Tag: Madhyom

Madhyom

  • Chamoli Avalanche: চামোলিতে উদ্ধার কাজ শেষ করল সেনা, জীবিত উদ্ধার ৪৬, তুষারধসে মৃত ৮

    Chamoli Avalanche: চামোলিতে উদ্ধার কাজ শেষ করল সেনা, জীবিত উদ্ধার ৪৬, তুষারধসে মৃত ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে তুষারধসে (Chamoli Avalanche) আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ শেষ করল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। বরফের নীচে আটকে পড়া ৫৪ জনের মধ্যে ৪৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকি ৮ জন মৃত। রবিবার বিকেলে আরও চার শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার ফের উদ্ধারে নামেন সেনাবাহিনী-সহ বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। বরফের চাঁই তুলতেই বেরিয়ে আসে মৃতদেহ। রবিবারই উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    উদ্ধার কাজে বাধা

    শুক্রবার চামোলি (Chamoli Avalanche) জেলায় বদ্রীনাথের কাছে মানা গ্রামে তুষারধসে মোট ৫৪ জন শ্রমিকের চাপা পড়ার খবর মেলে। তারপর থেকে রবিবার পর্যন্ত ৪৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। মারাত্মক তুষারপাত, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ধসের প্রতিকূলতার মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে সেনা। রবিবার সকালেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পদে-পদে বাধা পেতে হচ্ছিল উদ্ধারকারী দলকে। ভারতীয় সেনা, আইটিবিপি, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, বিআরও এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রায় ২০০-রও বেশি কর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে জীবিত শ্রমিকদের উদ্ধার করেন।

    অক্লান্ত পরিশ্রম উদ্ধারকারীদের

    উত্তরাখণ্ডের চামোলি (Chamoli Avalanche) জেলার মানা গ্রামের কাছে কাজ চলছিল। দায়িত্বে ছিল বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। তাদেরই একটি ক্যাম্প সম্পূর্ণভাবে বরফের নীচে চাপা পড়ে যায়। শনিবার সকালে পরিস্থিতি, উদ্ধারকাজের তৎপরতা ও আবহাওয়া সংক্রান্ত খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর রবিবার রাতে উদ্ধারকাজ শেষের পরে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি উদ্ধারকারীদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন। উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করা হয় আধুনিক প্রযুক্তি-ভিক্টিম লোকেটিং ক্যামেরা, থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা, দিল্লি থেকে আনা হয়েছে গ্রাউন্ড পেনিট্রেশন ব়্যাডার এবং প্রশিক্ষিত অ্যাভালাঞ্চ রেসকিউ ডগ। ড্রোন, ইউএভি, এমআই ১৭ হেলিকপ্টার ও তিনটে চিতা হেলিকপ্টারও উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত হয়। শুক্রবার সকাল থেকে চামোলির মানা গ্রামে তুষারধসের কারণে বদ্রীনাথ-জ্যোতির্মঠ জাতীয় সড়কের অন্তত ১৫-২০টি স্থানও অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে।

  • Jadavpur University Incident: হিন্দু ভোট ভাগ করতেই যাদবপুরকাণ্ড! ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি

    Jadavpur University Incident: হিন্দু ভোট ভাগ করতেই যাদবপুরকাণ্ড! ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরকাণ্ডের (Jadavpur University Incident) নেপথ্যে রয়েছে ঘোর ষড়যন্ত্র। অন্তত এমনই মনে করে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপিকে রুখতে ঘুরিয়ে সিপিএমের হাত শক্ত করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

    পুরোটা ড্রামা! (Jadavpur University Incident)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা (যাদবপুরকাণ্ড) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরোটা ড্রামা হতে পারে।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে এসএফআইকে প্রাসঙ্গিক করতে চাইছেন, মানে সিপিএমকে প্রাসঙ্গিক করতে চাইছেন।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের চিত্র দেখার পরে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরাও বুঝতে পেরেছেন আগামীদিনে বাংলাদেশ পার্ট-টু তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে। হিন্দু ভোট ভাগ করতে হবে। হিন্দু ভোট যদি সব বিজেপি পেয়ে যায়, আর চার পার্সেন্ট পেয়ে গেলেই তো বিজেপি সরকারে চলে আসবে।”

    হিন্দু ভোট ভাগ করার কৌশল!

