Tag: Madhyom

Madhyom

  • Mufti Shah Mir: বন্ধু মীরের বুকে ‘ছুরি’ বসিয়ে দিল পাকিস্তানের আইএসআই!

    Mufti Shah Mir: বন্ধু মীরের বুকে ‘ছুরি’ বসিয়ে দিল পাকিস্তানের আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা কুলভূষণ যাদবকে অপহরণে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে তিনি (Mufti Shah Mir) সাহায্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ। পাকিস্তানের স্থানীয় সময় শুক্রবার বালুচিস্তানের তুরবাতে মসজিদ থেকে নমাজ আদায় করে বেরোনোর সময় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন বন্দুকধারী বাইকে করে এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে পাক গুপ্তচর সংস্থার ‘বন্ধু’ তথা ধর্মীয় নেতা মুফতি শাহ মীরকে।

    ‘বন্ধু’র হাতেই বন্ধু খুন! (Mufti Shah Mir)

    এর পরেই জল্পনা ছড়িয়েছে, ‘বন্ধু’ আইএসআইয়ের হাতেই খুন হতে হয়েছে মীরকে। কেন ‘বন্ধু’কে খুন করল আইএসআই? সূত্রের খবর, ইদানিং অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে মীরের সঙ্গে আইএসআইয়ের দূরত্ব বাড়ছিল। তার জেরেই মীরকে খুন করা হয় বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। মীর যে রাজনৈতিক দল জামাইত উলেমা-এ-ইসলামের সদস্য, গত সপ্তাহেই ওই দলের আরও দুই সদস্য খুন হন রহস্যজনকভাবে। সেবারও দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে গিয়েছিল। হয়তো কাকতালীয়, কিন্তু একই দলের পরপর তিনজন খুন হওয়ার নেপথ্যে পাক গুপ্তচর সংস্থার হাত রয়েছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। এর আগেও দুবার প্রাণঘাতী হামলা হয়েছিল মীরের ওপর। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার আর শেষরক্ষা হল না। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, আততায়ীরা মীরের গতিবিধির ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল। সুযোগ বুঝে শুক্রবারই তাঁকে শেষ করে দেয় দুষ্কৃতীরা।

    মুখ ও মুখোশ

    বালুচিস্তানে মীর ধর্মীয় নেতা হিসেবেই পরিচিত। সূত্রের খবর, এই মুখোশের আড়ালেই আরও একটা পরিচয় ছিল মীরের। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নানা রকম বেআইনি কাজ পরিচালনা করা ও তার নেতৃত্ব দেওয়া (Mufti Shah Mir)। অস্ত্রপাচার, মাদক পাচার এবং মানব পাচারের সঙ্গেও মীর জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি শিবিরে নিত্য যাতায়াত ছিল মীরের। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশেও তিনি মদত দিতেন। বালুচিস্তানে তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গি দলে যোগদানে উৎসাহও দিতেন মীর। শুধু তাই নয়, আত্মঘাতী হামলাকারী নির্বাচন করা, অপহরণ, বালুচিস্তানের বহু হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও ছিল মীরের বিরুদ্ধে। বালুচিস্তানের বিদ্রোহীদের সম্পর্কে পাক সেনাকে খবরাখবর আদানপ্রদানও করতেন আইএসআইয়ের এই ‘বন্ধু’। ২০১৬ সালে জইশ-অল-আদল গোষ্ঠীর প্রধান মুল্লা ওমর ইরানি ইরান-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে অপহরণ করেন কুলভূষণকে। সেই কুলভূষণকে আইএসআইয়ের হাতে তুলে দিতে মীর সাহায্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ (Mufti Shah Mir)।

