Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Operation Sindoor: বাজপেয়ী জমানার মিশন কাজে লাগল মোদির আমলে! পাকিস্তানের জঙ্গি শিবির কীভাবে ট্র্যাক করল ভারত?

    Operation Sindoor: বাজপেয়ী জমানার মিশন কাজে লাগল মোদির আমলে! পাকিস্তানের জঙ্গি শিবির কীভাবে ট্র্যাক করল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। সফল লক্ষ্যে আঘাত হেনে তছনছ করে দিয়েছে ৯টি জঙ্গি শিবির। এতদিন পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওই জঙ্গি শিবিরগুলি থেকে ভারতে হামলা চালাত সন্ত্রাসবাদীরা। দশকের পর দশক ধরে এই হামলা চালিয়ে এসেছে তারা। অবশষে মিলেছে জবাব। কিন্তু কীভাবে সঠিক লক্ষ্যে আঘাত হানল ভারতীয় সেনা? এত নিখুঁত অপারেশন কীভাবে ?

    NTRO- র চমৎকার

    পাকিস্তান ও পিওকে-তে নিখুঁত নিশানায় (Operation Sindoor) আঘাত হানার পিছনে কাজ করেছে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা এনটিআরও (NTRO)। তারাই খুঁজে নিয়েছে কোথায় কোথায় জঙ্গি শিবির আছে। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরের ওপর নির্ভর করেই তারা স্থান বাছাই করেছে। আর তারপর সেনাবাহিনীকে সেই তথ্য দিয়ে গেছে। একটা নিখুঁত অর্কেস্ট্রা কাজ করেছে এই আক্রমণের পিছনে। পাকিস্তানের মাটি থেকে তুলে আনা গোয়েন্দা বাহিনীর খবর, এনটিআরও-র বিশ্লেষণ, আর অঙ্ক কষে সেনাবাহিনীর মিসাইল হানা। এক তারে বেঁধে এই কাজ করেছে ভারত।

    NTRO কী?

    NTRO আসলে ভারতের টেকনিক্যাল এজেন্সি। ২০০৪ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী তখন এটি তৈরি হয়। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে এটি কাজ করে। এর প্রাথমিক কাজ হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত খবর সংগ্রহ করা। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এর মধ্যে আছে সন্ত্রাসবাদ, সাইবার হানা, সীমান্ত সন্ত্রাস ইত্যাদি।

    ভারতের চোখ ও কান NTRO

    সোজা কথায় ভারতের চোখ ও কান বলা হয় এই NTRO-কে। জঙ্গিরা কোথায় অবস্থান করছে, তা খতিয়ে দেখতে এর জুড়ি নেই। এটা একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এই NTRO-র সাহায্যেই সঠিক লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় সেনা।

    NTRO-র প্রয়োজন কবে হয়?

    ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান যখন কারগিলে হামলা চালায়, তখনই ভারত বুঝতে পারে এমন একটি সংস্থা তৈরির দরকার আছে। প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর নির্দেশে তৎকালীন উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীর নেতৃত্বে গ্রুপ অফ মিনিস্টার্স এই বিশেষ উইং তৈরির অনুমোদন দেয়। তবে এর রোডম্যাপ তৈরি করে দিয়েছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। তিনি তখন প্রিন্সিপ্যাল সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজার। আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির আদলে ২০০৪ সালের অক্টোবরে নিরাপত্তা বিষয়ক কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট কমিটি এটিকে অনুমোদন দেয়।

    NTRO ব্যাকগ্রাউন্ড

    এর আসল নাম ছিল ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ফেসিলিটিজ অরগ্যানাইজেশন বা NTFO. আর NTRO প্রতিষ্ঠা করা হয় এজেন্সিগুলিকে টেকনিক্যাল ইনটেলিজ্যান্স দেওয়ার জন্য। তখন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন ব্রজেশ মিশ্র। বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ও উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী এদের সঙ্গে আলোচনা করেই ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীকে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করার সংকল্প নেন। এই NTRO স্যাটেলাইট ও ইন্টারনেট মনিটারিংয়ে সক্ষম। এই সরঞ্জাম জোগাড় করতে ৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়। এই NTRO অনেক স্যাটেলাইট অপারেট করে। যেমন টেকনোলজি এক্সপেরিমেন্ট স্যাটেলাইট, কার্টোস্যাট সিরিজ, ইজারয়েল থেকে আনা রাডার ইমেজিং স্যাটেলাইট।

    NTRO –র ভূমিকা

    ● মিলিটারি অপারেশনের জন্য এই সংস্থা স্যাটেলাইট ইনটেলিজেন্স সরবরাহ করে।
    ● কীভাবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস মোকাবিলা করা যায়, তাতে সাহায্য করে।
    ● রিমোট সেন্সিং ইনটেলিজেন্স সংগ্রহ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
    ● নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখে।
    ● কৌশলগত পরিকল্পনার জন্য নির্দিষ্ট ভৌগলিক স্থানের তথ্য সংগ্রহ করে।
    ● যোগাযোগ নিশ্চিত করার জন্য ক্রিপটোলজি প্রযুক্তি দেখভাল করে।
    ● ক্ষেপণাস্ত্র মনিটরের জন্য বায়ুসেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।
    ● আইএনএস ধ্রুব-র সঙ্গে সমুদ্রে যোগাযোগ বজায় রাখে।

    সাফল্য এল কীভাবে

    এই NTRO দিনরাত বিশ্লেষণ করে যাচ্ছে নানা তথ্য। তবে সাফল্য এসেছে বিভিন্ন সংস্থা এক সুরে কাজ করায়। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইং বা ‘র’ যে খবর পাচ্ছিল, তা নির্দিষ্ট সময় পৌঁছনো হয়েছে (Operation Sindoor) এই সংস্থার কাছে। তা অঙ্ক কষে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তা তুলে দেওয়া হয়েছে সেনা বাহিনীর হাতে। আর পরিকল্পনা করেই নিখুঁত ছকে করা হয়েছে প্রত্যাঘাত (Operation Sindoor)  সকলের মিলিত প্রয়াসেই এসেছে সাফল্য।

