Tag: Madhyom

Madhyom

  • Operation Sindhu: ইরান ও ইজরায়েল থেকে এখনও ফিরছেন ভারতীয়রা, অপারেশন সিন্ধু চলবে কতদিন?

    Operation Sindhu: ইরান ও ইজরায়েল থেকে এখনও ফিরছেন ভারতীয়রা, অপারেশন সিন্ধু চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিন্ধুর (Operation Sindhu) আওতায় ইরান থেকে উদ্ধার হওয়া ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,১৫৪ জন। মঙ্গলবার ভারত ইরান ও ইজরায়েল থেকে ১,১০০-র বেশি ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধার করেছে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে ‘অপারেশন সিন্ধু’ শুরু করে ভারত। ইজরায়েল থেকে ৫৯৪ জন ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বুধবার ২৯৬ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৪ জন নেপালের নাগরিককে ইরান থেকে সরিয়ে নিয়েছে ভারত। তবে ধীরে ধীরে অপারেশন সিন্ধুর গতি কমানো হচ্ছে। কারণ এখন ইরান ও ইজরায়েল দুই দেশের মধ্যেই সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    ইজরায়েল থেকে কীভাবে ফেরানো হল

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ ভারী পরিবহণকারী বিমান ব্যবহার করে ৪০০ জনের বেশি মানুষকে জর্ডান ও মিশরের স্থলপথ দিয়ে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে বিমানযোগে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৬১ জন ভারতীয় প্রথমে স্থলপথে ইজরায়েল থেকে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে পৌঁছান। সেখান থেকে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে দিল্লি নিয়ে আসা হয় তাঁদের। বিমানবন্দরে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান বিদেশ প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মার্ঘেরিটা। ইজরায়েল থেকে জর্ডানে যাওয়া আরও ১৬৫ জন ভারতীয়কে ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ বিমানে দিল্লি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁদের অভ্যর্থনা করেন প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান। এছাড়াও, ইজরায়েল থেকে মিশরে যাওয়া ২৬৮ জন ভারতীয়কে শারম-এল-শেখ শহর থেকে সি-১৭ বিমানে তুলে দিল্লি আনা হয়েছে।

    ইরান থেকে এল কতজন

    বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুটি চার্টার্ড বিমানে মোট ৫৭৩ জন ভারতীয়, তিনজন শ্রীলঙ্কান এবং দু’জন নেপালিকে ইরান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গত কয়েকদিনে ইরান থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরে আরও বেশ কয়েকটি বিমান ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইজরায়েল ও ইরান একে অপরের শহর, সামরিক ও কৌশলগত স্থাপনা লক্ষ্য করে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। রবিবার সকালে ইরানের তিনটি প্রধান পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন বোমা হামলার পর উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। গত ১৮ জুন থেকে ইরানের মাশহাদ শহর, আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভান ও তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদ থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে ভারত। ইরান মাশহাদ থেকে তিনটি চার্টার্ড ফ্লাইট সুবিধার্থে ২০ জুন আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। প্রথম বিমানটি গত সপ্তাহের শুক্রবার গভীর রাতে ২৯০ জন ভারতীয়কে নিয়ে নয়াদিল্লিতে অবতরণ করেছিল এবং দ্বিতীয় বিমানটি শনিবার বিকেলে ৩১০ জন ভারতীয়কে নিয়ে দিল্লিতে অবতরণ করেছিল। বৃহস্পতিবার আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভান থেকে আরেকটি বিমান দেশে পৌঁছায়।

  • Rajasthan: সত্যিই বইত সরস্বতী! ঋগ্বেদে উল্লিখিত নদীর হদিশ পেলেন পুরাতত্ত্ববিদরা, জানুন বিশদে

    Rajasthan: সত্যিই বইত সরস্বতী! ঋগ্বেদে উল্লিখিত নদীর হদিশ পেলেন পুরাতত্ত্ববিদরা, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হদিশ মিলল ঋগ্বেদে উল্লিখিত সরস্বতী নদীর! ভারতের পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ (এএসআই) রাজস্থানের দীগ জেলার বাহাজ গ্রামে ২৩ মিটার গভীরে একটি পুরানো নদীধারা (এএসআইয়ের ভাষায়, পালিওচ্যানেল) খুঁড়ে বের করেছে। ইতিহাসবিদ এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের একাংশ একে ঋগ্বেদে উল্লিখিত (Rajasthan) পৌরাণিক সরস্বতী নদী বলে উল্লেখ করেছেন। খনন কার্য শুরু হয় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে। শেষ হয় চলতি (Saraswati River) বছরের মে মাসে। এই খনন কার্যের ফলে ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়ে এই নদীর তীরে জনবসতিরও প্রমাণ মিলেছে।

    সরস্বতী অববাহিকা (Rajasthan)

