Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • PM Modi: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফরে রওনা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, যাবেন ৫ দেশ

    PM Modi: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফরে রওনা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, যাবেন ৫ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফরে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি মোট পাঁচটি দেশ সফর করবেন। যা শুরু হচ্ছে আজ, ২ জুলাই থেকে। আট দিনের এই সফরে প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করবেন ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে। এর পাশাপাশি তিনি ঘানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, আর্জেন্টিনা ও নামিবিয়া সফর করবেন। এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বিতীয় দীর্ঘতম বিদেশ সফর। এর আগে, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তিনি টানা আট দিনের জন্য বিদেশে ছিলেন, সেই সময় তিনি রাশিয়া ও মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশ সফর করেছিলেন।

    ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন ঘানা

    ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় এবং ৩ জুলাই পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই প্রথম তিনি আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলে সফর করছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, বিগত ৩০ বছরে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ঘানা সফর করেননি। ঘানার পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, যেখানে তিনি ভারত-ঘানা সম্পর্কের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বাণিজ্য এবং উন্নয়নমূলক নানা সহযোগিতা নিয়ে কথা বলবেন। এছাড়াও তিনি বৈঠক করবেন ঘানার রাষ্ট্রপতি জন মহামা-র সঙ্গে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ভারত সফরে এসে ইন্ডিয়া-আফ্রিকা ফোরাম সামিটে অংশগ্রহণ করেছিলেন জন মহামা।

    ঘানা পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ এবং সোনা রফতানিতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। বর্তমানে ভারত ঘানা থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা আমদানি করে। দুই দেশের মধ্যে এই সফরে অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, শক্তি এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফর

    ৩ জুলাই মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে। এই সফর দুই দিন চলবে। ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এই দ্বীপরাষ্ট্র সফর করছেন। এই দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত, এবং তাঁরা মোদিকে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে প্রচুর ভারতীয় বংশোদ্ভূত জনগণের বাস বলে জানা যায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি অংশগ্রহণ করবেন একটি যৌথ সংসদ অধিবেশনে। এর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিশ্বেশ্বর-এর সঙ্গে।

    বৈঠকে ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, ডিজিটাল পরিকাঠামো, কৃষি, দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ইত্যাদি ইস্যুতে আলোচনা হবে। ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ভারতের ইউপিআই (UPI) পেমেন্ট প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছে, যা দুই দেশের ডিজিটাল সহযোগিতার নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।

    আর্জেন্টিনা সফর

    ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন আর্জেন্টিনা, যেখানে তিনি বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলায়ে-র সঙ্গে। আর্জেন্টিনা ও ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের অন্যতম স্তম্ভ হল পেট্রোলিয়াম পণ্য, অ্যাগ্রোকেমিক্যাল, অর্গানিক কেমিক্যাল, দুই চাকার যানবাহন এবং খনিজ সম্পদ।

    এই সফরে আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে থাকবে, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, টেলিমেডিসিন, পরিকাঠামো উন্নয়ন, খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা। আর্জেন্টিনার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দক্ষিণ আমেরিকায় ভারতের অবস্থানকে আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ব্রাজিল সফরে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন

    ৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন ব্রাজিল, যেখানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন ১৭তম ব্রিকস (Brics Summit) সম্মেলনে। এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে রিও ডি জেনেইরোতে। ব্রিকস শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

    ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদি বক্তব্য রাখবেন জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক কাঠামো নিয়ে। মোদি তাঁর বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও তুলে ধরবেন বলে মনে করা হচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার মতো ঘটনা ও ভারতের অপারেশন সিঁদুর উঠে আসবে তাঁর ভাষণে।

    ব্রাজিলে মোদি বৈঠক করবেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা-র সঙ্গে (Brics Summit)। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও শক্তি সম্পদের উপর আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা চলে সয়াবিন তেল, চিনি, তুলো, কাঠ, কেমিক্যাল এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য নিয়ে। এবারের ব্রাজিল সফর আরও একটি দিক দিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদি ব্রাজিলে স্টেট ভিসিট বা রাষ্ট্রীয় সফর করবেন।

    মোদির নামিবিয়া সফর

    ৮ জুলাই সফরের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন নামিবিয়া, যেখানে তিনি বৈঠক করবেন রাষ্ট্রপতি নেতুঙ্গ নন্দি-র সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানাবেন নামিবিয়ার প্রতিষ্ঠাতা নেতা ড. স্যাম নজোমা-কে এবং বক্তব্য রাখবেন সে দেশের সংসদে। নামিবিয়া সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। নামিবিয়া থেকে ভারত সবচেয়ে বেশি হীরা (ডায়মন্ড) আমদানি করে এবং রপ্তানি করে রিফাইনড পেট্রোলিয়াম। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২২ সালে নামিবিয়া থেকে ভারতে আনা হয়েছিল আটটি চিতা, যাদের মধ্যপ্রদেশের একটি অভয়ারণ্যে ছাড়া হয়।

  • Agni-5 Bunker Buster: মার্কিন এমওপি বনাম অগ্নি বাঙ্কার-বাস্টার, মারণশক্তির বিচারে এগিয়ে কে? অঙ্ক কষে তুলনা

    Agni-5 Bunker Buster: মার্কিন এমওপি বনাম অগ্নি বাঙ্কার-বাস্টার, মারণশক্তির বিচারে এগিয়ে কে? অঙ্ক কষে তুলনা

    সুশান্ত দাস

    মার্কিন জিবিইউ-৫৭এ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর (GBU 57A MOP) নাকি ভারতের অগ্নি-৫ বাঙ্কার বাস্টার (Agni-5 Bunker Buster)— কে বেশি শক্তিশালী? কার মারণ ক্ষমতা বেশি? ভারতের সুপার-অস্ত্র কি সত্যি আমেরিকাকেও ছাপিয়ে যাবে? আবেগ নয়, একেবারে অঙ্ক দিয়ে ব্যাখ্যা এবং বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করা হল, দুই শক্তিশালী বোমার ক্ষমতাকে (Agni-5 Bunker Buster vs GBU 57A MOP)।

