Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • LCH Prachand: ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৬টি দেশীয় অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে কেন্দ্র!

    LCH Prachand: ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৬টি দেশীয় অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে কেন্দ্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষাকে জোরদার করতে গত সপ্তাহেই ৬১ হাজার কোটি টাকার সামরাস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। শীঘ্রই আরও একটি চুক্তিতে অনুমোদন দিতে পারে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, দেশে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’-র (LCH Prachand) ১৫৬টি ইউনিট কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর সঙ্গে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করতে পারে কেন্দ্র। এই হাল্কা অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলি (Light Combat Helicopters Deal) ভারতীয় স্থলসেনা ও ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য কেনা হবে।

    দ্বিমুখী যুদ্ধের প্রস্তুতি!

    কয়েকদিন আগেই, ভারতীয় সেনাপ্রধান আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, বর্তমান সময়ে ভারতের সামনে দ্বিমুখী যুদ্ধ পরিস্থিতির তৈরি হওয়াটা কোনও কল্পনা নয়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এর সম্ভাবনা যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। ফলে, ভারতকে দুই দিকেই (চিন ও পাকিস্তান) প্রতিরক্ষাকে জোরদার করে রাখতে হবে। সদা-সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে যে কোনও দিন দ্বিমুখী সংঘাত পরিস্থিতির জন্য। আর সেই জন্য, সামরিক দিকগুলোয় যেখানে যা দুর্বলতা বা ফাঁকফোকড় রয়েছে, তা দ্রুত ভরাট করতে হবে। সূত্রের দাবি, পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে নিরাপত্তা অভিযান বাড়ানোর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই হেলিকপ্টারগুলি অধিগ্রহণের পক্ষে জোরালোভাবে সওয়াল করছে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ড দেশের গর্ব (LCH Prachand)

    জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জুনে মাসে, হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র পেয়েছিল। সেই নিয়ে আলোচনা-পর্ব মেটার পর এখন তা চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। এই ১৫৬টি হেলিকপ্টারের মধ্যে ৯০টি ভারতীয় স্থলসেনার জন্য এবং ৬৬টি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বরাদ্দ করা হবে। এই প্রস্তাব অনুমোদন পেলে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে দেশে জোয়ার আসবে, যা মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত-এর (Atmanirbhar Bharat) পক্ষে জোরালো সওয়াল হবে এবং একইসঙ্গে ভারতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

    এক নজরে হ্যাল এলসিএইচ প্রচণ্ড-র বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

    ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) বিশ্বের একমাত্র আক্রমণকারী বা অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা ৫,০০০ থেকে ১৬,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবতরণ ও উড়তে সক্ষম। সিয়াচেন হিমবাহ ও পূর্ব লাদাখের মত অতি উচ্চ এলকায় যুদ্ধের জন্য এগুলি আদর্শ।

    অধিক উচ্চতার অভিযানে দক্ষতার পাশাপাশি, প্রচণ্ড হেলিকপ্টারগুলি আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত।

    প্রচণ্ড চপারগুলো ডেটা চিপ দিয়ে সংযুক্ত, যা তাদের নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক অভিযানে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা দেয়। ডেটা চিপগুলির জন্য এই কপ্টারগুলি সামরিক অভিযানে সমন্বয় গঠনের মাধ্যমে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে ওঠে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ডকে (LCH Prachand) ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    মেক ইন ইন্ডিয়া-য় জোর, গুরুত্ব আত্মনির্ভর ভারত-কে

    মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করতে এবং আত্মনির্ভর ভারত (Atmanirbhar Bharat) প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে ইতিমধ্যেই হ্যালকে ৮৩টি এলসিএ তেজস যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য একটি অর্ডার দিয়েছে এবং আরও ৯৭টি যুদ্ধবিমান চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তার মধ্যেই, এবার ১৫৬টি এলসিএইচ-এর (LCH Prachand) বরাত পেতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। কেন্দ্রের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার পরিষদ বা কেবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি ৩০৭টি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (এটিএজিএস) কেনার জন্য ৭ হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তিও অনুমোদন করেছে, যা বুধবার স্বাক্ষরিত হওয়ার জন্য প্রত্যাশিত। এই হাউইৎজারগুলি ভারত ফোর্জ এবং টাটা গ্রুপ দ্বারা উৎপাদিত হবে।

  • Mehul Choksi: তাঁদের দেশেই রয়েছেন মেহুল চোকসি, জানাল বেলজিয়াম, কেন বিলম্ব প্রত্যর্পণে?

    Mehul Choksi: তাঁদের দেশেই রয়েছেন মেহুল চোকসি, জানাল বেলজিয়াম, কেন বিলম্ব প্রত্যর্পণে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলজিয়ামেই রয়েছে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসি (Mehul Choksi)! তাঁর উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত বেলজিয়াম। এমনটাই জানাল সে দেশের সরকার। ভারতে তাঁর প্রত্যর্পণের বিষয়টি একইসঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্ব ও মনোযোগ সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

    কী বললেন বেলজিয়ামের (Belgium) বিদেশ বিষয়ক মুখপাত্র?

    একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বেলজিয়ামের ফেডেরাল পাবলিক সার্ভিসের (এফপিএস) বিদেশ বিষয়ক মুখপাত্র ডেভিড জর্ডেন্সের কাছে মেহুলের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত করতে পারি, বিদেশ মন্ত্রক বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। যদিও এই বিষয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করতে পারি না। এই বিষয়টি এফপিএস-এর বিচারকের অধীনে পড়ে।’’ তার পর তিনি আরও বলেন, বেলজিয়াম সরকার পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।

    কেন বিলম্ব হচ্ছে প্রত্যর্পণ

    জানা গিয়েছে, মেহুলের (Mehul Choksi) স্ত্রী প্রীতি চোকসি বেলজিয়ামেরই নাগরিক। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নিজের স্ত্রীর সাহায্যে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ‘এফ রেসিডেন্সি কার্ড’ জোগাড় করে বেলজিয়ামে থাকতে শুরু করেছেন মেহুল। এই কার্ডের মাধ্যমে অন্য কোনও দেশের নাগরিক বৈবাহিক সূত্রে তাঁর স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে বেশে কিছু শর্ত মেনে বেলজিয়ামে থাকতে পারেন। তবে মেহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভুয়ো কাগজপত্র জোগাড় করে তিনি বেলজিয়ামে থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন। নানা কৌশলে ভারতে প্রত্যর্পণ ঠেকানোর চেষ্টাও করে চলেছেন তিনি।

