Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Mig 21: ৬২ বছর পর অবসর নিচ্ছে ‘নায়ক’ মিগ-২১! ভারতীয় সেনার হাতে এল ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’

    Mig 21: ৬২ বছর পর অবসর নিচ্ছে ‘নায়ক’ মিগ-২১! ভারতীয় সেনার হাতে এল ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বিমান বাহিনীর দীর্ঘদিনের সঙ্গী এবং বহু ঐতিহাসিক যুদ্ধের সাক্ষী মিগ-২১ যুদ্ধবিমান (Mig 21) অবশেষে অবসর নিতে চলেছে। বিমান বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড়ের বিমানঘাঁটিতে ২৩ স্কোয়াড্রন (প্যান্থার্স) এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ উড়ান সম্পন্ন করে বিদায় জানানো হবে এই কিংবদন্তি যুদ্ধবিমানকে। ৬২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় আকাশকে রক্ষা করার পর অবশেষে এর স্থানে যোগ দিচ্ছে দেশীয় প্রযুক্তিতে (Fighter Jet) তৈরি তেজস এমকে১এ যুদ্ধবিমান, যা আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত সেন্সর এবং যুদ্ধক্ষমতা নিয়ে সজ্জিত।

    মিগ-২১ একাধিক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী (Mig 21)

    ১৯৬৩ সালে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হওয়া এই যুদ্ধবিমানটি তৈরি হয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মিকোয়ান-গুরেভিচ অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন দ্বারা। মিগ-২১ একাধিক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে—১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, কার্গিল সংঘাত, ২০১৯ সালের বালাকোট অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এই যুদ্ধবিমানেই ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে উইং কমান্ডার (বর্তমানে গ্রুপ ক্যাপ্টেন) অভিনন্দন বর্তমান পাকিস্তানের এফ-১৬ জঙ্গিবিমানকে তাড়া করে আকাশযুদ্ধে মোকাবিলা করেছিলেন। শত্রুপক্ষের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ঢুকে পড়ার পরে তিনি ধরা পড়েন, তবে দু’দিনের মধ্যে পাকিস্তান কূটনৈতিক চাপের মুখে তাঁকে ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেয় (Mig 21)। এই সাহসিকতার জন্য তাঁকে (Fighter Jet) বীর চক্র সম্মানে ভূষিত করা হয়।

    প্রথম দফায় তিনটি অত্যাধুনিক অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হাতে পেয়েছে ভারত

    তবে মিগ-২১ (Mig 21) নিয়ে বিতর্কেরও অভাব ছিল না। দীর্ঘ কার্যকালজুড়ে একাধিক দুর্ঘটনা ও যান্ত্রিক ত্রুটির অভিযোগে বিমানটি ‘ফ্লাইং কফিন’ বলেও সমালোচিত হয়েছে। তবুও ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষার ইতিহাসে মিগ-২১ এর অবদান অস্বীকার করা যায় না। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য আশার খবর—প্রায় ১৫ মাস অপেক্ষার পরে প্রথম দফায় তিনটি অত্যাধুনিক অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হাতে পেয়েছে ভারত। বছরের শেষে আরও তিনটি কপ্টার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এই মার্কিন-নির্মিত অ্যাপাচে AH-64E হেলিকপ্টারগুলি যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর আক্রমণ ও নজরদারি চালাতে সক্ষম, যা সেনার শক্তি আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! এবার খুলনায় খুন হিন্দু ব্যবসায়ী

    Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! এবার খুলনায় খুন হিন্দু ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৬ জুলাই শনিবার, বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের মাগুরা সদর উপজেলায় নৃশংসভাবে খুন হন ৫৫ বছর বয়সি হিন্দু ব্যবসায়ী ভজন কুমার গুহ। বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, মহম্মদ আবির নামের এক ব্যক্তি এবং তার কয়েকজন সহযোগী এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে জানা গেছে।

    দোকান থেকে ফেরার পথেই হামলা চালায় মহম্মদ আবির

    বাংলাদেশের (Bangladesh) একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, রাত প্রায় ১১টার দিকে ভজন কুমার গুহ তাঁর দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় দুষ্কৃতীরা তাকে পথের মাঝে থামিয়ে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। পরে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ভজন কুমার গুহ। স্থানীয়রা নিহতের দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন (Khulna)। মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আইয়ুব আলী সাংবাদিকদের জানান, নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    নিহতকে মালাউন বলে গালি দেয় মহম্মদ আবির

    হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত ৩৫ বছর বয়সি মহম্মদ আবিরকে গ্রেফতার করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশ যখন আবিরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন সে প্রকাশ্যে ভজন কুমার গুহকে “মালাউন” বলে গালিগালাজ করতে থাকে। এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায় (Bangladesh)। নিহত ভজন কুমার গুহের স্ত্রীকে একাধিক বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।

