Tag: Madhyom

Madhyom

  • Kolkata Municipality: বুলডোজার চালিয়ে বিজেপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর ইস্যুতে ধুন্ধুমারকাণ্ড কলকাতা পুরসভায়

    Kolkata Municipality: বুলডোজার চালিয়ে বিজেপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর ইস্যুতে ধুন্ধুমারকাণ্ড কলকাতা পুরসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর কলকাতার বিজেপির নেতা সুনীল সিং এর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality)। চলতি পুর-অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিজেপি কাউন্সিলরদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুপক্ষের কাউন্সিলররা (Kolkata Municipality)। হুলুস্থুল কাণ্ড বেধে যায় পুরসভার ভিতরে।

    শুক্রবারই ভাঙা হয় বিজেপি নেতা সুনীল সিং-এর বাড়ি
     

    প্রসঙ্গত, শুক্রবারই কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality) ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুনীল সিং-এর বাড়ি ভেঙে দেয় কলকাতা পুরসভা। এ নিয়ে বিজেপি নেতার অভিযোগ যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে সোচ্চার হওয়ার কারণেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা তাঁর বাড়ি ভেঙেছে। স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ যে এরকম নির্মাণ আরও অনেক আছে কিন্তু তবুও বিজেপি করেন বলেই সুনীল সিংকে বেছে বেছে টার্গেট করেছে কলকাতা পুরসভা(Kolkata Municipality)। সূত্রের খবর, এদিন যখন বুলডোজার দিয়ে সুনীল সিংয়ের বাড়ির একাংশ ভাঙা হচ্ছিল তখন সে সময় এই বিজেপি নেতা বাড়িতে ছিলেন না। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বৃদ্ধ বাবা, যিনি একজন ডায়ালিসিসের রোগী। আরও অভিযোগ, বাড়িতে বুলডোজার চালানোর আগে পর্যন্ত কোনও রকমের নোটিশ আসেনি, কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও তাদের সামনেই বুলডোজার চালানো হয় বলে অভিযোগ।

    হাতাহাতি দুপক্ষের

     এদিন অধিবেশনের শেষে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বিষয়টি উত্থাপন করেন। কিন্তু চেয়ারপার্সন মালা রায় তাঁকে বলেন, অধিবেশনে এসব নিয়ে আলোচনা করা যায় না। তখন সজল ঘোষ মানবিকতার খাতিরে বিষয়টি দেখতে বলেন। সজল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘এভাবে কোনও নাগরিকের বাড়ি ভেঙে দেওয়া যায় না। অধিবেশনে এনিয়ে আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি।’’ পরবর্তীকালে কাউন্সিলর ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন বিজেপি কাউন্সিলররা (Kolkata Municipality)। হাজির ছিলেন, বিজয় ওঝা, মীনাদেবী পুরোহিত এবং সজল ঘোষ। সেখানে হাজির ছিলেন অভিযোগকারী সুনীল সিং এবং কলকাতা জেলা বিজেপির সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ। অভিযোগ, তখনই তৃণমূল কাউন্সিলররা এসে আচমকা হামলা চালায় বিজেপি কাউন্সিলরদের ওপর। এবং বলতে থাকে কাউন্সিলর ক্লাব শুধুমাত্র কাউন্সিলরদের (Kolkata Municipality) জন্য। বিজেপি সভাপতি এখানে কেন আসবে? পাল্টা সজল ঘোষরা বলতে থাকেন যে করদাতা হিসেবে তাঁরা এখানে আসতেই পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: তৃণমূলকে হারিয়ে মথুরাপুরে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি, উচ্ছ্বাস

    Gram Panchayat Election: তৃণমূলকে হারিয়ে মথুরাপুরে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি, উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলকে হারিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার বিধানসভার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত (Gram Panchayat Election) বোর্ড গঠন করল বিজেপি। বোর্ড গঠনের পরই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।

    কত আসন নিয়ে বোর্ড গড়ল বিজেপি? (Gram Panchayat Election)

