Tag: Madhyom

Madhyom

  • Donald Trump: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, ঘোষণা ট্রাম্পের, এখন কী করবেন জেলেনস্কি?

    Donald Trump: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, ঘোষণা ট্রাম্পের, এখন কী করবেন জেলেনস্কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। জেলেনস্কি উদ্বিগ্ন ছিলেন মার্কিন সমর্থন ছাড়া ইউক্রেনের যুদ্ধেটিকে থাকার সম্ভাবনা কম। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। এবার কী করবেন তিনি? ইউরোপ কি তাঁকে বাঁচাতে পারবে? এমন প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে আন্তর্জাতিক মহলে। কোনও কোনও মহলের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে ইউক্রেনকে চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন। চাপে পড়ে অবশ্য জেলেনস্কির (Ukraine) সুর নরম। এখন বিপদ বুঝে মুখে সমঝোতার বার্তাও দিয়েছেন নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে। এক্স মাধ্যমে জেলেনস্কির বার্তা, ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠা খুব শীঘ্রই দরকার। আমেরিকা ও ইউরোপের বন্ধুরা সেই পথ প্রশস্ত করবে বলে আশা রাখি।’’ জানা গিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়া থেকে ইউক্রেনকে এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে আমেরিকা। যা দেওয়া বাকি ছিল, এখন তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে।

    গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি

    দিন কয়েক আগে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন (Donald Trump) সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধান। সেসময় ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির যৌথ বিবৃতি ভেস্তে যায়। ওই সময়ে ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয় ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানের। পরে দু’দেশের যৌথ সাংবাদিক বিবৃতির সময়ে জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্প এবং ভান্সের তপ্ত বাক্যবিনিময় চলে কিছু ক্ষণ, যা সাম্প্রতিক অতীতে কখনও দেখা যায়নি। এর জেরেই ভেস্তে যায় আমেরিকা-ইউক্রেন খনিজ চুক্তি। এরপরেই শোনা যায়, হোয়াইট হাউস থেকে মধ্যাহ্নভোজ না সেরেই বেরিয়ে যান জেলেনস্কি। এই আবহে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য পাঠানো আপাতত বন্ধ করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন।

    হোয়াইট হাউসের শীর্ষ আধিকারিক কী বললেন সংবাদমাধ্যমকে

    হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেন, “শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে স্থির রয়েছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। আমরা চাই আমাদের বন্ধুরাও সেই একই লক্ষ্যে স্থির থাকুক। আমরা তাই আপাতত সাহায্য (ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য) বন্ধ রেখে তা পর্যালোচনা করছি, যাতে এর মাধ্যমে কোনও সমাধানের পথ বেরোয়।” বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য আপাতত বন্ধ রেখে শান্তিচুক্তির জন্য চাপ তৈরি করতে চাইছে আমেরিকা। আসলে ট্রাম্প চাইছেন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি বন্ধ করতে উদ্যোগী হোন জেলেনস্কি।

  • India Vs Australia: বিশ্বকাপের বদলা নিতে মরিয়া ভারত, রোহিতের চিন্তা বাড়াচ্ছে দুবাইয়ের পিচ

    India Vs Australia: বিশ্বকাপের বদলা নিতে মরিয়া ভারত, রোহিতের চিন্তা বাড়াচ্ছে দুবাইয়ের পিচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের বদলা নিতে মরিয়া ভারত (India Vs Australia)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই অভিযান শুরু করেছিল ভারত। সব মিলিয়ে টানা দশ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছিলেন রোহিত-বিরাটরা। কিন্তু ফাইনালে আশাভঙ্গ হয় ১৪০ কোটি ভারতবাসীর। সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ পড়তে পারে মঙ্গলবার। বদলার ম্যাচে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ভারত। এ বারও নকআউট ম্যাচ। যে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল, সেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ট্রফি জয়ের থেকে এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ রয়েছে রোহিত ব্রিগেডের।

    মুখোমুখি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া

    দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া (India Vs Australia)। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে গ্রুপ পর্বে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে ভারত। অন্য দিকে, অস্ট্রেলিয়া গ্রুপের ম্যাচগুলি খেলেছে পাকিস্তানের ব্যাটিং সহায়ক পিচে। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ড রান তাড়াও করেছে। কিন্তু বাকি দু-ম্যাচের মধ্যে একটিতে বল গড়ায়নি, আর একটি মাঝপথেই ভেস্তে যায়। এ বার খেলতে হবে দুবাইয়ের মন্থর পিচে। ভারতের কাছে ভয়ের কারণ ট্র্যাভিস হেড। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে বিশ্বকাপ ফাইনাল, ভারতে জোড়া স্বপ্ন একার হাতে ধূলিসাৎ করেছেন। দ্বিতীয়জন স্টিভ স্মিথ। ভারতের বিরুদ্ধে রানের খিদে কোনও দিন তাঁর কমবে বলে মনে হয় না। এ ছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্নাস লাবুশেনের মতো পুরনো ‘শত্রু’রা তো রয়েছেনই।