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “আসলে হিন্দু ভোট ভাগ করার জন্য সিপিএমকে তোলা হচ্ছে। এখন তৃণমূল-এসএফআই সংঘর্ষ হবে। সিপিএম নেতাদের ওপর হামলা হবে। সিপিএম পার্টি অফিসে হামলা হবে। যখনই হামলা হয়, তার মানে আপনি প্রাসঙ্গিক হন। এখন সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্টো হামলা করে সিপিএমকে প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা চলছে।” তিনি বলেন, “সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানেই তৃণমূলকে সাহায্য করা।”

    নয়া আইপ্যাকের হাত থাকতে পারে

    যাদবপুরকাণ্ডে নয়া আইপ্যাকের হাত থাকতে পারে বলেও (Jadavpur University Incident) আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন (BJP) সুকান্ত। তিনি বলেন, “যাদবপুরের ঘটনা নতুন যে আইপ্যাক হয়েছে, তার প্ল্যান হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরোটাই ড্রামা হতে পারে। আইপ্যাক এর আগে এমন বহু কাজ করেছে।” সুকান্ত বলেন, “যারা ভোটে জেতার জন্য নিম্ন রুচির পরিচয় দিতে পারে, তারা এই ধরনের কাজ করতেই পারে। লোকসভা নির্বাচনে আমার বিরুদ্ধেই আইপ্যাক লিফলেট বিলি করেছিল। আমি ভোটে হার স্বীকার করে নিচ্ছি এই সব বলে লিফলেট বিলি করেছিল আইপ্যাক।”

    কি বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বদলে যাবে, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়ান্ট কিলার (বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোয় এই খেতাব জোটে) শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক ঘণ্টায় নকশালমুক্ত করা হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে।” তিনি বলেন, “জনগণ পুলিশটাকে বিজেপির হাতে দিয়ে দিক, আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি সোজা হয়ে গিয়েছে। জেএনইউ অনেকটা সোজা হয়ে গিয়েছে। এটা করতেও বেশিক্ষণ লাগবে না।” তিনি বলেন, “যোগীজি, হিমন্ত বিশ্বশর্মার ফরমুলায় এক ঘণ্টা লাগবে এদের সোজা করতে।”

    বিজেপিকে ওঝার সঙ্গে তুলনা

    বিজেপিকে ওঝার সঙ্গে তুলনা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, পদ্ম-পার্টি দেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নকশালদের তাড়িয়েছে। বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “এরকম অনেক নকশালপন্থী সংগঠন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় রয়েছে। এরা ভারতের সংবিধান মানে না। ভারতের বর্তমান কাঠামোকে মানে না। এদের তো জিইয়ে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস।” এর পরেই সুকান্ত বলেন, “২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তার পরে আর এরা বেঁচে থাকবে না।” তিনিও বলেন (Jadavpur University Incident), দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এদের বিদায় করেছি, ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি এক সময় এই নকশালদের গড় ছিল। এখন আর তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।” তিনি বলেন, “বিজেপি হচ্ছে এদের ওঝা (BJP)।”

    প্রসঙ্গত, শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। অভিযোগ, এর পরে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ছাত্রদের ধাক্কা দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যায়। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘট ডেকেছিল এসএফআই এবং ডিএসও।

    তৃতীয় পক্ষে’র হাত!

    যাদবপুরের ঘটনায় ‘তৃতীয় পক্ষে’র হাত দেখছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তাঁর বক্তব্যেই এমন ইঙ্গিত মিলেছে। ব্রাত্য বলেন, “গুন্ডামি করতে চেয়েছিল এক দল।” তিনি বলেন, “ওঁরা ঘেরাও করতে চাইছিলেন, তাতে অসুবিধা ছিল না। তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের মারধর, তৃণমূলের মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর, এগুলো হতেই পারে?” এর পরেই তিনি বলেন, “রাজনৈতিকভাবে দুর্বল ভাববেন না। আমরা রাজনৈতিকভাবেই লড়তে চাই।” তবে ভাঙচুরের ঘটনা সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই ঘটায়নি বলেও জানান তিনি। বিজেপির একাংশের দাবি, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যই বাম ও তৃণমূলের বোঝাপড়ার তত্ত্ব খাড়া করছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বাংলার মানুষ শুধু আমাদের হাতে পুলিশটা তুলে দিক। সেকু-মাকু, ওই দুটোকেই উপড়ে ফেলে দেব (BJP)! এর ঘণ্টা লাগবে (Jadavpur University Incident)।”

