Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Seaweed: পুষ্টিগুণে ভরপুর সামুদ্রিক শৈবাল, কেন এই সুপারফুড জনপ্রিয় হচ্ছে ভারতে?

    Seaweed: পুষ্টিগুণে ভরপুর সামুদ্রিক শৈবাল, কেন এই সুপারফুড জনপ্রিয় হচ্ছে ভারতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপান, চিন, কোরিয়া, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রিয় খাদ্য হিসেবে পরিচিত সামুদ্রিক শৈবাল (Seaweed)। এই খাদ্য নিয়ে এখন ভারতেও চলছে জোর চর্চা। বিশাখাপত্তনমের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফিশারিজ টেকনোলজি (CIFT) সামুদ্রিক শৈবালের সমৃদ্ধ পুষ্টিগুণ নিয়ে অনেক তথ্যই সামনে এনেছে।

    স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর হল সামুদ্রিক শৈবাল (Seaweed)

    অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষজন সামুদ্রিক শৈবালের স্বাস্থ্যগুণ বিবেচনা করে নিয়মিত এটি খেতেও শুরু করেছেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটা সময় ছিল যখন সামুদ্রিক শৈবালকে কেবল একটি সমুদ্রের আগাছা হিসেবে বিবেচনা করা হত কিন্তু এখন, এটি একটি পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে পরিচিত। এতে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, তামা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ, সি, ই এবং কে।

    কেন্দ্রীয় সরকারও এর ব্যবহার বৃদ্ধিতে (Seaweed) জোর দিচ্ছে

    কেন্দ্রীয় সরকারও ‘নীল বিপ্লব’ এবং প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে সামুদ্রিক শৈবালের (বিশেষ করে কাপ্পাফাইকাস, গ্র্যাসিলারিয়া, উলভা এবং সারগাসাম) ব্যবহার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উৎসাহিত করছে সবাইকে।

    সামুদ্রিক শৈবালের (Seaweed) রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পারকিনসন্স ডিজিজ বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পাওয়া দ্বিতীয়-সবচেয়ে সাধারণ ডিজেনারেটিভ রোগ। পারকিনসন্স রোগ নড়াচড়াকে প্রভাবিত করে। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যে সামুদ্রিক শৈবাল পারকিনসন্স রোগের অগ্রগতি ধীর করতে সক্ষম হতে পারে। অন্যদিকে গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে যে সামুদ্রিক শৈবাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এবং এমনকি শরীরকে (Powerhouse Of Nutrients) সালমোনেলা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।

    সমুদ্রের শৈবাল নয়, এটা হল সবজি, বলছেন গবেষকরা

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, পালং শাকের (Powerhouse Of Nutrients) মতো সামুদ্রিক শৈবালকে কেবল আগাছা নয়, একটি সমুদ্রের সবজি হিসেবেই দেখা উচিত। ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস,কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় সামুদ্রিক শৈবাল। এর পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

  • Maharashtra: বরফ যুগের শেষে বাস করত ভারতে, ২৫,০০০ বছরের পুরনো হাতির জীবাশ্ম আবিষ্কার মহারাষ্ট্রে

    Maharashtra: বরফ যুগের শেষে বাস করত ভারতে, ২৫,০০০ বছরের পুরনো হাতির জীবাশ্ম আবিষ্কার মহারাষ্ট্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া হাতির জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গেল মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। মহারাষ্ট্রে এই ধরনের আবিষ্কার প্রথম করেছেন এক গবেষক। সে রাজ্যের চন্দ্রপুরে গবেষক অধ্যাপক সুরেশ চপান মহারাষ্ট্রে বিলুপ্ত স্টেগোডন গণেশের বিরল জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন। যা একটি প্রাচীন হাতির প্রজাতি। একে আধুনিক কালের এশিয়াটিক হাতির পূর্বপুরুষ বলা হয়। অধ্যাপক চোপান জানিয়েছেন, জীবাশ্মগুলি ২৫,০০০ বছরের পুরনো এবং তা প্লাইস্টোসিন যুগের শেষের দিকে ছিল পৃথিবীতে। এই জীবাশ্মগুলি ওয়ার্ধা এবং পাইনগঙ্গা নদীর সঙ্গমস্থলে পাওয়া গিয়েছে (Fossils Of Extinct Elephant)।

