Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Operation Akhal: ‘অপারেশন অখল’-এ শহিদ দুই জওয়ান, আহত আরও দুই, খতম ১ জঙ্গি

    Operation Akhal: ‘অপারেশন অখল’-এ শহিদ দুই জওয়ান, আহত আরও দুই, খতম ১ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) কুলগামে জঙ্গি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে রাতভর গুলির লড়াই চলছে (Operation Akhal)। গত ৯ দিন ধরে চলতে থাকা ‘অপারেশন অখল’-এ এদিন শহিদ হয়েছেন দুই জওয়ান এবং আহত হয়েছেন আরও দুইজন। এক জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। এই অপারেশনে এখন পর্যন্ত দশ জওয়ান আহত হয়েছেন।অখল জঙ্গলে ঘাঁটি করেছে জঙ্গিরা, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে সেনা। ওই ঘন জঙ্গলে ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে কয়েকটি গুহা। সেনাবাহিনীর অনুমান, ওই গুহার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। কোথায় কোথায় তারা রয়েছে, তার খোঁজে ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী।

    শহিদ দুই জওয়ানের নাম (Operation Akhal)

    শহিদ দুই জওয়ানের মধ্যে একজন হলেন ল্যান্সনায়েক প্রীতপল সিং এবং অন্যজন সিপাই হরমিন্দর সিং। গুলিতে আহত হওয়ার পর তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষরক্ষা করা যায়নি। আহত দুই জওয়ান এখনও চিকিৎসাধীন। প্রসঙ্গত, এই অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট পাঁচ জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়েছে। অভিযানটি শুরু হয় ১ অগাস্ট। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে অবস্থিত একটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছোট গ্রামের নাম অখল, সেই নাম অনুসারেই অপারেশনের নামকরণ হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী, এরপর থেকেই শুরু হয় গুলির লড়াই।

    খতম হয়েছে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গি (Operation Akhal)

    এদিকে শ্রীনগরে ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। এই প্রসঙ্গে লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে জঙ্গিরা পালাতে পারেনি এবং উদ্ধার হয়েছে সেই আগ্নেয়াস্ত্র, যা পহেলগাঁওয়ে পর্যটক হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছিল। এই ঘটনার ঠিক পাঁচদিন পরেই ফের জঙ্গি দমনে সক্রিয় হয় ভারতীয় সেনা। সেনার তল্লাশি অভিযানের খবর পেয়ে জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ শুরু করে, যার জবাবে পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় সেনা। এখনও সেই লড়াই অব্যাহত রয়েছে (Operation Akhal)।

  • Pakistan: ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ আকাশ সীমা, বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের

    Pakistan: ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ আকাশ সীমা, বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) ভারতীয় বিমানগুলির জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করায়, বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে পাকিস্তানি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত দুই মাসে এই সিদ্ধান্তের কারণে পাকিস্তানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১,২৪০ কোটি টাকা। পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদপত্র ডন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই আর্থিক ক্ষতির কথা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সংসদে স্বীকার করেছেন। শুক্রবার পাকিস্তানের সংসদে তিনি এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দেন।

    পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের প্রতিবেদন

    ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৩ এপ্রিল ভারত ‘সিন্ধু জল চুক্তি’ স্থগিত করে, আর তার পরদিন, ২৪ এপ্রিল, পাকিস্তান ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় (Indian Flights)। কিন্তু এই সিদ্ধান্তই পরে “বুমেরাং” হয়ে ফিরে এসেছে পাকিস্তানের জন্য। কারণ, এতে পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

    কী বলছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    পাকিস্তানি (Pakistan) বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৪ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কালে ভারতীয় ১০০ থেকে ১৫০টি বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আকাশসীমা বন্ধ থাকায় একটিও যেতে পারেনি, যার ফলে এই বিপুল লোকসান হয়েছে। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মতে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও প্রতিরক্ষা অর্থনৈতিক লাভের চেয়েও অনেক বড় বিষয়।

    পাকিস্তান (Pakistan) সরকারের প্রকাশিত ডেটা

    তবে পাকিস্তান সরকারের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫ লাখ ৮ হাজার মার্কিন ডলার আয় করত। অথচ ২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, সেই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার প্রতি দিনে। অর্থাৎ, কয়েক বছরে পাকিস্তানের বিমান চলাচল সংক্রান্ত রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত যে পাকিস্তানের জন্য এক বিপুল আর্থিক ধাক্কা হয়ে এসেছে, তা সহজেই অনুমেয়। সুতরাং, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে আকাশসীমা বন্ধ করাটা স্বার্থরক্ষার বার্তা দিলেও, আর্থিক দিক থেকে তা পাকিস্তানের জন্য একপ্রকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলেই বিশ্লেষকদের মত।