  • Drug Free Bharat: মাদক মুক্ত ভারত গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার, জানালেন অমিত শাহ

    Drug Free Bharat: মাদক মুক্ত ভারত গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার, জানালেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক কারবারীদের শাস্তি দিতে কোনও খামতি রাখবে না সরকার, হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ওপর থেকে নীচ এবং নীচ থেকে ওপর গোটা দেশজুড়ে তল্লাশি চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিককালে ১২টি আলাদা মামলায় ২৯টি মাদক চোরাচালানকারীকে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব হয়েছে। মাদক মুক্ত (Drug Free Bharat) ভারত গঠনের আহ্বান জানালেন তিনি।

    যুবসমাজের প্রতি আহ্বান

    সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার টাকার বিনিময়ে যুব সমাজকে ড্রাগের নেশায় আচ্ছন্ন করার বিরুদ্ধে সার্বিক লড়াই শুরু করেছে। তিনি জানান, নিখুঁত তদন্তের সাহায্যে মাদক চোরাচালানকারীদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। আগামী দিনে মাদক মুক্ত ভারত গঠন (Drug Free Bharat) করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য ছাত্রছাত্রী সহ সমাজের প্রত্যেককে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। মাদকাসক্তির ঝুঁকি থেকে সমাজকে রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখতে হবে। সচেতনতা হচ্ছে মূল বিষয়। এমনই অভিমত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

    ২৯ জন মাদক পাচারকারী গ্রেফতার

    রবিবার সমাজ মাধ্যমে শাহ (Amit Shah) লেখেন, মোদি সরকার মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি প্রদান করতে একেবারে সদা প্রস্তুত, যারা দেশের যুবকদের মাদকাসক্তির অন্ধকার অমাবস্যায় ফেলে দিয়ে অর্থের লোভে মগ্ন থাকে। নিচ থেকে শীর্ষ পর্যন্ত এবং শীর্ষ থেকে নিচ পর্যন্ত এক নিখুঁত তদন্তের ফলে ভারতব্যাপী ১২টি আলাদা মামলায় ২৯ জন মাদক পাচারকারী আদালতে দণ্ডিত হয়েছে। শাহ জানান, মোদি সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় ন্যাশনাল কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB) এই গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। আমেদাবাদ, ভোপাল, চণ্ডীগড়, কোচিন, দেরাদুন, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, ইন্দোর, কলকাতা এবং লখনউ থেকে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে শাহ জানান, মাদক সমস্যার বিরুদ্ধে সরকার আরও তীব্রভাবে লড়াই চালিয়ে যাবে। একটি মাদক মুক্ত ভারত (Drug Free Bharat) গড়ে তোলা হবে। দেশজুড়ে মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার হয়েছে, যেখানে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়ই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

  • Vice President Of India: ‘‘ভারতীয় ভাষা হল সোনার খনি’’, মত উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের

    Vice President Of India: ‘‘ভারতীয় ভাষা হল সোনার খনি’’, মত উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার উপরাষ্ট্রপতি (Vice President Of India) জগদীপ ধনখড় হাজির ছিলেন হায়দরাবাদ আইআইটিতে। সেখানেই তিনি ভারতীয় ভাষাগুলিকে লালন পালন করার কথা বলেন। একইসঙ্গে ভারতীয় ভাষাগুলিকে তিনি সোনার খনি বলে আখ্যা দেন। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘ভারত সমৃদ্ধশালী (Indian Languages) হয়েছে, তার ভাষাগত বৈচিত্র্যের কারণেই। এগুলি আমাদের গর্বের উৎস। বর্তমানে বাইশটি ভাষা ব্যবহার করা হয় সংসদে।’’

    আমাদের সভ্যতার গর্ব হল ভাষার বৈচিত্র্যতা (Vice President Of India)

    জগদীপ ধনখড় (Vice President Of India) আরও বলেন, ‘‘ভারতেই দেখা যায় বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃত, বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, কন্নড়। আমাদের দেশের সংসদ ভবনেও ২২টি ভাষা স্থান অধিকার করেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের সভ্যতার গর্ব হল ভাষার বৈচিত্র্যতা। আমাদের প্রত্যেকটি ভাষাকে সমানভাবে লালন পালন করতে হবে। আমাদের ভাষা সারা বিশ্ব জুড়ে সমাদৃত। এগুলি হল আমাদের সোনার খনি। কারণ আমাদের দেশের ভাষাই উপহার দিয়েছে বিশ্বকে বেদ, পুরাণ এবং রামায়ণ-মহাভারতের মতো মহাকাব্য ও গীতা।’’

    শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান

    অন্যদিকে এদিন হায়দরাবাদ আইআইটিতে নিজের বক্তব্যে শিক্ষাক্ষেত্রে কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে বিনিয়োগ করার আহ্বানও জানান দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে আইআইটি, আইআইএম এবং অন্যান্য অনেক উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর প্রাক্তনীদের নিয়ে একটি অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করা যেতে পারে। যাঁরা বিভিন্ন নীতি নির্ধারণের ভূমিকায় থাকবেন।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি সমস্ত কর্পোরেট জগৎকে আহ্বান জানাচ্ছি যে, তারা যেন গবেষণার কাজে বিনিয়োগ করে। কর্পোরেট সংস্থাগুলির এই বিনিয়োগের ফলে লাভবান হবেন পড়ুয়ারা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে এই বিনিয়োগের ফলে আপনারা নিজেরা (কর্পোরেট জগত) উন্নত হবেন এমনটা নয়। শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীরা উন্নত হবে, এটাও নয়। উন্নত হবে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন। বিশ্বজুড়ে পরিবর্তন আমাদেরই আনতে হবে।’’

  • PM Modi: ‘‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ভারতের অবদানে আমরা গর্বিত’’, বন্যপ্রাণী দিবসে গির সফরে মোদি

    PM Modi: ‘‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ভারতের অবদানে আমরা গর্বিত’’, বন্যপ্রাণী দিবসে গির সফরে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস (World Wildlife Day)। ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে বিশ্বের বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদকূল সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেইমতো, ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই আবহে সোমবার সকালেই গির অরণ্যে সফর করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ঘুরে দেখেন বন্যপ্রাণ। ক্যামেরা হাতে ছবিও তোলেন সিংহের।

    সকালেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    এদিন সকালেই অবশ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের সকালেই সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, “আজ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে আসুন আমরা পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং সংরক্ষণের সংকল্প গ্রহণ করি।” তিনি আরও বলেন, “আসুন আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য তাদের ভবিষ্যত রক্ষা করি! বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং রক্ষায় ভারতের অবদানের জন্য আমরা গর্বিত,” প্রধানমন্ত্রী বলেন।

    সকালে গুজরাটের গির জাতীয় উদ্যানে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)

    বন্যপ্রাণী দিবস উদযাপন করতে সোমবার সকালে গুজরাটের গির জাতীয় উদ্যানে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী মোদি। হাতে ক্যামেরা নিয়ে গাড়িতে চেপে সাফারি করতেও বেরিয়ে পড়েন তিনি। নিজের সমাজমাধ্যমে সাফারি-ভ্রমণের ছবির পাশাপাশি তাঁর তোলা কয়েকটি ছবিও পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সিংহ সদন থেকে কয়েক জন মন্ত্রী এবং বন বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে সোমবার সকালেই জঙ্গল সাফারিতে রওনা দেন মোদি। জানা গিয়েছে, সাফারির পর গির বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের সদর দফতর সাসান গিরে জাতীয় বন্যপ্রাণী বোর্ডের সপ্তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাসানের মহিলা বনকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করার কথাও রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)।

    সোমবারই সোমনাথ মন্দির দর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী

    সোমবারই সোমনাথ মন্দির দর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরে নিজের এক্স মাধ্যমে মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘দেশবাসীর সহযোগিতায় প্রয়াগরাজে একতার মহাকুম্ভ সম্পন্ন হয়েছে। আমি সংকল্প করেছিলাম, মহাকুম্ভের শেষে আমি শ্রী সোমনাথের পুজো করব। আজ, সোমনাথ মন্দিরে প্রার্থনা করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করেছি। এই মন্দিরটি আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং বীরত্বকে প্রতিফলিত করে।’’

  • Viksit Bharat: “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত হবে উচ্চ আয়ের দেশ”, বললেন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান

    Viksit Bharat: “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত হবে উচ্চ আয়ের দেশ”, বললেন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তি হবে ২০৪৭ সালে। সেই সময় দেশকে বিকশিত ভারত (Viksit Bharat) হিসেবেই দেখার স্বপ্ন দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই লক্ষ্য পূরণে নিরন্তর কাজও করে চলেছেন তিনি। তাঁর সেই স্বপ্ন যে নিছক স্বপ্ন নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গেল ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগাড়িয়ার (Arvind Panagariya) কথায়। নয়াদিল্লিতে ৪৯তম সিভিল অ্যাকাউন্টস ডে উদযাপনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

