Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Power consumption: তাপপ্রবাহের শঙ্কা, ঘরে ঘরে এসি! এ বছর দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ৯-১০ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা

    Power consumption: তাপপ্রবাহের শঙ্কা, ঘরে ঘরে এসি! এ বছর দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ৯-১০ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরম এখনও সেভাবে পড়েনি। রাতে আর ভোরের দিকে গরম একেবারেই নেই। তবে এপ্রিল থেকে গরমে নাভিশ্বাস উঠবে ভারতবাসীর। দিল্লি থেকে কলকাতা, জয়পুর থেকে চেন্নাই প্রবল গরম পড়বে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। এরই ফলে দেশে বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা। এই গরমে ভারতে ৯-১০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা (Power consumption) বাড়বে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। কারণ আগামী কয়েক মাস তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতবাসী। এর জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

    কোথায় বিদ্যুতের পরিমাণ কী রকম

    গত বছর, ৩০ মে সারা দেশের পিক বিদ্যুৎ চাহিদা ২৫০ গিগাওয়াট অতিক্রম করেছিল, যা পূর্বাভাসের তুলনায় ৬.৩ শতাংশ বেশি ছিল। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপ প্রবাহ বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, দাবি বিশেষজ্ঞদের। বর্তমানে দেশে শিল্পের জন্য ৩৩ শতাংশ, গৃহস্থালির জন্য ২৮ শতাংশ এবং কৃষির জন্য ১৯ শতাংশ বিদ্যুত ব্যবহৃত হয়। গত দশকে গার্হস্থ্য বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুত বেড়েছে, বলেন দিল্লি ভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারের রিনিউয়েবল সিনিয়র প্রোগ্রাম লিড দিশা আগরওয়াল। ২০১২-১৩ সালে গার্হস্থ্য বিদ্যুৎ ব্যবহার ছিল ২২ শতাংশ, যা ২০২২-২৩ সালে ২৫ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই বৃদ্ধির বেশিরভাগই অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে শীতলীকরণের প্রয়োজনীয়তা থেকে এসেছে।

    কেন বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা

    ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে, ঘরে ঘরে এসি মেশিনের (Power consumption) ব্যবহার বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এয়ার কন্ডিশনারের বিক্রি ৪০-৫০ শতাংশ বেড়েছে। দিশা বলেন, “ভারতকে এখন দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহ এবং পিক বিদ্যুৎ চাহিদায় ৯-১০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে আমাদের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে যে, এই পিক চাহিদা শুধুমাত্র একটি স্বল্প সময়ের জন্য থাকবে।” তাঁর কথায়, ভারতের বিদ্যুৎ ব্যবহার ২০২০-২১ সাল থেকে প্রতিবছর প্রায় ৯ শতাংশ বাড়ছে, যা গত দশকের ৫ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অনুমান ছিল যে ২০২২ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ চাহিদা প্রতিবছর ৬ শতাংশ বাড়বে।

    বাড়ছে এসি কেনার প্রবণতা

    বিশ্বব্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়ার, নীতি ও অর্থ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ আভাস ঝা বলেছেন, “ভারতের তাপপ্রবাহের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে যাবে। তাই ভারত শীঘ্রই বিশ্বের সবচেয়ে বড় এয়ার কন্ডিশনার বাজারে পরিণত হবে। প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একটি এয়ার কন্ডিশনার বিক্রি হচ্ছে। ভারতের এয়ার কন্ডিশনার প্রবৃদ্ধি বর্তমানে ৮ শতাংশ।” তিনি জানান, “ভারতের এসি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, কিন্তু সমস্যা হল, বেশিরভাগ এসি মেশিনগুলি খুব বেশি শক্তি খরচ করে, যা আমাদের বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।” আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, ২০৫০ সাল নাগাদ এয়ার কন্ডিশনারের জন্য শক্তি চাহিদা তিন গুণ বেড়ে যাবে, যা আগামী ৩০ বছরে প্রতি সেকেন্ডে ১০টি নতুন এয়ার কন্ডিশনার যোগ করার সমান।

    সবার জন্যই বিদ্যুত চাই

    অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারত সেন্টারের গবেষক রিশিকা খোসলা বলেন, “২০৫০ সালে, তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ানোর পর, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শীতলীকরণ চাহিদা ভারতের হবে। তারপর চিন, নাইজিরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, ফিলিপিন্স এবং যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এটি নিশ্চিত করতে হবে যে সবার জন্য তাপগত আরাম নিশ্চিত করা যায়, এবং পরিবেশের ক্ষতি ছাড়াই এটি সম্ভব। এর জন্য প্যাসিভ কুলিং পদ্ধতি, শক্তি দক্ষতা এবং ক্ষতিকর রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসগুলির ব্যবহার কমাতে হবে।”

    গরমের আশঙ্কা

    সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের গরমে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা (Power consumption) ২৭০ গিগাওয়াট ছুঁয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলতি বছর মার্চ মাসে বিদ্যুতের চাহিদা এবং ব্যবহার ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। এই বছর দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মানুষের ফ্যান, কুলার এবং এসি-র ব্যবহার বাড়বে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, চলতি বছর ভারতে মার্চে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম পড়তে পারে, তার সঙ্গে চলবে তাপপ্রবাহ। দেশের বেশিরভাগ অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৪ সালে, ৫ এপ্রিল ওড়িশায় প্রথম তাপপ্রবাহ দেখা দেয়, কিন্তু ২০২৫ সালে, কঙ্কন এবং উপকূলীয় কর্নাটকের কিছু অংশে ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারিতে তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এই বছরের গ্রীষ্মে মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে দেশের অধিকাংশ অংশে সাধারণত উষ্ণতম তাপমাত্রা থাকবে। ১৯০১ সালের পর থেকে দেশ ২০২৫ সালে সবচেয়ে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি অনুভব করেছে, যেখানে গড় তাপমাত্রা ছিল ২২.০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক ২০.৭০ ডিগ্রির চেয়ে ১.৩৪ ডিগ্রি বেশি। মৌসম ভবন আরও বলেছে, ২০২৫ সালের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারত, উত্তর ভারতে টানা তাপপ্রবাহ হতে পারে।

