Tag: Madhyom

Madhyom

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজনীতি ছাড়ার কেন হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজনীতি ছাড়ার কেন হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামের অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি। এবার পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িতে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ফের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    রাজনীতি ছাড়ার কথা কেন বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেছিলেন নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি হারাতে না পারি, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। বিতর্ক থাকলেও নন্দীগ্রামের বিধায়ক হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুভেন্দু বলেছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামে বিজেপি অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দখল করবে। বোর্ড গঠনে দেখা গেল নন্দীগ্রামের দুটি পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপি দখল নেয়। সোমবার নন্দীগ্রাম-১ ও নন্দীগ্রাম-২ পঞ্চায়েত সমিতি দখল নেওয়ার পর নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে আবারও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  তিনি বলেন, তৃণমূল টাকা দিয়ে ভাঙ্গানোর যে খেলা খেলে চলেছে তার জবাব আমি দেব। কীভাবে খেলতে হয় তা আমার জানা আছে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ৩ লক্ষের বেশি এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে ২ লক্ষের বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থীদের যদি জেতাতে না পারি, মোদিজির হাতে তুলে দিতে না পারি, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। বিধানসভার মত লোকসভা ভোটের আগে আবারও চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই ধরনের চ্যালেঞ্জ রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে শুভেন্দু বলেন, ৯ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী তিনটি স্লোগান দিয়েছিলেন পরিবারবাদীরা ভারত ছাড়ো, দুর্নীতিগ্রস্তরা ভারত ছাড়ো, আর তোষণবাদীরা ভারত ছাড়ো। আর ওই স্লোগানগুলিকে সফল করতেই কর্মীদের বার্তা দেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Har Ghar Tiranga: “হর ঘর তিরঙ্গা”কে ঘিরে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৯ কোটি সেলফি আপলোড

    Har Ghar Tiranga: “হর ঘর তিরঙ্গা”কে ঘিরে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৯ কোটি সেলফি আপলোড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী তিন দিন ঘরে ঘরে তিরঙ্গা (Har Ghar Tiranga) লাগানোর কথা বলেছিলেন। দেশের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ চমক হল, ঘরে ঘরে লাগানো তিরঙ্গার সঙ্গে সেলফি আপলোড করা। মঙ্গলবার স্বাধীনতার দিবসে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত প্রায় ৯ কোটি পতাকা উত্তোলনের সেলফি আপলোড করা হয়েছে বলে হোম পেজ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    হোম পেজে ঘর ঘর ত্রিরঙ্গা (Har Ghar Tringa) কর্মসূচি

    কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিশেষ হোম পেজ তৈরি করেছে এই হর ঘর তিরঙ্গাকে (Har Ghar Tiranga) উদযাপন করার জন্য। সেখানে মোট সেলফির পরিসংখ্যান হল ৮,৮১,২১,৫৯১। দেশের ৭৭ তম স্বাধীনতার দিবসে গত ১৩ অগাস্ট থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত দেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে এই ত্রিবর্ণ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিশেষ আবেদন করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এই হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচিকে বিভিন্ন ভাবে মানুষ উদযাপন করেছেন। পতাকা উত্তোলন করে তার ছবি প্রকাশ করে স্বাধীনতার দিনটিকে পালন করেছেন। কেউ কেউ বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে তার সেলফি পেজে বিনিময় করেছেন। আবার কেউ কেউ জাতীয় পতাকার শুধু ছবি বিনিময় করেছেন। দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের নেতা, চলচ্চিত্র জগতের অভিনেতা অভিনেত্রী, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, এই পতাকা উত্তোলনের ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যেম স্বাধীনতার শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ক্রিকেট খেলোয়াড় পার্থিব প্যাটেল, অভিনেতা অনুপম খের সহ আরও অনেক তারকা এই ঘর ঘর ত্রিরঙ্গা অভিযানে যোগদান করেন। প্রত্যেকেই নিজেদের সেলফি আপলোড করেন নির্দিষ্ট হোম পেজে।

