Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Modi 3.0: জুন মাসে তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি, দেশজুড়ে পদযাত্রা করবে বিজেপি

    Modi 3.0: জুন মাসে তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি, দেশজুড়ে পদযাত্রা করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় মোদি সরকারের (Modi 3.0) এক বছর পূর্তি হতে চলেছে আগামী মাসেই। ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য মোদি সরকার ক্ষমতায় আসে। ২০১৯ সালে আবারও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জেতে বিজেপি। ২০২৪ সালের ৪ জুন ফলাফল প্রকাশিত হয়। তৃতীয়বারের জন্য ফের ক্ষমতায় আসে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার সামনে উড়ে যায় বিরোধী দলগুলি। ২০২৪ সালের ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোদি। তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বছরে অনেক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কর্মসূচি চূড়ান্ত করার জন্য বিজেপি দলীয় কর্মী এবং মন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করেছে। নরেন্দ্র মোদির জমানায় দেশে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশ, এই বার্তা পৌঁছে দেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তাঁদের নিজেদের সংসদীয় এলাকায় প্রতি সপ্তাহে দুইদিন করে তাঁরা অন্তত কুড়ি কিলোমিটার পদযাত্রা করবেন।

    মোদি সরকারের (Modi 3.0) সাফল্যগাথা তুলে ধরবে বিজেপি

    এই পদযাত্রায় বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীরাও যোগ দেবেন বলে জানানো হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে। ২০২৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১১ বছর পূর্ণ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi 3.0)। এই সময়ে দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য তাঁর করা একাধিক প্রকল্প তুলে ধরবেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। সাম্প্রতিক অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য সম্পর্কেও জনগণকে বোঝাবেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। কীভাবে মোদির নেতৃত্বে ভারত শক্তিশালী হয়েছে এবং পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়া গিয়েছে, সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

    ৯ জুন ‘জ্ঞান ভারত মিশন’ চালু করবেন প্রধানমন্ত্রী

    একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি আগামী ৯ জুন ‘জ্ঞান ভারত মিশন’ চালু করবেন। এর ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা এক কোটিরও বেশি পান্ডুলিপির সংরক্ষণ করা হবে ডিজিটাল মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৫৪৩টির মধ্যে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বে এনডিএ জোট যেতে ২৯৩টি আসনে। অন্যদিকে বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক জেতে ২৩৪টি আসনে। বিজেপি (BJP) একাই পায় ২৪০টি আসন। কংগ্রেস পায় ৯৯টি আসন। ২০২৪ সালের ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi 3.0) তৃতীয়বারের জন্য শপথ গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

  • Pakistan: এবার পাকিস্তানে জল বন্ধ করতে চলেছে আফগানিস্তান? বিপুল ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    Pakistan: এবার পাকিস্তানে জল বন্ধ করতে চলেছে আফগানিস্তান? বিপুল ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নদীর ওপর বাঁধ তৈরি করে পাকিস্তানে জল যাওয়া বন্ধ করতে চাইছে আফগানিস্তানের (Afghanistan) তালিবান সরকার। এই জল বন্ধ হলে পাকিস্তানকে (Pakistan) অতিরিক্ত ২২৫০ কোটি টাকা বহন করতে হবে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর থেকে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত রেখেছে নয়াদিল্লি। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, আফগানিস্তানের সঙ্গে নদীর জলবণ্টন নিয়ে ইসলামাবাদের কোনও চুক্তি নেই। এর ফলে যে কোনও নদীর ওপর ইচ্ছামতো বাঁধ নির্মাণ করতেই পারে তালিবান সরকার। কোনও চুক্তি না থাকায় এ ক্ষেত্রে কাবুলের উপর আন্তর্জাতিক চাপও পাকিস্তান করতে পারবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কোন কোন নদীর জলপ্রবাহ বন্ধ হতে পারে পাকিস্তানে?

    ১. কাবুল নদী – এই নদীটি হিন্দুকুশ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে, এর প্রধান উপনদীটি পাকিস্তানের পেশোয়ার এবং নওশেরা অঞ্চলে প্রবাহিত হয়।

    ২. কুনার নদী – আফগানিস্তানের (Afghanistan) এই নদীটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার অঞ্চলেক কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের অন্যতম বড় নদী হল কুনার। ৪৮০ কিলোমিটার লম্বা এই নদীটির জন্ম হিন্দুকুশের চিয়ানতার হিমবাহ থেকে। কুনার নদী মিশেছে কাবুল নদীতে। এই কুনার নদীর ওপর বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তালিবানের।

    ৩. অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নদী যেগুলির জলপ্রবাহ বন্ধ হতে পারে সেগুলি হল – গোমাল, পিশিন-লোরা, কান্দাহার-কান্দ।

    সেনাপ্রধান জেনারেল মুবিন খানের কুনার পরিদর্শন

    সূত্রের খবর সম্প্রতি পূর্ব আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশের বিশেষ একটি এলাকা পরিদর্শনে যান সেদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল মুবিন খান। এর পরই জেনারেল মুবিন সম্ভাব্য বাঁধ নির্মাণের এলাকা ঘুরে দেখেন বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে বালোচ আন্দোলনকারী তথা লেখন মীর ইয়াব বালোচের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘পাকিস্তানের শেষের শুরু হল। ভারতের পর এ বার জল বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আফগানিস্তান।’’

    জল বন্ধ হলে প্রভাব পড়বে কোন কোন ক্ষেত্রে?