    আইসিসি প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শাসন

    আইসিসি প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শাসন। যতই ভাঙাচোরা দল হোক, অস্ট্রেলীয় (India Vs Australia) আইসিসি প্রতিযোগিতায় নিজেদের সেরা উজাড় করে দেয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৩৫০ রান তাড়া করে জেতার পরেই তা বোঝা গিয়েছে। অন্যদিক, ভালো খেললেও রোহিতদেরও হলুদ জার্সি নিয়ে একটা চাপা আতঙ্ক রয়েছে। এবার সেই আতঙ্ক বদলের পালা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ব্যাটিং ভরসা দিয়েছে। তিনটি ম্যাচেই ব্যাটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও মিডল অর্ডার সামলে দিয়েছে। শ্রেয়স আয়ারের দায়িত্বশীল ব্যাটিং, অক্ষর পটেলের বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস এবং হার্দিক পাণ্ডিয়ার পরিমিত আগ্রাসন ভারতকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছে। রোহিত-কোহলি যে কোনও দিন জ্বলে উঠতে পারেন। রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব— এই স্পিন ত্রয়ী এখন গোটা বিশ্বের ত্রাস। তার সঙ্গে যোগ হয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী, যাঁর বল এখনও অস্ট্রেলিয়া খেলেনি। ফলে বোলিং বিভাগে ভারত বেশ শক্তিশালী হয়েই নামবে।

    দুবাই-এর পিচ নিয়ে রোহিত

    ভারত একই ভেনুতে তিনটি ম্যাচ খেলায় অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন, অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে ভারত (India Vs Australia)। সেমিফাইনালের আগে সেই প্রশ্নের সমালোচনা করে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘প্রতিটা ম্যাচেই পিচে আলাদা চ্য়ালেঞ্জ থাকছে। তিন ম্যাচেই পিচ আলাদা আচরণ করেছে। এটা আমাদের হোমগ্রাউন্ড নয়। এটা দুবাই। সারা বছর এখানে খেলি না। এখানকার পরিবেশ আমাদের কাছেও নতুন।’ রোহিত আরও যোগ করেন, ‘এখানেও চার-পাঁচটি পিচ রয়েছে। প্রত্যেকটা পিচেরই চরিত্র ভিন্ন। সেমিফাইনালে কোন পিচে খেলা হবে, সেটার আচরণ আমিও জানি না। যাই হোক না কেন, দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে, সেখানেই খেলতে হবে।’

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্য়াটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী, মহম্মদ সামি।

    কখন, কোথায় দেখবেন ম্যাচ: ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, প্রথম সেমিফাইনাল দুপুর ২.৩০, স্পোর্টস ১৮, স্টার স্পোর্টস, জিওহটস্টারে সম্প্রচার

  • Maoists: দেশে এখন সক্রিয় ১২ মাওবাদী কমান্ডার ও ৪০০ ক্যাডার, নির্মূল হবে ১ বছরেই, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

    Maoists: দেশে এখন সক্রিয় ১২ মাওবাদী কমান্ডার ও ৪০০ ক্যাডার, নির্মূল হবে ১ বছরেই, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদীদের (Maoists) বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযানে প্রায় নিশ্চিহ্ন লাল-সন্ত্রাস। এই অবস্থায় মাওবাদীদের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতার সবরকমের প্রস্তুতি চালাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অন্তত এমনটাই বলছে। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করার পরেই দেখা যাচ্ছে, আর মাত্র ১২ জন কমান্ডার ও ৪০০ মাওবাদী ক্যাডার জীবিত রয়েছে, যাদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে বাকি রয়েছে। এরই মধ্যে তাদের জন্য আর এক বছর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই ৩৬৫ দিনের মধ্যে তাদেরকে হয় আত্মসমর্পণ করতে হবে অথবা তাদেরকে নির্মূলের সমস্ত রকমের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

    দমন অভিযানে ব্যাপক সাফল্য (Maoists)

    মাওবাদী (Maoists) দমন অভিযান অত্যন্ত সফল হয়েছে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে ২০২১ সাল থেকে ৩৮৫ জন মাওবাদীকে এখনও পর্যন্ত নিকেশ করা গিয়েছে। আরও চমকপ্রদ তথ্য হিসেবে উঠে আসছে, এই নিকেশ অভিযানে ৩৮৫ মাওবাদীর মধ্যে ৩১০ জনকেই নিকেশ করা গিয়েছে ২০২৪ সালে। অর্থাৎ চমকপ্রদ সাফল্য। দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক জনসভা ও অথবা সরকারি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটা কথাই বারে বারে ঘোষণা করেছেন যে, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশকে মাওবাদী মুক্ত করা হবে। দেখা যাচ্ছে সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রে ব্য়াপক সফলও হয়েছে মোদি সরকার।

    শীর্ষ মাওবাদী নেতারা কেউই জীবিত নেই (Maoists)

