Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Daily Horoscope 18 May 2025: আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 18 May 2025: আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    ২) বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    মিথুন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) বাণীতে সতর্ক থাকুন।

    সিংহ

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটা।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    তুলা

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে বেশি সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) সতর্কভাবে চলাফেরা করুন।

    ধনু

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কুম্ভ

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মীন

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Teesta Prahar: বাংলাদেশের বুকে কাঁপুনি! পূর্ব সীমান্তেও প্রস্তুত, চিকেন নেকে ভারতীয় সেনার ‘তিস্তা প্রহার’

    Teesta Prahar: বাংলাদেশের বুকে কাঁপুনি! পূর্ব সীমান্তেও প্রস্তুত, চিকেন নেকে ভারতীয় সেনার ‘তিস্তা প্রহার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম সীমান্তে যে সময় অপারেশন সিঁদুর-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের বুকে কাঁপুনি ধরাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা, ঠিক সেই সময়ই (৮-১০ মে) বাংলাদেশ সীমান্তে ব্যাপক সামরিক মহড়া সেরে রাখল ভারতীয় স্থলসেনা (Indian Army)। উত্তরবঙ্গে তিন দিন ধরে চলল ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ‘তিস্তা প্রহার’ (Teesta Prahar)। শিলিগুড়ির অদূরে চিকেন নেক এলাকার আশেপাশেই এই মহড়া দেয় ভারতীয় স্থলসেনা। ওদলাবাড়ির (Odlabari) সাওগাঁ বস্তির অদূরে তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে চলল মহড়া। তত্ত্বাবধানে সেনার ছিল ইস্টার্ন কমান্ড।

    কেন এই মহড়া

    উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে আপাতত যুদ্ধবিরতি চললেও, পূর্ব সীমান্তেও ভারতীয় সেনাবাহিনী যে আক্রমণ রুখে দিতে একেবারে প্রস্তুত তারই ঝলক দেখা গেল তিস্তা প্রহার-এ (Teesta Prahar)। তাহলে লক্ষ্য কি ঢাকা? পাকিস্তানের সমর্থনে বেশ লম্ফঝম্প করছিল বাংলাদেশ। এমনকি, হুমকি দেওয়া হয়েছে যে ভারত-পাক যুদ্ধ হলে চিনের সাহায্যে সেভেন সিস্টার্স দখল করা হবে। তারই জবাব দিল ভারত, এমনই অনুমান বিশ্লেষকদের। এমনিতে, পাকিস্তানের শোচনীয় অবস্থা দেখে সুর পাল্টেছে ইউনূসরা। হিন্দুদের সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, পাকিস্তান যদি এতটা পর্যুদস্ত না হত, বা পাকিস্তান যদি ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিত। তাহলে কি বাংলাদেশ এমন চুপ থাকত? বাংলাদেশ হায়নার মতো আচরণ করতে না কে বলতে পারে? সাতপাঁচ ভেবেই কি সামরিক মহড়া? ঘুরিয়ে বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত, অভিমত কূটনৈতিক মহলে।

    কী কী হল মহড়ায়

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ আবহে উদ্বেগ বেড়েছিল ‘চিকেন নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডর নিয়ে। ভারত-পাক সংঘাতের সুযোগ নিয়ে চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত (সেভেন সিস্টার) দখলের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারতীয় সেনার শক্তি দেখে নিয়েছে বিশ্ব। ইসলামাবাদকে যোগ্য জবাব দেওয়ার পাশাপাশি পরোক্ষে বার্তা দেওয়া হয়েছে চিন-বাংলাদেশকেও। দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে পূর্ব সীমান্তেও যে জওয়ানরা জবাব দিতে সর্বদা প্রস্তুত তারই ঝলক দেখা গেল তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে। তিনদিনের এই ‘তিস্তা প্রহার’ মহড়ায় ভারতীয় সেনার ইনফ্যানট্রি, আর্টিলারি, আর্মার্ড কোর, আর্মি অ্যাভিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স এবং সিগনাল কোর অংশগ্রহণ করেছিল। ভারতীয় সেনার অস্ত্রভান্ডারে সদ্য নিয়োজিত ‘নেক্সট জেনারেশন’ অস্ত্রশস্ত্র, মিলিটারি প্ল্যাটফর্ম এবং যুদ্ধক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগের মতো গুরুত্ব দিয়ে তিনদিনের মহড়ায় তুলে ধরা হয়। এছাড়াও প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে দ্রুততার সঙ্গে বাহিনীর প্রতিটি বিভাগের মধ্যে নিখুঁত সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় সেই প্রক্রিয়াতেও শান দেওয়া হয়েছে। মহড়ার একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ভারতীয় সেনার অস্ত্রভান্ডারে সদ্য নিয়োজিত ‘নেক্সট জেনারেশন’ অস্ত্রশস্ত্র। মহড়ায় এই যুদ্ধাস্ত্রের ব্যবহার, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও আধুনিকীকরণের উপর জোর দেওয়া হয়। বিভিন্ন দুর্গম জায়গাতেও প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সেই প্রক্রিয়াতেও শান দেওয়া হয়।