    কৃষিতে জল সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেবে।

    শহরগুলিতে (Pakistan) জল সংকট তৈরি হবে। কাবুল নদীর ওপর নির্ভরশীলগ গোটা পেশোয়ার এবং নওশেরার মতো শহর।

    তারবেলা বাঁধের মতো প্রকল্পগুলিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

    পাক অর্থনীতিও (Pakistan) ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

  • GDP: আগামী ৫ বছরে ৬.৪ শতাংশ হারে বাড়বে ভারতের জিডিপি, জানাল ফিচ রেটিংস

    GDP: আগামী ৫ বছরে ৬.৪ শতাংশ হারে বাড়বে ভারতের জিডিপি, জানাল ফিচ রেটিংস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিখ্যাত মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে আগামী পাঁচ বছরে ভারত -এর সম্ভাব্য জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার ৬.২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এই বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ। ফিচ জানিয়েছে, সংশোধিত অনুমান অনুযায়ী ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধিতে প্রধান অবদান রাখছে শ্রমশক্তি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও ভারতের জিডিপি নিয়ে আশার আলো দেখিয়েছে।

    ভারতে বাড়বে জিডিপি বৃদ্ধির হার

    ফিচ রেটিংস-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের অনুমান অনুযায়ী, ভারতের প্রবণতাগত প্রবৃদ্ধি এখন ৬.৪ শতাংশ, যা পূর্ববর্তী ৬.২ শতাংশের তুলনায় সামান্য বেশি। আমরা মনে করি সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় টোটাল ফ্যাক্টর প্রোডাক্টিভিটি (TFP) প্রবৃদ্ধি ধীর হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী গড় ১.৫ শতাংশে ফিরে আসবে।” অন্যদিকে, সংস্থাটি চিনের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি ০.৩ শতাংশ কমিয়ে ৪.৬ শতাংশ থেকে ৪.৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এবং আগামী দিনেও তা বাড়বে। তবে এর গতি কিছুটা ধীর হতে পারে। ফিচ রেটিংসের ডিরেক্টর রবার্ট সিয়েরা জানান, “আমাদের সাম্প্রতিক কালে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর গড় সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি এখন ৩.৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত ৪ শতাংশের চেয়ে সামান্য কম। এর প্রধান কারণ চিনের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা।”

    ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি

    ভারতীয় অর্থনীতি গত এক দশকে এক অভূতপূর্ব সাফল্যের গল্প রচনা করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, গত ১০ বছরে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৫ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ২.১ লক্ষ কোটি ডলার, যা ২০২৫ সালে বেড়ে ৪.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ১০৫ শতাংশ, যা আমেরিকা, চিনের মতো বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এই অসাধারণ প্রবৃদ্ধির ফলে ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে নিজের স্থান আরও মজবুত করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) গত মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারত বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি এবং আগামী দুই বছরে একমাত্র দেশ হিসেবে ৬ শতাংশের বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।

  • ATS: দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ২

    ATS: দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা (ATS)। দিল্লির সিলামপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ হারুনকে। অন্যদিকে, বারাণসী থেকে তুফায়েল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। দুজনের বিরুদ্ধেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং অখণ্ডতাতে আঘাত হানা, দেশদ্রোহিতা সহ একাধিক ধারায় মামলা রজ্জু করা হয়েছে।

    পহেলগাঁও হামলার সময় পাকিস্তানেই ছিল হারুন

    দিল্লির সিলামপুর থেকে গ্রেফতার হওয়া হারুন পাকিস্তান দূতাবাসের এক আধিকারিক মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশে গুপ্তচরবৃত্তি করত বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই দূতাবাসের আধিকারিক মোজাম্মেল হোসেনকে অবঞ্ছিত ঘোষণা করে দেশ ছাড়তে বলেছে ভারত। জানা গিয়েছে, গুপ্তচর হারুন মোজাম্মেল হোসেনকে ভারতের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করেছে (ATS)।

    পাক দূতাবাসের কর্মীর নির্দেশে টাকা তুলত হারুন

    সূত্রের খবর, মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশেই পাকিস্তানের ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলত হারুন। হারুনের কথায় অনেক লোকই মোজাম্মেলের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেছে বলে খবর। এই টাকা ভারত বিরোধী কাজে সেইসব টাকা ব্যবহার হত বলে জানা গিয়েছে। আরও চাঞ্চল্য়কর তথ্য হল, হারুনের দু’জন স্ত্রী রয়েছে। একজন থাকে পাকিস্তানে। তার সঙ্গে দেখা করতে প্রায়ই পাকিস্তানে যেত হারুন। পহেলগাঁওয় হামলার সময় সে পাকিস্তানেই ছিল। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন (ATS), ৫ এপ্রিল পাকিস্তানে যায় হারুন, সে ফেরে ২৫ তারিখ।

    ৬০০-এর বেশি পাকিস্তানের নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তুফায়েলের