  • Operation Sindoor: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ধ্বংস জৈশ ও লস্করের জঙ্গি ঘাঁটি, উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়ল ছবি

    Operation Sindoor: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ধ্বংস জৈশ ও লস্করের জঙ্গি ঘাঁটি, উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়ল ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার বদলা হিসেবে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। এবার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর প্রকাশ্যে এল পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের আরও অনেক ছবি। এর পাশাপাশি মিলল কৃত্রিম উপগ্রহচিত্রও। জানা গিয়েছে, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ওই ছবিগুলি প্রকাশ্যে এনেছে ম্যাক্সার টেকনোলজিস নামের একটি সংস্থা। এই সংস্থার আনা চিত্রে ধরা পড়েছে পাকিস্তানের বহাওয়ালপুর এবং মুরিদকেতে অপারেশন সিঁদুরের পরবর্তী চিত্র।

    উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর ধ্বংসের ছবি

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের (Pakistan) বহাওয়ালপুরের উপকণ্ঠে সেদেশের জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় ১৫ একর জমি জুড়ে রয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ (জেইএম)-এর সদর দফতর। এখানেই ছিল মারকাজ শুভান আল্লা কমপ্লেক্স। এর ঠিক পাশেই অবস্থান শুভান আল্লা মসজিদও। জানা যাচ্ছে, ভারতের প্রত্যাঘাতের পর সেই ইমারতগুলি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে (Operation Sindoor) পরিণত হয়েছে। হামলার আগে ও পরের যে উপগ্রহচিত্র সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভেঙে পড়েছে মসজিদের তিনটি গম্বুজই। একইসঙ্গে ওই উপগ্রহ চিত্রগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ইমারতের স্থানে স্থানে বিস্ফোরণের চিহ্ন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দেওয়াল এবং মেঝেতে দেখা যাচ্ছে একাধিক গর্ত। কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে ছাদের একাংশও ভেঙে পড়েছে।

    বহাওয়ালপুর, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট-এই তিন জায়গাকে টার্গেট করা হয়

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে প্রিসিশন স্ট্রাইক (Operation Sindoor) করে ভারতীয় সেনা। এই ন’টি জায়গার মধ্যে চারটি জায়গা পাকিস্তানে এবং পাঁচটি জায়গা অবস্থিত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। বহাওয়ালপুর, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট, মূলত এই তিনটি এলাকার জঙ্গিঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। যে জায়গাগুলিতে বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার ছক কষা হয়েছিল, সেই ঘাঁটিগুলিকে উড়িয়ে দেয় ভারতীয়।

    মারকাজ শুভান আল্লা গড়ে ওঠে ২০১৫ সালে

    প্রসঙ্গত, বহাওয়ালপুর পাকিস্তানের ১০০ কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত, ভারতীয় সীমান্ত থেকে। ১৯৭১ সালের পর প্রথমবার ভারতীয় বিমান বাহিনী এত দূরে আঘাত হানল এবং সেখানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জৈশ-ই-মহম্মদের সদর ঘাঁটি মারকাজ শুভান আল্লা। এই সদর দফতরে জঙ্গি সংগঠনটি ২০১৫ সাল থেকে সেখানে কাজ চালাচ্ছিল বলে জানতে পেরেছিলেন ভারতের গোয়েন্দারা। এখানেই এতদিন ধরে চলত বিভিন্ন ধরনের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। ভারত বিরোধী কার্যকলাপের প্রধান ঘাঁটি হয়ে উঠেছিল এটি। তবে মঙ্গলবার গভীররাতে তা ধূলিসাৎ করে দিল ভারতীয় বিমান বাহিনী (Operation Sindoor)।

    পুলওয়ামা হামলার ষড়যন্ত্র এখানে বসেই করা হয়

    সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য যা সামনে এসেছে তা হল, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামাতে যে ভয়ঙ্কর হামলা হয় ভারতীয় সেনার কনভয়ের উপর, সেই ষড়যন্ত্রটিও রচনা করা হয়েছিল বহাওয়ালপুরের এই জৈশ-ই-মহম্মদের এই ঘাঁটিতে বসেই। এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এই মারকাজ হচ্ছে জয়েশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজাহারের বাড়ি।

    মারকাজ শুভান আল্লায় চলত জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ

    ভারতের বিমান হানায় তাদের পরিবারের ১৪ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, জৈশ নেতা মুফতি আব্দুর রহমান আজগর সমেত মাসুদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও থাকত এখানেই। মাসুদ আজহার নিজে এখানে বসেই চালাত ভারত বিরোধী কার্যকলাপ। ভারত বিরোধী কার্যকলাপ (Pakistan) এবং ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের অন্যতম ঘাঁটি হয়ে উঠছিল মারকাজ শুভান আল্লা। এখানেই চলত জঙ্গিদেরকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। তাদের শারীরিক অনুশীলন করানো হত এবং মৌলবাদী শিক্ষাও দেওয়া হত এখানে বসেই।

    মুরিদকেতে অবস্থিত লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি ধ্বংসের উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ্যে

    জৈশের ঘাঁটির পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় মুরিদকেতে অবস্থিত লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটিতেও। মুরিদকেতে যে স্যাটেলাইট চিত্র সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে কীভাবে ধ্বংস হয়ে পড়েছে লস্করের ঘাঁটি। এই ঘাঁটি দুটি উপগ্রহ চিত্র সামনে এসেছে। একটিতে দেখা যাচ্ছে অপারেশন সিঁদুরের আগের ছবি। অপরটিতে দেখা যাচ্ছে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরের ছবি। যা শুধুই ধ্বংসস্তূপ। জানা যায়, এখানেই লস্কর-ই-তৈবার কাজ চলছিল ২০০০ সাল থেকে। হাফিজ সঈদের নেতৃত্বেই এখান থেকে ভারত বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করা হয়। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম সন্ত্রাসী আজমল আমির কাসভ এবং ডেভিড হেডলির প্রশিক্ষণও এখানেই দেওয়া হয়। জানা যায়, ওসামা বিন লাদেন এখানে এক কোটি টাকা দান করেছিল। মসজিদ এবং অতিথি নিবাস নির্মাণের জন্য। ভারতীয় সীমান্ত থেকে ১৮ থেকে ২৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে অবস্থিত ছিল এই লস্কর ঘাঁটি, যা মঙ্গলবার গভীর রাতে ধ্বংস করল ভারতীয় সেনা।

  • Rohit Sharma: সাদা জার্সি গায়ে আর মাঠে নামবেন না রোহিত, অবসরের নেপথ্যে কি অভিমান না অন্য কারণ?