    ৯ বছর ধরে চলেছে গবেষণা

    জানা যাচ্ছে, এই কাজে গবেষকরা (Maharashtra) নয় বছর ধরে একটানা গবেষণা চালিয়েছিলেন। এই জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করার পর, ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির প্রাক্তন অধ্যাপক এবং গবেষক অবিনাশ নন্দ সহ অন্যান্য বিদেশী গবেষকরাও জানিয়েছেন যে জীবাশ্মগুলি বিলুপ্ত স্টেগোডন হাতির। অধ্যাপক সুরেশ চপান এবিষয়ে বলছেন, ‘‘ বিলুপ্ত হাতিদের এশীয় হাতির পূর্বপুরুষ বলা হয়। এই স্থানে বিলুপ্ত হাতির মতো মাথা এলিফাস নামাডিকাসের আবিষ্কার করা গিয়েছে। এই প্রজাতির হাতি ২ লক্ষ থেকে ১১,৭০০ বছর আগে প্লাইস্টোসিন যুগে ভারতে বাস করত। বরফ যুগের একেবারে শেষের দিকে। যখন এই বরফ যুগ শেষ হয়, তখন ভারতে বিশাল বন্যা হয়। এই বন্যায় অনেক প্রজাতি ভেসে যায়।’’

    জীবাশ্মের হাতিটি ছিল ১৫ ফুট লম্বা (Fossils Of Extinct Elephant)

    সুরেশ জানিয়েছেন, যে জীবাশ্ম মিলেছে ওই হাতিটি ১৫ ফুট লম্বা ছিল এবং এর জীবাশ্মগুলি প্রথমবারের মতো মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) পাওয়া গিয়েছে। গবেষক জানিয়েছেন, এই জীবাশ্ম আবিষ্কারের পর তিনি কলকাতায় জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সদর দফতরে এই বিষয়ে অবহিত করেন। গবেষক জানিয়েছেন, নয় বছর আগে, তিনি ওয়ার্ধা নদী থেকে আনা বালিতে জীবাশ্ম প্রথম খুঁজে পেয়েছিলেন। এই জীবাশ্মগুলি খুবই ছোট এবং ভঙ্গুর ছিল।এরপর তিনি নদীর তলদেশে আরও জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। ২০২০ সালে, চন্দ্রপুর তালুকে ওয়ার্ধা এবং পাইনগঙ্গা নদীর সঙ্গমস্থলে তিনি জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছিলেন।

  • MK Stalin: ডিএমকে জোটে আসছে না পিএমকে, জানালেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন

    MK Stalin: ডিএমকে জোটে আসছে না পিএমকে, জানালেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu)। কোন দল কোন জোটে থাকবে, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যের সফর করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি ফের একবার বিজেপি ও এআইএডিএমকে জোটের কথা ঘোষণা করেন এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে। এই সময়ই জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে তামিলনাড়ুর অন্যতম ছোট রাজনৈতিক দল পিএমকে তারা শাসক দল ডিএমকে জোটে যোগ দিতে চলেছে। কিন্তু তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে একথা অস্বীকার করেছেন। স্ট্যালিন (MK Stalin) এই ঘটনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

    তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) জোট রাজনীতি নিয়ে চলছে চর্চা

    প্রসঙ্গত, এআইএডিএমকে ও বিজেপির জোট চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহলে ফের একবার ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেই সাংবাদিক বৈঠকেই ঘোষণা করেন এই জোটের গৌরবময় অধ্যায় নিয়ে। তখন তাঁকে বলতে শোনা যায়, একসময় এই জোটই তামিলনাড়ুতে ৩৯টির মধ্যে ত্রিশটি লোকসভার আসনে জয়ী হয়েছিল। অন্যদিকে ডিএমকে জোটসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস-ভিসিকে এবং অন্যান্য বামপন্থী দলগুলি। এই অবস্থায় জল্পনা ছড়ায় যে তামিলনাড়ুর দল পিএমকে, ডিএমকে জোটে যোগ দিতে আগ্রহী হয়েছে। কিন্তু এমন দাবি নস্যাৎ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (MK Stalin)।

    উত্তর তামিলনাড়ুতে ভালোই ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে পিএমকে দলের

    বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, উত্তর তামিলনাড়ুতে পিএমকে-র বেশ ভালোই ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। অন্যদিকে, ডিএমকে দলের জোট সঙ্গী ভিসিকে দলের সে রাজ্যের তপশিলি জাতিদের মধ্যে ভালো প্রভাব রয়েছে। এবার পিএমকে, ডিএমকে সঙ্গে জোটে এলে ভিসিকে জোট ছেড়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিককে সাক্ষাৎকার দেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (MK Stalin)। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় পিএমকে-র সঙ্গে ডিএমকে জোট নিয়ে। তারই জবাবে স্ট্যালিন জানান, সাংবাদিক যে ধরনের প্রশ্ন করছেন সেটি একটি গুজব। তাঁদের এধরনের জোটের কোনও ইচ্ছা নেই।

  • Benjamin Netanyahu: ‘‘আমাদের কোনও বিকল্প নেই, গাজায় হামলা হবে আরও তীব্র’’, ঘোষণা নেতানিয়াহুর