    ঢাকার বুকে কাঁপুনি

    তিনদিনের ‘তিস্তা প্রহার’ (Teesta Prahar)মহড়া শেষে সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের তরফে প্রেস বার্তায় দাবি করা হয়েছে, যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় সেনা একশো শতাংশ প্রস্তুত। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে একেবারে নিখুঁত সমন্বয় সাধনের জন্য এই মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছে সেনা। ভারতীয় সেনার এই মহড়ায় ঢাকার বুকে কাঁপুনি ধরাতে পারে।

    আকাশকুসুম স্বপ্ন নয়

    সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। সেখানে তিনি বলেন, “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়, ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” এই মন্তব্যের ইঙ্গিত অত্যন্ত স্পষ্ট যে, ভারতের ৭ রাজ্য (সেভেন সিস্টার)কে ভেঙে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। এই একই ইচ্ছা চিনের। বাংলাদেশের মুখে এমন মন্তব্যে দুয়ে দুয়ে চার করতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি দিল্লির। কড়া জবাব হিসাবে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ব্যবসার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, কয়েকদিন আগেই ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ওপার বাংলার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেন, দিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যে যুদ্ধ লাগলে নাকি ঢাকার উচিত ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো দখল করে নেওয়া। আর এর জন্য তারা হাত মেলাবে চিনের সঙ্গে। পড়শি দেশের এই আকাশকুসুম স্বপ্ন যে কোনও দিনই সফল হবে না তা বুঝিয়ে দিল ‘তিস্তা প্রহার’ মহড়া।

  • Pakistan: ‘‘ধর্মের অপব্যবহার করে জিহাদের প্রসার ঘটাচ্ছে পাকিস্তান’’, মত ইতিহাসবিদ টম কুপারের

    Pakistan: ‘‘ধর্মের অপব্যবহার করে জিহাদের প্রসার ঘটাচ্ছে পাকিস্তান’’, মত ইতিহাসবিদ টম কুপারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) ধর্মের “ব্যাপক অপব্যবহার” করে জিহাদের জন্ম দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সামরিক বিমানচালনা বিশ্লেষক এবং ইতিহাসবিদ টম কুপার (Tom Cooper)। তিনি জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না। কুপার বলেন, ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসবাদ পশ্চিম আফ্রিকার নাইজেরিয়া থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ফিলিপিন্স পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক কাঠামো দীর্ঘদিন ধরে সামরিক শাসনের কবলে রয়েছে। কুপারের কথায়, “পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও অসামরিক নেতৃত্বের সম্পর্ক কখনওই ভালো ছিল না। দেশটিতে একাধিক সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে এবং বেশিরভাগ সময়ই দেশটি সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। ফলে এই সমস্যার সমাধান হবে না বলেই আমি মনে করি।” ধর্মকে ব্যবহার করে আমজনতাকে ভুল বুঝিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। বারবার এমনই অভিমত প্রকাশ করেছে ভারতও।

    পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

    পাকিস্তানের (Pakistan) পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টম কুপার (Tom Cooper)। তিনি বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ইঙ্গিতপূর্ণ। পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্রও নিরাপদ নয়। কুপার বলেন, “ভারত তার গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলির উপর কড়া নজরদারি করছে। ভারতের হাতে এই বিষয়ে নির্ভুল তথ্য রয়েছে। এটি স্পষ্ট করে যে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ।” তাঁর দাবি, এই উদ্বেগ নতুন কিছু নয় এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা বহু বছর আগেই এই ধরনের শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। পাকিস্তানের উপর ভারতের আধিপত্য নিয়ে কুপার বলেন, “ভারত তার কৌশলগত গোয়েন্দা উপগ্রহের মাধ্যমে পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং পাকিস্তানের পক্ষে এতে বাধা দেওয়া প্রায় অসম্ভব।”

    পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা

    পাকিস্তানের (Pakistan) অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা এবং ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসবাদের প্রসার বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুপারের (Tom Cooper) মতে, পাকিস্তান শুধু নিজের দেশের মধ্যেই জিহাদবাদের প্রজনন ঘটাচ্ছে না, বরং আন্তর্জাতিকভাবেও এর অর্থায়ন এবং সংগঠন করছে। এই প্রক্রিয়া আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে, যা বিশ্ব শান্তির জন্য এক কঠিন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এটি শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি নির্ধারণেই প্রভাব ফেলে না, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কুপারের মতে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী নিজস্ব স্বার্থ এবং উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হয়, যা দেশের ব সরকারের সঙ্গে সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

  • Indus Waters Treaty: সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পর চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ভারতের, আরও চাপ বাড়বে পাকিস্তানের