  • Dr Ambedkar: ভারতকে ‘কমিউনিস্ট রাষ্ট্র’ বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলেন আম্বেদকর

    Dr Ambedkar: ভারতকে ‘কমিউনিস্ট রাষ্ট্র’ বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলেন আম্বেদকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয় ভারতের সংবিধান। দেশের সংবিধান পা দিয়েছে ৭৫ বছরে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন হয় ভারত। এদেশের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পরম্পরা, কৃষ্টি সভ্যতা এবং গৌরবময় ইতিহাসের ওপর দাঁড়িয়ে শুর হয় সংবিধানিক ভারত তৈরির কাজ। ভারতীয় মূল্যবোধ, ভারতীয় পরম্পরার প্রতিফলন দেখা যায় সংবিধানজুড়ে। সংবিধানের খসড়া কমিটির সদস্যরা অত্যন্ত সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে থাকেন, যাতে ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতির সঙ্গে আধুনিক যুগের মেলবন্ধন থাকে। এর প্রভাব দেখা গিয়েছে সংবিধানে।

    সংবিধান কমিটির বেশ কিছু সদস্য ভারতীয় মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন

    সংবিধান কমিটির বেশ কিছু সদস্য ছিলেন। যাঁরা সংবিধান রচনায় ভারতীয় মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কেবি কামাত, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, গোবিন্দ দাস, ঘনশ্যাম গুপ্তা, কাললুরু সুব্বারাও, রাম সহায় প্রমুখ। এনারাই জোর দেন যে সংবিধানকে দাঁড় করাতে হবে ভারতের ঐতিহাসিক মূল্যবোধ এবং তার সাংস্কৃতিক ভিতের ওপর। এই সময়ে তাঁরা প্রাচীন ভারতীয় ধর্মশাস্ত্র বেদ, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত- এই সমস্ত কিছুকেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

    ঔপনিবেশিক প্রভাব রাখতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস ও বামপন্থী মনোভাবাপন্ন সদস্যরা

    জানা যায়, সেসময় সদস্যদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রতিনিধি ছিলেন মুসলিম লিগের এবং কংগ্রেসের। তাঁরা প্রাচীন ভারতীয় মূল্যবোধের ওপর সংবিধান তৈরির ভাবনার বিরোধিতা করেন। ঔপনিবেশিক প্রভাবকেই রাখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তবে ভারতবর্ষের নিজস্ব সংস্কৃতিকে দূরে সরিয়ে রেখে সংবিধান তৈরির এমন ভাবনাকে রুখে দেন ডঃ বিআর আম্বেদকর। তিনি ভারতের নিজস্ব সংস্কৃতিকে কোনওভাবেই বাদ দিতে চাননি সংবিধান থেকে। এ সময় আম্বেদকরের (Dr Ambedkar) বিবৃতিও আসে। তিনি বলেন, ‘‘সংবিধান সভা এর কাজ শুরু করার আগে থেকেই, সেই সমস্ত কিছুকে প্রত্যাখ্যান করেছে যেগুলি ব্রিটিশ সংসদ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর একজনও সদস্য এবং এমনকি আমিও এমন কিছু কাজ করতে পারি না, যেখানে আমরা ব্রিটিশদের নির্দেশকে সংবিধানে ঠাঁই দিতে পারি।’’

    আম্বেদকরের কারণেই কমিউনিস্ট রাষ্ট্র হয়নি ভারত

    এছাড়াও বিআর আম্বেদকরের (Dr Ambedkar) শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণেই ভারতবর্ষের সংবিধান কমিউনিস্ট মডেলে (Communist State) দাঁড়ায়নি। সংবিধান মুক্ত থেকেছে কমিউনিস্ট প্রভাব। ১৯৪৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সংবিধান সংশোধন করার প্রস্তাব আনা হয়। এমন প্রস্তাব আনেন আসরাফ আলি। তাঁকে সমর্থন করেন আশরাফ মহানি। এঁরা দুজনেই প্রথমে ছিলেন কংগ্রেস এবং পরবর্তীকালে মুসলিম লিগে যোগদান করেন। তাঁরা দাবি করেন যে সংবিধানে সংশোধন আনতে হবে এবং ভারতকে একটি ‘ইউনিয়ন অফ সোশালিস্ট রিপাবলিক’ বলে ঘোষণা করতে হবে। প্রসঙ্গত, কমিউনিস্ট রাশিয়া এই নামেই পরিচিত ছিল। তবে আম্বেদকর (Dr Ambedkar) এটিও রুখে দেন। প্রসঙ্গত, সংবিধানে ভারতে ‘ইউনিয়ন অফ স্টেটস’-র মর্যাদা কেন দেওয়া হল? এমন প্রশ্নও তোলেন ওই দুই নেতা। এর পরিবর্তে তাঁরা ভারতকে ‘ফেডারেশন অফ রিপাবলিক’ করতে বলেন। তাঁরা এমন দাবিও তেলেন সমাজতন্ত্রকে আঁকড়ে ধরা উচিত ভারতের।

    ৩৭০ ধারারও বিরোধী ছিলেন আম্বেদকর (Dr Ambedkar)