    Benjamin Netanyahu: ‘‘আমাদের কোনও বিকল্প নেই, গাজায় হামলা হবে আরও তীব্র’’, ঘোষণা নেতানিয়াহুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) গাজায় অভিযানকে আরও তীব্র করার কথা ঘোষণা করেছেন। শনিবারই তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে গাজাতে ইজরায়েলের লড়াই জারি থাকবে। প্রসঙ্গত শনিবার রাতেই এক ভিডিও বার্তা জারি করা হয়। সেখানেই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের কাছে অন্য কোনও বিকল্প নেই। শুধু আমাদেরকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতেই হবে। আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। যতক্ষণ না আমরা জিতছি ততক্ষণ।’’

    হামাসের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ নয় (Benjamin Netanyahu)

    এর পাশাপাশি নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি এখন হামাসের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ করি, তাহলে আমাদের সেনাবাহিনী যে সমস্ত সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন যুদ্ধক্ষেত্রে, সেটাকে অসম্মান জানানো হবে। অসম্মান জানানো হবে আমাদের সেই সমস্ত বীরদের প্রতিও, যাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে আহত হয়েছেন এবং তাদের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছেন।’’

    হামাসের শীর্ষনেতাদের হত্যা না করলে এ যুদ্ধ অনেকখানি কঠিন হয়ে যেত

    ইজরায়েরেল প্রধানমন্ত্রী (Benjamin Netanyahu) আরও জানান, রাফাহ দখল, ফিলাডেলফিয়া করিডোরের নিয়ন্ত্রণ ও হামাসের শীর্ষনেতাদের হত্যা না করলে এ যুদ্ধ অনেকখানি কঠিন হয়ে যেত। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার,সম্প্রতি ইজরায়েল মধস্থতাকারীদের মাধ্যমে গাজায় (Gaza) যুদ্ধবিরতির নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে হামাস। জঙ্গি গোষ্ঠী জানায়, তারা অবিলম্বে এমন একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত, যেখানে যুদ্ধের অবসান হবে।

    ইজরায়েলের হামলায় ৫২ জন নিহত, দাবি  সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার

    এদিকে গত শনিবার দিনভর ইজরায়েলের হামলায় গাজা উপত্যকায় আরও ৫২ জন প্যালেস্তাইনের নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার খান ইউনিসের মাওয়াসির এক উদ্বাস্তু ক্যাম্পে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েলের সেনারা।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর রকেট হামলা চালায় হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। সেই শুরু। প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে যুদ্ধ।

  • Bagha Nacha: ওড়িশায় দেবী বুধি ঠাকুরানিকে সন্তুষ্ট করতে বাঘের পোশাক পরে নাচ করেন শিল্পীরা

    Bagha Nacha: ওড়িশায় দেবী বুধি ঠাকুরানিকে সন্তুষ্ট করতে বাঘের পোশাক পরে নাচ করেন শিল্পীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার (Odisha) গঞ্জামের ঐতিহাসিক লোকনৃত্য় হল বাঘা-নাচ বা বাঘ নৃত্য (Bagha Nacha)। এই উৎসবে নৃত্যশিল্পীদের বাঘের পোশাক পরে নাচতে দেখা যায়। তাঁরা দেবীকে বুধি ঠাকুরানিকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন এভাবেই। এরসঙ্গে শুরু হয় ঠাকুরানি যাত্রা। ভক্তদের বিশ্বাস, এতে দেবী সন্তুষ্ট হন।

    বাঘা নাচ (Bagha Nacha) সম্পর্কে কী বলছেন জনৈক নৃত্যশিল্পী?

    বাঘা নাচ (Bagha Nacha) সম্পর্কে বলতে গিয়ে একজন শিল্পী রাজকুমার বেহারা বলেন, ‘‘এখানে নাচটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেমন পরিবেশন হল সেই নাচটা, সেটাও খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসলে এই নৃত্যের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে আধ্যাত্মিকতার এবং দেবত্ব লাভের। দেবীকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এই বাঘা নাচ (Bagha Nacha) অনুষ্ঠিত হয়। এটি এক ধরনের ব্রত বলা যেতে পারে। ভক্তরা যাঁরা এই নৃত্যশিল্পীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং বাঘা নাচে অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা এই ব্রত পালন করেন। তাঁদেরকে উপবাস পালন করতে হয়। এই সময়কালে ব্রহ্মচর্য বজায় রাখতে হয়। এর পাশাপাশি মানসিকভাবে শান্ত থাকতে হয়। তাঁরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকেন এবং পবিত্র পোশাক পরেন। গোটা গায়ে তাঁরা পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে হলুদ এবং চন্দনের গুঁড়ো লাগান। একইসঙ্গে বাঘের মতো ডোরাকাটা দাগ দিয়েও তাঁরা শরীরে নকশা করেন।’’

    সারা রাত ধরে চলে বাঘা নাচ (Bagha Nacha)