  • Operaton Sindoor: “অপারেশন সিঁদুরে আমরা যেন দাবা খেলছিলাম”, বললেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী

    Operaton Sindoor: “অপারেশন সিঁদুরে আমরা যেন দাবা খেলছিলাম”, বললেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অপারেশন সিঁদুরে (Operaton Sindoor) আমরা যেন দাবা খেলছিলাম, কারণ আমরা জানতাম না শত্রুর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে,”—এমনটাই বললেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Upendra Dwivedi)। শনিবার তিনি উপস্থিত ছিলেন আইআইটি মাদ্রাজে, যেখানে তিনি সেনাবাহিনীর নতুন গবেষণা প্রকল্প ‘অগ্নি’-এর উদ্বোধন করেন। সেখানেই তিনি এই মন্তব্যগুলি করেন।

    কী বললেন সেনাপ্রধান (Operaton Sindoor)?

    তিনি আরও বলেন, “অপারেশন সিঁদুর (Operaton Sindoor) একটি ধূসর যুদ্ধ। অর্থাৎ, এটি কোনো প্রথাগত সামরিক অভিযান ছিল না। ঠিক দাবা খেলার মতো, কখনও কখনও আমরা শত্রুকে ‘চেকমেট’ দিচ্ছিলাম, আবার অনেক সময় আমাদেরও মারাত্মক ঝুঁকি নিতে হয়েছে। কিন্তু এটাই জীবন।”

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় স্তম্ভিত হয়েছিল দেশ

    অপারেশন (Operaton Sindoor) নিয়ে বলতে গিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “২২ এপ্রিল, পেহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছিল, তাতে গোটা দেশ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। ঠিক তার পরের দিন, ২৩ এপ্রিল, আমরা সবাই একসঙ্গে বসি। সেই সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং স্পষ্টভাবে বলেন, ‘এবার যথেষ্ট হয়েছে।’ তিন বাহিনীর প্রধানরাও বুঝে যান, এবার বড় কিছু হতে চলেছে। এরপর সরকার আমাদের সম্পূর্ণ ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেয়—নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা।” তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল এক গভীর রাজনৈতিক আত্মবিশ্বাস, স্পষ্ট দিশা ও স্বচ্ছতা—যা আমরা প্রথমবারের মতো অনুভব করি।”

    ২৯ এপ্রিল বৈঠক করি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে

    সেনাপ্রধান (Upendra Dwivedi)বলেন, “২৫ এপ্রিল আমরা নর্দান কমান্ডে পরিদর্শনে যাই। সেখানে আমরা পরিকল্পনা করি এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বুঝে নিই কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি আমাদের লক্ষ্য হবে। নয়টি জঙ্গি ঘাঁটির মধ্যে সাতটি আমরা ধ্বংস করতে পেরেছিলাম এবং অসংখ্য জঙ্গিকে খতম করতে পেরেছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “২৯ এপ্রিল আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করি। সেটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত। কীভাবে একটি ছোট্ট নাম—‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operaton Sindoor)—সারা দেশকে আবেগে ভাসিয়ে দিয়েছিল, তা সত্যিই অবিস্মরণীয়।”

  • ISRO: কালামের নামে নতুন রকেট ইঞ্জিনের সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষা, বছর শেষে পাড়ি দিতে পারে মহাকাশে

    ISRO: কালামের নামে নতুন রকেট ইঞ্জিনের সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষা, বছর শেষে পাড়ি দিতে পারে মহাকাশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ইসরো (ISRO) ঘোষণা করেছে যে তারা প্রথম কঠিন জ্বালানির রকেট কালাম-১২০০ এর (KALAM 1200) সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষা করতে পেরেছে। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এই  স্ট্যাটিক পরীক্ষা, সম্পন্ন হয়েছে। ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কালাম-১২০০ যে ইঞ্জিন, তা ১১ মিটার লম্বা এবং এটি ৩০ টন কঠিন প্রোপেলান্ট বহন করতে সক্ষম।  ইসরো এটিকে একটি বড় মাইলফলক বলে অভিহিত করেছে এবং নিজেদের এক্স (X) হ্যান্ডলে তারা লিখেছে, স্কাইরুট এরোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড দ্বারা বিক্রম-অ্যাক্স ভেহিকল এর প্রথম পর্যায়ে কালাম-১২০০ সলিড মোটরের সকল স্ট্যাটিক পরীক্ষা সম্পন্ন হল, যা একটি বড় মাইলফলক।

