Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Agni-5: শত্রুর বুকে কাঁপুনি! অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    Agni-5: শত্রুর বুকে কাঁপুনি! অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সামরিক শক্তি দেখাল ভারত। বুধবার সফলভাবে দেশের সেরা ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ‘অগ্নি-৫’ ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালানো হল। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম ‘ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ অগ্নি-৫ পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

    ভারতের সবচেয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র

    ওড়িশার চাঁদিপুরের এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ অবস্থিত ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে অগ্নি-৫ সফলভাবে পরীক্ষা করে ভারত। এই ক্ষেপণাস্ত্র চিনের রাজধানী বেজিং‌ঙে আঘাত হানতে পারে! আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও উত্তর কোরিয়া ছাড়া আর কোনও দেশের হাতে এই পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নেই। বর্তমানে, এটিই হল ভারতের সবচেয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ৮ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই মিসাইলটিকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এটি তৈরি করেছে ডিআরডিও। পরীক্ষার সময় ভারত মহাসাগরে মোতায়েন যুদ্ধজাহাজ, শক্তিশালী রেডার দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটির গতি, দিশা, লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত সহ রিয়েল-টাইম ফ্লাইট অ্যাসেসমেন্ট করা হয়।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই পরীক্ষায় সব কার্যকরী ও প্রযুক্তিগত মানদণ্ড নিশ্চিত করা হয়েছে। পরীক্ষার তত্ত্বাবধানে ছিল বাহিনীর স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড। এই বাহিনীই ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য কৌশলগত অস্ত্রের দায়িত্বে থাকে। আকাশের বুক চিরে এই ক্ষেপণাস্ত্রের যাওয়ার দৃশ্য দিঘা, এমনকী বাংলাদেশ থেকেও দেখা গিয়েছে বলে দাবি। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য চলতি মাসের গোড়ার দিকেই ভারত মহাসাগরে ৪,৭৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিমানবাহিনীর জন্য নোটাম জারি করেছিল কেন্দ্র। অসামরিক বিমান ও সামুদ্রিক যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য লাইভ-ফায়ার পরীক্ষার সময় যেসব এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে তা চিহ্নিত করতে নোটাম জারি করা হয়।

    অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব

    ৫০ টন ওজনের প্রায় সাড়ে ১৭ মিটার লম্বা এবং ২ মিটার চওড়া অগ্নি-৫ একটি থ্রি-স্টেজ সলিড-ফুয়েল চালিত ক্ষেপণাস্ত্র। মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল (MIRV) প্রযুক্তিতে সজ্জিত এই ক্ষেপণাস্ত্র। অর্থাৎ, একবার উৎক্ষেপণ করা হলে, এটি একই সঙ্গে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে পারে। অগ্নি-৫ এর দেড় টন পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র বহন করার ক্ষমতা রয়েছে। এখানেই শেষ নয়। রি-এন্ট্রির সময় এর গতি হয় ম্যাক ২৪। অর্থাৎ, শব্দের গতির ২৪ গুণ। ফলে, একে রোখা কার্যত অসাধ্য। এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা ক্যানিস্টার প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই কারণেই এটি সহজেই যেকোনও জায়গায় পরিবহণ করা যেতে পারে। এমনকী, রেলে করেও নিয়ে যাওয়া যায়। যে কারণে ‘অগ্নি ৫’ ক্ষেপণাস্ত্রকে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পদ বলে মনে করা হয়।

    আত্মনির্ভর ভারতের উদ্যোগ

    ভারতের এই উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতার ওপর জোর দেওয়া আদতে তার প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণ অভিযান এবং আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এ ধরনের উৎক্ষেপণ বারবার প্রমাণ করেছে যে, ভারত শুধু প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নয়, সামরিক প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও দ্রুত এগোচ্ছে। শুধুমাত্র চলতি বছরেই ভারত ১০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র বা সিস্টেম পরীক্ষা চালিয়েছে। এই তালিকার মধ্যে রয়েছে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম প্রলয় কোয়াসি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং জুলাই মাসে আকাশ প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা।

  • Indo-Bangladesh Border: জমি দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণ থমকে, রাজ্যসভায় জানাল কেন্দ্র