    জানা যায়, এভাবে সেজে উঠতে প্রত্যেক ব্যক্তির পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা সময় লাগে। ব্যবহৃত রঙ গুলিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে নানা রকমের পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়। যাতে তা খুব সহজে গা থেকে উঠে না যায়। নৃত্যশিল্পী বেহেরা আরও বলেন,‘‘এই রঙ গুলি তৈরি করতেও আমাদের দু মাসের বেশি সময় লাগে। সারা শরীর এইভাবেই আমরা চিত্রকর্ম করি। দেবী বুধি ঠাকুরানীকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই শিল্পীরা বাঘের মুখোশ পরেন।’’ তবে, নৃত্যশিল্পীরা যে ধরনের পোশাক ব্যবহার করেন, তার দাম কিন্তু খুব একটা কম নয়। ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে এই পোশাক তাঁরা কেনেন। নিজেরাই কেনেন। দেবী বুধি ঠাকুরানির প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভক্তি অর্পণ করতেই তাঁরা এই কাজ করেন। এই পোশাক প্রস্তুত হয়ে গেলে নৃত্যশিল্পীরা এক একটি স্থানে যান। সেখানে অনেক মানুষের জমায়েত হয়। সারা রাত ধরেই তাঁরা নৃত্য পরিবেশন করতে থাকেন। এই সময়ের মধ্যে যে সমস্ত মানুষ বা ভক্তবৃন্দ বাঘা নাচ দেখতে আসেন, তাঁরাই এই শিল্পীদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যান।

  • Shubhanshu Shukla: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে প্রথম কোনও ভারতীয়, ইতিহাস গড়তে চলেছেন শুভাংশু

    Shubhanshu Shukla: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে প্রথম কোনও ভারতীয়, ইতিহাস গড়তে চলেছেন শুভাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪০ বছরের অপেক্ষার অবসান। ভারত আবারও মহাকাশের অন্ধকার গভীরে সোনালী ইতিহাস লেখার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ফের মহাকাশযাত্রা করতে চলেছেন ভারতীয় মহাকাশচারী। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার সহযোগিতায়, ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) আগামী মে মাসে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হবেন। ১৯৮৪ সালে রাকেশ শর্মার পর এবার এই তালিকায় নাম জুড়তে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশুর।

    দেশের সর্বকনিষ্ঠ নভোচর

    ৪০ বছরের শুভাংশুই দেশের মহাকাশ যাত্রার ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ নভশ্চর, যিনি মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। কেন্দ্রের তরফে মহাকাশ ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, আগামী মে মাসে স্পেস এক্সের মহাকাশযানে চড়ে গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু পাড়ি দেবেন মহাশূন্যে। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সহকর্মীরা। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, ‘ভারত পরবর্তী মহাকাশ অভিযানের জন্য তৈরি। চার দশক পর শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পা রাখতে চলেছেন। তাঁর যাত্রা দেশের মহাকাশ গবেষণায় নতুন অধ্যায় রচনা করবে।’

    কে এই শুভাংশু শুক্লা?

    ১৯৮৫ সালের ১০ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখনউতে জন্ম নেন শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। পড়াশোনা করেছেন পুনের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে (এনডিএ)। ২০০৬ সালের জুন মাসে তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার (আইএএফ) ফাইটার উইংয়ে যোগদান করেন। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতিও পান। ২০০০ ঘণ্টারও বেশি বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শুক্লা নানা ধরনের বিমান উড়িয়েছেন। ২০১৯ সালে, ইসরো শুক্লাকে মহাকাশচারী প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন করে। মস্কোর স্টার সিটিতে অবস্থিত ইউরি গ্যাগারিন কসমোনট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, তাঁকে ২০২৬ সালের জন্য পরিকল্পিত ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযান কর্মসূচি, ইসরো’র গগনযান মিশনের জন্য প্রধান মহাকাশচারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

    ড্রাগন ক্যাপসুলে মহাকাশে পাড়ি

    সব ঠিক থাকলে মে মাসে আমেরিকার ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেক স্পেস এক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে মহাকাশে পাড়ি দেবেন শুভাংশু-সহ ৪ জন। মহাকাশযানের পাইলট হিসেবে শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তার প্রস্তুতি ভালোভাবেই সেরেছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, গগনযান প্রকল্পে অংশ নিতে গত ৮ মাস ধরে নাসা এবং বেসরকারি সংস্থা অ্যাক্সিয়ম স্পেসের অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। এর জন্য ভারতের খরচ হয়েছে ৬০ মিলিয়ন ডলার বা ৫১২ কোটি টাকার বেশি। অ্যাক্সিয়ম স্পেস ফোরের এই সফরে নেতৃত্ব দেবেন নাসার প্রাক্তন জনপ্রিয় মহিলা নভশ্চর পেগি হুইটসন। নাসা থেকে অবসরের পর তিনি এখন বেসরকারি সংস্থা অ্যাক্সিয়মের হয়ে কাজ করেন। পেগি ছাড়া শুভাংশুর দুই সহযাত্রী পোল্যান্ডের স্লাউজস উজনানস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবোর কাপু। আইএসএস-এ যাওয়া চারজনের এই দলটি স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে বসবে। এটি স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হবে। এই মিশনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উড়বে।