    মাওবাদী দমন এই অভিযানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকও সামনে এসেছে। কোন পদ্ধতিতে হয় এই অভিযান সে নিয়ে মুখও খুলেছেন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর তরফ থেকে প্রথম টার্গেট করা হয় মাওবাদী কমান্ডারদের এবং এই কারণেই শীর্ষস্থানীয় মাওবাদী নেতারা এখন আর প্রায় কেউই জীবিত নেই। এদের আঘাত করে গোটা সংগঠনকে নাড়িয়ে দিতে চায় নিরাপত্তা বাহিনী। কারণ এই কমান্ডারদের নির্দেশেই কাজ করে ক্যাডাররা। কমান্ডোরা মূলত নির্দেশ দেওয়ার কাজ করত মাওবাদী ক্যাডারদেরকে (Maoists)। এবার তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ায় দিশাহীন হয়ে পড়েছে ক্যাডাররা। এর ফলে মাওবাদীরা দ্রুতই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথেই রয়েছে। এইখানেই সফল মোদি সরকার। আগেই বলা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যে তথ্য রয়েছে আর মাত্র ১২ জন সক্রিয় মাওবাদী কমান্ডার বেঁচে রয়েছে এবং তারাই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তেই মাওবাদীরা ব্যাপক আর্থিক সংকটেও ভুগছে।

    শেষবার মাওবাদী দমনের অভিযানের আগে ৪০০ মাওবাদী ক্যাডার সক্রিয় ছিল বস্তারে

    প্রসঙ্গত, বস্তার ডিভিশনে শেষবার মাওবাদী দমনের অভিযানের আগে ৪০০ মাওবাদী ক্যাডার (Maoists) সক্রিয় ছিল বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি, সেখানে আরও অন্যান্য ৮০০ মাওবাদী ছিল। এই মাওবাদীরা অবশ্য মাঠে নেমে যুদ্ধ করত না। তারা মাওবাদী ক্যাডারদের বিভিন্ন সাহায্য করত, যারা যুদ্ধ করত তাদেরকে। সাপোর্টিং ক্যাডার হিসেবে থাকত এই ৮০০ মাওবাদী। এদের মধ্যে অনেকে মাওবাদী আন্দোলনেও অংশগ্রহণ করত। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক শাখা সংগঠনের যুক্ত থাকত।

    নিরাপত্তা বাহিনীর টার্গেট মাধবী হিদমা

    এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিকরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে, তাঁরা মাওবাদী আন্দোলনকে (Maoists) একেবারে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে পারবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে সময়সীমা নির্ধারিত করেছে, তার আগেই মাওবাদীদের শীর্ষ কমান্ডারদের তাঁরা নিশ্চিহ্ন করতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী এখন টার্গেট করেছে মাওবাদীদের এক নম্বর ব্যাটালিয়নকে। এর নেতৃত্ব রয়েছেন মাও-নেত্রী মাধবী হিদমা। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী লাগাতার অভিযান চালিয়ে মাওবাদীদের এই ১ নম্বর ব্যাটালিয়নের ৯০ শতাংশ ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী যে ব্যাটালিয়ন-১ আর সেভাবে কখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।

    আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও

    ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করা উচিত এবং যদি তারা সেটা না করে তাহলে তাদেরকে নিকেশ করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে মাওবাদী কমান্ডারররা অচিরেই আত্মসমর্পণ করবেন (Red Terrorism)। কারণ যেভাবে তাঁরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তাতে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে, গোয়েন্দা দফতরও মাওবাদীদের উপরে সম্পূর্ণভাবে নজর রাখছে।

    চলছে উন্নয়নমূল কাজ

    মাওবাদীদের দমন অভিযানে অন্যান্য গঠনমূলক কাজও শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেমন যে সমস্ত অঞ্চলগুলিতে মাওবাদীদের প্রভাব ছিল সেই এলাকাগুলিতে রাস্তা, বিদ্যুৎ, জল, শিক্ষা— এই সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এর ফলেই মাওবাদীরা আর সেই সমস্ত জায়গাতে ঢুকতে পারছে না। কারণ অভাব, দরিদ্রতা ও অনুন্নয়নকে কাজে লাগিয়েই মাওবাদীরা নিজেদের কথা বলতে শুরু করে।

  • Ayodhya: মহাকুম্ভ শেষ, নেই বাড়তি চাপ, অযোধ্যার রামলালা দর্শনে চালু আগের সময়সূচিই

    Ayodhya: মহাকুম্ভ শেষ, নেই বাড়তি চাপ, অযোধ্যার রামলালা দর্শনে চালু আগের সময়সূচিই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ সম্পন্ন হয়েছে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। মহা শিবরাত্রির দিন ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল মহাকুম্ভ। চলেছে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়ে বিপুল সংখ্যক ভক্তের পা পড়ে রামনগরীতে। মহাকুম্ভে স্নান সেরে অযোধ্যায় রামলালার দর্শন করবেন- এই উদ্দেশে অনেকেই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শেষ হতেই ভিড় কমেছে অযোধ্যাতেও। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ যখন চলছিল, তখন অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Temple) দর্শনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু সোমবার থেকেই রাম মন্দির দর্শনের জন্য সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। আগের মতোই করা হয়েছে সময়সূচী।

    রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এবং প্রশাসনের বৈঠক

    শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এবং অযোধ্যার (Ayodhya) প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিগত দিনগুলিতে ব্যাপক ভক্তদের ভিড় হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Temple)। চাপ কমাতে দর্শনের সময়সূচিতে বদল করে রাম মন্দির ট্রাস্ট। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত খোলা থাকত মন্দির। এরপর গতকাল সোমবার চালু করা হল আগের নিয়ম।

