Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Durga Puja 2025: নবদুর্গার পঞ্চম রূপ, মহাপঞ্চমীতে পূজিতা হন দেবী স্কন্দমাতা, জানুন মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2025: নবদুর্গার পঞ্চম রূপ, মহাপঞ্চমীতে পূজিতা হন দেবী স্কন্দমাতা, জানুন মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের (Durga Puja 2025) সূচনা হয়। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্ল প্রতিপদ তিথি থেকে শুরু হয় নবরাত্রি (Navaratri 2025)। যা চলে দুর্গা নবমী পর্যন্ত। এই নবরাত্রিতে দেবী দুর্গা নয়টি ভিন্ন রূপে পূজিতা হন। নবদুর্গার (Nabadurga) এই নয়টি রূপ হল— দেবী শৈলপুত্রী, দেবী ব্রহ্মচারিণী, দেবী চন্দ্রঘণ্টা, দেবী কুষ্মাণ্ডা, দেবী স্কন্দমাতা (Devi Skandamata), দেবী কাত্যায়নী, দেবী কালরাত্রি, দেবী মহাগৌরী এবং দেবী সিদ্ধিদাত্রী।

    পুরাণ অনুযায়ী, দেবাদিদেব মহাদেবের পুত্র হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক। তাঁর অপর নাম স্কন্দ। স্কন্দমাতা (Devi Skandamata) মানে হল কার্তিকের মাতা। দেবী পার্বতীর এই রূপেরই পুজো করা হয় নবরাত্রির পঞ্চমীর দিন। কার্তিকের জন্মবৃত্তান্ত এবং মাতা পার্বতীর স্কন্দমাতা হয়ে ওঠার কাহিনি জানতে হলে অপর একটি পৌরাণিক কাহিনি শুনতে হবে (Durga Puja 2025)।

    অসুর-দেবতা যুদ্ধ

    পুরাকালে বজ্রাঙ্গ নামে এক অসুর রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন দিতির পুত্র। দেবতাদের রাজা ইন্দ্রকে বজ্রাঙ্গ সিংহাসনচ্যুত করে বন্দি করেন। দেবতাদের প্রতি বজ্রাঙ্গের এই রোষ আসলে ছিল তাঁর প্রতিশোধ। কারণ ইতিপূর্বে দিতির অসংখ্য পুত্রকে মানে বজ্রাঙ্গের নিজ ভাইদের দেবতারা হত্যা করেছিলেন। বজ্রাঙ্গের হাতে বন্দি ইন্দ্রকে মুক্ত করতে আসেন ব্রহ্মা এবং কাশ্যপ মুনি। কাশ্যপ মুনি ছিলেন বজ্রাঙ্গের পিতা, অর্থাৎ দিতির স্বামী। ব্রহ্মা এবং কাশ্যপ মুনির অনুরোধে বজ্রাঙ্গ তখনকার মতো ইন্দ্রকে (Durga Puja 2025) মুক্ত করেন।

    দৈত্য হয়েও এমন দয়ার ভাব বজ্রাঙ্গের মধ্যে দেখতে পেয়ে ব্রহ্মা তাঁকে বরদান করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন। বজ্রাঙ্গ তখন তপস্বী হওয়ার বর প্রার্থনা করলেন এবং বাকি জীবন যেন তিনি ধর্মপথে চলতে পারেন, সেই আশীর্বাদ ব্রহ্মার কাছে চাইলেন। ব্রহ্মা তাঁর মানসকন্যা বরাঙ্গীর সঙ্গে বজ্রাঙ্গের বিবাহ দিলেন। বজ্রাঙ্গ এবং বরাঙ্গী বনের মধ্যে কুটির বানিয়ে ধর্মকর্ম করতে লাগলেন। বজ্রাঙ্গ তপস্যায় রত থাকতেন এবং বরাঙ্গী গৃহস্থের কর্ম সম্পাদন করতেন।

    বরাঙ্গীর গর্ভে জন্ম হল তারকাসুরের

    একদিন দেবরাজ ইন্দ্র ওই কুটিরের পাশ দিয়ে যেতে যেতে বরাঙ্গীকে দেখতে পেয়ে পুরনো অপমানের বদলা নিতে চাইলেন। কখনও বানর সেজে, কখনও ভেড়া বা কখনও সাপ হয়ে কুটির লন্ডভন্ড করতে লাগলেন। ক্রন্দনরত অবস্থায় বরাঙ্গী তাঁর স্বামী বজ্রাঙ্গকে এসব বিষয়ে বললে, বজ্রাঙ্গ ব্রহ্মাকে স্মরণ করলেন। ব্রহ্মা প্রকট হয়ে বর দিতে চাইলে বজ্রাঙ্গ বললেন, “আমাকে এমন পুত্র দিন, যে দেবতাদের উপর অত্যাচার করতে সমর্থ হবে।” ব্রহ্মা বজ্রাঙ্গের মনমতো বরদান করলেন। বরাঙ্গীর গর্ভে জন্ম হল তারক নামের অসুরের‌।

    পরবর্তীতে তারকাসুরের উপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে, “একমাত্র শিবের বালকপুত্র ছাড়া, কারও হাতে তিনি হত হবেন না।” ব্রহ্মার বরদানে অজেয়, অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন তারকাসুর। কারণ তিনি জানতেন শিব কখনও বিবাহ করবেন না এবং ত্রিভুবনে ব্রহ্মার বরদানে তাঁকে হত্যা করতে পারে, এমন ক্ষমতা কোনও দেবতা, মানুষ বা জীবজন্তুর নেই। তারকাসুর দেবলোক নিজের দখলে আনেন। দেবরাজ ইন্দ্র সিংহাসনচ্যুত হলেন। বিতাড়িত দেবতারা বুঝতে পারলেন শিবের বিয়ে দিতে পারলে তবে তাঁর পুত্রই তারকাসুরকে বধ করতে পারবেন।

