Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • India Pakistan Conflicts: ‘‘রানাকে টেনে এনেছি, হাফিজ সঈদকেও…’’, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের

    India Pakistan Conflicts: ‘‘রানাকে টেনে এনেছি, হাফিজ সঈদকেও…’’, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের সঙ্গে আপস নয়। পথ একটাই। তা হল হাফিজ সঈদদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়া। আমেরিকা যেভাবে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর হুসেন রানাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে, পাকিস্তানকেও তেমনভাবে দোষীদের হস্তান্তর করতে হবে। তবেই সীমান্ত সমস্যার সমাধান সূত্র বেরোতে পারে। সোমবার ইজরায়েলের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বললেন সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জেপি সিং (Indian Diplomat JP Singh)। তাঁর কথায়, “অপারেশন সিঁদুর স্থগিত হয়েছে, বন্ধ নয়। সন্ত্রাসবাদীরা পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ধর্ম পরিচয় জেনে তাদের হত্যা করেছিল। তাই ভারতও পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) গোটা জঙ্গি পরিকাঠামোটাই ভেঙে দিয়েছে।”

    অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি

    সংঘর্ষ বিরতির (India Pakistan Conflicts) প্রসঙ্গ তুলে জেপি সিং জানান, অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। তাঁর সংযোজন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলতে থাকবে। ভারত একটা নিউ নর্ম্যাল আবহ তৈরি করেছে। যা শুধুমাত্র আক্রমণাত্মক কৌশলেই বিশ্বাসী। সন্ত্রাসবাদীরা যেখানে নিজেদের পরিকাঠামো গড়ে তুলবে। আমরা সেখানে ঢুকে তা ভেঙে আসব।” ওয়াকিবহাল মহল বলে, ভারতে সন্ত্রাসের শুরুটা লস্করদের হাত ধরেই। বর্তমানে ওদের মাথায় বসে আছে জঙ্গিনেতা হাফিজ সঈদ। এই সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক অভিযোগ থাকলেও, পাকিস্তান কোনও ভাবে একে হাতছাড়া করে না। ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেপি সিং বলেন, “পাকিস্তান আমাদের হাতে হাফিজ সঈদ, সাজিদ মীর ও জাকিউর রহমানদের তুলে দিক। ঠিক যেমন ভাবে আমরা তাহাউর রানাকে টেনে এনেছি।”

    পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ করা হয় না

    অপারেশন সিঁদুর যে জৈশ-প্রধান মাসুদ আজহারকে একেবারে নাজেহাল করে দিয়েছে, সেই খবর ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছে গোটা বিশ্ববাসী। ৭ মে ভারতীয় সেনার চালানো অভিযানে রাতারাতি ‘অনাথ’ হয়ে যায় মাসুদ। ভারতের প্রত্যাঘাতে শেষ হয়ে যায় তার গোটা পরিবার। এদিন আবারও ইজরায়েলে ভারতের রাষ্ট্রদূত জেপি সিং (Indian Diplomat JP Singh) স্পষ্ট করে দেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন। সীমান্তের ওপার থেকে কোনও সন্ত্রাস মেনে নেওয়া হবে না।” পহেলগাঁও নিয়ে পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) তদন্তের ডাক দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মুম্বই, পাঠানকোট, পুলওয়ামা হামলার প্রেক্ষিতেও ভারতের তরফে পর্যাপ্ত তথ্য, প্রমাণ দেওয়া হলেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।”

    আমরা জল প্রবাহ করেছি, ওরা রক্ত

    পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির নূর খান ঘাঁটিতে ভারতের ১০ মে-র হামলাকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলে আখ্যা দেন জেপি সিং। তিনি বলেন, এর ফলে ইসলামাবাদে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতীয় ডিজিএমও-র সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানান। সিন্ধু জলচুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই চুক্তির মূল ভিত্তিই ছিল সদিচ্ছা ও বন্ধুত্ব। কিন্তু পাকিস্তান সেই নীতি মানেনি। আমরা জল প্রবাহ করেছি, ওরা রক্ত।” তিনি জানান, জনগণের মধ্যে পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠ সন্ত্রাসবাদে ক্ষোভ থেকেই জলচুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “ এক আইডব্লুটি (Indus Waters Treaty) এখন স্থগিত, তবে আরেক আইডব্লুটি চালু আছে—India’s War on Terrorism।” আন্তর্জাতিক স্তরে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জোট গঠনের ডাক দেন জেপি সিং। তিনি বলেন, “ভারত ও ইজরায়েলের মতো দেশগুলির উচিত একজোট হয়ে সন্ত্রাসবাদ এবং যারা তাকে সমর্থন করে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নেওয়া।”

  • Boycott Turkey: বিমান পরিষেবা থেকে চকোলেট, পাক-বন্ধু তুরস্কের পণ্য বয়কটে ব্যাপক সাড়া দেশে