    পানাগাড়িয়ার বক্তব্য (Viksit Bharat)

    সেখানেই পানাগাড়িয়া বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত উন্নত জাতির মর্যাদা অর্জনের পথে সুপ্রতিষ্ঠিত।” তিনি সেই বৃদ্ধির পথের কথা উল্লেখ করেন যা ভারতকে আগামী দশকে ৯.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে। তিনি জানান, ২০০৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত বর্তমান মূল্যে মার্কিন ডলারের হিসেবে গড়ে ১০.১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই গতি বজায় থাকলে, ভারতের অর্থনীতি আগামী দশ বছরে ৯.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। তিনি ম্যাক্রোইকোনমিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক শাসনকে এই বৃদ্ধির গতি বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেন।

    গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    ভারতের অর্থনৈতিক (Viksit Bharat) যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হল ২০৪৭ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১৪,০০০ মার্কিন ডলারে পৌঁছানো। বর্তমানে ভারতের মাথাপিছু আয় ২,৫৭০ মার্কিন ডলার। পানাগাড়িয়ার মতে, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন বার্ষিক ৭.৩ শতাংশ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার। তিনি বলেন, “২০২৩ সালের ডলারের মূল্যে, ভারতকে উচ্চ আয়ের মর্যাদা অর্জনের জন্য ১৪,০০০ ডলারের মাথাপিছু আয় দরকার। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থাকলে, এই লক্ষ্য পূরণ করাও সম্ভব।”

    ভারতের অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা সমর্থনকারী গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির একটি হল নিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা বৃদ্ধি। পানাগাড়িয়া বলেন, “২০৪৭ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বছরে মাত্র ০.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে, যা অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।” তিনি বলেন, “বিকশিত ভারত অভিযানের সম্ভাবনাগুলি তাই বাস্তবায়নযোগ্য থাকে।” ভারতের সামাজিক অগ্রগতির (Arvind Panagariya) ওপর জোর দিয়ে পানাগাড়িয়া বলেন, “দেশে দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, সে পরিমাপের পদ্ধতি যাই হোক না কেন (Viksit Bharat)।”

  • Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছিল। পথ খোলা ছিল দুটো – হয় পথ বদল, নয় পদত্যাগ। শেষ পর্যন্ত এই দুই বিকল্পের মধ্যে প্ল্যান এ-টাই বেছে নিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ব্রিটেন থেকে রবিবার তিনি (Zelenskyy) জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি আছেন তিনি।

    বৈঠক করতেও আপত্তি নেই (Ukraine)

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এও জানিয়েছেন, আমেরিকা যদি তাঁকে আবারও ডাকে, তাহলে ফের তিনি সেখানে যেতে প্রস্তুত। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠক করতেও আপত্তি নেই তাঁর। এই সব কিছুর পরেও অবশ্য ছোট্ট একটা শর্তও দিয়ে রেখেছেন জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কথাও শুনতে হবে। বিবেচনা করতে হবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থাও। আমেরিকার সঙ্গে খনিজসম্পদ সংক্রান্ত চুক্তিকে তিনি বর্ণনা করেছেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম ধাপ হিসেবে। এক্স হ্যান্ডেলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “আমরা খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। এবং এটি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম পদক্ষেপ। তবে এটি যথেষ্ট নয়, আমাদের এর চেয়েও বেশি প্রয়োজন।”

    ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক

    তিনি লিখেছেন, “নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক। আমরা তিন বছর ধরে যুদ্ধ করছি, এবং ইউক্রেনের জনগণের জানা প্রয়োজন যে আমেরিকা আমাদের পাশে আছে।” সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জেলেনস্কি। তাতে বলেছেন, “আমরা ইউরোপ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। একটি বিষয়ে সকলেই একমত, সকলেই শান্তি চায়। সেই কারণেই আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার। এটাই ইউরোপের অবস্থান। অবশ্যই আমরা আমেরিকাকেও গুরুত্ব দিই। ওদের কাছ থেকে আমরা অনেক সাহায্য পেয়েছি। তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ইউক্রেনের প্রতিরোধ পুরোটাই তার বন্ধু দেশগুলির সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। যে সাহায্য তারা করছে ইউক্রেন এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে। আমরা শান্তি চাই। বিরামহীন যুদ্ধ চাই না। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এই শান্তির চাবিকাঠি।”