    এখানে যেসব নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে, তার অধিকাংশই কুষাণ, মগধ এবং শুঙ্গ রাজবংশের সময়ের। এদের মধ্যে সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হল পালিওচ্যানেলটি। এএসআইয়ের জয়পুর বিভাগের সুপারিনটেন্ডিং আর্কিওলজিস্ট বিনয় গুপ্ত বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “এই প্রাচীন নদী ব্যবস্থা প্রাথমিক মানব বসতিগুলিকে পুষ্টি জুগিয়েছিল এবং বাহাজকে বৃহত্তর সরস্বতী অববাহিকা সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করেছিল।” পালিওচ্যানেলটিকে একটি অভূতপূর্ব আবিষ্কার হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “এটি প্রমাণ করে যে এই অঞ্চলে প্রাচীন জল ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে একটি সভ্যতা বিকাশ লাভ করেছিল।”

    কী বলছেন ইতিহাসবিদরা

    মথুরা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে বাহাজ গ্রাম। এই জায়গার সংরক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সংস্কৃতিমন্ত্রকে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে এএসআই। অন্যান্য আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছে মাটির খুঁটি সহ আবাসিক কাঠামোর অবশিষ্টাংশ, প্রাচীরযুক্ত খাত, চুল্লি এবং নানা ধরণের লোহা ও তামার নিদর্শন। ইতিহাসবিদদের মতে, মাইক্রোলিথিক সরঞ্জাম বা ক্ষুদ্র পাথরের যন্ত্রপাতি থেকে বোঝা যায় যে এই বসতির শেকড় প্রাক-হোলোসিন যুগ পর্যন্ত বিস্তৃত (Rajasthan)। গত মাসে দীগে এক প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী চলাকালীন গুপ্ত বলেন, “চুল্লি ও ধাতব বস্তু আবিষ্কারের মাধ্যমে বোঝা যায়, এখানকার বাসিন্দারা ধাতুবিদ্যায় যথেষ্ট উন্নত জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন।”

    খননকারী দলের খুঁজে পাওয়া আধ্যাত্মিক নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে ১৫টি যজ্ঞকুণ্ড, শক্তি উপাসনার জন্য উৎসর্গীকৃত মানতের জলাধার এবং শিব ও পার্বতীর টেরাকোটার মূর্তি, যেগুলির ইতিহাস কমপক্ষে খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ সাল পর্যন্ত প্রসারিত। পুরাতত্ত্ববিদরা চারটি সিলও খুঁজে পেয়েছেন। এর মধ্যে দুটি ব্রাহ্মী লিপিতে (Saraswati River) খোদাই করা। এগুলিকে উপমহাদেশে ব্রাহ্মী লিপির সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন বলে মনে করা হয়। গুপ্ত বলেন, “বাহাজের এই খননকার্য ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোকে ফের লেখার দাবি রাখে (Rajasthan)।”

  • Pakistani Spy: অপারেশন সিঁদুর-এর সময়ে পাকিস্তানে তথ্য পাচার, গ্রেফতার নৌসেনা কর্মী

    Pakistani Spy: অপারেশন সিঁদুর-এর সময়ে পাকিস্তানে তথ্য পাচার, গ্রেফতার নৌসেনা কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Pakistani Spy) অভিযোগে ভারতীয় নৌসেনার এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হল। অপারেশন সিঁদুর অভিযান চলার সময়ে পাকিস্তানকে তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে বিশাল যাদব নামে নৌবাহিনীর ওই কর্মীর বিরুদ্ধে। নৌসেনার দিল্লির সদর দফতরে কর্মরত ওই কর্মী পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর ‘স্পাই’ হয়ে কাজ করত বলে অভিযোগ।

    ‘হানি ট্র্যাপের’ কবলে

    পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম বিশাল যাদব। নৌসেনার সদর দফতরে ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত ছিল বিশাল। তাকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থানের গোয়েন্দা শাখা। পুলিশের তরফে জানানো হয়, হরিয়ানার বাসিন্দা বিশাল প্রথমে ‘হানি ট্র্যাপের’ কবলে পড়ে। সে দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানকে গোপন তথ্য সরবরাহ করত। অপারেশন সিঁদুর অভিযান চলার সময়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তার মাধ্যমেই পেয়েছে আইএসআই। পুলিশের দাবি, তার মোবাইল ফোন ঘেঁটেই এই কথা জানা গিয়েছে। বিশাল যাদব টাকার বিনিময়ে নৌবাহিনী এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা ইউনিট সম্পর্কিত গোপন তথ্য এক মহিলাকে সরবরাহ করেছিল। ওই মহিলা তার ‘পাকিস্তানি হ্যান্ডলার’ ছিল।

    সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ

    পুলিশ আধিকারিক বিষ্ণুকান্ত গুপ্ত জানিয়েছেন, রাজস্থানের সিআইডির গোয়েন্দা ইউনিট কারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করছে তার ওপর ক্রমাগত নজর রাখছে। এই কাজ করতে গিয়ে বিশাল যাদবের কাজ সম্পর্কে জানা গিয়েছে। তখনই জানা যায় যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার ওই মহিলার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বিশালের। পুলিশের দাবি, ওই মহিলা নিজেকে প্রিয়া শর্মা বলে পরিচয় দিত। বিশালের কাছ থেকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য জানার জন্য তাকে নিয়মিত টাকাও দিত ওই মহিলা।

