েছন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এত বড় ঘটনা যেখানে তিন জন আইপিএস অফিসার আক্রান্ত, আহত একাধিক পুলিশ কর্মী সেখানে কেন চুপ রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ভাইপো?  ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতে তাঁরা কোনও গোষ্ঠীকে আড়াল করছেন? 

    প্রসঙ্গত, গত ১৩ই সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন এক পুলিশকর্তা। সেই সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর এসএসকেএম চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন যে পুলিশ অনেক সংযত থেকেছে। তিনি থাকলে বিজেপি কর্মীদের মাথায় গুলি করতেন। তাহলে এখন প্রকৃত দোষীদের মাথায় গুলি করার কথা বলছেন না কেন অভিষেক ? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এমনকি ওই ঘটনায় আক্রান্ত  সিএমআরআই-তে চিকিৎসাধীন অফিসারদের সঙ্গে দেখাও করতে যাননি কেউ। তবে কী নিজের গা বাঁচিয়ে চলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? 

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে রাজ্যের পাঠানো রিপোর্ট বিশ্লেষণের পর মোমিনপুর হিংসায় NIA-তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।  শুক্রবার রাতে ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। মোমিনপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নেতৃত্বে রেখে সিট গঠন করে। কারা এই হামলায় যুক্ত তা খুঁজে বার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলে আদালত। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এই ঘটনার রিপোর্ট নিয়ম মেনে কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে তারা। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মোমিনপুরে NIA তদন্ত প্রয়োজন কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, NIA তদন্ত হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mominpur Ekbalpur: মোমিনপুর-একবালপুর কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

    Mominpur Ekbalpur: মোমিনপুর-একবালপুর কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর ও একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ সংক্রান্ত মামলায় (Ekbalpur Mominpur Case) বেলা ২টোর মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দল। এবারে বুধবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতিও। এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনায় এনআইএ-কে (NIA) কেন জানানো হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

    মোমিনপুর-একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) ঘটনার জেরে গতকাল আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। এর পাশাপাশি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়। ফলে এইসব মামলার শুনানি হয় আজ। তখনই মোমিনপুর সংঘর্ষ সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। প্রথমেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এদিন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে কটাক্ষ করে বলেন, এলাকা থেকে যে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, রাজ্য পুলিশ সে ব্যাপারে কী তদন্ত করেছে বা অন্যান্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা জানাতে হবে আদালতকে। এর পাশাপাশি প্রশ্ন করা হয়েছে, বোমাবাজি হওয়া সত্ত্বেও কেন এখনও পর্যন্ত এনআইএ-র ধারায় মামলা রুজু করা হয়নি? ফলে এইসব প্রশ্ন করে পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের থেকে জবাব চায় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আজ বেলা ২টোর সময়।

    এই ঘটনার জল (Mominpur Ekbalpur) আদালত পর্যন্ত গড়ালে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। এই রিপোর্টে জানাতে হবে, জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী চিন্তাভাবনা করেছে রাজ্য এবং সেই এলাকার শান্তি, সম্প্রীতি ফেরাতে কী করা হচ্ছে? এখানেই শেষ নয়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে তলবেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত। নির্দেশ না মানলে ডাকা হতে পারে তাঁকেও, এমনই তথ্য জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    প্রসঙ্গত, মোমিনপুর-একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) ঘটনায় জোড়া মামলা দায়ের করা হয়। এক হলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দও ও অপরজন নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালতে আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত বলেন, “৮ তারিখ থেকে ঝামেলা শুরু হয়েছে। বস্তিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ঘটনার দিন গিয়েছিলাম আক্রান্ত এলাকায়। ময়ুরভঞ্জ এলাকায় যে বস্তি রয়েছে, সেখানে কোনও পুলিশের নিরাপত্তা ছিল না। শুধুমাত্র কয়েকজন লাঠি হাতে পুলিশ সেখানে ছিলেন।” অপর পিটিশনার নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, “কার্নিভালের জন্য রেড রোডে বিরাট আয়োজন করা হল কার্নিভালের। তারই পাশে এই পরিস্থিতি, তবুও পুলিশ কিছু করতে পারল না?”

    এছাড়াও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনায় এপর্যন্ত ৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আরও ৩৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নোটিস পাঠিয়ে ৪১ জনকে সতর্ক করা হয়েছে। অশান্তির ছবি ছড়ানোর জন্য ৮০টি ভিন্ন ভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারাও। ফলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে বলে দাবি করেছে প্রশাসন।

  • KK Death: কেকে-র মৃত্যুর পর সতর্কতা! ৯ দফা নির্দেশিকা পুলিশের, কী আছে তাতে?