    শিব-পার্বতীর বিবাহ ও স্কন্দের জন্ম

    আয়োজন শুরু হল শিব-পার্বতীর বিবাহের। সেখানেও তারকাসুরের আক্রমণ হল। পার্বতী দেবী (Durga Puja 2025), মাতা চন্দ্রঘণ্টার রূপধারণ করে অসুরদের বিতাড়িত করলেন। এরপর সুসম্পন্ন হল শিব-পার্বতীর বিবাহ। জন্ম হল কার্তিকের। মাতা পার্বতী তখন হলেন স্কন্দমাতা (Devi Skandamata) অর্থাৎ কার্তিক জননী। দৈববাণী পেয়ে দেবরাজ ইন্দ্র কার্তিককে সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। এক প্রবল যুদ্ধে কার্তিকের হাতে তারকাসুর হত হলেন। দেবতারা তাঁদের হৃত স্বর্গরাজ্য পুনরায় নিজেদের দখলে আনলেন। এমনটাই লেখা রয়েছে “স্কন্দ পুরাণে”।

    স্কন্দমাতার বিবরণ

    স্কন্দমাতার অপর নাম কার্তিকেয়। ত্রিনয়নী মাতার (Durga Puja 2025) কোলে তাঁর শিশুপুত্রকে দেখতে পাই আমরা। এই শিশুপুত্রই হলেন স্কন্দ বা কার্তিক। স্কন্দমাতা স্নেহ, মায়া, সন্তান বাৎসল্য-এর প্রতীক। মাতার ভক্তরা মনে করেন দেবীর পুজো করলে সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়, জীবনের সকল বাধাবিঘ্ন দূর হয়, অশুভ শক্তি বিনষ্ট হয়, সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে জীবন। দেবী পদ্মাসনা। তাঁর বাহন সিংহ। তাঁর দুই হাতে দুটি পদ্ম। একহাতে কার্তিককে ধরে থাকেন। অপর হাত বর-মুদ্রার ভঙ্গিতে থাকে। যার দ্বারা ভক্তদের উদ্দেশে সর্বদাই আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। স্কন্দমাতার পুজো করলে শত্রু বিনাশ হয়, শক্তি বৃদ্ধি হয়, এমনটাই মনে করেন ভক্তরা। স্কন্দমাতার পুজোতে সাদা রঙের পোশাক পরলে মাতা প্রসন্ন হন, এমনটাই প্রচলিত ধারণা রয়েছে। দেবীর আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা নৈবেদ্যতে কলা বা কদলী ভোগ দেন।

  • Daily Horoscope 27 September 2025: সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে সামাজিক কাজ করতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 27 September 2025: সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে সামাজিক কাজ করতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মেষ রাশির মানুষদের আজকের দিনটি ভালো যাবে।

    ২) সঙ্কোচ ছাড়াই কাজে সাফল্য আসবে।

    ৩) অতীতের সিদ্ধান্ত ভুল হবে, পুরাতন বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে হবে।

    বৃষ

    ১) কর্ম ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা লাভ এনে দেবে।

    ২) পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

    ৩) আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে।

    মিথুন

    ১) কাউর সঙ্গে অংশীদারী হলে সাফল্য আসবে।

    ২) বাড়ির এবং পরিবারের দায়িত্ব পালনে সাফল্য আসবে।

    ৩) প্রতারকদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

    কর্কট

    ১) ঝুঁকির কাজ করবেন না, ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবেন।

    ২) সমস্যা আসবে, তবে চেষ্টা করলে মুক্তি পাবেন।

    ৩) পরিবারের সদস্যদেরর কেরিয়ার সংক্রান্ত ভাবনা বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

    সিংহ

    ১)  জরুরি কাজ করার সময়, বেশি শ্রম দিয়ে করতে হবে।

    ২) সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে সামাজিক কাজ করতে পারেন।

    ৩) অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে এবং লেনদেনে সতর্ক না হলে কাজ করতে পারবেন না।

    কন্যা

    ১) উৎসাহ নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন, ফল ভালো হবে।

    ২) কেরিয়ারে সমস্যা থাকলে উন্নতি হবে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

    তুলা

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে।

    ২) আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

    ৩) অন্যের কাজে সাহায্য বেশি করতে হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) পরিবারের সদস্যদের জন্য সুখবর আসতে পারে।

    ২) পারিবারিক বিবাদ কমে যাবে।

    ৩) জীবন সঙ্গিনীর সহযোগিতা লাভ হতে পারে।

    ধনু

    ১) মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সন্তানের পড়াশুনায় সমস্যা দূর হবে।

    ৩) দানে পুণ্য সঞ্চয় হবে।

    মকর

    ১) পরিবারের প্রতি সকল দায়িত্ব পালন করতে হবে।

    ২) প্রতিশ্রুতি পালন করা খুব কঠিন হবে।

    ৩) দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা লাভজনক হবে।

    কুম্ভ

    ১) ব্যয়ের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি হবে।

    ২) কাজে সাফল্য আসবে বেশি।

    ৩) আইন মামলায় ধৈর্য রাখবে।

    মীন

    ১) ব্যবসায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    ২) বরিষ্ঠ সদস্যদের কাছে বিশ্বাস অর্জনে সফল হবেন।