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য

    রবিবার লন্ডনে আয়োজিত ইউরোপীয় রাষ্ট্রনেতাদের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও। সেখানে তিনি জানান, ওয়াশিংটনের বৈঠকে যা ঘটেছে, তা থেকে আমেরিকা কিংবা ইউক্রেনের কোনও লাভ হবে না। লাভ হবে রাশিয়ার। এর পরেই জেলেনস্কি বলেন, “আমাকে যদি ডাকা হয়, আমি আবার আমেরিকায় যাব। খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে এখনও আমি প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের কথাও শুনতে হবে।” ইউক্রেনের জমির মালিকানা নিয়ে তিনি যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনও (Zelenskyy) সমঝোতার পথে হাঁটবেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

    হোয়াইট হাউসে বিতণ্ডা

    প্রসঙ্গত, খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্যেই হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট। সেখানে ট্রাম্প ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। বৈঠকে তিনজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। যার জেরে বাতিল হয়ে যায় চুক্তি। মিনিট চল্লিশের ওই বৈঠক শেষেই মধ্যাহ্নভোজ না করেই হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। আমেরিকা থেকে জেলেনস্কি সোজা চলে যান ব্রিটেনে। সেখানে তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে। পরে লন্ডনে একটি সম্মেলনেও যোগ দেন তিনি। তার পরেই জানান, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে তিনি এখনও প্রস্তুত। জেলেনস্কি বলেন, “আমি শুধু চাই, ইউক্রেনের অবস্থার কথাটাও শোনা হোক। বিবেচনা করা হোক। আমাদের বন্ধু দেশগুলি মনে রাখুক, এই যুদ্ধে মূল আগ্রাসী কারা, কারাই বা আগে যুদ্ধ শুরু করেছিল।”

    সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর

    আমেরিকা-ইউক্রেন (Ukraine) সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের সঙ্গে তুলনা করে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ জেলেনস্কির আচরণকে ‘অত্যন্ত অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, চার্চিল “একটি বিশেষ মুহূর্তের নেতা ছিলেন, কিন্তু তিনি ইংল্যান্ডকে পরবর্তী পর্বে রূপান্তর করতে পারেননি। বিশেষ করে শুক্রবার যা দেখলাম, তার পরে এটা পরিষ্কার নয় যে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনকে এই যুদ্ধের সমাপ্তির দিকে নিয়ে যেতে এবং আলোচনা করে আপস করতে প্রস্তুত কিনা।” ওয়াল্টজ বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য ইউক্রেন থেকে আঞ্চলিক ছাড়ের পাশাপাশি নিরাপত্তা গ্যারান্টিতে রাশিয়ার ছাড় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তবে মস্কোকে কী করতে হবে সে সম্পর্কে তিনি কোনও বিস্তারিত তথ্য দেননি।”

    আমেরিকার হাউস স্পিকার মাইক জনসনও ওভাল অফিসের বিতর্কের পর জেলেনস্কি সম্পর্কে বলেন, “হয় তিনি যেন যুক্তিসঙ্গত হন এবং কৃতজ্ঞতা সহকারে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসেন, নতুবা দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অন্য কাউকে এগিয়ে আসতে হবে (Zelenskyy)।”

    এর পরে আর কীই বা করতে পারতেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট!

  • Election Commission of India: ‘ভোটার কার্ডে একই এপিক নম্বর মানেই ভুয়ো নয়’, বিজ্ঞপ্তি কমিশনের

    Election Commission of India: ‘ভোটার কার্ডে একই এপিক নম্বর মানেই ভুয়ো নয়’, বিজ্ঞপ্তি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের নাম থাকা মানেই তাঁরা নকল বা ভুয়ো ভোটার নন। বিবৃতি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। তাদের দাবি, এপিক নম্বর এক হলেও বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোটকেন্দ্র আলাদা হতে পারে। এপিক নম্বর এক হলেও, একজন ভোটার দুই জায়গায় ভোট দিতে পারেন না। বিভ্রান্তি এড়াতে ইউনিক বা অনন্য এপিক নম্বর চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, দু’টি পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে একই আলফানিউমেরিক সিরিজ ব্যবহারের জন্য কিছু ক্ষেত্রে একই এপিক নম্বর পাওয়া যাচ্ছে। নিবন্ধিত ভোটারদের অভিন্ন এপিক নম্বর বরাদ্দ করার বিষয়টি কমিশন নিশ্চিত করবে বলেও জানানো হয়।