    প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালামের নামেই এই ইঞ্জিন (ISRO)

    দেশের রকেট প্রযুক্তি গবেষণা, যুদ্ধবিমান নির্মাণ ও পরমাণু পরীক্ষায় অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ডিআরডিও, শ্রীহরিকোটা উপকূলে ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের নামকরণও করেছে আবদুল কালামের নামে। এবার একটি কঠিন জ্বালানি চালিত রকেট ইঞ্জিন তৈরি করে তার সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষাও করল ভারতের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা (KALAM 1200)।

    ভারতে প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত রকেট হল বিক্রম-এস

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন একটি স্টার্টআপ সংস্থা, তার নাম স্কাইরুট এ্যারোস্পেস। তারাই সম্প্রতি সফলভাবে তৈরি করেছে কালাম-১২০০ নামের ওই রকেট ইঞ্জিনটি। চলতি বছরের শেষে এই স্কাইরুট এ্যারোস্পেস তাদের এই নতুন রকেট বিক্রম-১ কে মহাকাশে পাঠাতে পারে বলে খবর, এবং তাতেই ব্যবহৃত হবে আবদুল কালামের নামে নামাঙ্কিত এই ইঞ্জিনটি (ISRO)। এক্ষেত্রে বলা দরকার, ভারতে প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত রকেট হল বিক্রম-এস — এরও নির্মাতা ছিল স্কাইরুট এ্যারোস্পেস (২০২২ সালের নভেম্বর)। প্রসঙ্গত, ১ দশক আগেই দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও টেনে আনার জন্য আলাদা একটি সংস্থা করার প্রস্তাব পাস হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই সংস্থার (ISRO) নাম দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (IN-SPACe)।

  • Indian Railways: সাড়ে চার কিমি লম্বা, চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন রুদাস্ত্রের, ভিডিও পোস্ট রেলমন্ত্রীর

    Indian Railways: সাড়ে চার কিমি লম্বা, চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন রুদাস্ত্রের, ভিডিও পোস্ট রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন “রুদ্রাস্ত্র”-এর (Rudrastra)। ৪.৫ কিলোমিটার (সাড়ে চার কিলোমিটার) দীর্ঘ এই ট্রেনে রয়েছে ৩৫৪টি বগি এবং ৭টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন, যা এই বিশাল মালবাহী ট্রেনটিকে টেনে নিয়ে চলে। উত্তরপ্রদেশের গঞ্জ খোয়াজা স্টেশন থেকে ঝাড়খণ্ডের গড়ুয়া রোড স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ট্রেনটি সময় নিয়েছে প্রায় ৫ ঘণ্টা, যার গড় গতি ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ ট্রেন চালুর (Indian Railways) ফলে রেলের সময় ও পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে সাশ্রয় হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ভিডিও পোস্ট করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Indian Railways)

    এই রেকর্ডগড়া ট্রেনের ভিডিও ইতোমধ্যে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ তিনি লেখেন, “রুদ্রাস্ত্র” — ভারতের দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন (Rudrastra)।

    বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেনের রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে

    যদিও “রুদ্রাস্ত্র” ভারতের তথা এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন (Indian Railways), তবে বিশ্ব রেকর্ড এখনও রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার খনিজ কোম্পানি BHP-এর দখলে। সেই ট্রেনটির দৈর্ঘ্য ৭.৩ কিলোমিটার, অর্থাৎ রুদ্রাস্ত্রের থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার বেশি। BHP-র ট্রেনটিতে রয়েছে ৬৮২টি ওয়াগন — যা রুদ্রাস্ত্রের তুলনায় প্রায় ৩২৮টি বেশি।

    রূদ্রাস্ত্র কেন বিশেষ, কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “রুদ্রাস্ত্র (Indian Railways) আমাদের ভবিষ্যতের রেল লজিস্টিকস নীতির রূপরেখা দিচ্ছে। পরিবহন খরচ কমানো, সময় বাঁচানো এবং অধিক পরিমাণ পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিকল্প গড়ে তোলার দিকে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।” এই ধরনের দীর্ঘ মালবাহী ট্রেন ভবিষ্যতে ভারতে আরও চালু হলে, সড়ক পরিবহনের উপর চাপ কমবে। একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ পণ্য সহজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানো যাবে। ভারতীয় রেলওয়ে “রুদ্রাস্ত্র” প্রকল্পকে শুধুমাত্র একটি ট্রেন পরিচালনার ঘটনা হিসেবে দেখছে না, বরং একে দেশের রেল পরিবহন ব্যবস্থায় যুগান্তকারী উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করছে।

