Tag: LAC

LAC

  • India: চিন সীমান্তের গা ঘেঁষে ‘বিকল্প পথ’ নির্মাণ করছে ভারত, দু’দিনের যাত্রা করা যাবে ১২ ঘণ্টায়

    India: চিন সীমান্তের গা ঘেঁষে ‘বিকল্প পথ’ নির্মাণ করছে ভারত, দু’দিনের যাত্রা করা যাবে ১২ ঘণ্টায়

    মাধ্যম নিজ ডেস্ক: চিন সীমান্তের (China) গা ঘেঁষে সড়ক নির্মাণ করছে ভারত (India)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬,০০০ ফুট উচ্চতায় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটি, যার নাম দৌলত বেগ ওল্ডি (সংক্ষেপে ডিবিও)। লাদাখে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অস্ত্র, বিভিন্ন যুদ্ধ সরঞ্জাম ছাড়াও সেনাবাহিনীর অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যেতে অসুবিধা হয়। এই আবহে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর, অর্থাৎ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল-এর অদূরেই তৈরি হচ্ছে এই রাস্তা।

    লেহ থেকে ডিবিও-র দূরত্ব ৭৯ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে এই রাস্তা

    এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিও সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের (India)। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, লাদাখে অবস্থিত গাপসান ক্যাম্প থেকে এই রাস্তাটি সরাসরি ডিবিও পর্যন্ত যাবে। এই রাস্তাটি ১৩০ কিলোমিটার লম্বা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন এই রাস্তা তৈরি করছে এবং তারা জানিয়েছে, নতুন এই রাস্তাটি লেহ থেকে ডিবিও-র দূরত্ব ৭৯ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে।

    সহজেই পৌঁছানো যাবে রসদ (China)

    এতদিন পর্যন্ত এই দুর্গম পথে যাতায়াত করতে সময় লাগত প্রায় দুই দিন। পাহাড়ি ভূখণ্ড, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর জন্য দৌলত বেগ ওল্ডি (ডিবিও)-তে পৌঁছানো ছিল যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ ও কষ্টকর। কিন্তু এই নতুন বিকল্প সড়ক তৈরির ফলে সেই দীর্ঘ যাত্রা অনেকটাই সহজ এবং দ্রুততর হয়ে উঠবে। এই পথ ব্যবহার করে এখন মাত্র ১১ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ডিবিও-তে পৌঁছানো যাবে। এই রাস্তা নির্মাণ শুধু সময় সাশ্রয়েই সাহায্য করবে না, ভারত যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর নজরদারির ক্ষমতা বাড়াতে পারবে—তাও নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি কূটনৈতিক দিক থেকেও এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। সীমান্তবর্তী এই স্পর্শকাতর এলাকায় প্রয়োজনে দ্রুত রসদ, অস্ত্র, গোলাবারুদ, সেনা সহায়তা এবং অন্যান্য লজিস্টিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যাবে। চিনের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে, এই রাস্তা কেবল প্রতিরক্ষার দিক থেকেই নয়, বরং কূটনৈতিক ও কৌশলগত দৃষ্টিতেও এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে (India)।

    নয়টি সেতুকে সংস্কার করা হয়েছে, বহন করবে আরও বেশি ভার

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (India) সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারী যানবাহন ও কামান চলাচলের সুবিধার্থে এই নয়া রাস্তায় নয়টি সেতুকে সংস্কার করা হয়েছে। যার ফলে, এতদিন যা ৪০ টন ভার বহন করতে পারত, তা এখন ৭০ টন পর্যন্ত বহন করতে পারবে। সিয়াচেন সেনা ক্যাম্পের কাছে নুব্রা উপত্যকার শাসুমা থেকে এই রাস্তাটি শুরু হয়েছে এবং লেহকে সম্পূর্ণভাবে অতিক্রম না করেই ডিবিও-র সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।

    প্রকল্পের বাস্তবায়নে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, চরম আবহাওয়াতেও এই রাস্তা কার্যকর থাকবে। জানা গিয়েছে, ১৭ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত এই অঞ্চলে ভারী তুষারপাত হয় এবং অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে, যার ফলে বছরে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মাস কাজ চালানো সম্ভব হয়। নির্মাণ শ্রমিকদের সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৈরি করা হয়েছে ‘অক্সিজেন ক্যাফে’।

    দেশের সীমান্তে রাস্তা তৈরি হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে

    এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, সারা দেশে (India) এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়ক নির্মাণের কাজ কখনো একভাবে হয় না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে রাস্তা তৈরির দায়িত্বে থাকে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রক, কিন্তু সীমান্ত এলাকায় সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের, আর সেই কাজ তদারকি করে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (BRO)। লাদাখের এই নতুন সড়ক নির্মাণের দায়িত্বও তাদের হাতেই।