  • BJP: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই দায়ী,” তোপ বিজেপির

    BJP: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই দায়ী,” তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই (Rahul Gandhi) দায়ী এবং তাঁর ব্যর্থতার জন্য অন্যদের দোষারোপ বন্ধ করা উচিত।” শনিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জন্য তাঁকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানাল বিজেপি (BJP)। দু’দিনের গুজরাট সফরে গিয়েছিলেন রাহুল। দ্বিতীয় দিনে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “বিজেপির জন্য কাজ করা দলের নেতা-কর্মীদের ছেঁকে বের করার প্রয়োজন আছে।” এঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তাও দেন তিনি। হুঁশিয়ারি দেন অপসারণেরও।

    রাহুলকে আক্রমণ (BJP)

    এর পরেই রাহুলকে আক্রমণ শানান বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “রাহুল ও তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী দলের শীর্ষে আসার পর থেকে কংগ্রেসের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।” সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “কংগ্রেসের ১৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ নেতা গুজরাটে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সাফল্যের মূল মন্ত্র শেখাচ্ছেন। যদিও এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাঁর মন্তব্য অবশ্যই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দুর্দশা এবং তাঁর ক্রমশ অবনতিশীল মানসিক অবস্থার দিকেই ইঙ্গিত করে।”

    সবচেয়ে খারাপ নেতা

    রাজ্যসভার এই সাংসদের অভিযোগ, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, সরকার এবং মিডিয়ার ওপর দোষারোপ করার পর, তিনি এখন নিজের দলের লোকদের দোষারোপ করতে শুরু করেছেন। পদ্ম-পার্টির এই নেতা (BJP) বলেন, “এভাবে প্রকাশ্যে নিজের দলের লোকদের অপমান করার উদাহরণ আপনি অন্য কোনও নেতার মধ্যে খুঁজে পাবেন না। গান্ধী যদি আত্মবিশ্লেষণ করেন, তবে তিনি বুঝতে পারবেন যে তিনি দলের সবচেয়ে খারাপ নেতা।”

    বিজেপির আর এক জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “রাহুল গান্ধী গুজরাটে নিজেকে এবং তাঁর দলকে ট্রোল করেছেন এবং নিজের প্রতিচ্ছবি দেখিয়েছেন – তিনি তাঁর ব্যর্থতার জন্য খাড়্গেজি এবং তাঁর দলের কর্মীদের দোষারোপ করছিলেন। তিনি বলেছেন, তাঁর দলের অর্ধেকেরও বেশি নেতা বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতে যুক্ত। আর তিনিই নিজের দলকে ৯০টিরও বেশি নির্বাচনে পরাজিত করেছেন। এই দিক থেকে, তিনিই বিজেপির সবচেয়ে বড় সম্পদ।” তাঁর প্রশ্ন, “আপনি (Rahul Gandhi) কি বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতে যুক্ত (BJP)?”

  • Syria: নারীদের নগ্ন করে হাঁটিয়ে গুলি করে হত্যা! সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে নিহত ১,০০০

    Syria: নারীদের নগ্ন করে হাঁটিয়ে গুলি করে হত্যা! সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে নিহত ১,০০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়াতে (Syria) এক ভয়াবহ সংঘর্ষে ১,০০০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগামী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয় বলে জানা গিয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রতিশোধমূল পদক্ষেপ থেকেই এই হিংসার শুরু হয় বলে ডানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মূলত ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদের অনুগত আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের ওপর এই হামলা চলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কিছু নারীদের রাস্তায় নগ্ন করে হাঁটানো হয় এবং পরে গুলি করে হত্যা করা হয়।

    হিংসার কেন্দ্র হল সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল (Syria)

    বর্তমানে পরিস্থিতি বেশ কিছুটা শান্ত হয়েছে। সরকার বেশিরভাগ এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। সহিংসতার কেন্দ্র হল সিরিয়ার (Syria) উপকূলীয় অঞ্চল। এখানকার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এই সংঘর্ষে ৭৪৫ সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই কাছ থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি, ১২৫ জন সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ১৪৮ জন সশস্ত্র আসাদ-সমর্থক যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন।