    ওয়াটার বেয়ার বা জল-ভালুকের কথা

    আগামী মিশনে মহাকাশ গবেষণাকেও অন্য আঙ্গিকে নিয়ে যেতে চলেছে ইসরো। জানা যাচ্ছে, অক্সিয়ম-৪ মিশনে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে ওয়াটার বেয়ার। আণুবিক্ষণিক ওই চারপেয়ে জীব পৃথিবীর প্রায় সব স্থানেই রয়েছে। জানা যাচ্ছে, পৃথিবীর যেকোনও আবহাওয়ার সঙ্গেই ওই ওয়াটার বেয়ার নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে তারা বংশবৃদ্ধিতেও সক্ষম। এবার ১৪ দিনের মিশনে তারা স্পেস স্টেশনে থাকবে। মহাকাশের বিরূপ আবহাওয়ায় তারা কীভাবে লড়াই করছে তা নিয়েই গবেষণা চালাবে ইসরো। ফলে ভবিষ্যতে মহাকাশের বিরূপ তাপমাত্রায় মহাকাশচারীরা কীভাবে বেশিদিন থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে নয়া তথ্য মিলবে।

    গগনযান মিশনের আগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিশন

    শুক্রবার নয়াদিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যাবেন, সেটা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। মহাকাশযানে করে তিনি যে মহাশূন্যে পাড়ি দেবেন, তা বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকার মতো বিষয়ের সঙ্গে ধাতস্থ হয়ে উঠবেন শুভাংশু। যা ভারতের গগনযান মিশনের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

    একগুচ্ছ প্রকল্প ইসরোর

    গগনযান ছাড়াও শুক্রবার নয়াদিল্লির বৈঠকে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মিশনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীদিনে ইসরোর বিভিন্ন মিশনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী মে থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ইসরোর যে বড়-বড় মিশন আছে, তার মধ্যে অন্যতম হল পিএসএলভি-সি৬১ মিশন। যে রকেটের পিঠে চাপিয়ে ইওএস-০৯ স্যাটেলাইট পাঠানো হবে।ইসরোর চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, গগনযান মিশনের দিকে টেস্ট ভেহিকেল-ডি২ মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই মিশনের মাধ্যমে গগনযানের প্রস্তুতি ঝালাই করে নেওয়া হবে। ক্রু মডিউলকে কীভাবে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হবে, সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। আবার জুনে জিএসএলভি-এফ১৬ রকেটের পিঠে চাপিয়ে নিসার স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। জুলইয়ে আবার এলভিএম৩-এম৫ মিশন আছে।

  • Daily Horoscope 20 April 2025: বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 20 April 2025: বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি ও বিপুল অর্থপ্রাপ্তির যোগ।

    ২) গুরুজনের শরীর নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) দাম্পত্য কলহের কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় ফল নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) বাড়িতে অশান্তির সম্ভাবনা ও সেই কারণে আপনার মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদন্নোতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Murshidabad Unrest: ‘‘হিন্দু হওয়াটা কী অপরাধ? আমাদের বাঁচান’’, রাজ্যপালের পা ধরে প্রশ্ন জাফরাবাদের মহিলাদের

    Murshidabad Unrest: ‘‘হিন্দু হওয়াটা কী অপরাধ? আমাদের বাঁচান’’, রাজ্যপালের পা ধরে প্রশ্ন জাফরাবাদের মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু হওয়াটাই কী অপরাধ? অশান্ত মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Unrest) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে প্রশ্ন করলেন অসহায় মহিলারা। এদিন জাফরাবাদে নিহত বৃদ্ধ এবং তাঁর ছেলের বাড়িতে গেলেন রাজ্যপাল। বাড়়িতে রাজ্যপাল আসতেই তাঁর পা ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জাফরাবাদের সেই নিহত বৃদ্ধের স্ত্রী। কাঁদতে কাঁদতে তিনি রাজ্যপালকে বললেন, ‘‘আমার সব হারিয়েছে। আমরা ঘুমোতে পারছি না। আপনি দয়া করে কিছু করুন।’’ সব শুনে রাজ্যপাল বোসও সাহায্যের আশ্বাস দিলেন। নিহতের পরিবারকে দিয়ে এলেন ‘শান্তিকক্ষ’ (পিস রুম)-এর নম্বরও।