    আগামী বছরেই তৈরি হয়ে যাবে এই রাস্তা

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুন মাসে চিনের সঙ্গে গালওয়ান সংঘর্ষ ঘটে। সেই আবহেই এই নির্মাণকাজ শুরু করে BRO। এই রাস্তা একবার সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বহু সুবিধা মিলবে, যা দেশের প্রতিরক্ষা, বিশেষত লাদাখের নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন প্রশ্ন, কবে সম্পূর্ণ হবে এই নতুন সড়ক? প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে বিকল্প পথ তৈরির কাজ ধাপে ধাপে শুরু করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। তবে এই কাজ মোটেও সহজ ছিল না, আর তার বড় কারণ আবহাওয়া। তবুও সমস্ত বাধা অতিক্রম করে এই রাস্তা এখন অনেকটাই তৈরি হয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগামী বছরেই বিকল্প এই পথ সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবে।

  • Nyoma Airbase: ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস! এলএসি-র গা ঘেঁষে তৈরি ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি, চালু অক্টোবরেই

    Nyoma Airbase: ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস! এলএসি-র গা ঘেঁষে তৈরি ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি, চালু অক্টোবরেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের চোখরাঙানির সমুচিত জবাব দিতে বিরাট পদক্ষেপ ভারতের। লাদাখের দুর্গম উচ্চতায় চিন-সীমান্ত (India China Border) ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে দেশের বায়ুসেনার সর্বোচ্চ নিয়োমা বিমানঘাঁটি (Nyoma Airbase)। নির্মাণ-পর্ব প্রায় সম্পন্ন। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আগামী অক্টোবরেই এই ‘এয়ারফিল্ড’ অপারেশনাল হতে চলেছে।

    ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল, তেজস

    পূর্ব লাদাখের মুধ-নিয়োমায় (Mudh-Nyoma Airfield) ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি তৈরি হয়েছে। প্রায় ১৩,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, পূর্ব লাগাখের মুধ-নিয়োমা হতে চলেছে এলএসি-র নিকটতম অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড (Advanced Landing Ground)। এলএসি-র কাছে এই ঘাঁটিতে নিয়মিত ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল বা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। দেশের নিরাপত্তা তো বটেই আপতকালীন পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এই বায়ুসেনা ঘাঁটি। যুদ্ধের সময়ে এর কৌশলগত অবস্থান বিমানবাহিনীকে (Indian Air Force) বাড়তি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, লাদাখের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষ বাধলে দ্রুত ফৌজকে রণাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া বা সৈনিকদের জন্য হাতিয়ার ও গোলা-বারুদের জোগান ঠিক রাখতেও এই ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।

    গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে নিয়োমা

    চিন সীমান্তের কাছে, লাদাখেই আছে বায়ুসেনার আরও একটি এয়ারস্ট্রিপ। সিয়াচেন হিমবাহের কাছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬,৬১৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত দৌলত বেগ ওলডি-ই হচ্ছে ভারতের সর্বোচ্চ এয়ারস্ট্রিপ। ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধের সময়ে তা তৈরি হয়েছিল। তার পরে দীর্ঘদিন তা ব্যবহার করা হয়নি। ২০০৮ সালে তা নতুন করে চালু করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এখান থেকে এএন-৩২, সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস বিমান উড়তে পারে। কিন্তু, এই এয়ারস্ট্রিপ ঘিরে কোনও বিমানঘাঁটি তৈরি হয়নি। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দৌলত বেগের দূরত্ব বেশি হওয়ায় নতুন এয়ারফিল্ড নির্মাণ অবশ্যাম্ভাবী হয়ে পড়ে। লাদাখের এই নিয়োমা অঞ্চল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে হওয়ায় কারণে কৌশলগতভাবে এই বিমান ঘাঁটি সেনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত

    ২০২১ সালে মুধ-নিয়োমা প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয় ২১৪ কোটি টাকা। এরপরই জোরকদমে শুরু হয়ে যায় কাজ। ইতিমধ্যেই ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রানওয়ে ইতিমধ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। স্থলসেনার সেখানে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। এত দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও বায়ু সেনাঘাঁটি না থাকায় সে ভাবে নজর রাখতে পারছিল না বায়ুসেনা। এ বার স্থলবাহিনীর পাশাপাশি চিন সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি করতে পারবে তারাও। ভারতের উত্তর সীমান্ত, বিশেষ করে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে স্থল পরিবহণ কঠিন, সেখানে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত।