    উগ্র মৌলবাদীদের প্রচার

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশের কিছু উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী “টিএমডি” নামে একটি প্রচার অভিযান চালাচ্ছে। এই শব্দটির পূর্ণরূপ “Total Maloun Death”, যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নির্মূল করার বার্তা ছড়ানো (Khulna)। মানবাধিকার কর্মীরা এই প্রচারকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন (Bangladesh)।

  • PM Modi: মোদির ‘মন কি বাত’-এ উঠে এল বিপ্লবী ক্ষুদিরাম থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা

    PM Modi: মোদির ‘মন কি বাত’-এ উঠে এল বিপ্লবী ক্ষুদিরাম থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘মন কি বাত’-এর ১২৪তম পর্বে উঠে এল বিপ্লবী ক্ষুদিরাম থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার প্রসঙ্গ। রবিবার সম্প্রচারিত ‘মন কি বাত’-এর (Mann ki Baat) ১২৪তম পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ভারতের মহাকাশ অভিযানে সাফল্য, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের স্মরণ, স্বদেশী আন্দোলন, এবং ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক।

    শুভাংশু শুক্লা ও ভারতের মহাকাশ গবেষণা (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, ভারতের মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) সফর শেষে দেশে ফিরেছেন, যা দেশের জন্য এক গর্বের বিষয়। পাশাপাশি তিনি বলেন, আগামী ২৩ অগাস্ট ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’ পালিত হবে। এই দিনে দেশের নাগরিকরা ‘নমো অ্যাপে’ পরামর্শ ও মতামত জানাতে পারবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের সাফল্য এবং অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করব। বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে অনেক ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে।” প্রধানমন্ত্রী এদিন চন্দ্রযান-৩ এর কথাও স্মরণ করেন, যা ভারতের মহাকাশ অভিযানে এক ঐতিহাসিক অধ্যায় রচনা করেছে।

    ক্ষুদিরামের প্রসঙ্গ (Mann ki Baat)

    ‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসু-র আত্মবলিদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ১৯০৮ সালে মুজাফফরপুরে যখন তাঁকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়, তখন তাঁর মুখে ভয় ছিল না, বরং ছিল আত্মবিশ্বাস। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি শহীদ হন। এই আত্মত্যাগের ফলেই আমরা আজ স্বাধীন।তিনি অগাস্ট মাসকে ‘বিপ্লবের মাস’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ১৫ অগাস্ট আমাদের সেইসব শহীদদের স্মরণ করার দিন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯০৫ সালের ৭ অগাস্ট থেকে শুরু হয় স্বদেশী আন্দোলন। এই উপলক্ষে প্রতিবছর ৭ আগস্ট ‘জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। তিনি জানান, ভারতের তাঁত শিল্প দিনে দিনে শক্তিশালী হচ্ছে এবং স্থানীয় শিল্পীদের অবদান জাতির গৌরব বাড়াচ্ছে।

    শিবাজী মহারাজের ১২টি দুর্গ পেয়েছে হেরিটেজ স্বীকৃতি, যা দেশের জন্য গর্বের

    আলোচনায় উঠে আসে অলিম্পিক ও অলিম্পিয়াড প্রসঙ্গও। প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতীয় খেলোয়াড় ও ছাত্রছাত্রীরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য অর্জন করছে। সবশেষে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, ইউনেস্কো সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের শিবাজী মহারাজের বারোটি দুর্গকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের’ স্বীকৃতি দিয়েছে, যা ভারতের গৌরবময় ইতিহাসের নিদর্শন।

  • Hamas: জাল পাসপোর্ট বানিয়ে গাজা থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন নিহত হামাস প্রধানের স্ত্রী, বলছে রিপোর্ট

    Hamas: জাল পাসপোর্ট বানিয়ে গাজা থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন নিহত হামাস প্রধানের স্ত্রী, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে গাজায় ইজরায়েলি হামলায় নিহত হন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার (Hamas)। এবার তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ সম্পর্কে একটি বড় খবর সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, ইয়াহিয়ার মৃত্যুর আগেই তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ আবু জামা (Hamas) জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে গাজা থেকে পালিয়ে যান। তিনি সন্তানদেরও সঙ্গে করে নিয়ে যান। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে তিনি তুরস্কে অবস্থান রয়েছে, এবং সেখানেই তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন।