    মেহুলের (Mehul Choksi) বিরুদ্ধে অভিযোগ

    এক্ষেত্রে উল্লেখ্য পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে মেহুলের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তাঁর। এর পর ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান মেহুল। এদেশের সিবিআই এবং ইডি, উভয় সংস্থাই তাঁকে খুঁজছে। জানা যায়, আগে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র অ্যান্টিগা ও বারবুডায় ছিলেন মেহুল। সেখানকারও নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁর কাছে। সেখান থেকে মেহুলকে ভারতে ফেরানো যায়নি। এর পর ২০২১ সাল নাগাদ, আচমকা, সেখান থেকে উধাও হয়ে যান মেহুল। সম্প্রতি, বেলজিয়ামে মেহুলকে দেখতে পাওয়ার পরই ফের তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয় ভারত সরকার।

  • Hafiz Saeed: পাকিস্তানে ফের হানা অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের, এবার খতম হাফিজ ঘনিষ্ঠ জঙ্গিনেতা

    Hafiz Saeed: পাকিস্তানে ফের হানা অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের, এবার খতম হাফিজ ঘনিষ্ঠ জঙ্গিনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের করাচিতে ফের খতম ভারত-বিরোধী জঙ্গি। জানা গিয়েছে, হাফিজ সঈদের (Hafiz Saeed) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি কারি শাহজাদাকে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা গুলি করে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে করাচিতে। ২৪ মার্চ সকালে করাচির খরিয়াবাদ এলাকাতে এই ঘটনা ঘটে। জমিয়ত-উলেমায়ে-হিন্দ বলে একটি সংগঠনের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন এই শাহজাদা। তাঁকেই গুলি করে হত্যা করা হয়।

    মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফেরার পথেই গুলি (Hafiz Saeed)

    জানা গিয়েছে, সোমবার মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফেরার পথেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত মাসে যেভাবে পাঁচজন জমিয়তে-উলেমায়ে-ইসলামের (Qari Shahzada) নেতাকে খুন করা হয়েছে, এক্ষেত্রেও একই কায়দা অনুসরণ করা হয়েছে। শাহজাদার এই হত্যাকাণ্ড এখন আর কোনও গোপন ঘটনা নেই। সর্বত্র চর্চা চলছে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এর ফলে বেশ চাপেও পড়েছে পাকিস্তানের সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার জন্য কোনও জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করেনি। প্রসঙ্গত, ভারত-বিরোধী জঙ্গিদের (Hafiz Saeed) গুলি করে হত্যা করার ঘটনা বেড়েই চলেছে পাকিস্তানে এবং এর সবটাই করছে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা। এর আগেও একাধিকবার এমন একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু প্রতিবারই এই ঘটনা রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে পাক সরকার ও গোয়েন্দা বিভাগ।

    পাকিস্তানে ছড়িয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং তাদের গোয়েন্দা দফতরের ওপরেও প্রশ্ন চিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। সামনে এসেছে তাদের ব্যর্থতা। ব্যাপক সমালোচনার শোনা গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই ধরনের হত্যাকাণ্ডকে পাক গোয়েন্দারা কেন আগে থেকে রোধ করতে পারছে না, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। কারি শাহজাদাকে খতম করার এই ঘটনায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক উত্তাপও ছড়িয়েছে। বিরোধী নেতারা দাবি তুলছেন যে, পাকিস্তান নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা এই ধরনের ঘটনাকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তথা প্রশাসন এবং সরকারের ব্যর্থতা বলেই তোপ দাগছেন।

  • Daily Horoscope 26 March 2025: বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 26 March 2025: বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি সমস্যায় পরিপূর্ণ থাকবে।

    ২) কাজকর্মে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

    ৩) কড়া হাতে সমস্যার মোকাবিলা ও তার সমাধান বের করুন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ।

    ২) কাজকর্মে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    ৩) বিরোধীদের থেকে সতর্ক থাকুন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) সারাদিনে প্রচুর সাফল্য লাভ করতে পারবেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে আর্থিক লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো কাটবে।

    ২) নতুন ও অভিনব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন।

    ৩) আনন্দ ও সন্তুষ্টির স্তর উচ্চপর্যায়ে থাকবে।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি কঠিন হবে।

    ২) মনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা আসবে।

    ৩)  পারিবারিক বিষয়ে চিন্তিত থাকবে।

    কন্যা

    ১) আজকের দিনটি কঠিন।

    ২) কাজে মনোনিবেশ করুন।

    ৩) নানান সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে।

    তুলা

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো কাটবে।

    ২) পরিশ্রম ও বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সমস্ত কাজ পূর্ণ করার সুযোগ পাবেন।

    ৩) বিরোধীদের থেকে সতর্ক থাকুন।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকের দিনটি ভালো কাটবে।

    ২) কাজকর্ম বৃদ্ধির পাশাপাশি আপনার কর্মশৈলী দেখে বরিষ্ঠরাও প্রভাবিত হবে।

    ৩) আধিকারিকরা আপনার কাজের প্রশংসা করবে।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি কঠিন।

    ২) অনিশ্চয়তা ও সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

    ৩) ব্যবসায় মনোনিবেশ করুন।

    মকর

    ১) আজকের দিনটি ভালো কাটবে।

    ২) বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন।

    ৩) অর্থ আগমন হবে।

    কুম্ভ

    ১) আজ চিন্তিত থাকবেন।

    ২) কাজকর্মে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) লক্ষ্য লাভের চেষ্টা করা জরুরি।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) কাজে বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন।