    শান্তি ফিরিয়ে আনার বার্তা রাজ্যপালের

    এদিন জাফরাবাদে হিংসায় নিহত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়িতে যান রাজ্যপাল। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ স্বজনহারাদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাসও দেন বোস। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা হবে। ফোন নম্বর দেওয়া রইল। প্রয়োজনে আপনারা সরাসরি ফোন করবেন।’’ নিহত বৃদ্ধের স্ত্রী রাজ্যপালকে জানান, তাঁরা খুবই আতঙ্কে রয়েছেন। অশান্তির সময় তাঁদের বাড়িতে লুটপাট চলেছে। তাঁদের দাবি, নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় বিএসএফের স্থায়ী ক্যাম্প বসানো হোক। স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেছেন রাজ্যপাল। সকলের অভিযোগ শোনার পর তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে কিছু অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা যাতে সরাসরি ফোন করতে পারেন, সেই নম্বর দেওয়া হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠাই প্রধান লক্ষ্য। রাজ্য সরকারকে বলব, উপযুক্ত পদক্ষেপ করুন।’’ নিহতের বাড়িতে রাজ্যপাল যাওয়ার আগে সেখানে গিয়েছিলেন মালদার ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র।

    প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    জাফরাবাদের নিহত বৃদ্ধের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যেরাও। সব শুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। ধুলিয়ানের বেতবোনাতেও গিয়েছিলেন মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখানে তাঁদের পা ধরে কান্না ভেঙে পড়েছিলেন স্থানীয় মহিলাদের একাংশ। স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্পের আর্জি জানান তাঁরা। পরে কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘‘দেশবাসী ও কেন্দ্রীয় সরকার আপনাদের পাশে আছে। বিএসএফ আপনাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে।’’ রাজ্যপাল ধুলিয়ানেও গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই স্থানীয়দের একাংশ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের দাবি, পুলিশ রাজ্যপালকে তাঁদের কাছে আসতে দেননি। যার ফলে নিজেদের অভিযোগের কথা রাজ্যপালকে জানাতে পারেননি তাঁরা। শুক্রবারের পর শনিবারও ওয়াকফ আইন নিয়ে ঘটা হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল। তাঁকে সামনে পেয়েই স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Unrest) হিংসায় আক্রান্তরা।

  • JEE Result: প্রকাশিত সর্বভারতীয় জেইই (মেনস) রেজাল্ট, ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়ে দেশের সেরা ২৪-এ বাংলার দুই

    JEE Result: প্রকাশিত সর্বভারতীয় জেইই (মেনস) রেজাল্ট, ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়ে দেশের সেরা ২৪-এ বাংলার দুই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় বাজিমাত বাংলার। জেইই মেইন পরীক্ষায় যে ২৪ জন প্রার্থীর প্রাপ্ত ‘স্কোর’ ১০০-তে ঠেকেছে, তাঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দু’জন পড়ুয়া রয়েছেন। ওই ২৪ জনের মধ্যে আলাদাভাবে আপাতত কোনও র‍্যাঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি। অ্যাপ্লিকেশন নম্বরের ভিত্তিতে পরপর ওই ২৪ জন প্রার্থীর নাম দেওয়া হয়েছে। সর্বভারতীয় জয়েন্টের (JEE Result) আয়োজক ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে অর্চিষ্মান নন্দী এবং দেবদত্তা মাঝির প্রাপ্ত পার্সেন্টাইল হল ১০০।

    মাধ্যমিকের পর জয়েন্টে সেরা দেবদত্তা

    ২০২৩-এর মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিল দেবদত্তা মাঝি। এবার সর্বভারতীয় জয়েন্ট পরীক্ষায় (JEE Result) বাজিমাত করল পূর্ব বর্ধমানের মেয়ে। দুর্গাদাসী চৌধুরী গার্লস হাই স্কুলের পড়ুয়া দেবদত্তা। মাধ্যমিকে ৭০০ নম্বরের পরীক্ষায় তিনি পেয়েছিলেন ৬৯৭ নম্বর। যা শতাংশের নিরিখে ৯৯.৫৭। দেবদত্তার মা তাঁর স্কুলেরই শিক্ষিকা, বাবা আসানসোলের একটি কলেজের অধ্যাপক। বাড়িতে সব সময়েই পড়াশোনার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন তিনি। দেবদত্তা বলেন, ‘‘আমি সারা বছর উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে অতখানি প্রস্তুতি নিইনি। বেশির ভাগ সময়টাই জয়েন্টের পরীক্ষার জন্যই তৈরি করেছি নিজেকে।’’

