Tag: lok sabha

lok sabha

  • Narendra Modi: “দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস নয়”, ১১টি প্রস্তাব দিয়ে উন্নত দেশ গড়ার ডাক দিলেন মোদি

    Narendra Modi: “দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস নয়”, ১১টি প্রস্তাব দিয়ে উন্নত দেশ গড়ার ডাক দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্যে ১১টি প্রস্তাব পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংবিধান তৈরির ৭৫ বছর স্মরণে লোকসভায় (Lok Sabha) তিনি এই প্রস্তাব পেশ করেন। প্রায় দু’ঘণ্টার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) তাঁর সরকারের সাফল্যের দিকগুলি তুলে ধরেন। প্রজন্ম ধরে সংবিধানকে অবমূল্যায়ন করার জন্য নেহরু-গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করেন। ভারতের ১৪০ কোটি নাগরিকের স্বপ্ন এবং একটি জাতি যখন দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যায়, তখন ফলাফল নিশ্চিত হয়, এমনটাই জোরের সঙ্গে জানান প্রধানমন্ত্রী।

    উন্নত দেশ গড়ার  সংকল্প (Narendra Modi)

    দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, “আমার সহ নাগরিক, তাদের সক্ষমতা, যুবসমাজ এবং ভারতের নারী শক্তির প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। আসুন সংকল্প করি যে ২০৪৭ সালে ভারত যখন তার স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন সে একটি উন্নত দেশ হিসেবে উদযাপন করবে।” দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস নয়, তা তিনি জানিয়ে দেন। একই সঙ্গে ভারতকে দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্ত করা এবং দেশের রাজনীতিকে স্বজনপ্রীতি থেকে মুক্ত করার ডাক দেন। উন্নত ভারত গড়ে তোলার কাজের জন্য তিনি দেশবাসীকে শুভকামনা জানান।

    আরও পড়ুন: “বৈচিত্র্যের ভারতে বিভেদের বিষ ছড়াচ্ছে কেউ কেউ”, সংসদে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) যে ১১টি প্রস্তাব দিয়েছেন, সেগুলি হল

    ১) নাগরিক হোক বা সরকার, প্রত্যেকেরই কর্তব্য পালন করা উচিত।

    ২) প্রতিটি অঞ্চল এবং প্রতিটি সম্প্রদায়ের উন্নয়নের সুফল পেতে হলে সবাইকে একসঙ্গে উন্নত হতে হবে। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ থাকতে হবে।

    ৩) দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা থাকা উচিত এবং যারা দুর্নীতি করে তাদের সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়া উচিত নয়।

    ৪) দেশের আইন, নিয়ম এবং ঐতিহ্য অনুসরণ করে নাগরিকদের গর্ববোধ করা উচিত।

    ৫) ভারতকে দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্ত করা উচিত এবং দেশের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করা উচিত।

    ৬) দেশের রাজনীতি হতে হবে স্বজনপ্রীতি মুক্ত।

    ৭) সংবিধানকে সম্মান করতে হবে; রাজনৈতিক লাভের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।

    ৮) সংবিধানের চেতনাকে সম্মান করা উচিত এবং যারা এটি পাচ্ছেন তাদের কাছ থেকে সংরক্ষণ কেড়ে নেওয়া উচিত নয়। ধর্মের ভিত্তিতে  সংরক্ষণ দেওয়ার সমস্ত প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে।

    ৯) মহিলাদের নেতৃত্বে উন্নয়নে ভারত বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠুক।

    ১০) রাষ্ট্রের উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির উন্নয়ন, এটাই হওয়া উচিত আমাদের উন্নয়ন মন্ত্র।

    ১১) ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ (এক ভারত, একটি ভারত যা উৎকৃষ্ট) এর লক্ষ্য সর্বোত্তম হওয়া উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: সোমবার লোকসভায় পেশ হবে এক দেশ, এক নির্বাচন বিল