    ৩) জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি সম্ভব।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • India TB Elimination Campaign: ২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    India TB Elimination Campaign: ২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে যক্ষ্মা দূরীকরণে (India TB Elimination Campaign) জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। যক্ষ্মা রোগের জন্য দায়ী মাইকো ব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস। এই জীবাণু সাধারণত ফুসফুসে আক্রমণ করে। ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমে। এক আক্রান্ত থেকে আরেক আক্রান্তের শরীরে। যক্ষ্মায় প্রতি বছর গড় মৃত্যুর হার ৫ শতাংশ। যক্ষ্মা রোগীদের আরও একাধিক রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি— এগুলিই যক্ষ্মার উপসর্গ। ভারত সরকার যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান আরও সম্প্রসারণ করছে, সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা।

    ১০০ দিন ধরে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান

    বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২৫ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা জানান, দেশব্যাপী ১০০ দিন ধরে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান চালায় সরকার। এই অভিযান চলাকালীন মোবাইল স্ক্রিনিং ইউনিট, যেমন হাতে ধারণযোগ্য এক্স-রে মেশিন এবং নিউক্লিক অ্যাসিড এমপ্লিফিকেশন টেস্টিং (NAAT), দুর্গম এবং অবহেলিত এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ যক্ষ্মা সেবা পৌঁছে দিতে সহায়ক হয়েছে। সারা দেশে এই অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ১৩.৪৬ লক্ষ শিবির আয়োজন করা হয়েছে। যক্ষ্মা চিকিৎসার কভারেজ ৫৯% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮৫% হয়েছে। ৫,০০০ বিধায়ক এবং ১০,০০০ গ্রাম পঞ্চায়েত সক্রিয়ভাবে এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছে। নাড্ডা আরও জানান, তারা এই উদ্যোগটি সারা দেশের সমস্ত জেলার মধ্যে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন, যাতে কোনো রোগী অবহেলিত না থাকে। এই অভিযানে বিভিন্ন সেক্টরের ব্যাপক সমর্থন মিলেছে। ২২টি মন্ত্রক এই উদ্যোগে সহায়তা করেছে। ৩,০০,০০০ এরও বেশি নির্বাচিত প্রতিনিধি সচেতনতা এবং প্রতিরোধ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন।

    যক্ষ্মা দূরীকরণে সরকারের ভূমিকা

    নাড্ডা (India TB Elimination Campaign) বলেন, “যক্ষ্মা এখনও সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়নি, তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ” তিনি আরও জানান, ভারত যক্ষ্মা গবেষণায় বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর সময় ব্যবহৃত আরটি-পিসিআর মেশিনগুলো এখন যক্ষ্মা নির্নয়ে ব্যবহার করা হয়। ভারতের স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা (ICMR) দ্বারা উন্নীত দেশীয় ডায়াগনস্টিক কিটগুলো ৩২টি পরীক্ষা একসঙ্গে করতে সক্ষম। যা যক্ষ্মা নির্নয়ের খরচ কমিয়েছে। এআই-চালিত হ্যান্ডহেল্ড এক্স-রে মেশিনগুলি উপসর্গবিহীন যক্ষ্মা রোগ সনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।নাড্ডা একটি ডিজিটাল কফি টেবিল বুকও চালু করেছেন, যেখানে ‘ডিফারেনশিয়েটেড টিবি কেয়ারের উপর নির্দেশিকা ডকুমেন্ট’ শিরোনামে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযানের প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। যা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রদান করে।

  • Nilamadhaba Temple: স্বপ্নাদেশ পেয়ে ভগবানকে খুঁজতে যান রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন! জানুন ওড়িশার নীলমাধব মন্দিরের মাহাত্ম্য

    Nilamadhaba Temple: স্বপ্নাদেশ পেয়ে ভগবানকে খুঁজতে যান রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন! জানুন ওড়িশার নীলমাধব মন্দিরের মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ওড়িশার কন্টিলোতে অবস্থিত নীলমাধব মন্দির (Nilamadhaba Temple) পরিদর্শন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বৈষ্ণব ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই মন্দির ওড়িশা তথা ভারতবর্ষের হিন্দু সমাজের কাছে এক উল্লেখযোগ্য তীর্থস্থান। সারা বছর ধরেই প্রচুর ভক্ত নিজেদের মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য এই মন্দিরে আসেন। নীলমাধব মন্দিরেই প্রতিফলিত হয় হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য। প্রাচীন জনজাতি সমাজের রীতিনীতিও বোঝা যায় এই মন্দিরে পৌঁছালে। এই মন্দির যেন কথা বলে। হাজার হাজার বছর ধরে সমুদ্র, নদী, অরণ্য কীভাবে আমাদের মানব সমাজকে প্রতিমুহূর্তে লালন পালন করে আসছে, সেই কথাই ধ্বনিত হয় এই মন্দিরে। ওড়িশা রাজ্যের প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী তথা সে রাজ্যের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস হল, ভগবান জগন্নাথ এই প্রাচীনতম বৈষ্ণব উপাসনা তীর্থে সর্বদাই বাস করেন। তিনি এখানে থেকেই ভক্তদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেন। ভগবান নীলমাধব হলেন ভগবান বিষ্ণুরই অন্যতম রূপ। পুরীতেই ইনি ভগবান জগন্নাথ হিসেবে পূজিত হচ্ছেন। ভক্তদের বিশ্বাস ও ওড়িশা রাজ্যের প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী, পুরীতে জগন্নাথদেবের পুজোর আগে থেকেই ভগবান বিষ্ণুর রূপ হিসেবে নীলমাধবের পুজো করা হত। গবেষকরা জানাচ্ছেন, নীলমাধব শব্দটি এসেছে নীলা মাধব থেকে। বিষ্ণুসহস্র নামে উল্লেখ রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর ২৪টি প্রধান নামের কথা। এই নামগুলির মধ্যে অন্যতম হল নীলমাধব। ঐতিহাসিক তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়, নীলমাধবের পুজো ওড়িশায় প্রায় হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে হয়ে আসছে। এই প্রতিবেদনে জানব নীলমাধবের পুজো কীভাবে শুরু হল?