    মন্দিরবাজার বিধানসভার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়তে (Gram Panchayat Election) মোট ১৯ টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে বিজেপি দখল করেছে ১০ টি। তৃণমূল দখল করেছে ৫টি, আইএসএফ দখল করেছে ৩ টি এবং নির্দল দখল করেছে একটি আসন। তবে, নির্দল প্রার্থী এদিন বিজেপিতে যোগদান করায় মোট বিজেপি সদস্য সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ১১ জন। ফলে, তৃণমূলকে হারিয়ে এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। নতুন বোর্ডে রাহুল সর্দার নামে বিজেপির জয়ী সদস্যকে প্রধান এবং রুপা হালদার নামে অন্য একজন জয়ী সদস্যকে উপপ্রধান নির্বাচিত করা হয়। প্রসঙ্গত, ফল ঘোষণার পর থেকেই এই পঞ্চায়েত বিজেপি বোর্ড গঠন করতে তা সকলের জানা ছিল। গত ১০ আগস্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে বোর্ড ঘোষণা করা হয়। নিয়ম মেনে ১০ তারিখ মন্দিরবাজার বিধানসভার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়তে বিজেপির পক্ষ থেকে বোর্ড গঠন করতে আসলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ ফোর্স না থাকার কারণে বোর্ড গঠন করা সম্ভব নয়। এরপরই বিজেপি নেত্রী নেতৃত্বে পঞ্চায়েতের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এরপর এদিন পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বোর্ড গঠন শুরু হয়। মূলত কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আজ পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, আসলে এই পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) তৃণমূলের অন্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ রায় দিয়েছে। এই বোর্ড সাধারণ মানুষের বোর্ড। এই জয়, সাধারণ মানুষের জয়। এর আগে প্রশাসন বিজেপিকে বোর্ড গঠন করতে দেয়নি। এবার আদালতের নির্দেশে উপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়ে বিজেপিকে বোর্ড গঠন করতে দেওয়া হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটে বৈঠক করেই লোকসভার রণকৌশল স্থির করলেন সুকান্ত মজুমদার

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটে বৈঠক করেই লোকসভার রণকৌশল স্থির করলেন সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পক্ষ থেকে বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) জেলা বিজেপির কোর কমিটি এবং জেলা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হল শনিবারে। বিজেপির জেলা কার্যালয়ে কোর কমিটির বৈঠক এবং রেনুকা লজে জেলা কমিটির বৈঠক সম্পন্ন হল। বিজেপির জেলা কোর কমিটি এবং জেলা কমিটির দুটি বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। জেলা কমিটির বৈঠকে জেলা নেতৃত্ব ছাড়াও বিভিন্ন মণ্ডল সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দুটি বৈঠকেই সাংগঠনিক বিষয়ের পাশাপাশি আলোচনার মূল বিষয় ছিল, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রণকৌশল ঠিক করা। পাশাপাশি তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

    কী বললেন সুকান্ত (Dakshin Dinajpur)?

    আজ বালুঘাটের সাংসদ (Dakshin Dinajpur) তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, জেলার সাংগঠনিক বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। লোকসভা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা এই প্রশ্নে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী করতে যে কাজ করা দরকার বা পরিবর্তন করা দরকার, সে বিষয়ে এইদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়।

    যাদবপুর র‍্যাগিংয়ের বিষয় নিয়ে কী বলেন?

    যাদবপুর হোস্টেলে সিনিয়রদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠে আসার তথ্য নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই যে তথাকথিত বামপন্থীদের নগ্ন চেহারা প্রকাশিত হয়েছে। বামেরা দিন দিন উলঙ্গ হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা বার বার বলছি, এদের পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্কারা রয়েছে। ২০১১ সালে বামফ্রন্টকে সরানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত মাওবাদীদের হেল্প নিয়েছিলেন।