    ভোর ৪:১৫ থেকে ৬টা পর্যন্ত দ্বার বন্ধ থাকবে

    নতুন সময়সূচী অনুসারে, ব্রহ্ম মুহূর্তে ভোর ৪টায় মঙ্গল আরতির পর, স্নানের জন্য ৪:১৫ থেকে ৬টা পর্যন্ত দ্বার বন্ধ থাকবে। এর পরে, সকাল ৬টায় শৃঙ্গার আরতি অনুষ্ঠিত হবে। তারপর সকাল ৬:৩০ থেকে দর্শন শুরু হবে চলবে সকাল ১১:৫০ পর্যন্ত। এরপর, ভোগের জন্য দুপুর পর্যন্ত দ্বার বন্ধ থাকবে। এরপর দুপুর ১২টা থেকে ১২:৩০ পর্যন্ত আবার দর্শন শুরু হবে।

    দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কখন করা যাবে দর্শন (Ayodhya)

    রামলালার দুপুরের বিশ্রামের জন্য দুপুর ১২:৩০ থেকে ১টা পর্যন্ত দরজা বন্ধ থাকবে। দুপুর ১টা থেকে আবার দর্শন শুরু হবে এবং সন্ধ্যা ৬:৫০ পর্যন্ত চলবে। এরপর সন্ধ্যা ৬:৫০ থেকে ৭টা পর্যন্ত বালভোগের জন্য দরজা বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যা ৭টায় আরতির পর ফের দ্বার দর্শনের জন্য দরজা খোলা হবে। দরজা খোলা থাকবে রাত ৯:৪৫ পর্যন্ত। এরপর রাত ৯:৪৫ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাত্রিভোগের জন্য দরজা বন্ধ থাকবে এবং রাত ১০টায় শয়ন আরতি অনুষ্ঠিত হবে। আরতিতে অংশগ্রহণকারী দর্শনার্থীরা রাত ৯:৩০ থেকে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন। রাত ১০টা ১৫ নাগাদ আরতি-পুজোর পর রামলালা শয়নে যাবেন। সকাল পর্যন্ত মন্দির (Ayodhya) বন্ধ থাকবে।

  • Daily Horoscope 04 March 2025: কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 04 March 2025: কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) নিজের অজান্তেই কোনও কাজের সুবাদে সকলের প্রীতিলাভ করবেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন।

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় কাজের দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ২) ব্যবসায় সমস্যা বাড়তে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির সময়।

    ২) ব্যবসায় চাপ বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) শারীরিক সমস্যার জন্য ব্যবসায় সময় দিতে পারবেন না।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) চিকিৎসার জন্য খরচ বৃদ্ধি।

    ২) কোনও বন্ধুর সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Excess salt: নুনেই রয়েছে বিপদ! অতিরিক্ত নুন খেলে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ে?

    Excess salt: নুনেই রয়েছে বিপদ! অতিরিক্ত নুন খেলে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দুপুরে হোক বা রাতে, ভাতের পাতে এক চামচ নুন (Excess salt) না নিলে অনেকেরই খাওয়া ঠিকমতো হয় না। আবার অনেকের পেয়ারা হোক বা কুল, নানান রকম ফলেও নুন মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস। আর তার জেরেই বাড়ে নানান রোগের দাপট। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনে দেড় চামচের বেশি পরিমাণ নুন খেলেই নানান জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ে‌। বিভিন্ন রান্নায় নুন দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও অনেকেই অতিরিক্ত নুন খান। আর এই অভ্যাস বিপজ্জনক। দেখে নিন, অতিরিক্ত নুন থেকে কী কী রোগ হতে পারে?

    উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায় (Excess salt) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নুনে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। তাই নিয়মিত অতিরিক্ত নুন খেলে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ শরীরে একাধিক রোগের কারণ তৈরি করে। হৃদপিণ্ড, কিডনি এবং স্নায়ুর নানান জটিল রোগের কারণ উচ্চ রক্তচাপ। তাই অতিরিক্ত নুন খাওয়া খুবই বিপজ্জনক।

    হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ায়

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, লাগাতার রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে এবং উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বেড়ে গেলে হৃদযন্ত্রের উপরে চাপ পড়ে‌‌। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই হৃদরোগ এড়াতে নুন (Excess salt) খাওয়ায় রাশ টানা জরুরি।

    লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নুন পেটের পক্ষেও বিপজ্জনক হতে পারে। অতিরিক্ত নুন খেলে অন্ত্র এবং লিভারের ক্ষতি হয়। এর কারণ নুনের সোডিয়াম। এই উপাদান অতিরিক্ত হলে লিভারে অনেক সময়েই গভীর ক্ষতি সৃষ্টি করে। তাই বেশি পরিমাণ নুন খেলে পেটের নানান সমস্যা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    অনিদ্রার সমস্যা বাড়িয়ে দেয় (Excess salt) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নুন হরমোনের ভারসাম্যেও সমস্যা তৈরি করে। অতিরিক্ত নুন খেলে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়। একটানা ঘুম না হওয়া, রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এর থেকেই অনিদ্রার মতো‌ সমস্যা তৈরি হয়। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