    Indo-Bangladesh Border: জমি দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণ থমকে, রাজ্যসভায় জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকার জমি দিচ্ছে না বলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Indo-Bangladesh Border) ৪৫০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যসভায় এই বিষয়ে বিশদ তথ্য প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। রাজ্যসভায় সংসদ সদস্য শম্ভু শরণ প্যাটেল ও নীরজ শেখর সীমান্ত বেড়া নির্মাণের অগ্রগতি, ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে বেড়ে চলা অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন তোলেন।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জবাব

    স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভায় জানান, পশ্চিমবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ২,২১৬.৭ কিলোমিটার, যার মধ্যে ১,৬৪৭.৬৯৭ কিমি ইতিমধ্যেই বেড়া দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫৬৯.০০৪ কিমির মধ্যে ১১২.৭৮০ কিমি “অসাধ্য” বলে চিহ্নিত হয়েছে, এবং ৪৫৬.২২৪ কিমি এলাকা “সাধ্য” এবং সেখানে বেড়া ও অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণ সম্ভব। কিন্তু জমি-জটের কারণে সেই অঞ্চলে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রের অভিযোগ, যখনই বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা তাণ্ডব করে, ধর্মীয় স্লোগান দেয়। এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্য সরকার ক্ষমা করে দেয় বলে কাজ শেষ হচ্ছে না।

    ভূমি অধিগ্রহণে বড় প্রতিবন্ধকতা

    মন্ত্রী জানান, ৭৭.৯৩৫ কিমি অঞ্চলের জন্য ইতিমধ্যে জমি হস্তান্তর হয়েছে, কিন্তু বাকি ৩৭৮.২৮৯ কিমি এলাকার জমি অধিগ্রহণের কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। এর মধ্যে ১৪৮.৯৭১ কিমির জন্য এখনও রাজ্য সরকার প্রক্রিয়া শুরুই করেনি। বাকি ২২৯.৩১৮ কিমির মধ্যে ৩১.০১৯ কিমি জমি রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ১৮১.৬৩৫ কিমির জন্য অর্থপ্রদান সম্পন্ন হলেও জমি এখনও হস্তান্তর হয়নি। ৭.০৮৫ কিমি জমির মূল্যায়ন এখনও রাজ্য সরকার করেনি। ৯.৫৭৯ কিমির জন্য অর্থপ্রদান মন্ত্রকের তরফে বাকি রয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্র নিয়মিতভাবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করছে, পর্যালোচনামূলক সফর করছে এবং অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে উদ্যোগে ঘাটতি রয়েছে।

    অনুপ্রবেশ ও সীমান্ত অপরাধের পরিসংখ্যান

    মন্ত্রী রাই আরও জানান, ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ৩১ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে ৩,৯৬৪ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়েছে। এই সময়কালে উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে ছিল ১৩,৮৬৩ কেজি মাদকদ্রব্য, ২০,০০০-র বেশি গবাদি পশু, সোনা, জাল নোট-সহ আরও অনেক কিছু। অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রুখতে দ্রুত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Daily Horoscope 21 August 2025: আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 21 August 2025: আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত আশার জন্য বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) সম্পত্তির ব্যাপারে আইনি সাফল্য আসতে পারে।

    ২) বাড়িতে বিরোধী মনোভাব ত্যাগ করাই ভালো হবে।

    ৩) দিনটিতে বিবাদে জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) কোনও বিবাদ মারামারি পর্যন্ত যেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠকাতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) সকালের দিকে অশান্তির জন্য মন ভালো থাকবে না।

    ২) কর্মজগতে জনপ্রিয়তা পেতে পারেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    সিংহ

    ১) বাড়িতে সুসংবাদ আসতে পারে।

    ২) নতুন কাজের সন্ধান করতে হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে বেশি।

    কন্যা

    ১) কাজের চাপে ক্লান্তি আসতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর দ্বারা ব্যবসায় উপকার পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    তুলা

    ১) উদ্বেগের জন্য কোনও কাজ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) প্রিয়জনের চিকিৎসার কাজে অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে আত্মত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) সঙ্গীতে নাম বাড়তে পারে।

    ২) অতিরিক্ত লোভ আপনার জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    ৩) সংযমী হতে হবে।