    স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা

    গত বছর দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসকে অমৃত মহোৎসব হিসেবে পালনের জন্য দেশবাসীর কাছে বিশেষ আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২২ সালের ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এই তিরঙ্গা ঘরে ঘরে লাগানোর কথা বলেছিলেন। এই বছর ঘরে ঘরে পতাকা উত্তোলন (Har Ghar Tiranga) করে সামাজিক মাধ্যমে সেই ছবি বিনিময় করার কথাও বলেন। সেই সঙ্গে সেলফি, প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকাকে রাখার আবেদন করেন। দিল্লির প্রগতি ময়দানে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের বিশেষ শোভাযাত্রা বের হয় গত শুক্রবার। উপ রাষ্ট্রপতি নিজে এই দিন মথুরা রোড, ভাইরোন রোড, ইন্ডিয়া গেট এবং প্রগতি ময়দানে বিশেষ শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Mahatma Gandhi: চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠান

    Mahatma Gandhi: চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চরম অবহেলায়, অনাদরে পড়ে রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) স্মৃতি বিজড়িত সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠান। অথচ বহুদিন আগেই এই প্রতিষ্ঠানটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছেন। ফের আরও একটি স্বাধীনতা দিবস চলে এল। আজ ১৫ অগাস্ট সেখানে নিয়ম মেনে পতাকা উত্তোলন হবে। ব্যাস ওই পর্যন্ত। কিন্তু, বাস্তবে খাদি প্রতিষ্ঠানে সংস্কারে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার।

    কে তৈরি করেছিলেন এই খাদি প্রতিষ্ঠান? (Mahatma Gandhi)

    আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ছাত্র সতীশচন্দ্র দাশগুপ্ত এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন। সুলেখা কালির আবিষ্কারক ছিলেন তিনি। তাঁর গবেষণা থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। ১৯২৭ সালের ২ জানুয়ারি ১৭ বিঘের জমির উপর এই প্রতিষ্ঠান পথ চলা শুরু করেছিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পন্ডিত মোতিলাল নেহেরু, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়সহ বহু কংগ্রেস নেতৃত্ব উপস্থিত হয়েছিলেন। খাদি ও খদ্দর শিল্পের উন্নতির জন্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বহু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে ফলপ্রসূ হয়েছিল। এই খাদি প্রতিষ্ঠানে ১২টি উত্পাদন কেন্দ্র, ২৫টি বিক্রয় কেন্দ্র, ৪৭৫ জন তাঁতি এবং ৬৮০০টি চড়কা ছিল। এই প্রতিষ্ঠান থেকে সেই সময় প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার দ্রব্য উত্পাদন করা হত। গান্ধীজি (Mahatma Gandhi) ১৯৩৯, ১৯৪৫, ১৯৪৬ এবং ১৯৪৭ সালে এই সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠানে বেশ কয়েকবার এসেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েকদিন আগে ১৯৪৭ সালের ৯ অগাস্ট বেলেঘাটা যাওয়ার আগে তিনি এই প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। গান্ধীজির ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠানে সুভাষচন্দ্র বসু, জওহরলাল নেহরু, রাজেন্দ্র প্রসাদ, মোতিলাল নেহেরু, সরোজিনী নাইডু, বিধানচন্দ্র রায়, খান আব্দুল গফ্ফর খান সহ বিশিষ্টজন এসেছিলেন। গান্ধীজির বহু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সাক্ষী রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।

    কী বললেন খাদি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্তা?

    জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালে এই প্রতিষ্ঠানটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়। তবে, তখন সেভাবে কোনও সংস্কার করা হয়নি। গান্ধীজির নাতি গোপালকৃ়ষ্ণ গান্ধী রাজ্যপাল হিসেবে এই রাজ্যে আসলে তিনি এই প্রতিষ্ঠানটিকে সংস্কার করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় এই প্রতিষ্ঠানের অনেকটাই সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপর থেকে আর এই প্রতিষ্ঠানটিকে সংস্কার করার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এখন বিল্ডিংয়ের বেশ কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। টালির ছাউনির বেশ কিছু জায়গায় ভেঙে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ভিতরে আগাছা গজিয়ে উঠেছে। এখন কার্যত ভূতুড়ে বাড়ি মনে হয়। খাদি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্তা শেখর শেঠ বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। গান্ধীজি সোদপুর স্টেশন লাগোয়া এই বাড়িটিকে দ্বিতীয় বাড়ি বলে পরিচয় দিতেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংস্কার করার আশ্বাস দেওয়া হয়। বেহাল হয়ে যাওয়া ভবনের কবে সংস্কার হবে সেদিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের পরই কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের পরই কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান, গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে (Gram Panchayat Election) কংগ্রেসকে সমর্থন করা অপরাধ! বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ একাধিক কংগ্রেস কর্মী। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম অনেকে। বাদ যায়নি মহিলা এবং শিশুও। তিন শিশুসহ আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৭ জন কংগ্রেস সমর্থক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রাতভর চলে তৃণমূলের তাণ্ডব। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিপুর এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের (Gram Panchayat Election) আগেই একাধিক তৃণমূল সমর্থক কংগ্রেসের যোগদান করেন। ভোটে কংগ্রেসের হয়েই রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁরা। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পর সোমবার গভীর রাতে হঠাৎ তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযোগ, একাধিক দুষ্কৃতীদের হাতে দেশি পিস্তল এবং ধারালো অস্ত্র ছিল। কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা। তিন মাসের শিশুসহ গুরুতর জখম হয় আরও দুজন শিশু। পাশাপাশি গুলি এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আরও ১৪ জন কংগ্রেস সমর্থক গুরুতর জখম হয়। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হলে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপরই তড়িঘড়ি তাদের প্রথমে নাকাশিপাড়া হাসপাতাল এবং পরে, শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এখনও দুই শিশুসহ বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের লোকজন বলেন, আমরা আগে তৃণমূল করতাম। এবার পঞ্চায়েতে কংগ্রেস করেছি। এটাই অপরাধ। ওরা পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরই এলাকায় এসে হামলা চালিয়েছে।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে নদিয়া জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র সিলভি সাহা বলেন, এ আমরা কোন ভারতবর্ষে বসবাস করছি। যেখানে আমরা স্বাধীন নই। শাসক দল আবার নিজেদের মা মাটি মানুষ বলেন আর এদিকে মায়েদের উপর অত্যাচার চলছে। পঞ্চায়েত ভোটেও (Gram Panchayat Election) বিরোধী শূন্য করার খেলায় মেতেছে রাজ্যের শাসক দল। আমাদের দলীয় কর্মীদের উপর ওরা হামলা চালিয়েছে। শিশুদেরও বাদ দেয়নি। তৃণমূল কতটা বর্বর দল তা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হোক।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    নাকাশিপাড়ার বিধায়ক তথা নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক তৃণমূলের জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল এটা। তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য মিথ্যা প্রচার করছে কংগ্রেস। প্রশাসন পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে। ঘটনার সত্যতা সামনে এলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Freedom Struggle: রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বার্তায় মাতঙ্গিনী হাজরা ও কনকলতা বড়ুয়ার নাম, জানুন তাঁদের ইতিহাস

    Freedom Struggle: রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বার্তায় মাতঙ্গিনী হাজরা ও কনকলতা বড়ুয়ার নাম, জানুন তাঁদের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেন, ‘‘আমি সম্মান জানাই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের (Freedom Struggle)। যাঁদের আত্মবলিদানের কারণেই আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। মাতঙ্গিনী হাজরা, কনকলতা বড়ুয়ার মতো সমস্ত মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আমি শ্রদ্ধা জানাই যাঁরা ভারত মায়ের চরণে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’’ রাষ্ট্রপতি তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় মাতঙ্গিনী হাজরা এবং কনকলতা বড়ুয়ার নাম উল্লেখ করেছেন। আজকে আমরা জানবো এই দুই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর (Freedom Struggle) সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

