Tag: lok sabha

lok sabha

  • Mahua Moitra: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বসবে ৪ ডিসেম্বর, পেশ হবে মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ!

    Mahua Moitra: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বসবে ৪ ডিসেম্বর, পেশ হবে মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে সংসদের এথিক্স কমিটি। যেহেতু এটি কেবলই রিপোর্ট মাত্র, নির্দেশ নয় এবং সেই নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা এথিক্স কমিটির নেইও, তাই সাংসদকে এখনই লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে না।

    সংসদের নিয়ম

    সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, এথিক্স কমিটির সুপারিশ লোকসভার স্পিকার পেশ করবেন সংসদের কোনও অধিবেশনে। বিরোধীরা আলোচনা চাইলে স্পিকার তা আদৌ গ্রহণ করবেন কিনা, তা তাঁর বিষয়। তবে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর। অধিবেশন বসবে (Mahua Moitra) নয়া সংসদ ভবনে। চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, “ভারতে এখন অমৃতকাল চলছে। এই সময় সংসদ ভবনে ব্যবসা ও অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।”

    সংসদের শীতকালীন অধিবেশন

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “সংসদে শীতকালীন অধিবেশন ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে শুরু করে চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১০ দিনের মধ্যে ১৫টি সভা বসবে। অধিবেশনে ব্যবসা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।” এই অধিবেশনে যদি মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের ব্যাপারে এথিক্স কমিটির প্রস্তাব পেশ হয়, তাহলে এ নিয়ে ভোটাভুটি পর্যন্ত হতে পারে। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভায় যেহেতু বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, তাই এথিক্স কমিটির ওই সুপারিশ পাশ করানো বিজেপির পক্ষে কোনও কঠিন কাজ নয়।

    আরও পড়ুুন: অযোধ্যার রামমন্দিরের ‘অক্ষত চাল’ এল বাংলায়, ডিসেম্বরে পৌঁছাবে গ্রামে গ্রামে

    চলতি মাসেই হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ফল বের হবে ৩ ডিসেম্বর। তার পরের দিনই বসছে সংসদ। এই অধিবেশনে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির পরিবর্তে আচার সংসহিতা চালু সংক্রান্ত বিল পেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিলও পেশ করা হতে পারে। সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই পেশ হওয়ার কথা ছিল বিলটির। যেহেতু সেই সময় সেই সুযোগ হয়নি, তাই চলতি অধিবেশনেই পেশ করা হতে পারে তা। মহুয়াকে (Mahua Moitra) নিয়ে এথিক্স কমিটির সুপারিশের বিষয়টিও উঠতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: বড় পদক্ষেপ এথিক্স কমিটির, কেন্দ্রের থেকে চাওয়া হল মহুয়ার বিদেশযাত্রার তথ্য

    Mahua Moitra: বড় পদক্ষেপ এথিক্স কমিটির, কেন্দ্রের থেকে চাওয়া হল মহুয়ার বিদেশযাত্রার তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লোকসভার সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিদেশযাত্রা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাইল লোকসভার এথিক্স কমিটি। অভিযুক্ত সাংসদের বিদেশযাত্রা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের কাছে চাওয়া হয়েছে কমিটির তরফে। একইসঙ্গে মহুয়াকে ঘুষ দেওয়ায় অভিযুক্ত দুবাইবাসী ভারতীয় শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির বিভিন্ন দেশে যাওয়ার তথ্যও চেয়েছে ওই কমিটি। প্রসঙ্গত, এই শিল্পপতির কাছ থেকেই অর্থ ও উপহার নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তোলার অভিযোগে কাঠগড়ায় মহুয়া।

    এথিক্স কমিটির তৎপরতা

    তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগকারী দু’জন। একজন সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবে এবং অন্যজন আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। এই দু’জনকেই তলব করে তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করেছে এথিক্স কমিটি। ৩১ অক্টোবর, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মহুয়াকে এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরাও দিতে বলা হয়েছে। মহুয়া এথিক্স কমিটির সামনে আসার আগেই তাঁর বিদেশযাত্রা সংক্রান্ত তথ্য হাতে পেতে মরিয়া কমিটি। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে কোন কোন তারিখে কোথা থেকে মহুয়ার সংসদের অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করা হয়েছিল।