    মকর

    ১) বন্ধুদের থেকে একটু সাবধান থাকুন, অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) কারও সমালোচনা করতে যাবেন না, সমস্যা হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় শ্রীবৃদ্ধির যোগ আছে।

    ২) উপকারের বিনিময়ে অপমানিত হতে হবে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) বিশেষ ব্যক্তির দ্বারা সংসারে উন্নতির যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ২) সন্তানদের পরীক্ষার ফল ভালো হবে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • PM-CM Removal Bill: টানা ৩০ দিন ‘বন্দি’ থাকলেই পদ খোয়াবেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরা! নয়া বিল পেশ কেন্দ্রের

    PM-CM Removal Bill: টানা ৩০ দিন ‘বন্দি’ থাকলেই পদ খোয়াবেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরা! নয়া বিল পেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রীদের নিয়ে সংসদে নতুন বিল পেশ করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। দোষী সাব্যস্ত না হলেও, গুরুতর অপরাধ মামলায় গ্রেফতার বা আটক হলেই তাঁদের অপসারণের কথা বলা রয়েছে বিলে (PM-CM Removal Bill)। বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেন। কেন্দ্রের দাবি, অপরাধমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতেই এই বিল।

    বিলে কী বলা হয়েছে?

    কেন্দ্রীয় সরকার যে বিল এনেছে, তাতে বলা হয়েছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোনও মন্ত্রী যদি গ্রেফতার হন এবং একটানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন, সেক্ষেত্রে ৩১তম দিনে তাঁকে হয় পদত্যাগ করতে হবে, নয়ত পদ থেকে সরানো হবে। নতুন বিল অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নরই নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে পদ থেকে সরাতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীকে সরানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। (PM-CM Removal Bill) দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস জেলে থাকলেও ইস্তফা দেননি। জেল থেকেই দায়িত্ব সামলেছিলেন। কিন্তু এই আইন পাশ হলে ৩১তম দিনেই মন্ত্রিত্ব থেকে সরতে হবে বন্দি মন্ত্রীকে।

    লোকসভায় মোট তিনটি বিল পেশ

    বুধবার লোকসভায় মোট তিনটি বিল পেশ করেন শাহ। ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার (সংশোধনী) বিল, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল পেশ করেন তিনি। তিনটি বিল পেশ হতেই বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল শুরু করেন লোকসভায়। ওয়েলে নেমে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিলের প্রতিলিপি (কপি) ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান বিরোধী সাংসদেরা। কংগ্রেসের মনীশ তিওয়ারি, কেসি বেণুগোপাল, মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি-সহ অন্য সাংসদেরা এই বিলের বিরোধিতায় সরব হন লোকসভায়। তাঁদের দাবি, এই বিল সংবিধান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর বক্তব্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা বলে স্রেফ সাধারণ মানুষের চোখে পট্টি পরানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, “ভবিষ্যতে যে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে কোনও মামলা করা যেতে পারে। তিনি দোষী সাব্যস্ত না হলেও তাঁকে ৩০ দিন হেফাজতে রেখে দেওয়া হতে পারে। তার পরে তিনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এটি সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী, অগণতান্ত্রিক এবং অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিলের বিরোধিতা করছেন।

    বিল পাঠানো হল যৌথ সংসদীয় কমিটিতে 

    বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে সংসদের উভয় কক্ষের শাসক-বিরোধী সাংসদেরা থাকবেন। তবে এর পরেও বিরোধীদের হট্টগোল বন্ধ হয়নি। শেষে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে দুপুর তিনটে পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। পরে বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    কোন কোন বিল পাঠানো হয়েছে কমিটিতে?

    ১. সংবিধান (১৩০তম সংশোধনী) বিল
    ২. কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৫
    ৩. জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল, ২০২৫

    এই বিলগুলিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন অমিত শাহ। তবে বিরোধীরা বলছে, “অভিযোগ প্রমাণিত না হয়েই পদচ্যুতির বিধান গণতন্ত্রের পরিপন্থী।”

    কী করবে যৌথ সংসদীয় কমিটি?