    টাকা নিয়ে তথ্য পাচার

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অনলাইন গেমসে আসক্ত ছিল বিশাল। খেলায় হেরে যাওয়ার পরে তার টাকার দরকার পড়ত। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্রিপটোকারেন্সি ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা জমা পড়ত বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এখন জয়পুরে নিয়ে গিয়ে বিশালকে জেরা করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত এবং কোন কোন তথ্য বিশাল ওই মহিলার মাধ্যমে পাকিস্তানে পাচার করেছে তা জানতে তৎপর গোয়েন্দারা। পহেলগাঁও কাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পাক গুপ্তচর-যোগের অভিযোগে ধৃত নেট-প্রভাবী জ্যোতি মালহোত্রার ভূমিকাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। এরই মধ্যে নৌসনার অফিসে কর্মরত বিশালের গ্রেফতারিতে পাক গুপ্তচর-যোগের তদন্তে আরও নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Xi Jinping: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ ব্রাজিলের, তাই কি ব্রিকস সম্মেলন এড়াচ্ছেন জিনপিং?

    Xi Jinping: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ ব্রাজিলের, তাই কি ব্রিকস সম্মেলন এড়াচ্ছেন জিনপিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। আগামী সপ্তাহে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে হবে ব্রিকস সম্মেলন (BRICS Summit)। এই সম্মলেনেই যোগ দিচ্ছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট। ব্রাজিলে এবার হবে সপ্তদশ ব্রিকস সম্মেলন। দু’দিনের এই সম্মেলন শুরু হবে ৬ জুলাই। তবে প্রেসিডেন্ট যোগ না দিলেও, চিনের তরফে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং।

    ব্রিকসে থাকছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট (Xi Jinping)

    জানা গিয়েছে, বেজিংয়ের (চিনের রাজধানী) তরফে ব্রাজিল সরকারকে জানানো হয়েছে অন্য কর্মসূচি থাকায় এবার ব্রিকস সম্মলেন উপস্থিত থাকতে পারবেন না স্বয়ং চিনা প্রেসিডেন্ট। তাঁর বদলে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। সেবারও প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে ভারতে এসেছিলেন চিনের প্রধানমন্ত্রী। মাস সাতেকের মধ্যেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে দু’বার বৈঠক হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্টের। একবার গত নভেম্বরে ব্রাসিলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফরের সময় এবং চলতি বছরের মে মাসে ফের বেজিংয়ে চায়না-সেলাক ফোরামের সময়। সূত্রের খবর, ব্রিকস সম্মলেন চিনা প্রেসিডেন্টের যোগ না দেওয়ার এটাও একটা কারণ। প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারি পর্বে ২০২০ এবং ২০২১ সালে ব্রিকস সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন শি জিনপিং। এ ছাড়া আরও কোনও ব্রিকস সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকেননি তিনি।

    চিনের বক্তব্য

    চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার (Xi Jinping) দিতে গিয়ে বলেন, “শি জিনপিংয়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য উপযুক্ত সময়ে প্রকাশ করা হবে। চিন ব্রাজিলের ব্রিকস সম্মেলনের সভাপতিত্বকে সমর্থন করে এবং সদস্য দেশগুলির মধ্যে আরও গভীর সহযোগিতা বজায় রাখতে চায়।” তবে চিনা প্রেসিডেন্ট সম্মেলনে থকছেন না জেনে ক্ষুব্ধ ব্রাজিল প্রশাসনের কর্তারা। সে দেশের একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা মে মাসে বেজিং সফর করেছিলেন সদিচ্ছা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে। তিনি আশা করেছিলেন শি-ও পাল্টা সফরে আসবেন।

    মোদিকে ভোজে আমন্ত্রণ জানানোয় গোঁসা চিনের!

    সূত্রের খবর (BRICS Summit), ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পর রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অনেকের ধারণা, এতে চিনা প্রেসিডেন্টের গুরুত্ব কিছুটা খাটো হতে পারে। সেই কারণেই তিনি নিজে না গিয়ে ব্রিকস সম্মেলনে পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীকে। ব্রাজিলে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে চিনা প্রেসিডেন্ট যে যোগ দেবেন না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল সেই ফেব্রুয়ারি মাসেই। যখন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলার শীর্ষ বিদেশনীতি উপদেষ্টা সেলসো আমোরিম বেজিংয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে (Xi Jinping) বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। সেই সময় আমোরিম চিনা প্রেসিডেন্টের উপস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ওয়াং ই-কে মনে করিয়ে দেন যে, চিনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও নিজের দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প সত্ত্বেও ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত প্রথম ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। আমোরিম বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শি জিনপিংয়ের অংশগ্রহণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (BRICS Summit) প্যারিস চুক্তি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মতো আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা ঘটছে।”

    যোগ দিচ্ছেন না পুতিনও!