    হামাসের এক সিনিয়র নেতা সামার মোহাম্মদকে পালাতে সাহায্য করেন

    জানা গেছে, সিনওয়ারের মৃত্যুর কয়েক মাস পরেই এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাসের (Hamas) এক সিনিয়র নেতা সামার মোহাম্মদকে পালাতে সাহায্য করেন। ওই নেতা গোপনে জাল পাসপোর্ট, জাল চিকিৎসা-সংক্রান্ত নথিপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে দেন। এমনকি, তুরস্কে (Turkey) বিয়ের আয়োজনও সেই নেতা-ই করেছিলেন বলে জানা যায়। ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হন। তবে তাঁর স্ত্রী এর আগেই গাজা ছেড়ে রাফা সীমান্ত দিয়ে মিশরে প্রবেশ করেন, এবং পরে সেখান থেকে জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে তুরস্কে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে সামার মোহাম্মদকে বিয়ে করেছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিনি ছিলেন সিনওয়ারের থেকে প্রায় ১৮ বছর ছোট। তাঁদের তিনটি সন্তান রয়েছে।

    ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ইয়াহিয়া সিনওয়ার চিহ্নিত করা হয়

    প্রসঙ্গত, ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছিলেন হামাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ২০১৭ সাল থেকে তিনি গাজায় হামাসের (Hamas) প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন এবং ২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে তিনি সংগঠনের প্রধান হন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তাঁকেই চিহ্নিত করা হয়। যুদ্ধের আবহে, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে দেখা যায় ইয়াহিয়া সিনওয়ার, তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ (Hamas) এবং তাঁদের সন্তানরা খান ইউনুসের একটি সুরঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। পালানোর সময় সামার মোহাম্মদের হাতে ছিল একটি মূল্যবান ব্র্যান্ডেড হ্যান্ডব্যাগ, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়।

  • Donald Trump: তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধ বিরতি? বড় ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্পের

    Donald Trump: তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধ বিরতি? বড় ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার (Thailand Cambodia War) মধ্যে সংঘাত শীঘ্রই শেষ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের পর এই সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়েছে। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ঘোষণা করেন, তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা তিনদিনের সংঘর্ষের পর নিজেদের মধ্যে যুদ্ধবিরোধী আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন। এই সংঘাতের ফলে উভয় দেশের মোট ৩১ জন নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।

    দুই দেশের সঙ্গে কথা (Donald Trump)

    ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানান, সংঘাত বন্ধ করতে তিনি ইতিমধ্যে উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের সতর্ক করেছেন যে, যদি সংঘাত চলতে থাকে, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য চুক্তিতে প্রবেশ করবে না। সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, উভয় পক্ষ—তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া—যুদ্ধবিরোধী এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় (Thailand Cambodia War)।তিনি আরও জানান, উভয় দেশই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার এবং একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমঝোতার পথে এগিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে এবং শান্তি পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠিত হলে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে দুই দেশের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে উদ্যোগ নেবেন।

    ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

    তবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। অন্যদিকে, তাইল্যান্ডের কার্যকরী প্রধানমন্ত্রী ফুমাথাম হোয়ে চায়া চাই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বলেন, তাইল্যান্ডের নীতি হলো—‘তাইল্যান্ড শান্তি চায়, যুদ্ধ নয়’। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, তিনি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন যে তাইল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চায়, যার মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত হয়। তবে তিনি এটাও বলেন যে, কম্বোডিয়ার (Thailand Cambodia War) দিক থেকেও এ বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা পাওয়া জরুরি।

  • Daily Horoscope 27 July 2025: সামাজিক কাজে আনন্দ পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 27 July 2025: সামাজিক কাজে আনন্দ পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেতে পারেন।

    ২) পরিজনদের পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে প্রতারিত করতে পারে, তাঁদের ষড়যন্ত্র বুঝতে হবে আপনাদের।

    বৃষ

    ১) বিবাদ থেকে দূরে থাকুন, তা না-হলে আইনি মামলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ২) কোনও বন্ধু মিষ্টি কথায় আপনার মন ভোলাতে পারে।

    ৩) কারও পরামর্শে কান দিয়ে বড়সড় লগ্নি করবেন না।

    মিথুন

    ১) সম্পত্তি ক্রয়ের ইচ্ছাপূরণ হবে।

    ২)  দূরের যাত্রায় যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে তা বাতিল করে দিন।

    ৩) পরিবারে কোনও সদস্যকে পরামর্শ দিলে তাঁরা সেটি মান্য করবেন।

    কর্কট

    ১) অতীত ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে কোনও সমস্যা চললে তা উপেক্ষা করবেন না।

    ৩) হঠাৎ গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় ব্যয় বাড়বে।

    সিংহ

    ১) আইনি মামলায় সতর্ক থাকুন।

    ২) কারও কাছ থেকে গাড়ি চেয়ে চালাবেন না, দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।