    One Nation One Election: সোমবার লোকসভায় পেশ হবে এক দেশ, এক নির্বাচন বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার লোকসভায় পেশ হবে এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) বিল। বৃহস্পতিবারই এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। সোমবার বিলটি লোকসভায় (Lok Sabha) পেশ করবেন আইনমন্ত্রী অর্জুন কাম মেঘওয়াল। পরে আলোচনার জন্য বিলটি পাঠানো হবে জেপিসিতে (জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি)। দীর্ঘ আলোচনা ও ঐক্যমত তৈরির জন্য বিলটিকে জেপিসিতে পাঠাবে কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদের দুই কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পর সেটা পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর মিললেই বিলটি পরিণত হবে আইনে।

    এক দেশ, এক নির্বাচনের সুবিধা (One Nation One Election)

    দীর্ঘদিন ধরেই এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। মোদি সরকারের যুক্তি, এক দেশ, এক নির্বাচন হলে লাগাম টানা যাবে নির্বাচনের বিপুল ব্যয়ে। একদিকে যেমন সরকারের খরচ কমবে, তেমনি অন্য দিকে ঝামেলা পোহাতে হবে না সরকারি কর্মীদের। নির্বাচন ঘোষণা হলে লাগু হয় আদর্শ আচরণবিধি। তার জেরে ব্যাহত হয় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। খাটুনি কমবে ভোটকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন হলে, বাড়তে পারে ভোট দানের হারও। বারবার ভোটপ্রচারের ঝক্কি না থাকায় রাজনৈতিক দলের নেতারা আরও বেশি করে মনোনিবেশ করতে পারবেন মানুষের কাজে।

    আরও পড়ুন: বাংলায় ঢুকেছে বাংলাদেশের দুই ‘হুত’ জঙ্গি, গড়ছে স্লিপার সেল, মডিউল! সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের

    খসড়া বিলের প্রস্তাব

    খসড়া বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি এক দেশ, এক নির্বাচনের (One Nation One Election) তারিখ নির্দিষ্ট করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। এই হিসেবে ২০২৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর নয়া সরকার গঠিত হলে, তার পরেই শুরু হবে প্রসেস। এর পরবর্তী পাঁচ বছর ধরে চলবে একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি। সেক্ষেত্রে ২৯ সালের পর যে যে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে, ২০৩৪ এর লোকসভা নির্বাচনের সময় সেই সরকার ভেঙে দেওয়া হবে। ওই নির্বাচন হবে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই। যদি কোনও বিধানসভা বা লোকসভা মেয়াদ শেষের আগেই (Lok Sabha) ভেঙে যায়, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনে গঠিত সরকারের মেয়াদ থাকবে অবশিষ্ট সময়ের জন্যই (One Nation One Election)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Banking Laws Amendment Bill 2024: এক অ্যাকাউন্টে চার নমিনি! ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিল পাশ লোকসভায়

    Banking Laws Amendment Bill 2024: এক অ্যাকাউন্টে চার নমিনি! ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিল পাশ লোকসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে একজন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টধারী সর্বোচ্চ চারজনকে নমিনি রাখতে পারবেন। কোন নমিনি কত শতাংশ টাকা পাবেন, তাও উল্লেখ করা যাবে। মঙ্গলবারই লোকসভায় পাশ হয়েছে ব্যাঙ্কিং আইন (সংশোধনী বিল), ২০২৪ (Banking Laws Amendment Bill 2024)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, যে কোনও আমানতকারীর আইনি উত্তরাধিকারীদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপ।

    নয়া আইনে কী সুবিধা

    ১৯৪৯ সালের ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আইনের ৪৫ জেডএ (১) ধারা অনুযায়ী একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক জনের বেশি নমিনি করা যেত না। কিন্তু এবার সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই নমিনির সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষেই সায় দিয়েছে মোদি সরকার। শুধুমাত্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নয়, লকারে রাখা সামগ্রির ক্ষেত্রেও একাধিক নমিনি রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নয়া ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনীতে। এছাড়াও নতুন বিলে সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে পরিচালকদের মেয়াদ ৮ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করার প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের এক জন পদমর্যাদার আধিকারিককে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের বোর্ডে নিয়োগের কথাও জানানো হয়েছে।