    নীলমাধবের পুজো চারটি নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল

    ওড়িশা রাজ্যে (Odisha) নীলমাধবের পুজো (Nilamadhaba Temple) চারটি নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। এই নদীগুলি হল- মহানদী, ঋষিকুল্য, বৈতরণী এবং প্রাচী। যে স্থানে এই মন্দির অবস্থিত সেই কন্টিলো হল ওড়িশার নয়াগড় জেলায় অবস্থিত একটি জনপদ। এই স্থানের দূরত্ব পুরী থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে। ওড়িশা রাজ্যের লোককথা থেকে জানা যায়, ভগবান বিষ্ণু প্রথমে নীলমাধবের আকারে কাঠের মূর্তি হিসেবে কন্টিলোতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। অর্থাৎ পুরীর মন্দিরের আগে থেকেই কন্টিলোতে চলে আসছে পুজো। প্রসঙ্গত, পুরীর জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। ভক্তদের বিশ্বাস- জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি স্থাপন করেছিলেন তিনি।

    ভগবান বিষ্ণু স্বপ্নে নির্দেশ দেন রাজাকে (Nilamadhaba Temple)

    কন্টিলোর নীলমাধব মন্দির এবং রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের পৌরাণিক কাহিনীও বেশ জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে। প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু ধর্মপ্রাণ রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে একদিন স্বপ্নে দেখা দেন। ভগবান বিষ্ণু এরপর ইন্দ্রদ্যুম্নকে জানান, ওড় দেশের (ওড়িশা) মহানদীর তীরে (Odisha) তিনি নীলমাধব রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। যেখানে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন সেখানে শবর জনগোষ্ঠীর প্রধান তাঁকে একটি বড় গাছের নিচে পুজো করছে। এই স্বপ্ন দেখার পরের দিনই ইন্দ্রদ্যুম্ন, তাঁর বিশ্বস্ত ব্রাহ্মণ পুরোহিত বিদ্যাপতিকে নীলমাধবের মূর্তি খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, ওই মূর্তি নিয়ে আসতে হবে পুরুষোত্তম (পুরী) ক্ষেত্রে। সেখানেই একটি মন্দিরে তা স্থাপন করা হবে।

    বিদ্যাপতির শবর রাজ্যে গমন (Nilamadhaba Temple)

    রাজার নির্দেশে বিদ্যাপতি ব্রাহ্মণ বেরিয়ে পড়েন। পথে ঘুরতে ঘুরতে তিনি পৌঁছান সেই শবর রাজ্যে। যে রাজ্যের কথা ভগবান বিষ্ণুর দেওয়া স্বপ্ন থেকে জানতে পেরেছিলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। শবর রাজ্যে পৌঁছে সেখানকার জনজাতি গোষ্ঠীর প্রধান বিশ্ববসুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। বিশ্ববসুর কাছে বিদ্যাপতি জনজাতি রাজ্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। এই সময় বিদ্যাপতি বিশ্ববসুর কন্যা ললিতার প্রেমে পড়েন এবং তাঁকে বিয়ে করেন। পরবর্তীকালে বিদ্যাপতি লক্ষ্য করেন যে বিশ্ববসু প্রায়ই একটি গোপন স্থানে নীলমাধবের পুজো করতে যাচ্ছেন। স্থানটি কোথায় তা দেখা যায় না। কারণ অরণ্যের মধ্যে ঢুকেই অদৃশ্য হয়ে যেতেন বিশ্ববসু।

    বিদ্যাপতির নীলমাধব দর্শন

    এতে বিদ্যাপতির কৌতূহল বাড়তে থাকে। সেই মতো বিদ্যাপতি এ কথা জানান তাঁর স্ত্রী ললিতাকে । ললিতা সেই মতো তাঁর বাবা বিশ্ববসুকে রাজি করান যাতে তিনি বিদ্যাপতিকে নীলমাধবের দর্শনের জন্য নিয়ে যান। কিন্তু বনের গভীরে নিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যাপতির চোখ বেঁধে দেন বিশ্ববসু। বিদ্যাপতি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তি। তিনি হাতে করে সর্ষের বীজ লুকিয়ে রেখেছিলেন। চলার পথে সেই বীজগুলোকে ফেলতে ফেলতে যান। এরপর বিদ্যাপতিকে নীলমাধবের দর্শন করান বিশ্ববসু। পরবর্তীকালে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের কাছে ফিরে গিয়ে বিদ্যাপতি জানান যে, নীলমাধবকে তিনি জনজাতি রাজ্যে খুঁজে পেয়েছেন। পরবর্তীকালে নিজের দলবল নিয়ে বনের মধ্যে বেড়ে ওঠা সরিষা গাছের পথ অনুসরণ করেন রাজা। কিন্তু সে সময় নীলমাধবের দর্শন তিনি পাননি।

    ভগবান বিষ্ণু আবির্ভূত হন রাজার সামনে

    এরপরে ব্যর্থতায় হতাশ হয়ে পড়েন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। শুরু করেন কঠোর তপস্যা। অন্ন-জল কোনও কিছু গ্রহণ করেননি। সারাক্ষণ ভগবান বিষ্ণুর দেখা পাওয়ার জন্য তিনি ব্যাকুল হয়ে ধ্যান করতে লাগলেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান বিষ্ণু এরপর হতাশ করেননি তাঁর এই পরম ভক্তকে। প্রকট হন রাজার সামনে। তাঁকে জানান যে, পুরীর সমুদ্র সৈকতে তিনি কাঠের রূপে (দারু ব্রহ্মা) আবির্ভূত হবেন। একইসঙ্গে ভগবান বিষ্ণু রাজাকে পুরীতে বিশাল মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেন। তিনি জানান, ওই মন্দিরেই তিনি জগন্নাথদেব হিসেবে পূজিত হবেন। এর পরবর্তীকালে রাজা দারু ব্রহ্মা বা ঐশ্বরিক কাঠকে খুঁজে পান। পরবর্তীকালে সেগুলোকে তিনি প্রাসাদে নিয়ে আসেন। এরপরে ভগবান বিশ্বকর্মা এক ছুতোরের রূপ ধারণ করে মূর্তি খোদাই এর কাজ শুরু করেন। বিশ্বকর্মা রূপী ওই ছুতোরের শর্ত একটিই ছিল, বন্ধ দরজার পিছনে এই কাজ হবে এবং সম্পূর্ণ গোপনীয়তার সঙ্গে। যদি কাজ করার সময় তাঁকে কেউ বিরক্ত করে তাহলে কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবেই মূর্তি তৈরির কাজ চলতে থাকল। সাতদিন পরে রাজা ও রানি মূর্তি দেখতে অস্থির হয়ে পড়েন এবং ওই ছুতোর যেখানে কাজ করছিলেন সেই দরজা খুলে দেন। সে সময় দেখা যায় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার তিনটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছে বটে তবে তা অসম্পূর্ণ। আজও পুরীতে পূজিত হয় এই তিন মূর্তি। তবে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন জনজাতিদের প্রতি তাঁর কর্তব্য তখনও ভোলেননি। ললিতা যে গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তাঁদেরকে দৈত্যপতি বলা হত। সেই ললিতার গোত্রকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে বিশেষ সেবায়েত হিসেবে মর্যাদা দেন রাজা। এইভাবেই শবর জনগোষ্ঠী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে পুরীতে। আজও পর্যন্ত ললিতার সেই বংশধর এবং দৈত্যপতিরা সেবা করে চলেছেন জগন্নাথদেবের।