    তবে এই সংশোধন প্রস্তাবগুলিকে বিআর আম্বেদকর প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি জোর দেন ভারতের মূল্যবোধের ওপর। আম্বেদকর বলেন, ‘‘আমি সেই সমস্ত কিছুকে অনুমোদন দেব না যেগুলি আমাদের দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে আঘাত করে। যেমন উগ্র সমাজতন্ত্রের কোনওকিছুকেই সংবিধানে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ডঃ বিআর আম্বেদকরের ভারতের অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য ৩৭০ ধারার বিরোধ করেছিলেন। তিনি মনে করতেন, এই ধারা ভারতের ঐক্যের পক্ষে বিপজ্জনক। যা জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছিল। স্বাভাবিকভাবে সংবিধান সভার এই ধরনের বিতর্ক আজও একটি উল্লেখযোগ্য দলিল, ভারতবর্ষকে কীভাবে একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছিল! যার নেপথ্যে ছিলেন কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগের বামপন্থী মনোভাবাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বরা। আম্বেদকর নিজেই তা রুখে দিয়েছিলেন। ভারতবর্ষের প্রাচীন সভ্যতা, সংস্কৃতি, কৃষ্টির ওপরেই দেশের সংবিধানকে দাঁড় করিয়েছিলেন বি আর আম্বেদকর। স্বাধীন ভারতের সংবিধানে তাই আজও প্রতিফলিত হচ্ছে ভারতীয় মূল্যবোধ, দেশের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি এবং বৈচিত্রতা।

  • India’s GDP: জিডিপি বৃদ্ধি ১০ বছরে দ্বিগুণ! জাপান-জার্মানিকে শীঘ্রই ছাপিয়ে যাবে ভারতের অর্থনীতি, বলছে আইএমএফ

    India’s GDP: জিডিপি বৃদ্ধি ১০ বছরে দ্বিগুণ! জাপান-জার্মানিকে শীঘ্রই ছাপিয়ে যাবে ভারতের অর্থনীতি, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আর্থিক বৃদ্ধির হারে নতুন মাইলফলক ছুঁল ভারত। ১০ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (India’s GDP)। ২০১৫ সালে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ২.১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি বছরে সেটাই বেড়ে ৪.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ ১০৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে জিডিপির সূচক। বিশ্ব অর্থনীতির নিরিখে এ এক অভূতপূর্ব উদাহারণ দাবি, অর্থনীতিবিদদের।

    সাফল্যের খতিয়ান

    ভারতীয় অর্থনীতি গত এক দশকে এক অভূতপূর্ব সাফল্যের গল্প রচনা করেছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (IMF)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, গত ১০ বছরে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৫ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ২.১ লক্ষ কোটি ডলার, যা ২০২৫ সালে বেড়ে ৪.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ১০৫ শতাংশ, যা আমেরিকা, চিনের মতো বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এই অসাধারণ প্রবৃদ্ধির ফলে ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে নিজের স্থান আরও মজবুত করেছে।

    আমেরিকা-চিনকে তুলনামূলক টেক্কা

    আইএমএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে আমেরিকার জিডিপি ১৮.৩ লক্ষ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ৩০.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে, যা ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। অন্যদিকে, চিনের জিডিপি ১১.১ লক্ষ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১৯.৫ লক্ষ কোটি ডলার হবে, যা ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধির হার দেখায়। এই দুই অর্থনৈতিক মহাশক্তির তুলনায় ভারতের ১০৫ শতাংশ বৃদ্ধি স্পষ্টতই একটি বড় অর্জন। এই তথ্য থেকে বোঝা যায় যে, ভারত (India’s GDP) শুধু নিজের অর্থনীতির আকার বাড়িয়েছে তাই নয়, বরং বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলোর তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে এগিয়ে গিয়েছে।

    চিনের কাছে বড় ধাক্কা

    আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের মুদ্রাস্ফীতি সমন্বিত তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে ভারতের জিডিপি (India’s GDP) ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দুনিয়ার সেরা পাঁচটি অর্থনৈতিক দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই দেশ। এই গতি বজায় থাকলে চলতি বছরে আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে জাপানকে ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সে ক্ষেত্রে ২০২৭ সালে ভারতের কাছে হার মানবে জার্মানি। এই একই সময়ে চিনের জিডিপি ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে ড্রাগনের অর্থনীতি ছিল ১১.২ লক্ষ কোটি ডলারের। এ বছরে সেটা বেড়ে ১৯.৫ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ২০২০ সালে কোভিড অতিমারি শুরু হলে আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে বেজিংয়ের আর্থিক বৃদ্ধির সূচক। একটা সময়ে অবশ্য জিডিপির নিরিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মান্দারিনভাষীদের দেশটি ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করা হয়েছিল। সেই অনুমান বাস্তবায়িত হয়নি।

    বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি

    বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসাবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে আমেরিকা। ২০১৫ সালে ২৩.৭ লক্ষ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি। এ বছর সেটাই বেড়ে ৩০.৩ লক্ষ কোটি ডলার হয়েছে। অর্থাৎ, গত ১০ বছরে ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে মার্কিন অর্থনীতি।

    অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থান

    আইএমএফ-এর রিপোর্টে বিশ্বের অন্যান্য প্রধান অর্থনীতির তুলনাও দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জার্মানির জিডিপি ২০১৫ সালে ৩.৪ লক্ষ কোটি ডলার থেকে ২০২৫ সালে ৪.৯ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে, যা ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি। জাপানের জিডিপি ৪.৪ লক্ষ কোটি ডলারে স্থির থাকবে, অর্থাৎ গত ১০ বছরে কোনও বৃদ্ধি ঘটেনি। ব্রিটেনের জিডিপি ২.৯ লক্ষ কোটি থেকে ৩.৭ লক্ষ কোটি ডলারে উন্নীত হবে (২৮% বৃদ্ধি), ফ্রান্সের জিডিপি ২.৪ থেকে ৩.৩ লক্ষ কোটি ডলার (৩৮% বৃদ্ধি), এবং ইটালির জিডিপি ১.৮ থেকে ২.৫ লক্ষ কোটি ডলার (৩৯% বৃদ্ধি) হবে। এছাড়াও, কানাডার জিডিপি ১.৬ থেকে ২.৩ লক্ষ কোটি ডলার (৪৪% বৃদ্ধি), ব্রাজিলের ১.৮ থেকে ২.৩ লক্ষ কোটি ডলার (২৮% বৃদ্ধি), রাশিয়ার ১.৪ থেকে ২.২ লক্ষ কোটি ডলার (৫৭% বৃদ্ধি), দক্ষিণ কোরিয়ার ১.৫ থেকে ১.৯ লক্ষ কোটি ডলার (২৭% বৃদ্ধি), অস্ট্রেলিয়ার ১.২ থেকে ১.৯ লক্ষ কোটি ডলার (৫৮% বৃদ্ধি), এবং স্পেনের ১.২ থেকে ১.৮ লক্ষ কোটি ডলার (৫০% বৃদ্ধি) হবে। এই তথ্য থেকে স্পষ্ট যে, ভারতের বৃদ্ধির হার অন্য কোনও বড় অর্থনীতির কাছাকাছিও নেই।

    মোদি-সরকারের সাফল্য

    ভারতের (India’s GDP) এই সাফল্য় নিয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই অবিশ্বাস্য সাফল্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফলপ্রসূ নেতৃত্ব এবং তাঁর সরকারে প্রচেষ্টার ফল। লাভজনক অর্থনীতি, কাঠামোগত পরিবর্তন এবং বাণিজ্যিক পদ্ধতি সহজ করার ফলেই আজ মোদি সরকার ভারতকে বিশ্বের দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। স্বাধীনতার পর এই সাফল্য আগে কোনও সরকার পায়নি। এতে শুধু ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিই হচ্ছে না, একইসঙ্গে গ্লোবাল পাওয়ারহাউসগুলিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।”

  • Sukanta Majumdar: ‘‘ভোটার তালিকায় বেছে বেছে হিন্দু নাম বাদ দিচ্ছে তৃণমূল’’, শাহকে অভিযোগ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘ভোটার তালিকায় বেছে বেছে হিন্দু নাম বাদ দিচ্ছে তৃণমূল’’, শাহকে অভিযোগ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় বেছে বেছে হিন্দু নাম বাদ দিচ্ছে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সোমবারই বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ফের সাক্ষাৎ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে। বৈঠকে হিন্দু ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার কথা তুলে ধরেন সুকান্ত। এদিনই একই অভিযোগ তুলে কলকাতায় দলের দুই সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও দীপক বর্মন পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বিজেপির দাবি

    বিজেপির দাবি, উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদা এবং নদিয়ার কৃষ্ণনগর-২ ব্লকে বেছে বেছে হিন্দু ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে তৃণমূল বাদ দিতে চাইছে। এই ইস্যুতে সোমবার সকাল থেকেই অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। ধর্মীয় কারণে অত্যাচারের শিকার হয়ে বাংলাদেশ থেকে আগত উদ্বাস্তুদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই বিষয়টিই জানিয়ে এসেছেন।

    সাংবাদিকদের কী বললেন শুভেন্দু?

    সোমবার বিকালে দলীয় অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘তৃণমূল যে অভিযোগ বিডিওদের কাছে জানিয়েছে, তার জন্য ফর্ম ৭ পূরণ করতে হয়। তা না করে সাদা কাগজে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। সেই অভিযোগ গ্রাহ্যই হওয়া উচিত নয়। তাও বিডিও ওই অভিযোগ গ্রহণ করেছেন।’’ শুভেন্দুর আরও দাবি, ‘‘আইন অনুযায়ী, কোনও ভোটারের বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ যিনি তুলছেন, অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ দেওয়ার দায়িত্বও তাঁরই। কিন্তু বিডিও সে আইন মানছেন না। যাঁদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁদেরকেই চিঠি পাঠিয়ে বিডিও বলছেন, আপনারা প্রমাণ দিন যে, আপনারা বাংলাদেশি নন।’’

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নতুন এক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। নদিয়া সহ বিভিন্ন জেলায় এই ধরনের নোটিস হিন্দুদের পাঠানো হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে তাঁরা ভারতের নাগরিক নয়। এও বলা হচ্ছে, ওই সকল হিন্দুদের প্রমাণ করতে হবে তাঁরা ভারতের নাগরিক। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বলেছিলেন বাংলায় যাঁরা বাস করেন তাঁরা সকলেই ভারতের নাগরিক। সিএএ-তে আবেদন করতে দেননি। বলেছিলেন, সিএএ-তে আবেদন করলে নাগরিকত্ব চলে যাবে। এখন তিনি এই ফাঁদে ফেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিডিও নোটিস পাচ্ছে হিন্দুদের যে তাঁরা ভারতের নাগরিক নন। ভোটার লিস্ট থেকে নাম কেটে বাদ দেওয়া হল।’’

  • Bangladesh: বন্ধু পাকিস্তানের চালের দাম বেশি! বাংলাদেশকে ফের হাত পাততেই হল ভারতের কাছে

    Bangladesh: বন্ধু পাকিস্তানের চালের দাম বেশি! বাংলাদেশকে ফের হাত পাততেই হল ভারতের কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর ইউনূসের বাংলাদেশ বিবাদে জড়িয়েছে ভারতের (India) সঙ্গে। এই আবহে তাদের সঙ্গে সখ্যতা বেড়েছে পাকিস্তানের। সদ্য পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সেই চুক্তি অনুযায়ীই বাংলাদেশের ঘরে ঢুকেছে পাকিস্তানি চাল। একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হলেও সেই চালের দাম খুবই বেশি। তাই ফের হাত পাততেই হল ভারতের কাছে। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এই আবহে ভারত থেকে আমদানির সাড়ে ১১ হাজার টন চাল পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশে। আরও ৫০ হাজার চাল ভারতের কাছে কিনতে চলেছে বাংলাদেশ।

    ভাঁড়ে মা ভবানী বাংলাদেশকে (Bangladesh) খরচ কত করতে হবে?