    গালওয়ানের পর থেকেই কাঠামো বৃদ্ধিতে জোর

    পাঁচ বছর আগে, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে আগ্রাসন দেখিয়েছিল চিন। গালওয়ান সংঘর্ষে কর্নেল বি সন্তোষ বাবু-সহ নিহত হন ২০ জন জওয়ান। পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ওই ঘটনায় ৪০ থেকে ৫০ জন সৈনিক হারিয়েছিল চিনা ফৌজ। যা সরকারি ভাবে কখনই স্বীকার করেনি বেজিং। এর পরই, এলএসি জুড়ে বিপুল সেনা মোতায়েন করে বেজিং। পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করে নয়াদিল্লিও। রাতারাতি লাদাখ সীমান্তে বাহিনীর পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্র। গত পাঁচ বছরে লাদাখ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু করেছে কেন্দ্র। সামরিকভাবে লাল ফৌজের মোকাবিলা করার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে সহজ যাতায়াত করার জন্য রাস্তা, টানেল এবং সেতু নির্মাণে কাজে গতিও আনে ভারত। সেই পরিস্থিতিতে মুধ-নিয়োমায় এয়ারফিল্ড নির্মাণে সবুজ সঙ্কেত দেয় মোদি সরকার। এই বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং। সেই চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করেই দ্রুত গতিতে এয়ারফিল্ড তৈরির কাজ চালিয়ে যায় ভারত।

    চিনকে আবার বিশ্বাস! নৈব নৈব চ…

    গালওয়ান সংঘাত পেরিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও, চিনকে বিশ্বাস নেই। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ঢোকার চেষ্টা চালায় পিএলএ। কিন্তু ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে পিছু হটতে হয় তাঁদের। অরুণাচল থেকে শুরু করে লাদাখ পর্যন্ত চিনা আগ্রাসন বরাবর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ভারতের জন্য। লাদাখের একাধিক অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ডেমচক এবং ডেপসাং সমভূমিতে ভারত ও চিনের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক বিচ্ছিন্নতার পর নিয়োমার গুরুত্ব বেড়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তিব্বতের বায়ু সেনাঘাঁটিতে একাধিক যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে পিএলএ। ফলে সংঘর্ষের সময়ে অনায়াসে সেখান থেকে এলএসিতে থাকা ভারতীয় সৈনিকদের উপর আক্রমণ শানাতে পারবে বেজিং। সে ক্ষেত্রে নতুন এয়ারফিল্ড থেকে পাল্টা জবাব দেওয়া অনেক সহজ হবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।

  • India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে ফের সেনাবল বৃদ্ধি করল ভারত। চিনের (China) সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েনের মাঝে ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অর্থাৎ, এলএসি (LAC) বরাবর নতুন পদাতিক ডিভিশন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defense Ministry Of India) সূত্রের খবর, লাদাখের (India China Border) রাজধানী লেহ্‌তে মোতায়েন ১৪ নম্বর কোরের নিয়ন্ত্রণে থাকবে নবগঠিত ওই ৭২ পদাতিক ডিভিশন।

    কোথায় মোতায়েন থাকবে নয়া ডিভিশন

    কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে ধারাবাহিক আলোচনার ফলে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও এখনও পূর্ব লাদাখের (India China Border) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এই আবহে এলএসির নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পুরোদস্তুর একটি নতুন ডিভিশন গড়ছে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর যে কোনও ডিভিশনে একজন মেজর জেনারেলের নেতৃত্বে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার সৈন্য থাকে। তিন থেকে চারটি ব্রিগেড আছে যেগুলো একজন ব্রিগেডিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়। পূর্ব লাদাখে ৭২ ডিভিশনের অধীনে ইতিমধ্যেই একটি ব্রিগেড সদর দফতর খোলা হয়েছে। এখান থেকে কাজও শুরু হয়েছে। লেহ-এর ১৪ ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরের অধীনে ৭২ ডিভিশনকে স্থায়ীভাবে মোতায়েন করা হবে। বর্তমানে, এই এলাকায় একটি কাউন্টার-ইনসার্জেন্সি ইউনিট ইউনিফর্ম ফোর্স রয়েছে, যারা শীঘ্রই ৭২ ডিভিশনকে কমান্ড হস্তান্তর করবে।

    এই বাহিনী তৈরির প্রস্তুতি

    মনমোহন সিং সরকারের শেষলগ্নে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ড্রাগনের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনার পৃথক ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’ তৈরি হবে। ২০১৩-য় ৬৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভারতীয় সেনার প্রায় ৯০ হাজার অফিসার ও জওয়ান নিয়ে ওই বাহিনী মঞ্জুর হয়। লক্ষ্য ছিল, এই বাহিনীই ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-চিন সীমান্তে ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’-র গতিবিধির উপরে নজর রাখবে। এর পর পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে গড়ে ওঠে ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের একটি ডিভিশন। পূর্ব ভারতে মাউন্টেন কোরের প্রথম ডিভিশন তৈরির পরে লাদাখকে নজরে রেখে ২০১৭-য় পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন তৈরির কাজ শুরু হয়। পরবর্তীকালে, ২০১৭ সালে লাদাখের জন্য পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন গঠনের কাজ শুরু হয়।

    গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফোর্স গঠনে সক্রিয়তা

    ২০২০-র এপ্রিলে পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) চিনা আগ্রাসন এবং গালওয়ানে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে দ্রুত মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সে সময় প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে উঁচু অবস্থানগুলি দখলে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল পানাগড়ের বাহিনী। ঝটিতি অভিযানে সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কালা টপ, মুকপরী এবং রেজাংলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল তারা। এর ফলে প্যাংগংয়ের দক্ষিণে স্পাংগুর হ্রদ লাগোয়া উপত্যকায় মোতায়েন চিনা বাহিনীও চলে এসেছিল ভারতীয় সেনার ‘নাগালে’। পাশাপাশি থাকুং সেনাঘাঁটির অদূরে হেলমেট টপ এলাকা থেকে রেচিন লা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাতেও ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয় ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের সৌজন্যে। এইসব ঘটনার পর ভারত বুঝতে পারে যে, পূর্ব লাদাখের প্রতিরক্ষা জোরদার করতে হলে আরও শক্তিশালী ডিভিশন মোতায়েন করা দরকার।

    সম্প্রতি স্থিতিশীল সীমান্ত

    গত বছর ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এরপর ভারত এবং চিনের (India China Border) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নয়নের রাস্তায় ফেরাতে গত ২১ অক্টোবর দিল্লির তরফে জানানো হয়, ডেপসাং এবং ডেমচকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সহমত হয়েছে দুই দেশ। সীমান্ত থেকে এলএসি-তে পাঁচটি জায়গায় ভারত ও চিনের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল – ডেপসাং, ডেমচোক, গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং। ২০২০ সালের পর কয়েক দফা আলোচনার পরে, উভয় দেশের সেনাবাহিনী গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং থেকে পিছু হটেছিল। তবে ডেপসাং ও ডেমচোকে সেনা মোতায়েন করায় সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি চুক্তির পর ভারত ও চিনা সেনারা পাঁচটি স্থান থেকে সরে গিয়েছে এবং এখানে আগের মতোই টহল শুরু হয়েছে।

    নিরাপত্তা নিয়ে আপোষ নয়

    তবুও দেশের নিরাপত্তা (India China Border) নিয়ে কোনওরকম আপস করতে রাজি নয় মোদি সরকার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাই পূর্ব লাদাখের এলএসিকে ‘পাখির চোখ’ করে পাঠানকোটের পরিবর্তে পার্বত্যযুদ্ধে পারদর্শী ৭২ নম্বর ডিভিশনকে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের অধীনে পূর্ব লাদাখের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়। কারণ কারাকোরাম পাসের কাছে দৌলত বেগ ওল্ডি পোস্ট থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ের মাঝে একটি সমতল এলাকাও রয়েছে, যা সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে, ডেমচোক সিন্ধু নদীর কাছে পড়ে। এখানে চিনের নিয়ন্ত্রণ থাকলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে জল সরবরাহে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই অঞ্চলে কড়া পাহারার কথাই ভাবল কেন্দ্র, এমনই অনুমান কূটনীতিকদের।

  • General Upendra Dwivedi: “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি সংবেদনশীল, কিন্তু স্থিতিশীল”, বললেন সেনাপ্রধান

    General Upendra Dwivedi: “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি সংবেদনশীল, কিন্তু স্থিতিশীল”, বললেন সেনাপ্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর পরিস্থিতি সংবেদনশীল কিন্তু স্থিতিশীল রয়েছে।” সোমবার এমনই বললেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (General Upendra Dwivedi)। সেনা দিবসের আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “এই অঞ্চলে এখনও কিছুটা অচলাবস্থার পরিস্থিতি রয়েছে। ভারত ও চিনা সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালানো প্রয়োজন।”

    কী বললেন সেনাপ্রধান? (General Upendra Dwivedi)

    সেনাপ্রধান বলেন, “দেপসাং ও ডেমচক—এই দুটি উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় ঐতিহ্যগত অঞ্চলগুলিতে টহলদারি ও পশুচারণ ফের শুরু হয়েছে। আমাদের সেনা মোতায়েন ভারসাম্যপূর্ণ, শক্তিশালী, এবং আমরা যে কোনও পরিস্থিতি সামলাতে সক্ষম।” সামগ্রিকভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি সম্পর্কে সেনাপ্রধান বলেন, “আমরা সীমান্তে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।” জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটি মোটের ওপর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি পক্ষের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তি কার্যকর রয়েছে।”

    ‘আমাদের এক সঙ্গে বসতে হবে’

    ভারত-চিন সীমান্ত বৈঠক প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান (General Upendra Dwivedi) বলেন, “ভারত ও চিনের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী চিনা প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমরা যথন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই আলোচনাগুলি চালিয়েছিলাম, তখন কিছু জায়গায় অস্থায়ী স্থগিতাদেশ ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০ এপ্রিলের পর দুই দেশের মধ্যে আস্থার নয়া সংজ্ঞা দিতে হবে। তাই আমাদের এক সঙ্গে বসতে হবে। তার পরে আমরা কীভাবে পরিস্থিতি শান্ত করতে চাই এবং আস্থা পুনরুদ্ধার করতে চাই, সে বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা হবে।”