    মাতঙ্গিনী হাজরার ইতিহাস

    পশ্চিমবঙ্গের স্বাধীনতা সংগ্রামী (Freedom Struggle) ছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরা, ৭৩ বছর বয়সে ভারতছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার সময় ব্রিটিশ সরকারের গুলি তাঁকে ঝাঁঝরা করে দেয়। তমলুকের এই স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধী বুড়ি নামেও পরিচিত। জানা যায়, মাতঙ্গিনী হাজরার জন্ম হয়েছিল তমলুকের হোগলা নামক গ্রামে ১৮৬৯ সালে। তাঁর প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে সেভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। কিন্তু সরকারের আর্কাইভ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মাতঙ্গিনী হাজরা (Freedom Struggle) ছিলেন একজন গরিব কৃষক কন্যা। যিনি তাঁর প্রথাগত শিক্ষা খুব বেশি দূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। মাত্র ১২ বছর বয়সে মাতঙ্গিনী হাজরার বিবাহ হয় ত্রিলোচন হাজরার সঙ্গে। তাঁর স্বামীর বয়স তখন ৬০ বছর। মাতঙ্গিনী হাজরার যখন ১৮ বছর বয়স, তখন ত্রিলোচন হাজরা মারা যান। তাঁর কোনও সন্তান ছিল না। স্বামীর মৃত্যুর পরে মাতঙ্গিনী হাজরা সমাজ এবং দেশের কাজে নিজেদের উৎসর্গ করেন (Freedom Struggle)। ১৯ শতকের শুরুর দিকে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ভারতবর্ষে নতুনভাবে বিস্তার লাভ করতে থাকে। এতেই প্রভাবিত হতে থাকেন মাতঙ্গিনী হাজরা। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী মণি ভৌমিকের লেখা ‘কোড নেম গড’ বইতে বলছেন, ‘‘মাতঙ্গিনী মহাত্মা গান্ধীর প্রতি খুব শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। যে কারণে তাঁকে গান্ধী বুড়ি নামে ডাকা হতো।’’  
    মাতঙ্গিনী হাজরা সম্পর্কে জানা যায় ১৯৩৩ সালে তমলুক শহরে একটি বিক্ষোভের সময় তিনি জাতীয় পতাকা হাতে গভর্নরের ব্যালকনির সামনে পৌঁছে যান এবং সেখানে স্লোগান দিতে থাকেন ‘গো ব্যাক লাট সাহেব’। ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে হেনস্তা করে। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। এবং ৬ মাস এর জন্য তাঁর জেল হয়।  ৬১ বছর বয়সে মাতঙ্গিনী হাজরা ফের একবার গ্রেফতার হন। ১৯৩০ সালে আইন অমান্যের সময় (Freedom Struggle)। 

    এরপর ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দেন মহাত্মা গান্ধী। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ছয় হাজার বিক্ষোভকারীর (Freedom Struggle) সঙ্গে সামনে থেকে মিছিলে হাঁটতে থাকেন ৭৩ বছর বয়সী মাতঙ্গিনী হাজরা। এই বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য ছিল যে তমলুক পুলিশ স্টেশনকে ব্রিটিশদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া। থানার সামনে মিছিল আসতেই পুলিশ বাধা সৃষ্টি করলে মাতঙ্গিনী হাজরা তাদেরকে আবেদন জানান যে মিছিলে গুলি যেন চালানো না হয়। এবং তখনই ব্রিটিশ পুলিশের রাইফেল গর্জে ওঠে তিন তিনবার। মাতঙ্গিনী হাজরার বুক ঝাঁঝরা করে দেয় ব্রটিশ পুলিশ। মৃত্যুর আগে তিনি বলতে থাকেন ‘বন্দেমাতরম’ এরপরেই সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। এবং ব্রিটিশ শাসন মুক্ত হয় তমলুক। পরবর্তীকালে ১৯৪৪ সালে মহাত্মা গান্ধীর অনুরোধে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার ভেঙে দেওয়া হয়।

