Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Hearing: শ্রবণশক্তি হারাচ্ছেন অধিকাংশ ভারতীয়! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট?

    Hearing: শ্রবণশক্তি হারাচ্ছেন অধিকাংশ ভারতীয়! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ‌বেড়েছে শব্দের দাপট। যে কোনও উৎসব উদযাপনে তীব্র শব্দের দাপট এখন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে থাকে।‌ কালীপুজোর রাত হোক বা নতুন বছর শুরুর উদযাপন, বিকট জোরে গান বাজানো কিংবা শব্দবাজির তীব্র আওয়াজ এখন রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই রেওয়াজেই বাড়ছে বিপদ। ভারতীয়দের মধ্যে বাড়ছে শ্রবণশক্তির (Hearing) সমস্যা। তীব্র হচ্ছে ‘চিরবধির’ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি। আর সবচেয়ে বেশি‌ দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে শিশুদের সমস্যা। এমনটাই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট।

    কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট? (Hearing)

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে শ্রবণশক্তির সমস্যা বাড়ছে। অধিকাংশ মানুষের শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতের ৬৩ মিলিয়ন মানুষ শ্রবণযন্ত্রের গুরুতর সমস্যার ভুগছেন।‌ যার প্রভাবে তাদের শ্রবণ ক্ষমতা কমেছে। বাদ নেই শিশুরাও। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সদ্যোজাত থেকে ছ’বছর বয়সি শিশুদের ২৩ শতাংশের শ্রবণ সমস্যা রয়েছে। আর সদ্যোজাত থেকে ১৯ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের ২০ শতাংশ শ্রবণ অক্ষমতার শিকার। এই পরিসংখ্যান‌ যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন শ্রবণ সমস্যা বাড়ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে শ্রবণ সমস্যা বাড়ার প্রধান‌ কারণ অসচেতনতা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ শ্রবণযন্ত্রের যত্ন সম্পর্কে একেবারেই ধারণা রাখেন না। তীব্র শব্দ যে কতখানি গভীর প্রভাব ফেলতে পারে, সে সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের সচেতনতা খুবই কম। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর দীপাবলির পরে ভারতের একাধিক হাসপাতালে শ্রবণ সমস্যায় ভুক্তভোগীর সংখ্যা বাড়ে। তারপরেও‌ সচেতনতা তলানিতে। যে কোনও উৎসবে শব্দবাজির দাপট অব্যাহত। এর ফলে কানের পর্দায় মারাত্মক চাপ পড়ছে। অনেক সময়েই ভিতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যা বোঝা যাচ্ছে না। আর সেই আঘাত থেকেই অকাল বধির হয়ে যাচ্ছেন। আর এর প্রভাব‌ শিশুদের উপরেই সবচেয়ে বেশি‌ পড়ছে। শিশুদের শ্রবণযন্ত্র আরও বেশি স্পর্শকাতর হয়। ফলে লাগাতার তীব্র আওয়াজে তাদের আরও বেশি ক্ষতি হচ্ছে।‌ যার জেরেই শিশুদের মধ্যে শ্রবণ সমস্যা (Hearing) বাড়ছে।
    শব্দ দূষণের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ ও ভাইরাসের দাপট বেড়ে‌ যাওয়ার জেরেও শ্রবণ সমস্যা দেখা‌ দিচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত এক দশকে পৃথিবী জুড়ে‌ নানান ভাইরাসঘটতি অসুখের দাপট বেড়েছে। এর ফলে শরীরের নানান অঙ্গে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ভাইরাসঘটিত অসুখ সেরে গেলেও, তার প্রভাব শরীরের নানান অঙ্গে থেকে যাচ্ছে। সেই অঙ্গের কার্যশক্তি কমছে। শ্রবণ শক্তি হ্রাসের পিছনেও অনেক সময় এই কারণ দেখা যাচ্ছে।‌

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Hearing)