    এদিকে ভারতের কাছ থেকে চাল আমদানি করা নিয়ে সাফাই দিতেও শোনা গিয়েছে ইউনূস সরকারকে। তাদের দাবি, খাদ্যের যোগান বাড়াতেই ভারত সরকারের কাছ থেকে এই চাল কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছ, এই চাল কেনার জন্য ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা হওয়া বাংলাদেশকে খরচ করতে হবে প্রায় ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের (Bangladesh) অর্থ মন্ত্রকের উপদেষ্টার তরফে এই খবর ইতিমধ্যে সামনে এসেছে।

    উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত

    বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভি আগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানেই প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে, ৪২৯.৫৫ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলারের সমান। প্রসঙ্গত, এর আগেও বাংলাদেশ খাদ্য মন্ত্রকের আবেদনে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে (Bangladesh) রফতানি করা হয়েছিল। বাংলাদেশ উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠক করেন। সেখানেই ভারত থেকে চাল কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের তরফে এর আগেও সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া থেকেও চাল কেনা হয়েছিল।

  • Daily Horoscope 25 March 2025: সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 25 March 2025: সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) সুবক্তা হিসেবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) পড়াশোনার খুব ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভাল।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) কাজের জায়গায় আঘাত লাগা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভবান হবেন।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘ইটের জবাব দিতে হবে পাথর দিয়ে’’, রামনবমী নিয়ে হুঙ্কার সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘ইটের জবাব দিতে হবে পাথর দিয়ে’’, রামনবমী নিয়ে হুঙ্কার সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরে রামনবমী রয়েছে ৬ এপ্রিল রবিবার। মাঝে আর কয়েকটা দিন। এই আবহে রামনবমীকে ঘিরে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। প্রসঙ্গত, প্রতিবারই রামনবমীকে ঘিরে বিপুল উন্মাদনা দেখা যায় বঙ্গজুড়ে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ইটের জবাবে পাথর

    রবিবার বারাকপুরে দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখান থেকে রামনবমী (Ram Navami Procession) নিয়ে রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, ‘‘রামনবমী মিছিল ঘিরে কেউ অশান্তি করার চেষ্টা করলে, ইটের জবাব পাথর দিয়ে দিতে হবে।’’ কোনওভাবেই রাজ্যে রামনবমী যেন না রখতে পারে প্রশাসন, সেই বিষয়েও কর্মীদের নজর রাখতে বললেন তিনি। এমনকি,পুলিশ যদি বাধা দিতে আসে তার পাল্টা মোকাবিলা করতে হবে বলেও দলের কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে নির্দেশ দিয়েছেন সুকান্ত।

    ইডেন থেকে ম্যাচ সরেছে অসমে! (Sukanta Majumdar)

    রামনবমীর (Ram Navami Procession) দিনেই আবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে আয়োজন হয়েছিল আইপিএল ম্যাচ। রামনবমীর ভিড়ের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে সিএবিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে, রামনবমীর জন্য সেই দিন ইডেনে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব নয়। জানা যাচ্ছে, ওই দিনের ম্যাচ সরেছে অসমে। এনিয়েও অবশ্য তোপ দেগেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি এই ম্যাচ বাতিলকে ‘রাজনৈতিক’ আখ্যা দিয়েছেন।

    বিজেপি শাসিত রাজ্য পারলে বাংলা কে পারছে না

    রাজ্য সরকারের ওপর ক্ষোভ উগড়ে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘এরা রামনবমী করতে পারে না, আর রামনবমী হলে বলে যে আইপিএল হবে না। শুনলাম, কলকাতায় বাতিল হয়ে ওই ম্যাচটা গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে তো বিজেপির সরকার। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একইদিনে আইপিএল ও রামনবমী করাতে পারলে, বাংলা কেন পারছে না?’’

  • Rana Sanga: ইব্রাহিম লোদি থেকে বাবর, তাঁর হাতেই হন পরাস্ত, জানুন রানা সঙ্গের বীরত্বগাথা

    Rana Sanga: ইব্রাহিম লোদি থেকে বাবর, তাঁর হাতেই হন পরাস্ত, জানুন রানা সঙ্গের বীরত্বগাথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ রামজি লাল সুমন সম্প্রতি রানা সঙ্গ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সংগ্রাম সিং যিনি রানা সঙ্গ (Rana Sanga) নামে পরিচিত তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলে উল্লেখ করেছেন সমাজবাদী পার্টির এই নেতা। এতেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়ও উঠেছে এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদে। গত শনিবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ বলেন, ‘‘রানা সঙ্গ ইব্রাহিম লোদিকে পরাজিত করার জন্য বাবরকে ভারতে ডেকেছিলেন।’’ এই কারণে রানা সঙ্গকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। তবে গবেষকরা বলছেন, ‘‘সমাজবাদী পার্টির সাংসদের এমন দাবি বিকৃত তথ্যের উপর দাঁড়িয়ে আছে এবং এটা মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়।’’ বাস্তবতা হল, রানা সঙ্গ নিজেই একাধিকবার ইব্রাহিম লোদিকে পরাস্ত করতে সমর্থ হয়েছিলেন। এর বাইরে গুজরাট এবং মালোয়ার সুলতানের সেনাবাহিনীকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন এই ভারতীয় রাজা। শুধু তাই নয়, বায়নার যুদ্ধে রানা সঙ্গের কাছে পরাস্ত হন খোদ বাবরও।