  • Daily Horoscope 10 August 2025: কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 10 August 2025: কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) উচ্চপদ লাভ করতে পারেন।

    ২) কিছু কাজ সম্পন্ন না-হওয়ায় মেজাজ খিটখিটে হবে, সতর্ক থাকুন।

    ৩) মায়ের তরফে ধন লাভ হতে পারে।

    বৃষ

    ১) পরিবারে সুখ-শান্তির পরিবেশ থাকবে।

    ২) পরিবারে শুভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে।

    ৩) বয়স্ক ব্যক্তির কাছ থেকে ধন লাভ।

    মিথুন

    ১) নিজের সন্তানের কাজ দেখে আনন্দিত হবেন।

    ২) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    ৩) চাকরি ও ব্যবসায়ে অংশীদার এবং সহকর্মীদের পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করবেন।

    কর্কট

    ১) সন্তান সুখ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) আত্মীয়দের কাছ থেকে বস্ত্র উপহার পেতে পারেন।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্যে মনের হতাশা সমাপ্ত হবে।

    সিংহ

    ১) স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।

    ২) পেট খারাপ হতে পারে, বদহজমের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখুন।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) আপনাদের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে।

    ৩) আয় বৃদ্ধি হওয়ায় আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    তুলা

    ১) কঠিন পরিস্থিতির শিকার হবেন।

    ২) আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও কাজ হতে পারে, এর ফলে মন অশান্ত হবে।

    ৩) পরিবারে সমস্ত কিছু ভালো থাকবে, আপনাদের মনোবল বাড়বে।

    বৃশ্চিক

    ১) আপনজনদের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ২) বড় কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

    ৩) কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্যে আটকে থাকা টাকা ফিরে পেতে পারেন।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্রে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে, তখনই সাফল্য লাভ সম্ভব।

    ২) বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    ৩) সম্পত্তির কারণে বিবাদ হতে পারে।

    মকর

    ১) অর্থ ও যশ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) কাজ বাড়বে।

    ৩) শত্রু ধ্বংস হবে।

    কুম্ভ

    ১) সতর্ক থাকলে কাজ সম্পন্ন হবে।

    ২) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতভেদ উৎপন্ন হতে পারে।

    ৩) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    মীন

    ১) বাড়িতে কোনও বন্ধু বা আত্মীয়ের আগমন হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির মাধ্যমে আয়ের নতুন উৎস আসবে।

    ৩) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দিনটি ভালো।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সময় পাকিস্তানের অন্তত ৬টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল ভারত। শনিবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। বায়ুসেনা প্রধান জানান, ভারত ‘সুদর্শন চক্র’ অর্থাৎ এস-৪০০ ব্যবহার করে ধ্বংস করেছিল ৫টি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। এছাড়াও, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জ্যাকোবাবাদে থাকা এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গারেও নিখুঁত ভাবে আঘাত হানা হয়েছিল বলে দাবি করলেন এপি সিং। তিনি দাবি করেছেন, এই হামলাতেও হ্যাঙ্গারের মধ্যে থাকা বিমানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

    পাক হামলার মোক্ষম জবাব ভারতের

    অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর এই প্রথম প্রকাশ্যে কথা বললেন বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিহ্নিত কিছু জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। ওই সময় পাকিস্তানের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়নি। কিন্তু ভারতের অভিযানের পরে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের উপর হামলা শুরু করে। জবাব দেয় ভারতও। ওই সংঘর্ষের আবহে অন্তত ছ’টি পাকিস্তানি বিমান ধ্বংস করেছে বায়ুসেনা। শনিবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় এমনটাই জানালেন বায়ুসেনা প্রধান।

    সুদর্শন চক্রের সাফল্য

    শনিবার বেঙ্গালুরুতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে মন্তব্যের সময় বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান আমরা নিশ্চিত ভাবে ধ্বংস করেছি। এ ছাড়া একটি বড় (সামরিক) বিমান রয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা করা হয়েছিল।” অমরপ্রীত জানান, এখনও পর্যন্ত ভূমি থেকে আকাশে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় রেকর্ড। বায়ুসেনা প্রধান জানান, এই ছ’টি পাকিস্তানি বিমানকেই ধ্বংস করা হয়েছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ব্যবহার করে। ভারত এর নাম দিয়েছে সুদর্শন চক্র। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। এর পরেই অপারেশন সিঁদুর শুরু করে সেনাবাহিনী। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। তার জবাব দেয় ভারতও। এই সংঘর্ষের সময়েই যুদ্ধবিমানগুলি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা।

    এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস!