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দিতে পারে অসম, রায় গুয়াহাটি হাইকোর্টের

    জঙ্গি অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান (General Upendra Dwivedi) বলেন, “অনুপ্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তানের দিকের সন্ত্রাসী পরিকাঠামো এখনও অক্ষত রয়েছে। গত বছর মৃত জঙ্গিদের ৬০ শতাংশই ছিল পাকিস্তানি।” মণিপুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং সরকারের সক্রিয় উদ্যোগের ফলে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।” সেনাপ্রধান জানান, মণিপুরে চক্রাকার হিংসার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী সেই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। তিনি (General Upendra Dwivedi) বলেন, “ভারত-মায়ানমার সীমান্ত বরাবর, মায়ানমারের পরিস্থিতি থেকে কোনও প্রভাব যাতে আমাদের দেশে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই (LAC) উন্নত নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arunachal Frontier Highway: চিন সীমান্ত ঘেঁষে অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে ১,৬৩৭ কিমি হাইওয়ে, বড় বরাদ্দ কেন্দ্রের

    Arunachal Frontier Highway: চিন সীমান্ত ঘেঁষে অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে ১,৬৩৭ কিমি হাইওয়ে, বড় বরাদ্দ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৈরি হচ্ছে ১ হাজার ৬৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে (Arunachal Frontier Highway)। এই হাইওয়ে নির্মাণের জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে ২৮ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। এই হাইওয়েটি ভারত-চিন আন্তর্জাতিক সীমানায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর রাজ্যের ১২টি জেলাকে সংযোগ করবে। হাইওয়েটি তৈরিতে আনুমানিক ব্যয় ধার্য হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা।

    বদলাবে অরুণাচলের ভোল (Arunachal Frontier Highway)

    নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলে বদলে যাবে অরুণাচল প্রদেশের আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এই রাস্তা তৈরি করছে ভারত। জানা গিয়েছে, এই হাইওয়েটি ভারত-তিব্বত-চিন-মায়ানমার সীমান্ত বরাবর নির্মিত হচ্ছে। হাইওয়েটি (Arunachal Frontier Highway) তৈরি হচ্ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে।

    কোথায় শুরু, শেষই বা কোথায়

    জানা গিয়েছে, হাইওয়েটি বমডিলা থেকে শুরু হবে এবং নাফ্রা, হুরি এবং মোনিগং শহরগুলির মধ্য দিয়ে যাবে। এই এলাকাগুলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বা ম্যাকমোহন লাইনের কাছাকাছি অবস্থিত। হাইওয়েটি (Arunachal Frontier Highway) শেষ হবে ভারতের-মায়ানমার সীমান্তের কাছে, বিজয়নগরে গিয়ে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের মুখ্য ইঞ্জিনিয়র তথা ব্রহ্মাঙ্ক প্রকল্পের প্রধান সুবাস চন্দ্র লুনিয়া বলেন, “অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ের জন্য কেন্দ্র ২৮ হাজার ২২৯ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। এটি ১ হাজার ৬৮৩টি গ্রামকে সংযুক্ত করবে। ম্যাকমোহন লাইনের সমান্তরালে নির্মিত জাতীয় সড়কটি (Arunachal Frontier Highway) নির্মাণের কাজ শেষ হবে ২০২৭ সালের মধ্যে।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয় ইসকন, আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল সেদেশের হাইকোর্ট

    তিনি জানান, অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার ন্যাশনাল হাইওয়ে-৯১৩ (Arunachal Frontier Highway)-এর ১৯৮ কিমি (তাতো-তুতিং) অংশ নির্মাণের কাজ চলছে। ২০১৪ সালের পরে বিভিন্ন রাজ্যে বিআরও-এর কাজের জন্য সড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হয়েছে। এই বরাদ্দ পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ঢের বেশি। লুনিয়া বলেন, “সিয়াং, আপার সিয়াং, ওয়েস্ট সিয়াং এবং শি-য়োমি জেলার পাশাপাশি অসমের ধেমাজি জেলার চারটি সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ-সহ সড়ক পরিকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজও চলছে।” তিনি বলেন, “ব্রহ্মাঙ্ক প্রকল্প প্রতিষ্ঠার দিন থেকে আজ পর্যন্ত ১৭টি রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, যার মোট দৈর্ঘ্য ৪৯৬ কিলোমিটার (Arunachal Frontier Highway)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • India’s Highest Airfield: প্রস্তুত লাদাখে দেশের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ড, চিনকে টেক্কা দিতে তৈরি বায়ুসেনা