    দুর্ঘটনাও আটকাতে পারেনি অর্চিষ্মানকে

    দেবদত্তার সঙ্গেই রাজ্যে যুগ্ম ভাবে (WB Toppers in JEE 2025) প্রথম হয়েছে অর্চিষ্মান নন্দী। অথচ তার এই পরীক্ষার প্রস্তুতি প্রায় নষ্ট হয়ে যেতে বসেছিল আচমকা দুর্ঘটনার কারণে। সর্বভারতীয় স্তরে ২৪ জন এনটিএ স্কোর ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়েছে, যাঁদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে অর্চিষ্মান। খড়্গপুরের চাঙ্গুয়াল গ্রামে অর্চিষ্মানের বাড়িতে এখন আনন্দের আবহ। অর্চিষ্মানের বাবা মিঠুন নন্দী জানিয়েছেন, ২৯ জানুয়ারি প্রথম সেশনের পরীক্ষার তিন দিন আগেই দুর্ঘটনা ঘটে ছেলের। সপরিবারে কলকাতা যাওয়ার পথে উলুবেড়িয়া চেক পয়েন্টের কাছে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁদের গাড়ি। পেছন থেকে ডাম্পার এসে ধাক্কা মারলে গুরুতর আহত হয় পিছনের সিটে থাকা অর্চিষ্মান। সেই আতঙ্ক কাটিয়ে চিকিৎসা করিয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য তাঁরা উৎসাহ এবং সাহস যোগাতে থাকেন ছেলেকে। পেরেন্টাল কাউন্সেলিং-ও করান তাঁরা। একটি বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মী হিসাবে বর্তমানে ভুবনেশ্বরে কর্মরত মিঠুন। তিনি বলেন, “এত বড় দুর্ঘটনার পরও জেইই মেনসের প্রথম সেশনে ৯৯.৯৮৭৫৭ পার্সেন্টাইল স্কোর করেছিল অর্চিষ্মান। দ্বিতীয় সেশনের ফলাফলে রাজ্যের সেরা দু’জন কৃতী হিসাবে আমার ছেলে জায়গা করে নিয়েছে, এটাই আমার কাছে গর্বের।” অর্চিষ্মানের মা অনিন্দিতা নন্দী বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের কর্মী। তিনি ছেলের এই সাফল্য উচ্ছ্বসিত। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনা বাংলা মাধ্যমে হলেও পরবর্তীতে সিআইএসসিই এবং সিবিএসই বোর্ডের অধীনে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন অর্চিষ্মান। একাধিক বার স্কুল এবং পড়াশোনার মাধ্যম বদলে গেলেও মেধার জোরে ছেলে নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকেছে।

    সকালেই ফল ঘোষণা

    জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (JEE)-এর ফলাফল প্রকাশ করল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। শনিবার সকালে অফিশিয়াল পোর্টাল jeemain.nta.nic.in-এ সেই ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মোট ২৪ জন পরীক্ষার্থী ফুল মার্কস অর্থাৎ ১০০ তে ১০০ পেয়েছেন। শীর্ষে থাকা ২৪ জন হল মহম্মদ আনাস, আয়ুষ সিংহল, অর্চিষ্মান নন্দী, দেবদত্তা মাজি, আয়ুষ রবি চৌধুরী, লক্ষ্য শর্মা, কুশাগ্র গুপ্ত, হর্ষ এ গুপ্তা, আদিত প্রকাশ ভাগাড়ে, দক্ষ, হর্ষ ঝা, রাজিত গুপ্তা, শ্রেয়স লোহিয়া, সাকশম জিন্দাল, সৌরভ, ভাংগালা অজয় রেড্ডি, সানিধ্য সরফ, বিষাদ জৈন, অর্ণব সিং, শিবেন বিকাশ তোষনিওয়াল, কুশাগ্র বাইনাঘা, সাই মানোগনা গুথিকোন্ডা, ওম প্রকাশ বাহেরা ও বানীব্রত মাজি।

    কীভাবে দেখবেন ফলাফল

    jeemain.nta.nic.in ওয়েবসাইটে লগ ইন করুন।
    JEE Main 2025 paper 2 লিঙ্ক ক্লিক করতে হবে।
    দিতে হবে অ্যাপ্লিকেশন নম্বর ও জন্মতারিখ।
    স্ক্রিনে দেখা যাবে স্কোরকার্ড।
    সেই স্কোরকার্ড ডাউনলোড করে রেখে দিতে পারবেন।

    পশ্চিমবঙ্গের আশপাশের রাজ্যের টপাররা

    রাজ্যভিত্তিক টপারের নিরিখে অসম থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন প্রাঞ্জলকুমার সিং। তাঁর পার্সেন্টাইল হল ৯৯.৯৮৩৭৯৫২। ঝাড়খণ্ড থেকে শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন আরিয়ান মিশ্র। তাঁর পার্সেন্টাইল হল ৯৯.৯৯৯০৯৬৮। ত্রিপুরা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন অর্ঘ্যদীপ দেব। তাঁর পার্সেন্টাইল হল ৯৯.৯৮০৭৫৭৮।

    রাজস্থানের আধিপত্য

    রাজস্থান এবারও তার শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে এবং সর্বোচ্চ ৭ জন টপার দিয়েছে। তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে ৩ জন করে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। ১০০ শতাংশ নম্বর পাওয়াদের মধ্যে দিল্লি, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গের দুইজন করে এবং কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশের একজন করে ছাত্র রয়েছেন। এই বছরের জেইই অ্যাডভান্সডের (JEE Result) প্রস্তুতি নেওয়া পড়ুয়াদের জন্য কাটঅফও প্রকাশ করা হয়েছে। সাধারণ বিভাগের পড়ুয়াদের জন্য কাটঅফ ৯৩.১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ইডব্লুএস-এর জন্য কাটঅফ ৮০.৩৮, ওবিসি-র জন্য ৭৯.৪৩, এসসি-র জন্য ৬১.১৫ এবং এসটি-র জন্য ৪৭.৯০ শতাংশ রাখা হয়েছে।