    জনমানসে ‘বিবি’ নিয়ে বিরাট কৌতুহল

    যবে থেকে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচার হতে শুরু করেছে যে, ভারত নিজস্ব এবং সম্পূর্ণ স্বদেশীয় বিধ্বংসী বাঙ্কার বাস্টার (সংক্ষেপে ‘বিবি’ উল্লেখ করা হয়) তৈরি করছে, তখন থেকেই জনমানসে বিরাট একটা কৌতুহল তৈরি হয়েছে। কাগজ থেকে চ্যানেল, বা পোর্টাল হোক বা সোশ্যাল— সর্বত্র এই নিয়ে জোর চর্চা। শুধু তাই নয়। সদ্য ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন বোমারু বিমান বি-২ থেকে নিক্ষিপ্ত বাঙ্কার বাস্টার জিবিইউ-৫৭এ বোমা নাকি ভারতের অগ্নি বাঙ্কার-বাস্টার, কোনটা বেশি শক্তিশালী তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। কিন্তু, সেই সব আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক একটা বিষয়তেই সীমাবদ্ধ। তা হল ওজন দিয়ে তুলনা। আবার সেটাও সঠিকভাবে করা হচ্ছে না। ফলে, যুক্তির থেকে সেখানে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে আবেগ। অঙ্কের থেকে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে দেশপ্রেম। কিন্তু, এই দুই ভিন্ন বোমার তুল্যমূল্য বিচার করতে হলে আগে জানতে হবে কতটা বিস্ফোরক আছে? হিসেব করতে হবে বেগ। তার পর গণনা করতে হবে কতটা শক্তি উৎপন্ন করছে এই বোমাগুলি। সেই সব করে তুলনা টানা সম্ভব হবে।

    তুল্যমূল্য বিশ্লেষণ শুরুর আগে, প্রথমেই বলে রাখা দরকার, এই দুই বোমা, অর্থাৎ জিবিইউ-৫৭এ এবং অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার— একেবারে ভিন্ন চরিত্রের। এর প্রধান কারণ হল, মার্কিন ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর আদতে একটি বোমা। অন্যদিকে, অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার একটি মডিফায়েড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

    বোমা বনাম ক্ষেপণাস্ত্র

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক জিবিইউ-৫৭এ বোমা ঠিক কীভাবে কাজ করে। বোমারু বিমানে চাপিয়ে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে একে স্রেফ ড্রপ বা ফেলে দেওয়া হয়। অর্থাৎ, একে বিমানে বহন করে লক্ষ্যের কাছে পর্যন্ত পৌঁছে নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে ফেলা হয়। এর পিছনে কোনও রকেট/মিসাইল ইঞ্জিন নেই। ফলে, লাগে না কোনও জ্বালানির। স্রেফ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ওপর ভর করে এটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে যাতে এটি পৌঁছতে পারে, তার জন্য ছোট ডানা (ফিন) এবং পিছনে প্রপেলার আছে, যা একে দিশা দেয়। ফলে, বাতাসে কার্যত ভেসে এটি দ্রুত গতিতে নামতে থাকে। ভারী হওয়ায় এটি বিপুল গতি উৎপন্ন করে, যা পড়তে পড়তে ক্রমশ বাড়তে থাকে। একটি জিবিইউ-৫৭এ বোমায় বিস্ফোরক থাকে ২,৩০০ কেজির মতো। তবে, গোটা বোমার ওজন যা নেমে আসে, তা প্রায় ১৩,৫০০ কেজির মতো।

    অন্যদিকে, এবার দেখে নেওয়া যাক ভারতের অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার ঠিক কেমন। অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার একটি মডিফায়েড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ভারতের অগ্নি-৫ হল পরমাণু অস্ত্রবহণে সক্ষম ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম)। এর পাল্লা ৫ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু, ভারতের ডিআরডিও- বিজ্ঞানীরা ওই ক্ষেপণাস্ত্রে বদল ঘটিয়ে এর একটি বাঙ্কার বাস্টার ভেরিয়েন্ট তৈরি করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে দুই প্রধান বদল করা হয়েছে। এর ওয়ারহেড বা বিস্ফোরকের পরিমাণ বাড়িয়ে পাল্লা বা দূরত্ব কমানো হয়েছে। যেখানে অগ্নি-৫ আইসিবিএমের ওয়ারহেড ৩ থেকে ৪ হাজার কেজি, সেখানে অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার সংস্করণটির ওয়ারহেডে ৭,৫০০ কেজি সাধারণ বা অপারমাণবিক বিস্ফোরক বহন করা যায়। ফলে, এর পাল্লা ৫০০০ থেকে কমে ২৫০০ করা হয়েছে।

    অগ্নি-৫ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ওজন (নিক্ষেপের সময়) ৫০ থেকে ৫৬ হাজার কেজি। কারণ, এতে কঠিন জ্বালানি থাকে। থাকে থ্রি-স্টেজ বা তিন-স্তরের রকেট, যা ক্ষেপণাস্ত্রটিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে এটি আবার প্যারাবোলিক কার্ভ বা পরাবৃত্তীয় বক্ররেখা পথ অনুসরণ করে ফিরে আসে এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আছড়ে পড়ে। তবে, নিচে নামার সময় গোটা ক্ষেপণাস্ত্র থাকে না। বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে পৌঁছে রকেটের মতো এরও স্টেজ সেপারেশন হয়। অর্থাৎ, নামার আগে স্টেজ সেপারেশন হওয়ার সময় এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাথার (ওয়ারহেড থাকে যেখানে) অংশ বাকি অংশের থেকে আলাদা হয়ে যায়। অগ্নি সিরিজের সব সংস্করণের কার্যপদ্ধতি একই রকম। ধরে নেওয়া যেতে পারে, সাড়ে সাত হাজার বিস্ফোরক সমেত বাঙ্কার-বাস্টার সংস্করণটির ওজন সেই সময় দাঁড়াবে আনুমানিক ১০ থেকে ১২ হাজার কেজি।