    Rohit Sharma: সাদা জার্সি গায়ে আর মাঠে নামবেন না রোহিত, অবসরের নেপথ্যে কি অভিমান না অন্য কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হয়ে গেল একটা যুগ। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। আইপিএলের মাঝেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। এ বার থেকে ভারতের হয়ে শুধু এক দিনের ক্রিকেট খেলবেন রোহিত। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আন্তর্জাতিক কুড়ি-বিশের ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। হঠাতই নয় বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছিল গুঞ্জন। তরুণদের জন্য সরতে তো হবেই। তাই করলেন রোহিত। মহেন্দ্র সিং ধোনির পরবর্তী যুগে ভারতের সফল অধিনায়ক রোহিত। তিনি জানেন কোথায় থামতে হয়। তিনি জানেন অধিনায়কের আর্ম ব্যান্ড কখন খুলতে হয়। জানেন হিসেব কষে চলতে।

    লাল বলকে বিদায়

    কোনও সাংবাদিক বৈঠক করেননি রোহিত। ইনস্টাগ্রামে চার লাইনের একটি বিবৃতিতে রোহিত লিখেছেন, “সকলকে জানাতে চাই যে, আমি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। সাদা পোশাকে দেশের হয়ে খেলা আমার কাছে গর্বের। এত বছর ধরে এত ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ। এক দিনের ফরম্যাটে ভারতের হয়ে খেলা চালিয়ে যাব।” ভারতের হয়ে ৬৭টি টেস্ট খেলেছেন রোহিত (Rohit Sharma)। করেছেন ৪৩০১ রান। ব্যাটিং গড় ৪০.৫৭। টেস্টে ১২টি শতরান ও ১৮টি অর্ধশতরান করেছেন রোহিত। সর্বাধিক রান ২১২। টেস্ট ক্রিকেটে রোহিতের পথচলা শুরু ক্রিকেটের নন্দনকাননে। ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথমবার ভারতের সাদা জার্সি গায়ে খেলতে নেমেছিলেন রোহিত। টেস্ট ডেবিউ ম্যাচে ৩০১ বলে ১৭৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন রোহিত। হয়েছিলেন ম্যাচের সেরাও। এরপর দেশের হয়ে খেলেছেন আরও ৬৬টা টেস্ট। বিরাট কোহলি ভারতের টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট দলের নেতৃত্ব যায় রোহিত শর্মার কাঁধে। তারপর ২৪টি টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত। তাতে ১২টি ম্যাচ জিতেছে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সফল ১০ অধিনায়কের তালিকায় রয়েছেন রোহিত। ভারতের হয়ে টেস্টে ১২টি সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত। সেই সঙ্গে রয়েছে ১৮টি হাফসেঞ্চুরিও। টি-২০ ও ওডিআইতে রোহিতের ব্যাট যতটা উজ্জ্বল, সেই তুলনায় টেস্টে উজ্জ্বলতা খানিক কম।

    অধিনায়কত্ব নিয়ে জল্পনা

    আইপিএলের পরেই ইংল্যান্ড সফরে যাবে ভারত। পাঁচ টেস্টের সেই সিরিজ থেকে আগামী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই শুরু করবে মেন ইন ব্লু। শোনা যাচ্ছিল, ইংল্যান্ড সিরিজের আগে রোহিতকে (Rohit Sharma) টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। সেই জল্পনার মাঝেই অবসর নিলেন তিনি। জাতীয় নির্বাচকরা তাঁকে বার্তা দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড সফরের টিমে তাঁকে ক্যাপ্টেন হিসেবে আর ভাবা হচ্ছে না। কারণ বোর্ড সামনের দিকে তাকাতে চাইছে। এ ছাড়া, রোহিত শর্মার বয়স ৩৮ পেরিয়েছে, নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাইকেলে (২০২৫-২৭) একজন নতুন নেতার প্রয়োজন আছে বলে বোর্ডও মনে করছে। শুভমনের বয়স ২৫, এর আগে টিম ইন্ডিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন ছিলেন। তা ছাড়া বুমরার মতো তাঁর চোট সমস্যা নেই। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই অগ্রাধিকার পেয়ে ক্যাপ্টেন্সির দৌড়ে এগিয়ে শুভমন। সেক্ষেত্রে রোহিতের সামনে অবসর ছাড়া রাস্তা ছিল না।

    ব্যাটে রানের খরা

    ক্যাপ্টেন না থাকলে তিনি টিমে ব্যাটার হিসেবেও জায়গা পেতেন কি না সন্দেহ। গত আট টেস্টে তাঁর রান মাত্র ১৬৫। গড় ১০.৯৩। এই পারফরম্যান্স নিয়ে ইংল্যান্ডে তাঁর সফল হওয়া কঠিন বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তিনিও জানতেন লাল বলের ক্রিকেটে আর যেন মানাতে পারছিলেন না। আগে অবসরের প্রশ্নে রোহিত বলেছিলেন, দুই সন্তানের পিতা জানে কখন সরে যেতে হবে। শেষপর্যন্ত নিখুঁত ‘টাইমিং’য়ে মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মারার মতো করেই অবসরের সরণিতে হাঁটলেন ‘শর্মাজি কা বেটা’।

    রোহিতের পরবর্তী পরিকল্পনা

    রোহিতের (Rohit Sharma) ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলার জন্য রোহিত মরিয়া। মেগা ইভেন্টে খেলার জন্য ফিটনেস ঠিক রাখতে যা খুশি করতে পারেন। রোহিতের ওই ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পরেই টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন রোহিত। রোহিতের ঘনিষ্ঠ সেই সূত্র জানিয়েছে, ‌চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পরেই রোহিতের মাথায় টেস্ট থেকে অবসরের কথা ঘুরছিল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সার্কেল শুরু হচ্ছে জুন থেকে। রোহিত জানত টেস্টে সেরা সময়টা ফেলে এসেছে। রোহিতের সেই ইচ্ছাপূরণ হবে কি না, সেটা কেউ জানেন না। তবে বোর্ড আপাতত জানিয়েছে, ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনিই অধিনায়ক থাকছেন। সেটা হলে দীর্ঘদিন বাদে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক পাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া।