    মমতার মিথ্যাচার

    বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর দাবি, সচিত্র পরিচয়পত্রের উদাহরণ দিয়ে যে কারচুপির অভিযোগ মমতা করেছিলেন, কমিশন (Election Commission of India) তা খারিজ করে দিয়েছে। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের যুক্তি, আগামী ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে হারের আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ভোটার তালিকায় কারচুপির ‘মিথ্যে অভিযোগ’ তুলেছিলেন। যাতে নির্বাচনী ব্যবস্থায় মানুষের আস্থা নড়ে যায়। কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, একই সংখ্যায় একাধিক ভোটার আইডি কার্ড থাকলেও সেখানে ‘ভুয়ো’ ভোটারের প্রশ্ন নেই। ভোটাররা শুধু নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্রেই ভোট দিতে পারবেন।

    কী বলছে কমিশন

    কমিশন (Election Commission of India) জানিয়েছে, কিছু ভোটারের আইডি কার্ডের নম্বর এক হতে পারে। তবে নাম, ধাম, বিধানসভা কেন্দ্র, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র আলাদা হবে। ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর যা-ই হোক না কেন, ভোটারেরা শুধু নিজের কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেন। কমিশনের যুক্তি, ভোটার তালিকা ব্যবস্থাপনার জন্য তারা এখন ‘এরোনেট’ নামের একটি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা তৈরি করেছে। তার আগে রাজ্যে রাজ্যে আলাদা আলাদা ভাবে, কোনও যান্ত্রিক নিয়ম না মেনে ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর দেওয়া হত। ফলে, কিছু রাজ্য একই সিরিজের সংখ্যা ব্যবহার করে থাকতে পারে। তাতে বিভিন্ন জায়গায় একই সংখ্যার ভোটার আইডি কার্ড বিলি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে এই বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভোটারদের আইডি কার্ডে ভিন্ন সংখ্যা থাকবে। প্রতিটি ভোটার কার্ডের সংখ্যা ইউনিক হবে। কোথাও একই নম্বর থাকলে তা সংশোধন করা হবে।

  • BJP: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে গেরুয়া ঝড়, শূন্য তৃণমূল, ‘‘চোরদের বিরুদ্ধে জয়লাভ’’, বললেন শুভেন্দু

    BJP: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে গেরুয়া ঝড়, শূন্য তৃণমূল, ‘‘চোরদের বিরুদ্ধে জয়লাভ’’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম (Nandigram)। সেখানেই গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গেল তৃণমূল। একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপির (BJP) দাপটে খাতাই খুলতে পারল না তৃণমূল। ১২টি আসনের সবগুলিতেই জিতল গেরুয়া শিবির। অত্যন্ত হাস্যকর ভাবে পরাস্ত হতেই বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে তৃণমূল।

    কী লিখলেন শুভেন্দু?

    নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘‘নন্দীগ্রাম ১ এ ৫ নম্বর জিপি’র অন্তর্গত দেশপ্রাণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের পরিচালন সমিতি নির্বাচনে ১২টি আসনের সবকটিতেই রাষ্ট্রবাদী প্রার্থীরা চোরদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছেন। চোরেদের হারিয়ে রাষ্ট্রবাদী প্রার্থীদের নির্বাচিত করার জন্য ভোট দাতা সকল সমবায়ী বন্ধুদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। নির্বাচিত সকল সদস্যদের জাতীয়তাবাদী গৈরিক অভিনন্দন জানাই।’’

    দেশপ্রাণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন (BJP)

    রবিবারই ছিল নন্দীগ্রাম -১ ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেশপ্রাণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন। এই সমিতির মোট আসন সংখ্যা ১২টি। বিজেপি (BJP) ও তৃণমূল উভয় দলই ১২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। অন্যদিকে বামেরা মাত্র ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। শেষপর্যন্ত ১২টি আসনই দখল করল বিজেপি। এরপরেই গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা উৎসবে মেতে ওঠেন।

    ভোটার সংখ্যা ৭৯৯ জন

    জানা গিয়েছে, এই সমবায় আগে তৃণমূলেরই দখলে ছিল। সমবায়ের মোট ভোটার সংখ্যা ৭৯৯ জন। এদিন ভোট পড়ে ৬৩৯টি। সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিকেলেই সামনে আসে ফলাফল। বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকরা গেরুয়া আবির উড়িয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। যাতে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি না হয় তার জন্য মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