    ৩) আইন মামলায় কিছুটা স্বস্তি পাবেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Rajnath Singh: ছয় দশকের সাহস, ত্যাগ আর গৌরবের কাহিনি! ভারতীয় বায়ুসেনা থেকে অবসর নিল মিগ-২১

    Rajnath Singh: ছয় দশকের সাহস, ত্যাগ আর গৌরবের কাহিনি! ভারতীয় বায়ুসেনা থেকে অবসর নিল মিগ-২১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্রেফ দেশের শক্তি নয়, মিগ ছিল ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে গভীরতার প্রমাণ। ভারতীয় বায়ুসেনার কিংবদন্তি যুদ্ধবিমান মিগ-২১-এর অবসরে ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। শুক্রবার চণ্ডীগড় বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে এক আবেগঘন অনুষ্ঠানে অবসর নিল ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মিগ-২১। আর মিগ-২১-এর বিদায়ের মুহূর্তে আবেগঘন ও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তিনি বলেন, “মিগ-২১ শুধু একটি বিমান নয়, এটি এক শক্তিশালী যন্ত্র, জাতীয় গর্ব এবং প্রতিরক্ষা ঢাল, যা দেশের আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলেছে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে।”

    ইতিহাসের সাক্ষী মিগ-২১

    রাজনাথ সিং স্মরণ করিয়ে দেন, মিগ-২১ (Mig 21) দীর্ঘ সময় ধরে বহু বীরত্বগাথার সাক্ষী হয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, কার্গিল সংঘাত, বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক কিংবা অপারেশন সিন্ধুর মতো ঐতিহাসিক অভিযানে এই বিমান ভারতের তিরঙ্গার মান বাড়িয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ভাষায়, “প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে মিগ-২১ ভারতের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। তাই এই বিদায় কেবল একটি বিমানের নয়, বরং আমাদের জাতীয় গৌরব, স্মৃতি ও সাহসের যাত্রার বিদায়।” ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে ৯০০টি মিগ-২১ ছিল। যার মধ্যে ৬৬০টি ভারতে নির্মিত। দশকের পর দশক ধরে এই যুদ্ধবিমানগুলিই দেশরক্ষার কাজ করেছে। বিভিন্ন সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে মোট ৮৭৪টি মিগ-২১ কিনেছে ভারত। জমজমাট এয়ার শো’র আয়োজন করা হয় যুদ্ধবিমানকে বিদায় জানাতে। বায়ুসেনা আধিকারিক ছাড়াও মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা হাজির ছিলেন বিদায় সংবর্ধনায়।

    গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    মিগকে বিদায় জানানোর দিনে পুরনো স্মৃতি ফিরে দেখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, “যখনই আমরা কোনও ঐতিহাসিক মিশনে গিয়েছি, তখনই তেরঙ্গার গৌরব আরও বাড়িয়ে তুলেছে মিগ। দীর্ঘ ৬ দশকেরও বেশি সময় ধরে মিগের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল সাহস, ত্যাগ এবং দেশের গর্ব। একটা যুদ্ধ বা একটা অপারেশন নয়, দীর্ঘদিন ধরে মিগ ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছে। কেবল একটা মেশিন বা একটা যুদ্ধবিমান নয়, আসলে ভারত এবং রাশিয়ার গভীর বন্ধুত্বের প্রমাণ ছিল এই মিগ।” সাম্প্রতিক অতীতে আমেরিকার চোখরাঙানি উপেক্ষা করে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অনেকটাই বাড়িয়েছে ভারত। সেই প্রেক্ষিতে রাজনাথের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    জীবনের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে মিগ

    আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাওয়া প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা স্মৃতিচারণায় বলেন, তাঁর জীবনের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে মিগ। ২০০৭ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে এই যুদ্ধবিমান চালিয়েছেন তিনি। শুভাংশু বলেন, “আমার জীবনের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে মিগ-২১। মিগ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। প্রথমে, আমি মিগ-২১-এর ক্যালিবার চালিয়েছি। তারপরে চালিয়েছি মিগ-২১ বাইসন। আমি বিভিন্ন স্কোয়াড্রনে কাজ করেছি। মিগ চালানোর অভিজ্ঞতা অসাধারণ।” শুক্লা আরও বলেন, “আমার জীবনের একটা বড় অংশ আমি এই বিমানের সঙ্গে কাটিয়েছি। মিগ অবসর নেওয়ার আগে শেষবার আমি এই বিমান চালাতে চেয়েছিলাম। যদিও সময়ের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমি এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে খুশি।”

    ভারতীয় বায়ুসেনার প্রথম সুপারসনিক যুদ্ধবিমান

    মিগ-২১ ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার প্রথম সুপারসনিক যুদ্ধবিমান। ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে এর আগমন ভারতীয় বায়ুসেনাকে একেবারে নতুন যুগে প্রবেশ করায়। শুক্রবারের অনুষ্ঠানে রাশিয়ান উৎসের এই যুদ্ধ বিমানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়। শেষবারের মতো আকাশে ওড়ে ২৩ নম্বর স্কোয়াড্রন “প্যান্থারস” এর অন্তর্গত মিগ-২১। অনুষ্ঠানকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছিল ভারতীয় বায়ুসেনার নানা প্রদর্শনী। আকাশগঙ্গা প্যারাশুট টিম ৮,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে লাফিয়ে পড়ে শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য উপহার দেয়। তিন বিমানের বাদল ও চার বিমানের প্যান্থার ফরমেশন ফ্লাইপাস্ট দর্শকদের মুগ্ধ করে। সুর্যকিরণ অ্যারোবেটিক টিম তাদের শ্বাসরুদ্ধকর কসরত দিয়ে অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলে, আর এয়ার ওয়ারিয়র ড্রিল টিম নিখুঁত শৃঙ্খলায় প্রদর্শনী করে। শেষে আকাশে দেওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত যোদ্ধাকে সম্মানসূচক স্যালুট।

  • Surya Kumar Yadav: ‘রাজনৈতিক মন্তব্য করবেন না’, সূর্যকুমারকে বলল আইসিসি, কী হবে ফারহান-রউফের?