    অন্যদিকে বারাণসী থেকে গ্রেফতার হওয়া তুফায়েল ভারতের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই পাকিস্তানে পাচার করেছে। উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন (ATS) শাখা বলছে, রাজঘাট, জ্ঞানবাপী মসজিদ, লাল কেল্লা ও দেশের একাধিক রেল স্টেশনের ছবি তুলে পাকিস্তানের নম্বরে পাঠিয়েছে তুফায়েল। শুধু তাই নয়, ৬০০টিরও বেশি পাকিস্তানি নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তুফায়েলের। ফেসবুকে এক পাক সেনাকর্তার স্ত্রীর সঙ্গেও পরিচয় ছিল তুফায়েলের। এর পাশাপাশি, পাকিস্তানের (Pakistan) সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রচারেও যুক্ত ছিল তুফায়েল।

  • India Pakistan Conflicts: ৮টি এফ-১৬, ৪টি জেএফ-১৭, অ্যাওয়াক্স,… অপারেশন সিঁদুরে পাক বায়ুসেনার কী কী ধ্বংস? তালিকা প্রকাশ্যে

    India Pakistan Conflicts: ৮টি এফ-১৬, ৪টি জেএফ-১৭, অ্যাওয়াক্স,… অপারেশন সিঁদুরে পাক বায়ুসেনার কী কী ধ্বংস? তালিকা প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর-এর পর ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) মধ্যে চলা সামরিক সংঘাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি বিস্তৃত রিপোর্টে সেই ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরা হয়েছে। এই অভিযানে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (PAF) যে বিপুল কৌশলগত ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। তথ্য অনুযায়ী, ৭ মে ২০২৫ তারিখে পরিচালিত অভিযানে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের কমপক্ষে ৮টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ও ৪টি জেএফ-১৭ ধ্বংস করে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন উচ্চ-মূল্যের আকাশ ও স্থল সামরিক সম্পদ ধ্বংস করা হয়। স্যাটেলাইট ছবি, গোয়েন্দা তথ্য এবং গোপন বাজেট নথি বিশ্লেষণ করে মোট ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৩.৩৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    বিমানঘাঁটি ও আকাশপথে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

    আকাশপথে সরাসরি সংঘর্ষে পাকিস্তান (India Pakistan Conflicts) ৪টি এফ-১৬ ব্লক ৫২ডি হারিয়েছে, প্রতিটির মূল্য ৮৭.৩৮ মিলিয়ন ডলার। মোট ক্ষতির পরিমাণ ৩৪৯.৫২ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া পাকিস্তানের একটি সাব ২০০ এরিআই অ্যাওয়াক্স নজরদারি বিমান (মূল্য ৯৩ মিলিয়ন ডলার), একটি আইএল-১৭ রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার (৩৫ মিলিয়ন ডলার), দুইটি সিএম-৪০০একেজি মিসাইল, দুইটি শাহিন ক্ষেপণাস্ত্র ও ছয়টি বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও এই সব সম্পদের মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫২৪.৭২ মিলিয়ন ডলার। মোট ক্ষতির পরিমাণ ৫২৪.৭ মিলিয়ন মর্কিন ডলার। অন্যদিকে, ১০ তারিখ পাক এয়ারবেসগুলিতে ভারতের প্রত্যাঘাতে আরও চারটি এফ-১৬ ব্লক ৫২ডি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে পাকিস্তান। একটি সি১৩০ হারকিউলিস পরিবহণ বিমান (৪০ মিলিয়ন ডলার), একটি এইচকিউ-৯ সাম ব্যাটারি (২০০ মিলিয়ন ডলার), এবং দুটি মোবাইল কমান্ড সেন্টার ধ্বংস হয়েছে (১০ মিলিয়ন ডলার)। এই ক্ষতির পরিমাণ মোট ৫৯৯.৫২ মিলিয়ন ডলার। এই বিশাল ক্ষতির ফলে পাকিস্তানের বিমান যুদ্ধের সক্ষমতা, নজরদারি ক্ষমতা এবং কৌশলগত পরিকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে, এফ-১৬ ধ্বংস হওয়া পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করেছে বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এফ-১৬ এর দাম

    এফ-১৬ বিমানটি মূলত মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা জেনারেল ডাইনামিক্স (বর্তমানে লকহিড মার্টিন) দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। পাকিস্তান প্রথম ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৮০টি এফ-১৬ বিমানের অর্ডার দেয়। চুক্তিটি ‘পিস গেট ১ এবং ২’ প্রোগ্রামের অধীনে করা হয়েছিল এবং তাদের ডেলিভারি ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে হয়েছিল। বর্তমানে, পাকিস্তানের কাছে প্রায় ৭৫ থেকে ৮৫টি এফ-১৬ বিমান রয়েছে, যার মধ্যে এ, বি, সি এবং ডি ভেরিয়েন্ট রয়েছে। এফ-১৬ এর দাম এর মডেলের উপর নির্ভর করে। একটি নতুন এফ-১৬ এর দাম প্রায় ৪০ থেকে ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে।