    Indus Waters Treaty: সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পর চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ভারতের, আরও চাপ বাড়বে পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রভাগা নদীর ওপর খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আরও বেশি জল ঢুকবে ভারতে। সিন্ধু চুক্তি (Indus Waters Treaty) অনুযায়ী, সিন্ধু নদের এই উপনদীর জল পাকিস্তানই ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত। এই আবহে চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের কথা ভাবা হয়েছে বলে জানিয়েছে নয়া দিল্লি। জানা যাচ্ছে, চন্দ্রভাগার ওপর এই খালটির নাম ‘রণবীর’। সেটাই সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে নয়াদিল্লি।

    বাড়বে জল বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (Indus Waters Treaty)

    ভারত সরকারে এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, চন্দ্রভাগা নদীর জল ভারত খুব একটা ব্যবহার করতে পারে না। সামান্য জলই পাওয়া যায়, এটি সেচের কাজেই লাগে। সিন্ধু চুক্তি স্থগিত (Indus Waters Treaty) হওয়ার পর নদীর জল আরও বেশি করে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছে ভারত। মনে করা হচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই জল ব্যবহার করা গেলে, এদেশে বিদ্যুতের চাহিদাও মিটবে। জানা যাচ্ছে, এভাবেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আরও ৩০০০ মেগাওয়াট বৃদ্ধি করার কথা ভাবছে নয়াদিল্লি।

    রণবীর খালের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ১২০ কিলোমিটার করা হবে

    ইতিমধ্যে সমীক্ষার (Indus Waters Treaty) পরিকল্পনাও করা হয়ে গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমাদের অন্যতম প্রধান পরিকল্পনা হল, চন্দ্রভাগার উপর রণবীর খালের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ১২০ কিলোমিটার করা। তবে এ সব কাজ তো সময়সাপেক্ষ। আমরা সকলকে বলেছি, যত দ্রুত সম্ভব প্রক্রিয়া শুরু করতে।’’ খাল সম্প্রসারণের পাশাপাশি কাঠুয়া, রবি, পরাগওয়ালের মতো খালগুলিতে পলি সরানোর কাজও শুরু হয়েছে। এতে নদীগুলির জলধারণের ক্ষমতা বাড়বে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা হয়। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসে পাকিস্তানের যোগ উঠে আসে। তখনই স্থগিত করা হয় সিন্ধুচুক্তি। প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে।

  • Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের সমর্থনে ব্যাটিং পাক-অভিনেতাদের! বলিউডের তিন খান কেন নেই সেনার পাশে?

    Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের সমর্থনে ব্যাটিং পাক-অভিনেতাদের! বলিউডের তিন খান কেন নেই সেনার পাশে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৫ জন হিন্দু পর্যটককে বেছে বেছে খুন করা হয়। হত্যা করার আগে তাঁদের নাম জিজ্ঞাসা করা হয়। ধর্ম নিশ্চিত করা হয়। নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল ধর্ম নিশ্চিত করতে। নৃশংসভাবে এই হত্যালীলা চালানোর পরেও হামলা নিয়ে টুঁ শব্দটি করেননি (Operation Sindoor) বলিউডের তিন খান। তিন খানের কাছ থেকে কোনও রকমের প্রতিবাদ না আসায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। হিন্দু পুরুষদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে, তারপরে গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ। সারা দেশ সহানুভূতি জানিয়েছিল। সমবেদনা জানিয়েছিল। সেই ভুক্তভোগী পরিবারগুলিকে কোনওরকমের সমবেদনা জানায়নি কিন্তু তবু এত কিছুর মাঝেও আশ্চর্যজনকভাবে চুপ থেকেছে বলিউডে (Bollywood) তিন খান। অতীতের যে কোন ইস্যুতে যাঁরা আওয়াজ তুলেছেন। গলা ফাটিয়েছেন, তাঁদের এই নীরবতাতে অনেক প্রশ্নই সামনে আসছে।

    ১৯৪৮ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে অর্থ সংগ্রহ করে পাকিস্তান

    তবে ১৯৪৮ সালে যখন ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বাঁধে, তখন রাজ কাপুর, আইএস জোহর, গীতা বালি, নার্গিস, কামিনী কৌশলের মতো অনেক বড় অভিনেতারা ভারতকে শক্তিশালী করার জন্য তারা অর্থ সংগ্রহ নেমেছিলেন। ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের কিশোর কুমার, সুনীল দত্ত, নার্গিস, লতা মঙ্গেশকর, ওয়াহিদা রেহমান এনারাও (Bollywood) ভারতের সৈন্যদলের মনোবল বাড়িয়ে ছিলেন এবং তাঁরা সেই সময় অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন সেনার জন্য।

    ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও অর্থ সংগ্রহ করে বলিউড

    একই চিত্র সামনে এসেছিল ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও। এই সময়ে কিশোর কুমার, শাম্মি কাপুর, লতা মঙ্গেশকর, ওয়াহিদা রহমান, কল্যাণজি-আনন্দজি, নার্গিসের মতো অভিনেতারা বাংলাদেশের জন্য ত্রাণ কমিটি গঠন করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে বলিউডের তারকাদের (Operation Sindoor) মধ্যে এতটাই ক্ষোভ ছিল যে নানা পাটেকার সৈন্যদের সমর্থন করতে সরাসরি গিয়েছিলেন সেখানে।

    ২০২৫ সালে নিশ্চুপ থেকেছে বলিউড

    এবার আমরা যদি ২০২৫ সালের দিকে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আহত হন আরও অনেকেই। এমন সময় ভারতবর্ষের (Operation Sindoor) বলিউডের অভিনেতারা এনিয়ে কোনও বাক্য ব্যয় করেন নি। তাঁরা নিজেদের কাজেই মনোনিবেশ করেছেন। এরাই সেই বলিউড অভিনেতা, যাঁরা ২০১৮ সালে কাঠুয়া মামলায় গলায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে ছবি তুলেছিলেন কিন্তু চুপ রয়েছেন পহেলগাঁওকাণ্ডে। বলিউড অভিনেতারা দেশের জন্য দুটি লাইন লিখতে পারেননি।

    পাকিস্তানের অভিনেতারা দেশের পাশেই

    অন্যদিকে পাকিস্তানের নামী অভিনেতারা, তাঁদের দেশের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেক অভিনেতা আবার ভারতে কাজও করেছেন। যেমন ‘সনম তেরি কসম’- এই ছবির মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়েছিলেন যাঁরা সেই ফাওয়াদ খান, হানিয়া আমির, মাহিরা খানরা ভারতকে কাপুরুষ বলেও তোপ দেগেছেন। সবথেকে আশ্চর্যজনক কথা হল, পাকিস্তানি এই অভিনেতাদের ভারতেও প্রচুর ভক্ত রয়েছেন। তার চেয়েও আশ্চর্যজনক কথা হল, বলিউডের অভিনেতারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি।

    ছবির প্রচারে জন্য ভারতের প্রশংসা করছে আমির খানের টিম!

    একইভাবে আমির খানও দীর্ঘদিন চুপ করে ছিলেন। কিন্তু তাঁর নতুন ছবি আসছে ‘সিতারে জামিন পর’। এই আবহে দিন কয়েক আগে তাঁর টিম ভারতের প্রশংসা করতে শুরু করে। একই পথে হেঁটেছেন তুষার কাপুরও। নিজের সিনেমার প্রচারের জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় তাঁকে তুরস্কের বয়কট সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তবে তা তিনি এড়িয়ে যান। তবে শুধু এটুকু বলেন যে ভারতের সঙ্গে তিনি আছেন।

    যুদ্ধ বিরতি নিয়ে পোস্ট, নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে পড়েন সলমন

    অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা হতেই বলিউড অভিনেতা সলমন খান অভিনন্দন জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন। এনিয়ে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এরপরই তিনি টুইট ডিলিটও করেন। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে মুখে কোনও কথা না বললেও যুদ্ধ বিরতিতে সরব হন সলমন। এক্স হ্যান্ডেলে সলমন খান লেখেন, ‘‘সংঘর্ষবিরতির জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।’’ এরপরই এক্স ব্যবহারকারীদের একাংশ অভিনেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অভিনেতা। এখন সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে হঠাৎ কেন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন? ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে একটাও টুইট নেই কেন?’’, ‘‘আপনি অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটাও কথা বলেননি!’’, এমন অনেক মন্তব্য আসতে থাকে তাঁর পোস্টের কমেন্ট বক্সে।

  • India-Pakistan War: ভারতের আকাশ, ব্রহ্মোস, স্কাই স্ট্রাইকার! ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ অস্ত্রে ধ্বংস পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা

    India-Pakistan War: ভারতের আকাশ, ব্রহ্মোস, স্কাই স্ট্রাইকার! ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ অস্ত্রে ধ্বংস পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের (India-Pakistan War) আবহে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া ওয়েপন’ বা দেশের মাটিতে তৈরি হাতিয়ার সকলের নজর কেড়েছে। সংশ্লিষ্ট অস্ত্রগুলির আঘাতে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ দশা হয়েছে ইসলামাবাদের। ভারতীয় সেনাবাহিনী আকাশ, ব্রহ্মোস ও স্কাই স্ট্রাইকার আত্মঘাতী ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চূর্ণ করে দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুর শুধু পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে তা নয়, বরং ভারতের আত্মনির্ভরশীল প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির শক্তি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে। গত কয়েক বছরে ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে। ডিআরডিও (Defence Research and Development Organisation) ও ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (BDL)-এর মতো প্রতিষ্ঠান বিশ্বমানের অস্ত্র তৈরি করছে, যেগুলো এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানিও হচ্ছে।

    আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা

    ডিআরডিও নির্মিত আকাশ হলো ভারতের (India-Pakistan War) নিজস্ব সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এটি ভারতীয় বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষার মেরুদণ্ডে পরিণত হয়েছে। আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ২৫ থেকে ৪৫ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত এবং ১৮,০০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, যার সফলতা ৯০ শতাংশ। গত ৮ থেকে ১০ মে, পাকিস্তানের একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আকাশ সিস্টেম দ্বারা প্রতিহত করা হয়। এর মধ্যে শ্রীনগরে একটি পাকিস্তানি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান, পাঞ্জাবে একটি ফতেহ্-১ ক্ষেপণাস্ত্র এবং একাধিক পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র ও ডিজেআই সামরিক ড্রোন ধ্বংস করা হয়। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতে বিশেষ ধরনের একটি রেডার যুক্ত রয়েছে এই ব্যবস্থায়। ডিআরডিও জানিয়েছে, দু’ভাবে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। ট্র্যাকিং মোডে এটি একসঙ্গে ৬৪টি টার্গেটকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করতে সক্ষম। আবার সক্রিয় মোডে ১২টি লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে আকাশ।

    ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র

    ব্রহ্মোস হলো ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে নির্মিত একটি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটি পৃথিবীর দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে পরিচিত, যার গতি শব্দের গতির তিন গুণ। বর্তমানে এর পরিসীমা ৯০০ থেকে ১৫০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে এবং এটি ভূমি, জল, আকাশ ও সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য। বর্তমানে তিন ধরনের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ভারতীয় ফৌজ। তার মধ্যে রয়েছে স্থলভাগ এবং যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়ার ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র। এ ছাড়া রণতরীর জন্য আলাদা ধরনের ব্রহ্মোস রয়েছে। সেগুলি মূলত ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির যুদ্ধজাহাজে ব্যবহার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। সূত্রের খবর, এর সাহায্যে পাকিস্তানের একাধিক বায়ুসেনাঘাঁটিকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বিমানবাহিনী। গত ১১ মে, ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যেখানে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়। এই অভিযানে লাহোর, ইসলামাবাদ ও করাচি-সহ সাতটি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

    স্কাই স্ট্রাইকার আত্মঘাতী ড্রোন

    স্কাই স্ট্রাইকার হলো ভারত ও ইজরায়েলের যৌথভাবে নির্মিত একটি “কামিকাজে” ড্রোন। এটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই ড্রোন ‘ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর হামলা চালায়। এই ড্রোন দীর্ঘ সময় ধরে আকাশে চক্কর কাটতে পারে এবং ছোট ও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁতভাবে ধ্বংস করতে পারে। এর ৫-১০ কেজি বিস্ফোরক বহনের ক্ষমতা রয়েছে। ‘স্কাই স্ট্রাইকার’-এর নির্মাণকারী সংস্থা হল আদানি গোষ্ঠীর বেঙ্গালুরুভিত্তিক সংস্থা আলফা ডিজাইন। ইজরায়েলি সংস্থা এলবিট সিকিউরিটিজের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এটিকে তৈরি করেছে তারা। সূত্রের খবর, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে মোট ন’টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে এই ড্রোন ব্যবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ইসলামাবাদের হাতে থাকা চিনের তৈরি এইচকিউ-৯পি নামের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ একে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়।

    নাগাস্ত্র-১ লইটারিং মিউনিশন: নিখুঁত সার্জিকাল স্ট্রাইক

    ডিআরডিও-র তত্ত্বাবধানে সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বারা নির্মিত নাগাস্ত্র-১ একটি ম্যান-পোর্টেবল লইটারিং মিউনিশন, যা স্কাই স্ট্রাইকার-এর কার্যক্রমকে সহায়তা করেছে। এই ড্রোনের পাল্লা ১৫-২০ কিলোমিটার, এবং এটি প্রায় ৬০ মিনিট আকাশে অবস্থান করতে পারে। ১-২ কেজি ওজনের ওয়ারহেডযুক্ত নাগাস্ত্র-১ জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) ও লস্কর-ই-তৈবা (LeT)-এর ঘাঁটিতে নিখুঁত হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করেছে। মিশন মাঝপথে বাতিল করার ক্ষমতা ও সীমিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে নাগাস্ত্র-১ ভারতের দায়িত্বশীল যুদ্ধনীতিকে প্রতিফলিত করেছে।

    ডি৪ অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম: আকাশপথে সুরক্ষার ঢাল