  • Calcium Deficiency: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বাড়াচ্ছে ঠান্ডা পানীয় পানের ইচ্ছা! কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    Calcium Deficiency: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বাড়াচ্ছে ঠান্ডা পানীয় পানের ইচ্ছা! কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    মাধ্যম নিউজঃ আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে! তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। আর গরমের এই আবহাওয়ায় চটজলদি আরাম পেতে অনেকের সঙ্গী হয় নরম ঠান্ডা পানীয়‌। বোতলবন্দী বা প্যাকেটজাত কার্বোনেটেড (Calcium Deficiency) ওয়াটার গরমের অস্বস্তিতে তৃপ্তি এনে দেয়।‌ অনেকের আবার বিরিয়ানি কিংবা বার্গারের সঙ্গে এই নরম পানীয়তে চুমুক না দিলে স্বাদ সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই কার্বোনেটেড ওয়াটার বা নরম পানীয়ের প্রতি অনেকেই এক ধরনের আসক্তি অনুভব করেন। যে কোনও খাবার খাওয়ার পরেই, তাদের এক গ্লাস নরম পানীয় (Cold Drinks) না হলে চলে না। আর এই আসক্তি জানান দেয়, শরীরে বাসা বাঁধছে নতুন রোগ! সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে চারটি রোগের দাপট মারাত্মক ভাবে বেড়েছে, যার পিছনে মূল কারণ মাত্রাহীন কার্বোনেটেড ওয়াটারের প্রতি আসক্তি।

    কেন নরম ঠান্ডা পানীয়তে আসক্তি বাড়ে (Calcium Deficiency)?

    আন্তর্জাতিক ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তরুণ প্রজন্মের পাশপাশি প্রৌঢ়দের মধ্যেও এই নরম পানীয়ের প্রতি আসক্তি মারাত্মক বাড়ছে। যার অন্যতম কারণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ঘটনা একে অন্যের পরিপূরক। অর্থাৎ, অতিরিক্ত নরম ঠান্ডা পানীয় খেলে হাড় ক্ষয় হয়, আবার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে নরম পানীয়ের প্রতি আসক্তি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত এই নরম ঠান্ডা পানীয় খান, তাদের অধিকাংশই ক্যালসিয়ামের (Calcium Deficiency) অভাবে‌ ভুগছেন। আবার তাঁরা এতটাই এই পানীয়তে (Cold Drinks) আসক্ত, যে এগুলো ছাড়া খাবার খেতেই পারছেন।

    কোন চারটি রোগের প্রকোপ বাড়াচ্ছে নরম ঠান্ডা পানীয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশ্ব জুড়ে অধিকাংশ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ, জীবন যাপনের অভ্যাস। গত এক দশকে যে সমস্ত রোগ সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সেগুলোর অধিকাংশের কারণ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন‌ যাপনের অভ্যাস। মূলত চারটি অসুখ মারাত্মক বেড়ে যাওয়ার পিছনে নরম ঠান্ডা (Cold Drinks) পানীয়কে দায়ী করছেন চিকিৎসক মহল!

    হাড়ের ক্ষয় রোগ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সী মহিলাদের মধ্যে হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে। আর নরম ঠান্ডা পানীয় এই রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই কার্বোনেটেড ওয়াটারে থাকে প্রচুর পরিমাণে সোডা। আর এই উপাদান হাড়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।‌ সোডা হাড়কে ভিতর থেকে ফাঁপা করে দেয়। তাই নিয়মিত নরম ঠান্ডা পানীয় খেলে দেহে মারাত্মক ক্যালসিয়ামের (Calcium Deficiency) ঘাটতি দেখা দেয়। হাড়ের ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এমনকি যে কোনও সময় হাড় (Cold Drinks)  ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়‌।

    ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি!

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। বিশেষত নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমনকি শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোল্ড ড্রিঙ্কস থেকেই এই রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। কোল্ড ড্রিঙ্কসে থাকা নানান উপাদান লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। খুব কম বয়স থেকেই নিয়মিত কোল্ড ড্রিঙ্কস খেলে লিভারে বাড়তি ফ্যাট জমে। যার ফলেই ফ্যাটি লিভার জাতীয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

    ওবেসিটির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোল্ড ড্রিঙ্কসে কোনও পুষ্টিগুণ নেই। বরং কোল্ড ড্রিঙ্কসে থাকে অতিরিক্ত চিনি এবং প্রিজারভেটিভ রাসায়নিক। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এই অতিরিক্ত প্রিজারভেটিভ উপাদান এবং চিনি শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত কোল্ড ড্রিঙ্কস খেলে তাই ওবেসিটি বা স্থূলতার (Calcium Deficiency) ঝুঁকিও বাড়ে।

    বাড়াচ্ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি!

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর এক রিপোর্টে কয়েক বছর আগে স্পষ্ট করা হয়েছিল, একাধিক নরম পানীয়তে অ্যাসপার্টেম ব্যবহার করা হয়। এই অ্যাসপার্টেম হল এক ধরনের কৃত্রিম মিষ্টি। বোতলবন্দি নরম পানীয়ের স্বাদ বাড়াতেই এই ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়। আর এই অ্যাসপার্টেম শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। বিশেষত ক্যান্সারের (Calcium Deficiency) ঝুঁকি বাড়ায় এই উপকরণ। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত নরম ঠান্ডা পানীয়তে অভ্যস্থ হলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bangladesh Crisis: ফের সামরিক শাসনের পথে বাংলাদেশ! কী বলছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান?