    Surya Kumar Yadav: ‘রাজনৈতিক মন্তব্য করবেন না’, সূর্যকুমারকে বলল আইসিসি, কী হবে ফারহান-রউফের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিসির শুনানিতে হাজির ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (Surya Kumar Yadav)। রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুবাইতেই এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আইসিসি ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন সেই শুনানির দায়িত্বে ছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্যকুমার যাদবকে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলেন রিচি রিচার্ডসন। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারত অধিনায়ক জানান, এই জয় পহেলগাঁওয়ে নিহতদের উৎসর্গ করছেন। সেই সঙ্গে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বের প্রশংসা করেন। কিন্তু এহেন মন্তব্য করা থেকে সূর্যকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আইসিসি।

    সূর্যকে সতর্ক থাকতে বলল আইসিসি

    পহেলগাঁও হামলার প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে সূর্য বলেছিলেন, “আমরা পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাঁদের জন্য আমাদের সমবেদনা রইল। আর আমাদের আজকের জয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করতে চাই। তারা এভাবেই আমাদের অনুপ্রাণিত করুক।” এই মন্তব্যেই রাজনীতির গন্ধ পেয়ে আইসিসির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিল পিসিবি। সূত্রের খবর, পাক ক্রিকেট বোর্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার শুনানি ধার্য করেছিল আইসিসি। ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের সামনে হাজিরা দেন ভারত অধিনায়ক। সেখানে পিসিবির আনা কোনও অভিযোগ স্বীকার করেননি সূর্য। তারপর আপাতত ভারত অধিনায়ককে সতর্ক করা হয়েছে, তিনি যেন রাজনৈতিক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। তবে, ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলার দায়ে সূর্যকুমারের থেকে জরিমানা বাবদ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হতে পারে। অথবা কেবলমাত্র ওয়ার্নিং দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হবে ভারতীয় অধিনায়ককে। আনুষ্ঠানিক রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে ক্রিকেটমহল।

    রউফ আর ফারহান-এর হাজিরা শুক্রবার

    বাইশ গজে ভারত-পাকিস্তান বৈরিতা পৌঁছে গিয়েছে অন্য স্তরে। নিছক খেলার দ্বৈরথ পেরিয়ে দু’দেশের ক্রিকেট প্রশাসকরা একে অপরের বিরুদ্ধে নালিশ জানাচ্ছে। দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার শাহিবজাদা ফারহান এবং হ্যারিস রউফের আচরণের বিরুদ্ধে আইসিসি-র কাছে কড়া অভিযোগ দায়ের করে ভারতীয় বোর্ড। শাহিবজাদা ফারহান এবং হ্যারিস রউফের শুনানি শুক্রবার। যা হবে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের সামনে। তারপর তাঁদের ভাগ্য জানা যাবে। আসলে সুপার ফোরের ম্যাচে ‘গান সেলিব্রেশন’ করা শাহিবজাদা ফারহান এবং হাতের মুদ্রায় ‘জেট ক্র্যাশ’ -এর ইঙ্গিত করে মহাবিতর্কে জড়িয়েছেন হ্যারিস রউফ। যা এশিয়া কাপ ফাইনালের আগে চিন্তায় রাখবে পাকিস্তানকে।

  • Amit Shah: ‘মায়ের কাছে প্রার্থনা যেন সোনার বাংলা গড়তে পারি’, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধন অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘মায়ের কাছে প্রার্থনা যেন সোনার বাংলা গড়তে পারি’, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধন অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী দুর্গার কাছে সোনার বাংলা গড়ার প্রার্থনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। চতুর্থীর সকালে কলকাতায় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) পুজো উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর কথায় উঠে এল, রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর এমনকী বাংলা ভাষার প্রসঙ্গও। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো বরাবরই উদ্বোধন করে থাকেন অমিত শাহ। অমিত ছাড়াও এ দিন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, আর তাপস রায়। এই বছর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’।

    নির্বাচনের সুরও বেঁধে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজো উদ্বোধন করে বঙ্গে নির্বাচনের সুরও বেঁধে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি বেলা ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ এই পুজো মণ্ডপে পৌঁছন। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে সন্ত্রাস দমনে ভারতীয় সেনা যে অভিযান চালিয়েছিল, তার ঝলক দেখা যাবে এই পুজো মণ্ডপে। আগামী বছরে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটমুখী বঙ্গে অমিত শাহের পুজো উদ্বোধন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, দাবি করছিল ওয়াকিবহাল মহল। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার থেকে পুজোর শুভেচ্ছা জানানোর পরে শাহের কণ্ঠে শোনা গেল রাজনীতির সুর। তিনি বলেন, ‘মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি, এই নির্বাচনের পর বাংলার এমন সরকার তৈরি হবে যা সোনার বাংলা নির্মাণ করতে পারবে। আমাদের বাংলা আবার সুরক্ষিত, সুজলা, সুফলা, শান্ত হবে।’

