Tag: London

London

  • Success Story: লন্ডনের চাকরি ছেড়ে আইএএস হন দিব্যা, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে গ্রামে করেন জলের ব্যবস্থা

    Success Story: লন্ডনের চাকরি ছেড়ে আইএএস হন দিব্যা, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে গ্রামে করেন জলের ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএসসি, ক্যাট, জয়েন্ট এন্ট্রাস দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয় (Success Story)। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে যেকোনও একটিতেও পাশ করা যে কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে বড় সাফল্য মনে করা হয়। আমাদের প্রতিবেদনে এমন একজন আইএএস আধিকারিক (IAS Divya Mittal) সম্পর্কে জানব যিনি এই তিনটি কঠিন পরীক্ষাতেই পাশ করেছেন। হরিয়ানার দিব্যা মিত্তাল। প্রথমে জয়েন্ট এন্ট্রাস, তারপর ক্যাট এবং অবশেষে ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হয়েছেন। কাজে যোগ দেন উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের জেলা শাসক হিসেবে। এখানকার হালিয়া ব্লকের লাহুরিয়াদহ গ্রামে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও জল ছিল না। আইএএস আধিকারিক হিসেবে দিব্যা মিত্তাল ওই গ্রামে প্রথম জলের ব্যবস্থা করেন। তাঁর এই কাজের জন্য সকলেই দিব্যাকে কুর্নিশ জানান।

    দিব্যা মিত্তাল হরিয়ানার রেওয়ারির বাসিন্দা (Success Story)

    জানা যায়, দিব্যা মিত্তাল হরিয়ানার রেওয়ারির বাসিন্দা (Success Story)। তিনি কোনওরকম কোচিং ছাড়াই প্রথম প্রচেষ্টাতেই ইউপিএসসি-র CSSE পরীক্ষায় পাশ করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রথমে তিনি আইপিএস অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু পরে মনস্থির করেন আইএস অফিসার হবেন। তাই আবার দেন ইউপিএসসি। র‌্যাঙ্ক আসে ৬৮। নির্বাচিত হন আইএএস আধিকারিক হিসেবে।

    লন্ডনে চাকরি ছেড়ে ভারতে ফিরে আসেন

    দিব্যা মিত্তালের যাত্রা শুরু হয়েছিল দিল্লি আইআইটি থেকে। বিটেক ডিগ্রি নেওয়ার পরে তিনি ক্যাট পরীক্ষা দেন (Success Story)। এরপরে আইআইএম বেঙ্গালুরু থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপরে লন্ডনের একবড় কোম্পানিতে কাজে যোগ দেন। তবে, দেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে আনে। শুরু করেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি। জানা গিয়েছে,তাঁর স্বামী গগনদীপ সিংও একজন আইএএস অফিসার।

    পড়ুয়াদের কী টিপস দিলেন দিব্যা?

    ইউপিএসসির পরীক্ষার্থীদের প্রতি দিব্যার টিপস, মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকতেই হবে। তিনি বলেন যে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি যাঁরা নিচ্ছেন, তাঁদের অবশ্যই নিজেদের লক্ষ্যের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। মুসৌরির এলবিএসএনএএ-তে, সিভিল সার্ভিস অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেখানেই অসাধারণ পারফরম্যান্সের (Success Story) অশোক বাম্বাওয়ালে পুরস্কার পান দিব্যা মিত্তাল।

  • Sheikh Hasina: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    Sheikh Hasina: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে সরাসরি ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে আঙুল তুললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিবুর-কন‍্যার দাবি, “কোনও কোটা ছিল না। সব দাবি মানা হয়েছিল। কিন্তু, দাবি মানার পরও কেন আন্দোলন চলে? এই আন্দোলনে কোনও নেতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে এটা যে গভীর চক্রান্ত, তা বোঝা যাচ্ছিল। লাশ চাইনি আমি, তাই সরতে হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। হিন্দু-সংখ্যালঘুদর উপর নির্বিচারে আক্রমণ করা হচ্ছে। যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।” রবিবার ব্রিটেনের এক সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতায় এমনই দাবি করলে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    অশান্ত বাংলাদেশে এখন অরাজকতা