    জেএফ-১৭ এর দাম

    জেএফ-১৭ থান্ডার, পাকিস্তান ও চিনের অংশীদারিত্বে নির্মিত একটি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান। এটি যৌথভাবে পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স (পিএসি) এবং চেংডু এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন (সিএসি) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। ৯০-এর দশকে যখন পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে এফ-১৬ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় আমেরিকা, তখন এর ভিত্তি স্থাপিত হয়। এরপর, পাকিস্তান ১৯৯২ সালে চিনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং ১৯৯৫ সালে জেএফ-১৭ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রথম জেএফ-১৭ ২০০৯ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং তাদের কাছে এখন ১৫৬টিরও বেশি বিমান রয়েছে। এটি একটি হালকা এবং দ্রুতগতির যুদ্ধবিমান, যার সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন ১৩,৫০০ কেজি। জেএফ-১৭ এর দাম প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১২০ কোটি), যেখানে ব্লক থ্রি-র দাম প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    যুদ্ধকালীন ব্যয় ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামো

    ২৯ দিনব্যাপী সংঘাতে পাকিস্তানের যুদ্ধ (India Pakistan Conflicts) ব্যয়ও ছিল বিপুল। প্রতিদিনের বিমান টহল ও হামলা পরিচালনার খরচ ২৫ মিলিয়ন ডলার ধরে মোট ৭২৫ মিলিয়ন ডলার, ড্রোন ও মিসাইল ব্যবহারে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার, সীমান্তে মোতায়েন ও প্রতিরক্ষা খাতে ৪৩৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ইসলামাবাদ। যদিও পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেনি। ভারতের আক্রমণে পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটিরও প্রবল ক্ষতি হয়েছিল৷ ভেঙে পড়েছিল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম৷ এই দুটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থার মূল ভিত্তি৷ পাকিস্তান বুঝতে পারে এরপরও সংঘর্ষ চললে আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে৷ ইসলামাবাদের সমস্যা আরও বাড়বে ৷ তাই সংঘর্ষ বিরতির পথে হাঁটে পাকিস্তান।

  • Pakistan: ফিরছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তানের চার প্রদেশ

    Pakistan: ফিরছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তানের চার প্রদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান (Pakistan)। এই আবহে সেদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদও ব্যাপকভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে। পাকিস্তানের সেনা এবং সরকারের পক্ষে এই প্রবণতা দমন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ, বালোচিস্তান, গিলগিট-বালটিস্তান, পশতুন প্রভৃতি এলাকাগুলিতে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দারা পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা দাবি করছে। পাকিস্তানি সেনা তাদের ওপর নির্মম অত্য়াচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ। পাক সরকার এই অঞ্চলগুলিতে কোনওভাবেই উন্নয়ন করেনি বলে অভিযোগ। এই আন্দোলনগুলি পাকিস্তান সরকারকে কোণঠাসা করে ফেলেছে। পাকিস্তানজুড়ে যেভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে তাতে অনেকেই ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছায়া দেখছে। সেই সময় যেমন স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল, পাকিস্তানের অন্দরের এমন বিচ্ছিন্নতাবাদ দেখে মনে হচ্ছে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।

    ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে গতি পেয়েছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন

    ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যে যুদ্ধ আবহে তীব্র হয়েছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ও বিদ্রোহ। সম্প্রতি, বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান সরকার ও তার সেনার ওপরে ব্যাপক আঘাতে হেনেছে। এই আবহে তারা নিজেদের স্বাধীনতাও ঘোষণা করে দিয়েছে। বালোচিস্তান তার স্বাধীনতা ঘোষণার পরেই সিন্ধু প্রদেশ থেকে একইভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হয়ে সিন্ধ প্রদেশে। এই সময় সিন্ধু প্রদেশকে পাকিস্তান থেকে মুক্ত করার দাবি ওঠে এবং পৃথক রাষ্ট্র গঠনের জন্য বিভিন্ন সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলি আন্দোলন শুরু করে। পাকিস্তান সরকার এই আন্দোলনগুলিকে দমন করতে হিমশিম খেয়ে যায়। অন্যদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং উত্তর বালোচিস্তানের বেশ কিছু অংশ জুড়ে রয়েছে পশতুনদের আবাসভূমি। এই অঞ্চলগুলির বাসিন্দারা নিজেদের জন্য পশতুনস্তানের দাবি জানিয়েছে।এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হল পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে।

    স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি বালোচিস্তানের (Pakistan)

    ভারত ও পাকিস্তানের (Pakistan News) যুদ্ধ আবহে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান থেকে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।রাষ্ট্রসংঘের কাছে তারা আবেদন জানায় তাদেরকে যেন গণতান্ত্রিক একটি দেশের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে ভরপুর হল পাকিস্তানের এই প্রদেশ। দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রদেশকে বঞ্চিত করেছে পাকিস্তান সরকার, এমনটাই অভিযোগ। বালোচিস্তান একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল কিন্তু ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে জোর করে পাকিস্তান এই বালোচিস্তানকে দখল করে বলে অভিযোগ। বালোচিস্তানের শাসক ছিলেন কালাত খান। কালাত খান চাপের মুখে পড়ে এবং বালোচিস্তানের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাকিস্তানে যোগদান করেন। এরপর থেকে এই পাঁচটি বড় বিদ্রোহ দেখা দেয় বালোচিস্তানে। ১৯৪৮, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭৩ থেকে ৭৭, ২০০০ সালের গোড়ার দিকে ব্যাপক সংঘাত শুরু হয় পাকিস্তান ও বালোচিস্তানের মধ্যে। এই সময় বালোচিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের ওপরে হামলা শুরু করে পাকিস্তানের (Pakistan) সেনা। অপহরণ , লুট, হত্যা এই সমস্ত কিছুই ঘটতে থাকে।