    India’s Highest Airfield: প্রস্তুত লাদাখে দেশের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ড, চিনকে টেক্কা দিতে তৈরি বায়ুসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC)-র কাছে নতুন বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি করেছে নয়াদিল্লি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখের (Ladakh) মুধ-নিয়োমাতে নবনির্মিত বিমানঘাঁটির যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হবে দেশের সর্বোচ্চ ‘এয়ারফিল্ড’-এর (India’s Highest Airfield)। তারই অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

    বিমানঘাঁটির কৌশলগত গুরুত্ব

    পূর্ব লাদাখের ওই এয়ারফিল্ডটির উচ্চতা মাটি থেকে আনুমানিক ১৩ হাজার ৭০০ ফুট। এর পোশাকি নাম ‘অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’ (এএলজি)। যুদ্ধের সময়ে এর কৌশলগত অবস্থান বাহিনীকে বাড়তি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, লাদাখের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষ বাধলে দ্রুত ফৌজকে রণাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া বা সৈনিকদের জন্য হাতিয়ার ও জরুরি রসদের জোগান ঠিক রাখতেও এই ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। স্থলসেনার সেখানে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। এত দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও বায়ু সেনাঘাঁটি না থাকায় সে ভাবে নজর রাখতে পারছিল না বায়ুসেনা। এবার স্থলবাহিনীর পাশাপাশি চিন সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি করতে পারবে তারাও।

    তিন কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে

    এলএসি লাগোয়া ওই ঘাঁটিতে নিয়মিত ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল বা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। নিয়োমার নবনির্মিত বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রয়েছে তিন কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাবতীয় অপারেশন চালিয়ে যাওয়ার কথা মাথায় রেখে ওই রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে। সেতু ও পাহাড়ি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে লাদাখের একাধিক এলাকার সঙ্গে মুধ-নিয়োমাকে সংযুক্ত করা হয়েছে, যা সীমান্তে মোতায়েন ফৌজকে গোলা-বারুদ এবং অন্যান্য রসদ সরবরাহে সাহায্য করবে। এগুলির কৌশলগত গুরুত্বও নবনির্মিত এয়ারফিল্ডের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।

    প্রশংসা প্রাক্তন সেনাকর্তাদের

    ২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই ঘাঁটি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। এর জন্য আনুমানিক ২১৪ কোটি টাকা খরচ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। উল্লেখ্য, সাড়ে ১৩ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় বায়ুসেনার ঘাঁটি নির্মাণ মোটেই সহজ কাজ ছিল না। এটি তৈরিতে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাই ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই প্রতিকূলতা সয়ে সময়ের মধ্যে কাজ হওয়ায় সরকারের সদিচ্ছার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন সেনাকর্তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মুহূর্তে পাশার দান উল্টে দিতে সক্ষম হবে এই এয়ারফিল্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • LAC: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলল ৪ বছর পর! পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি শুরু

    LAC: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলল ৪ বছর পর! পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ গলল ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ! চার বছরেরও বেশি সময় পর পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর টহল দেওয়া (Patrolling Begins) শুরু করেছে ভারতীয় ও চিনা সেনারা। ২০২০ সালে গলওয়ানে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট সীমান্ত উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে এটি একটি বড় পদক্ষেপ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    শুরু টহলদারি (LAC)

    বৃহস্পতিবার, দীপাবলি উপলক্ষে মিষ্টি বিনিময়ের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেপসাং এবং দেমচক এলাকায় সেনারা টহল দেন। মিলিটারি ডিসএনগেজমেন্টের একদিন পর শুরু হয়েছে এই টহলদারি। ২০২০ সালের মে-জুন মাসে প্যাঙ্গং লেক ও গলওয়ান অঞ্চলে সংঘর্ষের পর এই দুই এলাকায় প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে টহল বন্ধ ছিল। ভারত-চিনের সেই সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনা। দুই দেশের সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে টহল সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির লক্ষ্য চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তে চলা উত্তেজনার অবসান ঘটানো। এই বিচ্ছিন্নতা চুক্তির আওতায় ডেপসাং এবং দামচোক থেকে সৈন্য ও পরিকাঠামো অপসারণ করা হয়। এপ্রিলে ২০২০-র আগের অবস্থানে সৈন্যদের প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।

    দীপাবলি

    দীপাবলি উপলক্ষে, গতকাল পাঁচটি জায়গায় যেমন লাদাখের চুশুল মল্ডো এবং দৌলত বেগ ওল্ডি-তে, সৈন্যরা মিষ্টি বিনিময় করেন। সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন দেখছে, চিন চুক্তি অনুসারে সত্যিই তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করেছে কি না। ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে প্রতিটি পক্ষের স্থল-স্তরের কমান্ডাররা টহল দেওয়ার আগে একে অপরকে অবহিত করবেন (LAC)। দেপসাং ও দেমচকে উভয় পক্ষই নজরদারির বিকল্পগুলি বজায় রাখতে পারবে।

    আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলি হিন্দুরা, পালটা প্রতিরোধের ডাক

    বৃহস্পতিবারই সেনার তরফে জানানো হয়, দেমচক ও দেপসাংয়ে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকা থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করেছে দুই দেশ। শুরু হয়েছে স্বাভাবিক নজরদারি। তবে এখনও যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো মেটানোর জন্য নিয়মিত আলোচনায় বসবেন দুই দেশের সেনার কমান্ডার পর্যায়ের আধিকারিকরা। সীমান্ত এলাকায় যাতে কোনও (Patrolling Begins) ভুল বোঝাবুঝি না হয়, তাই সেদিকেও নজর রাখবেন তাঁরা (LAC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Border: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    India China Border: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরে ভারত-চিন সীমান্তে (India China Border) শুধুই শোনা গিয়েছে বাক-বিতণ্ডা। এবার দীপাবলিতে ছবিটা ভিন্ন। পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখা (LAC)-র বিতর্কিত অঞ্চলগুলিতে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো’-র কাজ শেষ করেছে ভারত ও চিন। আজ, বৃহস্পতিবার দীপাবলির শুভেচ্ছার নজির তৈরি করতে এলএসিতে চিন সেনাকে মিষ্টিমুখ করাল ভারতীয় সেনা। সাম্প্রতিক অতীতে এই খবর বিরল। তাই বাস্তবিকই এই দীপাবলি বিশেষ বার্তাবহ। চিনা দূতাবাসের তরফেও ভারতীয়দের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানানো হয়।

    সীমান্তে মিষ্টিমুখ

    বুধবারই সেনা সূত্রে জানানো হয়, “লাদাখ (India China Border) সেক্টরের ডেপসাং এবং ডেমচকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই টহলদারি শুরু হবে। সেনা প্রত্যাহার যাচাইয়ের কাজ চলছে এবং স্থানীয় কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ব্রিগেডিয়ার এবং তার নীচের স্তরের গ্রাউন্ড কমান্ডাররা আলোচনা করে টহল পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন।” বৃহস্পতিবার সকালে সেনার তরফে জানানো হয়,  দীপাবলি উপলক্ষে ভারত ও চিনের মধ্যে সমস্ত সীমান্ত কর্মীদের মিটিং পয়েন্টে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। আমেরিকার ম্যাক্সার টেকনোলজির নেওয়া সাম্প্রতিক উপগ্রহচিত্রে স্পষ্ট, ডেপসাং ও ডেমচক এলাকায় বিভিন্ন অস্থায়ী সেনা ছাউনি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ডেমচক এবং ডেপসাং-এ যাতে দুই পক্ষের আর কোনও মুখোমুখি সংঘর্ষ না হয়, তার জন্য টহলের বিষয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করা হবে। প্রতিটি টহলদারি দলে ২০ জন সৈন্যর একটি ব্যাচে থাকবে। তাদের হাতে অস্ত্রশস্ত্রও থাকবে। 

    আরও পড়ুন: গত অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষায় ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকার উৎপাদন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    গত ২১ অক্টোবর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেছিলেন, পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) এলএসিতে টহলদারির সীমানা (India China Border) নির্ধারণের প্রশ্নে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তার ভিত্তিতেই ভারত ও চিনের সেনা ২০২০-র মে মাসের আগেকার অবস্থানে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে। তার পর রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস বৈঠকের সময় এই বিষয় নিয়ে পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বার্তা দেন তাঁরা। গত বুধবার থেকে দুই পক্ষ লাদাখের এই দুই এলাকা থেকে অস্থায়ী সেনা ছাউনি ও তাঁবুগুলি এবং সৈন্যদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার মাধ্যমে লাদাখের অধিকাংশ সংঘর্ষের জায়গায় টহল দেওয়া নিয়ে দুই দেশ ঐক্যমত হলেও, ডেমচক এবং ডেপসাং নিয়ে বিরোধ ছিল। অবশেষে, রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বৈঠকের ঠিক আগে, এই দুই জায়গায় টহলের বিষয়েও দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাস থেকে এই দুই এলাকায় ভারতীয় সেনাদের টহল দিতে বাধা দিয়েছিল চিন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহার, সরকারিভাবে জানিয়ে দিল চিনও

    China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহার, সরকারিভাবে জানিয়ে দিল চিনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে দেপসাং সমতলভূমি ও দেমচকে শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া। ভারতীয় সেনবাহিনী সূত্রে (LAC) এ খবর আগেই নিশ্চিত করা হয়েছিল। এবার সরকারিভাবে চিনের (China) তরফেও জানানো হল, চিনা ও ভারতীয় সীমান্তের সেনারা সংশ্লিষ্ট কাজ নিয়ে (সেনা প্রত্যাহার) ব্যস্ত রয়েছে এবং এই মুহূর্তে কাজটি মসৃণভাবে চলছে।