    কনকলতা বড়ুয়ার ইতিহাস 

    কনকলতা বড়ুয়াছিলেন অসমের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী। ভারতছাড়ো আন্দোলনে তিনি শহীদ হয়েছিলেন। কনকলতা বড়ুয়ার যখন ১৭ বছর বয়স তখন তিনি মৃত্যু বাহিনীতে যোগ দেন। অসমের গোহপুর পুলিশ স্টেশনের সামনে ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৪২ সালে বিক্ষোভরত (Freedom Struggle) অবস্থায় পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয় কনকলতা বড়ুয়ার শরীর। ডিব্রুগড় ইউনিভার্সিটি প্রফেসর শিলা বোড়া বলছেন, ‘‘ওই ঘটনার মাত্র দুদিন আগেই তিনি মৃত্যু বাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। গুলিতে লুটিয়ে পড়ার পরেও যতক্ষণ তিনি বেঁচে ছিলেন ততক্ষণ পর্যন্ত জাতীয় পতাকাকে তিনি মাটিতে পড়তে দেননি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: স্বাধীনতা দিবসে শাড়িতে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ ফুটিয়ে তুলে শ্রদ্ধা নদিয়ার তাঁতশিল্পীর

    Nadia: স্বাধীনতা দিবসে শাড়িতে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ ফুটিয়ে তুলে শ্রদ্ধা নদিয়ার তাঁতশিল্পীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তিনি ছিলেন সামান্য হস্তচালিত তাঁতি। নিজের উৎপাদনের কাপড় কলকাতার বিভিন্ন অলিগলিতে ফেরি করে বিক্রি করা মানুষটি আজ নদিয়া জেলার সাত হাজার হস্তচালিত তাঁত শিল্পীর অবলম্বন। তিনি নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরের ফুলিয়ার বীরেন কুমার বসাক। হস্তচালিত তাঁত শিল্পের ধারক, বাহক হিসাবে এখন সকলেই তাঁকে একনামে চেনেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যপাল, দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি সকলের কাছে প্রশংসিত তিনি। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী সহ বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক পুরস্কার রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। তিনি শুধু একাই এগিয়ে চলেছেন তাই নয়, ২০১৭-১৮ এবং ১৯ সালের জাতীয় পুরস্কার এ বাংলায় ঘোষিত হয় মোট আটজনের নাম, যার মধ্যে বীরেনবাবুর পাঁচজন ছাত্র রয়েছেন সেই তালিকায়।

    কোন কোন ব্যক্তিত্বদের অবয়ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শাড়িতে?

    সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, ক্রীড়া জগতের যুবরাজ সৌরভ গাঙ্গুলী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র দামোদর মোদি সহ বিখ্যাত মানুষদের পোর্ট্রেট হাতে চালানো তাঁতে, জামদানি বুটিকের আদলে তিনি হুবহু ফুটিয়ে তুলেছেন অবয়ব। যার মধ্যে বেশিরভাগই তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে নদিয়ার এই তাঁত শিল্পীর (Nadia)। অন্যদিকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলাম, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধি, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ, জাতীয় সেবিকা মাদার টেরেসা সহ বহু মহামানবের প্রতিকৃতি তাঁর অত্যন্ত কর্মদক্ষতা শিল্প নিপুণতা এবং ধৈর্যের ফলে সমাদৃত হয়েছে সারা দেশ জুড়ে।

    “আজাদি কা অমৃত মহোৎসব” ফুটে উঠেছে তাঁতের শাড়িতে

    স্বাধীনতা দিবস হোক বা প্রজাতন্ত্র দিবস, সরস্বতী পুজো, কিংবা বিশ্ব হস্ত চালিত তাঁত দিবস, কিংবা কোনও মহামানবের জন্ম অথবা মৃত্যু দিন। তিনি শ্রদ্ধা জানান ফাইন আর্ট জামদানি বুননের মাধ্যমে। এবারে স্বাধীনতার ৭৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছ মাস আগে থেকেই, তার সুদক্ষ হস্তচালিত তাঁত শিল্পীদের দিয়ে অসাধারণ শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলেছেন সিল্ক বারো হাত শাড়ির উপর। যেখানে আঁচলে রয়েছে ভারতবর্ষের মানচিত্র, এবং গত বছর ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত “আজাদি কা  অমৃত মহোৎসব” লেখা এবং লোগো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অন্যদিকে ৩৪ টি বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং দেশ বরেণ্য মহামানবের পোর্ট্রেট বুটি হিসাবে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসাবে বুননের  মাধ্যমে সাজানো রয়েছে সমগ্র শাড়িতে।

    কী বললেন বীরেনবাবু?