    র‍্যাগিং বন্ধের পদক্ষেপ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, র‍্যাগিং বন্ধ করার জন্য আমি আগেই বলেছি ইউজিসি গাইড লাইন অনুসরণ করলেই রাগিং বন্ধ হয়ে যাবে। ইউজিসি গাইড লাইন অনুসরণ করতে বলুন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। বৈঠকের পর বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) থেকে ধূপগুড়ি উপনির্বাচন নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, উপনির্বাচনে সবাই ঝাঁপাবে। আমরাও ঝাঁপাচ্ছি এবং আমরা একশো শতাংশ জিতবো। আমরা ধূপগুড়ি উপনির্বাচন জিততে চলেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: কলকাতার বুকে বুলডোজার চালিয়ে ভাঙা হল বিজেপি নেতার বাড়ি, অভিযুক্ত শাসক দল

    BJP: কলকাতার বুকে বুলডোজার চালিয়ে ভাঙা হল বিজেপি নেতার বাড়ি, অভিযুক্ত শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার বুকে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল বিজেপি (BJP) নেতার বাড়ির একাংশ। অভিযুক্ত শাসকদলের স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এবং কাউন্সিলর। শুক্রবার কলকাতার বিজেপি নেতা সুনীল সিংয়ের বাড়ির একতলা ভেঙে দেয় পুরসভা। বর্তমানে সুনীল সিং বিজেপির কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য। অতীতে শ্যামপুকুর বিধানসভার আহ্বায়কের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। সুনীল সিং সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন যে বিজেপি (BJP) করার অপরাধেই তাঁর বাড়ি ভেঙেছে তৃণমূল।

    সুনীল সিং-এর অনুপস্থিতিতেই ভাঙা হয় বাড়ি

    সূত্রের খবর, এদিন যখন বুলডোজার দিয়ে সুনীল সিংয়ের বাড়ির একাংশ ভাঙা হচ্ছিল তখন সে সময় এই বিজেপি (BJP) নেতা বাড়িতে ছিলেন না। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বৃদ্ধ বাবা, যিনি একজন ডায়ালিসিসের রোগী। আরও অভিযোগ, বাড়িতে বুলডোজার চালানোর আগে পর্যন্ত কোনও রকমের নোটিশ আসেনি, কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও তাদের সামনেই বুলডোজার চালানো হয় বলে অভিযোগ। সুনীল সিংয়ের বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিডন স্ট্রিটের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। শনিবারও রাজনৈতিক উত্তেজনার পরিবেশ রয়েছে সেখানে। বিজেপি নেতা সুনীল সিং জানিয়েছেন, এই ঘটনার জন্য তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। এদিন সুনীল সিং বলেন, ‘‘তৃণমূল সন্ত্রাসের রাজনীতি করতে চাইছে। আমি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিলাম, তাই পুরসভাকে দিয়ে আমার বাড়ির একতলার দোকান ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হল।’’

    কী বলছে তৃণমূল?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারকনাথ চট্টোপাধ্যায়, সুনীল সিংয়ের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন। এবং তিনি বলেন যে ওটা ছিল বেআইনি নির্মাণ, এর সঙ্গে রাজনীতির (BJP) কোনও সম্পর্ক নেই।  কিন্তু তৃণমূলের এই যুক্তির সঙ্গে সহমত নন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, এই ধরনের আরও দোকান বাড়ি অজস্র রয়েছে। বিডন স্ট্রিট সমেত সারা কলকাতা জুড়ে, কিন্তু বেছে বেছে সুনীল সিংয়ের বাড়িকেই টার্গেট করা হলো। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্বকেও তুলছেন স্থানীয়রা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Businessman: ভিনরাজ্যের ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল যুব নেতা