    ব্রিটেনে আওয়ামি লিগের সমর্থকরা রবিবার একটি সভার আয়োজন করেছিল। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই সভাতেই ভাষণ দিলেন হাসিনা। সভায় হাসিনা দাবি করেন, বাংলাদেশে এখন ‘অরাজকতা’ চলছে। নাগরিকদের কোনও শান্তি নেই সেখানে। তাঁর কথায়, ‘‘ঘরে শান্তিতে ঘুমোনোর উপায় নেই। চুরি, ডাকাতি হচ্ছে। যে কোনও সময় তদন্ত হতে পারে। এই তদন্তের নির্দেশ কে দিচ্ছেন?’’ এদিন লন্ডনে ওই অনুষ্ঠানে বহু মানুষ জমায়েত হন। হাসিনা বলেন, “আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। এখন বাংলাদেশে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত মানুষ। বাংলাদেশ এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সারা বাংলাদেশ জ্বলছে।” 

    আওয়ামি লিগ যেভাবে বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছে, সেকথা তুলে ধরেন হাসিনা। তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলাম। আমি মানুষের জীবন নিতে আসিনি। আমি মানুষের জীবন উন্নত করেছি। এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি বলেই আমাকে এখন বিচারের কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা করছে।” আওয়ামি লিগের গণসংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্র লিগ’ হাসিনার এই বক্তৃতার ভিডিও সমাজমাধ্যমে দিয়েছে। 

    সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার

    সম্প্রতি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আক্রান্ত হন বাংলাদেশের হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। হাসিনার এদিনের বক্তব্যে উঠে আসে চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “আইনজীবী পর্যন্ত দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। অথচ কেউ আইনজীবী দাঁড় করাতে না পারলে সরকারের তরফে আইনজীবী দেওয়া দরকার।” বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বদলাবে বলে আশাবাদী হাসিনা। 

    আরও পড়ুন: হিন্দু নির্যাতনের মাশুল! বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ত্রিপুরার হোটেলের দ্বার

    হাসিনা এ-ও দাবি করেছেন, জনবিক্ষোভের সময় তিনি ‘শক্তি প্রয়োগ’ করেননি। যদি তা করতেন, তা হলে বহু মানুষের প্রাণ যেত। তাঁর কথায়, ‘‘আমি শক্তি প্রয়োগ করলে লাশ পড়ত। আমি চাইনি মানুষের প্রাণ যাক। পুলিশ রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে।’’ এর পরেই নোবেলজয়ী ইউনূসের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ইউনূস মাস্টারমাইন্ড, খুনি, ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী। আবু সঈদের হত্যার জন্য এই মাস্টারমাইন্ডরাই দায়ী। তাঁরা চেয়েছিলেন, লাশ ফেল, তা হলে সরকার পড়ে যাবে।’’ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছেন যে, কেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হচ্ছে? কেন মন্দির, গির্জা ধ্বংস করা হয়েছে? তবে, এই কালো দিন দূর হবে বলেই আশা হাসিার। তিনি বলেন, “এই অন্ধকার কেটে যাবে। নতুন সূর্যের উদয় হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: ধনতেরাসে ঘরে এল লক্ষ্মী! ১০২ টন সোনা ব্রিটেন থেকে দেশে ফেরাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    RBI: ধনতেরাসে ঘরে এল লক্ষ্মী! ১০২ টন সোনা ব্রিটেন থেকে দেশে ফেরাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধনতেরাসে (Dhanteras 2024) ব্রিটেন থেকে ১০২ টন সোনা দেশে ফেরাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) সোনা সংরক্ষণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৫৫ মেট্রিক টন। যার মধ্যে ৫১০.৫ টনই বর্তমানে দেশে সংরক্ষিত হয়ে রয়েছে। প্রসঙ্গত, ৮৫৫ টন সোনার মধ্যে ৩২৪ টন সোনা ব্রিটেনের দুটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত হয়ে রয়েছে। যার মধ্যে একটি হল, ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড এবং অপরটি হল ব্যাঙ্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্ট। ১৬৯৭ সাল থেকেই দ্য ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড বিশ্বব্যাপী সোনা সংরক্ষণের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করে বলে জানা গিয়েছে। এর অবস্থান হল ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে।

    দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সোনার দাম

    দেশের আভ্যন্তরীণ বাজারে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সোনার দাম। বর্তমানে মুম্বইয়ে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৭৮ হাজার ৭৪৫ টাকায় পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামীতে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে। আগামী বছরে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৮৫ হাজার টাকায় পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে গত মে মাস নাগাদও প্রায় ১০০ টনেরও বেশি ওজনের সোনা দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকে এত বেশি পরিমাণ সোনা একসঙ্গে এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যায়নি ভারত।

    ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই মোদি সরকার সোনা দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে (RBI)

    ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই মোদি সরকারের নির্দেশে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইংল্যান্ডের ভল্ট থেকে সোনা দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। দু’বছরে এখনও এখনও পর্যন্ত ২১৪ টন সোনা এল দেশে। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের ভল্টে থাকা সোনা দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা চালিয়েছিল আরবিআই (RBI)। কেন্দ্রের তরফে সবুজ সংকেত মেলার পরই এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাতে যত পরিমাণ সোনা রয়েছে, তার এক-চতুর্থাংশ মার্চের শেষে ব্রিটেন থেকে নিয়ে আসা হয়।
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest Rally: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে প্রবাসীদের প্রতিবাদ মিছিল লন্ডনে

    Bangladesh Protest Rally: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে প্রবাসীদের প্রতিবাদ মিছিল লন্ডনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। মহিলাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে একের পর এক মন্দির। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অসহায় হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হলেন বাংলাদেশি (Bangladesh Protest Rally) ও ভারতীয় প্রবাসী সদস্যরা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে মৌলবাদী গোষ্ঠীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের (London) রাজপথে প্ল্যাকার্ড হাতে শত শত মানুষ সামিল হন।

    প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ (Bangladesh Protest Rally)

    বাংলাদেশি (Bangladesh Protest Rally) এবং ভারতীয় প্রবাসী সদস্যরা আইকনিক বিগ বেনের কাছে জড়ো হন। সেখান থেকে প্রতিবাদ মিছিল করে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের দিকে এগিয়ে যান। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করার দাবিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে সরব হন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরাও যোগ দিয়েছিলেন। সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। বিশেষ করে, হিন্দুরা যাঁরা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশজুড়ে গণহত্যার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। মিছিলে প্রতিবাদকারীদের হাতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা বন্ধ করার প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ এবং অপরাধীদের চিহ্নিত ও শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভকারীরা ৫ অগাস্ট সারা বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ৪০টিরও বেশি ঘটনার একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের

    বিক্ষোভকারীরা কী বললেন?

    প্রতিবাদ মিছিলের (Bangladesh Protest Rally) পর প্রতিবাদকারীদের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাই এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ধর্ষণ ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। মানবাধিকার লঙ্ঘন উদ্বেগজনক এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী বিক্ষোভকারীদের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের জন্য এটা একটি গুরুতর হুমকি। চরমপন্থী গোষ্ঠী এবং নির্দিষ্ট কিছু ইসলামিক সংগঠন রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ১৯৪৭ এবং ১৯৭১ সালের ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভাঙচুর করে অপমান করা হয়েছে। এসব ঘটনা ইঙ্গিত করে যে চরমপন্থীরা রাজনৈতিক ইস্যুকে সামনে রেখে এসব করছে। কারণ, ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিতে মূর্তি নিষিদ্ধ।

    বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ

    হাসিনা পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশ (Bangladesh Protest Rally) জুড়ে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। এর আগে,  অস্ট্রেলিয়ান ইহুদি অ্যাসোসিয়েশনও (এজেএ) বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। মঙ্গলবার ৬ অগাস্ট  জারি করা একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ান ইহুদি অ্যাসোসিয়েশনের সিইও রবার্ট গ্রেগরি বলেন, “বাংলাদেশে আমরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ভয়ঙ্কর ফুটেজ দেখেছি। অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে অবশ্যই নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Embassy: অগ্নিগর্ভ ব্রিটেন! আন্দোলনের আঁচ থেকে বাঁচতে ভারতীয়দের নির্দেশিকা হাইকমিশনের

    Indian Embassy: অগ্নিগর্ভ ব্রিটেন! আন্দোলনের আঁচ থেকে বাঁচতে ভারতীয়দের নির্দেশিকা হাইকমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুষ্কৃতী হামলাকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন (UK issues) শুরু হয়েছে ব্রিটেনে, এবার সেই আন্দোলনের আঁচ থেকে ব্রিটেনে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের বাঁচাতে সতর্কবার্তা জারি করেছে ভারতীয় হাইকমিশন (Indian Embassy)। যাঁরা ভারত থেকে ব্রিটেনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে তাঁদেরকেও। 

    কী কারণে এই বিক্ষোভ? (UK issues) 

    সম্প্রতি ব্রিটেনের সাউথপোর্টে এক নাচের ক্লাসে ছুরি নিয়ে হামলা চালায় এক দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩ জনের। রটে যায় ওই হামলাকারী একজন অভিবাসী এবং ইসলামিক কট্টরপন্থী। তার পর থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ মানুষ। দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বর্তমানে কার্যত যা দাঙ্গার রূপ নিয়েছে। জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দোকান ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ উঠছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতেই ব্রিটেনে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করল ভারতীয় হাইকমিশন (Indian Embassy)। তবে ইতিমধ্যেই এ ঘতনায় ঘটনায় ১৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: নারী ক্ষমতায়নে জোর, ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় সম্মানিত হবেন ১৫০ জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian Embassy)

    মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে নির্দেশিকা জারি করে হাইকমিশনের তরফে জানানো হয়, ‘গত কয়েকদিন ধরে ব্রিটেনের বেশ কিছু জায়গায় অশান্তি ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এখানে যে ভারতীয়রা রয়েছেন এবং যাঁরা ভারত থেকে আসছেন, তাঁদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারতীয় হাইকমিশন। সকলকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর খবরে নজর রাখুন, তারপর ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিন। যেখানে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সেই জায়গাগুলোয় এড়িয়ে চলুন। কোনও প্রয়োজন হলে হাইকমিশনের এমারজেন্সি নম্বর ৪৪২০৭৮৩৬৯১৪৭ এবং মেল আইডি inf.london@mea.gov.in-তে যোগাযোগ করুন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • London: হিন্দু সহপাঠীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা, লন্ডনের স্কুলে বহিষ্কৃত ৩ পড়ুয়া

    London: হিন্দু সহপাঠীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা, লন্ডনের স্কুলে বহিষ্কৃত ৩ পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনজন মুসলিম ছাত্রকে বহিষ্কার করল লন্ডনের স্প্রিংওয়েল স্কুল (London)। মুসলিম পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, এক হিন্দু সহপাঠীকে তারা জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত (Forced Conversion) করার চেষ্টা করেছিল। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা। এরপরই মূলত অভিভাবকদের চাপে ওই মুসলিম পড়ুয়াদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে ওই মুসলিম ছাত্ররা জোর করে ওই হিন্দু ছাত্রকে নিজের নাম রাখতে বলে মহম্মদ এবং তাকে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হতে থাকে এই বিষয়ে। এর পাশাপাশি ওই হিন্দু ছাত্রের হাতের ধাগাও কাঁচি দিয়ে কেটে দিতে চেয়েছিল ওই মুসলিম ছাত্ররা, এমনটাই অভিযোগ।