    সুরক্ষা ও নিরাপত্তাই লক্ষ্য

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা জানান, ২০১৪ সাল থেকে সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ব্যাঙ্কগুলিকে স্থিতিশীল রাখতে কাজ করছে। তাই সারা দেশে ব্যাঙ্কগুলো এখন নিরাপদ এবং স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এই সংশোধনীগুলি ব্যাঙ্কিং (Banking Laws Amendment Bill 2024) খাতে শাসনব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং মনোনয়ন সংক্রান্ত গ্রাহক সুবিধা আরও বাড়াবে যাতে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা জোরদার হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Census: নতুন বছরেই হবে জনগণনা, লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস ২০২৮ সালের মধ্যেই

    Census: নতুন বছরেই হবে জনগণনা, লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস ২০২৮ সালের মধ্যেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা অতিমারির কারণে ২০২১ সালে হয়নি জনগণনা (Census)। নতুন বছরে সম্ভবত সেটাই শুরু করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। শেষ হবে ২০২৬ সালে। জনগণনা-পর্ব শেষ হলে শুরু হবে লোকসভা কেন্দ্রের সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। ২০২৮ সালের মধ্যে সেই কাজ শেষ হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    ১০ বছর অন্তর জনগণনা (Census)

    প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা হত। নতুন দশকের প্রথম বছরে অনুষ্ঠিত হত এটি। শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। হিসেব অনুযায়ী, পরেরবার জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। তবে করোনা অতিমারির কারণে ওই বছর হয়নি জনগণনা। সেটাই হবে ২০২৫ সালে। আর ২০২৫ সালে জনগণনা হলে, পরেরবার সেনসাস হবে ২০৩৫ সালে। তার পরেরটা হবে ২০৪৫ সালে। এভাবেই চলতে থাকবে। এই জনগণনায় জাতিগত জনগণনার দাবি উঠছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সূত্রের খবর।

    সম্প্রদায় সমীক্ষা করা হতে পারে

    তবে সম্প্রদায় সমীক্ষা করা হতে পারে। এটি করা হবে ওবিসি, এসসি এবং এসটি বিভাগগুলির নির্ধারিত কাঠামোর মধ্যে। সম্প্রদায় ভিত্তিক জনগোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য পেতেই এবার সম্প্রদায় সমীক্ষা করা হতে পারে (Census)। যেমন, কর্নাটকের লিঙ্গায়েতরা সাধারণ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। যদিও তারা নিজেদের ভিন্ন সম্প্রদায় হিসেবে বিবেচনা করে। এদিকে, মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণের কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনের মেয়াদ ২০২৬ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সেনসাস কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের ১৯৯৫ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার ২০২০ সাল থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    এদিকে, নির্বাচনী কেন্দ্রগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়তে পারে। বর্তমানে লোকসভার আসন সংখ্যা ৫৪৫টি। তার মধ্যে নির্বাচন হয় ৫৪৩টিতে। সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে লোকসভার আসন বেড়ে হতে পারে ৭৫৩টি। সীমানা পুনর্বিন্যাস হলে বদলে যেতে পারে ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রও (Census)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।   

  • Kalyan Banerjee: তৃণমূলের কল্যাণকে বরখাস্ত করার সুপারিশ বিজেপির, স্পিকারকে চিঠি তিন সাংসদের

    Kalyan Banerjee: তৃণমূলের কল্যাণকে বরখাস্ত করার সুপারিশ বিজেপির, স্পিকারকে চিঠি তিন সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও তিনি (Kalyan Banerjee) উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করেন। কখনও আবার লোকসভায় সটান গিয়ে বসে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আসনে। আবার কখনও সুর করে ‘চু-কিতকিতকিত’ বলতে থাকেন। কখনও আবার কাচের বোতল ভেঙে নিজেই জখম হন ভাঙা কাচের টুকরোয়। লোকসভার ভেতরে কিংবা লোকসভা চত্বরে তাঁর ‘গুণপনা’র শেষ নেই। এহেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বরখাস্ত করার দাবিতে বুধবার লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিলেন বিজেপি (BJP) সাংসদরা।