  • Murshidabad Violence: ‘‘এই ভয়ের মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না’’, মুর্শিদাবাদ হিংসায় আক্রান্তদের কথা শুনে বললেন রাজ্যপাল

    Murshidabad Violence: ‘‘এই ভয়ের মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না’’, মুর্শিদাবাদ হিংসায় আক্রান্তদের কথা শুনে বললেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় (Murshidabad Violence) সপ্তাহব্যাপী উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ানের মতো এলাকায়। দক্ষিণ মালদা লোকসভার অন্তর্গত এবং মুর্শিদাবাদ জেলার ওই এলাকাগুলির পরিস্থিতি বুঝতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা জানতে একই দিনে সেখানে হাজির হয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। শুক্রবার, ওই দিনে মালদায় যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘সমাজের একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায় এখানে আক্রান্ত হয়েছে। এক দল মারবে, আর এক দল আক্রান্ত হবে, এটা কখনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হতে পারে না।’’

    এর মধ্যে বাঁচা যায় না

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Violence) অশান্তিতে ঘরছাড়াদের একাংশকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যেরা। রাজ্যপালের কাছে তাঁরা পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন। শামসেরগঞ্জ এবং ধুলিয়ানে গিয়ে পরিস্থিতি দেখার অনুরোধ করেন। সুকান্তের দাবি, সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েই রাজ্যপাল মালদা-মুর্শিদাবাদ সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাজ্যপাল বোসকে সামনে পেয়েই নিজেদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা শোনান ধুলিয়ানের মহিলারা। রাজ্যপালের দাবি, মহিলারা তাঁকে জানান যে, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। শুধু তাই নয়, তাঁদের লাঞ্ছিত ও নির্যাতনও করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘এই ক্যাম্পে বসবাসকারী পরিবারগুলোর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আমি তাঁদের সমস্যার কথা বিস্তারিতভাবে শুনেছি এবং তাঁদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করেছি। মহিলারা জানান যে দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করে, মারধরও করে। তাঁরা কী চায়, সেই বিষয়ে আমাকে বলেছেন। এ বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে। এখানে যে অশান্তি হয়েছে, তা কোনও সুস্থ মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি এখানে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেছি, এখানে ভয়ের পরিস্থিতি রয়েছে। এই ভয়ের মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না।’’

    ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে

    মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Violence) ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করে জাতীয় মহিলা কমিশন। এদিন কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর সার্কিট হাউসে আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে আসেন মালদার বৈষ্ণবনগরে। সেখানে একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। পরে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনবিজয়া রাহাতকর বলেন, “তাঁদের সঙ্গে কী হয়েছে, সেসব মহিলারা জানিয়েছেন। মহিলারা যা বললেন, তা কল্পনার বাইরে। যৌন নিপীড়নও হয়েছে। আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। আরও কথা বলতে হবে। মহিলাদের সঙ্গে কীভাবে এসব হতে পারে।” জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন, “মহিলারা বলছেন, আমরা শুধু সেন্ট্রাল ফোর্স চাই। আমরা সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। মেয়েদের বলেছে, এই বাড়িতে থাকলে ধর্ষণ হয়ে যাবি। চলে যা। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা যা যা করার করব।” অন্যদিকে, আক্রান্ত মহিলারা জানান, তাঁদের সঙ্গে যা হয়েছে, সেসব জানিয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যদের। আজ, শনিবার মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা।

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ

    ওয়াকফ ইস্যুতে অশান্তি (Waqf Bill Protest) শুরু হওয়ার পর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা থেকে প্রচুর মানুষ মালদায় চলে এসেছেন। প্রাণ বাঁচাতে তাঁদের কেউ কেউ খোলা মাঠে থাকতে শুরু করেছিলেন। পরে ঘরছাড়াদের জন্য আশ্রয় শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) প্রতিনিধিরা এসে সেই আশ্রয়স্থলেই যান ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করতে। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা, শোনেন অভাব-অভিযোগ। ওয়াকফের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। সেই ভয়ে অনেকেই ঘর থেকে পালিয়ে যান এবং আশ্রয় নেন পাশের জেলা মালদায়। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বস্তুত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে শুরু হওয়া গোলমালের জেরে গত শুক্রবার বিকেল থেকে নৌকায় গঙ্গা পেরিয়ে ধুলিয়ানের বেতবোনা, বাজারপাড়া ও হাতিচিত্রা এলাকার কমপক্ষে ৪০০ জন আশ্রয় নেন পারলালপুর হাই স্কুলে। এলাকায় শান্তি ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিএসএফ।

LinkedIn
Share