    পাকিস্তানের (India-Pakistan War) সঙ্গে স্বল্প পরিসরের ‘যুদ্ধে’ ডিআরডিও-র ডি-৪ ব্যবস্থাটি খুবই কাজে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এর সাহায্যে তুরস্কের ড্রোনের হামলা ঠেকিয়ে দেয় সেনা। যদিও এই নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ডি-ফোরের নির্মাণকারী সংস্থাও ভারত ইলেকট্রনিক্স। একে এককথায় ‘ড্রোন-কিলার’ হাতিয়ার বলা যেতে পারে। মূলত দু’ভাবে মানববিহীন উড়ুক্কু যান ধ্বংস করে এটি। প্রথম পদ্ধতিটি হল জিপিএস স্পুফিং। এর সাহায্যে ড্রোনকে ভুল পথে চালিত করে ডি-ফোর। জ্যাম করে মানববিহীন যানের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি। দ্বিতীয়টি হল, লেজার গাইডেড গুলি ছুড়ে মাঝ-আকাশে ড্রোনকে উড়িয়ে দেওয়া। ডিআরডিও-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি বলেন, “বিপুল সংখ্যক ড্রোনের আক্রমণের মুখেও এই অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম অত্যন্ত সফলভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।”

    ভারতীয় অস্ত্রের চাহিদা বাড়বে

    স্বাধীনতার পর থেকে অস্ত্র আমদানির দিকেই বেশি নজর দিয়েছে নয়াদিল্লি। ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাতিয়ার নির্মাণে আত্মনির্ভর হওয়ার স্লোগান তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধু তা-ই নয়, অস্ত্র রফতানির উপরেও জোর দেয় কেন্দ্র। কিন্তু, ভারতের মাটিতে তৈরি হাতিয়ার কোনও যুদ্ধে সে ভাবে ব্যবহার না হওয়ায় বিশ্ব বাজারে সেগুলির তেমন কদর কখনওই দেখা যায়নি। ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী সময়ে সেই মানসিকতায় আমূল বদল আসতে চলেছে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।

  • Neeraj Chopra: অবশেষে লক্ষ্যপূরণ, জ্যাভলিনে ৯০ মিটারের দূরত্ব পেরোলেন নীরজ চোপড়া

    Neeraj Chopra: অবশেষে লক্ষ্যপূরণ, জ্যাভলিনে ৯০ মিটারের দূরত্ব পেরোলেন নীরজ চোপড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে লক্ষ্যপূরণ। ৯০ মিটারের স্বপ্ন ছুঁলেন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। শুক্রবার দোহায় ডায়মন্ড লিগে (Doha Diamond League) পুরুষদের জ্যাভলিন‌ থ্রোয়ে ৯০.২৩ মিটার বর্শা ছুড়লেন অলিম্পিকে ভারতের সোনার ছেলে। অলিম্পিকে সোনা এবং রুপো থাকলেও, এর আগে কোনওদিন ৯০ মিটার পেরোতে পারেননি নীরজ। কেরিয়ারে প্রথম বার ৯০ মিটারের বেশি জ্যাভলিন ছুড়লেন টোকিও অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদ। তবু প্রথম হওয়া হল না নীরজের। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করতে হল তাঁকে। প্রথম হলেন জার্মানির জুলিয়ান ওয়েবার।

    প্রথম হওয়া হল না

    দোহায় (Doha Diamond League) এদিন প্রথম থ্রোয়ে ৮৮.৪৪ মিটার ছুড়েছিলেন নীরজ (Neeraj Chopra)। তখনই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ছন্দে রয়েছেন। দ্বিতীয় থ্রোটি ফাউল হয়। তৃতীয় থ্রোয়ে ৯০.২৩ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছোড়েন তিনি। তাতেই বাকি প্রতিযোগীদের থেকে উপরে চলে যান এবং পরের রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন করেন। চতুর্থ থ্রোয়ে তিনি ৮০.৬০ মিটার ছোড়েন। পঞ্চম থ্রো আবার ফাউল হয়। ষষ্ঠ থ্রোয়ে নীরজ ৮৮.২০ মিটার ছোড়েন। তখন মনে হচ্ছিল তিনিই এই প্রতিযোগিতা জিতবেন। কিন্তু নাটকের বাকি ছিল। শেষ থ্রোয়ে ৯১.০৬ মিটার ছুড়ে নীরজকে পেরিয়ে যান ওয়েবার।

    স্বপ্ন সফল নীরজের

    এর আগে সর্বোচ্চ ৮৯.৯৪ মিটার ছুড়েছিলেন নীরজ (Neeraj Chopra)। ২০২২-এ স্টকহোম ডায়মন্ড লিগে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। গত বছর লুসেন ডায়মন্ড লিগে ৮৯.৯৪ মিটার ছুড়েছিলেন। গত বছর অলিম্পিক্সে ছুড়েছিলেন ৮৯.৩৪ মিটার। কিন্তু রুপো পান। ৯২.৯৭ মিটার ছুড়ে সোনা জিতেছিলেন পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিম। এত দিন পর্যন্ত বার বার নীরজ বলেছিলেন ৯০ মিটারের দূরত্ব পেরনোর কথা। আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। কিছুতেই স্বপ্ন সফল হচ্ছিল না। এক সাক্ষাৎকারে নীরজ বলেছিলেন, “৯০ মিটার দূরে কবে ছুড়ব এই প্রশ্ন ২০১৮ সাল থেকে শুনে আসছি। তার পর অনেক কিছু হয়েছে। কনুইয়ে চোট পেয়েছি। অস্ত্রোপচার হয়েছে। ৮৮ থেকে ৯০ মিটারের মধ্যেই আটকে ছিলাম। কিন্তু মনেপ্রাণে ৯০ মিটারের বেশি দূরত্বে ছুড়তে চাইছি।” অবশেষে সেই দোহাতেই (Doha Diamond League) নিজের স্বপ্ন পূরণ করলেন নীরজ।