    কী বলছে চিনা বিদেশমন্ত্রক (China)

    চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “সীমান্ত এলাকার বিষয়গুলো নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে চিন ও ভারতের মধ্যে যে সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়েছে, তার আলোকে চিনা ও ভারতীয় সীমান্তের সেনারা সংশ্লিষ্ট কাজ পরিচালনা করছে এবং এই মুহূর্তে কাজটি মসৃণভাবে চলছে।” বলা বাহুল্য, কাজ বলতে তিনি সেনা প্রত্যাহারের কথাই বলেছেন। শনিবার চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র এই মর্মে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রক্রিয়াটি সম্ভবত ২৮-২৯ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। তবে এই এলাকাগুলির ভূখণ্ড এবং আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতের সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “তাঁরা ভারত-চিন সীমান্তে অত্যন্ত কল্পনাতীত পরিস্থিতিতে মোতায়েন রয়েছেন।” তিনি বলেন, “আজ আমরা যেখানে পৌঁছেছি, তার একটা কারণ হল আমাদের পক্ষ থেকে খুব দৃঢ় প্রচেষ্টা করা ও আমাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরা। সামরিক বাহিনী এলএসিতে অত্যন্ত কল্পনাতীত পরিস্থিতিতে দেশ রক্ষার জন্য প্রস্তুত ছিল। সামরিক বাহিনী তার দায়িত্ব পালন করেছে, কূটনীতিও তার ভূমিকা পালন করেছে (China)।”

    আরও পড়ুন: “ধর্ম হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, সংহতির প্রতীক”, বললেন ধনখড়

    জয়শঙ্কর বলেন, “২০২০ সাল থেকে সীমান্তের পরিস্থিতি খুবই অস্থির হয়ে উঠেছে যা সামগ্রিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভারত একটি সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার জন্য চিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে।” সমাধানের বিভিন্ন দিক রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রথমত চাপের বিষয় হল বিচ্ছিন্নকরণ, কারণ সেনাবাহিনী একে অন্যের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং কোনও ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর রয়েছে ডি-এসক্যালেশন। কারণ উভয় পক্ষেই সেনা সমাবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।” মন্ত্রী বলেন, “এরপর রয়েছে বৃহত্তর একটি বিষয়, কীভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং সীমান্ত নিষ্পত্তি নিয়ে (LAC) আলোচনা করা হবে। বর্তমানে যা কিছু চলছে তা প্রথম দিক নিয়ে, অর্থাৎ বিচ্ছিন্নকরণ নিয়ে (China)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    India China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত এবং চিন (India China Relation)। সূত্রের দাবি, এর মধ্যে রয়েছে লাদাখের (Ladakh) ডেপসাং ও ডেমচক অঞ্চলও। শুক্রবার তোলা স্যাটেলাইট চিত্রগুলো এর প্রমাণ দিয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রগুলোতে একাধিক স্থানে কাঠামোগুলোর হ্রাস দেখা গিয়েছে, যা ভারত-চিন দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের শেষের সংকেত হতে পারে। শীতের আগে দুই দেশের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    স্যাটেলাইট চিত্র প্রমাণ

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের আগে সেনা যেখানে ছিল সেখানেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুই দেশের সেনাকে। মার্কিন ভিত্তিক ম্যাক্সার টেকনোলজিসের স্যাটেলাইট চিত্রে গত কয়েক দিনে বিভিন্ন কাঠামো এবং আশ্রয়স্থল ভাঙার চিত্র দেখা গিয়েছে। অঞ্চলটিতে এখনও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চিনা কাঠামো রয়ে গেছে, যা সংঘাতকালীন সময়ে তাদের উপস্থিতির মাত্রা নির্দেশ করে। তবে, ভারতের আশা কথা রাখবে চিন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সরানোর প্রক্রিয়া শেষ হবে। আগের ছবিতে যে জায়গায় কাঠামোগুলি ধরা পড়েছিল এখন সে জায়গায় নেই।

    আরও পড়ুন: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    সীমান্তে শান্তি কাম্য

    চিনের (India China Relation) সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কিছু জায়গায় ভারতের জমি দখল করে রেখেছিল চিনা বাহিনী। আর এবার সেই জটই কাটতে চলেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত এবং চিনের মধ্যস্থতাকারীরা লাগাতার আলোচনা করেছেন। তার পরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। সেনা সরানো নিয়ে সহমত হওয়ার পরে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ আরও গলে ব্রিকস সম্মেলনে। গালওয়ান সংঘর্ষের পরে প্রথমবার বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি এবং শি জিনপিং। ২০১৯ সালের পর এই প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানে মোদি সাফ জানিয়ে দেন, সীমান্তে শান্তি ফেরানোই অগ্রাধিকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share