    কাচের বোতল ভেঙে বিপত্তি ঘটান কল্যাণ (Kalyan Banerjee) 

    এই সাংসদরা সবাই ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির সদস্য। এই বৈঠকে বসেই উত্তেজিত হয়ে কাচের বোতল ভেঙে বিপত্তি ঘটান তিনি। ঘটনার জেরে একদিনের জন্য সাসপেন্ডও করা হয় তৃণমূল নেতা তথা শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণকে। সংসদীয় বিধি মেনে কল্যাণের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর দায়ের করার আর্জিও জানানো হয়েছে ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির বিজেপি সদস্যদের তরফে।

    যৌথ সংসদীয় কমিটির সুপারিশ

    যৌথ সংসদীয় কমিটির বিজেপির তিন সদস্য হলেন সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, নিশিকান্ত দুবে এবং অপরাজিত সারঙ্গি। এঁরা শ্রীরামপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে সংসদীয় বিধির ৩১৬ বি(এ) ধারায় লোকসভার এথিক্স কমিটিকে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। বিজেপির তিন সাংসদ চিঠিতে লিখেছেন, কল্যাণের (Kalyan Banerjee) আচরণ ক্ষমার অযোগ্য হিংসাত্মক ছিল। এ ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে বিজেপি সদস্যদের সুপারিশ, এথিক্স কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে শ্রীরামপুরের সাংসদকে বরখাস্ত করা উচিত।

    আরও পড়ুন: বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে নতি স্বীকার, বাংলাদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ

    বিজেপির অভিযোগ, মঙ্গলবার ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত বৈঠক চলাকালীন কাচের বোতল ভেঙে জেপিসির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পালের দিকে ছুড়ে মেরেছিলেন কল্যাণ। এই ঘটনার জেরে কল্যাণের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী পদক্ষেপের দাবিও তুলেছেন বিজেপি সদস্যরা। তাঁরা লিখেছেন, গুন্ডামি, হিংসা ও প্রাণঘাতী আক্রমণের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে দক্ষ আইন প্রণয়নকারী সংস্থার সাহায্যে তদন্ত করানো যেতে পারে।

    প্রসঙ্গত, লোকসভার এথিক্স কমিটির সুপারিশে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছিল মহুয়া মৈত্রকে। তিনিও তৃণমূলের টিকিটে জিতে লোকসভায় গিয়েছিলেন। ’২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য ফের (BJP) জিতে সংসদে গিয়েছেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া (Kalyan Banerjee) মহুয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Waqf Amendment Bill: লোকসভায় পেশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল, কী কী নতুন বৈশিষ্ট্য আছে?

    Waqf Amendment Bill: লোকসভায় পেশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল, কী কী নতুন বৈশিষ্ট্য আছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার লোকসভায় পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill)। এদিন বিলটি লোকসভায় পেশ করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তিনি কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রীও। বিলটি পরে সংখ্যালঘু মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হবে বলেও সূত্রের খবর।

    নয়া আইনের লক্ষ্য (Waqf Amendment Bill)

    প্রস্তাবিত সংশোধনীটি লোকসভায় পাশের পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে আইনটির নয়া হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট এমপাওয়ারমেন্ট, এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’। এই বিলে পুরানো আইনটিতে ৪৪টি সংশোধন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই সংশোধনীর মূল লক্ষ্যই হল, একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করা। প্রস্তাবিত অন্য সংশোধনীগুলির মধ্যে রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্যে ওয়াকফ বোর্ড গঠন, যেখানে মুসলিম মহিলা এবং অ-মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