    সিন্ধু রাজ্যের পৃথক দাবি

    পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশকে, সিন্ধু দেশ নামে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের কথা বলে আসছে সেখানকার জনগণ। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি, একটি স্বাধীন সিন্ধু রাষ্ট্রের। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাকিস্তান ইসলামিক রাষ্ট্র। তারা জোর করে তাদের ওপরে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিয়েছে। শুধুমাত্র তাই নয়, সেখানকার জমি দখল করে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে পাকিস্তান সরকার। তাদের স্থানীয় সংস্কৃতিকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। পাকিস্তানের সেনা বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ।

    পশতুন তাহাফুজ আন্দোলন

    প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবিদের পরে পাকিস্তানের (Pakistan) দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হল পশতুনরা। তারা পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ, তাদেরও নানারকম অভিযোগ রয়েছে যে পাকিস্তান তাদের ওপর বৈষম্য এবং নিপীড়ন চালিয়েছে। এই আবহে তারাও একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি জানিয়েছে। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের পশতুনরা ১৮৯৩ সালে যে ডুরান্ড লাইন- এর মাধ্যমে সীমা নির্ধারণ করা হয়, তার বিরোধিতা করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে পশতুন সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই আন্দোলনের নাম পশতুন তাহাফুজ আন্দোলন।

    গিলগিট-বালটিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন

    একই চিত্র দেখা গিয়েছে গিলগিট-বালটিস্তানেও। সেখানেও পাকিস্তানের সেনা তথা সরকারকে প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে। এই গিলগিট-বালটিস্তান হল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অংশ। প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধশালী অঞ্চলটিকে পাকিস্তান সরকার দীর্ঘদিন ধরেই অনুন্নত রেখেছে। উত্তরে রয়েছে আফগানিস্তানের সীমা, উত্তর-পশ্চিমে চীনের সীমা, পূর্বে রয়েছে লাদাখ এবং দক্ষিণ দিকটি কাশ্মীর দ্বারা বেষ্টিত। পাকিস্তান সরকারের দীর্ঘ অবহেলার কারণে এই অঞ্চলের মানুষজন পাকিস্তান (Pakistan News) সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে।

  • India Turkey Relation: ভারত-বিরোধী অবস্থানের খেসারত দিচ্ছে তুরস্ক! ৭৭০ কোটি টাকার লোকসান

    India Turkey Relation: ভারত-বিরোধী অবস্থানের খেসারত দিচ্ছে তুরস্ক! ৭৭০ কোটি টাকার লোকসান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার নয়, বিপদের সময় বার-বার তুরস্কের (India Turkey Relation) জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। বন্ধু ভেবে বিপর্যয় মোকাবিলা, মেডিক্যাল (Medical) ছাড়াও দিয়েছে আর্থিক সাহায্য (Finance)। অথচ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সেই ভারতেরই ক্ষতি চাইল তুরস্ক (Turkey)। তাই তুরস্ক বয়কটের ডাক দিল ভারত। তাতেই মাথায় হাত তুরস্ক প্রধান এর্দোগানের। পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যাওয়ার খেসারত দিতে হল তুরস্ককে। ক্ষতির মুখে পড়ল তুরস্কের অর্থনীতি। একই সঙ্গ পাকিস্তানের সেই ‘বন্ধু’কেই এবার কড়া বার্তা দিল বিদেশ মন্ত্রকও। বলা হল, তুরস্ক পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করতে বলবে, এই আশা রাখে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে ভারতের বিমানবন্দরগুলিতে তুরস্কের সংস্থা সেলেবির অনুমতি বাতিল নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

    বিদেশমন্ত্রকের বার্তা

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার এক মাসের মাথায় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের আশা, তুরস্ক পাকিস্তানকে অনুরোধ করবে তারা যেন সীমান্তে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা এবং মদত দেওয়া বন্ধ করে। যে সন্ত্রাসবাদের রাজত্ব গড়ে উঠেছে গত কয়েক দশক ধরে, তার বিরুদ্ধে যেন পাকিস্তানকে পদক্ষেপ করতে বলে তুরস্ক, এটাই আমাদের আশা।’’ যে কোনও সম্পর্ক গড়ে ওঠে একে অপরের সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে, তুরস্কের প্রসঙ্গে এ কথাও জানান জয়সওয়াল। রণধীর বলেন, “প্রত্যেকের স্পর্শকাতর বিষয় এবং উদ্বেগের বিষয়গুলি উপলব্ধি করার মাধ্যমেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়।” বিশ্লেষকদের মতে, এইভাবে আঙ্কারাকে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বার্তা দেওয়া হল।

    সেলেবির অনুমতি বাতিল

    তুরস্ক নিয়ে ভারতের অবস্থান কী, সেলেবি নিয়েই বা কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবছে, এদিন জানতে চাওয়া হলে রণধীর বলেন, ‘‘সেলেবির ‘সুরক্ষা ছাড়পত্র’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষ। ভারতে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলায় সেলেবি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, তাঁরা গত ১৭ বছর ধরে ভারতে পরিষেবা দিচ্ছেন। কখনও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। কোনও সমস্যা দেখা দিলে আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান সম্ভব। কেন্দ্রের তরফে আদালতে জানানো হয়, জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সেলেবির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মুম্বই, নয়াদিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, আমেদাবাদ-সহ দেশের ৯টি বিমানবন্দরে একাধিক উড়ান সংস্থার হয়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং-এর একাধিক কাজ করার ভার ছিল সেলেবি-র উপর।