    Businessman: ভিনরাজ্যের ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল যুব নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন রাজ্যের এক ব্যবসায়ীর (Businessman) সঙ্গে প্রায় ২ কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল বেলঘরিয়ার এক তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে। তৃণমূল যুব নেতার নাম নীরু পাশোয়ান। তিনি কামারহাটির দাপুটে এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ। ইতিমধ্যেই প্রতারিতরা পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Businessman)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত হওয়া ব্যবসায়ীর (Businessman) বাড়়ি ঝাড়খণ্ড। হাওড়ার কানোরিয়া জুটমিলের একটি জমি বিক্রির বিষয় নিয়ে নীরু পাশোয়ান সহ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তারা জমির কাগজপত্র দেখিয়েছিলেন। সেই মতো কয়েক দফায় ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। পরে, তাঁরা প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। টাকা পয়সা ফেরত দেওয়ার জন্য বলা হলেও তা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এতেই চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন প্রতারিতরা। প্রতারিত ব্যবসায়ীরা বলেন, কানোরিয়া জুটমিলের জমি দেখানো হয়েছিল। কাগজপত্র দেখে টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, জমি তো হাতে আসেনি। পরে, খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, কাগজপত্র সব জাল। তাই, প্রশাসনের আমরা দ্বারস্থ হয়েছি।

    এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা 

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, তৃণমূলের ওই যুব নেতার মাথায় দলের বড় এক নেতার হাত রয়েছে। দলকে ভাঙিয়ে এসব করছে। বার বার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। ব্যবসায়ীর (Businessman) কাছে প্রায় দু কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কোনও লাভ হচ্ছে না। আমরা চাই, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। সিপিএম নেতা মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, এই ধরনের অপরাধের পরও পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ভিন রাজ্যের মানুষের কাছে আমাদের আস্থা আরও চলে যাবে। তাই, প্রতারণার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ। তৃণমূলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে দলগত যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার থাকে তা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: কলকাতার পর কালিম্পং! বুলডোজারে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার পরামর্শ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Ganguly: কলকাতার পর কালিম্পং! বুলডোজারে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার পরামর্শ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে এর আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) টেনে এনেছিলেন যোগীরাজ্যের বুলডোজার মডেলের প্রসঙ্গ। এবার কালিম্পং-এ  একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে স্থানীয় পুরসভাকে বুলডোজার ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। ১৭ অগাস্ট বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, ২২ অগাস্টের  মধ্যে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা না হলে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে পুরসভার বিরুদ্ধে। তারপরেই তিনি বলেন যে পুরসভা চাইলে বুলডোজার ব্যবহার করতে পারে। প্রসঙ্গত, কলকাতার মানিকতলার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি নির্মাণ ভাঙতে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) এবং কলকাতা হাইকোর্টে তিনি বলেন, ‘‘ওই নির্মাণ ভাঙতে প্রয়োজনে যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে বুলডোজার ভাড়া করুন।’’ প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টারদের বাড়ি ভাঙতে বুলডোজার ব্যবহার করে যোগী প্রশাসন। সেই মডেলই কি এবার বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে লাগু হতে চলেছে? হাইকোর্টের নির্দেশে! এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। 

    কালিম্পং-এ বেআইনি নির্মাণ

    জানা গিয়েছে, কালিম্পং পুরসভার অনুমতি না নিয়ে বেআইনিভাবে একটি নির্মাণ করা হয়। মামলার জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন বীর বাহাদুর বলন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা। ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়, এই ধরনের নির্মাণ বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ তার পাশে স্কুলও রয়েছে। পরে জানা যায় পুরসভার অনুমতি ছাড়াই ওই নির্মাণ গড়ে উঠেছে। ওই মামলাকারী আর্জি জানান, ওই বেআইনি নির্মাণ অবিলম্বে ভেঙে দেওয়া হোক। কিন্তু সেখানে আক্ষেপ করে তিনি এও জানান যে পুরসভাকে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি।