    এদিন বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল লক্ষ্মণ মাধব কাত্রের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং বলেন, “জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটিতে এফ-১৬ বিমানের হ্যাঙ্গার আছে। হ্যাঙ্গারের অর্ধেকটাই উড়ে গিয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভিতরে কিছু বিমান ছিল, সেগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।” বস্তুত, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আমেরিকা তৈরি করে। আমেরিকার থেকেই এই যুদ্ধবিমান কেনে পাকিস্তান। ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিন্টন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয় এফ-১৬ সংক্রান্ত। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিষয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধানের এই মন্তব্যও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    রাশিয়ার তৈরি অস্ত্রের সাফল্য

    একইসঙ্গে শনিবার বেঙ্গালুরুতে ওই অনুষ্ঠানে এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং বলেছেন, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স দুরন্ত কাজ করেছে। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ সিস্টেম, যেটা আমরা সম্প্রতি মোতায়েন করেছিলাম সেটা খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ওই সিস্টেমের শক্তি ওদের বিমানগুলিকে সত্যিই দূরে রেখেছিল। যেমন ওদের কাছে থাকা দূরপাল্লার গ্লাইড বোমাগুলির মতো অস্ত্রকে ওরা ব্যবহারই করতে পারেনি। কারণ এই সিস্টেমটাকে ওরা ভেদই করতে পারেনি।” বর্তমানে উদ্ভূত কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য বর্ণনাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে ভারত জ্বালানি এবং অস্ত্র কেনায় অসন্তুষ্ট আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে তা একাধিক বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখার জন্য নয়াদিল্লির উপর বাড়তি শুল্কও চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে শনিবার রাশিয়ার তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য তুলে ধরলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান।

    যুদ্ধবিরতি ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না

    ভারত হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের বায়ুসেনার শক্তির সমূলে আঘাত হানে বলেও জানিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল। বায়ুসেনা প্রধানের মতে, এর পরে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানানো ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না। জঙ্গি ঘাঁটিগুলোর ‘বিফোর অ্যান্ড আফটার’ স্যাটেলাইট ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। বাহাওয়ালপুরে চুরমার হয়ে যাওয়া জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, পাশের কোন বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। সব অক্ষত রয়েছে। আমাদের কাছে শুধু স্যাটেলাইট ছবি নয়, স্থানীয় মিডিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ছবিও আছে।’ লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর মুরিদকের ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। তাঁর কথায়, ‘এগুলো ওদের অফিস। এখানেই বৈঠক করত।’ তাঁর দাবি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

  • US Tariffs: ভারতীয় রফতানির উপর ট্রাম্পের শুল্কবাণ, ক্ষতিগ্রস্ত খাতে সহায়তা প্যাকেজ আনছে মোদি সরকার

    US Tariffs: ভারতীয় রফতানির উপর ট্রাম্পের শুল্কবাণ, ক্ষতিগ্রস্ত খাতে সহায়তা প্যাকেজ আনছে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত থেকে রফতানি করা পণ্যে বাড়তি ২৫ শতাংশ কর চাপিয়েছে আমেরিকা। ২৭ অগস্ট থেকে ভারতের রফতানিকৃত পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক (US Tariffs) বসানোর কথা জানিয়েছে আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। স্বভাবতই এর কারণে যে সব দেশ আমেরিকায় পণ্য রফতানি করে, তাদের সঙ্গে কঠিন প্রতিযোগিতায় নামতে হবে ভারতকে। অনেক ক্ষেত্রে সেই দেশগুলি বাড়তি সুবিধা পাবে। মার খাবে বেশ কিছু পণ্যের রফতানি। কিন্তু কোনওভাবেই এতে চাপে পড়তে নারাজ দিল্লি। বিকল্প সব পথ খুলে রাখার চিন্তা করছে মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই ভারতীয় রফতানির উপর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত বিপুল হারে শুল্কের প্রেক্ষিতে, এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলির জন্য একটি বিশেষ সহায়তা প্যাকেজ আনার চিন্তাভাবনা করছে ভারত সরকার। এই প্যাকেজের মাধ্যমে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর রফতানি সম্ভাবনাকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পথকেও সুনিশ্চিত করতে চায়।