    তফাত গড়ে দেয় বেগ

    এতো গেল ওজনের কথা। এবার আসা যাক, দ্বিতীয় তথা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরের বিষয়ে। তা হল বেগ। সংবাদমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই বোমা যখন নেমে আসে তখন এর বেগ প্রায় মাক ৩। অর্থাৎ বাতাসে শব্দের গতির ৩ গুণ। অন্যদিকে, অগ্নি-৫ যখন নামে তখন তার বেগ দাঁড়ায় মাক ২০। অর্থাৎ, শব্দের গতির ২০ গুণ! স্পষ্ট, আছড়ে পড়ার সময় প্রবল হাইপারসনিক মোড-এ চলে যায়। আর, এই বেগই ফারাক গড়ে দেয়। সাধারণ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পক্ষে একে কোনওভাবে আটকানোর ক্ষমতা নেই। এমনকী, এস-৪০০ বা তার সমগোত্রীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পক্ষেও একে রোখা দুঃসাধ্য।

    দুটি ফ্যাক্টর— অর্থাৎ ওজন বা ভর এবং বেগ — এই দুইয়ের তুল্যমূল্য পরিসংখ্যান তো মিলল। কিন্তু, মারণক্ষমতা! সেটা পেতে ভর এবং বেগের প্রয়োজন হবে। তার আগে, এটা বুঝে নেওয়া যাক, একটি কনভেনশনাল বা অপারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষমতা নির্ভর করে সে কতটা শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম। যা আবার নির্ভর করে ভর ও বেগের সমীকরণের ওপর। কাইনেটিক এনার্জি (কেই) বা গতিশক্তির একক হচ্ছে জুল। আর এই গতিশক্তিকে ধরে বের করতে হয় মারণ ক্ষমতা। গণিতের ফর্মুলা অনুযায়ী, কোনও বস্তুর গতিশক্তি বের করতে হলে, প্রথমে বস্তুটির মাস বা ভরের অর্ধেক বের করতে হবে। সেই সংখ্যাকে বস্তুর ভেলোসিটি বা বেগের বর্গফলের সঙ্গে গুণ করতে হবে। যে সংখ্যা প্রাপ্ত হবে, সেটাই ওই বস্তুর কাইনেটিক এনার্জি বা গতিশক্তি। এখানে ভর ধরা হবে কিলোগ্রামের হিসেবে, আর বেগ মাপা হবে মিটার প্রতি সেকেন্ড হিসেবে। অর্থাৎ, গতিশক্তি = ১/২ * m * v²। এখানে, m = বস্তুর ভর, v = বস্তুর বেগ। 

    আসল তুলনা, কার শক্তি কতটা?

    প্রথমে জিবিইউ-৫৭এ এমওপি-র গতিশক্তি দেখে নেওয়া যাক। ওজন – ১৩৫০০ কেজি বা ১৩.৫ টন। বেগ – মাক ৩ বা প্রতি সেকেন্ডে ১০২৯ মিটার (বাতাসে শব্দের গতি = ৩৪৩ মিটার/সেকেন্ড। যাকে ‘মাক ১’ বলা হয়)। ফলে, এর কাইনেটিক এনার্জি বা গতিশক্তি দাঁড়াবে: ৬৭৫০ * ১০৫৮৮৪১ = ৭১৪৭১৭৬৭৫০ জুল বা ৭.১৪ গিগাজুল। যা ১.৭ টন টিএনটির সমতুল্য। ফলে, জিবিইউ-৫৭এ এমওপি-র ইমপ্যাক্ট পাওয়ার (বিস্ফোরণের প্রতিঘাতে তৈরি হওয়া শক্তি) বা মারণ ক্ষমতা হল ৭.১ + ১৩.৫ = ২০.৬ টন টিএনটির সমতুল্য।

    এবার দেখে নেওয়া যাক, অগ্নি-৫ বাঙ্কার বাস্টারের গতিশক্তি। ওজন – ১০০০০ কেজি বা ১০ টন। বেগ – মাক ২০ বা প্রতি সেকেন্ডে ৬৮৬০ মিটার। ফলে, এর কাইনেটিক এনার্জি বা গতিশক্তি আনুমানিক: ৫০০০ * ৪৭০৫৯৬০০ = ২৩৫২৯৮০০০০০০ জুল বা ২৩৫ গিগাজুল। যা ৫৬ টন টিএনটির সমতুল্য। ফলে, অগ্নি-৫ বাঙ্কার বাস্টারের মারণ ক্ষমতা হল ৫৬ + ১০ = ৬৬ টন টিএনটির সমতুল্য।

    তিনগুণ বেশি মারণ ক্ষমতা ভারতের অগ্নি-র

    পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, মার্কিন এমওপি-কে একেবারে কার্যত উড়িয়ে দেবে ভারতের অগ্নি-৫ বাঙ্কার বাস্টার। আবেগ নয়, একেবারে অঙ্ক কষে বলা হচ্ছে, ভারতের অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার মার্কিন এমওপি-র তুলনায় কতটা বেশি শক্তিশালী হতে চলেছে। যে কারণে, ডিআিডিও জোরালো দাবি, ভারতের বাঙ্কার বাস্টার মাটির ৮০ থেকে ১০০ মিটার গভীর পর্যন্ত শক্ত কংক্রিটের নিচে লুকানো শত্রুপক্ষের বাঙ্কার, কমান্ড সেন্টার, ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি বা পারমাণবিক পরিকাঠামো ধ্বংস করতে সক্ষম। এখন ভারত কবে এই বাঙ্কার বাস্টারের পরীক্ষা করে, সেটাই দেখার।

  • India vs England 2nd Test: সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া ভারত, রেকর্ড বলছে অন্য কথা! এজবাস্টনে আজ শুরু দ্বিতীয় টেস্ট

    India vs England 2nd Test: সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া ভারত, রেকর্ড বলছে অন্য কথা! এজবাস্টনে আজ শুরু দ্বিতীয় টেস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে (India vs England 2nd Test) মুখোমুখি হবে ভারত-ইংল্যান্ড। সিরিজ নিজেদের দখলে রাখতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচেই সমতা ফেরাতে হবে ভারতকে। বিদেশ সফর, তার উপর আবার অনভিজ্ঞ দল। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে পড়া সমস্যায় ফেলেছে গৌতম গম্ভীরের দলকে। এজবাস্টন টেস্ট হাতছাড়া হলে, বাকি ৩ ম্যাচই জিততে হবে। সেটা বেশ কঠিন কাজ। তাই কাজটা একেবারেই কঠিন করতে নারাজ শুভমন গিলরা। লাল বলের ক্রিকেটে এজবাস্টনে কোনও সুখস্মৃতি সরবরাহ নেই ভারতের। কারণ, এ মাঠে কখনও টেস্ট জেতেনি ভারত।