    কেবল চিনা প্রেসিডেন্ট নন, ব্রিকস সম্মেলনে সশরীরে যোগ দিচ্ছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। এর নেপথ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার ঝুঁকি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পুতিনের অবস্থান বরাবরই আগ্রাসী (Xi Jinping) ও দৃঢ়। যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইজরায়েল-ইরাকও। বিশ্বজুড়ে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই আয়োজিত হচ্ছে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক আদালত। অভিযোগ, ইউক্রেন আগ্রাসনের সময় সেখানকার শিশুদের অবৈধভাবে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই অভিযোগেই আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ব্রাজিলের দায়িত্ব পুতিন (BRICS Summit) সে দেশে পা রাখলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। সেই কারণেই ব্রিকস সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Xi Jinping)।

    ব্রিকস হল একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা। এটি গঠিত হয়েছে পাঁচটি প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির দেশ নিয়ে। এর সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গোষ্ঠীর লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কলেবরে বেড়েছে (BRICS Summit) ব্রিকস। নয়া সদস্য হয়েছে ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (Xi Jinping)।

  • Daily Horoscope 26 June 2025: বুদ্ধির ভুলের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 26 June 2025: বুদ্ধির ভুলের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    বৃষ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণা জন্মাতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ সংযত রাখুন।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই খরচ বার বার হবে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) রক্তাল্পতায় ভুগতে পারেন।

    ২) কোনও মহিলার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    ধনু

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • JoSAA: দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বরাদ্দের ফল ঘোষণা করল জোসা

    JoSAA: দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বরাদ্দের ফল ঘোষণা করল জোসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বরাদ্দের ফল (Result 2025) ঘোষণা করল জয়েন্ট সিট অ্যালোকেশন অথরিটি, সংক্ষেপে জোসা (JoSAA)। আজ, ২৫ জুন ঘোষণা হয় ফল। আইআইটি এবং এনআইটি আসনে ভর্তির ফল ঘোষণা করা হয়েছে।

    জোসা (JoSAA)

    শিক্ষামন্ত্রক ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ১২৭টি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য যৌথ আসন বরাদ্দ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য জোসা প্রতিষ্ঠা করেছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রার্থীরা দেশের ২৩টি আইআইটি, ৩১টি এনআইটি, আইআইইএসটি শিবপুর, ২৬টি আইআইআইটি এবং ৪৭টি অন্যান্য-সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট দ্বারা প্রদত্ত অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামের জন্য একটি সিঙ্গল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

    অনলাইনে শুরু ফি জমা

    জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বণ্টনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর আবেদনকারীরা এদিনই বিকেল ৫টা থেকে অনলাইনে ফি জমা দেওয়া, নথি আপলোড করা এবং রেসপন্স করতে পারবেন। আবেদনকারীরা ২৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় রাউন্ডে জোসা আসন বণ্টন প্রক্রিয়া থেকে আসন প্রত্যাহার ও প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসার কাজ শুরু করতে পারবেন। রবিবার ২৯ জুনের মধ্যে প্রার্থীদের দ্বিতীয় রাউন্ডে জোসার আসন বরাদ্দের জন্য ফি দিতে হবে। আসন প্রত্যাহার সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার শেষ দিন ১ জুলাই।

    কীভাবে দেখবেন ফল

    জোসা ২০২৫ এর দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বরাদ্দের ফল, কীভাবে দেখবেন? অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান – জোসা.এনআইসি.ইন। হোমপেজে ক্যান্ডিডেট অ্যাক্টিভিটি বোর্ড-এ যান (JoSAA)। রাউন্ড ২ সিট অ্যলোটমেন্ট রেজাল্ট লিংকে ক্লিক করুন। আপনার জেইই মেইন ২০২৫ এর অ্যাপ্লিকেশন নম্বর, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি পিন দিন। সমস্ত তথ্য জমা দিন। আপনার আসন বরাদ্দের ফল স্ক্রিনে দেখানো হবে। নির্বাচিত হলে বরাদ্দ অর্ডারটি ডাউনলোড করুন এবং প্রিন্ট করে রাখুন (Result 2025)। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ছটি রাউন্ডে হবে জোসা কাউন্সেলিং। ষষ্ঠ রাউন্ডে জোসার আসন বরাদ্দ হবে ১৬ জুলাই। এদিনই বিকেল ৫টায় ঘোষণা করা হয় জোসার দ্বিতীয় রাউন্ডের ফল (JoSAA)।

  • Bangladesh Crisis: দুর্গা মন্দির ভেঙে ফেলার হুমকি! খালি করে দিতে বলা হল জমি, বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা

    Bangladesh Crisis: দুর্গা মন্দির ভেঙে ফেলার হুমকি! খালি করে দিতে বলা হল জমি, বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হম্মদ ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ফের হামলা মন্দিরে। ঢাকায় ফের আক্রান্ত হিন্দুরা। দুর্গা মন্দির ভাঙে ফেলার হুমকি দেওয়া হল। রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় অবস্থিত শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরকে কেন্দ্র করে সোমবার (২৩ জুন) রাতে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। স্থানীয় মুসলিমদের একটি দল হঠাৎ মন্দির প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে হিন্দু ভক্তদের (Hindus Attack in Bangladesh) হুমকি দেয়—মন্দির না সরালে তা ভেঙে ফেলা হবে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মন্দিরের সেবায়েত সুমন সুদা জানান, উগ্রপন্থীরা রাতেই বলে,—পরের দিন মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টার মধ্যে মন্দির তুলে নিতে হবে। নইলে মন্দির ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

    এরপরই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা খিলক্ষেত থানায় যোগাযোগ করেন। খিলক্ষেত থানার ইনস্পেক্টর মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, “আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি, এবং আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাধানের চেষ্টা করছেন।” তিনি বলেন, “কিছু মানুষ সেখানে গিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।” পরে তিনি ঘটনাটিকে ‘তর্কাতর্কির’ ফল বলে উল্লেখ করে কিছুটা খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। তিনি আরও জানান, “পুরো ঘটনাটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, যেন কোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।”

    অন্যান্য সাম্প্রতিক মন্দির দখলের ঘটনা

    ২১ জুন: কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে অবস্থিত ১৪০০ বছরের পুরাতন শিব চণ্ডী মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা চালান এক মুসলিম ব্যক্তি, আবদুল আলী। তিনি মন্দিরের জমিতে টিনের ঘর তৈরি করে দাবি করেন, এটি তার বংশগত সম্পত্তি। তবে মন্দির কমিটির সভাপতি দীপক সাহা বলেন, “এই জমির মালিকানা মন্দিরের নামে রেকর্ডকৃত। সাম্প্রতিক সময়ে ভক্তদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার আবদুল আলী এসে ওই জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করেন।” এ সময় প্রতিবাদ করতে গেলে চন্দনা রাহুত,নামে এক মহিলা ভক্তের ওপর হামলা চালানো হয়।

    ১৭ জুন: নওগাঁ জেলার খাগড়া মধ্য দুর্গাপুর এলাকায় সন্ন্যাস মন্দির ও রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা এবং হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে এক স্থানীয় চরমপন্থী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি ও তাঁর সমর্থকেরা দাবি করেন, মন্দির ও তার আশেপাশের জমি তাদের। প্রতিবাদ করতে গেলে হিন্দুদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তার আগের দিন ১৬ জুন হিন্দু মন্দির কমিটির সভাপতি অতুল চন্দ্র সরকারের উপর হামলা চালানো হয়।

  • PM Modi: জরুরি অবস্থা জারির ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’, কংগ্রেসকে শানিত আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: জরুরি অবস্থা জারির ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’, কংগ্রেসকে শানিত আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। আজ, বুধবার ওই দিনটির পঞ্চাশ বছর পূর্তি। দিনটিকে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রের একটি প্রধান উদাহরণ বলে বর্ণনা করেন। তিনি একে ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের (Emergency) অন্যতম অন্ধকার অধ্যায় বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস কর্তৃক জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে শুধু সংবিধানের আত্মাকেই লঙ্ঘন করা হয়নি, গণতন্ত্রকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।”

    প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট (PM Modi)

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটিতে লেখেন, “কোনও ভারতীয় কখনও ভুলবে না কীভাবে আমাদের সংবিধানের চেতনাকে পদদলিত করা হয়েছিল, সংসদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল এবং আদালতগুলোকেও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছিল। ৪২তম সংশোধন তাদের (কংগ্রেসের) ষড়যন্ত্রের এক প্রধান নিদর্শন। দরিদ্র, প্রান্তিক ও নিপীড়িত মানুষদের বিশেষভাবে টার্গেট করা হয়েছিল, তাঁদের মর্যাদাকেও অপমান করা হয়েছিল।” ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ – এই একুশ মাস দেশে জারি ছিল জরুরি অবস্থা। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী। এই পর্বে দেশে এক দমনপীড়নের ঢেউ নেমে এসেছিল। লাখ লাখ মানুষকে বিনা কারণে কারাবন্দি করা হয়। স্তব্ধ করে দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ। এই ‘এমার্জেন্সি’র সময় নাগরিকদের মৌলিক অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে সংবিধানের মূল চেতনা লঙ্ঘনের, মৌলিক অধিকার স্থগিত করার, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দমন করার এবং রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ নাগরিকদের জেলে পাঠানোর জন্য কাঠগড়ায় তোলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে, ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এক অন্ধকারতম অধ্যায় শুরু হয়েছিল — এমার্জেন্সি জারি করা হয়েছিল। দেশবাসী এই দিনটিকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে স্মরণ করে। এই দিনে ভারতের সংবিধানে লিপিবদ্ধ মূল্যবোধকে পদদলিত করা হয়েছিল, মৌলিক অধিকার স্থগিত করা হয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল এবং বহু রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্র ও সাধারণ নাগরিককে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল। যেন সেই সময়ের কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্রকেই বন্দি করে ফেলেছিল!”