  • Operation Sindoor: মোদির নেতৃত্বে এককাট্টা দেশ, বিদেশে পাক-সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরব হবেন সব দলের সাংসদরা

    Operation Sindoor: মোদির নেতৃত্বে এককাট্টা দেশ, বিদেশে পাক-সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরব হবেন সব দলের সাংসদরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের মদত দেয় পাকিস্তান (Pakistan), এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে এবিষয়ে জোরদার প্রচার চালাবে নয়াদিল্লি। দেশের সব রাজনৈতিক দলের সাংসদদের নিয়ে কেন্দ্র তৈরি করেছে বিশেষ দল। জানা গিয়েছে, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এনিয়ে বিরোধী সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সূত্রের খবর, যোগাযোগ করা হয়েছে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এবং সলমান খুরশিদ, এনসিপি (এসপি) এর সুপ্রিয়া সুলে, টিএমসির সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, এআইএমআইএম-এর আসাদুদ্দিন ওয়েইসি, ডিএমকে-র কানিমোঢ়ি এবং বিজেপির বিজে পান্ডার সঙ্গে। বিদেশের বিভিন্ন সরকারের কাছে গিয়ে তাঁরা পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা, তার পরে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সমতে সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং ভারতের অবস্থান তুলে ধরবে ওই বিশেষ দল।

    ২২ মে-এর পর শুরু হবে এই বিদেশ সফর

    সূত্রের খবর, ২২ মে-এর পর শুরু হবে এই বিদেশ সফর (Operation Sindoor)। এই সফরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে। বিভিন্ন দলের সাংসদদের কাছে ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি প্রতিনিধি দলে ৫ থেকে ৬ জন করে সাংসদ থাকবেন। তাঁরা আমেরিকা, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সহ নানা দেশে সফর করবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে এনডিএ সাংসদরাই থাকবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্রীয় সরকার

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যে কোনও পদক্ষেপে কেন্দ্রের পাশে থাকার কথা জানিয়ে দেন বিরোধী সাংসদরা। এরপরেই শুরু করা হয় অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। পরে ১০ মে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা করে ভারত-পাকিস্তান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দেওয়া হয়। বাতিল করে দেওয়া হয় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসাও।

  • India Pakistan: ‘‘রাত আড়াইটের সময় মুনিরের ফোন…’’, নূর খানে ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা মানলেন শরিফ

    India Pakistan: ‘‘রাত আড়াইটের সময় মুনিরের ফোন…’’, নূর খানে ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা মানলেন শরিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতি আক্রমণে দিশেহারা পাকিস্তান (India Pakistan)। অপারেশন সিঁদুর যে কতটা নিখুঁত তা মেনে নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। মধ্য রাতে পাক জেনারেল আসিম মুনিরের ফোনেই তিনি বুঝেছিলেন ইসলামাবাদ নিরাপদ নয়। নিজেই বললেন শরিফ (Shahbaz Sharif)। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতের ক্রমাগত প্রত্যাঘাতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বিশেষত পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিগুলিকে দুরমুশ করে ছেড়েছে ভারত। আর সব থেকে বড় ঘা, হল রাজধানী ইসলামাবাদ সংলগ্ন নূর খান ছাউনিতে ভারতের প্রত্যাঘাত। সেখানে আঘাত হানতেই সংঘর্ষবিরতিতে মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান।

    রাত আড়াইটা নাগাদ ফোন

    বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) এই বিষয়টি শুক্রবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে উল্লেখ করেন। মালব্য লেখেন, ‘‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজেই স্বীকার করেছেন, জেনারেল আসিম মুনির তাঁকে রাত আড়াইটা নাগাদ ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, ভারত নূর খান বিমান ঘাঁটি এবং আরও বেশ কয়েকটি স্থানে বোমা হামলা চালিয়েছে। … প্রধানমন্ত্রী মাঝরাতে পাকিস্তানের ভেতরে হামলার খবর পেয়ে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। এটি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর নির্ভুল লক্ষ্য এবং বিক্রমের প্রমাণ।’’