    Bangladesh Crisis: ফের সামরিক শাসনের পথে বাংলাদেশ! কী বলছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে কোনও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি। অনেকে নানা ভুল তথ্য, অপতথ্য নানা ভাবে ছড়াচ্ছে। এতে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। পরিস্থিতি সামলাতে হবে ধৈর্যের সঙ্গে। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) সেনা কর্মীদের উদ্দেশে এমনই আর্জি জানালেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে অরাজকতাই নিত্যসঙ্গী। একদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জামাতের মতো কট্টরপন্থীরা। অপরদিকে বার বার নির্বাচনের দাবি জানোনো খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। এই আবহে দেশে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে সেনা। মনে করা হচ্ছে সামরিক শাসনের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।

    ভোটের দাবি সেনার

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন করিয়ে স্থায়ী সরকার গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে সেনা। রবিবার বাংলাদেশের পদাতিক, জলরক্ষা বাহিনী ও আকাশ রক্ষা বাহিনীর বৈঠকে এই বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়েছে। সোমবারও সকাল থেকে সেনা সদরে বৈঠক চলছে। সেনা অভ্যুত্থানের চর্চা ঢাকায়। সতর্কতা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশও। উত্তেজনা বাড়ছে পড়শি দেশে। মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus) অন্তর্বর্তী সরকার (Interim Government) আগেই জানিয়েছিল, আগামী বছরের শুরুতে ভোট হতে পারে। এখনই নির্বাচন চায় না ইউনূস সরকার। তবে, বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চাইছেন সেনা কর্তারা। সেই বিষয়ে সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামানকে তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন। সেনা ও ছাত্র নেতাদের সংঘাতে বারবার এই প্রশ্ন সামনে আসছে তাহলে কি সামরিক শাসনের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ?

    সেনা প্রধানের বৈঠক

    সোমবার ঢাকায় সেনানিবাসের প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সেনাপ্রধান। সেখানেই কর্মকর্তা ও সৈনিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান বলেছেন, তাঁদের আত্মত্যাগ দেশ সব সময় স্মরণ করবে। তিনি সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার কথা বলেন। ওই বৈঠকে দেশে গুজব ছড়ানো নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নানা ধরনের অপপ্রচার, গুজব, উস্কানিমূলক বক্তব্য-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোমবারের বৈঠকে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের সেনা যে গোটা বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে, সে কথাও উল্লেখ করা হয়। সেনাপ্রধান সকলকে, উস্কানিমূলক বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বারণ করেছেন। মন্তব্য করেন, এমন কিছু করা যাবে না, যাতে উস্কানিদাতাদের লক্ষ্য পূরণ হয়। সেনাবাহিনীর কাছে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেশ ও দেশের জনগণ। সামনে ইদ, সে কথা মনে রেখে সেনাপ্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হবে। যদি কোনও কারণে কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়, কঠোরভাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

    উদ্বিগ্ন সেনাবাহিনী

    মহম্মদ ইউনূসের আমলে সংখ্যালঘু অত্যাচারের পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে পদ্মাপাড়ের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, ভঙ্গুর অর্থনীতির জেরে মূল্যবৃদ্ধি মাত্রা ছাড়িয়েছে। এইসঙ্গে সাধারণ মানুষের উপর কট্টরপন্থীদের অত্যাচার। মাথা চারা দিয়েছে জঙ্গিবাদ। সব মিলিয়ে গরিব থেকে মধ্যবিত্ত, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আমজনতা বিরক্ত। এই অবস্থায় পুলিশের উপর ভরসা না রাখতে পেরে আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে ইউনূস সরকার। এরপরেও ধর্মীয় হানাহানির পাশাপাশি রাজনৈতিক সংঘর্ষ, খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় উদ্বিগ্ন সেনাবাহিনী। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের প্রশ্ন, সেনাবাহিনীকে যদি দিনের পর দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হয়, ইউনুস সরকার তবে ঠিক কী করছে?

    বাংলাদেশে সামরিক শাসনের ইতিহাস

    উল্লেখ্য, ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করলে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। ওই সময় দেশটির সর্বময় কর্তা ছিলেন আওয়ামি লিগ নেতা তথা ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমান। সম্পর্কে তিনি ছিলেন হাসিনার বাবা। পাকিস্তানের থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ তৈরির অন্যতম প্রধান কারিগর ছিলেন মুজিবুর । কিন্তু, নতুন দেশ তৈরির ৪ বছরের মধ্যেই সেনাশাসনের মধ্যে পড়ে বাংলাদেশ। ১৯৭৫-এর ১৫ অগাস্ট ঢাকায় শেখ মুজিবুরের ধানমুণ্ডির বাড়িতে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন সেনা অফিসার। গুলি করে তাঁকে হত্যা করে ফৌজ।

    বাংলাদেশে একাধিক সেনা অভ্যুত্থান

    শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর খান্দেকর মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে ইসলামিক শাসন শুরু হয়। নেপথ্য অবশ্য ছিল সেনাবাহিনী। ওই বছরই ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে ফের সেনা অভ্যুত্থান হয় বাংলাদেশে। ফলে ক্ষমতায় থেকে যান খান্দেকর মোস্তাক আহমেদ। ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর পদ্মা পাড়ের দেশে তৃতীয়বারের জন্য ঘটে সেনা অভ্যুত্থান। যার নেতৃত্বে ছিলেন বাম মনোভাবাপন্ন বেশ কয়েকজন সেনা অফিসার। এই অভ্যুত্থানে প্রাণ হারান ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ। পরবর্তী দশকগুলিতেও একাধিকবার বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯৯৬, ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১১ গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনওবারই সাফল্য হয়নি সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে ১৮ বছর সেনা শাসনে কাটিয়েছে পদ্মা পাড়ের এই দেশ।

  • Power consumption: তাপপ্রবাহের শঙ্কা, ঘরে ঘরে এসি! এ বছর দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ৯-১০ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা

    Power consumption: তাপপ্রবাহের শঙ্কা, ঘরে ঘরে এসি! এ বছর দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ৯-১০ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরম এখনও সেভাবে পড়েনি। রাতে আর ভোরের দিকে গরম একেবারেই নেই। তবে এপ্রিল থেকে গরমে নাভিশ্বাস উঠবে ভারতবাসীর। দিল্লি থেকে কলকাতা, জয়পুর থেকে চেন্নাই প্রবল গরম পড়বে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। এরই ফলে দেশে বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা। এই গরমে ভারতে ৯-১০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা (Power consumption) বাড়বে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। কারণ আগামী কয়েক মাস তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতবাসী। এর জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

    কোথায় বিদ্যুতের পরিমাণ কী রকম

    গত বছর, ৩০ মে সারা দেশের পিক বিদ্যুৎ চাহিদা ২৫০ গিগাওয়াট অতিক্রম করেছিল, যা পূর্বাভাসের তুলনায় ৬.৩ শতাংশ বেশি ছিল। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপ প্রবাহ বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, দাবি বিশেষজ্ঞদের। বর্তমানে দেশে শিল্পের জন্য ৩৩ শতাংশ, গৃহস্থালির জন্য ২৮ শতাংশ এবং কৃষির জন্য ১৯ শতাংশ বিদ্যুত ব্যবহৃত হয়। গত দশকে গার্হস্থ্য বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুত বেড়েছে, বলেন দিল্লি ভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারের রিনিউয়েবল সিনিয়র প্রোগ্রাম লিড দিশা আগরওয়াল। ২০১২-১৩ সালে গার্হস্থ্য বিদ্যুৎ ব্যবহার ছিল ২২ শতাংশ, যা ২০২২-২৩ সালে ২৫ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই বৃদ্ধির বেশিরভাগই অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে শীতলীকরণের প্রয়োজনীয়তা থেকে এসেছে।

    কেন বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা

    ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে, ঘরে ঘরে এসি মেশিনের (Power consumption) ব্যবহার বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এয়ার কন্ডিশনারের বিক্রি ৪০-৫০ শতাংশ বেড়েছে। দিশা বলেন, “ভারতকে এখন দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহ এবং পিক বিদ্যুৎ চাহিদায় ৯-১০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে আমাদের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে যে, এই পিক চাহিদা শুধুমাত্র একটি স্বল্প সময়ের জন্য থাকবে।” তাঁর কথায়, ভারতের বিদ্যুৎ ব্যবহার ২০২০-২১ সাল থেকে প্রতিবছর প্রায় ৯ শতাংশ বাড়ছে, যা গত দশকের ৫ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অনুমান ছিল যে ২০২২ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ চাহিদা প্রতিবছর ৬ শতাংশ বাড়বে।

    বাড়ছে এসি কেনার প্রবণতা

    বিশ্বব্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়ার, নীতি ও অর্থ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ আভাস ঝা বলেছেন, “ভারতের তাপপ্রবাহের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে যাবে। তাই ভারত শীঘ্রই বিশ্বের সবচেয়ে বড় এয়ার কন্ডিশনার বাজারে পরিণত হবে। প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একটি এয়ার কন্ডিশনার বিক্রি হচ্ছে। ভারতের এয়ার কন্ডিশনার প্রবৃদ্ধি বর্তমানে ৮ শতাংশ।” তিনি জানান, “ভারতের এসি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, কিন্তু সমস্যা হল, বেশিরভাগ এসি মেশিনগুলি খুব বেশি শক্তি খরচ করে, যা আমাদের বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।” আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, ২০৫০ সাল নাগাদ এয়ার কন্ডিশনারের জন্য শক্তি চাহিদা তিন গুণ বেড়ে যাবে, যা আগামী ৩০ বছরে প্রতি সেকেন্ডে ১০টি নতুন এয়ার কন্ডিশনার যোগ করার সমান।

    সবার জন্যই বিদ্যুত চাই

    অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারত সেন্টারের গবেষক রিশিকা খোসলা বলেন, “২০৫০ সালে, তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ানোর পর, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শীতলীকরণ চাহিদা ভারতের হবে। তারপর চিন, নাইজিরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, ফিলিপিন্স এবং যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এটি নিশ্চিত করতে হবে যে সবার জন্য তাপগত আরাম নিশ্চিত করা যায়, এবং পরিবেশের ক্ষতি ছাড়াই এটি সম্ভব। এর জন্য প্যাসিভ কুলিং পদ্ধতি, শক্তি দক্ষতা এবং ক্ষতিকর রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসগুলির ব্যবহার কমাতে হবে।”

    গরমের আশঙ্কা

    সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের গরমে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা (Power consumption) ২৭০ গিগাওয়াট ছুঁয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলতি বছর মার্চ মাসে বিদ্যুতের চাহিদা এবং ব্যবহার ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। এই বছর দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মানুষের ফ্যান, কুলার এবং এসি-র ব্যবহার বাড়বে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, চলতি বছর ভারতে মার্চে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম পড়তে পারে, তার সঙ্গে চলবে তাপপ্রবাহ। দেশের বেশিরভাগ অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৪ সালে, ৫ এপ্রিল ওড়িশায় প্রথম তাপপ্রবাহ দেখা দেয়, কিন্তু ২০২৫ সালে, কঙ্কন এবং উপকূলীয় কর্নাটকের কিছু অংশে ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারিতে তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এই বছরের গ্রীষ্মে মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে দেশের অধিকাংশ অংশে সাধারণত উষ্ণতম তাপমাত্রা থাকবে। ১৯০১ সালের পর থেকে দেশ ২০২৫ সালে সবচেয়ে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি অনুভব করেছে, যেখানে গড় তাপমাত্রা ছিল ২২.০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক ২০.৭০ ডিগ্রির চেয়ে ১.৩৪ ডিগ্রি বেশি। মৌসম ভবন আরও বলেছে, ২০২৫ সালের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারত, উত্তর ভারতে টানা তাপপ্রবাহ হতে পারে।

  • Dr Ambedkar: ভারতকে ‘কমিউনিস্ট রাষ্ট্র’ বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলেন আম্বেদকর