    বিদ্যুৎ ও খাবার জলের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে

    আসাদের শাসনকালে আলাওয়াইট সম্প্রদায় (Syria Worst Violence) বিশেষ সুবিধা পেত বলে জানা গিয়েছে। তবে তিন মাস আগে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই সম্প্রদায়ের উপর একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটছে। এই আবহে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সহিংসতার পাশাপাশি লাতাকিয়া শহরের আলাওয়াইট অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ ও খাবার জলের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

    বনিয়াস শহরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি (Syria)

    স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের বেশ কিছু বাড়ি লুটপাটের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। লেবাননের পার্লামেন্টের আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হায়দার নাসের জানিয়েছেন, সিরিয়া থেকে বহু আলাওয়াইট নাগরিক নিরাপত্তার কারণে লেবাননে পালিয়ে যাচ্ছেন। বনিয়াস শহরে সংঘর্ষ সবচেয়ে বেশি তীব্র আকার ধারণ করে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে রাস্তায় এবং বাড়ির ছাদে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা, যিনি বনিয়াস শহর ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি জানিয়েছেন, বন্দুকধারীরা হঠাৎই গুলি চালাতে শুরু করে। বাড়িঘর ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

  • Hindu Temple Vandalized: ফের মন্দিরে হামলা, দেওয়ালের গায়ে হিন্দুরা ফিরে যাও স্লোগান  

    Hindu Temple Vandalized: ফের মন্দিরে হামলা, দেওয়ালের গায়ে হিন্দুরা ফিরে যাও স্লোগান  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা (Hindu Temple Vandalized)। আবারও খবরের শিরোনামে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া। এবার চিনো হিলসে বিএপিএসের একটি মন্দিরে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। দিন কয়েক পরেই রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে তথাকথিত ‘খালিস্তানি গণভোট’।

    হিন্দু মন্দিরে হামলা (Hindu Temple Vandalized)

    তার আগেই হামলা চালানো হল হিন্দু মন্দিরে। বিএপিএসের অফিসিয়াল পেজ এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে এই ঘটনা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কখনওই ঘৃণাকে শেকড় গাড়তে দেওয়া হবে না। শান্তি এবং সহানুভূতিই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবে।’ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে বিএপিএসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স লিখেছে, “আর একটি মন্দির অবমাননার মুখে। এবার চিনো হিলস, ক্যালিফোর্নিয়ায়, হিন্দু সম্প্রদায় ঘৃণার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছে। চিনো হিলস ও দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার সম্প্রদায়ের সঙ্গে একসঙ্গে, আমরা কখনওই ঘৃণাকে শেকড় গাড়তে দেব না। আমাদের সাধারণ মানবতা ও বিশ্বাস নিশ্চিত করবে যে শান্তি ও সহানুভূতি বিজয়ী হবে।”

    হিন্দু বিরোধী স্লোগান

    এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনার বিবরণ দিয়েছে উত্তর আমেরিকার হিন্দুদের সংস্থা সিওএইচএনএ। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার (Hindu Temple Vandalized) এই আইকনিক বিএপিএস মন্দিরের অবমাননা লস অ্যাঞ্জেলেসে তথাকথিত ‘খালিস্তানি গণভোট’-এর আগে ঘটেছে। গত বছরও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে অবস্থিত বিএপিএস শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনার দিন দশেক আগেই নিউ ইয়র্কের বিএপিএস মন্দিরেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। হিন্দু বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়েছিল।

    মন্দিরের গায়ে লিখে দেওয়া হয়, ‘হিন্দুরা ফিরে যাও’। দুষ্কৃতীরা মন্দিরের জলের লাইনও কেটে দিয়েছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রবাসী হিন্দুরা জড়ো হন মন্দিরে। সেখানে তাঁরা শান্তি প্রার্থনা করেন। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ অ্যামি বেরি। তাঁর সাফ কথা, স্যাক্রামেন্টোতে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ঘৃণার কোনও স্থান নেই। এই ঘটনার নেপথ্যে কারা জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও সংগঠনই এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে শিখদের উগ্রবাদী সংগঠন এই হামলা করে থাকতে পারে (Hindu Temple Vandalized) বলে অনুমান।