    কেন এই অবস্থান

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ে প্রকাশ্যেই পাকিস্তানকে সমর্থন এবং অস্ত্র–সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছিল তুরস্কের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানকে অন্তত ৪০০টি ড্রোনও দিয়েছিল তুরস্ক বলে জানা গিয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হামলার সময়ে সেই ড্রোন ব্যবহার করাও হয়। এর পরেই তুরস্কের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে ভারত। তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করা হয়েছে। এর সঙ্গেই তুরস্কের সঙ্গে থাকা বিভিন্ন চুক্তি বাতিল করার কথা জানিয়েছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বার তুরস্ককে কড়া বার্তা দিল ভারত।

    ৭৭০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে তুরস্ক

    সবচেয়ে বেশি ধাক্কা এসেছে তুরস্কের দ্রুত প্রসারমান ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ ইন্ডাস্ট্রিতে। গত কয়েক বছর ধরে ধনী ও প্রভাবশালী ভারতীয়দের বিয়ের জন্য পছন্দের জায়গা ছিল তুরস্ক। তবে সম্প্রতি ভারতীয় পরিবারগুলোর এক বড় অংশ তাদের বিয়ের আয়োজন তুরস্কে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে আনুমানিক ৭৭০ কোটি টাকার ক্ষতি হতে চলেছে বলে জানিয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা। ২০২৪ সালে তুরস্কে প্রায় ৫০টি ভারতীয় অভিজাত পরিবারের বিয়ে হয়। যেগুলোর প্রতিটির বাজেট ছিল ২৫ কোটি থেকে ৬৬ কোটি টাকার মধ্যে। শুধু হোটেল নয়, এই বিয়েগুলো স্থানীয় ফুলের দোকান, ক্যাটারিং, সজ্জা, ট্রাভেল এজেন্ট থেকে শুরু করে সঙ্গীত শিল্পীদেরও কাজ দিত। ভারতীয় ওয়েডিং মার্কেট তুরস্কের ব্যবসার আয়ের অন্যতম উৎসে পরিণত হয়েছিল।

    তুরস্কের পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব

    পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ২০২৫ সালে তুরস্কে নির্ধারিত ৫০টি বিয়ের মধ্যে ৩০টির বুকিং ইতোমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে বা স্থগিত হয়েছে। ভারতীয় পরিবারগুলোর বার্তা স্পষ্ট, যারা দেশের বিরোধিতা করবে, তাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নয়। এর ফলে রাজস্থান, গোয়া, কেরল, উদয়পুরের মতো জায়গায় বিয়ের জন্য আগ্রহ বাড়ছে। এতে করে দেশের পর্যটন খাতও চাঙ্গা হচ্ছে, এবং কূটনৈতিক অর্থনৈতিক বার্তা স্পষ্ট হচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় ওয়েডিং ট্যুরিজম থেকে প্রতি বছর তুরস্কে প্রায় ১,১৭০ কোটি টাকা আয় হত। এই বিপুল রাজস্ব এখন ঝুঁকির মুখে। পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব তুরস্কের পর্যটন খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সম্প্রতি ৭০ শতাংশ ভারতীয় তুরস্কে ঘুরতে যাওয়া বাতিল করেছে ৷ বিশ্লেষকদের মতে, এর্দোগান সরকারের কূটনৈতিক কৌশলের এটি বড় ধরনের ব্যর্থতা।

  • Typhoid: ভরা গ্রীষ্মে রাজ্যে টাইফয়েডের দাপট! উপসর্গ কী? কীভাবে করবেন রোগ প্রতিরোধ?

    Typhoid: ভরা গ্রীষ্মে রাজ্যে টাইফয়েডের দাপট! উপসর্গ কী? কীভাবে করবেন রোগ প্রতিরোধ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। মাঝেমধ্যে স্বস্তির বৃষ্টি হলেও তা ক্ষণিকের। আর আবহাওয়ার এই রকম ফেরে বাড়ছে নানান স্বাস্থ্য সমস্যা। সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি লেগেই আছে। তার সঙ্গে দাপট বাড়াচ্ছে টাইফয়েড (Typhoid)। রাজ্য জুড়ে টাইফয়েড আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর বর্ষায় কমবেশি টাইফয়েড আক্রান্ত দেখা যায়। কিন্তু এ বছর ভরা গরমেই বাড়ছে টাইফয়েড আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে, বাড়তি সতর্কতা (Expert Health Tips) জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    গরমে কেন বাড়ছে টাইফয়েড (Typhoid) আক্রান্তের সংখ্যা?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েড জলবাহিত রোগ। মূলত দূষিত জল থেকেই এই রোগ ছড়ায়। এবছরেও টাইফয়েডের দাপট বাড়ার অন্যতম কারণ জল। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, গরমে সাময়িক আরামের জন্য অনেকেই নানান রঙিন সরবত নিয়মিত খান। আর সেখান থেকেই বিপদ বাড়ে‌। অপরিশ্রুত জল থেকে সহজেই এই ব্যাক্টেরিয়া মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়ায়। তারপরে আক্রান্ত ব্যক্তির মল থেকে তা আশপাশের অনেকের শরীরে বাসা বাঁধে।