    Dr Ambedkar: ভারতকে ‘কমিউনিস্ট রাষ্ট্র’ বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলেন আম্বেদকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয় ভারতের সংবিধান। দেশের সংবিধান পা দিয়েছে ৭৫ বছরে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন হয় ভারত। এদেশের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পরম্পরা, কৃষ্টি সভ্যতা এবং গৌরবময় ইতিহাসের ওপর দাঁড়িয়ে শুর হয় সংবিধানিক ভারত তৈরির কাজ। ভারতীয় মূল্যবোধ, ভারতীয় পরম্পরার প্রতিফলন দেখা যায় সংবিধানজুড়ে। সংবিধানের খসড়া কমিটির সদস্যরা অত্যন্ত সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে থাকেন, যাতে ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতির সঙ্গে আধুনিক যুগের মেলবন্ধন থাকে। এর প্রভাব দেখা গিয়েছে সংবিধানে।

    সংবিধান কমিটির বেশ কিছু সদস্য ভারতীয় মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন

    সংবিধান কমিটির বেশ কিছু সদস্য ছিলেন। যাঁরা সংবিধান রচনায় ভারতীয় মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কেবি কামাত, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, গোবিন্দ দাস, ঘনশ্যাম গুপ্তা, কাললুরু সুব্বারাও, রাম সহায় প্রমুখ। এনারাই জোর দেন যে সংবিধানকে দাঁড় করাতে হবে ভারতের ঐতিহাসিক মূল্যবোধ এবং তার সাংস্কৃতিক ভিতের ওপর। এই সময়ে তাঁরা প্রাচীন ভারতীয় ধর্মশাস্ত্র বেদ, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত- এই সমস্ত কিছুকেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

    ঔপনিবেশিক প্রভাব রাখতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস ও বামপন্থী মনোভাবাপন্ন সদস্যরা

    জানা যায়, সেসময় সদস্যদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রতিনিধি ছিলেন মুসলিম লিগের এবং কংগ্রেসের। তাঁরা প্রাচীন ভারতীয় মূল্যবোধের ওপর সংবিধান তৈরির ভাবনার বিরোধিতা করেন। ঔপনিবেশিক প্রভাবকেই রাখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তবে ভারতবর্ষের নিজস্ব সংস্কৃতিকে দূরে সরিয়ে রেখে সংবিধান তৈরির এমন ভাবনাকে রুখে দেন ডঃ বিআর আম্বেদকর। তিনি ভারতের নিজস্ব সংস্কৃতিকে কোনওভাবেই বাদ দিতে চাননি সংবিধান থেকে। এ সময় আম্বেদকরের (Dr Ambedkar) বিবৃতিও আসে। তিনি বলেন, ‘‘সংবিধান সভা এর কাজ শুরু করার আগে থেকেই, সেই সমস্ত কিছুকে প্রত্যাখ্যান করেছে যেগুলি ব্রিটিশ সংসদ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর একজনও সদস্য এবং এমনকি আমিও এমন কিছু কাজ করতে পারি না, যেখানে আমরা ব্রিটিশদের নির্দেশকে সংবিধানে ঠাঁই দিতে পারি।’’

    আম্বেদকরের কারণেই কমিউনিস্ট রাষ্ট্র হয়নি ভারত

    এছাড়াও বিআর আম্বেদকরের (Dr Ambedkar) শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণেই ভারতবর্ষের সংবিধান কমিউনিস্ট মডেলে (Communist State) দাঁড়ায়নি। সংবিধান মুক্ত থেকেছে কমিউনিস্ট প্রভাব। ১৯৪৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সংবিধান সংশোধন করার প্রস্তাব আনা হয়। এমন প্রস্তাব আনেন আসরাফ আলি। তাঁকে সমর্থন করেন আশরাফ মহানি। এঁরা দুজনেই প্রথমে ছিলেন কংগ্রেস এবং পরবর্তীকালে মুসলিম লিগে যোগদান করেন। তাঁরা দাবি করেন যে সংবিধানে সংশোধন আনতে হবে এবং ভারতকে একটি ‘ইউনিয়ন অফ সোশালিস্ট রিপাবলিক’ বলে ঘোষণা করতে হবে। প্রসঙ্গত, কমিউনিস্ট রাশিয়া এই নামেই পরিচিত ছিল। তবে আম্বেদকর (Dr Ambedkar) এটিও রুখে দেন। প্রসঙ্গত, সংবিধানে ভারতে ‘ইউনিয়ন অফ স্টেটস’-র মর্যাদা কেন দেওয়া হল? এমন প্রশ্নও তোলেন ওই দুই নেতা। এর পরিবর্তে তাঁরা ভারতকে ‘ফেডারেশন অফ রিপাবলিক’ করতে বলেন। তাঁরা এমন দাবিও তেলেন সমাজতন্ত্রকে আঁকড়ে ধরা উচিত ভারতের।

    ৩৭০ ধারারও বিরোধী ছিলেন আম্বেদকর (Dr Ambedkar)

    তবে এই সংশোধন প্রস্তাবগুলিকে বিআর আম্বেদকর প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি জোর দেন ভারতের মূল্যবোধের ওপর। আম্বেদকর বলেন, ‘‘আমি সেই সমস্ত কিছুকে অনুমোদন দেব না যেগুলি আমাদের দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে আঘাত করে। যেমন উগ্র সমাজতন্ত্রের কোনওকিছুকেই সংবিধানে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ডঃ বিআর আম্বেদকরের ভারতের অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য ৩৭০ ধারার বিরোধ করেছিলেন। তিনি মনে করতেন, এই ধারা ভারতের ঐক্যের পক্ষে বিপজ্জনক। যা জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছিল। স্বাভাবিকভাবে সংবিধান সভার এই ধরনের বিতর্ক আজও একটি উল্লেখযোগ্য দলিল, ভারতবর্ষকে কীভাবে একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছিল! যার নেপথ্যে ছিলেন কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগের বামপন্থী মনোভাবাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বরা। আম্বেদকর নিজেই তা রুখে দিয়েছিলেন। ভারতবর্ষের প্রাচীন সভ্যতা, সংস্কৃতি, কৃষ্টির ওপরেই দেশের সংবিধানকে দাঁড় করিয়েছিলেন বি আর আম্বেদকর। স্বাধীন ভারতের সংবিধানে তাই আজও প্রতিফলিত হচ্ছে ভারতীয় মূল্যবোধ, দেশের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি এবং বৈচিত্রতা।

LinkedIn
Share