    হিন্দু ছাত্রকে হালাল মাংস খাওয়ারও পরামর্শ (London) 

    শুধু তাই নয়, ওই হিন্দু ছাত্রকে (Forced Conversion) হালাল মাংস খাওয়ারও পরামর্শ দেয় তারা। মুসলিম ছাত্ররা জানিয়েছিল যে হালাল মাংস খেলে হিন্দু ছাত্রটি আরও বেশি শক্তিশালী হবে। প্রসঙ্গত, হিন্দু ছাত্রটি একজন নিরামিষ ভোজী জানার পরেও এমন কাজ করতে থাকে ওই মুসলিম পড়ুয়ারা (London)। ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে যখন ওই হিন্দু ছাত্রটি বাড়ি ফেরে এবং তার ব্যবহারে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তার অভিভাবকরা।

    ফোন করে বাড়িতে একদিন ওই ছাত্র জানায় সে নিজের নাম মহম্মদ রাখতে চায় 

    ওই হিন্দু ছাত্রের মা জানিয়েছেন যে এক দিনে ফোন করে হঠাৎই তাঁর ছেলে বলে যে আমার নাম পরিবর্তন করে মহম্মদ রাখব। এরপরেই আসল সত্য বেরিয়ে আসে। জানা যায়, মুসলিম বন্ধুরা ওই হিন্দু পড়ুয়াকে ক্রমাগত উস্কানি দিচ্ছিল ইসলাম ধর্মান্তরিত হতে (London)। এরপরে ওই হিন্দু ছাত্রের অভিভাবকরা স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পুরো বিষয়টি জানান। আরও অভিযোগ করেন অভিভাবকরা যে এ ধরনের কার্যকলাপের মাধ্যমে হিন্দু ছাত্রটিকে উত্যক্ত করা হচ্ছে। এরপরেই ওই ঘটনার ওপর তদন্ত শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকদের অভিযোগের সত্যতা সামনে আসে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এরপরেই ওই তিন মুসলিম ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Olympics 2024: কেরল থেকে সাইকেলে প্যারিস! ৩০টি দেশ ঘুরে অলিম্পিক্সের আসরে নীরজ-ভক্ত

    Olympics 2024: কেরল থেকে সাইকেলে প্যারিস! ৩০টি দেশ ঘুরে অলিম্পিক্সের আসরে নীরজ-ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়টা কম নয় ২ বছর। আর পথটা, ২২০০০ কিলোমিটার। সাইকেল চালিয়ে অবশেষে কালিকট থেকে প্যারিসে (Paris) পৌঁছেছেন নীরজ চোপড়ার ভক্ত (Neeraj Chopra Fan) ফায়েস আশরাফ আলি। এটাও সম্ভব! বাস্তব তাই বলছে। ২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট কেরলের কালিকট থেকে সাইকেল চালিয়ে যাত্রা শুরু করেন ফায়েস। তাঁর লক্ষ্য ছিল ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সে (Olympics 2024) সামনে থেকে নীরজকে সমর্থন করা। ৩০টি দেশ পেরিয়ে অবশেষে তিনি প্যারিসে গিয়ে পৌঁছেছেন। 

    শান্তি ও ঐক্যের বার্তা

    মূলত শান্তি ও ঐক্যের বার্তা দিতে ভারত থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন আলি। ভারত থেকে বেরিয়ে মোট ১৭টি দেশে সাইকেল চালিয়ে গত বছরের ১ অগাস্ট বিকেলে বুদাপেস্টে যান তিনি। সেখানে তিনি জানতে পারেন, টোকিও অলিম্পিক্সের সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া সেখানে রয়েছেন।

    বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার জন্য অ্যাথলিট দলের সঙ্গে ছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি চেষ্টা করে নীরজের সঙ্গে দেখা করেন এবং দেখা করার পর নীরজ তাঁকে প্যারিসে আমন্ত্রণ জানান। আশরাফ বলেন, “নীরজ আমাকে বলেছিলেন, সাইকেলে করে লন্ডনে এলেন, প্যারিসে চলে আসুন অলিম্পিক্সের (Olympics 2024) আসরে। তখনই লক্ষ্য স্থির করি।”

    আরও পড়ুন: সনাতন ধর্মে অগাধ আস্থা! মোদিতে মুগ্ধ রণবীর কাপুর

    প্যারিসে পদকের আশা

    আলি চার জোড়া পোশাক, একটা তাঁবু একটা স্লিপিং ব্যাগ, একটা ম্যাট নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন অলিম্পিক্সের (Olympics 2024) উদ্দেশে। সব মিলিয়ে তাঁর সাইকেলের ওজন যায় প্রায় ৫০ কিলো। তিনি বলেন, ‘আমি হোটেলে একদিনও থাকিনি এবং আমি যাওয়ার পথে কিছু স্পনসর পেয়েছি। এরমাঝে আমাকে কেরলে যেতে হয়েছিল ভিসার জন্য।’ সম্প্রতি তিনি প্যারিস অলিম্পিক্সে ইন্ডিয়া হাউসে গিয়ে পৌঁছেছেন। আপাতত তিনি এখন প্যারিসেই থাকবেন। ৮ অগাস্ট নীরজের হয়ে গলা ফাটাবেন ফের একটা স্বর্ণ পদকের জন্য। ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্সে জ্যাভেলিন থ্রো ইভেন্টে সোনা জয় করেছিলেন ভারতের তারকা অ্যাথলিট নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra Fan)। আশা করা হচ্ছে, এই বছরও তিনি সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wagh Nakh: কড়া নিরাপত্তায় লন্ডন থেকে ভারতে ফিরল ছত্রপতি শিবাজির বাঘ নখ

    Wagh Nakh: কড়া নিরাপত্তায় লন্ডন থেকে ভারতে ফিরল ছত্রপতি শিবাজির বাঘ নখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ফিরেছে ছত্রপতি শিবাজির (Chhatrapati Shivaji) ব্যবহৃত বাঘ নখ (Wagh Nakh)। মুঘল সেনাপতি আফজল খাঁকে এই গুপ্ত অস্ত্র দিয়েই হত্যা করেছিলেন শিবাজি। লন্ডন থেকে এ দেশে বাঘ নখ এলেও, তা চিরকালের জন্য আসছে না। এসেছে মাত্র তিন বছরের জন্য। তিন বছর পরেই বাঘ নখ ফিরে যাবে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট সংগ্রহশালায়।

    কী বলছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী? (Wagh Nakh)

    মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতিমন্ত্রী সুধীর মুঙ্গান্তিওয়ার বলেন, “সেই বাঘ নখ ভারতে চলে এসেছে। তিন বছরের জন্য এ দেশে থাকবে। শিবাজির ব্যবহৃত এই নখ রাখা হবে সাতারায় শিবাজি সংগ্রহশালায়।” মন্ত্রী বলেন, “এ বছর আমরা ছত্রপতি শিবাজির রাজ্যাভিষেকের সাড়ে তিনশো বছর পূর্তি পালন করছি। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। যে বাঘ নখ দিয়ে শিবাজি মহারাজ মুঘল সেনাপতিকে হত্যা করেছিলেন, সেই বাঘ নখটি আমরা সর্বসাধারণকে দেখার সুযোগ করে দিতে চাই। তাই এটিকে সংগ্রহশালায় রাখা হবে।”