    হাত-পা ফুলে যাওয়ার ঝুঁকি

    পায়ের পাতা কিংবা হাত ফুলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় নুন (Excess salt)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত নুন খেলে শরীরে আয়োডিন, সোডিয়াম সহ একাধিক উপাদানের তারতম্য ঘটে। এর ফলে হাত ও পায়ের বিভিন্ন পেশিতে প্রভাব পড়ে। শরীর ফুলে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাড়ির তৈরি রান্নায় পরিমাণ মতো নুন (Excess salt) দেওয়া হয়। তাই বাড়তি নুন খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তেই হবে। শরীর সুস্থ রাখতে এই অভ্যাস পরিবর্তন জরুরি। তাছাড়া পেয়ারা, জাম, কুলের মতো ফল নুন মাখিয়ে খেলে তার পুষ্টিগুণ একেবারেই চলে যায়। বরং শরীরের জন্য তা ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে। তাই নুন মাখিয়ে ফল খাওয়ার অভ্যাস বিপজ্জনক। পাশপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, পিৎজা, বার্গার, সসেজের মতো খাবারে যে ধরনের মাংস ব্যবহার করা হয়, সেগুলো প্রক্রিয়াজাত। এই মাংসের মান ও স্বাদ ধরে রাখতে অতিরিক্ত নুন দেওয়া হয়। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক (Disease)। তাই এই ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার ও এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Omar Abdullah: বিজেপি এবং মোদির সঙ্গে দূরত্ব কমছে ভূস্বর্গের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার!

    Omar Abdullah: বিজেপি এবং মোদির সঙ্গে দূরত্ব কমছে ভূস্বর্গের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দূরত্ব কমছে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার (Omar Abdullah)! অন্তত ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত এমনই। এর আগে প্রায়ই তিনি জম্মু-কাশ্মীর ধ্বংস করার জন্য দায়ী করেছিলেন বিজেপিকে। সেই তিনিই এখন বদলাচ্ছেন ভোল।

    ৩৭০ ধারা রদ (Omar Abdullah)

    ২০১৯ সালে ভূস্বর্গ থেকে বাতিল হয়ে যায় ৩৭০ ধারা। তার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে যাঁরা সব চেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন ওমর-ও। মুসলমান অধ্যুষিত উপত্যকায় উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্যও তিনি বিভিন্ন সময় দুষেছিলেন পদ্ম-পার্টিকে। বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগ তুলেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের আশা-আকাঙ্খা উপেক্ষা করারও। লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘সংকল্পপত্র’ (ইশতেহার) প্রকাশ করেছিল বিজেপি। তাকে কটাক্ষ করে ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতা বলেছিলেন, “এটি জম্মু-কাশ্মীর ধ্বংসের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে।”

    ওমরের মুখে মোদি প্রশস্তি!

    তবে জম্মু-কাশ্মীরের (Omar Abdullah) মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বিবৃতি ও কার্যকলাপ তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানে লক্ষণীয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন মাস পরেই ওমর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য। গত ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী যখন ২৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সোনমার্গ টানেলের উদ্বোধন করেন, তখনও মোদি-প্রশস্তি শোনা গিয়েছিল ওমরের মুখে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে, নির্বাচন জয়ের পরপরই ওমর প্রকাশ্যে স্বীকার করেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীর সরকারের প্রয়োজন “কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখা।” তিনি এও স্বীকার করেছিলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক সমস্যার সমাধান কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করে সম্ভব নয়।”

    ওমরের বাবা তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি, ফারুক আবদুল্লা সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর সরকার কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করতে পারে না।” ওমরের এই ‘বিজেপি-প্রীতি’ ভালো চোখে দেখছেন না জম্মু-কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্সের নেতা তথা বিধায়ক সাজ্জাদ লোন। ওমরের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। লোন বলেন, “নির্বাচনী প্রচারের সময় সবই ছিল ৩৭০ ধারা সংক্রান্ত এবং কীভাবে অন্য সবাই বিজেপির (PM Modi) সঙ্গে রয়েছে, সেই প্রশ্ন। আর এখন আদর্শগত মিল। কী বিশাল পতন (Omar Abdullah)!”

  • Kolkata Knight Riders: নতুন জার্সি নাইটদের, শ্রেয়সের জায়গায় কেকেআর অধিনায়কের নাম ঘোষণা

    Kolkata Knight Riders: নতুন জার্সি নাইটদের, শ্রেয়সের জায়গায় কেকেআর অধিনায়কের নাম ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে ক্রীড়া বিনোদনের মহাযজ্ঞ আইপিএল (IPL 2025)। গত বার আইপিএলে দলকে চ্যাম্পিয়ন করা অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকে ধরে রাখেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। তার জায়গায় এবার দলের ব্যাটন তুলে দেওয়া হল অজিঙ্কা রাহানের হাতে। আইপিএল শুরুর আগে নতুন জার্সিও প্রকাশ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। জার্সির বুকে রয়েছে তিনটি তারা।