    ওয়াকফ কাউন্সিলের গঠন

    সংশোধনী অনুযায়ী, নতুন করে যে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ পরিষদ গঠিত হবে, তার চেয়ারম্যান হবেন সংখ্যলঘু বিষয়ক মন্ত্রী। পরিষদে দু’জন অমুসলিম সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক। দু’জন মহিলা সদস্যও থাকবেন। রাজ্যগুলিতে যে ওয়াকফ বোর্ড হবে, তা শিয়া ওয়াকফ বোর্ড হলে তাতে সব সদস্যই হবেন শিয়া সম্প্রদায়ের। আর সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড গঠিত হলে, তাতে থাকবেন কেবলমাত্র সুন্নি সম্প্রদায়ের লোকজনই।

    ১৯৫৪ সালে ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Bill) প্রণয়ন করে জওহরলাল নেহরুর সরকার। ১৯৯৫ সালে সংশোধনী এনে সব ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয় ওয়াকফ বোর্ডের হাতে। তার পর থেকেই বোর্ডের একছত্র অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারংবার। ওয়াকফ সম্পত্তিতে স্বচ্ছতা আনতে নানা সময় দাবি জানিয়েছিলেন গরিব মুসলমান মহিলারা। সাধারণ মুসলমান মহিলারাও স্বচ্ছতার দাবি জানিয়েছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ওয়াকফ বোর্ডে দুই মহিলা সদস্যের প্রতিনিধিত্বের কথা বলা হয়েছে নয়া সংশোধনীতে। এছাড়া, ক্যাগ নিযুক্ত অডিটার বা নিরীক্ষককে দিয়ে যে কোনও ওয়াকফ সম্পত্তি নিরীক্ষার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রকে দেওয়া হয়েছে নতুন বিলে।

    আরও পড়ুন: “যা ভাবছেন, পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ’’! মোদিকে চিঠি বাংলাদেশি হিন্দু ছাত্রীর

    ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তিতে স্বচ্ছতা আনতে চলতি বিলে ৪৪টি সংশোধনী নিয়ে আসা হয়েছে (Waqf Amendment Bill)। এতদিন ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসেবে ঘোষণার অধিকার ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। তাই ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে নানা সময় বহু গরিব মুসলমানের সম্পত্তি এবং অন্য ধর্মাবলম্বী ব্যক্তির সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এদিন যে সংশোধনীটি পেশ হয়েছে লোকসভায়, তাতে ওয়াকফ বোর্ডের একছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে তা তুলে দেওয়া হবে জেলাশাসক কিংবা (Kiren Rijiju) একই পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে (Waqf Amendment Bill)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: বিনেশকে বাতিল, বিশ্ব কুস্তি সংস্থায় প্রতিবাদ আইওএ-র, কী বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী?

    Paris Olympics 2024: বিনেশকে বাতিল, বিশ্ব কুস্তি সংস্থায় প্রতিবাদ আইওএ-র, কী বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনার লড়াইয়ে নামার আগেই প্যারিস অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) ফাইনাল থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বিনেশ ফোগাটকে (Vinesh Phogat)। ওজন বেশি হওয়ার কারণে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছেন তিনি। সারা দেশের এই হতাশা ভাগ করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। বুধবার লোকসভায় তিনি জানান, ভারতের পক্ষ থেকে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে বিনেশকে ফের প্রতিযোগিতায় ফিরিয়ে আনা যায়। বিশ্ব কুস্তি সংস্থায় এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) অ্যাসোসিয়েশন (আইওএ)।

    পিটি ঊষাকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

    এদিন সংসদে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘‘১০০ গ্রাম ওজন বেশি থাকার কারণে ভারতীয় কুস্তিগির বিনেশ ফোগাটকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বিনেশ ৫০ কেজি বিভাগে খেলছিলেন। বিশ্ব কুস্তি সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি দিন সকালে প্রতি বিভাগের খেলোয়াড়দের ওজন মেপে দেখা হয়। বুধবার বিনেশের ওজন মেপে দেখা যায়, ৫০ কেজি ১০০ গ্রাম। তাঁর খেলা বাতিল করে দেওয়া হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির কাছে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। আইওএ-র প্রেসিডেন্ট পিটি ঊষা প্যারিসে রয়েছেন। ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। উপযুক্ত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’’ 