    পুরসভা ৫ দিনের সময় চায়

    এই মামলা শোনার পরেই সোমবারের মধ্যে ওই নির্মাণ ভেঙে ফেলা নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) এবং এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বুলডোজার ব্যবহার করতে পারে কালিম্পং পুরসভা। পাশাপাশি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে কেন পুরসভা এখনও পর্যন্ত কেন কোনও রকমের পদক্ষেপ নেয়নি তা জানতে পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারকেও তলব করে আদালত। এক্সিকিউটিভ অফিসার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) কাছে পাঁচ দিন সময় চেয়ে নেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তা মঞ্জুর করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ১০০ দিনের কাজ সহ সরকারি প্রকল্পের ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মালদায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    Malda: ১০০ দিনের কাজ সহ সরকারি প্রকল্পের ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মালদায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজ সহ অন্যান্য প্রকল্পের  কোটি টাকার উপর আত্মসাৎ এর অভিযোগ। আর এই অভিযোগে  জড়িত থাকার ঘটনায় মালদার (Malda) গাজল ব্লকের বৈরাগাছি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সুবোধ সরকার সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল দুর্নীতি দমন শাখা। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে গ্রেফতার এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্টান্ট ও নির্মাণ সহায়ক।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সরকারি প্রকল্পের টাকা চুরি করেন বলে বার বার অভিযোগ করেন বিরোধীরা। বিরোধীদের সেই অভিযোগই এবার সত্য প্রমাণিত হল। এবার সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেফতার করল রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা। মালদার (Malda) বৈরাগাছি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন সুবোধ। মালদা থেকে ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেন দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক সরকারি প্রকল্প থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। প্রায় ২ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন শাখা। তদন্তে দেখা যায়, ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট শোভেন রায় ও নির্মাণ সহায়ক অপূর্ব বড়াই। কয়েক বছর ধরে ধাপে ধাপে পঞ্চায়েত থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাঁরা, এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। এরপরই সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকেই।

    এই ঘটনা নিয়ে মামলাকারী কী বললেন?

    অন্যতম মামলাকারী হেমন্ত সরকার জানান,পঞ্চায়েত প্রধান ও তার দলবলের এই দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য ২০২২ সালের ১৩ই জুন জেলাশাসক সমেত সমস্ত আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় আমরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করি। তারপর থেকেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন প্রাক্তন প্রধান সুবোধ সরকার। এমনকি একজন মামলাকারীর উপর হামলাও করা হয় এবং একজন মামলাকারীর দাদা খুন হয়ে যান। অবশেষে আমাদের মামলার প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন শাখা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করায় খানিকটা আশ্বস্ত হয়েছি। আমরা চাই দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাক।

     কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে সরকারি প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ে তৃণমূলের একশ্রেণির নেতাকর্মীরা জড়িত থাকার অভিযোগ বার বার করা হয়। সেই অভিযোগের যে যথেষ্ট সারবত্তা আছে, এই গ্রেফতারের ঘটনাতেই তা ফের প্রমাণিত হল। দুর্নীতি দমন শাখা পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: উন্নয়ন সত্যিই রাস্তায় দাঁড়িয়ে! ৩২০ জন ছাত্রীর স্কুলে স্থায়ী শিক্ষিকা মাত্র একজন!

    Bankura: উন্নয়ন সত্যিই রাস্তায় দাঁড়িয়ে! ৩২০ জন ছাত্রীর স্কুলে স্থায়ী শিক্ষিকা মাত্র একজন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) একটি স্কুলে মাত্র একজন স্থায়ী ইংরেজির শিক্ষিকা এবং একজন আছেন অতিথি শিক্ষক। স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা অথচ ৩২০! কীভাবে চলছে স্কুল? অভিভাবকরা স্বাভাবিক কারণেই একাধিক অভিযোগে সরব হয়েছেন। প্রশাসনের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকার মানুষও। কারণ ছাত্রীরা বিষয় ভিত্তিক শিক্ষিকা চাইছেন দীর্ঘদিন ধরে। কেউ তাতে কর্ণপাত করছে না। অবশেষে দ্রুত শিক্ষিকা নিয়োগের দাবিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    কোন স্কুলে এমন ঘটনা (Bankura)?

    বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাস ব্লকের শান্তাশ্রম জুনিয়র গার্লস হাইস্কুল নিয়েই এমন চরম অব্যবস্থার অভিযোগে সরব হয়েছেন ছাত্রীদের অভিভাবক এবং প্রতিবেশীরা। স্কুলের একজন মাত্র শিক্ষিকা, যিনি নিজে ক্লাস করাচ্ছেন আবার স্কুলের অন্যান্য কাজও করছেন। পড়াশুনা এবং মিড ডে মিল সবই দেখাশোনা করতে হচ্ছে তাঁকে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব ছাত্রীকে পড়াশুনায় ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় একদিকে যেমন ক্লাস ঠিক মতো হচ্ছে না, তেমনি আবার সময়ে পাঠ্যক্রমও শেষ করা যাচ্ছে না। আর সমানেই পরীক্ষা, তাই সবথেকে বেশি অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে স্কুলের ছাত্রীদের। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

    স্কুলের ছাত্রীদের বক্তব্য

    এই স্কুলের (Bankura) এক ছাত্রী স্নেহা পাল বলে, প্রতিদিন মাত্র একটা কি দুটো করেই ক্লাস হয়। স্কুলে শুধু বসে থেকেই সময় কাটাতে হয়। এই ছাত্রী আরও বলে, আমাদের ক্লাস না হওয়ার জন্য ঠিক করে পাঠ্যক্রম এগোচ্ছে না। আমাদের বিষয়ের উপর পর্যাপ্ত শিক্ষিকা একান্ত প্রয়োজন।

    স্কুল শিক্ষিকার বক্তব্য

    স্কুলের (Bankura) একমাত্র শিক্ষিকা শতাব্দী রায় বলেন, যখন এই স্কুলে যোগদান করি, সেই সময় স্কুলে মাত্র তিনজন শিক্ষিকা ছিলেন। পরে ২০২১ সালে বদলি নিয়ে দু’জন শহরে চলে যান। বর্তমানে আমি একমাত্র স্থায়ী শিক্ষিকা। স্কুলের এই সমস্যা নিয়ে ডিআই অফিসেও জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতা নয়, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর তদন্ত হোক কোর্টের নির্দেশে’’, মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতা নয়, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর তদন্ত হোক কোর্টের নির্দেশে’’, মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে তদন্ত পরিচালিত হলে কোনও ফল মিলবে না, বরং কোর্টের তত্ত্বাবধানে হোক তদন্ত।’’ যাদবপুরে মৃত পড়ুয়া স্বপ্নদীপের বাড়িতে এসে এমন কথাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টা নাগাদ নদিয়ার বগুলায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে পৌঁছান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার সহ বিজেপির অন্যান্য বিধায়করা। মৃত ছাত্রের পরিবারের লোকের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কথা বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আশ্বাস দেন পাশে থাকার। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলকে, যাদবপুরকাণ্ডে বিধানসভার অন্দরে শাসক দলকে তৈরি থাকতে বলেন। ইতিমধ্যে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেছেন, আগামী ২২ অগাস্ট হতে চলেছে স্বপ্নদীপের দিন। উল্লেখ্য ওই দিনই বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতে চলেছে।

    কোর্টের নির্দেশে হোক তদন্ত দাবি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    স্বপ্নদীপের বাড়িতে এসেও চাঁচাছোলা ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতা প্রশাসনের প্রতি কার্যত অনাস্থা প্রকাশ করলেন তিনি। দাবি তুললেন, নিরপেক্ষ তদন্ত তখনই সম্ভব যদি তা কোর্টের হস্তক্ষেপে হয়। পাশাপাশি, যাদবপুরের অতি বাম ছাত্রদের টুকরে টুকরে গ্যাং বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের মদতে এরা যাদবপুরে মোদি ও বিজেপি বিরোধী প্রচার চালায়।’’ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অধিকারীর এমন অভিযোগ যে অসত্য নয় তার প্রমাণও মিলতে শুরু করেছে। ২০১৪ সালে যাদবপুরের এক অতি বাম নেতাকে বর্তমানে রাজ্যের দায়িত্বে আনে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও জোর চর্চা শুরু হয়। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘ ২০১৯ সালের পরে এদের সঙ্গে চুক্তি করেছে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপিকে রোখার জন্য।’’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষরা বলছেন, অতি বামেরা গত বিধানসভা নির্বাচনে ডাক দিয়েছিন ‘‘নো ভোট টু বিজেপি’’- এই প্রচারে। তাই শুভেন্দু অভিযোগ মিথ্যা নয়।