    নয়া অধিনায়ক রাহানে

    কেকেআরের (Kolkata Knight Riders) অধিনায়ক কে হবে তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে জল্পনা চলছিল। তালিকায় রাহানের সঙ্গে ছিলেন বেঙ্কটেশ আয়ারও। আবার অনেকে সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেলদের নামও করছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভারতের অভিজ্ঞ ক্রিকেটের উপর ভরসা রাখল কেকেআর। ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বইয়ের অধিনায়কত্ব করেন রাহানে। এ বার আইপিএলেও দেখা যাবে তাঁকে। পাশাপাশি বেঙ্কটেশকে দেওয়া হয়েছে সহ-অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। এ বারের আইপিএলের নিলামে বেঙ্কটেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছে কেকেআর। তুলনায় রাহানেকে তাঁর ন্যূনতম মূল্য দেড় কোটি টাকায় কিনেছে কলকাতা। সেই কারণেই মনে করা হচ্ছিল, বেঙ্কটেশকে অধিনায়ক করা হবে। বেঙ্কটেশ নিজেও জানিয়েছিলেন, তিনি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার উপর ভরসা রেখেছে শাহরুখ খানের দল।

    নতুন জার্সিতে তিন মাহাত্ম্য

    সোমবার নতুন জার্সিও প্রকাশ করেছে কেকেআর (Kolkata Knight Riders)। জার্সির বুকে রয়েছে তিনটি তারা। তিন বার আইপিএল জেতায় তিনটি তারা জায়গা পেয়েছে জার্সিতে। মার্চ মাসের তিন তারিখ এই জার্সি প্রকাশ করা হয়েছে। মার্চ মাসও বছরের তৃতীয় মাস। একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে এই নতুন জার্সি প্রকাশ করেছে কেকেআর। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিন সংখ্যাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যে হেতু কলকাতা তিন বার আইপিএল জিতেছে তাই এই সংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়েছে তারা। কেকেআরের মূল মন্ত্র ‘করব, লড়ব, জিতব।’ সেটিও তিন শব্দ। তাই সেই মন্ত্রকেও ভিডিয়োতে তুলে এনেছে কেকেআর। জার্সির হাতায় সোনালি রঙের একটি ব্যাজও রয়েছে। গত বারের চ্যাম্পিয়ন হিসাবে হাতায় থাকবে এই লোগো। ভিডিয়োতে নতুন জার্সি পরে দেখা গিয়েছে রিঙ্কু সিং, বেঙ্কটেশ আয়ার, রমনদীপ সিং, মণীশ পাণ্ডে, বৈভব অরোরা, অনুকূল রায়, মায়াঙ্ক মারকণ্ডে ও লবনীত সিসোদিয়াকে।

  • Sambhal: সঙ্গম থেকে ৭০০ লিটার গঙ্গাজল পৌঁছল সম্ভলে, পরিষ্কার করা হল বিভিন্ন মঠ-মন্দির

    Sambhal: সঙ্গম থেকে ৭০০ লিটার গঙ্গাজল পৌঁছল সম্ভলে, পরিষ্কার করা হল বিভিন্ন মঠ-মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভের ত্রিবেণী সঙ্গমের ৭০০ লিটার গঙ্গাজল সম্ভল (Sambhal) নগরীতে পৌঁছায় দমকলের গাড়ির মাধ্যমে। এই গঙ্গা জলকে কাজে লাগানো হয় বিভিন্ন হিন্দু ধর্মের মন্দির পরিষ্কারের কাজে। জানা গিয়েছে, এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশেই। এর উদ্দেশ্য হিন্দু ধর্মের পবিত্র তীর্থ স্থানগুলিকে যেমন পবিত্র করা, একইভাবে সেই সমস্ত মানুষদেরকেও ত্রিবেণী সঙ্গমের গঙ্গা জলের সংস্পর্শ দেওয়া যাঁরা মহাকুম্ভে হাজির হতে পারেননি। সম্ভল নগরের চারটি বিখ্যাত তীর্থস্থানে এই পবিত্র গঙ্গাজলকে পৌঁছে দেওয়া হয়। এগুলি হল- কুরুক্ষেত্র তীর্থ মন্দির যা আলম সরাইতে অবস্থিত, ক্ষেমনাম তীর্থ মন্দির যা শাহজাদি সরাইত অবস্থিত, মহা মৃত্যুঞ্জয় তীর্থ যা হায়াতনগরে অবস্থিত এবং বংশ গোপাল মন্দির যা বইনিপুর চকে অবস্থিত।

    গঙ্গাজল দিয়ে মন্দির তথা মন্দির প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করা হয় (Sambhal)

    এই পবিত্র গঙ্গাজল দিয়ে মন্দির তথা মন্দির প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করা হয়। দমকলের গাড়ির মাধ্যমে এই পবিত্র গঙ্গা জল যখন সম্ভলে পৌঁছায় তখন সেখানে উৎসবের চেহারা নেয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপক ভিড় করেন। তাঁরা বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করতে থাকেন। দমকল বিভাগের এমন প্রচেষ্টায় সারা সম্ভল নগরী জুড়ে উৎসব শুরু হয়। সেখানে হাজির হন বিভিন্ন হিন্দু পণ্ডিত, স্থানীয় ভক্ত এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। তাঁরাও হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন প্রথা ও রীতি মেনে গঙ্গা জল দিয়ে পবিত্র তীর্থস্থানগুলি যেমন পরিষ্কার করেন, একইভাবে তীর্থক্ষেত্রে আশেপাশে থাকা জলাশয়গুলিতেও ত্রিবেণী সঙ্গমের পবিত্র জল মেশাতে থাকেন (Sambhal)।