    জয়ের পর তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মেঘনাথ পাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এই জয় শুভেন্দু অধিকারীর উন্নয়নের জয়। এই জয় মানুষের জয়। এলাকায় অশান্তি নয়, শান্তি চায় নন্দীগ্রামের মানুষ। তাই শাসকদের প্রত্যাখ্যান করে আমাদের প্রার্থীদের সমর্থন করেছে।”

    ২৭ ডিসেম্বর দিনক্ষণ ঠিক থাকলেও হয়নি ভোট

    প্রসঙ্গত, এই সমবায়ের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর। তবে সেইসময় নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় প্রশাসন নির্বাচন স্থগিত রাখে। এদিন সেই নির্বাচন হয়। আর সেই নির্বাচনে সব আসনেই জয়লাভ করেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গেল তৃণমূল।

  • ICC Champions Trophy: বরুণের পাঁচ উইকেট, অপরাজিত ভারত! সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে রোহিতরা

    ICC Champions Trophy: বরুণের পাঁচ উইকেট, অপরাজিত ভারত! সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে রোহিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ, পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও জয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) এখনও পর্যন্ত অপরাজিত ভারত। সেমিফাইনালে ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া। দুবাইয়ের স্পিন সহায়ক উইকেটে বরুণ চক্রবর্তীর (Varun Chakravarty) দুর্দান্ত স্পেলে ভারত জয় পেয়েছে ৪৪ রানে। আর তাতে নিশ্চিত হয়েছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের লাইনআপ। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড। আর ‘বি’ গ্রুপে সবার ওপর দক্ষিণ আফ্রিকা। আর দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। নিয়ম অনুযায়ী, ভারতের সেমিফাইনাল ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৪ তারিখ দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি।

    বরুণে মুগ্ধ রোহিত

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) এখনও অবধি ফেভারিটের মতোই পারফর্ম করেছে ভারতীয় দল। বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালও নিশ্চিত করে ফেলে। তৃতীয় ম্যাচেও অপরাজিত। জয়ের হ্যাটট্রিকেও চিন্তিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দুবাইয়ের পিচে ২৪৯ রানের পুঁজি! নিউজিল্যান্ড ভালো স্পিন খেলে। সে কারণে শেষ ম্যাচে একাদশে সারপ্রাইজ দিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। চার স্পিনার নিয়ে নেমেছিল। একাদশে হর্ষিত রানার বদলে আনা হয় বরুণ চক্রবর্তীকে (Varun Chakravarty)। প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটের মধ্যে ৯টিই ভারতের স্পিনারদের দখলে। এর মধ্যে বরুণের ঝুলিতে পাঁচ উইকেট। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ওডিআই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম ম্যাচ! আর তাতেই পাঁচ উইকেট। এটাই ‘মাথাব্যথা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, ‘বরুণের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য রয়েছে। ফলে আমরা এই ম্যাচে একটা সুযোগ দিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম পারফর্ম করতে পারে কি না। ও যা পারফর্ম করল, সেমিফাইনালে একাদশ গড়তে ভাবতে হবে। তবে এটাকে সুস্থ মাথাব্যথাই বলব। ও যদি ঠিকঠাক থাকে, ওর বোলিং বোঝা কঠিন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু দিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।’

    ম্যাচের সেরা বরুণ

    ম্যাচের আগের রাতেই বরুণকে (Varun Chakravarty) জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি খেলছেন। তাতে অবশ্য স্নায়ুর চাপ কমেনি। রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ সামির পর ভারতের তৃতীয় বোলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাঁচ উইকেট। ম্যাচের সেরা বরুণ বলছেন, ‘শুরুর দিকে নার্ভাস লাগছিল। দেশের জার্সিতে ওডিআইতে সেই অর্থে খেলিইনি। তবে ম্যাচ যত এগিয়েছে, ধাতস্ত হচ্ছিলাম। বিরাট, রোহিত, শ্রেয়স, হার্দিকরা আমার সঙ্গে লাগাতার কথা বলছিল। মাথা ঠান্ডা রেখে বোলিংয়ে ফোকাস করার কথা বলছিল।’ নিজে পাঁচ উইকেট নিলেও জয়ের কৃতিত্ব নিতে নারাজ ম্যাচের সেরা বরুণ। বললেন, ‘পুরোটাই যে টিম এফোর্ট’।

LinkedIn
Share