    জলের পাশাপাশি খাবার থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই রাস্তার অপরিচ্ছন্ন কাটা ফলের স্যালাড খান। এগুলো অনেক সময়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি হয় না। ফলে নানান ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই সেখান থেকেও টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগ ছাড়তে পারে। নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে, অর্থাৎ হাত পরিষ্কার রাখা, পরিষ্কার শৌচালয় ব্যবহারের মতো অভ্যাস না থাকলেও যথেষ্ট বিপদ বাড়ে। টাইফয়েডের মতো রোগের সংক্রমণ বাড়ে।

    কোন উপসর্গ দেখলে বাড়তি সতর্কতা দরকার?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টাইফয়েড আক্রান্তের প্রথম পর্বেই ঠিকমতো চিকিৎসা শুরু করলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব (Expert Health Tips)। তাই এই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েড আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যাবে। অর্থাৎ রোগীর হাই-ফিভার থাকবে। তার সঙ্গে মারাত্মক পেটে ব্যথা অনুভব হবে। ক্লান্তি বোধ হবে। কোনও কাজেই এনার্জি পাওয়া যাবে না।‌ মানসিক ভাবেও একধরনের আচ্ছন্নতা বোধ হবে। অনেক সময়েই বারবার বমি হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে দেরি করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় জরুরি।

    টাইফয়েড রুখতে কী কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগের দাপট রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত শৌচালয় পরিষ্কার করা জরুরি। গরমের এই আবহাওয়ায় নানান ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাস সক্রিয় হয়। তাই শৌচালয় থেকে নানান সংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হয়। শৌচালয়ের পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। বাইরে শৌচালয় ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া দরকার। শৌচালয় ব্যবহারের পরে ভালোভাবে হাত ও মুখ ধোয়া জরুরি বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
    পাশপাশি খাবারের দিকে যত্ন নেওয়া দরকার বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগের সংক্রমণ খাবার থেকেই হয়। ভালোভাবে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁচা সব্জি বা ফলের স্যালাড এড়িয়ে চলা দরকার। কম তেলমশলায় তৈরি ভালোভাবে সেদ্ধ করা খাবার খেলে হজমের ঝুঁকি কমে। আবার নানান ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।
    জল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি। পরিশ্রুত জল খাওয়া দরকার। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া উচিত। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। গরম থেকে বাঁচতে ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ (Expert Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে রঙিন ঠান্ডা পানীয় একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 23 May 2025: বিবাদে জড়াবেন না এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 23 May 2025: বিবাদে জড়াবেন না এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব বুদ্ধি নিয়ে চলতে হবে।

    ২) ঋণের পরিমাণ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    বৃষ

    ১) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠকাতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ পণ্ড হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা সফল হবে।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) প্রেমের বিষয়ে খুব ভেবেচিন্তে এগোনো উচিত।

    ২) শেয়ার বাজারে লাভ দেখা যাচ্ছে, তবে খুব চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) স্ত্রীর জন্য বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ২) কোনও দুঃস্থ ব্যক্তির পাশে দাঁড়াতে হতে পারে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ২) সঙ্গীতচর্চায় নতুন রাস্তা খুলতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ২) বন্ধুদের দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ২) প্রতিযোগিতামূলক কাজে জয়ের আশা রাখতে পারেন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    ধনু

    ১) ধর্মবিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) মাত্রাছাড়া আবেগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) চিকিৎসার ব্যাপারে বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ২) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) ছাত্রছাত্রীরা বহুমুখী প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন।

    ২) নিঃসঙ্গতা আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • HAPS Pseudo Satellites: আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বায়ুসেনার হাতে আসছে ‘ছদ্ম উপগ্রহ’! কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?

    HAPS Pseudo Satellites: আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বায়ুসেনার হাতে আসছে ‘ছদ্ম উপগ্রহ’! কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধুনিক যুদ্ধকৌশলে সামরিক যোগাযোগ ও নজরদারি ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী। ফলে, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে এই দুই ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী, আরও মজবুত, আরও আধুনিক করতে এবার নতুন ঘরানার সামরিক উপগ্রহ মোতায়েন করতে চলেছে ভারত।

    ভবিষ্যতের প্রস্তুতি শুরু…

    জানা যাচ্ছে, এর ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে এক বিশেষ ধরনের ‘সিউডো স্যাটেলাইট’ বা ছদ্ম উপগ্রহ (HAPS Pseudo Satellites)। নজরদারি চালানোর পাশাপাশি এই বিশেষ উপগ্রহগুলির কাজ হবে যুদ্ধবিমান ও গ্রাউন্ড স্টেশনগুলির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন ও তথ্য বিনিময় করা। এর পাশাপাশি, দেশের আকাশসীমার নিরাপত্তাকে আরও বলিষ্ঠ করতে বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে ভেরি শর্ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (VSHORADS) ৪৮টি লঞ্চার। এরই অংশ হিসেবে সেনা কিনতে চলেছে ৮৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৪৫টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন নাইট-ভিশন ডিভাইস। ভারত-পাক তীব্র সংঘাতের আবহে এই সরঞ্জামগুলি কেনার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ হলেও, বর্তমান সামরিক প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে এগুলির অন্তর্ভুক্তি সম্ভব নয় বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কারণ, বাহিনীর হাতে এগুলি আসতে আরও কয়েকমাস লেগে যাবে। ফলে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এগুলিকে কেনা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    সৌরশক্তিচালিত ছদ্ম উপগ্রহ