    Boycott Turkey: বিমান পরিষেবা থেকে চকোলেট, পাক-বন্ধু তুরস্কের পণ্য বয়কটে ব্যাপক সাড়া দেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে সরাসরি ইসলামাবাদের পক্ষ নেয় তুরস্ক। ২০২৩ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো থেকে উদ্ধার কাজ চালায় ভারত। অপারেশন দোস্ত নামে সেই অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচায় ভারত। সেটা বেমালুম ভুলে অকৃতজ্ঞ, বিশ্বাসঘাতক তুরস্ক (Boycott Turkey) পাকিস্তানকে সেনা, ড্রোন সরবরাহ করে দেয়। এই আবহে দেশের কম বেশি সমস্ত মহলেই দাবি উঠেছে তুরস্কের পণ্য বয়কটের। ব্যবসায়ী, গ্রাহক, নির্মাতা সংস্থা- প্রত্যকেই এই একই দাবি জানিয়েছে। এই আবহে তুরস্কের এক সংস্থা, সেলেবি, যারা বিমানবন্দরে পরিষেবা দেয়, তাদেরকে বাতিল করা হয়েছে। তুরস্ক থেকে আসা ফল, চকলেট পোশাক- এই সমস্ত কিছুই বয়কটের দাবি উঠেছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতীয়রা তুরস্কের পণ্য এবং পরিষেবা বয়কট করছেন, সেনিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হল এই প্রতিবেদনে।

    বিমান বন্দরের পরিষেবা প্রদানকারী সেলেবির ছাড়পত্র বাতিল

    বিমান বন্দরের পরিষেবা প্রদানকারী তুরস্কের সংস্থা সেলেবির ওপর উপর প্রথম পদক্ষেপ করা হয় (Boycott Turkey) ১৫ মে। ভারত সরকারের সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি এই পদক্ষেপ করে। বিমানবন্দরে পরিষেবা প্রদানকারী তুরস্কের সংস্থা সেলেবির নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র বাতিল করে দেয় তারা।

    তুরস্কের পাশাপাশি আজারবাইজানেও ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা

    অন্যদিকে, ভ্রমণ সংস্থা মেক মাই ট্রিপ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে তুরস্ক এবং আজারবাইজানে ফ্লাইট বুকিং ৬০ শতাংশ কমেছে। একই সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করার সংখ্যা ২৫০ শতাংশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, তুরস্কের পাশাপাশি আজারবাইজানও পাকিস্তানকে সরাসরি সমর্থন করেছিল। এ নিয়ে মেক মাই ট্রিপ-এর একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে ভারতীয় ভ্রমণকারীদের মধ্যে দেশের প্রতি এক তীব্র অনুভূতি দেখা গিয়েছে। এর ফলে আজারবাইজান এবং তুরস্কের বুকিং ৬০ শতাংশ কমে গিয়েছে। একইসঙ্গে বিমান বাতিলের (Boycott Turkey) পরিমাণ ২৫০ শতাংশ বেড়েছে।

    ‘অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রোডাক্টস ডিস্ট্রিবিউটর ফেডারেশন’-এর আহ্বান

    সাম্প্রতিক প্রকাশিত রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বয়কট তুরস্ক আন্দোলন ব্যাপক গতি পাচ্ছে ভারতে। তাদের প্রতিবেদন অনুসারে, সাড়ে চার লক্ষ ডিস্ট্রিবিউটর নিয়ে গঠিত ‘অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রোডাক্টস ডিস্ট্রিবিউটর ফেডারেশন’, তারা বেশ কয়েকটি তুরস্কের পণ্যের ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য সম্পূর্ণ বয়কট (Boycott Turkey) করার আহ্বান জানিয়েছে। এই বিরাট সংগঠনের আহ্বানে বেশ চাপেও পড়ে গিয়েছে তুরস্ক। এই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার (Boycott Turkey Movement) ফলে তুরস্কের চকোলেট, ওয়েফার, জ্যাম, সিরাপ, চা, কফি, কুকিজ, প্যাকেটজাত মিষ্টি, বডি ওয়াশ, প্রসাধনী, ত্বকের যত্নের মতো পণ্যগুলিও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পণ্য বয়কটের আহ্বানের ফলে তুরস্কের ২,০০০ কোটি টাকার খাদ্য পণ্যের ক্ষতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    পোশাক বয়কটও চলছে সমানতালে

    রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে, ফ্লিপকার্টের নিয়ন্ত্রিত Myntra এবং রিলায়েন্স নিয়ন্ত্রিত Ajio তুরস্কের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, জাতীয় স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। Myntra বর্তমানে যাঁরা সার্চ করছেন, তাঁরা তুরস্কের Trendyol, LC Waikiki প্রভৃতি ব্রান্ডগুলি খুঁজে পাননি। একইভাবে, রিলায়েন্সের Ajio সংস্থা তুরস্কের কোম্পানিগুলির পণ্যগুলিকে ‘স্টক আউট’ করে দিয়েছে। Trendyol, Koton, LC Waikiki প্রভৃতি ব্রান্ড সেখানে দেখা যাচ্ছে না।

    তুরস্কের ফল বয়কট, পাক-বন্ধুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

    অন্যদিকে, ভারতে যে সমস্ত ব্যবসায়ী এবং গ্রাহকরা রয়েছেন, তাঁরা তুরস্ক থেকে আসা ফল সম্পূর্ণভাবে বর্জন করছেন। হরিদ্বারের গ্রাহকরা বলছেন যে ভারতে সমস্ত তুরস্কের ফল বর্জন করা উচিত। একজন গ্রাহক এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমরা কীভাবে একটি দেশকে সমর্থন করতে পারি! যারা আমাদের শত্রু দেশের সঙ্গে রয়েছে। সাধারণ মানুষ সমস্ত কিছু বর্জন করছে ওই দেশের। তাই আমাদেরও এটি বর্জন করতে হবে।’’ একই চিত্র দেখা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে, সেখানে ফল ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে তুরস্কের (Boycott Turkey Movement) আপেল বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে হিমাচলপ্রদেশের কৃষকরা তুরস্কের আপেল আমদানি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে একশো শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