    বাংলা অস্মিতাতেও শান

    এদিন বাংলা অস্মিতাতেও শান দেন অমত। এদিন সকালে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সেরেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মণ্ডপে পৌঁছে যান শাহ। জয় শ্রী রাম, ভারত মাতা কি জয়ের স্লোগানে সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়। গোটা মণ্ডপ ঘুরে দেখার পাশাপাশি মণ্ডপে মায়ের পুজো এবং আরতিও করেন। পুজোর থিমের অডিও ভিজুয়ালও দেখেন শাহ। এদিন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে বিদ্যাসাগরকেও শ্রদ্ধা জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলার শিক্ষার প্রসারে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। শাহের কথায়, “শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশে শিক্ষার প্রগতি আর নারীশিক্ষার জন্য বিদ্যাসাগর যে অবদান রেখেছেন, তা ভোলার নয়। বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার ব্যকরণ আর নারী শিক্ষার প্রসারে পুরো জীবন সমর্পণ করেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আজ আমি আমার তরফে আর বিজেপির কোটি কোটি কর্মীর তরফে বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধার্ঘ্য।”

    বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতদের প্রতি সমবেদনা

    এই প্রথম নয়, ২০২৩ সালেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে কলকাতায় এসে উত্তর কলকাতার এই মণ্ডপের উদ্বোধন করেছিলেন। সে বার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের থিম ছিল রামমন্দির। চলতি সপ্তাহেই দুদিনের ভারী বৃষ্টিতে শহর কার্যত জলের তলায় চলে গেছিল। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার কথা বলে মৃতদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আশ্বাস দেন, বিজেপির প্রত্যেক নেতা, কর্মী তাদের পাশে রয়েছেন। ভাষণের শেষে বিকশিত ভারতের উল্লেখ করে শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাংলার অগ্রগতি ছাড়া অসম্ভব। তাই তিনি আশা রাখেন, আগামী দিনে বাংলা আরও উন্নতি করবে, উন্নয়নের পথে হাঁটবে এবং বিকশিত ভারতের স্বপ্নও পূরণ হবে।

  • Sonam Wangchuk: লাদাখে অশান্তির আবহ, সোনম ওয়াংচুকের এনজিও-র বিদেশি অনুদানের লাইসেন্স বাতিল

    Sonam Wangchuk: লাদাখে অশান্তির আবহ, সোনম ওয়াংচুকের এনজিও-র বিদেশি অনুদানের লাইসেন্স বাতিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখের অশান্তির (Ladakh violence) মধ্যেই বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র সরকার (Central Government)। রাজ্যের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক বিক্ষোভের একদিন পরই সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুকের (Sonam Wangchuk) এনজিওর বিদেশি অনুদান গ্রহণের অনুমতি বাতিল করল সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট (FCRA) লঙ্ঘনের অভিযোগে ওয়াংচুকের প্রতিষ্ঠানের বিদেশি অনুদান নেওয়ার লাইসেন্স খারিজ করা হয়েছে। অভিযোগ, নিয়ম না মেনে বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছিল সংগঠনটি। গত ১০ সেপ্টেম্বর এনজিওকে চার দফা প্রশ্নসহ শো-কজ নোটিস দিয়েছিল সরকার। তার জবাবকে সন্তোষজনক বলে মনে করা হয়নি। তারপরই কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।

    ওয়াংচুকের সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সূত্র অনুযায়ী, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) গত দুই মাস ধরে সোনম ওয়াংচুকের সংস্থা হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ লার্নিং (HIAL)-এর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রাথমিক অনুসন্ধান (PE) বা নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়নি। সিবিআই সূত্র অনুযায়ী, ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট (FCRA) লঙ্ঘনের অভিযোগে এই তদন্ত করা হচ্ছে। অগাস্ট মাসে, লাদাখ প্রশাসন হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ লার্নিং (HIAL)-কে দেওয়া জমির বরাদ্দ বাতিল করেছিল। জমি বরাদ্দ বাতিল করার সময় লাদাখ প্রশাসন জানায় যে, যে উদ্দেশ্যে জমিটি মূলত বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে না এবং কোনো লিজ চুক্তিও করা হয়নি।

    বেআইনি অর্থনৈতিক লেনদেন

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, লাদাখে যে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ চলছে তা ওয়াংচুকের (Sonam Wangchuk) উসকানিমূলক বক্তৃতার জেরেই হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় বিজেপি দফতর ও নির্বাচন দফতরে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত চার জন, আহত হয়েছেন বহু। সরকারি সূত্রের খবর, ওয়াংচুকের এনজিওর কাজে বারবার আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়েছে। বিদেশি অনুদান আইনের (FCRA) নিয়ম ভেঙে অর্থ লেনদেন হয়েছে বারবার। তদন্তে উঠে এসেছে, এনজিও সেকমল (SECMOL)-এর নামে খোলা এফসিআরএ অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে টাকা জমা পড়েছে। অভিযোগ, ৩.৩৫ লক্ষ টাকা নগদ জমা পড়েছিল ওই অ্যাকাউন্টে। ওয়াংচুকের সংগঠন জানিয়েছিল, এই অর্থ এসেছে একটি পুরনো বাস বিক্রি করে। বাসটি যেহেতু বিদেশি অনুদানে কেনা হয়েছিল, তাই বিক্রির টাকা ফের অ্যাকাউন্টে রাখা হয় বলে সাফাই দেয় এনজিও। কিন্তু সরকারের বক্তব্য, এই ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়। নগদ অর্থ জমা দেওয়াই আইনের পরিপন্থী।

  • Tejas Mk-1A: ৬২ হাজার কোটি টাকায় ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত, হ্যালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    Tejas Mk-1A: ৬২ হাজার কোটি টাকায় ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত, হ্যালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু যুদ্ধে অংশ নেওয়া বুড়ো ঘোড়াদের অবসরের আগের দিনই নতুন অশ্ব কেনার বরাত দিল ভারত।