    দমকলের গাড়িটিকে পুজো করা হয়

    সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল, সাধারণ ভক্ত এবং সাধুসন্তরা প্রথমেই দমকলের গাড়িটিকে পুজো করতে শুরু করেন। এই প্রথমবারের জন্য দেখা গেল দেশের তৎকাল পরিষেবার ক্ষেত্রে নিযুক্ত গাড়ি এভাবে পুজিত হচ্ছে। দমকলের গাড়ি যেন সম্ভলে পৌঁছে পরিণত হয় সনাতন ধর্মের পবিত্র রথে। সঙ্গমের পবিত্র গঙ্গা জলের মাহাত্ম্য অনুভব করতে ব্যাপক ভিড় জমে যায়। প্রসঙ্গত, হিন্দু ধর্মে সম্ভল নগরীর (Sambhal) আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস, ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার কল্কি জন্মগ্রহণ করতে চলেছেন সম্ভল নগরীতে।

    কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দা (Sambhal)

    সেখানকার এক স্থানীয় বাসিন্দা একে রাস্তোগি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘দশকের পর দশক ধরে আমাদের এই পবিত্র তীর্থস্থানকে গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছিল। সম্ভল নগরীকে অবহেলা করা হত। কিন্তু বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের সরকার নানা উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে এই নগরীর উন্নয়নের জন্য। এই নগরীকে আধ্যাত্মিক পর্যটনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। কল্কি ধামকে পবিত্র করতেই যোগী আদিত্যনাথ সরকার গঙ্গা জল পাঠিয়েছেন মহাকুম্ভের ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই পবিত্র গঙ্গাজল এখন মিশে গিয়েছে, সম্ভল নগরীর বিভিন্ন জলাশয়ে।’’

    ভক্তরা উৎসবে মেতে ওঠেন

    প্রসঙ্গত, এই মহাকুম্ভের জল পবিত্র জলাশয়ে মিশতেই বিভিন্ন ভক্তকে দেখা যায় যে তাঁরা সেই জলাশয়গুলিতে পুণ্যস্নান সারছেন। ভক্তদের বিশ্বাস, প্রয়াগরাজের জল জলাশয়গুলিতে মিশে যাওয়ায় সেগুলিও পবিত্র হয়ে উঠেছে এবং সেখানে স্নান করা মহাকুম্ভে স্নানেরই সমান। সম্ভল নগরীর এ দিনের এই উৎসব সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিমহল মহল। কারণ এর মাধ্যমে কল্কি ধামের গুরুত্ব সারা দেশের সামনে তথা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সামনে আরও অনেকটাই বাড়ল বলে মনে করছেন তাঁরা।

    কী বলছেন মহন্ত ভগবত প্রিয়

    দমকলের গাড়ি করে সম্ভল নগরীতে জল পৌঁছাতেই পুজো অনুষ্ঠান শুরু করেন মহন্ত ভগবত প্রিয়। জানা গিয়েছে তিনি স্থানীয় শ্রীনিবাস গোপাল তীর্থের মহন্ত। তিনি বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করেন এবং দমকলের ওই গাড়িটিকে তিলক লাগিয়ে দেন ও আরতি করেন। এরপরে সংবাদ মাধ্যম তাঁকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। তার উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘এটা শুধুমাত্র একটি যন্ত্র নয়। এটা একটা গাড়িও নয়। এটা হচ্ছে প্রতীক। আমাদের ভক্তির প্রতীক। আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। আমাদের দেশের সবথেকে পবিত্র নদীর জল বহন করছে এই গাড়িটি। তাই আজকে আমরা এই গাড়িটিকে পুজো করছি। কারণ এটা আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কাজে লাগছে।’’

    কী বলছে প্রশাসন

    এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের তথা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বিভিন্ন পুলিশ কর্তারা। আশেপাশের মঠ-মন্দিরের সাধু সন্ন্যাসীরাও। তাঁরা প্রত্যেকেই এই উৎসবকে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে পালন করেন, ধর্মীয় প্রথা মেনে। তাঁরা মন্ত্র উচ্চারণ করেন। জেলার পুলিশ সুপার কৃষ্ণকুমার বিষ্ণোই সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,‘‘দমকলের এই গাড়িটি করেই মহাকুম্ভের গঙ্গাজলকে আনা হয়েছে। এমনই নির্দেশ ছিল। এই পবিত্র গঙ্গাজল কোনও রকমের বাধা ছাড়াই অত্যন্ত নিরাপদেই আমরা আনতে পেরেছি সম্ভল নগরীতে।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘এটা প্রথমবারের জন্য হল যে দমকলের গাড়ি করে এভাবে গঙ্গা জল আনা হল। সম্ভল নগরীতে। এটা মূলত সেই সমস্ত ভক্তদের জন্যই করা হল, যাঁরা মহাকুম্ভে হাজির হয়েছেন। উত্তর প্রদেশ সরকার সনাতন ধর্মের তীর্থস্থানগুলিকে উন্নত করতে সদা সচেষ্ট।’’ প্রসঙ্গত প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ সম্পন্ন হয়েছে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। মহা শিবরাত্রির দিন। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল মহাকুম্ভ (Mahakumbh)।