    হীরানন্দানির হলফনামা

    মহুয়াকে (Mahua Moitra) ব্যবহার করে লোকসভায় আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কিত প্রশ্ন যে তিনি তুলেছেন, হলফনামায় তা স্বীকার করে নিয়েছেন শিল্পপতি হীরানন্দানি। মহুয়া যে সংসদের লগ-ইন আইডি তাঁকে দিয়েছিলেন, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন হীরানন্দানি। গত সপ্তাহেই স্বাক্ষর করা হলফনামায় হীরানন্দানি মেনে নিয়েছেন যে তিনি মোদি সরকার এবং আদানি গোষ্ঠীকে অস্বস্তিতে ফেলার মতো প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়াকে ব্যবহার করেছেন। দর্শন হিরানন্দানি জানান, অর্থ ও দামি উপহারের বিনিময়ে তৃণমূল সাংসদ তাঁর সংসদীয় ই-মেল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে দেন। সেখানেই যাবতীয় প্রশ্ন লিখে পাঠাতেন তিনি। আদানি গোষ্ঠী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চাপে ফেলতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ, তা প্রায় মেনে নিয়েছেন সেই ব্যবসায়ী। 

    আরও পড়ুুন: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে ইডি!

    ৩১ তারিখ যাবেন না মহুয়া মৈত্র

    এদিকে, ৩১ তারিখে তাঁর পক্ষে এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ। মহুয়া জানিয়েছেন, ওই দিন তাঁর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে। তবে ৫ নভেম্বরের পর যে কোনও দিন দিল্লিতে এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দিতে পারবেন তিনি। মহুয়া লিখেছেন, “আমি পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি, যেখানে দুর্গাপুজো সব থেকে বড় উৎসব। আমার আগে থেকেই একাধিক বিজয়া দশমী সম্মেলনে (সরকারি ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে) যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর অবধি আমার কেন্দ্রে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে, সেই কারণে আমি ৩১ অক্টোবর দিল্লিতে যেতে পারব না।” মহুয়া (Mahua Moitra) বলেন, “ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিরও কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়া উচিত এবং আমায় যে বিভিন্ন দামি দামি উপহার দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, তার বিস্তারিত তালিকা পেশ করা উচিত। হিরানন্দানির মৌখিক বয়ান ছাড়া এই তদন্ত অসম্পূর্ণ ও পক্ষপাতদুষ্ট হবে। এটা ক্যাঙ্গারু কোর্ট বসানোর সমার্থক হয়ে যাবে। কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার আগে হিরানন্দানিকেও তলব করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Mahua Moitra: ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন! কাঠগড়ায় তৃণমূলের মহুয়া

    Mahua Moitra: ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন! কাঠগড়ায় তৃণমূলের মহুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠল কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে চিঠি পাঠালেন সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবে। মহুয়ার সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।

    মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আইনজীবীরও

    আইনজীবী অনন্ত দেহাদরিও মহুয়ার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে চিঠি দিয়েছেন সিবিআই প্রধানকে। নিশিকান্ত ও অনন্ত দু’জনেরই অভিযোগ, ব্যবসায়ী দর্শন হিরনানদানির কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম জড়িয়েছেন মহুয়া।

    স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ

    রবিবার স্পিকারকে (Mahua Moitra) দেওয়া চিঠিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গ ও সংসদের অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশিকান্তর দাবি, ব্যবসায়ী হিরনানদানির স্বার্থ দেখতে নগদ টাকা ও উপহারের বিনিময়ে লোকসভায় প্রায় ৫০টি প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। তাঁর দাবি, বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ। তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন শোনার পর সরব হয়েছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সাংসদ সৌগত রায়ের নামও উল্লেখ করেছেন গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ।

    ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বরের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন নিশিকান্ত। তিনি লিখেছেন, চতুর্দশতম লোকসভায় ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বর অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ উঠলে তৎকালীন স্পিকার একটি  তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন। তদন্তের পরে মাত্র ২৩ দিনের মধ্যে লোকসভার ১০ সাংসদকে অপসারিত করা হয়েছিল। মহুয়াকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করার আর্জি জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: সোমবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় ‘রাম মন্দির’ উদ্বোধনে অমিত শাহ, সাজো সাজো রব

    এক্স হ্যান্ডেলে মহুয়া (Mahua Moitra) বলেন, “যে কোনও তদন্তের জন্য প্রস্তুত।” তাঁর সংযোজন, সিবিআইকেও স্বাগত জানাচ্ছি। তারা আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করতে পারে। কিন্তু তার আগে আদানির সমস্ত অর্থ কোন পথে সমুদ্রের ওপারে পৌঁছচ্ছে, সেটাও তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Women’s Reservation Bill: লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ, কী আছে এই বিলে? কবে থেকে কার্যকর?