    সংগ্রাম সিংয়ের দাপটে পরাস্ত হন বাবরও (Babar)

    ১৫২৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাবর ও সংগ্রাম সিংয়ের বাহিনী বায়নার যুদ্ধক্ষেত্রে মুখোমুখি হয়। এই যুদ্ধে বাবরের বাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়। স্কটিশ ইতিহাসবিদ উইলিয়াম এরস্কাইন লিখছেন, সংগ্রাম সিংয়ের বীরত্ব সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন বাবর। কিন্তু বায়নার যুদ্ধে তিনি প্রথমবারের জন্য মুখোমুখি হন এই ভারতীয় রাজার। এরস্কাইনের মতে, মুঘলরা বুঝতে পেরেছিল যে রানা সংগ্রাম সিং (Rana Sanga) আফগানদের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। বায়নার যুদ্ধ সম্পর্কে মুঘল সম্রাট বাবর তাঁর আত্মজীবনী বাবরনামায় লিখছেন, ‘‘কাফেররা এত ভয়ঙ্কর যুদ্ধ করছিল যে মুঘল সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে গিয়েছিল। তারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল।’’ ইতিহাসবিদ কৃষ্ণরামের মতে, সংগ্রাম সিং বাবরকে একজন অত্যাচারী এবং বিদেশি আক্রমণকারী হিসেবে বিবেচনা করতেন। তিনি দিল্লি এবং আগ্রা জয় করে এই বিদেশি আক্রমণকারীদের শেষ করতে চেয়েছিলেন। বাবরের সঙ্গে এই যুদ্ধে (বায়নার) রানা সঙ্গকে সমর্থন করেন অনেক ভারতীয় রাজা। মারওয়ারের শাসক রাও গঙ্গার পুত্র মালদেব, চান্দেরির মেদিনী রায়, মের্তার রাইমল রাঠোর, সিরোহির আখেরাজ দুদা, ডুঙ্গারপুরের রাওয়াল উদয় সিং, সালুম্বরের রাওয়াত রত্না সিং, সাদারীর ঝালা আজা প্রমুখরা রানা সঙ্গকে (Rana Sanga) সমর্থন করেন।

    একশোটিরও বেশি যুদ্ধ করেছিলেন রানা সঙ্গ (Rana Sanga)

    ব্যাপক শক্তিশালী সেনা ছিল রানা সঙ্গের। ইব্রাহিম লোদিকে একাধিকবার পরাস্ত করতে সক্ষম হন এই ভারতীয় রাজা। তাঁর দাপটের সামনে টিকতে পারতেন না অত্যাচারী সুলতানরা। এমন একজন রাজাকে কেন বাইরের কারও সাহায্য নিতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য রানার সঙ্গের বিরোধীরা দিতে পারেননি। এমন প্রসঙ্গ নিয়ে কোনও কথা বলতেও শোনা যায়নি সমাজবাদী পার্টির সাংসদকে। জানা যায়, ১৫০৮ সালেই মেবারের শাসক হয়ে ওঠেন রানা সঙ্গ। নিজের জীবনে ১০০টিরও বেশি তিনি যুদ্ধ করেছিলেন। এরমধ্যে একমাত্র খানুয়ার যুদ্ধে তিনি পরাস্ত হয়েছিলেন। রানা সঙ্গের এই দাপট এবং বীরত্বের জন্য তাঁকে ‘হিন্দুপত’ উপাধি দেওয়া হয়েছিল। জানা যায়, যুদ্ধে লড়তে গিয়ে তিনি নিজের একটি চোখ এবং একটি হাতও হারিয়েছিলেন। শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে তাঁর একটি পা নষ্ট হয়ে যায়। রানা সঙ্গের বা সংগ্রাম সিংয়ের শরীরে আশিটিরও বেশি গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানা যায়। তবুও কোনও কিছুতেই তিনি দমেননি।

    ২ লাখ পদাতিক বাহিনী, ৮০ হাজার ঘোড়া ছিল রানা সঙ্গের

    জানা যায়, সংগ্রাম সিংয়ের (Rana Sanga) আমলে মেবারের সীমানা দূর-দূরান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। সে সময়ে মেবারে সীমানা ছিল পূর্বে আগ্রা, যা বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত এবং দক্ষিণে গুজরাট পর্যন্ত বিস্তৃত। রাজপুতানার ইতিহাসে নিয়ে গবেষণা করেছেন কর্নেল জেমস। তিনি জানাচ্ছেন, রানা সংগ্রাম সিংয়ের ছিল ৮০ হাজার ঘোড়া, ৫০০ হাতি এবং প্রায় দু’লক্ষ পদাতিক সৈন্য। এছাড়াও কর্নেল জেমস নিজের একাধিক লেখায় উল্লেখ করেছেন, সংগ্রাম সিংয়ের অধীনে ছিলেন ৭ জন রাজা, ৯ জন রাও, ১০৪ জন রাওয়াল। গোয়ালিয়র, আজমীর, সিক্রি, চান্দেরী, রামপুরা প্রভৃতি স্থানের রাজারা সংগ্রাম সিং-কে সম্রাট বলে গণ্য করতেন।