  • Operation Sindoor: ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানাল ইডেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে গর্বিত সচিন থেকে গম্ভীর

    Operation Sindoor: ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানাল ইডেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে গর্বিত সচিন থেকে গম্ভীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) এর সাফল্যে ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানাল ইডেন গার্ডেন্স। বৃহস্পতিবার, ইডেন ছিল অন্য মেজাজে। আইপিএলের ম্যাচে সাধারণত জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় না। কখনও টুর্নামেন্টের শুরুর ম্যাচে কিংবা ফাইনালে এমনটা দেখা যায়। আন্তর্জাতিক ম্যাচ থাকলে অবশ্য় জাতীয় সঙ্গীত দিয়েই ম্যাচের শুরু হয়। আইপিএলে (IPL 2025) প্রথম বার ম্যাচ শুরুর আগে বাজল জাতীয় সঙ্গীত। এদিন ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানাতে ইডেনে কেকেআর বনাম চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচ শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীতে। স্ক্রিনেও ভেসে ওঠে ভারতীয় সেনাকে গর্ব এবং সম্মানের বার্তা। ভারতীয় সেনার সাফল্যকে কুর্নিশ জানাতে এই পদক্ষেপ করে বিসিসিআই।

    সেনাকে কুর্নিশ বিসিসিআই-এর

    মঙ্গলবার রাতে জঙ্গিদের বহু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা জঙ্গিদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসীরা ২৬ জন ভারতীয়কে গুলি করে হত্যা করেছিল। তার বদলা হিসেবেই মঙ্গলবার ভারতীয় সেনা জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে আক্রমণ করে। বুধবার ইডেনে খেলার শুরুর আগেই দুই দল ভারতীয় সেনাকে স্যালুট জানায়। খেলা চলাকালীন একাধিকবার ডিজিটাল স্ক্রিনে দেখানো হয় ভারতীয় সেনাকে স্যালুট জানানোর কথা। বহু সমর্থক এদিন খেলা দেখতে আসেন তেরঙ্গা হাতে। খেলা চলাকালীন বাউন্ডারি লাইনের ধারের স্ক্রিনগুলিতেও বার্তা হিসেবে দেখানো হয়, “ভারতীয় সেনার জন্য আমরা গর্বিত।” এদিন ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা এবং চেন্নাইয়ের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাওয়া যায়। এই ম্য়াচটি শেষ ওভার পর্যন্ত চলে। টান টান ম্যাচে ঘরের মাঠে মহেন্দ্র সিং ধোনিদের কাছে ২ উইকেটে হেরে যায় কেকেআর। এই হারের ফলে চলতি আইপিএল থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ার পথে নাইটরা।

    সেনাকে সেলাম ক্রিকেটারদের

    ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুর-কে (Operation Sindoor) কুর্নিশ জানিয়েছেন বহু প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। বীরেন্দ্র সেওয়াগ লিখেছেন জয় হিন্দ। নিজের ব্যাটিংয়ের মতোই অ্যাটাকিং স্টাইলে লিখেছেন, ‘‘কেউ যদি পাথর ছোড়ে, আপনিও ফুল ছুড়ে দিন, তবে গামলার সঙ্গে। অপারেশন সিঁদুর, একেবারে নিখুঁত নাম।’’ দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বর্তমানে ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর, অপারেশন সিঁদুরের ছবি সহ পোস্ট করেছেন জয় হিন্দ। সঙ্গে দেশের পতাকা। বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর লিখেছেন, ‘‘একতা ভয়ডরহীন। একতাই শক্তি। ভারতের শক্তি দেশের প্রত্য়েকটা মানুষ। এখানে সন্ত্রাসবাদের কোনও জায়গা নেই। জয় হিন্দ।’’ দেশের আর এক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামী লিখেছেন, ‘‘ভারত এভাবেই জবাব দেয়।’’ ভারতীয় ক্রিকেটের গব্বর শিখর ধাওয়ান কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধুয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদিকে। সেনার জবাবের পর ধাওয়ান লিখেছেন, ‘‘ভারত সবসময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, ভারত মাতা কি জয়।’’ অনিল কুম্বলে, চেতন শর্মা, সুরেশ রায়না, বরুণ চক্রবর্তীর মতো প্রাক্তন এবং বর্তমান ক্রিকেটাররাও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে নানা পোস্ট করেছেন।

  • Lahore: অপারেশন সিঁদুরের পর দিনই সাতসকালে একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাহোর

    Lahore: অপারেশন সিঁদুরের পর দিনই সাতসকালে একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাহোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পরে বৃহস্পতিবার সাতসকালে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের লাহোর (Lahore)। সেদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে লাহোর বিমানবন্দরের কাছেই এই জোরাল বিস্ফোরণ হয়। একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছে এদিন। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। তবে বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে অনেকেরই আশঙ্কা, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে পাকিস্তানের। এটাই কি বিস্ফোরণের (Lahore) কারণ? তবে ভারতের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনও যোগ নয়াদিল্লির নেই।

    লাহোর (Lahore) বিস্ফোরণে বালোচ বিদ্রোহীদের হাত?