    শিক্ষাক্ষেত্রেও চলছে বয়কট

    দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতেও তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সে দেশে সঙ্গে শিক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও কর্মসূচি তারা বাতিল করছে। এই আবহে এগিয়ে এসেছে আইআইটি মুম্বই, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া সহ শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও। একই সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেমন মৌলানা আজাদ জাতীয় উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়, চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়, লাভলী প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি এমন পরিস্থিতিতে তুরস্কের সঙ্গে সমস্ত রকম শিক্ষা সংক্রান্ত সম্পর্ক তারা ছিন্ন করেছে।

    সেলেবির মামলায় উঠে এল জাতীয় স্বার্থের কথা

    এদিকে, সোমবারই দিল্লি হাইকোর্ট তুরস্কের সংস্থা সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মামলার শুনানিতে বলেছে, সেলেবির বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে তা জাতীয় স্বার্থেই নেওয়া হয়েছে। কারণ তুরস্ক সরাসরি পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে এবং ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের বিরোধিতা করেছে।’’ প্রসঙ্গত, এই মামলাটি ওঠে বিচারপতি শচীন দত্তের এজলাসে। এখানেই দেশের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করেন এবং তিনিও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘শত্রুরা ১০ বার প্রচেষ্টা করতে পারে আঘাত হানার, তাদেরকে একবার সফল হতে হয়। কিন্তু নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে দশবারই সফল হতে হয়। তাই এখানেই জাতীয় সুরক্ষা খুবই প্রয়োজনীয়। বিশেষত বেসরকারি বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে।

    ‘‘সাবধানের মার নেই’’, পর্যবেক্ষণ আদালতের

    অন্যদিকে, সেলেবির পক্ষ থেকে এই মামলার সওয়াল জবাব করেন মুকুল রোহতগি। তিনি বলেন, ‘‘একতরফাভাবে কথা শোনা হয়েছে এবং তাঁর কোম্পানিকে কোনও কিছু বলতেই দেওয়া হয়নি।’’ সেলেবির আইনজীবী বলেন, ‘‘১৭ বছর ধরে এই সংস্থা কাজ করছে এবং বিভিন্ন বিমানবন্দরে পরিষেবা দিয়ে আসছে।’’ কিন্তু সলিসেটার জেনারেল তুষার মেহতা বারবার জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টির উপরে জোর দেন। এর পরই আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘সাবধানের মার নেই’’। জানা গিয়েছে, সেলেবি তাদের সঙ্গে কেন্দ্রের চুক্তি সিল করা খামে জমা দিয়েছে। আদালতে বুধবার পরবর্তী শুনানি রয়েছে এই মামলার।

  • Heart Attack: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে রাশ টানা দরকার কোন চার খাবারে? কতখানি কার্যকরী এই পথ?

    Heart Attack: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে রাশ টানা দরকার কোন চার খাবারে? কতখানি কার্যকরী এই পথ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি (Heart Attack)। বয়স মাত্র কুড়ির চৌকাঠ পেরনোর পরেই দেখা দিচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। অনেকেই খুব কম বয়স থেকেই ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তার সঙ্গেই দেখা দিচ্ছে হৃদপিণ্ডের নানান সমস্যা (Health Problems)। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদও বাড়ছে। ভারতেও কম বয়সিদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে (Foods To Avoid)। গত কয়েক বছরে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেড়েছে। বিশেষত, কমবয়সি ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই হৃদরোগের জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগের জেরে কর্ম জীবনেও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। তাই প্রথম থেকেই জীবন‌ যাপনে, বিশেষত খাদ্যাভাসে রাশ টানার পরামর্শ (Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। হৃদরোগ নিয়ে আয়োজিত এক সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এমনটা জানালেন চিকিৎসকদের একাংশ। কোন চার খাবারে রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    ফ্যাট জাতীয় খাবারে রাশ…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাট জাতীয় খাবারে রাশ টানা জরুরি (Foods To Avoid)। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের নিয়মিত খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ মারাত্মক বেশি থাকে। অনেকেই নিয়মিত বার্গার, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই জাতীয় খাবার খান। এই ধরনের খাবারে পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। বরং থাকে ক্ষতিকারক ফ্যাট। যার জেরে শরীরে চর্বি জমতে থাকে। প্রভাব পড়ে হৃদপিণ্ডে। বিশেষত রক্তসঞ্চালনের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। দেহে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে যাওয়ার জেরে হৃদপিণ্ডে ঠিকমতো রক্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে (Heart Attack)।

    পেস্ট্রি হোক বা রসগোল্লা, মিষ্টিতে থাকুক নিয়ন্ত্রণ…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিষ্টি বিশেষত চিনি শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। মিষ্টি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই তাঁদের পরামর্শ, পেস্ট্রি, কেক বা রসগোল্লা, যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ জরুরি (Foods To Avoid)। নিয়মিত রান্নায় চিনির ব্যবহারেও লাগাম দেওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি একদিকে শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আরেকদিকে মিষ্টি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এর ফলে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকিও বেড়ে যায়। বয়স চল্লিশ পেরোলে (Diet After 40), আরও বেশি খাবার নিয়ে সচেতনতা জরুরি। বিশেষত মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ জরুরি।

    অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন নয়…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত প্রাণীজ প্রোটিনে অভ্যস্থ। অনেক সময়েই তরুণ প্রজন্মের খাবারের মেনুতে ভিটামিন কিংবা কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল একেবারেই থাকছে না। শুধুই প্রাণীজ প্রোটিন থাকছে। এর ফলে নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems) হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে হৃদপিণ্ডে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুই প্রাণীজ প্রোটিন নির্ভর খাবার খাওয়ার জেরে হজমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে (Foods To Avoid)। এর ফলে রক্তচাপ ওঠানামা করছে। আবার অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার জেরে কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়ছে। এর ফলে হৃদপিণ্ডে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন হচ্ছে না। রক্তে চাপ বাড়ছে। তার ফলে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই নিয়মিত খাবারে পরিমিত পরিমাণে প্রাণীজ প্রোটিন জরুরি। তার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এবং মিনারেল জাতীয় খাবার দরকার (Health Tips)। অর্থাৎ, সবুজ সব্জি, বাদাম জাতীয় খাবার এবং দানাশস্য নিয়মিত জরুরি। তবেই হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ঠিকমতো থাকে।

    মদ্যপান এবং ধূমপানে না…

    বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মদ‌্যপান এবং ধূমপানের প্রবণতা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। এই প্রবণতা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ। ওই সম্মেলনে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত মদ্যপানে অভ্যস্ত। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক (Foods To Avoid)। পাশপাশি অনেকেই বয়ঃসন্ধিকাল থেকে ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। হৃদপিণ্ডের উপরে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ধূমপান এবং মদ্যপানে না বলা জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের (Health Tips)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • India Pakistan Ceasefire: যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের ভূমিকা থেকে পাকিস্তানের পরমাণু হুমকি, সব খোলসা করলেন মিস্রি, কী বললেন?

    India Pakistan Ceasefire: যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের ভূমিকা থেকে পাকিস্তানের পরমাণু হুমকি, সব খোলসা করলেন মিস্রি, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে (India Pakistan Ceasefire) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও ভূমিকা ছিল না। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর সামরিক সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে হয়েছে বলে দাবি করলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। সোমবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিদেশ সচিব জানান, গত ১০ মে দুই দেশের ডিজিএমও আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষিবিরতিতে সায় দেন।

    ট্রাম্পের দাবিকে মান্যতা নয়

    সংঘর্ষবিরতির কথা প্রথম ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ভারত এবং পাকিস্তানের (India Pakistan Ceasefire) তরফে আনুষ্ঠানিক সংঘর্ষবিরতির ঘোষণায় তাঁর নাম উল্লেখ না থাকা সত্ত্বেও বারাবর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতার কারিগর হিসেবে নিজেকেই তুলে ধরেছেন। এই নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে বিরোধী দলগুলি। সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন হয়। সংসদীয় কমিটির এক সদস্য প্রশ্ন করেছিলেন, ‘অন্তত ৭ বার প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি সম্ভব হয়েছে তাঁরই জন্য। ভারত চুপ কেন?

    তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নেই

    এদিন বিদেশসচিব স্পষ্ট বলেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির (India Pakistan Ceasefire) সিদ্ধান্ত একান্তভাবেই দুই দেশের সম্মতির ভিত্তিতে হয়েছে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনও তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা নেই।” বিক্রম মিস্রি জানান, সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ছিল পুরোপুরি প্রচলিত যুদ্ধবিধির মধ্যে। তাঁর কথায়, “পাকিস্তানের তরফে কোনও পরমাণু সংকেত দেওয়া হয়নি। সংঘর্ষের সময় তাদের ব্যবহৃত চিনা প্রযুক্তির অস্ত্র নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল— আমরা তাদের বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে কঠোরভাবে আঘাত করেছি।” বিদেশ সচিবের এই বক্তব্য ভারতের অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে, যে কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ভারত গ্রহণ করবে না।

    যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতি

    সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এইচ-কিউ ৯ মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথাও উঠে আসে কমিটির আলোচনায়। তবে বিদেশসচিব জানান, অস্ত্রের উৎস নয়, আঘাতের কার্যকারিতাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সংসদীয় কমিটির একাধিক সদস্য জানতে চান, পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কি ভারতের কয়েকটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। বিশেষ করে ফ্রান্সের রাফাল যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গ উঠে আসে। তবে বিদেশ সচিব জাতীয় নিরাপত্তার কারণে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি। তিনি জানান, এটা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিষয়, তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না। উল্লেখ্য বিদেশ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের রাজীব শুক্ল, দীপেন্দর হুডা, বিজেপির অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, অরুণ গোভিল এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

    বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে এক ভিডিও ক্লিপে বলতে শোনা গিয়েছিল, “অভিযানের শুরুতেই আমরা পাকিস্তানকে একটি বার্তা দিয়েছিলাম, জানিয়ে দিই যে আমরা সন্ত্রাসী শিবিরে হামলা করছি।” এই বক্তব্য ঘিরে উত্তাল হয় রাজনীতি। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী একে ‘অপরাধ’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে প্রশ্ন তোলেন, ‘কে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে? এর ফলে আমাদের বিমানবাহিনী কতটি বিমান হারিয়েছে?’ বিদেশ সচিব কমিটিকে জানান, বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “অপারেশনের শুরুতে নয়, সুনির্দিষ্ট আঘাতের পর পাকিস্তানকে জানানো হয়েছিল।” সূত্রের খবর, সোমবারের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে মিস্রি জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর প্রথম অভিঘাতের পরে পাকিস্তানকে জানানো হয়েছিল, ভারতের টার্গেট জঙ্গিঘাঁটি, কোনও পাকিস্তানি মিলিটারি ইনস্টলেশন নয়, তাই পাক সেনা যেন ভারতের অপারেশনে বাধা না দেয়। কিন্তু পাকিস্তানি সেনা সেই পরামর্শ শোনেনি, তাই তাদের ফল ভুগতে হয়েছে। অপারেশন শুরুর আগে পাকিস্তানকে কিছুই জানানো হয়নি বলে দাবি মিস্রির।

    তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক

    পাকিস্তানকে সামরিক সাহায্যের অভিযোগ উঠেছিল তুরস্কের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একাধিক লেনদেনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত। ভারত–তুরস্কের সম্পর্ক এখন কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে? সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে মিস্রি বলেন, ‘আপনারা ইতিহাস ঘেঁটে দেখে নিন, পাকিস্তান এবং তুরস্ক— দু’দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক কোনও দিন বিশেষ ভালো ছিল না। ফলে, নতুন করে সম্পর্কে অবনতির বিষয় নেই।’ মিস্রি ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ট্রোল করা হয়েছিল, এ দিনের বৈঠকে স্ট্যান্ডিং কমিটি সর্বসম্মত ভাবে তার নিন্দা করেছে।

  • Daily Horoscope 20 May 2025: শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 20 May 2025: শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন এই রাশির জাতকরা

    মেষ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদোন্নতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মে উন্নতি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় দারুণ অর্থপ্রাপ্তির যোগ রয়েছে।

    ২) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় সহকর্মীর দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য সমস্যার কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসা নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) বাড়িতে অশান্তির  সম্ভাবনা ও সেই কারণে মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ayurveda Day: ধনতেরাসে নয়! প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে আয়ুর্বেদ দিবস, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    Ayurveda Day: ধনতেরাসে নয়! প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে আয়ুর্বেদ দিবস, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুর্বেদ নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার (Modi government)। এবার থেকে প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে “আয়ুর্বেদ দিবস” (Ayurveda Day)। এতদিন আয়ুর্বেদ দিবস ধনতেরস উপলক্ষে পালিত হত, যা হিন্দু চন্দ্র ক্যালেন্ডারের ভিত্তিতে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পড়ে। তবে এবার থেকে একটি নির্দিষ্ট দিনে আয়ুর্বেদ দিবস পালনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে এই প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির গুরুত্ব আরও বেশি করে তুলে ধরা হবে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    আয়ুষ মন্ত্রক জানিয়েছে, ধনতেরস-এর তারিখ প্রতিবার তিথি ও নক্ষত্র মেনে পরিবর্তিত হওয়ায়, আয়ুর্বেদ দিবসের (Ayurveda Day) উদযাপন নিয়মিত ও সুসংগঠিতভাবে করা যাচ্ছিল না। ২০২৫ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে ধনতেরসের তারিখ ১৫ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে—এই অনিশ্চয়তা কাটাতেই এই বড় সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে আয়ুষ মন্ত্রকের অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যারা বিকল্প তারিখ খুঁজে বার করেন। তাদের পরামর্শে চারটি সম্ভাব্য তারিখ বিবেচনা করা হয়। সব দিক বিচার করে ২৩ সেপ্টেম্বরকে চূড়ান্ত করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ও রাত প্রায় সমান। এই দিনটি প্রকৃতির ভারসাম্যের প্রতীক। আয়ুর্বেদের (Ayurveda Day) মূল দর্শনও এই ভারসাম্য—মন, শরীর ও আত্মার মধ্যে সুষম অবস্থান বজায় রাখা। এই দৃষ্টিকোণ থেকে এই তারিখ বেছে নেওয়া হয়েছে একটি পরম্পরাগত এবং বিজ্ঞানের সমন্বিত সিদ্ধান্ত হিসেবে।

    আয়ুর্বেদে গুরুত্ব সরকারের

    আয়ুষ মন্ত্রক বলেছে, এই নতুন তারিখ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে আয়ুর্বেদকে নতুন পরিচয় দেবে। ভারতের প্রাচীন জ্ঞান-ভাণ্ডারকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। এখন থেকে দেশজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা সংস্থা, গবেষণা কেন্দ্র এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিকে ২৩ সেপ্টেম্বর আয়ুর্বেদ দিবস পালনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। মোদি সরকার বরাবরই আয়ুর্বেদ ও অন্যান্য প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতির প্রচার ও প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। ইতিমধ্যেই দেশে ও বিদেশে একাধিক আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয়, রিসার্চ সেন্টার ও হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। ‘আয়ুষ’ শিল্পও গত কয়েক বছরে ব্যাপক হারে বিকশিত হয়েছে।