    বায়ুসেনায় মিগ যুগের অবসান

    ভারতীয় বায়ুসেনায় মিগ যুগের অবসান হতে চলেছে৷ আর তার জায়গা নিচ্ছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তেজস৷ আজ শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর অবসর নিতে চলেছে বায়ুসেনার কিংবদন্তী মিগ-২১ (MiG-21) যুদ্ধবিমানগুলি। ঠিক তার আগের দিন, ৯৭টি মাল্টি-রোল সুপারসনিক লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (এলসিএ) তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)-এর সঙ্গে চুক্তি করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চুক্তির মূল্য ৬২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। গতমাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি এই চুক্তিতে ছাড়পত্র দিয়েছিল৷

    ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষ থেকে ডেলিভারি!

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, হ্যাল ৯৭টি যুদ্ধবিমান তৈরি করবে। এর মধ্যে থাকবে ৬৮টি ফাইটার যুদ্ধবিমান। আর বাকি ২৯টি থাকবে টুইন সিটার প্রশিক্ষণ বিমান। ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষ থেকে এই যুদ্ধবিমানের ডেলিভারি শুরু করবে হিন্দুস্তান অ্যারনটিক্স লিমিটেড। বাকি যুদ্ধবিমানগুলি সরবরাহ করা হবে প্রথম ডেলিভারি থেকে শুরু করে ৬ বছরের মধ্যে। এর আগে হ্যালকে ৮৩টি তেজস মার্ক-১ যুদ্ধবিমান তৈরির বরাত দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    হাতে আসেনি প্রথম বরাতের প্রথম বিমান!

    এর আগে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বায়ুসেনা ৪৮,০০০ কোটি টাকায় ৮৩টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ বিমানের অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু চার বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্বেও সেই বিমান সরবরাহ শুরু হয়নি। এই নিয়ে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। উৎপাদনকারী সংস্থা হ্যালের তরফে জানানো হয়, আমেরিকা থেকে ইঞ্জিন আসতে দেরি হওয়ার কারণেই এই বিলম্ব। সূত্রের খবর, প্রথম অর্ডারের প্রথম বিমান হাতে আসতে পারে ২০২৫ সালের অক্টোবরে। হ্যালের নাসিকের কারখানা থেকে প্রথম এলসিএ মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) যুদ্ধবিমানটি শীঘ্রই আকাশে উড়বে। তার আগেই কেন্দ্রের তরফে দ্বিতীয় অর্ডার চলে হল।

    মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ উৎপাদন

    নতুন বরাতের ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনায় মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান আসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, হ্যালের বেঙ্গালুরুর কারখানা প্রতি বছর ১৬টি এবং নাসিকে ২৪টি তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) বিমান তৈরি করতে পারে। সেই অনুযায়ী, ২০৩২ সাল নাগাদ ১৮০টি বিমান সরবরাহ হতে পারে বলে অনুমান। এর মধ্যেই সূত্রের খবর, হ্যাল ভবিষ্যতে আরও ২০০টির বেশি তেজস মার্ক–২ এবং সমসংখ্যক পঞ্চম প্রজন্মের উন্নত মাঝারি যুদ্ধবিমান অ্যামকা তৈরির বড় অর্ডার পেতে চলেছে।

    ১১,৭৫০ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থান

    ৪.৫ প্রজন্মের এলসিএ তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানগুলির ৬৪ শতাংশই তৈরি হবে দেশীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে। ফলত, প্রায় ৫০০টি দেশীয় শিল্প, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলি, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক ব্যবসার সুযোগ পাবে। বার্ষিক প্রায় ১১,৭৫০ জনের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রকল্পটি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অগ্রদূত হিসেবে ধরা হচ্ছে। এটি হতে চলেছে ভারতের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম বড় প্রতীক।

    উত্তম আয়েসা, স্বয়ম রক্ষা কবচ

    এই ফাইটার জেটগুলিতে ৬৭টি অতিরিক্ত ইক্যুইপমেন্ট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। উত্তম অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে রেডার (UTTAM AESA), স্বয়ম রক্ষা কবচ এবং কন্ট্রোল সারফেস অ্যাকচুয়েটর্সের মতো ইক্যুইপমেন্ট থাকবে এই ধরনের যুদ্ধবিমানে। ইতিমধ্যেই জিই-৪০৪ ইঞ্জিন এসেছে হ্যালের হাতে। এই ধরনের যুদ্ধবিমানে তৈরির জন্য ওই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। এই যুদ্ধবিমানে মিড-এয়ার রিফুয়েলিং ক্ষমতা থাকবে।

  • Weather Update: আসছে আগের চেয়ে শক্তিশালী নিম্নচাপ! পুজোর মূল চারদিনও কি ভাসবে কলকাতা?