    ৩) টাকা ধার নেবেন না, কারণ তা শোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

    কন্যা

    ১)  কাউকে সাহায্য করার সুযোগ পেলে তা হাতছাড়া করবেন না।

    ২) নিজের কাজে মনোনিবেশ করা উচিত।

    ৩) গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পাবেন।

    তুলা

    ১) কোনও কাজের কারণে যাত্রায় যেতে পারেন।

    ২) ভাই-বোনের সঙ্গে কোনও কারণে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) সন্তানের তরফে সুসংবাদ পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) ছাত্রছাত্রীরা মানসিক বোঝা থেকে স্বস্তি পেতে পারেন।

    ২) পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য দুর্বল হলে তা দূর হবে।

    ৩) যাত্রার সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পেতে পারেন।

    ধনু

    ১) ব্যবসায়ীরা কোনও নতুন কাজ করার পরিকল্পনা করতে পারেন।

    ২)  মা-বাবার আশীর্বাদে আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে।

    ৩) সন্তানের জন্য নতুন বাহন কিনতে পারেন।

    মকর

    ১) দূরের যাত্রায় যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হন, তা না-হলে সমস্যায় জড়াতে পারেন।

    ২) পরিবারের কোনও সদস্যের স্বাস্থ্য হঠাৎ নষ্ট হবে।

    ৩) বিরোধীরা আপনাকে সমস্যায় ফেলতে পারেন, কিন্তু নিজের বুদ্ধির দ্বারা তাঁদের পরাজিত করবেন।

    কুম্ভ

    ১) শুভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    ২) সামাজিক কাজে আনন্দ পাবেন।

    ৩) ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সতর্কভাবে করুন।

    মীন

    ১) পূজার্চনা ও আধ্যাত্মিক কাজে মনোনিবেশ করবেন।

    ২) ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।

    ৩) ভেবেচিন্তে লগ্নি করুন। তা না-হলে লোকসান হবে।

  • Chess World Cup Final 2025: দিব্যা বনাম হাম্পি! মেয়েদের দাবা বিশ্বকাপ ফাইনালে দুই ভারতীয় কন্যা

    Chess World Cup Final 2025: দিব্যা বনাম হাম্পি! মেয়েদের দাবা বিশ্বকাপ ফাইনালে দুই ভারতীয় কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবারের জন্য মেয়েদের দাবা বিশ্বকাপ ফাইনালে (Chess World Cup Final 2025) দুই ভারতীয়। যার অর্থ, মেয়েদের প্রথম বিশ্বকাপ আসছে ভারতে। কয়েক বছর ধরেই ৬৪ খোপে রমরমা ভারতীয় দাবাড়ুদের। ভারতের এই নতুন প্রজন্মকে সমীহ করে চলেন বিশ্বের তাবড় গ্র্যান্ডমাস্টাররা। ছেলেরা ছাপ ফেলেছিলেন আগেই, এ বার মেয়েরাও দাপট দেখাচ্ছেন। তারই একটা নতুন অধ্যায় লেখা শুরু হবে শনিবার থেকে। জর্জিয়ার বাতুমিতে শুরু হচ্ছে মেয়েদের বিশ্বকাপের ফাইনাল। সেখানে মুখোমুখি কোনেরু হাম্পি ও দিব্যা দেশমুখ (Koneru Humpy vs Divya Deshmukh)।

    হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-এর অপেক্ষা

    প্রায় তিন দশক ধরে তিনি উজ্জ্বল দাবার আকাশে। এবার ৩৮ বছরের হাম্পির সামনে কেরিয়ারের সেরা সুযোগ বিশ্বকাপ জেতার। বিজয়ওয়াড়ার হাম্পিকে বিশ্বকাপ ফাইনালে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন যিনি, তাঁর বয়স হাম্পির ঠিক অর্ধেক। নাগপুরের ১৯ বছরের দিব্যা দেশমুখ। এই বিশ্বকাপে দুই ভারতীয়ই বড় জয় পেয়েছেন চিনা গ্র্যান্ডমাস্টারদের বিরুদ্ধে। তবে দিব্যার প্রাপ্তি বেশি। ফাইনালে ওঠার সুবাদে এই ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার পেয়েছেন প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম। পেয়েছেন ক্যান্ডিডেটস দাবায় নামার সুযোগ। হাম্পিও পেয়েছেন ক্যান্ডিডেটসে খেলার টিকিট। তবে শনিবার বাতুমিতে এ সব কিছু নিশ্চয়ই মাথায় থাকবে না দু’জনের। শ্রেষ্ঠত্বের জন্য তাঁদের চোখ থাকবে ৬৪ খোপে। হাতে দুটো দিন। রবিবার দ্বিতীয় গেমে ফয়সালা না হলে সোমবার বরাদ্দ টাইব্রেকারের জন্য।