    আবার একাধিক পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানি (Pakistan) বায়ুসেনা এদিন মহড়া চালাচ্ছিল। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণ হয়। বৃহস্পতিবার এই বিস্ফোরণের জেরে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লাহোর (Lahore) ওল্ড বিমানবন্দর। লাহোর বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমেই তীব্র সাইরেনের শব্দ শোনা যায়। তারপরেই একাধিক বিস্ফোরণ হতে থাকে। অনেকে আবার এই বিস্ফোরণের পিছনে বালোচ আর্মির হাত থাকতে পারে বলে অনুমান করছেন। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের অন্দরেই বিদ্রোহ শুরু করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। ট্রেন হাইজ্যাক থেকে শুরু করে আস্ত শহরও দখল করে নেয় তারা, দিন কয়েক আগে। এদিন আবার পাকিস্তানি সেনার কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালাল তারা।

    পাক সেনার কনভয় উড়িয়ে দিল বালোচ বিদ্রোহীরা , মৃত ১৪ জওয়ান

    ভারতের প্রত্যাঘাতে এমনিতেই কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হল পাক সেনার কনভয়। বিদ্রোহীদের এই বিস্ফোরণে ১৪ জন পাক জওয়ান মারা গিয়েছেন বলে খবর মিলেছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ জন পাক জওয়ান মারা গিয়েছেন, তাতে রয়েছেন স্পেশ্যাল অপারেশন্স কমান্ডার তারিক ইমরান, সুবেদার উমর ফারুখ। প্রসঙ্গত,গত ৬ মে বালুচিস্তানে সেনার কনভয়ে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। সেবারও বেশ কয়েক জন মারা যান।

  • India Pakistan Conflict: নিহত জঙ্গিদেরকে বীরের স্বীকৃতি! ফের প্রমাণিত পাক সেনা-সন্ত্রাসী আঁতাত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

    India Pakistan Conflict: নিহত জঙ্গিদেরকে বীরের স্বীকৃতি! ফের প্রমাণিত পাক সেনা-সন্ত্রাসী আঁতাত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মহলে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে পাকিস্তান (India Pakistan Conflict)। ভারতের সফল সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর এক ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে পাক মুলুকে। এই অভিযানে নিহত জঙ্গিদের মরদেহ মোড়া হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায়! শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের মুরিদকে ফুটবল স্টেডিয়ামে সেনা ও আইএসআই কর্তাদের উপস্থিতিতে জঙ্গিদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। প্রকাশ্যে এসেছে তাদের সন্ত্রাস-যোগ।

    সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুতে ‘শোকপালন’ পাকিস্তানের

    সেনা  থেকে আইএসআই। পুলিশ থেকে আমলা। সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুতে এবার ‘শোকপালন’ করতে দেখা গেল পাক সরকারের একাধিক ব্যক্তিকে। বুধবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে প্রত্যাঘাত হেনেছে ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। নয়টি জঙ্গি ঘাঁটির অন্তত ৭০টি জঙ্গির মৃত্যু (কারও মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি) হয়েছে এই স্ট্রাইকে। এবার সেইসব সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে দেখা মিলল পাক সেনা থেকে আধিকারিকের। পিটিআই রিপোর্ট মোতাবেক, মুরিদকে-তে থাকা জঙ্গিদের হেডকোয়ার্টারে এয়ার স্ট্রাইকের জেরে মারা গিয়েছে তিন জঙ্গি কারি আবদুল মালিক, খালিদ ও মুদাসির। নিহত হয়েছে বিলাল টেরর ক্যাম্পের প্রধান ইয়াকুব মুঘল। এই ক্যাম্প বহু বছর ধরে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদি হামলার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এদের শেষকৃত্যেই উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানি সেনা কর্তাদের। জঙ্গিদের শেষকৃত্যের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।

    পাক সেনার সঙ্গেই কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আব্দুল রউফ

    শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে সামরিক পোশাকে, বুকভরা ব্যাজ নিয়ে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআই-এর শীর্ষ আধিকারিক এবং পাঞ্জাব পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে অংশ নিয়েছেন। তবে, শুধু পাক সেনা ও আধিকারিকরা নন, তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লস্কর-ই-তৈবার কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আব্দুল রউফ। স্পষ্টতই খোলামেলাভাবে আয়োজন করা এই শেষকৃত্য সন্ত্রাসবাদের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনের একটি প্রমাণ। পিটিআইয়ের রিপোর্ট মোতবেক, হাফিজ সইদের নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-উদ-দাওয়াও সদস্যরাও ছিলেন এই শেষকৃত্যে। এই সংগঠন দুটি রাষ্ট্রসংঘ-স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন, যাদের নাম জড়িয়ে আছে কাশ্মীর, দিল্লি, মুম্বই সহ ভারতের নানা প্রান্তে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায়।

    জঙ্গিদের গায়ে পাকিস্তানের পতাকা

    সাধারণত ভারতে জাতীয় পতাকা মোড়ানো হয় সেই সব মানুষদের কফিনে, যাঁরা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন—যেমন সেনা, পুলিশ অথবা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তারা। সেই মর্যাদা পাওয়া মানেই জাতীয় বীরের স্বীকৃতি। কিন্তু এবার পাকিস্তানে একই সম্মান দেওয়া হল জঙ্গিদের? এই ঘটনায় স্তম্ভিত ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষক মহল ও সাধারণ মানুষ। সেনা অফিসারদের উপস্থিতি, জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিন — কী বার্তা দিচ্ছে পাকিস্তান? মুরিদকে ফুটবল স্টেডিয়ামে যে জঙ্গিদের শেষকৃত্য হল, সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসাররাও। এর ফলে জঙ্গিদের প্রতি পাকিস্তান (India Pakistan Conflict) সরকারের সক্রিয় সমর্থনের অভিযোগ আরও জোরালো হচ্ছে।

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ 

    এই ভিডিও প্রকাশের পর ভারতীয় কূটনীতিকরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ জোরদার করেছে। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “পাকিস্তান তার মাটিতে জঙ্গি (militants) ঘাঁটি ধ্বংস করার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাদের সেনা ও পুলিশ জঙ্গিদের সমর্থন করছে।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে ভারতের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

    পাকিস্তানের দ্বৈত চরিত্রের প্রমাণ

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কূটনীতিকদের মত, এই ভিডিও পাকিস্তানের দ্বৈত চরিত্রের প্রমাণ। একদিকে তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে, অন্যদিকে জঙ্গিদের শেষকৃত্যে অংশ নেয় তাদের সেনা ও পুলিশ। প্রাক্তন কূটনীতিক মঞ্জু শেঠ বলেন, “এটি কেবল পাকিস্তানের সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর জঙ্গিদের (militants) সঙ্গে সংযোগের প্রমাণ নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি সতর্কবার্তা। পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) এই আচরণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইকে দুর্বল করছে। এই ঘটনা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য বিশ্ব শক্তির কাছে উত্থাপন করা উচিত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।” পহেলগাঁও হামলার (militants) প্রেক্ষাপটে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) প্রশংসা করে তিনি বলেন, “ভারতের নির্ভুল হামলা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা। তবে এই ভিডিও দেখায় যে পাকিস্তান তার অবস্থানে কোনও পরিবর্তন আনছে না।”

    পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত জঙ্গি রাষ্ট্র পাকিস্তান

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং এটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জেহাদের প্রতি সমর্থনের প্রতীক। অ্যাবোটাবাদে যেখানে ওসামা বিন লাদেন সেনা নিরাপত্তায় আত্মগোপনে ছিলেন, বালাকোটে যেখানে জইশের ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালিত হত, কিংবা মুরিদকে, যেখানে লস্করের জঙ্গিদের রাষ্ট্রীয় সম্মানে কবর দেওয়া হয় — সবই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদতের প্রমাণ। এখনও যদি আর্থিক সহায়তা বন্ধ না হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মহল — বিশেষ করে এফএটিএফ, রাষ্ট্রসংঘ এবং পশ্চিমের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি — চোখ বুজে থাকলে তা হবে একপ্রকার সহযোগিতা। ভারত বহুদিন ধরেই এই সত্য জানত। এখন তার ভিডিও প্রমাণ সামনে এসেছে। এই ভিডিও প্রমাণ করে পাকিস্তান আসলে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত একটি জঙ্গি রাষ্ট্র।

  • Operation Sindoor: ‘সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই ব্যবস্থা নিন’, বাংলা সহ ১০ রাজ্যকে নির্দেশ শাহের

    Operation Sindoor: ‘সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই ব্যবস্থা নিন’, বাংলা সহ ১০ রাজ্যকে নির্দেশ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। প্রয়োগ করা হয়েছে  ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা ব্যাপক বেড়েছে এরপরেই। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে ভারতের সীমান্তবর্তী ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মূলত, নেপাল এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সীমানা রয়েছে সেই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেই বৈঠক করেন শান। তালিকায় ছিল পশ্চিমবঙ্গও।

    পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া কোন কোন রাজ্য ছিল বৈঠকে?

    এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী, ডিজি এবং সচিবরাও হাজির ছিলেন। কেন এই বৈঠক আয়োজিত হল? জানা যাচ্ছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পরেই সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তান সেনা ক্রমাগত গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। এমন সময় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে আনার নির্দেশ দেন অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তাই ভারতের কাছে অগ্রাধিকার জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছেন এই সময় সমাজমাধ্যমে দেশবিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই তার বিরুদ্ধে যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী, বিএসএফ প্রধান, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অমিত শাহ

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) নিয়মিত ভাবেই বিএসএফ-র প্রধান দলজিৎ সিং, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবারই ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানে তিনি জানান, পহেলগাঁওয়ে হামলার পরও পাকিস্তান জঙ্গি দমনের কোনওরকমের চেষ্টাই করেনি। সেই কারণেই প্রয়োগ করা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ওই সাংবাদিক বৈঠকে এও জানানো হয়, এই অভিযানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি।

  • Daily Horoscope 08 May 2025: পুরনো রোগ থেকে মুক্তিলাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 08 May 2025: পুরনো রোগ থেকে মুক্তিলাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

    মেষ

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাধার আশঙ্কা।

    ২) বুকের সমস্যা বৃদ্ধি।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে কোনও ক্ষতি হতে পারে, একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ভালো কাজে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অবসাদগ্রস্ত হতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় লাভ বৃদ্ধি, তবে খরচও বাড়বে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

     

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    সিংহ

    ১) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ২) বাড়ির কাছে ভ্রমণের ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

     

    কন্যা

     

    ১) পুরনো রোগ থেকে মুক্তিলাভ।

    ২) ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে ভালো কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

    ২) সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তির পাল্লায় পড়ে অর্থক্ষতি।

    ২) মধুর কথাবার্তা দ্বারা শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) সকালের দিকে কাজের ব্যাপারে শুভ যোগাযোগ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে গুপ্তশত্রু হতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মকর

    ১) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদ।

    ২) স্বামীর সঙ্গে তর্ক না করাই ভালো হবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে গুরুজনদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত বিশ্বাসের খেসারত দিতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) কর্মক্ষেত্রে বিরোধী ব্যক্তির সঙ্গে মিত্রতা হয়ে যেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীদের চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয়।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Operation Sindoor: বোঝার আগেই শেষ! পাক-ভূমে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে তিন ‘স্মার্ট’ অস্ত্র ব্যবহার ভারতের

    Operation Sindoor: বোঝার আগেই শেষ! পাক-ভূমে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে তিন ‘স্মার্ট’ অস্ত্র ব্যবহার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার জবাবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালিয়েছে ভারত। প্রায় ২৫ মিনিটের এই ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এ ৯টি জঙ্গি ঘাঁটির ২১টি টার্গেটকে ধ্বংস করেছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। পাকিস্তান কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোটা অপারেশন শেষ। আর জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে রাফালে চাপিয়ে পাঠানো হয় বিশেষ কয়েকটি মিসাইল ও বম্ব (Special Weapons)। গোটা অভিযানের পরিচালন তিন বাহিনীর সমন্বয়ে সংগঠিত হয়। তবে, বম্ব নিক্ষেপ করার কাজ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ব্যবহার করা হয়েছে হ্যামার বোমা, স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং লয়টারিং মিউনিশন। মূলত নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম, দূরপাল্লার এই বিশেষ অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই অস্ত্রগুলির বিশেষত্ব—

    স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল (Scalp Cruise Missile)—

    এটি স্টর্ম শ্যাডো নামেও পরিচিত। এটি একটি দীর্ঘ পাল্লার আকাশ থেকে ভূমি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র, যা ২৫০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে শত্রুপক্ষের ঘাঁটিতে (Operation Sindoor) আঘাত হানতে সক্ষম। দিনে হোক বা রাতে, যে কোনও মরসুমে এটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। যে কারণে, বিশ্বের সব সামরিক বাহিনীর কাছে এটি অত্যন্ত প্রিয়।