    অনিশ্চিত বুমরা

    এজবাস্টনে সচরাচর ফাস্ট বোলাররা (Jasprit Bumrah) মদত পেয়ে থাকেন। প্রায়শই আকাশে মেঘ দেখা যায় ফলে টেস্টের শুরুর দিকে বিশেষত বল স্যুইং করানোর জন্য একেবারে ঠিকঠাক পরিবেশ থাকে। এই ম্যাচের পিচ দেখেও কিন্তু তেমনটারই পূর্বাভাস মিলছে। টেস্টের প্রথম দুই দিনে ডিউক বলে ফাস্ট বোলাররা মদত পেতে পারেন। তাই এই ম্যাচে বুমরাকে প্রয়োজন ভারতের। কিন্তু ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে জসপ্রীত বুমরাকে। আগেই জানা গিয়েছিল তিনি সিরিজের সব ম্যাচ খেলবেন না। ফলে বার্মিংহ্যামে তাঁর বদলে খেলতে পারেন আকাশ দীপ ও অর্শদীপ সিং-এর মধ্যে এক জন। তবে বুমরা ছাড়া দল নামাতে ব্যাকফুটে ভারত। দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের সম্ভাব্য বোলিং আক্রমণ সম্পর্কে অধিনায়ক শুভমন বলেছেন, ‘‘জসপ্রীত বুমরাকে পাওয়া যাবে। আমরা সঠিক বোলিং আক্রমণ বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে বিপক্ষের ২০টি উইকেট নেওয়া যায় এবং কিছু রানও হয়। অনুশীলনের পর পিচ দেখে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’’ আসলে, ব্যাটাররা পাঁচটি সেঞ্চুরি করলেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট হারতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। জসপ্রীত বুমরা ছাড়া বাকি বোলারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণেই হারতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে।

    দলে বাংলার আকাশ দীপ

    বুমরা এজবাস্টনে না খেলা মানে, ভারতের উপর চাপ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়া। সমর্থক থেকে প্রাক্তনী, সকলেই প্রবলভাবে চাইছেন বুধবার বুমরাকে নামিয়ে দেওয়া হোক। ঘুরে দঁড়াতে মরিয়া ভারতীয় দল আসলে বড় বেশি বুমরা নির্ভর হয়ে পড়েছে। ম্যাচ জেতালে তিনিই জেতাবেন। বাকিরা তালপাতার সেপাই। হেডিংলে টেস্টে ৩৭১ রানের টার্গেট দিয়েও ইংল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হার, সেই ধারণাকে আরও দৃঢ় করেছে। তাই বুধবার এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে নামার আগে বুমরাকে নিয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বার বার হোঁচট খেতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। এই ম্যাচে বুমরাকে না পাওয়া গেলে তাঁর জায়গায় খেলার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা বাংলার পেসার আকাশ দীপের। এজবাস্টনের নেটে চেনা ছন্দে দেখা গেল আকাশ দীপকে। আরেকটা সুবিধা হচ্ছে, দুদিকেই বল ঘোরাতে পারেন তিনি।

    কেমন হবে দল

    প্রথম টেস্টে হারের পর একাধিক প্লেয়ারের পারফরম্যান্স নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে (India vs England 2nd Test) ভারতের একাদশ কী হবে তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। প্রথম টেস্টে ভারতীয় দলে যার সুযোগ পাওয় নিয়ে সবথেকে বেশি প্রশ্ন উঠেছে তিনি শার্দুল ঠাকুর। না বোলিংয়ে, না ব্যাটিংয়ে কোনও কিছুতেই নিজের সেরাচা দিতে পারেনি তিনি। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে তার বাদ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। শার্দুলের জায়গায় সুযোগ পেতে পারেন কুলদীপ যাদব। এছাড়া মিডল অর্ডারে প্রথম ডাউন অভিষেক টেস্টে হতাশ করেছেন সাই সুদর্শনও। প্রথম ইনিংসে ০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রান করেন তিনি। ফলে দ্বিতীয় টেস্টে তারও বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার বাদলে দলে আসতে পারেন ওয়াশিংটন সুন্দর, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, নীতিশ কুমার রেড্ডি। সমস্যা হচ্ছে, প্রথম টেস্টে ভারতকে ভুগিয়েছে ফিল্ডিংও। একাই চারটি ক্যাচ মিস করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় টেস্টের স্লিপ কর্ডনে থাকবেন না যশস্বী।

    এজবাস্টনে জেতেনি ভারত

    ইংল্যান্ড সফরের শুরুটা ভালো হয়নি ভারতীয় দলের। লিডস টেস্টে জয়ের কাছে পৌঁছেও হার মানতে হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজে ০-১ পিছিয়ে। এই অবস্থায় এজবাস্টনের (India vs England 2nd Test) রেকর্ডও ভারতের অনুকূলে নয়। ১৯৬৭ সালে ভারতীয় দল এজবাস্টনে প্রথমবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামে। তারপর থেকে ৫৮ বছর কেটে গিয়েছে। এই মাঠে আরে সাতবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ভারত। দুর্ভাগ্যবশত আটবারের মধ্যে টিম ইন্ডিয়া এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটিও টেস্ট ম্য়াচ জিততে পারেনি। তিন ম্যাচে তো ইনিংসে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। কেবল ১৯৮৬ সালে টেস্ট ম্য়াচ ড্র করতে সক্ষম হয়েছিল ভারতীয় দল। বাকি সাত ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে ভারত। শেষবার তিন বছর আগেও সাত উইকেটে হেরেছিল ভারত। তবে কাজটা কঠিন হলেও শুভমন-গম্ভীরের তরুণ ভারত অবশ্য ইতিহাস পাল্টানোর অপেক্ষাতেই রয়েছে।

  • RailOne: টিকিট বুকিং থেকে খাবার অর্ডার, মিলবে এক অ্যাপেই, ‘রেলওয়ান’-এর উদ্বোধন করলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব

    RailOne: টিকিট বুকিং থেকে খাবার অর্ডার, মিলবে এক অ্যাপেই, ‘রেলওয়ান’-এর উদ্বোধন করলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রী সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করল রেল। মঙ্গলবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ‘রেলওয়ান’ (RailOne) নামের নতুন মোবাইল অ্যাপ লঞ্চ করলেন। এতদিন পর্যন্ত রেলওয়ের বিভিন্ন পরিষেবা ব্যবহারের জন্য একাধিক অ্যাপ বা পোর্টালের প্রয়োজন হত। তবে ‘রেলওয়ান’ অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীরা সমস্ত রকম পরিষেবা এক প্ল্যাটফর্মেই সহজে পেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।

    যাত্রীদের জন্য সহজ হবে ভ্রমণ (RailOne)

    এই নতুন অ্যাপে সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত টিকিট বুকিং, প্ল্যাটফর্ম টিকিট কাটার সুবিধা, ট্রেনের পিএনআর অনুসন্ধান, যাত্রাপথ সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য জানা, এমনকি ট্রেনযাত্রার (RailOne) আগে থেকেই খাবার অর্ডার দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটি ভারতীয় রেলের পরিষেবাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। রেলওয়ে আধিকারিকদের মতে, এই অ্যাপের মূল লক্ষ্য হল যাত্রীদের ভ্রমণ আরও সহজ, সুন্দর ও ঝামেলা-মুক্ত করে তোলা। রেলওয়ে (RailOne App) যাত্রীরা যেন তাঁদের সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবা হাতের মুঠোয় পান, সেদিকেই নজর দেওয়া হয়েছে।

    অ্যাপটি কীভাবে ডাউনলোড করবেন?

    অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘RailOne’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন।

    অ্যাপে লগইন প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সহজ করা হয়েছে।

    এতেও R-Wallet নামক একটি ডিজিটাল ওয়ালেট যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে সংরক্ষিত টিকিট কাটলে যাত্রীরা ৩ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন।

    ‘রেলওয়ান’ অ্যাপের প্রধান ফিচারসমূহ এক নজরে

    সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত টিকিট বুকিং

    যাত্রীরা এই অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই সংরক্ষিত (Reserved) ও অসংরক্ষিত (Unreserved) ট্রেন টিকিট বুক করতে পারবেন।

    প্ল্যাটফর্ম টিকিট বুকিং

    স্টেশনে প্রবেশ করার জন্য প্ল্যাটফর্ম টিকিট কাটার দরকার হলে, সেটিও এই অ্যাপের মাধ্যমেই করা যাবে।

    ট্রেন সম্পর্কিত তথ্য ও জিজ্ঞাসা

    ট্রেনের সময়সূচি, নির্দিষ্ট ট্রেন কোথায় আছে, কত নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসবে, দেরি হচ্ছে কি না—এইসব প্রশ্নের উত্তর এই অ্যাপ থেকে সহজেই জানা যাবে।

    নিজের পিএনআর স্ট্যাটাস পরীক্ষা

    বুকিংয়ের পরে টিকিট কনফার্ম হয়েছে কি না, ওয়েটিং আছে কি না, এসব জানার জন্য আলাদা কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। শুধু পিএনআর নম্বর দিলেই অ্যাপেই দেখা যাবে স্ট্যাটাস।

    যাত্রাপথ ও ভ্রমণ পরিকল্পনায় সহায়তা

    যাত্রীরা কোন স্টেশন থেকে কোথায় যাবেন, কোন ট্রেন ধরবেন, টাইমিং কী—এসব নিয়ে যদি দ্বিধা থাকে, তাহলে অ্যাপটি পরিকল্পনা করতেও সাহায্য করবে।

    রেলের হেল্পডেস্ক ও সহায়তা পরিষেবা

    যাত্রাপথে কোনও সমস্যা হলে অ্যাপ থেকেই সরাসরি অভিযোগ দায়ের বা হেল্পডেস্কে যোগাযোগ করা যাবে।

    ট্রেনে আগাম খাবার বুকিং

    যাত্রীরা রওনা হওয়ার আগেই তাঁদের পছন্দের খাবার অর্ডার দিতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট স্টেশনে সেই খাবার তাদের আসনে পৌঁছে দেওয়া হবে।

  • Attacks on Hindu: বাংলাদেশে ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের জমি দখলের হুমকি

    Attacks on Hindu: বাংলাদেশে ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের জমি দখলের হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) নাগাড়ে অশান্তি চলছেই। বেছে বেছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Attacks on Hindu) উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কে কাটাচ্ছে সেদেশের হিন্দুরা। শনিবার (২৮ জুন) রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলায় স্থানীয় সন্ত্রাসী শাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি উগ্রপন্থী গোষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে পরিকল্পিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা একাধিক হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালায়, দেব-দেবীর প্রতিমা নষ্ট করে এবং বেছে বেছে হিন্দুদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ধারালো অস্ত্র, দা, লাঠি নিয়ে হামলা

    স্থানীয় একজন হিন্দু (Attacks on Hindu) প্রবীণ নাগরিক বিজয় চন্দ্র রায় জানান, জমি নিয়ে পূর্বে থেকেই শাহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। শনিবারের হামলা ছিল সেই বিরোধেরই ধারাবাহিকতা, যা জমি দখলের উদ্দেশ্যেই চালানো হয়েছে। হামলার সময় শাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে থাকা দুর্বৃত্তরা বিজয় চন্দ্র রায়ের বাড়ির সামনে একটি লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে মন্দিরে থাকা মা মনসার প্রতিমা-সহ অন্যান্য দেব-দেবীর মূর্তিও ভাঙচুর করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্বৃত্তরা হাতে ধারালো অস্ত্র, দা, লাঠি নিয়ে হামলা চালায় এবং সংখ্যালঘু পরিবারগুলিকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়। এক হিন্দু মহিলা বলেন, “ওরা বলেছে— জমি দখল করে নেবে, আমাদের পুড়িয়ে মারবে। ওরা আবার আসবে বলেও হুমকি দিয়েছে।”