    এই কমিটি লোকসভা ও রাজ্যসভার মোট ৩১ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে — ২১ জন লোকসভা থেকে এবং ১০ জন রাজ্যসভা থেকে। সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও থাকবেন এতে। কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, সংস্থা কিংবা স্বতন্ত্র ব্যক্তিদের ডেকে মতামত নিতে পারবে। এই কমিটিকে আগামী অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিন পর্যন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে — অর্থাৎ প্রায় তিন মাস সময় পাচ্ছে তারা। সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হবে ২১ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার। এরপর নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে বসবে পরবর্তী অধিবেশন। জানা গিয়েছে, সংবিধানের ৭৫ অনুচ্ছেদে নতুন ৫(এ) ধারা যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত ওই আইনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কিংবা কোনও রাজ্যের মন্ত্রীকে যদি গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়, যেখানে ৫ বছর কিংবা তার বেশি দিন কারাদণ্ড হতে পারে। গ্রেফতার কিংবা আটকের পর যদি টানা ৩০ দিন হেফাজতে রাখা হয়, তবে ৩১ তম দিনে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে কিংবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে বিলে আরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, বহিষ্কৃত মন্ত্রীরা মুক্তি পাওয়ার পর ফের পদ ফিরে পেতে পারেন।

  • Kolkata Metro: দেড় বছর পর ফের কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী, যশোর রোড থেকে যাবেন বিমানবন্দর স্টেশনে

    Kolkata Metro: দেড় বছর পর ফের কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী, যশোর রোড থেকে যাবেন বিমানবন্দর স্টেশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের প্রথম বিমানবন্দর সংযোগকারী মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী শুক্রবার। নয়া রুটে মেট্রোয় সওয়ারি হবেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২ অগাস্ট কলকাতায় এসে তিনটি নতুন মেট্রোপথের উদ্বোধন করবেন তিনি। তার মধ্যে একটি রুটে সফর করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। এর আগে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেডের মাঝে মেট্রো চলাচলের সূচনা করে গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেড় বছর পর ফের একবার কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন তিনি। আগামী ২২ তারিখে তিনটি নয়া মেট্রো রুটের পাশাপাশি হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর সারবেন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সভা।

    এশিয়ার সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ মেট্রো টার্মিনাস

    বিমানবন্দর স্টেশনে ভারতবর্ষ তথা এশিয়ার সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ মেট্রো টার্মিনাস গড়ে উঠেছে। স্টেশনটি ৫৫০ মিটার লম্বা ও ৪১.৬ মিটার চওড়া। এই স্টেশন নির্মাণের সময় ‘এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়া’ বিশেষ কারণে আপত্তি জানিয়েছিল। কারণ, সেই সময়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী স্টেশনটি হওয়ার কথা ছিল মাটির উপর। তাছাড়া, বিমানবন্দরের এত কাছে স্টেশনের বিশাল নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে মাটির নীচেই মেট্রো স্টেশন তৈরির অনুমোদন মেলে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিং থেকে ১৫০ মিটার দূরে গড়ে উঠেছে দেশের গভীরতম এই অত্যাধুনিক মেট্রো স্টেশন। এই পথ সাবওয়ের মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ‘মুভিং ওয়াকওয়ে’র মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, গত বছর ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় গঙ্গার তলদেশ দিয়ে মেট্রো সফর করেছিলেন। ওই অংশে যাত্রী পরিষেবা শুরু হয়েছিল সেই বছর ১৫ মার্চ।

    প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি…

    শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে প্রথমে যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে পৌঁছবেন। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি তিনটি মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করবেন। এরপর প্রথম ট্রেনটিতে করে নিজেই যশোর রোড স্টেশন থেকে বিমানবন্দর বা জয়হিন্দ স্টেশন পর্যন্ত যাবেন। তারপরে জয়হিন্দ স্টেশন থেকে আবার মেট্রোয় করেই যশোর রোড স্টেশনে ফিরবেন। সেখান থেকে সড়কপথে দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানে যাবেন। ওই মাঠেই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক সভা।