    চ্যাম্পিয়ন ভারত-ই

    মহিলাদের বিশ্বকাপ দাবার আগে দিব্যা দেশমুখের নাম খুব বেশি মানুষ জানতেন না। মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার এবং আন্তর্জাতিক মাস্টার দিব্যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আগেও সাফল্য পেয়েছেন। দাবা অলিম্পিয়াডে তিনটি সোনার পদক রয়েছে তাঁর। তবু নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে তেমন পরিচিতি ছিল না এত দিন। বিশ্বকাপ দাবার সেমিফাইনালে জয় তাঁকে হঠাৎই তারকার মর্যাদা দিচ্ছে। দাবা বিশ্বাপ ফাইানলে যদিও ফেভারিট হিসেবেই নামবেন অভিজ্ঞ হাম্পি। তবে দিব্যা যে , শক্ত প্রতিপক্ষ তা জানেন কোনেরু হাম্পি। ভারতে মহিলা দাবার মুখ দীর্ঘ দিন ধরে হাম্পি। তিনিই দেশের এক নম্বর। ঘটনাচক্রে তাঁর বিরুদ্ধেই বিশ্বকাপ ফাইনাল দিব্যার। যিনি ফাইনাল জিতবেন তিনি পুরস্কার স্বরূপ পাবেন ৪৩ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে যিনি রানার্স হবেন তিনি পাবেন ৩০ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা। তবে ফলাফল যাই-হোক না কেন ৬৪ খোপের খেলায় ভারত পাবে প্রথম মহিলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

  • Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু নির্বাচন কমিশনের, সংখ্যার খেলায় এগিয়ে এনডিএ

    Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু নির্বাচন কমিশনের, সংখ্যার খেলায় এগিয়ে এনডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনের কাজকর্ম শেষ করে রাতে হঠাৎ উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়৷ স্বাস্থ্যের কারণে তাঁর এই ইস্তফা বলে জানান তিনি। এবার তাঁর উত্তরসূরি বাছাইয়ে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করল কমিশন। রাজ্যসভার অন্য দু’জন সচিবকে অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের

    গত ২১ জুলাই ইস্তফা দেন ধনখড়। পরদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য থাকার কথা জানায়। তারপরই উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয় কমিশন। শুক্রবার, আইন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের সম্মতিতে ১ জন রিটার্নিং অফিসার ও ২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়। রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল বা মহাসচিব পিসি মোদিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে কমিশন। পাশাপাশি, রাজ্যসভার যুগ্মসচিব গরিমা জৈন এবং রাজ্যসভা সচিবালয়ের অধিকর্তা বিজয় কুমারকে সহকারি রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কমিশন এখনও পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি না করলেও, কমিশন জানিয়েছে, প্রস্তুতি সারা হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে৷ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৮ অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি জারির ৩০ দিনের আশপাশে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা। ভারতের সংবিধানের ধারা ৬৬(১) অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। ভোট হয় একক স্থানান্তরযোগ্য ভোটপদ্ধতিতে, অর্থাৎ গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সাংসদদের পছন্দক্রম অনুযায়ী ভোটদান।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন কারা?

    বর্তমানে লোকসভায় ৫৪৩টি আসনের মধ্যে একটি আসন (পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট) শূন্য। রাজ্যসভায় ২৪৫টি আসনের মধ্যে ৫টি শূন্য— এর মধ্যে ৪টি জম্মু-কাশ্মীর এবং ১টি পাঞ্জাবের। ফলে কার্যত ভোটদানে যোগ্য সাংসদ সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৭৮২। নির্বাচিত ও মনোনীত— উভয় কক্ষের সদস্যরাই ভোট দিতে পারেন। সংখ্যার নিরিখে জিততে প্রয়োজন কমপক্ষে ৩৯২টি ভোট।

    এনডিএ না ইন্ডি— কে এগিয়ে কে পিছিয়ে?

    লোকসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। রাজ্যসভায় এনডিএ-র সমর্থনে রয়েছেন ১২৯ জন সাংসদ। সব মিলিয়ে এনডিএ-র ঝুলিতে আছে ৪২২টি ভোট— যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের রয়েছে লোকসভায় ৯৯ এবং রাজ্যসভায় ২৭ জন সাংসদ। বিরোধী জোট ‘ইন্ডি’ ব্লকের সমর্থনে এই সংখ্যা ৩৫০-র বেশি হলেও, সম্প্রতি আম আদমি পার্টি সেই জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বিরোধীরা। উপরন্তু, কয়েকজন সাংসদের দলত্যাগ বা অনুপস্থিতির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। যদিও শেষ মুহূর্তে কে ভোট দেন, কে দেন না, বা কারা পক্ষ বদলান — তার উপরই নির্ভর করছে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাংসদদের ভোটদানের ক্ষেত্রে দল হুইপ জারি করতে পারে না। তবে, এনডিএ প্রার্থীর জয় কার্যত নিশ্চিত।