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই বিশেষ ধরনের ছদ্ম উপগ্রহগুলির খোঁজ চালাচ্ছে, যাদেরকে পরিভাষায় হাই-অলটিচিউড প্ল্যাটফর্ম সিস্টেম (হাপ্স) বলা হচ্ছে। এই সিস্টেমগুলি (HAPS Pseudo Satellites) দীর্ঘসময় ধরে নজরদারি চালাতে সক্ষম ইউএভি বা ড্রোন হিসাবে কাজ করে এবং সৌরশক্তিচালিত হওয়ায় এতে জ্বালানি ভরার প্রয়োজন হয় না। প্রচলিত সৌর প্যানেলের জায়গায় এই ছদ্ম-উপগ্রহ বা ড্রোনগুলিতে ব্যবহৃত প্যানেলগুলি অত্যন্ত পাতলা সৌর ফিল্ম দিয়ে তৈরি। সাধারণ ড্রোনের তুলনায় অধিক অথচ লো-আর্থ অরবিটে মোতায়েন কৃত্রিম উপগ্রহের তুলনায় কম উচ্চতায় কাজ করে এই হাপ্স ড্রোনগুলি। সৌরচালিত হওয়ায় টানা বহু মাস ধরে আকাশে চক্কর কাটতে সক্ষম হাপ্স। ফলে, প্রায় মহাকাশ থেকে নজরদারি চালাতে পারে এই সিস্টেম। যে কারণে একে সিউডো-স্যাটেলাইট (HAPS Pseudo Satellites) বলা হয়ে থাকে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এ জোর

    বায়ুসেনার জন্য এরকম তিনটি প্ল্যাটফর্ম কেনার জন্য রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন (আরএফআই) জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যা টেন্ডার প্রক্রিয়ার একটি ধাপ। কেবলমাত্র দেশীয় সংস্থাগুলি থেকেই তথ্য চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-কে তুলে ধরতে চেয়েছে মোদি সরকার। দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের গুণমান কতটা ভালো, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) প্রমাণিত। ফলে, ফের একবার, দেশীয় প্রযুক্তি ও সরঞ্জামেই আস্থা রাখছে কেন্দ্র। আরএফআই-তে বলা হয়েছে— প্ল্যাটফর্মগুলিতে একদিকে যেমন নিরন্তর গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ (সামরিক পরিভাষায় ISR) করা এবং অন্য ড্রোনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষমতা থাকবে। অন্যদিকে, শত্রুযানের সিগন্যালও জ্যাম করার সক্ষমতা থাকতে হবে এই সিস্টেমগুলিতে (HAPS Pseudo Satellites)।

    ১৬ কিমি উচ্চতায় মোতায়েন!

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের আরএফআই-তে বেঁধে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, ১৬ কিমি উচ্চতাতেও সমানভাবে কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে সিস্টেমগুলিতে। এখানে উল্লেখ্য, পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৯ মিটার। দূরপাল্লার আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমানগুলি সাধারণত ১০ হাজার মিটার বা ১০ কিমি উচ্চতা দিয়ে যাতায়াত করে। শর্ত অনুযায়ী, হাপ্স সিস্টেমগুলিতে (HAPS Pseudo Satellites) উন্নতমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে হবে। লাইন-অফ-সাইট-এর সাপেক্ষে ন্যূনতম ১৫০ কিমি এবং স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪০০ কিমি দূরত্বে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষমতা থাকতে হবে এই সিস্টেমে।

    বাকেট-লিস্টে ভিশোরাড…

    হাপ্স সিস্টেমের পাশাপাশি, নতুন প্রজন্মের অতি স্বল্প পাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (VSHORADS) কেনার বিষয়েও রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল (আরএফপি) আহ্বান করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এগুলি হল ম্যান-পোর্টবেল বা কাঁধে বসিয়ে নিক্ষেপযোগ্য বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। মূলত, রেডার সীমার নীচ দিয়ে আকাশপথে হামলা চালানো শত্রুপক্ষের হেলিকপ্টার বা বিমান বা ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্রের মতো যে কোনও উড়ুক্কু যানকে ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকবে এই ভিশোরাড-এর। এই সিস্টেমগুলি হবে বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্সের সবচেয়ে অভ্যন্তরীণ বর্ম। বর্তমানে, রুশ-নির্মিত ইগলা-পি ও আরও উন্নত ইগলা-এস ম্যানপ্যাড ব্যবহার করে ভারত। এবার ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সিস্টেম কিনতে চাইছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের শর্ত, এগুলির পাল্লা হতে হবে ৬ হাজার মিটার এবং এগুলিকে দিনে ও রাতে সমান কার্যকর হতে হবে।

LinkedIn
Share