    শ্রবণ সমস্যা নিয়ে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্রবণ ক্ষমতা অনেকের ধীরে ধীরে কমে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে রোগ চিহ্নিত করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। তখন চিকিৎসার বিশেষ সুযোগ থাকে না। তাই তাঁদের পরামর্শ, শ্রবণ শক্তি হ্রাস পাচ্ছে কিনা, সে নিয়ে সচেতনতা জরুরি।‌ বিশেষত শিশু ঠিকমতো শুনতে পাচ্ছে কিনা, শব্দের খেয়াল করতে পারছে কিনা, সে দিকে অভিভাবকদের নজরদারি জরুরি। তাহলে সমস্যা দেখা দিলে প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়া যাবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান‌ করার চেষ্টা করা যাবে।
    পাশপাশি শ্রবণ সমস্যার এই বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে একমাত্র হাতিয়ার সচেতনতা এবং প্রশাসনিক তৎপরতা বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাধারণ মানুষকে শব্দ দূষণ নিয়ে সচেতন করতে হবে। দরকার হলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে স্কুল স্তর থেকেই নানান কর্মশালার আয়োজন করতে হবে।‌ পাশপাশি শব্দ দূষণ করলে তার আইনানুগ শাস্তি জরুরি। প্রশাসনকে সেই ব্যাপারে তৎপর হতে হবে। তবেই এই সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Climate change: তাপমাত্রার রকমফেরে ভোগান্তির শেষ নেই! কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    Climate change: তাপমাত্রার রকমফেরে ভোগান্তির শেষ নেই! কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শেষ নাকি বসন্তের শুরু, স্পষ্ট করে বোঝা মুশকিল। সকালে গাঢ় কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া। আবার বেলা বাড়তেই অস্বস্তি! সব মিলিয়ে আবহাওয়ার হাবভাব (Climate change) টের পাওয়া কঠিন। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে! আর তার জেরেই বাড়ছে ভোগান্তি। বিশেষত প্রবীণ ও শিশুদের নিয়ে বাড়তি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা জরুরি। না হলেই বাড়াবাড়ি হতে পারে।

    কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে? (Climate change)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। আর তার জেরেই বাতাসে নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ছে। সক্রিয় হচ্ছে নানান ব্যাকটেরিয়া। আর তার জেরেই নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ভাইরাস ঘটিত রোগের জেরে দেখা দিচ্ছে সর্দি-কাশি এবং জ্বর। বিশেষত শিশুদের এই সময়ে জ্বরের প্রকোপ বেশি‌ দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রবীণদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কাশি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্রবীণ মানুষই‌ ফুসফুসের অসুখে কাবু। বায়ুদূষণ সহ একাধিক কারণে তাঁদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমছে। তার উপরে বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হওয়ায় শ্বাসনালী এবং ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাশি কমতে অনেকটাই সময় নিচ্ছে। অর্থাৎ সংক্রমণের দাপট অত্যন্ত বেশি। তাই ভোগান্তি বাড়ছে।
    শ্বাসনালীর সংক্রমণের জেরেও নানান ভোগান্তি দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই হাঁপানির সমস্যায় আক্রান্তদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে সর্দি-কাশি। তাই বছরের এই সময়ে তাঁদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি।
    তাছাড়া, এই সময়ে পেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের জেরে পেটের অসুখ দেখা দিচ্ছে। হজমের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।

    চিকেন পক্স

    তবে বছরের এই সময়ে চিকেন পক্স নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়েই এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই এই সময়ে যাতে সর্দি-জ্বর কাবু করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এসবের পাশপাশি বছরের এই ঋতু পরিবর্তনের সময়ে (Climate change) অনেকেই ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। এই সময়ে আবহাওয়ার জেরে এক ধরনের শুষ্কতা দেখা দেয়। তার ফলেই ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Climate change)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ভোরে বা সন্ধ্যায় বাইরে থাকলে গলা ও মাথা হালকা কাপড়ে ঢেকে রাখলে ভালো। বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণদের জন্য এই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডা হাওয়ার জেরে অনেক সময়েই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে ইনফেকশন হয়ে যায়। আর তার থেকেই জ্বর-কাশির মতো ভোগান্তি শুরু হয়। তাই সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
    পাশপাশি রাতে ঘুমানোর সময় পাতলা চাদর অবশ্যই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাতে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি কমবে।
    দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীর শক্তিশালী থাকা দরকার। তাই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো প্রয়োজন। তাই এই সময়ে (Temperature variation) নিয়মিত লেবুর রস খাওয়া দরকার। কারণ লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমায়। আবার ভিটামিন সি ত্বকের জন্যও উপকারী। তাই এই লেবু, কিউই জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে ত্বকের শুষ্কতার সমস্যাও কমবে।
    পেটের অসুখ মোকাবিলায় এই সময়ে (Climate change) অতিরিক্ত পরিমাণ জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে আবহাওয়া শুষ্ক হয়। শরীরে যাতে জলের পরিমাণ কমে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তাতে কমবে।
    সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছ-মাংস-ডিমের মতো প্রাণীজ প্রোটিন হোক কিংবা সব্জি, যেকোনও রান্না কম তেলমশলায় করতে হবে। যাতে হজম সহজেই হয়। তাহলে একাধিক অসুখ মোকাবিলা সহজ হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share