    ৪৩টি রেল প্রকল্প আটকে, রাজ্যের জমি-নীতিকে দুষলেন শমীক

    অন্যদিকে, রাজ্যে ৪৩টি রেল প্রকল্প আটকে থাকার কথা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণও করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘সেক্টর ফাইভের সঙ্গে কলকাতার সংযোগ শুধু চিংড়িঘাটার জন্য বন্ধ হয়ে রয়েছে। আমার সঙ্গে ওখানকার স্থানীয় বিধায়ক এবং মন্ত্রী সুজিত বসুর কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে, রাস্তার এ পার পর্যন্ত যা হয়েছে, সেটা তাঁর দায়িত্ব। ওখানে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বাকি অংশের ক্ষেত্রে দমকলমন্ত্রী তাঁর অপাগরতার কথাও জানিয়েছেন।’’ এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্যর্থ নীতির তীব্র সমালোচনা করেন শমীক। বলেন, ‘‘একটা রাজ্যের যদি কোনও নির্দিষ্ট জমি নীতি না থাকে, একটি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই যদি ঘোষণা করে যে আমরা এক বর্গফুট জমিও নতুন করে অধিগ্রহণ করব না, তা হলে পরিণতি কী হতে পারে তা আমরা রেলের প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে গিয়েই বুঝতে পারছি।’’

  • India-China Relation: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করেই ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতি’, ওয়াংকে বার্তা মোদির

    India-China Relation: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করেই ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতি’, ওয়াংকে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবে নয়া দিল্লি ও বেজিং (India-China Relation)। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Chinese Foreign Minister Wang Yi) মুখোমুখি বৈঠকে বসেন। সেখানে সীমান্ত সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে বলে খবর। পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করেই ভারত-চিন সম্পর্ক ইতিবাচক পথে এগোচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। ওয়াং ই-ও একই অভিমত ব্যক্ত করেন।

    ভারত ও চিনের সম্পর্কের ‘উন্নতি’তে বড় পদক্ষেপ

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্ত-বিরোধ (India-China Relation) মেটাতে উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা করে একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধান খোঁজা হবে। সেই লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হবে। তারা সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবে। কীভাবে দুই দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা মেটানো যায়, সেটা নিয়ে পরামর্শ দেবে ওই কমিটি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কাজান সম্মেলনে যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছিল, তা বর্তমানে বাস্তবায়নের পথে। ২৩তম আলোচনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। এবার ২৪তম বিশেষ প্রতিনিধি বৈঠকে সীমান্তে শান্তি রক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ২০০৫ সালের সীমান্ত চুক্তির ভিত্তিতেই ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত ও পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানের খসড়া তৈরি হবে।

    সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু

    ভারতের জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দেশ (India-China Relation) খুব শীঘ্রই সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করবে। তিন বছর পর ভারতে সফরে এসেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গালওয়ান সংঘর্ষ-পরবর্তী বরফ গলতে শুরু করেছে। আগামী ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদির চিন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। আগামী সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণপত্র ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদিক হাতে তুলে দেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন মোদি। মনে করা হচ্ছে, এই দ্বিপাক্ষিক সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন দিশা দেখাবে।

    কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা

    ভারত-চিন (India-China Relation) বৈঠকে ঠিক হয়, কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার পরিধি বাড়ানো হবে। যার ফলে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রীদের আর ঘুরপথে তীর্থক্ষেত্রে যেতে হবে না। আরও বেশি ভারতীয় তীর্থযাত্রী সহজে কৈলাসের পাদদেশে যেতে পারবেন। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সীমান্ত বাণিজ্যও ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লিপুলেখ পাস, শিপকিলা এবং নাথুলা, এই তিনটি নির্দিষ্ট রুট দিয়ে আবারও সীমান্ত বাণিজ্য শুরু হবে। উল্লেখ্য, লিপুলেখ পাস, শিপকি লা এবং নাথুলা দিয়ে মশলা, বৈদ্যুতিক সামগ্রী থেকে শুরু করে কার্পেট, পশম, ভেষজ উদ্ভিদ-সহ বিভিন্ন পণ্যের বাণিজ্য হয়। লেনদেন হয় প্রায় কয়েক লক্ষ ডলারের।

    সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার উপর জোর

    মঙ্গলবার দু’দিনের ভারত (India-China Relation) সফরের দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে মোদির বাসভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপর জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি গুরুত্ব দিয়েছেন, সীমান্ত সমস্যার ‘ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত এবং পারস্পরিক ভাবে গ্রহণযোগ্য’ সমাধানের প্রতি। ওয়াংকে বলেছেন, ভারত প্রতিশ্রুতি পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন শুল্কযুদ্ধের আবহে মোদি-ওয়াংয়ের এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। ভারত সফরে এসে সোমবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ওয়াং। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।

    মোদির বার্তা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা

    করোনা আবহে ২০২০ সালে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেয় ভারত (India-China Relation)। এর মধ্যে লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষের জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধই ছিল। শুধু তাই নয়, ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরও অবনতি হয়। তবে গত এক বছরে বদলেছে সম্পর্কের সমীকরণ। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক সম্পর্কে বলেন,“ওয়াং ইয়ের সাথে দেখা করতে পেরে আনন্দিত। গত বছর কাজানে রাষ্ট্রপতি শি (জিনপিং) এর সাথে আমার সাক্ষাতের পর থেকে, ভারত-চিন সম্পর্ক পারস্পরিক স্বার্থ এবং সংবেদনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধার দ্বারা পরিচালিত হয়ে স্থিতিশীল অগ্রগতি অর্জন করেছে। এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিয়ানজিনে আমাদের পরবর্তী বৈঠকের জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। ভারত ও চিনের মধ্যে স্থিতিশীল, ভাবা যায় এমন, গঠনমূলক সম্পর্ক আঞ্চলিক এবং বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।”

  • Tejas Mk1A: বায়ুসেনার জন্য অতিরিক্ত ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ কিনবে ভারত, ৬২ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন কেন্দ্রের

    Tejas Mk1A: বায়ুসেনার জন্য অতিরিক্ত ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ কিনবে ভারত, ৬২ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধবিমানের ঘাটতি নিয়ে যখন ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) প্রধান বারবার আশঙ্কার কথা তুলছেন, ঠিক সেই সময় দেশের আকাশ প্রতিরক্ষাকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে বিরাট পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় সরকার। খবরে প্রকাশ, মঙ্গলবার ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য ৬২,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অতিরিক্ত ৯৭টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) যুদ্ধবিমান কেনার অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস। এই বিমানগুনি তৈরি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল। এর ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি যেমন কয়েকগুণ বেড়ে যাবে, তেমনই প্রকল্পটি দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতিকেও আরও শক্তিশালী করবে।

    ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ বিমান পাবে বায়ুসেনা

    এর আগে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বায়ুসেনা ৪৮,০০০ কোটি টাকায় ৮৩টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ বিমানের অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু চার বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্বেও সেই বিমান সরবরাহ শুরু হয়নি। এই নিয়ে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। উৎপাদনকারী সংস্থা হ্যালের তরফে জানানো হয়, আমেরিকা থেকে ইঞ্জিন আসতে দেরি হওয়ার কারণেই এই বিলম্ব। সূত্রের খবর, প্রথম অর্ডারের প্রথম বিমান হাতে আসতে পারে ২০২৫ সালের অক্টোবরে। হ্যালের নাসিকের কারখানা থেকে প্রথম এলসিএ মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) যুদ্ধবিমানটি শীঘ্রই আকাশে উড়বে। তার আগেই কেন্দ্রের তরফে দ্বিতীয় অর্ডার চলে হল। এই অর্ডার আসত, এমন সম্ভাবনা ছিলই। এখন কেন্দ্রের ছাড়পত্র পাওয়ায় তা নিশ্চিত হল। এর ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনায় মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান আসতে চলেছে।

    আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক

    জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় বরাতের তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানে দেশীয় উপকরণ ও সরঞ্জামের ব্যবহারের হার আরও অনকটাই বৃদ্ধি পাবে। নতুন তেজস বিমানগুলিতে দেশীয় উপকরণের ব্যবহার হবে ৬৫ শতাংশেরও বেশি। ফলত, প্রায় ৫০০টি দেশীয় শিল্প, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলি, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক ব্যবসার সুযোগ পাবে। প্রকল্পটি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অগ্রদূত হিসেবে ধরা হচ্ছে। এটি হতে চলেছে ভারতের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম বড় প্রতীক।