    হ্যামার স্মার্ট বম্ব (Hammer Smart Bomb)—

    পুরো নাম হাইলি অ্যাজাইল মডিউলার মিউনিটন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ। শক্তিশালী পরিকাঠামো যেমন রিইনফোর্সড বাঙ্কার বা বহুতল বিল্ডিং অথবা অস্ত্রভাণ্ডার গুঁড়িয়ে দিতে ওস্তাদ হ্যামার স্মার্ট বোমা। ৫০-৭০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম হ্যামার। কত উঁচু থেকে ছোড়া হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে আঘাতের তীব্রতা। এই অভিযানে (Operation Sindoor) হ্যামার দিয়ে লস্কর-ই-তৈবা ও জৈশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

    লয়টারিং মিউনিশন (Loitering Munition)—

    এগুলি কামিকাজে বা আত্মঘাতী ড্রোন হিসেবেও পরিচিত। মূলত লুকিয়ে এলাকার পর নজরদারি চালানোর জন্য, কোথায় জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে, তাতে কী কী রয়েছে বা কারা-কতজন রয়েছে, তা জানতে এই যন্ত্র ব্যবহার করে সেনাবাহিনী (Operation Sindoor)। যত ক্ষণ পর্যন্ত না লক্ষ্য নির্ধারণ হচ্ছে, তত ক্ষণ উড়ে বেড়ায় এই ড্রোন। স্বয়ংক্রিয় ভাবেও উড়তে পারে এই ড্রোন, আবার রিমোটের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় (Special Weapons)। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি, এই ড্রোনে বিস্ফোরক বা পেলোডও বসানো যায়। ড্রোনের মাধ্যমেই আঘাত হানা যায় লক্ষ্যে।

  • HS Result 2025: প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ, বার্ষিক ব্যবস্থায় শেষ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত

    HS Result 2025: প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ, বার্ষিক ব্যবস্থায় শেষ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চমাধ্যমিকের ফল (HS Result 2025) প্রকাশিত হল বুধবার। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ ২০২৫ সালের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। গত ৩ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল পরীক্ষা। শেষ হয়েছিল ১৮ মার্চ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫০ দিন পর ফল প্রকাশ করল সংসদ। সাংবাদিক বৈঠকে সাংসদ জানিয়েছে, কোভিডকালের তিন বছর বাদ দিলে গত ১০ বছরে সেরা ফলাফল হয়েছে এই বছর। দীর্ঘদিন ধরে যে ধাঁচে উচ্চমাধ্যমিক হয়ে আসছিল, আজ ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে-সঙ্গে সেটা ‘ইতিহাস’-র জায়গা করে নিল। আগামী বছর (২০২৬ সাল) থেকে সেমিস্টার-ভিত্তিক উচ্চমাধ্যমিক হবে। যে পড়ুয়ারা ২০২৪ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভরতি হয়েছিলেন, তাঁরাই সেমেস্টার প্রথার আওতায় প্রথম উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন। আর তৃতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিকের চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী বছর থেকে।

    প্রথম বর্ধমানের ছাত্র

    উচ্চমাধ্যমিকে ৯৯.৪ শতাংশ নম্বর (HS Result 2025) পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন পূর্ব বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭। রূপায়ণ বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। দ্বিতীয় স্থানে কোচবিহারের তুষার দেবনাথ। বক্সিরহাট হাইস্কুলের ছাত্র। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬ (৯৯.২ শতাংশ)। ৪৯৫ (৯৯ শতাংশ) নম্বর পেয়ে এ বছর তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন আরামবাগের রাজর্ষি অধিকারী। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বাঁকুড়ার সৃজিতা ঘোষাল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪ (৯৮.৮ শতাংশ)। পঞ্চম স্থান অধিকারী করেছেন ছয় জন। প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ)। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন আট জন। প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২ (৯৮.৪ শতাংশ)।

    উচ্চমাধ্যমিকে জেলার জয়জয়কার

    সংসদ জানিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিকে (HS Result 2025) এই বছর প্রথম দশে হুগলি থেকে সবচেয়ে বেশি পড়ুয়া রয়েছেন। মোট ১৪ জন রয়েছেন প্রথম দশে। কলকাতার মাত্র তিন জন। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম দশে রয়েছে ৭২ জন। তাদের মধ্যে কলকাতার স্কুল থেকে তিন জন রয়েছে। ৪৯০ পেয়ে তথাগত রায় অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। সৌনক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৃজিতা দত্ত দু’জনেই নবম স্থানে রয়েছে। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। উচ্চ মাধ্যমিকে এ বছর পাশের হার ৯০.৭৯ শতাংশ। শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। পাশের হারে দ্বিতীয় উত্তর ২৪ পরগনা এবং তৃতীয় কলকাতা। পাশের হারে এগিয়ে ছাত্ররা। তাদের পাশের হার ৯২%-এর বেশি। মেয়েদের মধ্যে পাশের হার ৮৮%-এর বেশি। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৯০ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৯৯.৪৬ শতাংশ। বাণিজ্যে ৯৭.৫২ শতাংশ এবং কলা বিভাগে ৮৮.২৫ শতাংশ।

    কীভাবে জানবেন রেজাল্ট

    বুধবার দুপুর ২:০০ টো থেকে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপে উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫-এর রেজাল্ট (HS Result 2025) পাওয়া যাচ্ছে। ৮ মে, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টার পর স্কুল থেকে মার্কসিট ও সার্টিফিকেট পাবেন ছাত্রছাত্রীরা। মোবাইলে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফলের লিঙ্ক বা রেজাল্ট অপশনে ক্লিক করুন। নির্দিষ্ট বক্সে আপনার রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ লিখুন। বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার পর, সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। এবার আপনার ফলাফল স্ক্রিনে দেখাবে