    ওর মা বলছে, ‘দাদা তোমাকে শাস্তি দিতে হবে’

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজনীতি নয় বরং বিচারটা চাই। ওরকম একটা আদরের ছেলেকে গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা পর্যন্ত দিয়েছে অপরাধীরা। স্বপ্নদীপের মা বলল, ‘‘তোমাকে শাস্তি দিতে হবে।’’ পর্যবেক্ষক মহল বলছে, রেজিস্ট্রারের সঙ্গে শাসক দলের ঘনিষ্ঠতা কারও অজানা নয়। রেজিস্ট্রার দায় চাপিয়েছেন স্টুডেন্ট অফ ডিন রজত রায়ের ওপর। আবার রজত রায় দায় চাপাচ্ছেন হস্টেল সুপার ও ছাত্রদের ওপর। এখন প্রশ্ন হল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। সেই কর্তৃপক্ষ দায় এড়াচ্ছে যখন, তখন ব্যর্থতা কার? শাসক দল ঘনিষ্ঠ রেজিস্ট্রার ও  ডিন কীভাবে সব দায় ছাত্রদের ওপর চাপাতে পারেন? ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মমতা ঘনিষ্ঠতা শুভেন্দু জানেন, তাই স্বপ্নদীপের বাড়িতে গিয়ে কোর্টের নির্দেশে তদন্ত করার পক্ষে তিনি সওয়াল করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনে যাদবপুরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে অতি বামপন্থীরা! তোপ সুকান্তর

    Balurghat: তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনে যাদবপুরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে অতি বামপন্থীরা! তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে অতি বামপন্থী কিছু সংগঠন আছে, যারা বিজেপির অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলনেতাকে কালো পতাকা দেখানোর চেষ্টা করেছে। শুক্রবার বালুরঘাটে (Balurghat) স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে এসে এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর প্রশ্ন, যে ছেলেটি মারা গেল, তার পিছনে কি বিজেপির কোনও কানেকশন আছে? কানেকশন আছে সেই অতি বামপন্থীদের। আর এর পিছনে আছে তৃণমূলের অঙ্গুনি হেলন। সুকান্ত বলেন, এই বামপন্থী, অতি বামপন্থী সংগঠনগুলোই ২০২১ সালে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ অভিযান চালিয়েছে। তারা এসেছিল বিশৃঙ্খলা করতে। সাধারণ মানুষ তাদের বুঝিয়ে দিয়েছে।

    কেন বালুরঘাটে (Balurghat) ১৮ অগাস্ট পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস? 

    আজ ১৮ই অগাস্ট বালুরঘাটে পালিত হল স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া সহ বেশ কিছু জেলার বিভিন্ন এলাকা তৎকালীন পাকিস্তান না ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছিল। এই এলাকাগুলি নোশনাল এরিয়া বা ধারণাকৃত এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং এইসব এলাকায় ১৪ই অগাস্ট পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল। এই সমস্ত এলাকার সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ১৮ ই অগাস্ট ভারতের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটও সেই নোশনাল এরিয়া বা ধারণাকৃত এলাকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বালুরঘাটের (Balurghat) কৃতি সন্তান সরোজরঞ্জন চ্যাটার্জি ১৯৪৭ সালের ১৮ই অগাস্ট বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠে পাকিস্তানের সবুজ পতাকা নামিয়ে ভারতের তিরঙ্গা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এদিন বালুরঘাট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি ছাড়া এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Balurghat)?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, বালুরঘাটের সরোজরঞ্জন চ্যাটার্জি সহ বিভিন্ন গুণী ব্যক্তিদের অদম্য লড়াইয়ের কাছে সেই সময় পরাজিত হয়েছিল একটা কু-পরিকল্পনা। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অংশকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামতকে অস্বীকার করে, জনবসতির ঘনত্বকে অস্বীকার করে পূর্ববঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ শাসকদের বোঝাতে সক্ষম হন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি সহ স্থানীয় নেতৃত্ব এবং শেষ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর সহ বালুরঘাট (Balurghat) ভারত রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই দিনটিকেই পালন করে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share