  • Manipur: অশান্ত মণিপুরে নিহত এক, জখম ২৭ নিরাপত্তাকর্মী, বিভিন্ন প্রান্তে বন্‌ধ ডাকল কুকিরা

    Manipur: অশান্ত মণিপুরে নিহত এক, জখম ২৭ নিরাপত্তাকর্মী, বিভিন্ন প্রান্তে বন্‌ধ ডাকল কুকিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত এক কুকি বিক্ষোভকারীর। জানা গিয়েছে, গতকাল শনিবার রাজ্য জুড়ে একাধিক হামলার ঘটনায় জখম হয়েছেন ২৭ জন নিরাপত্তাকর্মী। এর পরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্‌ধের ডাক দেয় কুকিদের সংগঠন। এরপরেই শনিবার সকাল থেকে মণিপুরে রাস্তাঘাট ‘সচল’ করতে পথে নামে পুলিশ ও সেনার যৌথ দল। এরপরেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। তবে সারা দিনে পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি।

    নিহত এক তরুণ, জখম ২৭ নিরাপত্তা কর্মী (Manipur)

    শনিবার সকালে ইম্ফল থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় যান চলাচল রুখতে পথ অবরোধ করেছিলেন কুকি জনগোষ্ঠীর (Kuki Groups) কিছু মহিলা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ শুরু করে। সেখানে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। তখন বিক্ষোভকারীরা পাল্টা বাস লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করেন। এরপর কয়েকটি গাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেন তাঁরা। তখনই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক তরুণের। শনিবার মণিপুর পুলিশের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ওই ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর (Manipur) অন্তত ২৭ জন কর্মীও আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে।

    দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলবে বিক্ষোভ জানাল কুকিদের সংগঠন

    এই আবহে কুকি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে (Manipur) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। নবগঠিত সংগঠন কুকি-জো কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে শান্তি না ফেরা পর্যন্ত এবং কুকিদের রাজনৈতিক দাবিদাওয়াগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের তাদের বিক্ষোভ চলবে। প্রসঙ্গত, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের পর মণিপুরে শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। মণিপুরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বর্তমানে রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লা। গত ২ মার্চ ভল্লা এবং অন্য আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই হয় বিস্তারিত আলোচনা। বৈঠকের পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ৮ মার্চ থেকে মণিপুরের সব রাস্তা যেন সচল রাখতে হবে। রাজ্যের রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষ যেন বিনা বাধায় চলাচল করতে পারেন।

  • India: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে ভারতেই সবচেয়ে বেশি স্টার্টআপ পরিচালনা করেন মহিলারা, বলছে রিপোর্ট

    India: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে ভারতেই সবচেয়ে বেশি স্টার্টআপ পরিচালনা করেন মহিলারা, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে ভারতেই (India) সবচেয়ে বেশি নারী রয়েছে প্রযুক্তিগত স্টার্টআপের (Startups) নেতৃত্বে। এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে এক রিপোর্টে। অর্থাৎ সারা পৃথিবী জুড়ে স্টার্টআপ চালানোতে ভারতীয় নারীরা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। ওই প্রতিবেদনে পিটিআই জানিয়েছে যে এই উদ্যোগগুলির ফলে তৈরি হয়েছে ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিরাট মূলধন।

    ৭ হাজারেরও বেশি স্টার্টআপ চলছে মহিলাদের নেতৃত্বে বলছে রিপোর্ট

    প্রসঙ্গত, ট্র্যাকএক্সএন নামের একটি সংস্থা আছে। এই সংস্থা স্টার্টআপ নিয়ে গবেষণা ও বিশ্লেষণ করে। তারাই জানিয়েছে দেশে (India) বর্তমানে মোট সক্রিয় স্টার্টআপের সাড়ে সাত শতাংশই চলে মহিলাদের নেতৃত্বে। এর সংখ্যা হল ৭ হাজারেরও বেশি। প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে, মহিলাদের নেতৃত্বে চলা স্টার্টআপগুলি সবচেয়ে বেশি রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। কারণ বেঙ্গালুরু ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা আইটি হাব বলেই পরিচিত। বেঙ্গালুরুকে ভারতের সিলিকন ভ্যালিও বলা হয়। বেঙ্গালুরু পরেই রয়েছে মুম্বইয়ের স্থান। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি এনসিআর অঞ্চল।