    বার্ষিক ব্যবস্থায় শেষ উচ্চমাধ্যমিক

    বার্ষিক ব্যবস্থায় শেষ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (HS Result 2025) হল এ বছরই। আগামী বছর থেকে সেমেস্টার ব্যবস্থা চালু হবে উচ্চমাধ্যমিকে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা যে স্কুলে পড়ছেন, সেই স্কুলে তৃতীয় এবং চতুর্থ সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে না। বাইরের স্কুলে গিয়ে দিতে হবে দুটি সেমেস্টারের পরীক্ষা। সংসদের সভাপতির কথায়, ‘(পরেরবার থেকে) বছরে ২টো উচ্চমাধ্যমিক নেওয়া হবে।’ সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, ভোকেশনাল সাবজেক্ট, ভিস্যুয়াল আর্টস এবং মিউজিক বাদ দিয়ে বাকি বিষয়গুলির পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের। সকাল ১০ টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে সকাল ১১ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। আর ভোকেশনাল সাবজেক্ট, ভিস্যুয়াল আর্টস এবং মিউজিকের পরীক্ষার সময় হল ৪৫ মিনিট। সকাল ১০ টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।

    আগামী উচ্চমাধ্যমিকের রুটিন

    তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা

    ১) ৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার): বাংলা (প্রথম ভাষা), ইংরেজি (প্রথম ভাষা), হিন্দি (প্রথম ভাষা), নেপালি (প্রথম ভাষা), উর্দু, সাঁওতালি, ওড়িয়া, তেলুগু, গুজরাটি এবং পঞ্জাবি।

    ২) ৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার): হেলথ কেয়ার, অটোমোবাইল, অর্গানাইজড রিটেলিং, সিকিউরিটি, আইটি অ্যান্ড আইটিইএস, ইলেকট্রনিকস, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি, প্লাম্বিং, কনস্ট্রাকশন, অ্যাপ্ররেল, বিউটি অ্যান্ড ওয়েলনেস, এগ্রিকালচার, পাওয়ার – ভোকেশনাল সাবজেক্ট।

    ৩) ১০ সেপ্টেম্বর (বুধবার): ইংরেজি (দ্বিতীয় ভাষা), বাংলা (দ্বিতীয় ভাষা), হিন্দি (দ্বিতীয় ভাষা), নেপালি (দ্বিতীয় ভাষা) এবং অল্টারনেটিভ ইংলিশ।

    ৪) ১১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার): অর্থনীতি, অ্যাথ্রোপলজি, সায়েন্স অফ ওয়েল বিয়িং, অ্যাপ্লায়েড আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স।

    ৫) ১২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার): ফিজিক্স, নিউট্রিশন, এডুকেশন এবং অ্যাকাউন্টেন্সি।

    ৬) ১৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার): কম্পিউটার সায়েন্স, মর্ডান কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ, হেলথ অ্যান্ড ফিজিক্যাল এডুকেশন, মিউজিক এবং ভিস্যুয়াল আর্টস।

    ৭) ১৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার): স্ট্যাটিসটিকস, সাইকোলজি, কমার্শিয়াল ল অ্যান্ড প্রিলিমিনারিস অফ অডিটিং এবং ইতিহাস।১০) ১৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার): কেমিস্ট্রি, ভূগোল, হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এবং বিজনেস স্টাডিজ।

    ১১) ১৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার): ফিলোজফি।

    ১২) ১৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার): অঙ্ক, এগ্রিকালচার, জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন, সংস্কৃত, পার্সিয়ান এবং আরবিক।

    ১৩) ২০ সেপ্টেম্বর (শনিবার): সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, ডেটা সায়েন্স, সোশিয়োলজি।

    ১৪) ২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার): বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, পলিটিকাল সায়েন্স, কস্টিং অ্যান্ড ট্যাক্সেশন।

    চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষার পুরো রুটিন

    ১) ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার): বাংলা (প্রথম ভাষা), ইংরেজি (প্রথম ভাষা), হিন্দি (প্রথম ভাষা), নেপালি (প্রথম ভাষা), উর্দু, সাঁওতালি, ওড়িয়া, তেলুগু, গুজরাটি এবং পঞ্জাবি।

    ২) ১৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার): ইংরেজি (দ্বিতীয় ভাষা), বাংলা (দ্বিতীয় ভাষা), হিন্দি (দ্বিতীয় ভাষা), নেপালি (দ্বিতীয় ভাষা) এবং অল্টারনেটিভ ইংলিশ।

    ৩) ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার): ফিজিক্স, নিউট্রিশন, এডুকেশন এবং অ্যাকাউন্টেন্সি।

    ৪) ১৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার): হেলথ কেয়ার, অটোমোবাইল, অর্গানাইজড রিটেলিং, সিকিউরিটি, আইটি অ্যান্ড আইটিইএস, ইলেকট্রনিকস, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি, প্লাম্বিং, কনস্ট্রাকশন, অ্যাপ্ররেল, বিউটি অ্যান্ড ওয়েলনেস, এগ্রিকালচার, পাওয়ার – ভোকেশনাল সাবজেক্ট।

    ৫) ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার): অঙ্ক, এগ্রিকালচার, জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন, সংস্কৃত, পার্সিয়ান এবং আরবিক।

    ৬) ২০ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার): বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, পলিটিকাল সায়েন্স, কস্টিং অ্যান্ড ট্যাক্সেশন।

    ৭) ২১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার): স্ট্যাটিসটিকস, সাইকোলজি, কমার্শিয়াল ল অ্যান্ড প্রিলিমিনারিস অফ অডিটিং এবং ইতিহাস।

    ৮) ২৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার): কেমিস্ট্রি, ভূগোল, হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এবং বিজনেস স্টাডিজ।

    ৯) ২৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার): ফিলোজফি।

    ১০) ২৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার): অর্থনীতি, অ্যাথ্রোপলজি, সায়েন্স অফ ওয়েল বিয়িং, অ্যাপ্লায়েড আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স।

    ১১) ২৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার): সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, ডেটা সায়েন্স, সোশিয়োলজি।

    ১২) ২৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার): কম্পিউটার সায়েন্স, মর্ডান কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ, হেলথ অ্যান্ড ফিজিক্যাল এডুকেশন, মিউজিক এবং ভিস্যুয়াল আর্টস।

LinkedIn
Share