    হেলদোল নেই ইউনূস প্রশাসনের

    রবিবার (২৯ জুন) ‘বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) অগ্নিবীর, রংপুর বিভাগ’ নামক একটি হিন্দু (Attacks on Hindu) সংগঠন সামাজিক মাধ্যমে ওই ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করে, যেখানে মন্দিরে ভাঙচুরের ছবি এবং আহত লোকজনের আর্তনাদ শোনা যায় (ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। এর আগেও, গত মাসে নওগাঁ জেলার খাগড়া মধ্য দুর্গাপুর এলাকায় একটি মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে হিন্দু সম্প্রদায়। ওই ঘটনায় মন্দির কমিটির সভাপতির উপরও হামলা চালানো হয়েছিল। স্থানীয় সংখ্যালঘুদের দাবি, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের হামলা আরও বাড়তে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের একের পর এক ঘটনা ঘটলেও তা স্বীকার করতে রাজি নয় মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রতিদিন পদ্মাপারের দেশে আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। তাঁদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ইউনূস প্রশাসনকে বারবার বার্তা পাঠিয়েছে ভারত। কিন্তু, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তা নিয়ে বিশেষ হেলদোল দেখা যায়নি।

  • Indian Railways: ৬ হাজারেরও বেশি পদে কর্মী নিয়োগ করছে রেল, আবেদনের শেষ তারিখ ২৮ জুলাই

    Indian Railways: ৬ হাজারেরও বেশি পদে কর্মী নিয়োগ করছে রেল, আবেদনের শেষ তারিখ ২৮ জুলাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলে (Indian Railways) বহু শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের জন্য সম্প্রতি রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (আরআরবি) একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রেলের বিভিন্ন বিভাগে কাজের সুযোগ পাবেন নতুন কর্মীরা। আবেদন করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই অনলাইনে শুরু হয়ে গিয়েছে।

    মোট শূন্যপদ সংখ্যা ৬,২৩৮ (Indian Railways)

    নিয়োগ করা হবে টেকনিশিয়ান গ্রেড-১ সিগন্যাল এবং টেকনিশিয়ান গ্রেড-৩ পদে, যেগুলির মোট শূন্যপদ সংখ্যা ৬,২৩৮। এর মধ্যে কলকাতা অঞ্চলে ১,৪৩৪টি পদ শূন্য রয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থীরা রেলের মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন (এস অ্যান্ড টি) সহ বিভিন্ন বিভাগের কাজে নিয়োজিত হবেন।

    বয়সসীমা কত (Indian Railways)

    টেকনিশিয়ান গ্রেড-১ সিগন্যাল পদে আবেদনকারীদের বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৩ বছর পর্যন্ত এবং টেকনিশিয়ান গ্রেড-৩ পদে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের জন্য বয়সে ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা (RRB Technician Recruitment 2025)

    পদের প্রকারভেদের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের অবশ্যই স্বীকৃত বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দশম শ্রেণি পাশ, ব্যাচেলর ডিগ্রি অথবা সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিগত বিষয়ে উপযুক্ত যোগ্যতা থাকতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত শর্তাবলী উল্লেখ রয়েছে (Indian Railways)।

    আবেদন জমার শেষ তারিখ ২৮ জুলাই

    আগ্রহীরা রেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। সংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ২৫০ টাকা এবং অসংরক্ষিতদের জন্য ৫০০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ জুলাই এবং আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০ জুলাই। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা (সিবিটি) মাধ্যমে হবে। এছাড়া, নিয়োগের আগে প্রার্থীদের নথিপত্র যাচাই করা হবে।

    কীভাবে করবেন আবেদন

    প্রথমে RRB-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।

    এরপর হোমপেজে CEN No. 02/2025 – টেকনিশিয়ান নিয়োগ ২০২৫-লিঙ্কে ক্লিক করুন

    এরপর অনলাইনে আবেদন করুন বিকল্পটি নির্বাচন করুন

    লগইন তৈরি করতে নাম, ইমেল, মোবাইল নম্বর লিখুন

    সাইন ইন করুন এবং আবেদনপত্র পূরণ করুন

    নির্ধারিত ফর্ম্যাট অনুসারে আপনার সাম্প্রতিক পাসপোর্ট-আকারের ছবি, স্বাক্ষর এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্রের স্ক্যান করা ছবি আপলোড করুন

    অনলাইনে আবেদন ফি প্রদান করুন

    সাবমিট করুন

  • Daily Horoscope 02 July 2025: ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 02 July 2025: ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়িতে অতিথি আগমন হতে পারে।

    ২) পরিবারে ব্যস্ততা বাড়বে।

    ৩) ছোট বাচ্চারা হইহুল্লোড়ে ব্যস্ত থাকবেন।

    বৃষ

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ বাবার পরামর্শে বিবাদের সমাধান হবে।

    ২) বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    ৩) ছাত্রছাত্রীরা নতুন কিছু করতে চাইবেন।

    মিথুন

    ১) ছাত্রছাত্রীরা নতুন কিছু শিখতে পারবেন।

    ২) অনাবশ্যক ব্যয় এড়িয়ে যেতে হবে।

    ৩) সুসংবাদ পাবেন।

    কর্কট

    ১) সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।

    ২) মা-বাবার আশীর্বাদ পাবেন।

    ৩) ভাই-বোনকে কিছু পরামর্শ দিতে পারেন।

    সিংহ

    ১) রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দিন কাটাবেন।

    ২) কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ আপনার অনুকূলে থাকবে।

    ৩) বিরোধী প্রবল হবে।

    কন্যা

    ১) অতীত সমস্যার সমাধান হবে।

    ২) শত্রুতা ও বিবাদের সমাধান হবে।

    ৩) পরিবারে শুভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে।

    তুলা

    ১) আত্মীয়দের কাছ থেকে সুসংবাদ পাবেন।

    ২) ব্যবসায়ীদের ধনলাভ হবে আজ।

    ৩) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) বহুদিন ধরে দেখা করতে চান এমন কোনও ব্যক্তির সঙ্গে আজ সাক্ষাৎ হতে পারে।

    ২) কাছের বা দূরের যাত্রা করতে পারেন।

    ৩) খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    ধনু

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সুখ ও সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ২) আত্মবিশ্বাস চরমে থাকবে।

    ৩) সন্ধ্যা ও রাতে কোনও বিশেষ বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন।

    মকর

    ১) আর্থিক লেনদেনে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

    ২) ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন না।

    ৩) কারও ওপর ভরসা করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি আইনি কাজের জন্য ফলদায়ী।

    ২) আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে।

    ৩) ব্যবসায়ীরা নিজের কথা অন্যের সামনে রাখতে পারবেন।

    মীন

    ১) ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে।

    ২) পরিবারে পুজোর আয়োজন করতে পারেন।

    ৩) আজকের দিনটি আপনাদের জন্য ভালো।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।..