    KK Death: কেকে-র মৃত্যুর পর সতর্কতা! ৯ দফা নির্দেশিকা পুলিশের, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেকে-র মৃত্যুর (KK Death) ঘটনায় কাঠগড়ায় আয়োজক-উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে হল ও অডিটোরিয়াম কর্তৃপক্ষ।  এমনকি, বাদ যায়নি পুলিশও। সকলের বিরুদ্ধেই উঠেছে চরম উদাসীনতা, অপেশাদারিত্ব, অপরিণামদর্শিতার অভিযোগ। সমাজ থেকে শুরু করে সমাজ-মাধ্যম— সর্বত্র কেকে-র (KK) মৃত্যু নিয়ে চলছে দোষারোপের পালা। চলছে আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণ।

    পুলিশের বিরুদ্ধেও উঠেছে অভিযোগের আঙুল। যে হল-এ সদ্যপ্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর অনুষ্ঠান ছিল, সেই নজরুল মঞ্চের (Nazrul Manch) ব্যবস্থাপনায় একের পর এক খামতির খতিয়ান প্রকাশ্যে আসতে শুরু হওয়ায় প্রশ্নের মুখে আরক্ষা বাহিনীর পারদর্শিতা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কী করে, পুলিশের তরফে এত বড় খামতি থেকে গেল? কী করেই বা ২৪০০ আসন বিশিষ্ট হলে ৭০০০ মানুষ ঢুকে পড়ল? 

     

    প্রশ্ন উঠছে, কেন অনুষ্ঠানে এক ঘণ্টার জন্য এসি বন্ধ ছিল? কেন কেকে বারবার অনুরোধ করা সত্বেও মঞ্চে গরম স্পটলাইট নেভানো হয়নি? কেন ফায়ার এক্সটিংগুইশার স্প্রে করা হচ্ছিল? একের পর এক গাফিলতি ও অবহেলার অভিযোগ ওঠায় গোটা ঘটনায় পুলিশ বাহিনীকে যে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। 

    এখন কেকে-র মৃত্যুর পর ঘুম ভাঙল পুলিশের। সারা দেশ তোলপাড় হওয়ার পর শেষে নড়েচড়ে বসল পুলিশ। কলকাতায় কনসার্ট করা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করল লালবাজার! অবশেষে জারি করা হয়েছে ৯ দফা নির্দেশিকা। আয়োজকদের একটি আন্ডারটেকিং নিতে হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, অনুষ্ঠান সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আগে জানাতে হবে স্থানীয় থানাকে। আসন সংখ্যার বেশি পাস ইস্যু করা যাবে না। আয়োজকদের লিখিতভাবে জানাতে হবে যে, দর্শক সংখ্যা হলের ক্যাপাসিটির ঊর্ধ্বে হবে না।

     

    এছাড়া, ৯ দফার নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে— পাস ছাড়া হলে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না। একটি পাসে একজনই প্রবেশ করতে পারবেন। অনুষ্ঠানের সময় প্রবেশ ও প্রস্থানের প্রত্যেকটি পয়েন্টে যথেষ্ট পরিমাণ নিরাপত্তারক্ষী/স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। এছাড়া, অনুষ্ঠানের ভেন্যুতে অ্যাম্বুল্যান্স, চিকিৎসকের ব্যবস্থা রাখতে হবে। পাশাপাশি, কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে নিকটবর্তী কোনও হাসপাতালে আইসিইউ সমেত আগাম ব্যবস্থা রাখতে হবে। 

  • Coal Smuggling Case: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Coal Smuggling Case: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতায় (Kolkata) জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইডি (ED) আধিকারিকদের সবরকম সুরক্ষা দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে (Kolkata Police)। রাজ্য সরকার (Mamata government) ইডি  আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্য। কয়লা পাচারকাণ্ডে (coal smuggling case) তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও তাঁর স্ত্রী রুজিরার (Rujira) আবেদনের ভিত্তিতে জানালো সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু, কখন কোথায় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেক-রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তা ৭২-ঘন্টা আগে রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। 

    এর আগে বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট এবং সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ ইডির কাছে জানতে চায়, তৃণমূল সাংসদের দাবি মেনে কলকাতায় অভিষেক ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অসুবিধা কিসের? তখন ইডির পক্ষ থেকে নারদকাণ্ডে (narada case) সিবিআইয়ের (CBI) তৃণমূল নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।

    ২০২১-এর ১৮ মে সিবিআইয়ের রিজিওনাল অফিস নিজাম প্যালেস (nizam palace) ঘেরাও করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। যেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন। দাবি জানান, মন্ত্রীদের গ্রেফতার করার আগে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয় অভিষেক ও রুজিরা “রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী”। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কলকাতায় যাওয়া ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। রাজ্য সরকার তাঁর দায়িত্ব এড়াতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ইডি আধিকারিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। 

    কয়লা পাচারকাণ্ডে আর্থিক তছরুপ মামলায় তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate)। প্রতিবারই নানা অজুহাতে এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা।

    শেষপর্যন্ত এবছর মার্চে দিল্লিতেই ইডির মুখোমুখি হন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক। কিন্তু সেবারও জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান, অভিষেক-পত্নী রুজিরা। গত ১১ মার্চ দিল্লি হাইকোর্টে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেন অভিষেক ও রুজিরা। সাংসদের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। ফলে, ২১ ও ২২ মার্চ ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে, সেবারও জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান রুজিরা। এরপরই দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রী। তারই শুনানি হল বৃহস্পতিবার। তৃণমূল সাংসদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিব্বাল।                                                                                                                                                                                                                                            

LinkedIn
Share