  • Online Arms Licences: ভূমিপুত্রদের নিরাপত্তার স্বার্থে অসমে অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেবে সরকার

    Online Arms Licences: ভূমিপুত্রদের নিরাপত্তার স্বার্থে অসমে অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেবে সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স (Online Arms Licences) প্রদান ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে অসম সরকার। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহেই চালু হতে চলেছে এই অনলাইন পোর্টাল। এই পোর্টালের মাধ্যমে যারা নিজেদের সুরক্ষার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র প্রয়োজন মনে করছেন, তারা আর জেলা শাসকের (ডিসি) দফতরে না গিয়েই অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় যে ভূমিপুত্ররা থাকেন, তাঁদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ বলে খবর। অসমের যে সমস্ত প্রত্যন্ত এলাকায় বা উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় রাজ্যের বাসিন্দারা ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়ছেন, তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ক্যাবিনেট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    ডিব্রুগড়ের এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “আগামী দিনে অসমের পরিস্থিতি অত্যন্ত বিস্ফোরক হতে চলেছে। সেই সময় স্থানীয় মানুষ কীভাবে বাঁচবেন বা নিজেদের রক্ষা করবেন? একমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রই তখন তাদের রক্ষা করবে।” বিরোধী কংগ্রেসের (Online Arms Licences) সমালোচনার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার বক্তব্য স্পষ্ট। ৪০,০০০ একরেরও বেশি জমি বাংলাদেশি মুসলিম দখলদারদের হাত থেকে পুনরুদ্ধার করার পর, অসমবাসী নির্ভয়ে বাঁচতে শিখেছে। ভবিষ্যতেও এই সাহস ধরে রাখতে হবে। শুধু আন্দোলন করেই অধিকার আদায় হয় না, বাস্তববাদী হতে হবে। অসমবাসীকে বাঁচতে হলে বাস্তববাদী হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের সরকার অসমবাসীর নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য একাধিক বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ করেছে। ২০২৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আরও পদক্ষেপ করবে। আমাদের সামনে কিছু লক্ষ্য রয়েছে এবং আমরা তা সংবিধানের সীমার মধ্যে থেকে দ্রুত বাস্তবায়ন করব।”

    কীভাবে লাইসেন্স দেওয়া হবে

    বর্তমানে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের (Online Arms Licences) আবেদন করা গেলেও, ‘সেবা সেতু’ পোর্টালে এই পরিষেবা যুক্ত হওয়ায় আবেদন আরও সহজ হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আবেদন করার পর ডিসি যাচাই করবেন, আবেদনকারী লাইসেন্সের যোগ্য কি না, তারপরই লাইসেন্স প্রদান করা হবে। এর আগে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, ধুবড়ি, বরপেটা এবং হাইলাকান্দি জেলার মতো এলাকায়, যেখানে স্থানীয়রা সংখ্যালঘু, সেখানে তারা ভয় এবং হুমকির মধ্যে বাস করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর, বাংলাদেশি মুসলিমদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের হুমকি দেওয়ার একাধিক অভিযোগও উঠেছে। এমনকি এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, আগামী ২০ বছরের মধ্যে অসমবাসীর জমি ও সম্পত্তি দখল করার হুমকি দিচ্ছেন এক বাংলাদেশি।

  • Stealth Fighters: ‘CAATSA’-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কোন বিকল্প পথে রুশ সু-৫৭ স্টেলথ বিমান নিতে পারে ভারত?

    Stealth Fighters: ‘CAATSA’-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কোন বিকল্প পথে রুশ সু-৫৭ স্টেলথ বিমান নিতে পারে ভারত?

    সুশান্ত দাস

    ভারতীয় সেনায় অ্যাপাচে (Apache AH-64E) অন্তর্ভুক্তি হওয়ার দুদিন পরেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এক বিরাট খবর সামনে এল। জানা যাচ্ছে, আপৎকালীন ভিত্তিতে এবার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বা স্টেলথ ফাইটার (Stealth Fighters) জেট কেনার বিষয়ে গুরুত্ব দিয় ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে মোদি সরকার (Modi Sarkar)।

    অ্যামকা (AMCA) হাতে পেতে আরও ১০ বছর

    ভারতের নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (Fifth Generation Fighter Jets) ‘অ্যামকা’ তৈরির প্রকল্প বাস্তব রূপ পেতে ঢের দেরি। ডিআরডিও এই প্রকল্পের কাজ জোরদার চালালেও, এই যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরঞ্জাম জোগাড় করা এবং তার পর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার পরেই মাস প্রোডাকশন বা অধিক সংখ্যায় তৈরি করা হবে অ্যামকা। তার পর গিয়ে তা শেষমেশ বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। আর এসব হতে হতে অন্তত ১০ বছর সময় লাগবে। অর্থাৎ, বায়ুসেনায় অ্যামকা পুরোপুরি অন্তর্ভুক্ত হতে আরও এক দশক!