    পুরনো মিগের জায়গা নেবে তেজস

    ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) শেষ মিগ-২১ বাইসন বিমানগুলি অবসর নেবে। নতুন বিমানগুলি পুরনো মিগ-এর জায়গা পূরণ করবে। জানা গিয়েছে, হ্যালের বেঙ্গালুরুর কারখানা প্রতি বছর ১৬টি এবং নাসিকে ২৪টি তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) বিমান তৈরি করতে পারে। সেই অনুযায়ী, ২০৩২ সাল নাগাদ ১৮০টি বিমান সরবরাহ হতে পারে বলে অনুমান। এর মধ্যেই সূত্রের খবর, হ্যাল ভবিষ্যতে আরও ২০০টির বেশি তেজস মার্ক–২ এবং সমসংখ্যক পঞ্চম প্রজন্মের উন্নত মাঝারি যুদ্ধবিমান অ্যামকা তৈরির বড় অর্ডার পেতে চলেছে।

  • SSC Scam: পরীক্ষায় বসতেই হবে চাকরিহারাদের! রাজ্যের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

    SSC Scam: পরীক্ষায় বসতেই হবে চাকরিহারাদের! রাজ্যের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম দুয়ারেও শেষ রক্ষা হল না। এসএসসির (SSC Scam) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে যত পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা পড়েছিল, তার সব ক’টি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। খারিজ রাজ্য এবং এসএসসির রিভিউ পিটিশনও। যার ফলে কলকাতা হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ই বহাল রইল। ফলে, পরীক্ষা দেওয়া ছাড়া আপাতত আর কোনও উপায় রইল না চাকরিহারাদের কাছে।

    সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ধাক্কা

    সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করেছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিয়োগ পরীক্ষার প্রকৃত ওএমআর শিট মিলছে না। সিবিআই এবং বাগ কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে স্পষ্ট যে, দুর্নীতি হয়েছে। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন, চাকরিহারাদের একাংশ-সহ বিভিন্ন পক্ষ। ৫ অগাস্ট সেই নিয়ে শুনানি শেষ হয়। বিচারপতিদের চেম্বারেই চলে শুনানি। দুই বিচারপতির বেঞ্চ এ বার জানিয়ে দিল, পুনর্বিবেচনার আর্জি আদালতে শুনানির দরকার নেই। তারা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

    ২৬ হাজার চাকরি বাতিল বহাল

    গত ৩ এপ্রিল শীর্ষ আদালতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছিল। নতুন করে ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, যাঁরা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালের এসএসসির মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁরা চাইলে পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট রায়ে আরও বলা হয়েছিল, যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি। আগে রায়ে বদল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাদের আবেদন ছিল, এত শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। অনেক স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক শূন্য হয়ে যাবে। ফলে ক্ষতি হবে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের।

    পরীক্ষায় বসতে হবে চাকরিহারাদের

    গত ১৭ এপ্রিল পর্ষদের ওই আবেদন মেনে নেয় সুপ্রিম কোর্ট। শর্তসাপেক্ষে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, দাগি অযোগ্যদের বাদ রেখে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকেরা স্কুলে যেতে পারবেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে। তবে ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যকে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। ওই নির্দেশ মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য। পাশাপাশি, রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর অর্থ আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পরীক্ষায় বসতে হবে চাকরিহারাদের।

  • Diabetes: আগেই জানান দেবে! ইঙ্গিত বুঝলেই ডায়াবেটিসের বিপদ এড়ানো সম্ভব?