  • India Bangladesh Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতেই হবে”, অবশেষে মানলেন ইউনূস

    India Bangladesh Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতেই হবে”, অবশেষে মানলেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে (India Bangladesh Relation) কোনও অবনতি ঘটেনি। পদ্মাপাড়ে ক্রমবর্ধমান ভারত বিরোধিতার মধ্যেই এমন দাবি করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। আগামী ৩-৪ এপ্রিল তাইল্যান্ডে বিমস্টেক সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইউনূস। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান ইউনূস। এমনই অভিমত কূটনৈতিক মহলের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক খুবই ভালো। আমাদের সম্পর্কের কোনও অবনতি হয়নি। আমাদের সম্পর্ক সব সময় ভালো থাকবে। এখনও ভালো আছে, ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে।”

    কলকাতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল

    ইতিমধ্যেই পাঁচ দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এলেন ইন্দো-বাংলাদেশ জয়েন্ট রিভার কমিশনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। সোমবার মোট ১১ জন পদস্থ কর্মকর্তা এই সফরে অংশ নিতে এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে নয়াদিল্লি থেকে আসা কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। সফরের মূল উদ্দেশ্য হল গঙ্গা-পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বাংলাদেশে। এই আবহে সেখানে ভারত বিদ্বেষের হাওয়া যেন প্রবল হয়েছিল। কিন্তু এরই মাঝে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বুঝতে পারে ভারতকে যে কোনও মূল্যে পাশে দরকার। পদ্মাপাড়ে উন্নয়নের জন্য ভারত নিয়ে এবার সুর নরম করতে বাধ্য হন ইউনূস।

    গঙ্গা-পদ্মা জলচুক্তি নিয়ে আলোচনা

    ১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) মধ্যে গঙ্গা-পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর ফলে দুই দেশ গঙ্গার জল ভাগ করে নেওয়ার একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি করে। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে এটি শেষ হবে। আগামী বছর চুক্তির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নতুন করে কিছু পর্যালোচনা ও সংশোধন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশ গঙ্গার প্রবাহ ও বণ্টন নিয়ে নিয়মিত বৈঠকে বসে। তবে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ অভিযোগ তুলেছে যে, শুষ্ক মৌসুমে ফরাক্কা ব্যারাজ থেকে তারা পর্যাপ্ত জল পায় না। অন্য দিকে, ভারতের দাবি, জলপ্রবাহের স্বাভাবিক ওঠানামার কারণে কিছু সময় জলের পরিমাণ কমবেশি হয়। তাই নিয়েই ফের আলোচনার জন্য ভারতে এসেছে বাংলার প্রতিনিধি দল।

    কোথায় কোথায় যাবেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা

    প্রতিনিধি দলটি সোমবার ফরাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শনে গিয়েছেন। সেখানে তাঁরা গঙ্গা থেকে পদ্মায় প্রবাহিত জলের পরিমাণ ও অবস্থা খতিয়ে দেখেন। ফরাক্কা ব্যারাজ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নদীর জল বণ্টনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গঙ্গা থেকে নির্ধারিত পরিমাণ জল কী ভাবে পদ্মায় প্রবাহিত হচ্ছে, তা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন দুই দেশের বিশেষজ্ঞেরা। এর পর ৭ মার্চ কলকাতায় একটি বিলাসবহুল হোটেলে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসবেন। গঙ্গার জলবণ্টন ছাড়াও তিস্তা এবং অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত নদীগুলির বিষয়ে কথাবার্তা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    মোদি-ট্রাম্প সুসম্পর্ক

    গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে গণআন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। পালিয়ে আসেন ভারতে। তাঁর প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। এখনও তার উত্তর দেয়নি নয়াদিল্লি। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ভারত একাধিক বার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফলে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ইউনূস সরকারের জামাত-ঘনিষ্ঠতা এবং ভারত-বিরোধিতা ক্রমে বুমেরাং হয়ে ফিরেছে ঢাকার কাছে। এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গেও ভারতকে পাশ পেতে চাইছেন ইউনূস। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো। বাংলাদেশ সমস্যা নিয়ে হস্তক্ষেপে রাজি নন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়য়ে মোদি যা করার করবেন। তাই মোদিই বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করবেন এমন আশাও দেখছে ঢাকা, ধারণা কূটনৈতিক মহলের।

    মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে, দাবি ইউনূসের

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক (India Bangladesh Relation) ভালো না থেকে উপায় নেই। আমাদের সম্পর্ক এত ঘনিষ্ঠ, আমাদের পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। সেটার থেকে আমরা সরে আসতে পারব না। তবে মাঝখানে কিছু কিছু মেঘ দেখা দিয়েছে। তা অপপ্রচারের কারণে এসেছে। এই অপপ্রচার কোন শত্রুরা করছে, সেটা বিচার করতে হবে। কিন্তু এই অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে ভারতের। সেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের সব সময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা এখানে আসছে, আমাদের লোকজন সেখানে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার প্রথমেই কথা হয়ে গিয়েছে।” এখন মোদির হাত ধরেই কি পদ্মাপাড়ে সুদিন ফেরার আশা দেখছেন ইউনূস! প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে

LinkedIn
Share