    পাকিস্তানকে সাজাচ্ছে চিন!

    কিন্তু, ভারতের শত্রুরা তো বসে নেই। চিন তো প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়িয়েই চলেছে। উল্টোদিকে, অপারেশন সিঁদুরের ভারতের হাতে মার খাওয়ার পর থেকেই প্রতিরক্ষাকে ঢেলে সাজাচ্ছে পাকিস্তানও। আর তাতে পাকিস্তানকে সর্বস্ব দিয়ে সাহায্য করছে সব ঋতুর বন্ধু চিন। এমনও শোনা গিয়েছে, বেজিং তার নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট ইসলামাবাদকে দিতে আগ্রহী। যদি তা বাস্তব হয়, তাহলে ভারতের কাছে তা বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমতাবস্থায়, ভারত কখনই চাইবে না, তেমন দিন দেখতে। ভারতকেও অবিলম্বে এই অস্ত্র নিজের ঘরে তুলতে হবে। প্রশ্ন হল, এখন ভারত কী করবে?

    শূন্যস্থান পূরণের দাবি জোরালো…

    পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটারের শূন্যস্থান পূরণের জন্য ভারত আপৎকালীন ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক যুদ্ধবিমান কেনার ভাবনাচিন্তা করছে ভারত। যা খবর আসছে, বিদেশ থেকে ২ থেকে ৩ স্কোয়াড্রন স্টেলথ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের কাছে এই মর্মে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেখানে বলা হয়েছে, অ্যামকা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বায়ুসেনার অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে দুই থেকে তিনটি স্কোয়াড্রন (৪০-৬০টি বিমান) কেনা হোক। বায়ুসেনা তাদের প্রস্তাব পেশ করে প্রতিরক্ষা সচিব আরকে সিং-এর নেতৃত্বাধীন একটি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির কাছে। সূত্রের খবর, বাহিনীর প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রস্তুতি বাড়ানোর জন্য পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কিনে উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।

    কেন্দ্রকে অভিনব ফর্মুলা বায়ুসেনার

    ইতিমধ্যে এমআরএফএ (MRFA) প্রকল্পের আওতায় ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের যুদ্ধববিমান কেনার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে ভারত। এই প্রকল্পের আওতায় ১১৪টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা। এক্ষেত্রে, ভারতের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্সের দাসো এভিয়েশনের রাফাল যুদ্ধবিমানের এফ-৪ ভেরিয়েন্ট। বায়ুসেনার এক-একটি স্কোয়াড্রনে ১৮-২০টি বিমান থাকে। অর্থাৎ, ১১৪টি যুদ্ধবিমান হল আনুমানিক ৬টি স্কোয়াড্রনের সমান। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, বায়ুসনার তরফে প্রতিরক্ষা সচিবের কাছে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র ১১৪টা ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনার জায়গায় সংখ্যাটিকে দুভাগে ভাঙতে। যেমন— ৬০টা ৪.৫ প্রজন্মের আর ৫৪টা পঞ্চম প্রজন্মের। বা উল্টোটা। অর্থাৎ, ৫৪টা যুদ্ধবিমান ৪.৫ প্রজন্মের আর ৬০টা পঞ্চম প্রজন্মের। এক কথায়, তিন স্কোয়াড্রন ৪.৫ প্রজন্মের আর বাকি তিনটে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনা যেতে পারে। জানা গিয়েছে, প্রতিরক্ষা সচিব সেই ফর্মুলায় সম্মত হয়েছেন।

    ভারতকে প্রস্তাব দুই দেশের

    এবার প্রশ্ন, কার থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিতে পারবে ভারত? তবে, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে দেখে নেওয়া যাক, এই মুহূর্তে স্টেলথ ফাইটার জেট রয়েছে বিশ্বের কোন কোন দেশের কাছে। অপারেশনাল পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ জেট রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের। এছাড়া, আমেরিকার এফ-৩৫ ব্যবহার করে ইজরায়েল, যুক্তরাজ্য সহ কয়েকটি দেশ। চিন ভারতের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। ফলে, রইল বাকি আমেরিকা ও রাশিয়া। এদের দুজনেই তাদের স্টেলথ বিমান বিক্রির প্রস্তাব ভারতের সামনে রেখেছে। একদিকে আমেরিকা সামনে করছে তাদের এফ-৩৫এ (F-35A) যুদ্ধবিমান। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রস্তাবে রয়েছে সু-৫৭ (Su-57)।

    কার স্টেলথ বিমান নেবে ভারত?