    বীরেনবাবু বলেন, এই শাড়িটি আমি বিক্রির উদ্দেশ্যে তৈরি করিনি। দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আমার, ইচ্ছা দিল্লির ন্যাশনাল মিউজিয়ামে এই শাড়িটি সংরক্ষিত হোক সকলের দেখার উদ্দেশ্যে। সমগ্র পরিকল্পনা আমার হলেও প্রথমে ছবি আঁকার পর থেকে এই মহৎ কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে আমার কাছে থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নদিয়ার (Nadia) বিভিন্ন প্রান্তের হস্ত চালিত তাঁত শিল্পীদের শিল্প উৎকর্ষতায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরই চটুল গানে তৃণমূল নেতাদের নাচানাচি, বিতর্ক

    Howrah: হাওড়ায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরই চটুল গানে তৃণমূল নেতাদের নাচানাচি, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়া -২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস লাগোয়া সরকারি ভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের প্রার্থীদের চটুল গানের তালে তালে নাচানাচি করার অভিযোগ উঠল। সেই নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?(Howrah)

    এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাওড়া (Howrah) জেলা পরিষদের এক তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য শামসুল আলম তরফদার এবং বাঁকড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ আরও কয়েকজন সদস্যকে গায়ে সবুজ আবির মেখে আইটেম সং এর তালে তালে নাচতে। সানি লিওনের জনপ্রিয় আইটেম সং ‘লায়লা মে লায়লা’ গানের তালে তালে নাচতে থাকা শামসুল আলম তরফদার সহ অন্যদের ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, এরা জন প্রতিনিধি। এরা সাধারণ মানুষকে সুস্থ সংস্কৃতি শেখাবে, তার বদলে যদি এরাই চটুল গানের তালে তালে নাচতে থাকে তাহলে তা দেখে সাধারণ মানুষ বা ছোট বাচ্চারা কী শিখবে?

    কী বললেন বিতর্কিত তৃণমূল নেতা?

    বিতর্কিত তৃণমূল নেতা শামসুল আলম তরফদার বলেন, এই নাচের মধ্যে কোথাও খারাপ কিছু দেখছি না। আর ওটা পঞ্চায়েত অফিস নয়। পঞ্চায়েত অফিসের পাশের একটি ভবন। তৃণমূল কংগ্রেস জানে কোথায় কী করতে হয়। যেখানে নাচ হচ্ছে কোথাও লেখা দেখাতে পারা যাবে না যে সেটা বাঁকড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। তিনি বলেন, খুশিতে নেচেছি। আমি নাচতে পারি, গাইতে পারি। অনেক কিছুই করতে পারি। খেলতে পারি এবং খেলাতে পারি। সেটা যদি কেউ হিংসা করে তাতে আমি কী করব। এখনও আমার ভিতরে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে। সেটা সময়মতো দেখতে পাবেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    হাওড়ার (Howrah) বিজেপি নেতা উমেশ রায় বলেন, এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দেখা গিয়েছে শহিদ দিবসে মেয়েদের নিয়ে পাগলু ডান্স করতে। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এটা নতুন কিছু নয়। ওরা এটাও বোঝে না পঞ্চায়েত অফিস বা সরকারি কার্যালয় মানুষকে সেবা করার একটা মন্দির। এই লজ্জাকর ঘটনা ব্যাখ্যা করার ভাষা নেই আমাদের কাছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah to Hooghly Rail: ১৫ অগাস্ট ১৮৫৪, হাওড়া-হুগলি রেল চলাচল শুরু, জানুন সেই ইতিহাস