    কোন কোন দ্রব্য আমেরিকায় রফতানি করে ভারত

    বর্তমানে, ভারতীয় পণ্যের উপর আমেরিকার মোট শুল্ক প্রায় ৫০ শতাংশ — যেখানে ২৫ শতাংশ প্রাথমিক শুল্ক এবং অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ আরোপিত হয়েছে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে। এই শুল্কের দ্বারা প্রভাবিত খাতগুলোর মধ্যে প্রধানত শ্রমনির্ভর শিল্প যেমন সামুদ্রিক পণ্য, খাদ্যদ্রব্য এবং বস্ত্র শিল্প অন্তর্ভুক্ত। এই প্রথাগত ও স্থানীয় শিল্পগুলোর অস্তিত্ব এবং বিকাশের জন্য বৈদেশিক বাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকারের সহায়তা প্যাকেজ এই শিল্পগুলোর রফতানি সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত জরুরি। আমেরিকা ভারতের থেকে দামি জহরত, গয়না, কাপড়, সামুদ্রিক মাছ, গাড়ির যন্ত্রাংশ কেনে। সেই ব্যবসাই সাময়িক ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা বণিকমহলের। বাংলাদেশ, ভিয়েতনামের মতো দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে কম শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। আমেরিকায় পণ্য রফতানির প্রতিযোগিতায় সেই দেশগুলি ভারতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে এ দেশের রফতানিকারক সংস্থাগুলির একাংশ।

    সামুদ্রিক মাছ

    ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি কার্যকর হলে সবচেয়ে বেশি মার খাবে ভারতের সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণীর ব্যবসা। ভারত যত সামুদ্রিক মাছ (সিফুড) রফতানি করে, তার ৪০ শতাংশই যায় আমেরিকায়। প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ সে দেশে রফতানি করে ভারত। সবচেয়ে বেশি রফতানি করে চিংড়ি। এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর কথা আগে ভাবছে মোদি সরকার। বিশেষত খাদ্যদ্রব্য ও সামুদ্রিক পণ্যের মতো খাতে পণ্যের স্থায়িত্ব কম এবং লাভের মার্জিনও সীমিত। এই খাতের উপর নির্ভরশীল মানুষজন প্রধানত কৃষক এবং গ্রামীণ পটভূমি থেকে আসা। তাই এই গ্রামের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে স্বল্পমেয়াদে সহায়তা প্যাকেজ অত্যাবশ্যক, বলে মনে করে কেন্দ্র।

    কাপড়-ব্যবসা, জহরত, গয়না, গাড়ির যন্ত্রাংশ

    নয়ডা, সুরাটের কাপড় রফতানিকারক সংস্থাগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমেরিকায় রফতানির জন্য কাপড় তৈরি আপাতত স্থগিত রাখবে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলো মনে করছে, নতুন এই শুল্কনীতির প্রভাব ব্যবসার উপরে কিছুটা হলেও পড়বে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে আমেরিকায় ৮৩ হাজার কোটি টাকার জহরত এবং পাথর বসানো গয়না রফতানি করেছে ভারত। এ দেশের জহরত কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাজার হল আমেরিকা। জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কিরীট ভন্সালী জানিয়েছেন, আমেরিকার পরিবর্তে বিকল্প দেশে জহরত রফতানির পথ দেখবে ভারত। তাদের নজরে রয়েছে দুবাই, মেক্সিকো। ভারত যত পরিমাণ গাড়ির যন্ত্রাংশ রফতানি করে বিভিন্ন দেশে, তার অর্ধেকই যায় আমেরিকায়। প্রায় ৬১ হাজার কোটি টাকার যন্ত্রাংশ রফতানি করা হয়।

    রাশিয়া থেকে আরও তেল

    ভারতীয় বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেন ট্রেড (IIFT)-এর অধ্যাপক রাম সিং বলেন, “ভারত রাশিয়া থেকে আরও কিছু ছাড়ে তেল কেনার কথা বলতে পারে। সেখান থেকে সাশ্রয় হওয়া অর্থ রফতানিকারীদের সহায়তা প্যাকেজে ব্যয় করা যেতে পারে, যাঁরা আমেরিকান শুল্কের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।” আমেরিকার বাড়তি শুল্কের ফলে ভারতীয় রফতানিকারীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদেরকে দ্রুত আমেরিকায় পণ্য রফতানির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক রাম সিং জানান, “আমেরিকায় নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে থ্যাঙ্কসগিভিং, বড়দিন এবং নিউ ইয়ার উপলক্ষে বিক্রি সর্বাধিক হয়। তাই এই সময়ে পাঠানোর জন্য রফতানিকারীদের বলা হয়েছে তাঁদের পণ্য আগে থেকেই পাঠাতে, যাতে বাড়তি শুল্কের প্রভাব কিছুটা হলেও কমানো যায়।” সহায়তা প্যাকেজে উচ্চ ভর্তুকি, সহজ ঋণ প্রাপ্তির সুবিধা, রফতানির জন্য নতুন বাজার সন্ধান এবং রফতানির নিয়মকানুন শিথিল করার মতো একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে বাণিজ্যমন্ত্রক। ভারত সরকার (India Plans on Tariff) যে এই পরিস্থিতিতে সহায়তা প্যাকেজ বিবেচনা করছে, তা শ্রমনির্ভর ও দুর্বল খাতগুলোর স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিকেও সুরক্ষিত রাখার একটি সঠিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ, বলেই মনে করছে বণিক মহল।