    নারীদের নেতৃত্বে দেশে বেড়েছে ইউনিকর্নও

    এই অঞ্চলগুলিতেই মহিলাদের (India) নেতৃত্বে স্টার্টআপগুলি রয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায়। এছাড়া ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও রয়েছে স্টার্টআপ। ভারতে নারীদের নেতৃত্বাধীন ইউনিকর্নগুলিও যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ২০২১ সালে দেশে তৈরি হয়েছিল আটটি নতুন ইউনিকর্ন। ২০২২ সালে পাঁচটি। আবার একটু পিছনের দিকে গেলে দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সালে তিনটি ইউনিকর্ন তৈরি হয়েছিল। ২০২০ সালে চারটি। ২০১৭, ২০২৩, ২০২৪ এই বছরগুলিতে নতুন কোনও ইউনিকর্ন তৈরি হয়নি। অর্থাৎ হঠাৎ কখনও তা বাড়ছে কখনও আবার তা কমছে। অন্যদিকে, ২০২১ সালে নারীদের নেতৃত্বাধীন স্টার্টআপগুলি সবচেয়ে বেশি তৈরি হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। ২০২৪ সালে মহিলাদের নেতৃত্বে (India) মোট পাঁচটি স্টার্টআপ প্রকাশ্যে আসে, যার মধ্যে রয়েছে MobiKwik, Tunwal, LawSikho, Usha Financial and Interiors এবং আরও অন্যান্য।

  • Daily Horoscope 09 March 2025: কর্মদক্ষতায় চাকরির স্থানে সুনাম অর্জন করতে পারবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 09 March 2025: কর্মদক্ষতায় চাকরির স্থানে সুনাম অর্জন করতে পারবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কর্মদক্ষতায় চাকরির স্থানে সুনাম অর্জন করতে পারবেন।

    ২) বিষয়সম্পত্তি নিয়ে সংসারে অশান্তি।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) আর্থিক ব্যাপারে ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) সারা দিন কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মিথুন

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) সঙ্গীতচর্চায় নতুন রাস্তা খুলতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কর্কট

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে আত্মত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) ধর্মালোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) মাত্রাছাড়া আবেগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    তুলা

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

    ধনু

    ১) ব্যবসায় লাভ হলেও অর্থ অপচয়ের সম্ভাবনাও আছে।

    ২) ছাত্রছাত্রীরা বহুমুখী প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) কুচিন্তা থেকে দূরে থাকুন।

    ২) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) কোনও আধ্যাত্মিক কাজ করতে হতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠকাতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    মীন

    ১) বিদেশযাত্রার ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Pakistan: পাকিস্তানে খতম ভারত বিরোধী মৌলবাদী, অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীরা গুলিতে করল ঝাঁঝরা

    Pakistan: পাকিস্তানে খতম ভারত বিরোধী মৌলবাদী, অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীরা গুলিতে করল ঝাঁঝরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলভূষণ যাদব অপহরণে পাকিস্তানের আইএসআইকে সাহায্য করার অভিযোগ ছিল পাকিস্তানের (Pakistan) অন্যতম ধর্মগুরু মুফতি শাহ মীরের বিরুদ্ধে। বালুচিস্তানের তুরবাতে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা তাঁকেই গুলি করে হত্যা করল। জানা গিয়েছে পাকিস্তানের একটি ইসলামী মৌলবাদী রাজনৈতিক দল জেআইইউ-এফ-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রেখে চলতেন এই মীর। আরও জানা গিয়েছে,  এই ধর্মগুরু নামাজের পর মসজিদ থেকে বের হতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    নিয়মিত জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির পরিদর্শনও করতে তিনি (Pakistan)