    Women’s Reservation Bill: লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ, কী আছে এই বিলে? কবে থেকে কার্যকর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পেশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women’s Reservation Bill)। মঙ্গলবার দীর্ঘ আলোচনার পর নতুন সংসদ ভবনে আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এই বিল পেশ করেন। গত ২৭ বছর ধরে মহিলা সংরক্ষণ বিল আলোচনা হলেও, তা পাস করাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। বিশেষ অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করার পক্ষে সওয়াল করেছে বিরোধী দলগুলি। এদিন লোকসভায় (Lok Sabha) মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ (Women’s Reservation Bill) করার পর বিজেপির মহিলা কর্মীরা আনন্দে মাতেন৷ 

    মহিলা সংরক্ষণ বিলে কী বলা হয়েছে 

    মহিলা সংরক্ষণ বিলের (Women’s Reservation Bill) অধীনে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণের বিধান রয়েছে। বর্তমানে লোকসভায় ১৫ শতাংশ আসনে মহিলা সাংসদ রয়েছেন। এই বিলটি  সংসদে প্রথম পেশ হয় ১৯৯৬ সালে  ১২ সেপ্টেম্বর। পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে লোকসভায় ৭৮ জন মহিলা সাংসদ রয়েছেন।  ১৯৯৬ সালে এইচডি দেবগৌড়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মহিলা সংরক্ষণ বিল বাস্তবায়নের দাবি ওঠে। বিলটি সংসদে পেশ করার ব্যাপারে সহমতেও পৌঁছায় সরকার ও বিরোধী দলগুলি। কিন্তু বিলটি পেশ করার আগেই পতন হয় দেবগৌড়া সরকারের। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলেও মহিলা সংরক্ষণ বিল সংসদে পেশ নিয়ে কথা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণে তা আটকে যায়। 

    আরও পড়ুন: খালিস্তান ইস্যুতে পাল্টা জবাব দিল্লির! কানাডার শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার ভারতের

    মহিলা সংরক্ষণ বিলে আসন সংখ্যা 

    যদি পশ্চিমবঙ্গের কথা বলা হয়, তাহলে লোকসভায় আসনসংখ্যা হল ৪২। অন্যদিকে বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৯৪। এই অবস্থায় এই বিল পাশ হলে, পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসন মহিলাদের (Women’s Reservation Bill) জন্য সংরক্ষিত হবে। আর বিধানসভার কথা ধরলে ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ৯৮টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হবে। যদি সারা দেশের কথা ধরা হয়, তাহলে লোকসভার মোট ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১৭৯টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হবে। আর রাজ্য বিধানসভাগুলিতে ৪১২৩টি আসনের মধ্যে ১৩৬১টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

    মহিলা সংরক্ষণ বিল কবে থেকে কার্যকর

    মহিলা সংরক্ষণ বিলটি ঘূর্ণায়মান ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। ১৮০টি লোকসভা আসনে দ্বৈত সদস্যপদ থাকবে। এই আসনগুলির এক তৃতীয়াংশ তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। ২০২৭-এর সীমানা নির্ধারণের পরে একই সংখ্যক আসন বৃদ্ধি করা হবে এবং মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে। সূত্রের খবর, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনা করা হলেও, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা নেই। সেক্ষেত্রে ২০২৯ লোকসভা নির্বাচনে বাস্তবায়িত করা হতে পারে বলে মিলেছে ইঙ্গিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সংসদের বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে হুইপ জারি বিজেপির