  • Supreme Court: ‘‘ভারত কোনও ধর্মশালা নয়’’, শ্রীলঙ্কার নাগরিকের এদেশে থাকার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ‘‘ভারত কোনও ধর্মশালা নয়’’, শ্রীলঙ্কার নাগরিকের এদেশে থাকার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lankan National) এক নাগরিক ভারতে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। সোমবার তা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে, ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। এদিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই এমন মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, আবেদনকারীকে শ্রীলঙ্কায় সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (এলপ্রটিটিই)-এর সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ২০১৫ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হয় ওই ব্যক্তি (Supreme Court)

    ২০১৮ সালেই, ট্রায়াল কোর্ট অভিযুক্ত এই শ্রীলঙ্কার নাগরিককে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর তার ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। ২০২২ সালে, মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাঁর সাজা কমিয়ে সাত বছর করে। এর পাশাপাশি নির্দেশে উল্লেখ ছিল যে, সাজা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দোষীকে ভারত ছেড়ে চলে যেতে হবে। তবে ওই দোষী দিন কয়েক একটি শরণার্থী শিবিরে থাকার সুযোগ পাবেন।

    কী বললেন বিচারপতি?

    আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানিয়েছিলেন যে- নিজের দেশে তাঁর জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকায় তিনি ভিসা নিয়েই ভারতে এসেছিলেন। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা ভারতেই রয়েছেন। তিনি প্রায় তিন বছর ধরে এখানে আটক রয়েছেন বলেও জানান ওই শ্রীলঙ্কার নাগরিক। এরপরেই তিনি ভারতে থাকার আবেদন জানান। জবাবে, বিচারপতি দত্ত বলেন, ‘‘ভারত কি সারা বিশ্ব থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে? এ দেশে এমনিতেই ১৪০ কোটি মানুষের বসবাস। এটি কোনও ধর্মশালা নয় যেখানে আমরা সারা বিশ্বের বিদেশি নাগরিকদের আতিথেয়তা দিতে পারি।’’ এক্ষেত্রে আবেদনকারীর আইনজীবী সংবিধানের ২১ (জীবন ও স্বাধীনতার সুরক্ষা) এবং অনুচ্ছেদ ১৯ ধারা উল্লেখ করেন। এই ধারা গুলির মাধ্যমে যেকোনও ভারতীয় বাকস্বাধীনতা এবং চলাফেরার স্বাধীনতা-সহ মৌলিক অধিকার ভোগ করেন। এক্ষেত্রে বিচারপতি দত্ত বলেন, ‘‘আবেদনকারীর আটক ২১ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে না কারণ তাঁকে আইন অনুসারে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।’’

  • China: অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে স্যাটেলাইট তথ্য দিয়ে সাহায্য করে চিন, বলছে রিপোর্ট

    China: অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে স্যাটেলাইট তথ্য দিয়ে সাহায্য করে চিন, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে চিন (China) সরাসরি পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-পাক যুদ্ধে পাকিস্তানকে কৃত্রিম উপগ্রহের নজরদারির মারফত সহায়তা প্রদান করেছে বেজিং। রেডার পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রেও ইসলামাবাদকে বেজিং সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ।

    রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের উপর বেজিঙের উপগ্রহকে পাক খেতে দেখা গিয়েছে

    ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সীমান্তে ভারতীয় সেনার (India Pakistan War) গতিবিধির ওপর নজর রাখতে একাধিক ‘গুপ্তচর’ উপগ্রহকে কাজে লাগায় চিন (China)। এভাবেই তারা সেই তথ্য পাঠিয়ে দিতে থাকে রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরে। তবে চিনের এত সাহায্য়ের পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। সাফল্যের সঙ্গে প্রত্যাঘাত চালায় দিল্লি। এদিকে একাধিক পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় সেনার গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু করে চিনা উপগ্রহ। কীভাবে সামনে এল বিষয়টি? প্রথম বার এটি নজরে আসে ওপেন-সোর্স ইনটেলিজেন্স বা ও এসআইএনটির গোয়েন্দাদের। তাঁরাই জানিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুরের আবহে বহু বার রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের উপর বেজিঙের উপগ্রহকে পাক খেতে দেখা গিয়েছে।

    ভারতের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ দূর্দান্ত কাজ করায় ব্যর্থ হয় পাকিস্তান

    আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, পাকিস্তানের ফৌজ যখন (India Pakistan War) রাজস্থানে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল, তখনই ওই এলাকার ওপর নজরদারি চালায় চিনের উপগ্রহ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেজিঙের সাহায্য নিয়ে ওই হামলা পরিচালনা করছিলেন রাওয়ালপিন্ডির পাক সেনা অফিসাররা। তবে ভারতের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) দুর্দান্তভাবে কাজ করায় সেগুলি শূন্যেই ধ্বংস হয়ে যায়।

    ইসলামাবাদকে সুবিধা করে দিতেই মাঠে নামে চিন

    বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে চিনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএর কাছে রয়েছে নজরদারি এবং অনুসন্ধানমূলক কাজ ভালো ভাবে করতে সক্ষম একগুচ্ছ কৃত্রিম উপগ্রহ। সূত্রের খবর মিলেছে, ভারত-পাক যুদ্ধে ইসলামাবাদকে সুবিধা করে দিতেই সেগুলির বড় অংশকে কাজে লাগায় চিন। এক কথায় ভারতের বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালায় বেজিং। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতীয় সেনা বাহিনীর যুদ্ধকৌশল, এয়ার ডিফেন্স সার্ভিস ব্যবহারের পদ্ধতি ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহই ছিল চিনা উপগ্রহগুলির মূল উদ্দেশ্য।