    বালুচিস্তানের তুরবাতের বাসিন্দা মুফতি শাহ মীর মানব পাচারেও যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র পাচারের কাজেও তিনি যুক্ত ছিলেন। একটি পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে মুফতির হত্যা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ কর্তা রশিদ-উর-রহমান জেহরি বলেছেন, ‘‘মুফতি শাহ মীর আজিজ মসজিদের ভিতরে নমাজ পড়ছিলেন। তখন বন্দুকধারীদের এক জন মসজিদে প্রবেশ করে এবং মুফতি বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ঝাঁঝরা করে দেয়।’’

    কূলভূষণ যাদবের গ্রেফতারির কাহিনী (Pakistan)

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩ মার্চ গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসার কূলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করে পাক সেনা। সেসময় আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে (Pakistan) ভারত জানিয়েছিল, অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা অফিসার কুলভূষণকে ইরান থেকে অপহরণ করা হয়। তারপর কূলভূষণের বিরুদ্ধে বালুচিস্তানে বিদ্রোহীদের মদত দেওয়ার মতো মিথ্যা গল্প সাজায় পাকিস্তান। মনে করা হয়, কুলভূষণকে অপহরণে বড় হাত ছিল মুফতির।

    আইএসআইয়ের নির্দেশে আফগানিস্তানেও গিয়েছিলেন মুফতি

    অভিযোগ, আইএসআইয়ের নির্দেশে আফগানিস্তানেও গিয়েছিলেন মুফতি। সেখান থেকে অনেক তথ্য পাক সেনাবাহিনীর কাছে পাচার করেন। বালুচ বিদ্রোহীদের দমনেও নাকি সক্রিয় ছিলেন তিনি। সেই মুফতির মৃত্যুতে পাকিস্তান (Pakistan) জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে একেবারে। এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থার মাথাদেরও। ধর্মীয় নেতার উপর কে এমন হামলা চালাল, তা জানতে মাঠে নেমেছে পাক গোয়েন্দারাও।

  • Attacks on Hindu: হিন্দুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের, ঢাকার উপর চাপ দিল্লির

    Attacks on Hindu: হিন্দুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের, ঢাকার উপর চাপ দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। ফের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ঢাকার উপর চাপ বাড়াল ভারত। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে মহম্মদ ইউনূসের সরকারকে দায়িত্ব মনে করিয়ে দিলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বলেন, “বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদী ও অপরাধীদের মুক্তির পর তা আরও ভয়াবহ হচ্ছে। এই অপরাধীদের গুরুতর অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। ভারত একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক বাংলাদেশের পক্ষে, যেখানে সব সমস্যা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দ্বারা সমাধান করা যায়।”

    সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা জরুরি

    জয়সওয়াল আরও বলেন, “আমরা বারবার বলেছি যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের, তাদের সম্পত্তি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে হবে।” তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৩৭৪টি ঘটনার মধ্যে শুধুমাত্র ১২৫৪টি ঘটনার তদন্ত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৯৮% ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আশা করি যে বাংলাদেশ এসব হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ এবং সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনবে, এবং কোনো ধরনের রাজনৈতিক বৈষম্য না দেখিয়ে এসব বিষয় তদন্ত করবে।”

    বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে ভারত

    বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতা সম্পর্কিত প্রশ্নে, জয়সওয়াল বলেন, “উন্নয়ন সহযোগিতা হল ভারতের বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্র। সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং দীর্ঘদিনের স্থানীয় সমস্যা কিছু প্রকল্পের বাস্তবায়নকে প্রভাবিত করেছে। সরকার তাই প্রকল্প পোর্টফোলিওর যুক্তিসঙ্গতীকরণ এবং যৌথভাবে চূড়ান্ত করা প্রকল্পগুলি সময়মত বাস্তবায়ন করার উপর মনোযোগ দিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থন ও ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর আমরা এগুলিকে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছি।” সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। তাদের সম্পত্তি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা।”