    আপত্তি ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার

    কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জাপানের সুসাকিকে পরাস্ত করেছিলেন বিনেশ (Vinesh Phogat)। তারপর সেমিতে কিউবার গুজম্যানকে। স্বপ্ন দেখছিল ভারতবাসী। সেমিফাইনালে জিতে ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন বিনেশ। এর আগে কোনও ভারতীয় মহিলা অলিম্পিক্সের কুস্তির প্রতিযোগিতায় ওই পর্যায়ে পৌঁছতে পারেননি। কিন্তু এরপরই দুঃস্বপ্ন। অলিম্পিক্সের নিয়ম অনুযায়ী, ওজন বেশি হলে ওই প্রতিযোগীকে পদকের দৌড় থেকে সরিয়ে তালিকার একেবারে শেষে রাখা হয়। বিনেশের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। তবে, হাল ছাড়ছে না ভারত। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক কুস্তি সংস্থার কাছে কড়া আপত্তি জানিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক (Paris Olympics 2024) সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: রত্ন ভান্ডারের ভিতর গোপন সুড়ঙ্গ! পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে হতে পারে লেজার স্ক্যানিং

    ক্রীড়ামন্ত্রকের সাহায্য

    কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী এদিন জানান, বিনেশকে অলিম্পিকের (Paris Olympics 2024) প্রস্তুতির জন্য সকল সহায়তা করেছে সরকার। তাঁর প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যক্তিগত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। হাঙ্গেরির বিখ্যাত কোচ ওলেস আকোস এবং ফিজিও অশ্বিনী পাটিল তাঁর সঙ্গে সবসময় থাকেন। এছাড়া, দুজন স্পারিং পার্টনার্স (অনুশীলনের সহযোগী), স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং বিশেষজ্ঞ রাখার জন্য বিনেশকে অর্থ সহায়তা করেছে মোদি সরকার। তারপরেও এই ঘটনা দুঃখজনক। সূত্রের খবর, বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিনেশ। তাঁকে প্যারিসের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর শরীরে জলের ঘাটতি থাকায় এই অসুস্থতা। সারা রাত ধরে ওজন কমানোর জন্য পরিশ্রম করেছিলেন বিনেশ। তাই সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনই অনুমান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saumitra Khan: “রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে”, তোপ সৌমিত্রর

    Saumitra Khan: “রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে”, তোপ সৌমিত্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল এবং আদালতকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।” মঙ্গলবার লোকসভায় এই ভাষায়ই তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আক্রমণ শানালেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরপর তিনবার জয়ী হয়েছেন সৌমিত্র। বিজেপির এই সাংসদকেই এবার সংসদে দেখা গেল ফুল ফর্মে। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করে সৌমিত্র বলেন, “বাংলায় বিরোধীদের স্বাধীনতা নেই, বিজেপির ২০০ জন কার্যকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে।”

    কী লিখেছেন সৌমিত্র? (Saumitra Khan)

    এদিন ফেসবুক পেজেও ভিডিও পোস্ট করেছেন সৌমিত্র। পোস্টে লিখেছেন, ‘তৃতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হয়ে অষ্টাদশ লোকসভায় মহামহিম রাষ্ট্রপতি মহোদয়ার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সূত্রে বলার সুযোগ পেলাম।’ এখানেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং লোকসভার বিরোধী জোটকেও চাঁদমারি করেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষকে প্রণাম জানান সৌমিত্র। তৃতীয়বার তাঁকে সাংসদ নির্বাচিত করায় তাঁদের ধন্যবাদও জানান তিনি। সরব হন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও।

    ‘বিরোধীদের স্বাধীনতা নেই’

    বিষ্ণুপুরের সাংসদ (Saumitra Khan) বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে পশ্চিমবঙ্গে কখনও নির্বাচন হবে না। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন ছাড়া এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ও মিউনিসিপ্যাল ভোট হয় না।” পদ্ম-সাংসদ বলেন, “আমাদের ২০০ জন কার্যকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। ওখানে বিরোধীদের কোনও স্বাধীনতা নেই। বিরোধীদের কিছু বলার অধিকার নেই। বিরোধীপক্ষের সাংসদ-বিধায়কদের বৈঠকে ডাকেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।”