  • Election Commission of India: ৭২ ঘণ্টা! বাংলার চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission of India: ৭২ ঘণ্টা! বাংলার চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই ইআরও-সহ চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা নিয়ে নির্দেশ পালন করেনি নবান্ন। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে সেই কথা মনে করিয়ে আবার চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে এ বিষয়ে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিশন। চার অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য মুখ্যসচিবকে কমিশন (Election Commission of India) সুপারিশ করেছিল। বরখাস্ত এবং এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশ কেন কার্যকর করা হয়নি। সোমবার তিনটের মধ্যে এই নিয়ে উত্তর দিতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে বার্তা দিল কমিশন।

    চার অফিসারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা

    ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের চার অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৫ অগাস্ট মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিল কমিশন। বারুইপুর পূর্বের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং এখানকার এইআরও তথাগত মণ্ডল আর ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার এবং এই বিধানসভা কেন্দ্রের এইআরও সুদীপ্ত দাসকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআরেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের পাশাপাশি সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কমিশনের ওই পদক্ষেপ নিয়ে ২ দিন আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ঝাড়গ্রামে এক সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, “বাংলার সরকারি অফিসারদের বলব নিশ্চিন্তে থাকবেন। আমরা আপনাদের জীবন দিয়ে রক্ষা করব।”

    মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ

    মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে তারা। সেই সঙ্গে কমিশনের (Election Commission of India) ব্যাখ্যা, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর ধরে হতে পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সংবিধানের ৩২৪ ধারা কমিশনকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি করা এবং নির্বাচন করানোর। সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। এই আবহে চারদিন কেটে গেলেও অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই ফের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।

  • Piyush Goyal On Tariff: ‘কারও কাছে মাথা নত না করেই জয়ী হবে ভারত’, শুল্ক-হুমকির মুখে স্পষ্ট বার্তা বাণিজ্য মন্ত্রীর

    Piyush Goyal On Tariff: ‘কারও কাছে মাথা নত না করেই জয়ী হবে ভারত’, শুল্ক-হুমকির মুখে স্পষ্ট বার্তা বাণিজ্য মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত কারও কাছে মাথা নত করবে না। এরকম অনেক পরিবর্তন দেখেছে ভারতবাসী। তারা সবসময় দুর্যোগকে সুযোগে পরিণত করেছে। বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। বিভিন্ন দেশ ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অযৌক্তিক শুল্ক চাপানোর প্রেক্ষিতে এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ‘বিটি ইন্ডিয়া@১০০’ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে ট্যারিফ-বাণিজ্য একাধিক বিষয়ে বক্তব্য পেশ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিশ্ব-বাণিজ্যে ট্রাম্পের চাপানো অতিরিক্ত শুল্কের ফলে ভারতের পরিস্থিতি ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আজকের ভারত অনেক বেশি শক্তিশালী ও আত্মবিশ্বাসী। বার্ষিক সাড়ে ৬ শতাংশ হারে জিডিপি বৃদ্ধি হচ্ছে ভারতের এবং আগামিদিনে তা আরও হবে।”

    ভারতই ভরসা বিশ্বের

    ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। চিন্তা বাড়ছে বাণিজ্য নিয়ে। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সাফ জানিয়ে দিলেন, “আমার বিশ্বাস যে ভারত গত বছরের তুলনায় এই বছরে আরও বেশি রফতানি করবে। গোটা বিশ্ব জানে যে বিশ্ব প্রবৃদ্ধিতে ভারতের অবদান ১৬ শতাংশ, আমাদের শেয়ার বাজার, মুদ্রা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ বিশ্ব ভারতের ১.৪ বিলিয়ন মানুষের প্রতিভা নিয়ে কাজ করতে চায়। ভারতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।” ডি-গ্লোবালাইজেশন নয়, বরং দেশগুলি তাদের বাণিজ্যিক পথ ও সঙ্গী বদলাচ্ছে বলেই যুক্তি দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাণিজ্যিক যে বাধাগুলি আসছে, তা মোকাবিলা করার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

    ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি

    বিটি ইন্ডিয়া@১০০ শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন যে এটি ভারতের সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। প্রতিটি পরিস্থিতিতে ভারত দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যা সমগ্র দেশবাসীর মনোবল বাড়িয়েছে। পীযূষ গোয়েল বলেন, “আমাদের কৃষক, উদ্যোক্তাদের চিন্তা করার দরকার নেই, নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় ভারত এগিয়ে থাকবে। আজ ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি এবং বিশ্ব তার শক্তি স্বীকার করেছে।” সম্প্রতিই ইংল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। পীযূষ গোয়েল বলেন, “ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র বাণিজ্যে কর ছাড় থেকে অনেকটা এগিয়ে। আমরা ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি। বিশ্বের সবথেকে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া বড় অর্থনীতি আমাদের। বাকিদের জনসংখ্যা যেখানে ক্রমশ বৃদ্ধ হচ্ছে, আমাদের কাছে সেখানে যুব প্রজন্মের শক্তি রয়েছে।”

    দুর্যোগকে-সুযোগে পরিণত করবে ভারত

    ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “তারা তাদের দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য আমাদের বাজার উন্মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছে, কিন্তু আমরা এখনও পর্যন্ত কোনও বাণিজ্য চুক্তিতে এমন অনুমতি দিইনি। ভারত সরকার কৃষকদের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে কাজ করবে। ভারত এ জাতীয় অনেক পরিবর্তন দেখেছে এবং ভারতের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে। এই সময়ে, কেবল বিশ্বই নয়, ভারতও বাণিজ্যের নতুন পথে এগিয়ে চলেছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ১৯৯৯ সালে বিশ্বের আইটি শিল্পে যে সংকট দেখা দিয়েছিল, তার কথা উল্লেখ করেন, যা ওয়াই টু কে(Y2K) সংকট নামে পরিচিত। তিনি বলেন, “১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২ টায় সমস্ত ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে এবং বিশ্বে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তখন দেশে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকার ক্ষমতায় ছিল, তিনি এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখেছিলেন, বিভিন্ন উপায়ে তিনি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারি হস্তক্ষেপের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং তাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। আজ ভারতের আইটি শিল্পের মূল্য ৩০০ বিলিয়ন ডলার এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে কর্মসংস্থান দিচ্ছে। আমরা কখনও পিছনে ফিরে তাকাইনি।”

    করোনা মহামারীর সময়ও শক্ত ভারত

    পীযূষ গোয়েল এদিন করোনার সময়ের কথাও উল্লেখ করেন। বলেন, “এই অতিমারির সময়ও ভারত তার শক্তি দেখিয়েছে এবং সমস্ত জল্পনা-কল্পনা ভুল প্রমাণ করেছে। করোনা অতিমারির সময় মানুষ ভেবেছিল যে ভারত তা সহ্য করতে পারবে না এবং দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। কিন্তু ভারত তার সক্ষমতা দেখিয়েছে এবং আমরা কেবল দেশে টিকা নিয়ে গবেষণাই করিনি, বরং এটি তৈরিও করেছি। সেই সময় ভারত বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশকে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ করেছিল। এর মধ্যে দরিদ্র দেশগুলিও ছিল যাদের কেউ সাহায্য করতে প্রস্তুত ছিল না।”

    ভারত জয়ী হবেই

    তিনি জানান যে ইএফটিএ (EFTA) সদস্য দেশগুলি ভারতে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চলেছে। আগামী অক্টোবর মাসেই এই চুক্তি কার্যকর হবে এবং এতে ভারতে ১০ লাখ সরাসরি চাকরি ও মোট ৫০ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। ভারতের অর্থনীতি যে ডুবন্ত বা মৃত নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, দেশে অর্থভান্ডার, বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডার, স্টক মার্কেট মজবুত রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতিও বিশ্বের মধ্যে অন্যতম কম ভারতেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, ভারতে করোনার সময়কালে একজনও মানুষ অনাহারে মারা যায়নি, বরং সরকার ৮০ কোটি মানুষকে দ্বিগুণ রেশন সরবরাহ করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, “এই অতিমারি থেকে দ্রুত সেরে উঠে আমরা স্বাবলম্বী হয়েছি এবং আমাদের খাদ্য সরবরাহকারী কৃষকদের শক্তির কারণেই এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে। আমরা কোভিডকেও সুযোগে পরিণত করেছি। যত কঠিন পরীক্ষাই আসুক না কেন, ভারতই জয়ী হবে।”

LinkedIn
Share