    Howrah to Hooghly Rail: ১৫ অগাস্ট ১৮৫৪, হাওড়া-হুগলি রেল চলাচল শুরু, জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮৪৫ সালের জুন মাসে ইস্ট ইন্ডিয়া রেল কোম্পানি (Howrah to Hooghly Rail) প্রতিষ্ঠিত হয়। যার প্রাথমিক মূলধন ছিল এক কোটি পাউন্ড। এই কোম্পানির উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লির মধ্যে একটি রেল যোগাযোগ স্থাপন করা। এর অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন রোল্যান্ড ম্যাকডোনাল্ড স্টিফেনসন। ইনি পরবর্তীকালে নাইট উপাধিও পেয়েছিলেন। বলা হয় যে স্টিফেনসনের রক্তেই নাকি রেলপথ ছিল। কারণ তাঁর মামা ছিলেন কিংবদন্তি জর্জ স্টিফেনসন। যাঁকে ‘ফাদার অফ রেলওয়েস’ বলা হয়। এর পরবর্তীকালে রোল্যান্ড স্টিফেনসন কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেলপথের একটি সমীক্ষা করেন। এর পরের তিন বছর ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি ব্রিটিশ সরকারের অনুমতি এবং অনুমোদন না পাওয়ার জন্য কাজ আটকে ছিল। পরবর্তীকালে কলকাতা থেকে রানীগঞ্জ পর্যন্ত ১৮৫০ সালে ট্রেন চালানোর (Howrah to Hooghly Rail) জন্য একটি অনুমোদন পাওয়া যায়। এরপরে তিন বছর স্টিফেনসন রেলওয়ে ট্রাকগুলি পর্যবেক্ষণ করেন এবং তিনি দেখেন যে তার মধ্যে কলকাতা থেকে পান্ডুয়া পর্যন্ত ট্রাক রেল চালানোর জন্য প্রস্তুত ছিল। জানা যায়, পরবর্তীকালে গুডউইল জাহাজে রেলের কোচ আসছিল ভারতে। যা সাগরদ্বীপের কাছে ডুবে যায়। এরপর প্রধান ইঞ্জিনিয়ার জর্জ টার্নবুল কলকাতার এক গাড়ি প্রস্তুত সংস্থার থেকে ডিজাইন করেন। এর ফলেই সময় নষ্ট হতে থাকে। পরবর্তীকালে ব্রিটেন থেকে ইঞ্জিন আনার কথা ছিল। কিন্তু তা ভুল করে অস্ট্রেলিয়াতে চলে যায় ভুল যোগাযোগের কারণে। অন্যদিকে ফরাসি সরকারেরও বাধার মুখে পড়ে রেলপথ নির্মাণের কাজ। তারা বলে যে চন্দননগরের ওপর দিয়ে রেল যাবে না। এভাবেই পিছতে থাকে ভারতে রেলপথে নির্মাণের কাজ।

    ২৮ জুন ১৮৫৪ হাওড়া-পান্ডুয়া রেল চলাচল

    পরবর্তীকালে ২৮ জুন ১৮৫৪ সালে হাওড়া থেকে পান্ডুয়া পর্যন্ত প্রথম সফলভাবে রেল ইঞ্জিন চলে (Howrah to Hooghly Rail)। এবং হাওড়া থেকে হুগলি পর্যন্ত একটি রেল ট্রায়াল রান সম্পন্ন করে ১১ অগাস্ট ১৮৫৪। সেখান ইঞ্জিনে ইন্ডিয়ান গেজেটের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। পরের দিন এ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্টও বের করা হয়। সেই ট্রেন হাওড়া থেকে ছাড়ে সকাল সাড়ে আটটায় এবং হুগলি পৌঁছায় সকাল থেকে এগারোটায়। সেই ট্রেনে উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন যে জার্নি ছিল খুবই সুখকর। সেখানে প্রস্তাব দেওয়া হয় কলকাতা এবং হাওড়ার মধ্যে একটি ব্রিজ স্থাপনের।