    BJP: সংসদের বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে হুইপ জারি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশনে যাতে দলীয় সাংসদরা উপস্থিত থাকেন তাই হুইপ জারি করল বিজেপি (BJP)। সব মিলিয়ে তিন লাইন লেখা। তাতে বলা হয়েছে, ‘লোকসভার সব বিজেপি সদস্যকে জানানো হচ্ছে যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সেগুলি সংসদে পাশ করানোর জন্য ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর বিশেষ অধিবেশন বসছে। আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে যে, এই পাঁচ দিনই আপনারা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে লোকসভায় উপস্থিত থাকবেন এবং সরকারের অবস্থান  সমর্থন করবেন।’

    বিশেষ অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই জানানো হয়েছে বিশেষ অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল ছাড়াও (BJP) আরও যে তিনটি বিল পেশ করা হবে সেগুলি হল, অ্যাডভোকেটস (সংশোধনী) বিল, ২০২৩, দ্য প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ পিরিওডিক্যালস বিল, ২০২৩ এবং পোস্ট অফিস বিল, ২০২৩। অধিবেশনের প্রথম দিন লোকসভায় ৭৫ বছরের সংসদীয় যাত্রার বিষয়ে আলোচনা হবে।

    সংবিধান সভা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সংসদের সাফল্য, অভিজ্ঞতা, স্মৃতি ও শিক্ষা নিয়ে আলোচনা হবে। অধিবেশনের আগের দিন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। সেখানেও এই অ্যাজেন্ডা নিয়ে হবে আলোচনা।

    সংসদের বিশেষ অধিবেশন

    সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখে বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। পাঁচ দিনের এই অধিবেশন চলবে ২২ তারিখ পর্যন্ত। অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করা হয়নি বলে দিন কয়েক আগে ইন্ডি জোটের (INDIA) তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। তার জবাবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ঠিক সময়েই জানানো হবে অ্যাজেন্ডা। শেষমেশ বুধবার কেন্দ্রের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভায় দু’টি করে গুরুত্বপূর্ণ বিল (BJP) পেশ করা হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল।

    আরও পড়ুুন: “ওরা সনাতন ধর্মকে মুছে দিতে চায়”, মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় ইন্ডি-জোট

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

       

     

  • No Confidence Motion: অনাস্থা বিতর্কে ছক্কা হাঁকাল বিজেপি, মুখে কুলুপ রাহুলের

    No Confidence Motion: অনাস্থা বিতর্কে ছক্কা হাঁকাল বিজেপি, মুখে কুলুপ রাহুলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধীরা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে অনাস্থা নিয়ে আলোচনা (No Confidence Motion)। এদিন অধিবেশনের শুরুতেই বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে মূল সুরটি বেঁধে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছিলেন, “অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় বিরোধীদের প্রত্যেকটি বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিতে হবে।” সেই মতো এদিন অনাস্থা বিতর্কের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল বিজেপি।

    “এটা কোনও অনাস্থা নয়”

    সাড়ে চার মাস পরে এদিন সংসদে এলেও, মুখ খোলেননি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের তরফে প্রথমে মুখ খোলেন সাংসদ গৌরব গগৈ। প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে তিনি বলেন, “ভুল স্বীকার করতে হবে বলেই মৌন রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।” প্রসঙ্গত, এই গৌরবই নিয়ে এসেছিলেন অনাস্থা প্রস্তাব। গৌরবের পরেই বক্তৃতা করতে ওঠেন সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবে। তিনি বলেন, “এটা কোনও অনাস্থা ভোট নয়। এটা আসলে বিরোধীদের আস্থা পরীক্ষার ভোট। বিরোধীরা আসলে দেখতে চান, কে কে তাঁদের সমর্থন করছেন। বিরোধীরা (No Confidence Motion) নিজেদের মধ্যে লড়াই করছেন।” নিশিকান্ত বলেন, “ইন্ডিয়ার যতজন সাংসদ রয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন, তাঁদের মধ্যে মাত্র কয়েকজনই এর পুরো নাম বলতে পারবেন। এটা কোনও অনাস্থা নয়। এটা আসলে বিরোধীদের আস্থা পরীক্ষার ভোট।”