    প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রণাম

    প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমরা সেই প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রণাম জানাই, যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অটল ছিলেন! এঁরা ছিলেন ভারতের নানা প্রান্ত থেকে আসা, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, বিভিন্ন মতাদর্শের অনুসারী —যাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন একটিমাত্র লক্ষ্য নিয়ে: ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে রক্ষা করা এবং সেই আদর্শগুলিকে সংরক্ষণ করা, যাঁদের জন্য আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁদের সম্মিলিত সংগ্রামের ফলেই তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে গণতন্ত্র পুনঃস্থাপন করতে এবং নতুন নির্বাচন ঘোষণা করতে বাধ্য হতে হয়েছিল, যাতে তারা বিপুল ভোটে হেরে যায় (Emergency)।”

    বিকশিত ভারতের স্বপ্ন

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা আমাদের সংবিধানে বর্ণিত নীতিগুলোকে ফের একবার আরও মজবুত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারও করছি। আমরা যেন উন্নতির নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারি এবং গরিব ও প্রান্তিক মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।” প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫শে জুন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে অভ্যন্তরীণ অশান্তির আশঙ্কার অজুহাত দেখিয়ে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এই জরুরি অবস্থা ঘোষণার নেপথ্যে ছিল ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিচার বিভাগের কিছু পদক্ষেপ, যা শাসক দলের নেতৃত্বের বৈধতার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক প্রেস নোটে কিছু ব্যক্তিকে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীকে আদেশ অমান্য করতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এটি ছিল ভারতের ইতিহাসে তৃতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা। পূর্ববর্তী দুটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল চিন (১৯৬২) ও পাকিস্তানের (১৯৭১) সঙ্গে ভারতের যুদ্ধের সময় (PM Modi)।

    জরুরি অবস্থা

    প্রসঙ্গত, আজ থেকে ৫০ বছর আগে দেশে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। নির্বাচনে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। ছ’বছরের জন্য সংসদ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল তাঁকে। তার পরেই দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা (Emergency)। কেবল প্রধানমন্ত্রীই নন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনিও এই দিনটিকে ভারতের ইতিহাসে একটি বেদনাদায়ক অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও মঙ্গলবার দিল্লির প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়ের অনুষ্ঠান থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ নিয়ে কংগ্রেস ও ইন্দিরা গান্ধীকে আক্রমণ করেছিলেন (PM Modi)।

  • The Emergency Diaries: বুধেই প্রকাশ ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ’-এর, কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    The Emergency Diaries: বুধেই প্রকাশ ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ’-এর, কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৫ জুন। পঞ্চাশ বছর আগে এই দিনে দেশজুড়ে জারি করা হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছিলেন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী। এই জরুরি অবস্থারই ৫০ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বুধবার একটি বই (The Emergency Diaries) প্রকাশ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বইটিতে তাঁর সেই সময়কার অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বইটির উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বইটির নাম ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ – ইয়ার্স দ্যাট ফরজড আ লিডার’।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ বইটি জরুরি অবস্থার সময়ে আমার যাত্রাপথকে তুলে ধরেছে। এই বই লেখার সময় বহু পুরনো স্মৃতি ফিরে এসেছে।” তিনি লিখেছেন, “আমি সকলের কাছে আহ্বান জানাই — যাঁরা সেই অন্ধকার দিনগুলোর স্মৃতি মনে রাখেন বা যাঁদের পরিবার সেই সময় কষ্ট পেয়েছিল, তাঁরা যেন তাঁদের অভিজ্ঞতা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। এটি ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত লজ্জাজনক সময়ের ব্যাপারে যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে।” অন্য একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন জরুরি অবস্থার সময় তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। এক্স হ্যান্ডেল তিনি লেখেন, “জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন আমার জন্য একটি শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা ছিল। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার গুরুত্ব আবারও প্রমাণ করেছিল। একইসঙ্গে, আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছিলাম।” বইটির ভূমিকা লিখেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া, যাঁকে মোদি জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনের একজন অন্যতম পুরোধা বলে অভিহিত করেছিলেন।

    দেশজুড়ে জারি জরুরি অবস্থা

    আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। দেশে জরুরি অবস্থা জারি ছিল ২১ মাস ধরে। এ নিয়ে কংগ্রেসকে নানা সময় আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত বছর জরুরি অবস্থার দিনটিকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। জরুরি অবস্থা জারির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে এক গুচ্ছ পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)।

    গণতন্ত্রের ইতিহাসে অন্ধকার অধ্যায়

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায়ের ৫০ বছর পূর্ণ হল। ভারতের মানুষ দিনটিকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। এই দিনে ভারতীয় সংবিধানের মূল্যবোধ সরিয়ে রেখে মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বহু রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্র এবং সাধারণ মানুষকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানের ভাবনা যেভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছিল, কোনও ভারতীয় তা কোনওদিন ভুলবেন না।” সংবিধানের আদর্শকে আরও শক্তিশালী করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)।

    ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’

    ১৯৭৮ সালে নরেন্দ্র মোদির বয়স ছিল ২৭। সেই সময়ই তিনি লিখে ফেলেছিলেন তাঁর প্রথম বই ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’। এই বইতেও তিনি তুলে ধরেছিলেন জরুরি অবস্থার সময় তাঁর অভিজ্ঞতা ও সম্মিলিত প্রতিরোধের বর্ণনা। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাবুভাই জসভাই প্যাটেল কর্তৃক প্রকাশিত এই বইটি ব্যাপক ও বস্তুনিষ্ঠ পদ্ধতির জন্য প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিল (PM Modi)। প্যাটেল নিজেই বইটিকে ‘তথ্যের সম্পদ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। জরুরি অবস্থার সময়ের কথা স্মরণ করে মোদি জরুরি অবস্থাকে ‘আপদা মে অবসার’ (কঠিন সময়ে সুযোগ) হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন, যা তাঁকে বিভিন্ন নেতা ও মতাদর্শের সঙ্গে সহযোগিতা করার সুযোগ করে দিয়েছিল (The Emergency Diaries)।

    আরএসএসের যুব প্রচারক

    জরুরি অবস্থার সময় মোদি ছিলেন আরএসএসের একজন যুব প্রচারক। তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে। সেখানে তিনি যুব আন্দোলনকে ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর মোদি সক্রিয়ভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন। সর্বোচ্চ সেন্সরশিপ সত্ত্বেও তিনি এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা সভার আয়োজন করেছিলেন, করেছিলেন প্রচারও (PM Modi)।

    ‘গুজরাট লোক সংগ্রাম সমিতি’

    নাথ জাগদা এবং বসন্ত গজেন্দ্রগড়করের মতো প্রবীণ আরএসএস নেতাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। কীভাবে আরএসএসের মতাদর্শ সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তার উপায়ও খুঁজে বের করেছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় আত্মগোপন করে আরএসএস। সেই সময় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘গুজরাট লোক সংগ্রাম সমিতি’। মাত্র ২৫ বছর বয়সে মোদি হয়ে ওঠেন আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক (The Emergency Diaries)।

    ছদ্মবেশে মোদি

    জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে মোদির বিভিন্ন প্রবন্ধ এবং চিঠিপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। জরুরি অবস্থার সময় মিসা আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের, সেই সময়ও কৌশলে আরএসএসের বার্তা প্রচার করেছিলেন তিনি। গ্রেফতারি এড়াতে নানা সময় ছদ্মবেশও ধারণ করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। কখনও সেজেছিলেন স্বামীজি, কখনও আবার শিখ। ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর মোদির সক্রিয়তা জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করে। সেই সময় তাঁকে নিযুক্ত করা হয় (PM Modi) দক্ষিণ ও মধ্য গুজরাটের সম্ভাগ প্রচারক হিসেবে। সেই সময় তাঁর কাজ ছিল আরএসএসের অফিসিয়াল নিবন্ধ রচনা করা (The Emergency Diaries)।

  • Axiom Mission 4: তৈরি হল ইতিহাস, ৪১ বছর পর মহাকাশে ফের ভারতীয়, শুভাংশুদের নিয়ে ‘ড্রাগন’-এর সফল উৎক্ষেপণ

    Axiom Mission 4: তৈরি হল ইতিহাস, ৪১ বছর পর মহাকাশে ফের ভারতীয়, শুভাংশুদের নিয়ে ‘ড্রাগন’-এর সফল উৎক্ষেপণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চল্লিশ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষা। ৪১ বছর পরে মহাকাশচারী পেল ভারত৷ রাকেশ শর্মার পরে দ্বিতীয়বার কোনও ভারতীয় অন্তরীক্ষে পা রাখতে চলেছেন৷ আর তাঁর নাম শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)৷ স্থানীয় সময় ১২টা ১ মিনিটে আমেরিকার ফ্লরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উড়ান দেয় শুভাংশুদের মহাকাশযান। চার সদস্যের অভিযানের কমান্ডার হিসাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাসার প্রাক্তন নভশ্চর তথা অ্যাক্সিয়ম স্পেসের (Axiom Mission 4) মানব মহাকাশযানের ডিরেক্টর রেগি হুইটসন। এ ছাড়াও থাকছেন পোল্যান্ডের স্লায়োস উজনানস্কি-উইসনিউস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু।