  • Kaviraj Jamini Bhusan Roy: অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ! নতুন পথের দিশারী কবিরাজ যামিনীভূষণ রায়

    Kaviraj Jamini Bhusan Roy: অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ! নতুন পথের দিশারী কবিরাজ যামিনীভূষণ রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই অযত্নে পড়ে থাকা ফড়িয়াপুকুর স্ট্রিটের ২৯ নম্বর বাড়িটায় হঠাৎই শুরু হল মেরামতির কাজ। করা হল চুনকাম। ভ্যানে করে আসতে লাগল টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ। ব্যাপার কী? গুঞ্জন উঠল সেখানে নাকি মেডিক্যাল কলেজ খুলবেন কোনো এক বদ্যিমশাই। কিছুদিনের মধ্যেই চালু হয়ে গেল সেই কলেজ। আসতে শুরু করল শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে শুরু হল বিনামূল্যে চিকিৎসাও। দরিদ্রদের চিকিৎসা করতে স্বয়ং সেই কলেজের প্রতিষ্ঠাতাই রোজ হাজির হতেন সেখানে। সালটা ১৯১৬, ফড়িয়াপুকুরে গড়ে উঠেছিল ‘অষ্টাঙ্গ আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাসপাতাল’। ভারত তো বটেই, গোটা এশিয়ার মধ্যেই সেটাই ছিল প্রথম আয়ুর্বেদিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যার নেপথ্যে ছিলেন ডঃ যামিনীভূষণ রায় (Kaviraj Jamini Bhusan Roy)। সবার কাছে তিনি জে বি রায় নামে বেশি পরিচিত। বাংলার আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে তিনি অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে অনেকেই ভুলতে বসেছেন তাঁর নাম।

    জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ যামিনী

    সালটা ১৮৭৯। অধুনা বাংলাদেশের খুলনা জেলায় ১লা জন্ম যামিনীভূষণের। বাবা পঞ্চানন রায় ছিলেন খুলনার নামকরা কবিরাজ। পূর্ববঙ্গে বড়ো হয়ে উঠলেও পরবর্তীতে সংস্কৃত শিক্ষার জন্যই তিনি চলে আসেন কলকাতায়। ভবানীপুরে ভাড়া বাড়িতে থেকেই চলত পড়াশোনা। স্নাতক পরীক্ষায় ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করার পর ভর্তি হলেন স্নাতকোত্তরেও। সংস্কৃতের পাঠ চুকিয়ে ১৯০২ সালে ভর্তি হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। পাশাপাশি বাবার কাছেও চলতে থাকল আয়ুর্বেদ চিকিৎসার পাঠ। ১৯০৫ সালে গোল্ড মেডেল নিয়েই ব্যাচেলর অফ মেডিসিন পাস করলেন যামিনীভূষণ। হয়ে উঠলেন ‘গাইনোকলজি এবং মিডওয়াইফারি’-র বিশেষজ্ঞ। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের অধীনস্থ হাসপাতালে চাকরির সুযোগ থাকলেও, সে পথে গেলেন না। ঠিক করে ফেললেন বাবার মতোই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হবেন তিনি। আয়ুর্বেদ (Ayurveda) চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যামিনীভূষণ রায় (J B Roy) না থাকলে হয়তো দেশে এই চিকিৎসা ব্যবস্থাই উঠে যেত।

    অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ

    প্রথাগত চিকিৎসা শাস্ত্রের থেকে সরে এসে আয়ুর্বেদ নিয়ে তাঁর গবেষণা অনেকের কাছে বোকামি হলেও, যামিনীভূষণের মতো করে ভাবলে নতুন দিশা দেখতে পাবেন সবাই। আসলে আজ যে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রচলিত ভারতে, সেই অ্যালোপ্যাথি এসেছে ব্রিটিশ শক্তির হাত ধরে। তারও বহু আগে থেকেই এদেশে প্রচলিত ছিল আয়ুর্বেদ। সেখানেই যে লুকিয়ে রয়েছে সংস্কৃতির শিকড়। আর অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় দ্রুত আরোগ্যলাভ হলেও, দীর্ঘস্থায়ী রোগকে বাগে আনা বেশ কঠিন এই চিকিৎসায়। সেখানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দুরারোগ্য রোগকেও ধীরে ধীরে সারিয়ে তুলতে পারে বলেই বিশ্বাস ছিল তাঁর। বিখ্যাত চিকিৎসক মহামহোপাধ্য়ায় কবিরাজ রিজয়রত্ন সেনের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে শুরু করেন যামিনীভূষণ। অনেক মানা করেছিলেন তাঁকে। পরামর্শ দিয়েছিলেন, পশ্চিমী চিকিৎসায় উপার্জনের সুযোগ অনেক বেশি। তবে সে কথা না শুনেই নিজের পথ ধরেছিলেন। ব্যর্থ হননি। ইতিহাস তা-ই বলছে।

    গড়ে তুলেছিলেন ‘বৈদ্যরাজ ফার্মাসি’

    যামিনী বুঝেছিলেন আয়ুর্বেদকে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে গেলে প্রয়োজন অর্থের। তাই পড়াশোনার সঙ্গে বগল মাড়োয়াড়ি হাসপাতালে শুরু করলে চিকিৎসাও। সে সময় তাঁর মাসিক বেতন ছিল চল্লিশ টাকা। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল গোটা ভারতে। ডাক আসতে থাকল বরোদা, গোয়ালিয়র, কোচি রাজবাড়ি থেকে। আজকের দিনের হিসেবে দেখতে গেলে এককথায় তিনি কোটিপতি হয়ে উঠেছিলেন তৎকালীন সময়ে। তবে বিলাসবহুল জীবন তাঁকে টানেনি কোনোদিনই। বরং, সেই টাকাতেই দরিদ্রদের জন্য গড়ে তুলেছিলেন ‘বৈদ্যরাজ ফার্মাসি’। আধুনিক পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি হত সেখানে। আর দরিদ্ররা সেই ওষুধ পেতেন বিনামূল্যেই। সেখানে রীতিমতো আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করা হয়।