    এনডিএর প্রতিবাদ

    অনাস্থা বিতর্কে অংশ নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তোলেন সাংসদ কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি। তিনি বলেন, “৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের চার বছর পরেও জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন করা হয়নি।” এর প্রতিবাদ করেন এনডিএ সাংসদরা। তাঁরা বলেন, “বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই সংসদে এ নিয়ে আলোচনা করা ঠিক নয়।” অনাস্থা (No Confidence Motion) বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির কিরেন রিজিজুও। তিনি বলেন, “মণিপুরে হিংসার জন্য দায়ী ইউপিএ জমানা। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য কাজ করে আস্থা অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণেই টোকিও অলিম্পিকে সাতটি পদক জিততে পেরেছে ভারত।”

    আরও পড়ুুন: “চিনের কাছে অর্থ নিয়ে ভারতকে ভাগ করতে চায় কংগ্রেস”, তোপ বিজেপি সাংসদের

    বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’কেও নিশানা করেন রিজিজু। বলেন, “ইন্ডিয়া নাম নিলেও, কিছু হবে না। কারণ ওরা কাজ করছে ভারতের বিরুদ্ধে।” উদ্ধব শিবিরের শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত বলেন, “মণিপুর নিয়ে ৭০ দিন ধরে মৌন ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ওরা মৌন না থাকলে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হত না।” এদিকে, বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব (No Confidence Motion) সমর্থন করেনি বিজেডি। দলের সাংসদ পিনাকী মিশ্র জানান, তাঁর দল কংগ্রেস বিরোধী। তাই এই প্রস্তাবে সমর্থন জানাবেন না তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Data Protection Bill: লোকসভায় পাশ ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল, জানেন কী আছে বিলে?

    Data Protection Bill: লোকসভায় পাশ ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল, জানেন কী আছে বিলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হয়ে গেল ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল (Data Protection Bill) ২০২৩। বিলটিতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্য প্রোটেকশন আইন লঙ্ঘিত হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে কম করে ৫০ কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই লোকসভায় পেশ হয়েছিল বিলটি। বিলটি পুনর্বিবেচনার জন্য স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। সোমবার লোকসভায় সেই বিলটিই পাশ হয়ে গেল ধ্বনি ভোটে।

    প্রথমবার বিলটি পেশ হয়েছিল ২০১৯ সালে

    ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে লোকসভায় বিলটি পেশ করেছিল মোদি সরকার। বিলটি পাঠানো হয়েছিল সংসদের যুগ্ম কমিটির কাছে। বিলটি নিয়ে আলোচনার পর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে রিপোর্ট পাঠায় যুগ্ম কমিটি। সেই সময় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এবং সংস্থা আপত্তি জানায় বিলটিতে। শেষমেশ ২০২২ সালের অগাস্টে প্রত্যাহার করা হয় বিলটি। নয়া খসড়া বানিয়ে ফের পেশ করা হয় বৃহস্পতিবার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের ডিজিটাল (Data Protection Bill) প্রয়াস গোটা বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ভারতকে দেখেই অনেক দেশ ইউপিআই চালু করার চেষ্টা করছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সৌজন্যে বর্তমানে শহর থেকে গ্রামকে অনায়াসেই সংযুক্ত করা যায়। ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার অধিকারকে সুনিশ্চিত করতেই এই বিল আনার সিদ্ধান্ত। সংসদীয় কমিটির একাধিক বৈঠকের পর এই বিলটি তৈরি করা হয়।”

    তথ্য সুরক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব

    এই বিলে একটি তথ্য সুরক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, এই বোর্ড যদি তদন্তের পর জানায়, কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা এই ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা আইনের বিধানগুলি লঙ্ঘন করেছে, তাহলে ওই ব্যক্তি বা সংস্থাকে প্রথমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। পরে করা হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার চার ‘অযোগ্য’ শিক্ষক, পাঠানো হল প্রেসিডেন্সির গারদে

    ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল (Data Protection Bill) ২০২৩ বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে কোনও পদক্ষেপ করা হলে কেন্দ্রীয় সরকার, তথ্য সুরক্ষা বোর্ড, বোর্ডের চেয়ারপার্সন এবং বোর্ডের কোনও সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনও মামলা বা অন্য কোনও আইনি প্রক্রিয়া করা যাবে না। তথ্য সুরক্ষা বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী, জনসাধারণের স্বার্থে কোনও বিষয়বস্তু ব্লক করতে পারবে কেন্দ্র। জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো জরুরি পরিস্থিতিতে আইনিভাবে এই সব ডিজিটাল তথ্য ব্যবহার করতে পারবে কেন্দ্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Parliament Monsoon Session: হুবহু মিলে গেল মোদির ‘ভবিষ্যদ্বাণী’! সেই বাদল অধিবেশনেই অনাস্থা পেশ বিরোধীদের