    তাহলে ভারত কাদের দিকে ঝুঁকবে? মার্কিন এফ-৩৫ খাতায়-কলমে বিশ্বের সেরা হলেও, এটা কেনায় অনেক জটিলতা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে এফ-৩৫ বেচতে চাইলেও, ভারত যা চাইবে, তা পাবে না (বলা ভালো দেওয়া হবে না)। যুদ্ধবিমানের নির্মাতা লকহিড-মার্টিন কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখে। নিজেদের ‘নয়নের মণি’ বিমানের প্রযুক্তি এবং যন্ত্রাংশ— উভয়ের উপরই কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখে পেন্টাগন। এমনকি, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ভারতের হাতে ছাড়া হবে না। তার জন্য ভারতে একাধিক মার্কিন কর্মীকে মোতায়েন করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে কঠোর এন্ড-ইউজার মনিটরিং ক্লজ চাপাতে পারে, যাতে ভারত সায় দেবে না। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আমেরিকা চাইলে বিমানের কার্যকারিতা সীমিত করতে পারে। উপরন্তু, এফ-৩৫ রাখা প্রায় সাদা হাতি পোষার সামিল। বিমানের দাম থেকে এর রক্ষণাবেক্ষণের খরচের ভার বিপুল। এছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে, যা ভারতের বাধা।

    রাশিয়া থেকে কেনা সহজ নয়…

    তাহলে কি ভারত পুরনো বিশ্বস্ত বন্ধু রাশিয়ার সু-৫৭ যুদ্ধবিমানই কিনতে চলেছে? এখনও এই প্রশ্নের উত্তর নেই। কারণ, ভারতের কেনার বিষয়টি পুরোটাই ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে। আরও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণ হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কমিটি। তবে, রাশিয়া থেকে কেনাও এতটা সহজ হবে না। প্রধান কারণ হল আমেরিকার তীব্র আপত্তি। এমনিতেই রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা নিয়ে ভারতকে পরোক্ষে হুমকি দিচ্ছে আমেরিকা। সর্বোপরি, রাশিয়া স্টেলথ যুদ্ধবিমানের সমস্ত প্রযুক্তিই নয়, এই বিমানের সোর্স কোড-ও ভারতকে দিতে রাজি হয়েছে। এতেই তেলে-বেগুনে ট্রাম্প! রাশিয়ার স্টেলথ বিমান কেনা থেকে ভারতকে আটকাতে নয়াদিল্লির ওপর নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলিয়ে রেখেছে ওয়াশিংটন। হুমকি দিচ্ছে, যদি ভারত রাশিয়া থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনে, তাহলে, ভারতের ওপর ‘CAATSA’ আরোপ করা হবে। সহজ কথায়, ভারতকে আমেরিকার শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

    সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না…

    তাহলে, ভারত কী করতে পারে? ইচ্ছে থাকলেও ভারত কি কিনতে পারবে না রুশ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান? উপায় একটা আছে। তা হলে, সরাসরি না কিনে, ঘুরপথে যাওয়া। অন্তত তেমনই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কেমন সম্ভব হবে সেটা? কী সেই ঘুরপথ? ভারত যেটা করতে পারে, তা হল রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রোগ্রামের অংশীদার হয়ে যাওয়া। যা ভারত একটা সময় পর্যন্ত ছিল। ২০১১ সালে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। প্রোজেক্টের নাম ছিল ‘পিএকে-এফএ টি-৫০’। তখন সু-৫৭ দিনের আলো দেখেনি। বলা যেতে পারে, বর্তমান সু-৫৭’র পূর্বসূরি ছিল ‘টি-৫০’। কিন্তু, প্রযুক্তি হস্তান্তর সহ একাধিক বিষয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় ২০১৭ সালে ওই প্রকল্পে থেকে পিছিয়ে আসে ভারত। এখন রাশিয়া যদি জানায়, তারা আবার ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে স্টেলথ প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, তাহলে ভারত অংশীদার হতে পারে। তাতে আমেরিকার বলার কোনও জায়গা থাকবে না। সেক্ষেত্রে, ভারতের কাছে সবকিছুই থাকবে। অংশীদার হিসেবে রুশ সু-৫৭ নিতে ভারতের অসুবিধে হবে না। অর্থাৎ, সাপও মরবে, আবার লাঠিও ভাঙবে না। অন্তত, তথ্যাভিজ্ঞ মহল এমনটাই মনে করছে। বাস্তবে কী হবে, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

LinkedIn
Share