    Diabetes: আগেই জানান দেবে! ইঙ্গিত বুঝলেই ডায়াবেটিসের বিপদ এড়ানো সম্ভব?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    বিপদ বাড়ছে। বয়সের সীমারেখা পেরিয়ে এখন স্কুল পড়ুয়ার শরীরেও অসুখ হাজির হচ্ছে। ডায়াবেটিস আর শুধুই প্রৌঢ়ত্বের সঙ্গে হাজির হচ্ছে না। বরং খুব কম বয়সিদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। এমনকি স্কুল পড়ুয়ারাও টাইপ টু ডায়াবেটিস আক্রান্ত হচ্ছে। জীবনভর তাদের এই রোগের বোঝা নিয়েই চলতে হচ্ছে। এর ফলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষত ভারতে গত কয়েক বছরে মারাত্মক ভাবে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বেড়েছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের চিহ্নিত করতে পারলেই বিপদের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে। স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ থাকবে। তাই ডায়াবেটিস হওয়ার আগেই সতর্কতা জরুরি। কে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হতে পারেন, সে সম্পর্কে সতর্ক থাকলেই বড় বিপদ এড়ানো সহজ হতে পারে।

    কীভাবে প্রি-ডায়াবেটিক রোগী চিহ্নিত হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করলেই সহজেই পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক থাকা যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতকে ডায়াবেটিস রোগের ক্যাপিটাল বলা হয়। গত কয়েক বছরে এ দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। কমবেশি সব পরিবারেই কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রয়েছেন। পরিবারের কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে, তার পরবর্তী প্রজন্মের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই বাড়ির কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে, পরিবারের অন্যদের ও বছরে অন্তত একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস পরীক্ষা একেবারেই খরচ সাপেক্ষ। তাই সে নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তার দরকার নেই। সহজ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে শর্করার পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত কিনা সেটা বোঝা যায়। তাই বয়স বছর তিরিশের চৌকাঠ পেরোলেই বছরে অন্তত একবার রক্তের শর্করার পরিমাণ ঠিক রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করালেই চিকিৎসক বুঝতে পারবেন, রোগীর ডায়াবেটিস হতে পারে কিনা!

    কাদের ঝুঁকি বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস বংশানুক্রমিক ভাবে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখায়। তাই বাড়িতে কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত থাকলে, অন্যদের সতর্ক থাকা জরুরি। তাঁরা সহজেই প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের তালিকায় থাকতে পারেন। এছাড়াও, যাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই তাঁরাও প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের তালিকায় সহজেই থাকেন। তাঁদের ও বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন আছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। স্থুলতার সমস্যা থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। তাই শরীরের ওজন নিয়েও বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।

    কীভাবে প্রি-ডায়াবেটিক রোগী সতর্ক থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস শরীরে নানান রোগের কারণ। রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস দৃষ্টিশক্তির সমস্যা তৈরি করে। আবার ডায়াবেটিস হলে কিডনির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যার কারণ ও অনেক সময় ডায়াবেটিস হয়। তাই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। যাতে এই রোগের প্রকোপে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত না হয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। নিয়মিত হাঁটাচলা করা প্রয়োজন। তাঁদের পরামর্শ দিনে তিরিশ থেকে চল্লিশ মিনিট নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে। হাঁটলে শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার নিয়মিত হাঁটলে সহজেই ক্যালোরি ক্ষয় হয়। ফলে স্থূলতাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই নিয়মিত হাঁটাচলা করা জরুরি।

    খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন

    ধারাবাহিক ভাবে কয়েক বছরের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী যদি কেউ প্রি-ডায়াবেটিক রোগী হিসাবে চিহ্নিত হয়, তবে তাঁকে খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, চিনি একেবারেই খাওয়া চলবে। চিনি রক্তে শর্করার পরিমাণ মারাত্মক ভাবে বাড়িয়ে দেয়। তাই চিনি খাওয়া একেবারেই চলবে না। যেকোনও ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মিষ্টি বিপজ্জনক। তাছাড়া, পাকা আম, কলা জাতীয় ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণে নজর দেওয়া জরুরি। ভাতের মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমাণ নিয়ে সচেতনতা জরুরি। প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়মিত পনীর, টক দই, করলা, পটল, লেবুর মতো খাবার খাওয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    রোগের ঝুঁকি কমাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি খুব জরুরি। তাই প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের ঠিকমতো পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনিয়মিত ঘুম ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কারণ, ঘুম পর্যাপ্ত না হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। এছাড়াও একাধিক অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে। তাই নিয়মিত অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা যাতে ঘুম হয়, সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেলে, রোগ মোকাবিলা সহজ হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 20 August 2025: বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 20 August 2025: বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়।

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।
    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।
    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share