    Parliament Monsoon Session: হুবহু মিলে গেল মোদির ‘ভবিষ্যদ্বাণী’! সেই বাদল অধিবেশনেই অনাস্থা পেশ বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ন’বছরে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। বুধবার বিরোধী দলগুলির জোট ‘ইন্ডিয়া’র হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। বিআরএসের হয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস জমা দেন সাংসদ নামা নাগেশ্বর রাও। ইতিমধ্যে এই অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। বিরোধীদের আনা অনাস্থার আবহেই সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি পুরনো বক্তৃতা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী জানাচ্ছেন যে, ২০২৩ সালে আবারও অনাস্থা প্রস্তাব আনার ‘সুযোগ পাবেন’ বিরোধীরা। ভিডিওটি ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।

    মোদির ‘ভবিষ্যৎ বাণী’ 

    বিজেপির দাবি, ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সংসদের বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক চলছিল। সেই সময় মোদি বলেছিলেন, “আমি (আপনাদের) শুভেচ্ছা জানাতে চাই। প্রস্তুত থাকুন, কারণ আপনারা আবার ২০২৩ সালে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সুযোগ পাবেন।” সেই দিনের বক্তব্যে কংগ্রেসের নাম না করেই মোদী বলেছিলেন, “অহঙ্কারের কারণে আপনারা ৪০০ (লোকসভার সাংসদ) থেকে ৪০-এ এসে পৌঁছেছেন।” এই ভিডিওটি তুলে ধরেই বিজেপির তরফে মোদির ‘নির্ভুল অনুমান’-এর প্রশংসা করা হচ্ছে। 

    ভাবতে নারাজ বিজেপি

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে সংসদের বাদল অধিবেশনেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। সেই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছিল কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিজেপি-বিরোধী দল। বিজেপির সংখ্যাধিক্যের জোরে বিরোধীদের আনা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছিল। সেবারও বিরোধীরা পরাস্ত হয় ৩২৫- ১২৫-এর ব্যবধানে। এবারও একই ঘটনা ঘটবে, দাবি বিজেপির। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব সম্পর্কে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং বিজেপির উপর মানুষের আস্থা রয়েছে। বিরোধীরা আগেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। কিন্তু মানুষ ওদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘শ্যালিকার মত উনিও দেশের বাইরে পালাতে চাইছেন..’, অভিষেককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    সংসদীয় বিধি অনুযায়ী লোকসভার স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস গ্রহণ করার ১০ দিনের মধ্যেই তা নিয়ে সংসদে বিতর্কের সূচনা হওয়ার কথা। এ বিষয়ে দিন নির্ধারণের ক্ষমতা এক মাত্র স্পিকারের। কবে কখন এই মর্মে ভোটাভুটি হবে তা নির্ধারিত সময় জানাবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ২৬৭ না ১৭৬! মণিপুর নিয়ে আলোচনা হবে কোন ধারায়? 

    Manipur Violence: ২৬৭ না ১৭৬! মণিপুর নিয়ে আলোচনা হবে কোন ধারায়? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session of Parliament) দ্বিতীয় দিনও মণিপুর প্রসঙ্গ নিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী সাংসদরা। ২৬৭ না কি ১৭৬? কোন ধারায় মণিপুর হিংসা (Manipur Violence) নিয়ে আলোচনা হবে, তা নিয়ে তরজা শুরু হয় বিরোধী এবং সরকারপক্ষের। আর সেই হট্টগোলের জেরে আবার মুলতুবি হয়ে গেল অধিবেশন।

    কোন ধারায় আলোচনা

    ২৬৭ ধারায় লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সব কর্মসূচি বন্ধ রেখে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ‘ঘটনা’-সহ মণিপুরের (Manipur Violence) সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিস দিয়েছিল কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিরোধী দল। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি সরকার। কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ২৬৭ ধারার পরিবর্তে ১৭৬ ধারায় আলোচনা চেয়েছেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১৭৬ ধারায় কেবলমাত্র তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ‘স্বল্পকালীন আলোচনা’ হয় সংসদে। এতে সংসদের সাধারণ কার্যকলাপ বন্ধ রাখারও প্রয়োজন হয় না। লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ২৬৭ ধারায় আলোচনার দাবিতে সায় না দেওয়ায় বিরোধী সাংসদেরা প্রতিবাদ শুরু করেন। 