    আর পড়ুন: “মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবেন না”, রাহুলের ‘হিন্দু’-মন্তব্য প্রসঙ্গে বললেন মোদি

    কোচবিহারকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে সৌমিত্র বলেন, “কোচবিহারে কেবল বিজেপি করায় এক মহিলাকে রাস্তায় নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছিল। এটা কি তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি?” বক্তব্য শেয়ার করে সৌমিত্র লিখেছেন, “কয়েকদিন পরে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু জাতি শেষ হয়ে যাবে।” বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেন, “তৃণমূল মহিলাদের সম্মানের কথা বলছে। ওদের মুখে এ কথা মানায় না। চোপড়ায় এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে তৃণমূলের নেতা। এরা আবার বড় বড় কথা বলছে (Saumitra Khan)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “লোকসভায় রাহুল গান্ধীর মতো আচরণ করবেন না”, এনডিএ-র বৈঠকে বললেন মোদি

    PM Modi: “লোকসভায় রাহুল গান্ধীর মতো আচরণ করবেন না”, এনডিএ-র বৈঠকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতো আচরণ করবেন না।” মঙ্গলবার এনডিএ-র (NDA) পার্লামেন্টারি বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর এই প্রথম এনডিএর সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মোদি। সেখানেই লোকসভায় কী রকম আচরণ করতে হয়, নয়া সাংসদদের সেই বিষয়ে পরামর্শ দিতে গিয়ে রাহুলের প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির (PM Modi)

    একজন চা-বিক্রেতা কীভাবে পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রী পদে বসলেন, কীভাবেই বা তিনি ছুঁয়ে ফেললেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরুর রেকর্ড, এদিনের বৈঠকে সেই কাহিনিও শোনান নব নির্বাচিত এনডিএ সাংসদদের। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বিরোধীপক্ষের সদস্যদের পূর্বপুরুষ (নিশানায় নেহরু-গান্ধী পরিবার) প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাই তাঁরা নিজেদের বৃত্তের বাইরের লোকজনকে খুব একটা মান্যতা দেন না।”

    সাংসদদের কী পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী?

    তিনি বলেন, “আপনারা সবাই পড়াশোনা করে এসে যে কোনও বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলুন, আলোচনায় অংশ নিন।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “সাংসদদের তাঁদের এলাকায় জনসাধারণের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।” জনকল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার যেসব প্রকল্প চালু করেছে, সেগুলি সম্পর্কেও জনগণকে অবহিত করার পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী। কোনও না কোনও ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের পরামর্শও এনডিএ (NDA) সাংসদদের দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের পর সংসদের উভয় কক্ষে ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মাঝে এনডিএর সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আর পড়ুন: রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন মোদি, আমেরিকাকে ঠিক কোন বার্তা দিতে চাইছে ভারত?

    বৈঠকের শেষে, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের অনেক পরামর্শ দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “পার্লামেন্টে রাহুল গান্ধীর ভাষা ঠিক ছিল না। তাই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সংসদে আমাদের এমন আচরণ করা উচিত নয়।” তিনি বলেন, “নিয়ম মেনে প্রত্যেক সাংসদকে হাউসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের কাজকে বেশি করে গুরুত্বও দিতে বলেছেন তিনি।”

    রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আজ আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের সেবা করতেই জনগণ নির্বাচন করেছেন সাংসদদের। তাই দলমত নির্বিশেষে দেশের কাজকেই তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত।” পরিবেশ, সমাজ, রাজনীতি – যাঁর যে বিষয়ে আগ্রহ, তাঁর সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Modi vs Rahul Gandhi: সংসদে রাহুল-মোদি বাকযুদ্ধ! বিরোধী দলনেতার ‘হিন্দুত্ব’ মন্তব্যে পাল্টা জবাব প্রধানমন্ত্রীর