    মানুষের সেবায় নিয়োজিত

    ১৯২৬ সালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সেই প্রয়াত হন যামিনীভূষণ। মৃত্যুর আগে নিজের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিই তিনি দান করে গিয়েছিলেন জনকল্যাণে। নিজের তৈরি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার গবেষণাগার ও সংগ্রহশালা তো বটেই, পাতিপুকুরে ১২ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত বিশাল বাগানবাড়িও দান করে গিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাঁর মৃত্যুর ৭ বছর পর সেই বাগানবাড়িতেই ডঃ বিধানচন্দ্র রায় তৈরি করেন যক্ষ্মার হাসপাতাল। যা পাতিপুকুর টিবি হাসপাতাল বলেই পরিচিত। অদ্ভুত বিষয় হল, কিংবদন্তি এই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের জন্মদিন ১ জুলাই-ই। হ্যাঁ, এই একই দিনে জন্ম বিধানচন্দ্রেরও। এও যেন এক অদ্ভুত সমাপতন। চিকিৎসাশাস্ত্রে আজও অস্বীকার করা যায় না তাঁর অবদান। শিশুদের রোগ নির্ণয় হোক কিংবা টক্সিকোলজি— তাঁর লেখা বইগুলি প্রমাণ্য হয়েই রয়ে গিয়েছ। ইএনটি’র চিকিৎসার ক্ষেত্রেও দিশা দেখিয়েছিলেন যামিনীভূষণ।

  • Cricket News: বাংলাদেশ সফর বাতিল হলে, রোহিত-বিরাটকে ফের কবে মাঠে দেখা যাবে?

    Cricket News: বাংলাদেশ সফর বাতিল হলে, রোহিত-বিরাটকে ফের কবে মাঠে দেখা যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। চলতি বছরের মে মাসে রোহিত আরও ঘোষণা করেন যে, তিনি টেস্ট ক্রিকেট (Cricket News) থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছেন। এরই মাঝে আগামী অগাস্ট মাসে ভারতীয় দলের বাংলাদেশ (Bangladesh) সফরের সম্ভাবনার কথা আছে। এই সফরে ভারত ছয়টি সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলতে পারে—যার মধ্যে থাকবে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে সফর এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। এতেই রোহিত ও বিরাটের ভক্তরা ভাবছেন, এই দুই তারকাকে ফের আবার কবে দেখা যাবে ক্রিকেট মাঠে?

    অগাস্ট মাসের ক্রীড়াসূচির কথা আগেই জানিয়েছিল বাংলাদেশ (Cricket News)

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গত এপ্রিল মাসে জানিয়েছিল, ভারতীয় দল ১৭, ২০ এবং ২৩ অগাস্ট তিনটি ওডিআই ম্যাচ খেলবে। এছাড়াও ২৬, ২৯ এবং ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে সফরটি এখনো চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হয়নি (Cricket News)। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সফর নিশ্চিত করেনি। ফলে সফর আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।

    কবে মাঠে দেখা যাবে রোহিত-বিরাটকে?

    এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে—রোহিত ও কোহলিকে আবার কবে দেখা যাবে জাতীয় দলের জার্সিতে (Cricket News)? যদি বাংলাদেশ সফর বাতিল হয়ে যায়, তাহলে হয়তো তাঁদের আবার মাঠে দেখতে অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। কারণ ১৯ অক্টোবর থেকে ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সফর নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে টিম ইন্ডিয়া। তবে, বাংলাদেশ সফর একেবারেই বাতিল হয়ে যাচ্ছে, এমনটাও নয়। সম্প্রতি শের-ই-বাংলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বোর্ড মিটিংয়ের পর বিসিবি (Cricket News) সভাপতি আমিনুল জানান, বিসিসিআই-এর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং সফরসূচি চূড়ান্ত করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।

  • BJP: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, জুলাইতেই ঘোষণা নাড্ডার উত্তরসূরি?

    BJP: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, জুলাইতেই ঘোষণা নাড্ডার উত্তরসূরি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির (BJP) সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে ত্বরান্বিত হচ্ছে বিজেপির জাতীয় সভাপতির নাম ঘোষণার সম্ভাবনা। নিয়ম অনুযায়ী বা বিজেপির সংবিধান অনুসারে জাতীয় সভাপতির (JP Nadda) নির্বাচন করতে সারা দেশের যে ৩৭টি সাংগঠনিক রাজ্য রয়েছে, তার মধ্যে অন্ততপক্ষে ১৯ সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন করতেই হবে।

    মঙ্গলবারই ১৯টি রাজ্যে সভাপতি নির্বাচন সম্পূর্ণ হতে চলেছে

    মঙ্গলবার ১৯টি রাজ্যে সভাপতি (BJP) নির্বাচন সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এই দিনই আবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচন সংক্রান্ত নোটিশ প্রকাশিত হয়েছে। ওই নোটিশ অনুযায়ী, আগামী ৩ জুলাই দুপুরের পর রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। সোমবারই পুদুচেরি ও মিজোরামে বিজেপির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। পুদুচেরিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ভিপি রামালিঙ্গম, অন্যদিকে মিজোরামে দলের দায়িত্বে এসেছেন কে বেইচুয়া।

    কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে শীঘ্রই

    যে রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে অনেকেই পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নাম ঘোষণা করা হবে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গেছে। তেলেঙ্গানায় বিজেপি নতুন সভাপতি হিসেবে বেছে নিয়েছে রামচন্দ্র রাউকে এবং অন্ধ্রপ্রদেশে নির্বাচিত হয়েছেন পি.ভি.এন. মাধব। জনগণের মাঝে দুজনের পরিচিতি কিছুটা কম হলেও, তাঁরা দক্ষ সংগঠক বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির (BJP) ।

    জুলাই মাসেই জেপি নাড্ডার উত্তরসূরির নাম ঘোষণা?

    অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেখানকার বর্তমান কার্যকরী সভাপতি ও চারবারের বিধায়ক রবীন্দ্র চৌহানের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে। উত্তরাখণ্ডে আবার সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পেয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ মহেন্দ্র সিং ঘাটি। এটি তাঁর দ্বিতীয় দফার কার্যকাল। একের পর এক রাজ্যে বিজেপির সভাপতি (BJP) পদের নাম ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহল মনে করছে, চলতি জুলাই মাসেই জেপি নাড্ডার (JP Nadda) উত্তরসূরির নাম ঘোষণাও শুধু সময়ের অপেক্ষা।

LinkedIn
Share