  • ICC Champions Trophy: বদলার ফাইনাল, কঠিন প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড! গ্যালারি জুড়ে তেরঙা ওড়ানোর ডাক বিরাটের

    ICC Champions Trophy: বদলার ফাইনাল, কঠিন প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড! গ্যালারি জুড়ে তেরঙা ওড়ানোর ডাক বিরাটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ বেলায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy)। রবিবার দপবাইয়ে মুখোমুখি ভারত ও নিউজল্যান্ড। অতীত বলছে আইসিসি খেতাব দখলের লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের কাছে মাঝেমাঝেই ধাক্কা খেয়েছে ভারত। রবিবারও লড়াইটা সহজ হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকাকে অনায়াসে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ পর্বের পর ফাইনালেও ২৫ বছর আগে এমনই এক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (সেই সময় নাম ছিল আইসিসি নক-আউট) ফাইনালে খেলতে নেমেছিল ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। সেইবার ট্রফি জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। তবে এবার বদলা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে রোহিতদের কাছে। ইতিমধ্যেই গ্যালারি ভর্তি হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ পাকিস্তান হয়েও সেখানে মাঠ ভরেনি। কিন্তু রবিবার ফাইনালে ভারত। টিকিট সব শেষ।

    বিরাট আবেদন-লহেড়া দো

    ইতিমধ্যে টিম ইন্ডিয়ার তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওয় বিরাট ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের অনুরোধ করেছেন, তাঁরা যেন মাঠে আসেন এবং টিম ইন্ডিয়াকে সাপোর্ট করেন। কিং কোহলি বললেন, ‘‘আমি ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের শুধুমাত্র একটাই কথা বলতে চাই। মাঠে আসুন। আমাদের সাপোর্ট করুন। প্রত্যেকবার যেভাবে বিশাল সংখ্য়ক সমর্থক মাঠে এসে আমাদের সাপোর্ট করেন, এবারও আপনাদের থেকে তেমনই সাপোর্ট আমাদের দরকার।’’ সঙ্গে বিরাট আরও যোগ করেছেন, ‘‘ভারত থেকে দুবাই তো আর খুব বেশি দুরে নয়। সেকারণে আমি বিশ্বাস করি, ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা এখানেও স্টেডিয়াম খুব দ্রুত ভরিয়ে দেবেন। আপনাদের এই সমর্থনকে আমরা সবসময় সম্মান করি। বিশেষ করে বড় ম্যাচে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে আপনারা সবসময় আমাদের পাশে থাকেন। সেকারণে আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’’ সবশেষে বিরাট বললেন, ‘‘আমরা সবসময় জেতার চেষ্টা করি। মাঠের মধ্যে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিই। ভারতের পতাকা আরও উঁচুতে ওড়াতে চাই। সেকারণে দয়া করে মাঠে আসুন। আমাদের সাপোর্ট করুন। আপনার মুখের হাসি আমরা মুছতে দেব না।’’

    কত টাকায় বিকোল টিকিট

    দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রায় ২৫,০০০ দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবেন। ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যে আয়োজিত ফাইনাল ম্যাচের জন্য গোটা স্টেডিয়াম ভর্তি হয়ে গিয়েছে। স্টেডিয়ামে ২৫ হাজার আসনের টিকিট চোখের নিমেষেই ফুরিয়ে গিয়েছে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের টিকিট মোটামুটি ৬,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়েছিল। আর এই টিকিট সর্বাধিক দাম গিয়ে ঠেকেছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮৭১ টাকায়। এই টিকিট কাটলে আপনাকে হসপিটালিটি বক্সে বসে ম্যাচ দেখার যাবতীয় সুযোগ সুবিধে দেওয়া হবে। মজার ব্যাপার, এই টিকিটও ইতিমধ্যে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে।