    Modi vs Rahul Gandhi: সংসদে রাহুল-মোদি বাকযুদ্ধ! বিরোধী দলনেতার ‘হিন্দুত্ব’ মন্তব্যে পাল্টা জবাব প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রথমবার অষ্টাদশ লোকসভায় ভাষণ রাহুল গান্ধীর। কিন্তু বিরোধী দলনেতার প্রথম ভাষণেই তুলকালাম বাঁধল লোকসভায়। এদিন নিজের ভাষণে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) মন্তব্য করেন, ”হিন্দুরা কখনই হিংসা ছড়ায় না। কিন্তু বিজেপি গোটা দেশে হিংসা এবং ঘৃণা ছড়িয়ে চলেছে। যদিও আমাদের মনে রাখতে হবে যে বিজেপি এবং আরএসএসই সম্পূর্ণ হিন্দু সম্প্রদায় নয়।” আর কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।   

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্য (Modi vs Rahul Gandhi) 

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতেই সংসদে (Lok Sabha) ঝড় তুললেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সাংসদ এদিন গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ”ভারতের ধারণা, সংবিধানকে বিজেপি আক্রমণ করেছে।” তিনি আরও বলেন, ”ভারতের ধারণা, সংবিধান এবং বিজেপির প্রস্তাবিত ধারণার বিরোধী লক্ষ লক্ষ লোকের উপর নিয়ম মাফিক আক্রমণ করা হচ্ছিল। আমার ওপরেও আক্রমণ শানানো হয়েছে। আমাদের বিরোধীদের অনেকের ওপরই ব্যক্তিগতভাবে হামলা হয়েছে। যারা যারা ক্ষমতা, সম্পদের কেন্দ্রীভূত করার বিরোধিতা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো হয়েছে এবং যারা দরিদ্র, দলিত, সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, তাদেরও নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। লোকজনকে জেলে ঢোকানো হয়েছে এবং হুমকি দেওয়া হয়েছে।” এরপর রাহুল গান্ধী বলেন, ”আমাদের সমস্ত মহাপুরুষরা অহিংসার কথা বলেছেন। কিন্তু, যারা নিজেদেরকে হিন্দু বলে দাবি করে, তারা শুধু হিংসা, ঘৃণা, অসত্যের কথা বলে… আপনারা হিন্দুই না।” 

    কী জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী?   

    এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাঁড়িয়ে উঠে বলেন, ”গোটা হিন্দু সমাজকে এভাবে হিংসত্মক বলে দাবি করা হচ্ছে। এটা খুবই গুরুতর বিষয়।” এরপর রাহুল (Modi vs Rahul Gandhi) পাল্টা জবাবে বলেন, ”নরেন্দ্র মোদি সমগ্র হিন্দু সমাজ নন। বিজেপি পুরো হিন্দু সমাজ নয়। আরএসএস সমগ্র হিন্দু সমাজ নয়। এটা বিজেপির কোনও চুক্তি নয়।” 

    আরও পড়ুন: কোচবিহার-চোপড়া নিয়ে চাপে রাজ্য, বিধানসভায় ধর্না বিজেপির, রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    প্রসঙ্গত, এদিন প্রথম থেকেই সংসদে (Lok Sabha) আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন রাহুল গান্ধী। নিজের ভাষণ দেওয়ার সময় রাহুল গান্ধী শিবঠাকুরের একটি ছবি তুলে ধরেন। এরপর তাঁর হিন্দু মন্তব্যের জেরে সংসদে হট্টোগোল শুরু হয়। যদিও সেসময় রাহুলকে বাধা দিয়ে স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, ”সংসদে কোনও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের নিয়ম নেই।” বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের মাঝেই আসরে নামেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি রাহুলের হিন্দু মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। বিজেপির বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগের প্রতিবাদ করেন তিনি। বলেন, এভাবে কোনও দলকে দোষারোপ করা যায় না। এমনকি এদিন বিরোধী দলনেতাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share