    অবশেষে সফল উৎক্ষেপণ

    সাতবার বাধার পর অবশেষে সফল হল উৎক্ষেপণ। স্বপ্নের শুরু। মহাকাশ স্টেশনের পথে উড়ে গেল শুভাংশুদের মহাকাশযান। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার বেলা ১২টা ১ মিনিট নাগাদ শুভাংশুদের নিয়ে উড়ান দেয় স্পেস এক্সের মহাকাশযান ‘ড্রাগন’। নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের ৩৯এ লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটের সাহায্যে ড্রাগনকে মহাকাশে পাঠানো হয়। ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা নাগাদ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন) পৌঁছাবেন শুভাংশুরা। এদিন কাউন্ট ডাউন শেষ হতেই দেখা যায় মহাকাশযানটি অগ্নি উদগীরণ করতে করতে উপরে উঠছে। সেই মুহূর্তে চারপাশ হাততালি ও হর্ষধ্বনিতে ভরে যায়। ফ্যালকন-৯ ড্রাগনকে অরবিটে পৌঁছে দেওয়ার পর প্রথম স্টেজটি ফিরে আসে নির্ভুল ল্যান্ডিংয়ে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ড্রাগন এগিয়ে যায়। এবার তার গন্তব্য- আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন।

    মহাকাশে কতদিন থাকবে কী করবে শুভাংশুরা

    ১৪ দিন তাঁরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকবেন। সেখানে অন্তত ৬০টি পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবেন তাঁরা। নাসা এবং ইসরোর যৌথ উদ্যোগে দলটি এই কাজ করবে। শুভাংশু ভারতের নিজস্ব স্পেস মিশন ‘গগনযান’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন এই অভিযানের মাধ্যমে। প্রথমে ঠিক ছিল, ২০২৫ সালের ২৯ মে শুভাংশুদের (Shubhanshu Shukla) অভিযান হবে। এরপর ৮ জুন, ১০ জুন, ১১ জুন, ১৯ জুন ও ২২ জুন উৎক্ষেপণের তারিখ নির্ধারিত করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই কোনও না কোনও কারণে মহাকাশযাত্রা সম্ভব হয়নি। বারবার পিছিয়েছে অভিযান। শেষমেশ মঙ্গলবার নাসা জানায়, বুধবার ওই অভিযান হতে চলেছে। সেইমতো শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। শুরু হয় প্রহর গোনার পালা। অরল্যান্ডোর এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার সকালে উৎক্ষেপণের ঘণ্টাখানেক আগেও আচমকা প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দিয়েছিল মহাকাশযানে। জানা গিয়েছে, কোনও কারণে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য মহাকাশযানে আপলোড হচ্ছিল না। কিন্তু কিছু ক্ষণের চেষ্টায় সেই ত্রুটি সংশোধন করে নেন বিজ্ঞানীরা। তার পর নির্ধারিত সময়ে অবশেষে এদিন মহাকাশে পাড়ি দিলেন শুভাংশু সহ চার মহাকাশচারী।

    উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে মহাকাশে

    নাসার ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’ নামে (Axiom Mission 4) এই অভিযানের জন্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফ থেকে প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল দুই গগনযাত্রী শুভাংশু শুক্লা এবং প্রশান্ত বালাকৃষ্ণন নায়ারকে। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের ছেলে শুভাংশু ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন। মূল মহাকাশচারী হিসাবে বেছে নেওয়া হয় ৩৯ বছরের শুভাংশুকে। তাঁর বিকল্প হিসাবে রাখা হয় প্রশান্তকেও। সেই মতো গত বছরের আগস্ট থেকে অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়াও শুরু করে দিয়েছিলেন দু’জনে। শুরুতে কথা ছিল, ২০২৫ সালের ২৯ মে শুভাংশুদের অভিযান হবে। কিন্তু বাদ সাধে আবহাওয়া, যান্ত্রিক ত্রুটি-সহ নানা কারণ। পরেও একাধিক বার সেই অভিযান পিছোতে বাধ্য হয় নাসা। বার সাতেক দিনক্ষণ বদলানোর পর অবশেষে বুধবার সেই অভিযান হল। মিশন সফল হলে শুভাংশু হবেন ভারতের দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি মহাকাশে পা রাখবেন। ১৯৮৪ সালে উইং কমান্ডার রাকেশ শর্মা প্রথম ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে গিয়েছিলেন। তার ৪১ বছর পর ইতিহাস গড়লেন শুভাংশু।

    গর্বিত শুভাংশুর মা

    বায়ুসেনার ক্যাপ্টেন হওয়ায় এর আগে এএন-৩২, জাগুয়ার, হক, মিগ-২১, সু-৩০-সহ নানা ধরনের যুদ্ধবিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla)। কিন্তু মহাকাশযান এই প্রথম! এজন্য দীর্ঘ দিন ধরে স্পেসএক্স এবং ‘অ্যাক্সিয়ম স্পেস ইনকর্পোরেশন’-এর কাছে প্রশিক্ষণও নিতে হয়েছে তাঁকে। শুভাংশুর মা আশা শুক্লা ছেলের এই কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা এটা ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না… গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লার জন্য আমরা মোটেও ভীত নই… আমরা আনন্দিত, আমরা খুব গর্বিত।”

LinkedIn
Share