    একাধিক যুদ্ধে পরাস্ত হন ইব্রাহিম লোদি

    জানা যায়, রানা সঙ্গ দিল্লি, মালওয়া, গুজরাটের সুলতানদের সঙ্গে ১৮টি ভয়ঙ্কর যুদ্ধে করেন। প্রত্যেকটি যুদ্ধেই তিনি জিতে যান। ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সুলতান ইব্রাহিম লোদির সঙ্গে তাঁর যুদ্ধ হয়। যা খাটোলীর যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে এই রানা সঙ্গ ইব্রাহিম লোদিকে পরাস্ত করেন। ১৫১৮-১৯ সালে ইব্রাহিম লোদি ফের একবার আক্রমণ করে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাজস্থানের দোলপুরে ইব্রাহিম লোদি রানা সঙ্গকে ফের একবার পরাস্ত করেন। এরপরে আরও বেশ কয়েকটি যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদিকে রানা সঙ্গ পরাস্ত করতে সক্ষম হন। ক্রমাগত যুদ্ধে পরাস্ত হওয়ার কারণে রাজস্থানে পায়ের তলার জমি হারান ইব্রাহিম লোদি। অন্যদিকে, ১৫২০ সালে রানা সঙ্গ নিজাম খানের সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করেন। এর ফলে সমগ্র উত্তর গুজরাট নিজের দখলে আনতে পারেন রানা সঙ্গ।

    বাবরকে ভারতে কারা আমন্ত্রণ জানিয়েছিল?

    অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন যে, পাঞ্জাবের গভর্নর দৌলত খান দিল্লির সুলতান ইব্রাহিম লোদির স্থলাভিষিক্ত হতে চেয়েছিলেন। তিনি জানতেন যে আফগানিস্তান জয়ের পরে বাবর ভারতেই আসবেন। একইসঙ্গে ইব্রাহিম লোদির কাকা আলম খানও মসনদ দখল করতে চেয়েছিলেন। জানা যায়, আলম খান এবং দৌলত খান এই দুইজনে মিলে বাবরকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। জানা যায়, আলম খান বাবরের দরবারে গিয়েছিলেন। সেখানে আলম খান বাবরকে ভারতের রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা জানান। পরবর্তীকালে বাবর তার দূতকে পাঞ্জাবে পাঠান। সেই দূতের কাছ থেকে যাবতীয় বিষয় জানার পরে বাবর ভারত জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। প্রথমে ১৫০৩, ১৫০৪ এরপর ১৫১৮ এবং তারপরে ১৫১৯ সালে তিনি ভারত আক্রমণ করেন। তবে কোনওবারই সফলতা পাননি। পরে ১৫২৬ সালে বাবর ইব্রাহিম লোদিকে আক্রমণ করেন ও পরাস্ত করেন। ইব্রাহিম লোদি এর আগে একাধিকবার রানা সঙ্গকে হাতে মার খেয়ে ব্যাপক দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। তাই পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদিকে সহজেই পরাস্ত করেন বাবর (Babar)।

  • Tavasya: ভারত মহাসাগরে চিনের দাপট কমাতে সক্রিয় ভারত, নৌসেনার হাতে আসছে ‘ভীমের গদা’

    Tavasya: ভারত মহাসাগরে চিনের দাপট কমাতে সক্রিয় ভারত, নৌসেনার হাতে আসছে ‘ভীমের গদা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মহাসাগরীয় (Indian Navy) এলাকায় চিনের দাদাগিরি বন্ধ করতে সদা সক্রিয় রয়েছে ভারত। সেই লক্ষ্যে ভারতের নৌবাহিনী গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেডের তৈরি (GSL) ‘তবস্যা’ (Tavasya) নামক দ্বিতীয় স্টেলথ ফ্রিগেটটি উদ্বোধন করল। এটি প্রজেক্ট ১১৩৫.৬ (ইয়ার্ড ১২৫৯)-এর আওতায় নির্মিত। তবস্যা ভারতের যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে আত্মনির্ভরতার এক বড় পদক্ষেপ। ভারতীয় নৌ-সেনায় এর অন্তর্ভুক্তি এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

    তবস্যা-র ক্ষমতা

    ৩,৮০০ টনেরও বেশি ডিপ্লেসমেন্টের একটি জটিল এবং অস্ত্র-বহুল ফ্রিগেট হল ‘তবস্যা’ (Tavasya)। এটি নানা ধরণের আক্রমণাত্মক ও রক্ষামূলক অপারেশন চালানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যা ভারতকে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে তার কৌশলগত আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবে। এই স্টেলথ বৈশিষ্ট্যসহ উন্নত প্রযুক্তির, উচ্চ-সহনশীল ক্ষমতা এবং পরবর্তী প্রজন্মের কমব্যাট সিস্টেমে সজ্জিত ‘তবস্যা’ ভারতের সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এ প্রতিরক্ষায় জোর

    ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের মোকাবিলার জন্য নৌসেনাকে আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পে জোর দিয়ে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উপমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ বলেন, “তবস্যার উদ্বোধন শুধুমাত্র ভারতের নৌবাহিনীর জন্য একটি বড় পদক্ষেপ নয়, এটি ভারতের কৌশলগত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নেবে।” প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কথায়, ভারত সম্প্রতি যুদ্ধ জাহাজ রফতানিও করছে। এক্ষেত্রে গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেডের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে।