    Weather Update: আসছে আগের চেয়ে শক্তিশালী নিম্নচাপ! পুজোর মূল চারদিনও কি ভাসবে কলকাতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে নতুন করে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। শুক্রবারের মধ্যেই তা ঘনীভূত হওয়ার কথা। উৎসবমুখর (Weather Update) মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন দুর্গাপুজোর আনন্দে কি তাহলে আঘাত হানবে অসুর বৃষ্টি? বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও ফের এক পশলা বৃষ্টিতে (Rain in Kolkata) ভিজেছে শহর। বৃষ্টি মাথায় করেই মণ্ডপমুখী হয়েছে পুজোপ্রেমীরা। শুক্রবারও হালকা বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। পূর্ব বর্ধমান এবং হুগলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ঝড়বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়াতেও। এই দুই জেলায় হলুদ সতর্কতা রয়েছে।

    উপকূলঘেঁষা জেলাগুলিতে দুর্যোগের সম্ভাবনা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর ও সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। তা থেকে নতুন যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে, সেটি আগেরটির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। শুধু নিম্নচাপ হিসেবে এটি থেমে থাকবে না, আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপের আকার নেবে। তার পর স্থলভাগে প্রবেশ করবে। এর জেরে উপকূলবর্তী এলাকায় চলতে পারে দুর্যোগের তাণ্ডব। তবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে নয়, এই নিম্নচাপ দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। ফলে দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে ওই দুই রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলঘেঁষা জেলাগুলিতেও দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। হতে পারে ভারী বর্ষণ। মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    পুজোয় চলবে মেঘ-বৃষ্টির খেলা

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ থেকে মেঘপুঞ্জ ঢুকে পড়ে বাংলার আকাশে। আর তাতেই বৃষ্টির সাক্ষী থাকে কলকাতা (Rain in Kolkata)। কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা। সন্ধ্যা ঘনাতেই প্রবল বৃষ্টি দেখা যায় উত্তর ২৪ পরগনা, বসিরহাট, হওড়া অঞ্চলে। ধীরে সেই মেঘপুঞ্জ ভাঙড়, নিউ টাউন, সল্টলেক হয়ে কলকাতার দিকেও অগ্রসর হয়। কলকাতাতেও নানা প্রান্তে ফের প্রবল বর্ষণের ছবি দেখা যায়। ২৬ তারিখ রাত থেকে ২৮ তারিখ সকাল পর্যন্ত নিম্নচাপের সবচেয়ে বেশি প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়বে। আকাশ মূলত মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। সঙ্গে কিছুটা বৃষ্টি হবে। পূর্বাভাস বলছে, আপাতত সপ্তমী পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তার পর বৃষ্টি কমতে পারে। তাই পুজোর প্রথম দু-একদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শহরে। শাস্ত্র অনুযায়ী এবার দেবীর আগমন গজে। এটি শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। গজে আগমন হলে বসুন্ধরা শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠে। বৃষ্টিও হয় অল্প-বিস্তর।

  • India vs Pakistan: এই প্রথম! এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান, ‘সেমিফাইনালে’ হার বাংলাদেশের

    India vs Pakistan: এই প্রথম! এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান, ‘সেমিফাইনালে’ হার বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) ইতিহাসে এই প্রথম। ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan)। চলতি আসরে ইতিমধ্যেই দুবার মুখোমুখি হয়েছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। দুই ম্যাচেই জয়ী হয়েছে ভারত। ফাইনালে তৃতীয়বার মুখোমুখি হলে কি পাকিস্তান প্রতিশোধ নিতে পারবে পাকিস্তান? নাকি ভারত টানা তিনবার জিতে এশিয়া সেরা হওয়ার মুকুট পরে নেবে? পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা, ভারতের অপারেশন সিঁদুরের মেজাজ বাইশ গজেও চোখে পড়েছে। বারবার বিতর্কের বাতাবারণ তৈরি হয়েছে ক্রিকেট ময়দানেও। এবার তারই চূড়ান্ত রূপ। ইতিমধ্যেই আসন্ন ফাইনাল ঘিরে ক্রিকেটবিশ্বে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।

    ফাইনালে বদলা নেওয়ার চেষ্টা

    গতকাল সুপার ফোর পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান। সেই ম্যাচটি কার্যত সেমিফাইনালে পরিণত হয়েছিল দুই দলের জন্য। সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে রবিবারের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে সলমন আলি আঘার দল। আর ম্যাচ জিতেই ভারতকে ‘সতর্কবাণী’ সলমনের। ম্যাচ শেষে সলমনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলার বিষয়ে। জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের দল এখন সত্যি স্থিতিশীল হয়ে গিয়েছে। আমরা যে কাউকে হারাতে যথেষ্ট ভালো দল। আমরা উচ্ছ্বসিত এবং আমরা ফাইনালে তাদের হারাতে চাইব।” পাক তারকা খেলোয়াড় শাহিন শাহ আফ্রিদি (Shaheen Afridi) বলেই রেখেছেন, “আমরা এখানে এশিয়া কাপ জিততে এসেছি। ফাইনাল তো জিততেই হবে। আমরা যে কোনও দলের বিরুদ্ধে খেলতে তৈরি। আমরা ভারতকেও হারাতে পারি।”