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মতামত

    এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “মণিপুরের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। মণিপুরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে মণিপুরের ঘটনা গোটা দেশকে লজ্জিত করেছে। আমি সর্বদলীয় বৈঠকেও বলেছিলাম, এখনও বলছি আমরা চাই মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে আলোচনা হোক। কিন্তু বিরোধীরা মণিপুর নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী নয়। বেশ কিছু বিরোধী দল ইচ্ছাকৃতভাবে সংসদে অশান্তি করছেন যাতে আলোচনা না হতে পারে। আমি অভিযোগ জানিয়েই বলছি, মণিপুরের পরিস্থিতিকে যতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত, বিরোধীরা তা করছে না।”

    আরও পড়ুন: ট্যুইটারে জনপ্রিয়তার নিরিখে বাইডেন-সুনককে পিছনে ফেললেন মোদি

    বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “দেশের মানুষ আশা নিয়ে সংসদের অধিবেশন (Monsoon Session of Parliament) দেখতে বসেন, অথচ বিরোধীরা অধিবেশন চালাতে দেন না, আলোচনায় অংশ নেন না। তখন এঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।” বিরোধীদের সরকারের প্রকৃত চেহারা প্রকাশ্যে চলে আসবে বলেই তাঁরা আলোচনা থেকে পালাতে চান বলেও কটাক্ষ করেছেন অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, “আমরা সংবেদনশীল, দায়িত্বশীল, আলোচনায় অংশ নিতে চাই। আর বিরোধীরা দায়িত্ব থেকে পালাতে চায় এবং আলোচনা থেকেও পালাতে চায়।” এভাবে দিনের পর দিন সংসদ অচল থাকলে দেশের ক্ষতি বলে মনে করে সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Afzal Ansari: রাহুলের পর এবার সাংসদ পদ খারিজ হল বিএসপির আফজল আনসারির

    Afzal Ansari: রাহুলের পর এবার সাংসদ পদ খারিজ হল বিএসপির আফজল আনসারির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় সাংসদ পদ খুইয়েছেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul)। এবার সাংসদ পদ খোয়ালেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির (BSP) আফজল আনসারি (Afzal Ansari)। শনিবার উত্তর প্রদেশের একটি আদালত আফজলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়। তার পরেই লোকসভার সচিবালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেয়, আফজল আনসারির সাংসদ পদ বাতিল করা হল। প্রসঙ্গত, সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাংসদের কারাদণ্ড হলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়।

    আফজল আনসারির (Afzal Ansari) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    আফজলের (Afzal Ansari) বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৫ সালে উত্তর প্রদেশের গাজিপুরে বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাইকে অপহরণ করে খুন করেছিলেন। উত্তর প্রদেশের ওই আদালত শনিবার গ্যাংস্টার রাজনীতিক মুখতার আনসারিকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। এই মুখতারেরই ভাই আফজল। জরিমানার পাশাপাশি আফজলকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। তার পরেই খারিজ হয়ে যায় তাঁর সাংসদ পদ। প্রসঙ্গত, গুজরাটের সুরাটের একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২৩ মার্চ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে দু বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।

    আরও পড়ুুন: দাড়িভিটে ছাত্র মৃত্যু, হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কর্নাটকের কোল্লারের এক জনসভায় রাহুল বলেছিলেন, সব চোরের পদবি মোদি হয় কী করে? নীরব মোদি, ললিত মোদি, নরেন্দ্র মোদি…। এর পরেই গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি সুরাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মামলাও হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে দু বছরের কারাদণ্ড দেয়। এর পরের দিনই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে লোকসভার সচিবালয়। নগর দায়রা আদালতেও আবেদন করে সাজা মকুব হয়নি রাহুলের। ফের তিনি আবেদন করেন গুজরাট হাইকোর্টে। শনিবার শুনানি হয়। পরবর্তী শুনানি ৮ মে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share