    ভারত-নিউজিল্যান্ড অতীত রেকর্ড

    আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপের ইতিহাসে, দুটি দল ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে। নিউজিল্যান্ড এবং ভারত প্রত্যেকেই ৫টি করে ম্যাচ জিতেছে এবং একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। তাছাড়া, এই একই কিউই দল ২০১৯ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের যাত্রা শেষ করেছিল। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত কখনও নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেনি। দুটি দল তিনবার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে, যার তিনটি ম্যাচই কিউই দল জিতেছে। দুটি দল এর আগে ২০২১ সালের আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে নিউজিল্যান্ড ভারতকে হারিয়ে তাদের প্রথম আইসিসি ইভেন্ট শিরোপা জিতেছিল। তবে একদিনের ক্রিকেটে অতীতে ভারত এবং নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে ১১৯টি ম্যাচে। তার মধ্যে ৬১টি ম্যাচ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের জয় ৫০টি ম্যাচে।

    নিউজিল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) আট দলের মধ্যে ভারতীয় দলের স্পিন আক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা শুধু নিউজিল্যান্ডের রয়েছে। সেই দলের অধিনায়ক বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। সেই সঙ্গে রয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল, গ্লেন ফিলিপ্স এবং রাচিন রবীন্দ্র। এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিল্ডিংয়ে সবচেয়ে বেশি দক্ষতা দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড। গ্লেন ফিলিপ্স যেমন কিছু অবিশ্বাস্য ক্যাচ নিয়েছেন, তেমনই রান বাঁচিয়েছেন বাকি ফিল্ডারেরা। বিপক্ষের জন্য যা কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে দেয়। গত ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০-৪০ রান ফিল্ডিংয়ে বাঁচিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৩০-৪০ রান বাঁচিয়ে দিলে চাপ তৈরি হয়ে যাবে যে কোনও দলের। স্যান্টনার বলেছেন, “দুবাইয়ে গিয়ে ভারতকে চাপে ফেলে দেওয়া আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। কোন কৌশল কাজে লাগবে এবং কোনটা লাগবে না সেটা বুঝতে পেরেছি। বোলারেরা যে ভাবে ভারতের টপ অর্ডারকে বিপদে ফেলেছিল সেটা ভাল লেগেছিল। আরও এক বার টস জিততে পারলে ভাল লাগবে।”

    অপরাজিত ভারত

    আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছে রোহিত শর্মার ভারত। সামনে এ বার নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। গ্রুপ পর্বে কিউয়িরা শুধুমাত্র হেরেছিল ভারতের (India) কাছে। গ্রুপের ম্যাচে জিততে না পারলেও নিউজিল্যান্ড দল যথেষ্ট চাপে ফেলে দিয়েছিল ভারতকে। টপ অর্ডারকে কম রানে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছিলেন কিউয়ি বোলারেরা। সেই একই কাজ ফাইনালেও করে দেখাতে চায় তারা। অন্যদিকে ভারত চায়, ফের জ্বলে উঠুক বিরাট ব্যাট, শতরান পান রোহিত। বরুণ চক্রবর্তীয় মিস্ট্রি স্পিনে ঘায়েল হকো কিউইরা। শামির স্বপ্নের স্পেলে খরের মতো উড়ে যাক নিউজিল্যান্ড। ফের একবার আইসিসি খেতাব হাতে তেরঙা নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করুন রোহিত-কোহলি জুটি।

    আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল ম্যাচটি ভারতীয় সময় অনুযায়ী শুরু হবে দুপুর ২.৩০ মিনিটে। ম্যাচের আগে ২টো নাগাদ টস হবে। ফাইনাল ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং (Live streaming) দেখা যাবে টিভিতে স্টার স্পোর্টস ২ ও স্পোর্টস ১৮-১ এবং স্পোর্টস ১৯-খেল। এ ছাড়া মোবাইলে দেখা যাবে জিওহটস্টার অ্যাপ্লিকেশনে।

LinkedIn
Share