    কী বলেছিলেন শরিফ

    পাকিস্তান (India Pakistan) মনুমেন্টে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় শরিফ (Shahbaz Sharif) জানান, ৯ মে এবং ১০ মে রাত। সময় তখন আড়াইটা মতো। ফোন করে তাঁকে ঘুম থেকে তোলেন জেনারেল আসিম মুনির। ধড়মড়িয়ে উঠে শরিফ জানতে পারেন, ভারত একেবারে পাকিস্তানের ভূখণ্ডের ভেতরে ঢুকে প্রত্যাঘাত করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘৯/১০ তারিখ রাতে, জেনারেল আসিম মুনির আমাকে ফোন করে জানান যে ভারত নূর খান বিমানঘাঁটি সহ আমাদের বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক বোমা হামলা চালিয়েছে।’’ নূর খান ছাউনি পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ক্ষেত্র। এটাই সেনা বাহিনীর প্রধান পরিবহণ কেন্দ্র। আকাশে থাকা অবস্থায় কোনও যুদ্ধবিমানের জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে এই নূর খান ছাউনি থেকেই জ্বালানি নেয় তারা। আর এই ছাউনি থেকে ইসলামাবাদ খুব দূরে নয়। তাই এই হানা কার্যত পাকিস্তানের বুকে তীর মেরে দেওয়ার সামিল। ভারতের সেনা বাহিনী সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেও , মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন শরিফরা। অবশেষে সারা বিশ্বের সামনে সত্যিটা মেনে নিল পাকিস্তান।

  • Balochistan: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল বালোচিস্তান, ফের প্রচারের আলোয় হিংলাজ মাতার মন্দির

    Balochistan: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল বালোচিস্তান, ফের প্রচারের আলোয় হিংলাজ মাতার মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল হয়েছে পাকিস্তানের বালোচিস্তান (Balochistan)। এই আবহে ফের একবার প্রচারের আলোয় উঠে এসেছে হিংলাজ মাতার মন্দির এবং কাটাস রাজ মন্দির। বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা তাঁদের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে একপ্রকার পাকিস্তানের সেনা ও সরকারকে কোণঠাসা করে ফেলেছেন। পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন বালোচিস্তানের হাজার হাজার মানুষ। বালোচিস্তানের এই দুই প্রাচীন মন্দিরের সঙ্গেই ভারতের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক এক পুরনো সম্পর্ক রয়েছে।

    বালোচিস্তানের লাসবেলা জেলায় অবস্থিত হল হিংলাজ মাতার মন্দির

    পাকিস্তানের বালোচিস্তানের (Balochistan) লাসবেলা জেলায় অবস্থিত হল হিংলাজ মাতার মন্দির। এই মন্দির হিন্দুদের একান্ন শক্তি পীঠের অন্যতম বলে মানা হয়। হিংলাজ মাতার মন্দির হিংলাজ শক্তিপীঠ নামে পরিচিত। হিন্দু ধর্ম অনুসারে বালোচিস্তানের এই শক্তি পীঠেই মাতা সতীর মস্তক পড়েছিল। এমনটাই ভক্তদের বিশ্বাস। হিঙ্গল নদীর তীরে অবস্থিত এই মন্দির হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান। এই মন্দির সিন্ধি এবং বালোচিস্তানে বসবাসরত হিন্দু সমাজের কাছে অত্যন্ত ভক্তির জায়গা। শুধু তাই নয়, বালোচিস্তানে (Balochistan) বসবাসরত মুসলমানদের একাংশের কাছেও হিংলাজ মাতার মন্দির নানি পীর বলে পরিচিত।

    পাঞ্জাব প্রদেশের চকোয়ালে অবস্থিত হল কাটাস রাজ শিব মন্দির

    একইভাবে পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাব প্রদেশের চকোয়ালে অবস্থিত হল কাটাস রাজ শিব মন্দির। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান বলে পরিচিত এই মন্দির ফের একবার প্রচারের আলো উঠে এসেছে। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দির ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। এখানেই সতীদাহের সময় ভগবান শিবের অশ্রু পড়েছিল। এই স্থানে রয়েছে একটি পবিত্র জলাশয়। শুধু তাই নয়, কাটাস রাজ শিব মন্দিরের অন্য গুরুত্বও রয়েছে বলে জানাচ্ছেন ঐতিহাসিকরা। প্রাচীন ভারতবর্ষে এই মন্দিরই হিন্দু ধর্মের শিক্ষা এবং দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল বিশ্বাস করা হয়। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, পাণ্ডবরা তাঁদের অজ্ঞাতবাসের সময় এখানে এসেছিলেন। শুধু তাই নয়, আদি গুরু শংকরাচার্য এই মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। কাটাস রাজ শিব মন্দিরের গঠনে হিন্দু এবং বৌদ্ধ রীতির মিশ্রণ দেখা যায়। পাকিস্তানে হিন্দুদের (Balochistan) জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হিসেবে আজও রয়ে গিয়েছে। যদিও দেশভাগের পরবর্তীকালে এই মন্দিরে পুজো না করতে দেওয়ার অনেক অভিযোগ সামনে এসেছে।

LinkedIn
Share