    বাঘ নখ ফেরাতে স্বাক্ষরিত মউ

    মন্ত্রী জানান, প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এই বাঘ নখ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু সমঝোতা স্মারকের কিছু বাধ্যবাধকতার জন্যই তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাঘ নখটি রাখা হচ্ছে শিবাজি সংগ্রহশালায়ই। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে মউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষের। সেই চুক্তি অনুযায়ী, তিন বছরের জন্য শিবাজির বাঘ নখ নিয়ে আসা হচ্ছে ভারতে।

    আরও পড়ুন: ‘সংরক্ষণ বিল পেশে ব্যর্থ হলে কর্নাটক ফুঁসবে’, কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি পদ্মের

    জানা গিয়েছে, কড়া বুলেটপ্রুফ নিরাপত্তায় শিবাজির ব্যবহৃত ওই অস্ত্র (Wagh Nakh) ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান, লন্ডন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ প্রথমে বাঘ নখটি এক বছরের জন্য ভারতে রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্র সরকার অনেক বুঝিয়ে তাঁদের রাজি করিয়েছেন সেটি এ দেশে তিন বছর রাখার জন্য। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, অনেক চেষ্টার পর শেষমেশ বাঘ নখ মহারাষ্ট্রে নিয়ে আসা হয়েছে (Chhatrapati Shivaji)। এর যাবতীয় ক্রেডিট প্রাপ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সরকারের (Wagh Nakh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wimbledon 2024: উইম্বলডন প্রতিযোগিতায় লাইন আম্পায়ার শ্রীরামপুরের দুই যুবক

    Wimbledon 2024: উইম্বলডন প্রতিযোগিতায় লাইন আম্পায়ার শ্রীরামপুরের দুই যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেনিস প্রেমীদের পছন্দের প্রতিযোগিতা হল উইম্বলডন (Wimbledon 2024)। এবার এই উইম্বলডন খেলার লাইন আম্পায়ারিং করানোর জন্য লন্ডন পাড়ি দিতে চলেছেন হুগলির শ্রীরামপুরের দুই যুবক। আগামী ২০ জুন লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তাঁরা। খেলায় লাইন আম্পায়ার হিসাবে খেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন সৈকত রায় এবং সোমনাথ মান্না।

    তাবড় তাবড় টেনিস প্লেয়াররা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন (Wimbledon 2024)

    উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপে (Wimbledon 2024) সারা বিশ্বের তাবড় তাবড় টেনিস প্লেয়াররা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাফায়েল নাদাল, পিট সাম্প্রাস, ইভান ল্যান্ডল, বরিস বেকার, রজার ফেডেরার, নোভাক জকোভিচ, ভেনাস উইলিয়ামস, সেরেনা উইলিয়াম প্রমুখ খেলোয়াড়রা খেলেছেন। প্রত্যেকের লক্ষ্য থাকে উইম্বলডনের গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতার। এবার এই খেলা পরিচালনার গুরুদায়িত্ব পালন করবেন বঙ্গের দুই সন্তান। শ্রীরামপুরে এখন উৎসবের আবহ।

    ২০১০ থেকে তার যাত্রা শুরু সৈকতের

    দীর্ঘ দশবছরের বেশি সময় ধরে এই খেলার প্রতিযোগিতায় আম্পায়ারিং (Wimbledon 2024) করে আসছেন সৈকত রায়। শ্রীরামপুরে মাসির বাড়ি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা তিনি। প্রথম জীবনে মূলত হাত খরচ চালানোর জন্য লন টেনিসের লাইনে আম্পায়ারিং করা শুরু করেছিলেন। ১৯৯৮ সালে কলকাতায় একটি প্রতিযোগিতার কাজে এসেছিলেন উইম্বলডনের মূল রেফারি জেরি আমস্ট্রং। সেখানে জেরির সঙ্গে আলাপ হয় সৈকতের। সেই সময় জেরি তাঁকে অনুপ্রেরণা দেন, এরপর থেকে এই লাইন আম্পায়ারিংকেই পেশা হিসাবে যেন গ্রহণ করেন তিনি। তার ঠিক ১০ বছর পর লন্ডনে যাওয়ার ডাক আসে। ২০১০ থেকে তাঁর যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে তাঁকে আর পিছনের দিকে তাকাতে হয়নি। একাধিক বার বড় বড় প্রতিযোগিতায় পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। পরিবারে খুশির আবহ।

    আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে এক লাফে ৪৯ ধাপ এগিয়ে গেল খড়্গপুর আইআইটি

    ১ জুলাই খেলা শুরু লন্ডনে

    অপর দিকে ২০১১ সাল থেকে উইম্বলডন (Wimbledon 2024) খেলায় লাইন আম্পায়ার হিসাবে কাজ করে আসছেন শ্রীরামপুরের নাগরার আরেকম বাসিন্দা সোমনাথ মান্না। তিনিও এই বছর ২০ জুন তারিখে যাত্রা করবেন। সৈকত এবং সোমনাথ উভয়ের জন্য গর্বিত গোটা শ্রীরামপুরবাসী। এই বছর উইম্বলডন খেলা শুরু হতে চলেছে ১ জুলাই। গোটা বিশ্বের তারকা লন টেনিস প্লেয়ারদের খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন এই দুই বঙ্গ সন্তান। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই প্রতিযোগিতার দিকে নজর থাকবে সারা বিশ্ব টেনিস প্রেমীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Student: লন্ডনে ট্রাকের ধাক্কায় ভারতীয় পিএইচডি ছাত্রীর মৃত্যু! 

    Indian Student: লন্ডনে ট্রাকের ধাক্কায় ভারতীয় পিএইচডি ছাত্রীর মৃত্যু! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিদেশের মাটিতে ভারতীয় পড়ুয়ার (Indian Student) মৃত্যু। লন্ডনে সাইকেলে করে নিজের ঘরে ফেরার সময় ট্রাকের ধাক্কায় ছাত্রীটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত ছাত্রীর নাম চেস্থা কোছার। বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর। চেস্থা আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, অশোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করেছিলেন। ঘটনার কথা আজ প্রকাশিত হলেও গত সপ্তাহেই এই মৃত্যু ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছে।

    গতকালই আবার আমেরিকার পেনসিলভ্যানিয়ায় একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২১ বছরের এক ভারতীয় তরুণীর। নিহত তরুণীর নাম হল আর্শিয়া জোশি। এই বিষয়ে নিউ ইয়র্কের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তরুণীর দেহ যত দ্রুত সম্ভব ভারতে ফেরানো হবে। সূত্রে জানা গিয়েছে ওই তরুণী নিজে দিল্লির বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনায় পরিবারে ব্যাপক শোকের ছায়া। 

    নীতি আয়োগ দফতরের কর্মী ছিলেন চেস্থা (Indian Student)

    গবেষক ছাত্রী (Indian Student) চেস্থা কেন্দ্র সরকারের নীতি আয়োগ দফতরের কর্মী ছিলেন। ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই দফতরে কাজ করেছেন। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে বিহেভিয়ারল সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করছিলেন তিনি। এই কাজের সূত্রেই লন্ডনে থাকছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন অবসর প্রাাপ্ত লেফটন্যান্ট জেনারেল ডক্টর এস পি কোছার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার মহানির্দেশক ছিলেন লেফটেন্যান্ট কোছার। তিনি অবশ্য প্রথমে সামাজিক মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যুর খবর পান।

    ১৯ মার্চ ঘটেছিল দুর্ঘটনা

    কোছারের একটি পোস্ট থেকে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সাইকেল করে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে। লেফটেন্যান্ট কোছার এখন লন্ডনে রয়েছেন। মেয়ের (Indian Student) মৃতদেহ ফিরে পাওয়ার প্রশাসনিক কাজ শেষ হলে ভারতে ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে। অপরদিকে লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে ফেরিংডন ও ক্লার্কেনওয়েলের মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। ঘটনায় গুরুতর আঘাত পান চেস্থা। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়নি।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share