    তবস্যা-র গুরুত্ব

    প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য মহাভারতের পঞ্চপাণ্ডবের দ্বিতীয় ভীমসেনের গদার নামানুসারে জাহাজটির নামকরণ করা হয়েছিল ‘তবস্যা’ (Tavasya), যা ভারতীয় নৌবাহিনীর অদম্য মনোবল এবং ক্রমবর্ধমান শক্তির প্রতীক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেডের মধ্যে দুটি প্রজেক্ট ১১৩৫.৬ ফলো-অন ফ্রিগেট নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারিতে। প্রথম জাহাজ, ‘ট্রিপুট’, ২০২৪-এর ২৩ জুলাইতে উদ্বোধন করা হয়। ‘ত্রিপুট’ এবং ‘তবস্যা’ উভয়ই বহুমুখী অভিযানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সারফেস, সাব-সারফেস এবং এয়ার কমব্যাট। জাহাজগুলি ১২৪.৮ মিটার লম্বা, ১৫.২ মিটার চওড়া এবং প্রায় ৩,৬০০ টন ওজনের। তারা সর্বোচ্চ ২৮ নট গতি অর্জন করতে সক্ষম। উভয় ফ্রিগেটেই বিপুল সংখ্যক দেশীয় সরঞ্জাম, অস্ত্র এবং সেন্সর রয়েছে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। উন্নত স্টিলথ বৈশিষ্ট্য, অস্ত্রশস্ত্র, সেন্সর এবং প্ল্যাটফর্ম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সজ্জিত, এই জাহাজগুলি ভারতীয় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত।

  • Indian Railway: পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে ট্রেন! ২০৩০ সালের মধ্যেই বড় চুক্তি করতে চলেছে ভারতীয় রেল

    Indian Railway: পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে ট্রেন! ২০৩০ সালের মধ্যেই বড় চুক্তি করতে চলেছে ভারতীয় রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচলিত জ্বালানির ব্যবহারের উপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। নেট জিরো ২০৩০ (Net Zero Goal by 2030) অধীনেই পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির উপরে ভরসা বাড়াতে চাইছে ভারতীয় রেল। সে কারণেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুতের উৎসগুলির দিকে ঝুঁকছে ভারতীয় রেল। রেলের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রেন চালানোর জন্য ১০ গিগাওয়াট ট্র্যাকশন শক্তির প্রয়োজন হবে। ফলে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তি এবং আরও ৩ গিগাওয়াট তাপ ও ​​পারমাণবিক শক্তি কেনার পরিকল্পনা করেছে রেল। ট্র্যাকশনের জন্য প্রয়োজনীয় অবশিষ্ট ৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে বলে পরিকল্পনা করেছে রেল।

    পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির জোগাড়

    ২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য নির্গমন অর্জনের লক্ষ্যকে মাথায় রেখে এবং একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ছোট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে কেন্দ্রের পারমাণবিক শক্তি বিভাগ বা ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাটমিক এনার্জি (DAE) এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। সূত্রে খবর, বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কাছে ২ গিগাওয়াট (Net Zero Goal by 2030) পারমাণবিক শক্তির আবেদন জানিয়েছে রেলওয়ে। রেলের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে, ভারতীয় রেল জমি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যুৎ কিনবে। অন্যদিকে, ডিএই এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রক জ্বালানি সরবরাহ চুক্তির মাধ্যমে প্লান্ট স্থাপনে সহায়তা করবে।

    এছাড়াও, যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি থেকে আরও ২ গিগাওয়াট তাপবিদ্যুতের জোগাড় করা হবে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সাহায্যে জোগাড় করা হবে ১.৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ। এই আর্থিক বছরেই ব্রডগেজ রুটে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন শেষ করবে বলে জানায় রেল দফতর। রেলের এক কর্তা বলেন, “২০২৫-২৬ সাল থেকে প্রায় ৯৫% ট্রেন বিদ্যুতে চলবে। রেল সরাসরি কার্বন নির্গমন প্রতি বছর ১.৩৭ মিলিয়ন টনে নেমে আসবে।” ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, শক্তি উৎপাদনের জন্য ভারতীয় রেলওয়ে জমি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যুৎ খরচের নিশ্চয়তা প্রদান করবে, যেখানে ডিএই এবং শক্তি মন্ত্রক শক্তি প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি করবে। রেলওয়ে জমি খোঁজার কাজ শুরু করেছে, এবং জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। এই উদ্যোগের জন্য অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলিও কাজ শুরু করেছে।

    কী বললেন রেলমন্ত্রী

    অনুমান বর্তমানে ভারতে চলমান ৯০ শতাংশ ট্রেন এখন বিদ্যুত চালিত। বাকি ১০ শতাংশ চলে ডিজেলে। তিন বছর আগেও ৩৭ শতাংশ ট্রেন ছিল ডিজেল চালিত। বৈদ্যুতিক নির্ভরতা বাড়ায় ভারতীয় রেলের (Indian Railway) ট্রেন চালানোর জন্য খরচ আগের থেকে কমেছে। ট্র্যাকশনের জন্য ডিজেলের অধীনে রাজস্ব ব্যয় ২০২৫-২৬ সালে ৯,৫২৮.৫৩ কোটি টাকায় নেমে আসবে বলে আশা। যা গত এক দশকেরও বেশি সময়ে রেলওয়ের দ্বারা ডিজেলের জন্য ব্যয় করা সর্বনিম্ন খরচ বলে আশা। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সম্প্রতি রাজ্যসভায় জানিয়েছেন যে, তাঁরা নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (NPCIL) এবং শক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে রেলওয়ের শক্তি চাহিদা মেটাতে নিউক্লিয়ার শক্তি বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি আরও জানান, রেলওয়ের শক্তি চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। তাঁর কথায়, ‘‘রেলওয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যমান এবং আসন্ন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টগুলির কাছ থেকে শক্তি সংগ্রহের বিকল্পগুলি খতিয়ে দেখছে।’’

LinkedIn
Share