    রবিবারের ম্যাচে অ্যাজভান্টেজ ভারত

    পাকিস্তান মুখে যাই বলুক রবিবারের ম্যাচে অ্যাজভান্টেজ ভারত (India vs Pakistan)। বৃহস্পতিবারও বিশেষ ভাল খেলা উপহার দেয়নি পাক ক্রিকেটাররা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি পাকিস্তানের। আরও এক বার দলের টপ ও মিডল অর্ডার ব্যর্থ। ম্যাচ জিতলেও দলের ব্যাটিং চিন্তায় রাখবে পাকিস্তানকে। তবে, ভালো বল করলেন পাকিস্তানের দুই পেসার শাহিন ও হ্যারিস। দু’জনেই ৩টি করে উইকেট নিলেন। তাঁদের পেস ও বৈচিত্রের কাছে হার মানতে হল বাংলাদেশকে। দুই স্পিনার সাইম ও নওয়াজও ভালো বল করলেন। মাঝের ওভারে উইকেট তুললেন তাঁরা। একটা ভুলও করলেন বাংলাদেশের ব্যাটারেরা। প্রত্যেকে শুরু থেকে বড় শট খেলার চেষ্টা করলেন। সময় নিলেন না। তাড়াহুড়ো করে উইকেট দিয়ে এলেন। তার খেসারত দিতে হল তাঁদের। ১৩৬ রানও তাড়া করতে পারলেন না তাঁরা। টানা দু’দিন দুবাইয়ের মাঠে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। শারীরিক ধকল স্পষ্ট হয়ে ওঠে ক্রিকেটারদের মধ্যে। এর সঙ্গে যোগ হয় দলের প্রধান ব্যাটার লিটন দাসের অনুপস্থিতি। ভারতের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও খেলতে পারেননি তিনি। ফলে ব্যাটিং অর্ডারে ভাটা পড়ে যায়। বল হাতে ভালো করেও জয়ের স্বাদ পেল না বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে (Bangladesh) ১১ রানে হারিয়ে আগামী রবিবার ভারতের (India) বিরুদ্ধে এশিয়ার সেরা (Asia Cup) হওয়ার লড়াইয়ে নামবে পাকিস্তান। তৃতীয় বার কি বদলা নিতে পারবে সলমন আঘারা? নাকি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন সূর্যকুমারেরা? ফের এক মহারণের অপেক্ষায় ক্রিকেট দুনিয়া।

  • Medical Seats in India: ডাক্তারি শিক্ষায় বড় পদক্ষেপ! ৫,০২৩ এমবিবিএস ও ৫,০০০ পিজি আসন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মোদি মন্ত্রিসভার

    Medical Seats in India: ডাক্তারি শিক্ষায় বড় পদক্ষেপ! ৫,০২৩ এমবিবিএস ও ৫,০০০ পিজি আসন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মোদি মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারিতে পড়ার আরও সুযোগ বাড়ছে। দেশে সুস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার ‘সেন্ট্রালি স্পনসরড স্কিম (CSS)’–এর তৃতীয় পর্যায়ের অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিকে শক্তিশালী ও উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সারা দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৫,০২৩টি নতুন এমবিবিএস (UG) ও ৫,০০০টি নতুন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট (PG) মেডিক্যাল আসন সংযোজন করা হবে।

    কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগ

    এই প্রকল্পটির জন্য যৌথভাবে খরচ করবে রাজ্য ও কেন্দ্র। উচ্চশিক্ষায় ডাক্তারি পড়তে চায় বহু মেধাবী ছাত্রছাত্রী। তাই আসন বাড়ানোর ভাবনা চিন্তা করেছে সরকার। প্রতিটি আসনের জন্য এখন ১.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় ধরা হয়েছে। পুরো প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ১৫,০৩৪.৫০ কোটি টাকা (২০২৫-২৬ থেকে ২০২৮-২৯ সাল পর্যন্ত)। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেবে ১০,৩০৩.২০ কোটি টাকা এবং রাজ্যগুলো ৪,৭৩১.৩০ কোটি টাকা।

    কী কী সুবিধা মিলবে এই প্রকল্পে?

    দুর্গম ও গ্রামীণ অঞ্চলে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা বাড়বে।

    বর্তমান পরিকাঠামো ব্যবহার করে আরও বেশি যত্নশীল চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা যাবে।

    গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল স্পেশালিটিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি মেটানো।

    স্বাস্থ্যসেবা খাতে ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক বণ্টন নিশ্চিত করা।

    প্রত্যাশিত প্রভাব

    দেশে মেডিক্যাল শিক্ষার সুযোগ আরও বাড়বে।

    আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন করা যাবে।

    পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞ প্রস্তুত করা যাবে। এর ফলে ভারতে সাশ্রয়ী চিকিৎসার বিস্তার ঘটবে।

    চিকিৎসক, শিক্ষক, প্যারামেডিক্যাল, গবেষক, প্রশাসক ও সহায়ক কর্মীদের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি হবে।

    স্বাস্থ্য খাতের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি ও সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।

    বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি মেটানোই লক্ষ্য

    ভারতের ১৪০ কোটির জনসংখ্যার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা (Universal Health Coverage) নিশ্চিত করতে প্রয়োজন একটি সুসংগঠিত ও দক্ষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বর্তমানে দেশে ৮০৮টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে, যেখানে ১,২৩,৭০০টি এমবিবিএস আসন রয়েছে। যা বিশ্বে সর্বাধিক। গত দশ বছরে ৬৯,৩৫২টি নতুন এমবিবিএস আসন যুক্ত হয়েছে (১২৭% বৃদ্ধি), পিজি আসন যুক্ত হয়েছে ৪৩,০৪১টি (১৪৩% বৃদ্ধি)। তবুও কিছু অঞ্চলে এখনও পরিকাঠামো এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। নতুন এই প্রকল্প সেই ঘাটতি পূরণ করে স্বাস্থ্য খাতকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে, বলে বিশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার।

    নতুন নতুন কলেজ তৈরি

    গত কয়েক বছরে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে কলেজের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। তবে কেবল সংখ্যা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়, শিক্ষার মানও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল এখন কলেজগুলির পরিকাঠামো, অনুষদ এবং ক্লিনিক্যাল সুবিধেগুলি পরিদর্শন ও পর্যালোচনা করছে। দেশের বেশ কিছু রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যেমন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অরুণাচল প্রদেশ, দাদরা এবং নগর হাভেলি, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং তেলঙ্গানায় ২০১৩-১৪ সালে কোনও মেডিক্যাল কলেজ ছিল না। যাইহোক, এখন এই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রতি জোড় দিচ্ছে। তাই ডাক্তারিতে আসন সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

LinkedIn
Share