    নিজেদের উপগ্রহগুলিকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি পাকিস্তানকে দিয়েছে চিন

    পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের প্রতিবেদনে আরও দাবি করেছে, ‘পাকিস্তান রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট-১’ (পিআরএসএস-১) এবং পাকস্যাট-এমএম১ নামের আরও দুটি কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্য় পাচ্ছিল পাকিস্তান। এগুলির নিয়ন্ত্রণও রয়েছে চিনের হাতেই। সূত্রের খবর, ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্সকে ধ্বংস করতে ভবিষ্যতে এই ধরনের উপগ্রহগুলিকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি পাকিস্তানকে দিয়েছে চিন।

    পাকিস্তানকে উপগ্রহভিত্তিক যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে চিন

    আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য এই যে পশ্চিম সীমান্তে ভারতকে ব্যস্ত রাখতে ইতিমধ্যেই পাক ফৌজকে উপগ্রহভিত্তিক যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে চিন। সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের হামলার সময় নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলতে ভারতে নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপগুলি ব্যবহার করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সঙ্গে সংঘাতের সময় সংশ্লিষ্ট অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করে নয়াদিল্লি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই অ্যাপগুলিতে তথ্য গোপনের পন্থা (এনক্রিপশন) অনেক বেশি শক্তিশালী এবং আধুনিক। এগুলিকে হ্যাক করা খুবই কঠিন।

    কেন পাকিস্তানকে সাহায্য করছে চিন

    পাকিস্তানকে সাহায্য করার পিছনে জড়িয়ে রয়েছে চিনের নিজস্ব স্বার্থ। বেজিং আশঙ্কা করছে, অরুণাচল প্রদেশ বা লাদাখের সীমান্ত সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের ময়দানে নামতে হবে তাদেরকেও। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে এই ‘যুদ্ধে’ ব্যবহার হওয়া নয়াদিল্লি আক্রমণ পদ্ধতি বুঝে নিতেই নিজেদের ‘গুপ্তচর’ উপগ্রহগুলিকে কাজে লাগায় তারা। একইসঙ্গে এই যুদ্ধে ইসলামাবাদকে বিক্রি করা অস্ত্রগুলির শক্তি পরীক্ষার ওপরেও নজর রেখেছিল বেজিং (China)। তবে সেখানে অবশ্য় একেবারে ফেল করেছে চিন। চিনা হাতিয়ার ‘ডাহা ফেল’ করায় পাকিস্তানের সামনেও মুখ পুড়েছে চিনের।

    চিনের বিক্রি করা অস্ত্রের ৬০ শতাংশই পাকিস্তান কিনেছে

    চিনের বিক্রি করা অস্ত্রের ৬০ শতাংশই পাকিস্তান কিনেছে বলে জানা গিয়েছে। সংঘাত চলাকালীন ড্রোন হামলা চালিয়ে পাক পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরের ‘এয়ার ডিফেন্স’কে উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। এখানেই মোতায়েন ছিল চিনের তৈরি ‘এইচকিউ-৯পি’ নামের একটি এয়ার ডিফেন্স। এ ছাড়াও চিনের জেএফ-১৭ নামের দু’টি লড়াকু জেটকে ধ্বংস করে নয়াদিল্লি।

    চিনের সংবাদমাধ্যমে ভুয়ো খবর ছাপা হয় রাফাল নিয়ে

    ভারতীয় বিমানবাহিনীর রাফাল লড়াকু জেটকে ইসলামাবাদ ধ্বংস করেছে বলে খবর প্রকাশ করে চিন (China)। সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’- এ প্রকাশিত হয় এই খবর। এর পরেই ‘গ্লোবাল টাইমস’কে সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য ‘ফ্যাক্ট চেক’ পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবি। তখন বাধ্য হয়ে ভুল খবর প্রকাশ করার কথা স্বীকার করে নেয় চিনের এই সরকারি সংবাদমাধ্যম। এই আবহে রাফালকে ধ্বংস করতে বেজিঙের জে-১০সি লড়াকু জেট ব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাঁর বক্তব্য খারিজ করে দেয় চিন।

  • ISI: গোপন তথ্য দিতেন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে! এ বার গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের শাহজাদ

    ISI: গোপন তথ্য দিতেন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে! এ বার গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের শাহজাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ফের গ্রেফতার করা হল একজনকে। শনিবারই উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলা থেকে সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস) গ্রেফতার করে শাহজাদ নামের একজনকে। তাঁকে আপাতত নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, একাধিকবার পাকিস্তানেও গিয়েছেন শাহজাদ। সেখানে আইএসআই কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও হত তাঁর। সন্ত্রাস দমন শাখার আরও চাঞ্চল্যকর দাবি, শাহজাদ রামপুর ও উত্তর প্রদেশের অন্যান্য অংশ থেকে সাধারণ মানুষদের পাকিস্তানে পাঠাত আইএসআই-র হয়ে কাজ করার জন্য।

    শাহজাদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ

    জানা গিয়েছে, শাহজাদ পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর (ISI) হাতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা গোপন তথ্য তুলে দিতেন। আইএসআই-এর শীর্ষকর্তাদের একাংশের সঙ্গেও তাঁর সরাসরি যোগাযোগ ছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে বিগত কয়েক দিন ধরেই শাহজাদ নামের ওই যুবকের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ১৪৮ ও ১৫২ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    শাহজাদ একাধিক বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন

    আরও জানা যাচ্ছে, শাহজাদ একাধিক বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। সেখানেই আইএসআই-এর (ISI) মদতে তিনি সীমান্ত পেরিয়ে নানা জিনিস চোরাচালান করতেন বলে জানা যাচ্ছে। চোরাচালানের কারবারের আড়ালেই এই চরবৃত্তি চলত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তরকারীরা। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানে আইএসআই-এর (ISI) লোকজনকে ভারতের সিমকার্ড দেওয়া, এদেশে আইএসআই এজেন্টদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

    জ্যোতির পরে হরিয়ানায় গ্রেফতার নোমান ইলাহী

    জ্যোতি মলহোত্রার পরেই পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (ISI) অভিযোগে হরিয়ানা থেকে নোমান ইলাহী নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, তিনি উত্তরপ্রদেশের শামলীর বাসিন্দা তবে কর্মসূত্রে থাকতেন হরিয়ানায়। হরিয়ানার পানিপথে একটি কারখানায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন নোমান। কাজের আড়ালেই চলত চরবৃত্তি। প্রসঙ্গত, চরবৃত্তির অভিযোগে কয়েক দিন আগে গ্রেফতার হয়েছেন হরিয়ানার বছর পঁচিশের এক পড়ুয়াও।

  • Golden Temple: স্বর্ণমন্দির লক্ষ্য করে মিসাইল-ড্রোন হামলা পাকিস্তানের! কীভাবে রুখল ভারত, ভিডিও প্রকাশ সেনার

    Golden Temple: স্বর্ণমন্দির লক্ষ্য করে মিসাইল-ড্রোন হামলা পাকিস্তানের! কীভাবে রুখল ভারত, ভিডিও প্রকাশ সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃতসরের বিখ্যাত স্বর্ণমন্দির (Golden Temple) ধ্বংসের লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ঐতিহাসিক এই মন্দিরের গায়ে একটি আঁচড়ও লাগেনি। কারণ পাক মিসাইল আর ড্রোন হামলার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। অপারেশন সিঁদুরের জবাবে ভারতে পাল্টা হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তান। ড্রোন হামলার চেষ্টা হয়েছিল স্বর্ণ মন্দিরেও। গত ৮ মে ভোররাতে পাকিস্তান ড্রোন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়। তবে ভারতীয় সেনা আগে থেকেই প্রস্তুত থাকায় তা প্রতিহত হয়। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা বলয় এক ইঞ্চিও ক্ষতি হতে দেয়নি পবিত্র এই ধর্মস্থানের।

    কীভাবে প্রতিহত হল হামলা

    পাক সেনার ছক প্রতিহত করেছে ভারত। ভারতের প্রত্যাঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে লাহোরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ভয় পেয়েছে ইসলামাবাদ। ৫১তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং পদে থাকা মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রি জানান, “আমরা জানতাম পাকিস্তান নির্দিষ্ট কোনও টার্গেট পাবে না হামলা চালানোর জন্য। তাই ওরা ভারতীয় সেনার ঘাঁটি এবং জনবসতিতে হামলা করবে। জনবসতির মধ্যে থাকা ধর্মস্থানেও পাক হামলার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। ধর্মস্থানের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত স্বর্ণমন্দির (Golden Temple)। তাই ৮ মে অমৃতসর লক্ষ্য করে হামলা শুরু হতেই আমরা স্বর্ণমন্দির সুরক্ষিত রাখতে একটি ছাতা গড়ে তুলি।” মেজর জেনারেল শেষাদ্রি আরও জানান, মূলত ড্রোন এবং দূরপাল্লার মিসাইলের মাধ্যমে ওইদিন হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেটা রুখতে পুরোপুরি তৈরি ছিল সেনা। তাঁর কথায়, “আমাদের সাহস এবং সতর্কতা পাক সেনার জঘন্য ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রত্যেকটি ড্রোন এবং মিসাইলকে গুলি করে নামানো হয়েছে। স্বর্ণমন্দিরের কোনও ক্ষতি হয়নি।”

    ভিডিও প্রকাশ সেনার

    কীভাবে পাক হানা রুখে দেওয়া হল, তার বিশদ বিবরণ দিয়ে সোমবার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় সেনার তরফে। সেখানে আকাশ মিসাইল সিস্টেম, এল-৭০ এয়ার ডিফেন্স গানের ব্যবহার দেখানো হয়েছে। অমৃতসর-সহ পাঞ্জাবের অন্যান্য শহরগুলিকে রক্ষা করেছিল এই সিস্টেমই। কীভাবে পাক হামলার সামনে দুর্ভেদ্য প্রাচীর গড়েছে সেনা, তুলে ধরা হয়েছে সেনার প্রকাশিত এই ভিডিওতে। পাকিস্তান মূলত ড্রোন, লয়টারিং মিউনিশন ও দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়। কিন্তু ভারতের প্রতিরক্ষা গঠনতন্ত্র ২৪ ঘণ্টা নজরদারি ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে সক্ষম হওয়ায় সব ধরনের হুমকিকে আগেভাগেই ধ্বংস করে দেয়। ভারতের ৩৬ জায়গায় হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। প্রতি বারই পাকিস্তানের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারতীয় বাহিনী। ৩০০ থেকে ৪০০ বার ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে সেই হামলা প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা। বেশ কয়েকটি পাক ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

LinkedIn
Share