    ১৫ অগাস্ট ১৮৫৪ হাওড়া-হুগলি রেল চলাচল (Howrah to Hooghly Rail)

    ১৮৫৪ সালের ১২ অগাস্ট ইন্ডিয়ান গেজেট নিউজ পেপারে নোটিশ দেওয়া হয়, চলতি মাসের ১৫ তারিখ মঙ্গলবার হাওড়া থেকে হুগলির মধ্যে ট্রেন চলবে। সেখানে বলা হয়, হাওড়া থেকে এই ট্রেন ছাড়বে সকাল সাড়ে দশটায় এবং বিকাল সাড়ে পাঁচটায়। অন্যদিকে হুগলি থেকে (Howrah to Hooghly Rail) এই ট্রেন ছাড়বে সকাল ৮টা ১৩ এবং বিকাল ৩টে ৩৮-এ। এর মধ্যবর্তী স্টপেজ গুলি হল বালি, শ্রীরামপুর, চন্দননগর। এবং ১ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রেন চলাচল করবে হাওড়া থেকে পান্ডুয়া পর্যন্ত। যে সমস্ত নাগরিক মান্থলি পাস নিতে আগ্রহী তাঁদেরকে আবেদন করতে বলা হচ্ছে নিকটবর্তী রেলস্টেশনে (Howrah to Hooghly Rail)। তারপরে এই মান্থলি পাশের ভাড়া স্থির করা হবে। এবং কোনও মান্থলি পাস আগামী বছরের এক জানুয়ারির আগে শুরু হবে না। এই নোটিসের নিচে নাম লেখা ছিল রোনাল ম্যাকডোনাল্ড এবং তারিখ দেখেছিল ১২ অগাস্ট ১৮৫৪ কলকাতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার, ১৫/০৮/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার, ১৫/০৮/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১)  কোনও কাছের মানুষের পরামর্শে দুশ্চিন্তার সমাধান করতে পারবেন।

    ২) পরিবারের কোনও সদস্যের বিয়ের আলোচনা চললে, তা আজ আত্মীয়দের সাহায্যে পাকা হতে পারে।
       
         
    বৃষ

    ১) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভালো সময় কাটাবেন।

    ২) ভাই-বোনের সঙ্গে পুরনো স্মৃতি ভাগ করে নিতে পারেন।

    মিথুন

    ১) ভাই-বোনের সঙ্গে মিলে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির জন্য পরিশ্রম করবেন।

    ২) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এখনও প্রেমীর সাক্ষাৎ না-করালে, আজকের দিনটি তার জন্য উপযুক্ত।
      
    কর্কট

    ১) আর্থিক পরিস্থিতি ভালো থাকবে। 

    ২) বহুদিন ধরে আটকে থাকা টাকা ফিরে পাবেন। 

                 
    সিংহ 

    ১)  বাবার স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় পরিবর্তনের কথা চিন্তাভাবনা করবেন, যার দ্বারা ভবিষ্যতে নিশ্চিত লাভ সম্ভব হবে।    

    কন্যা

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ চিন্তার কারণে মন বিচলিত হবে।

    ২) জীবনসঙ্গীর জন্য কোনও উপহার নিতে পারেন।       

    তুলা 

    ১)  রাজনীতিক উদ্দেশে কাজ করেন যাঁরা, তাঁরা নিজের উদ্দেশে সফল হবেন। 
     
    ২) প্রেম জীবনে সঙ্গীকে কোনও সারপ্রাইজ দিতে পারেন।
     
    বৃশ্চিক

    ১)  আজ মিশ্র ফলাফল লাভ করবেন।

    ২) ব্যবসায় সাফল্যের জন্য তিক্ততাকে মিষ্টতায় পরিণত করতে শিখতে হবে।  
             

    ধনু

    ১) অংশীদারীত্বে কোনও মুনাফা করে থাকলে ভবিষ্যতে তার দ্বারা ভালো মুনাফা হবে। 

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন।

    মকর

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ বাড়িতে পূজার্চনার আয়োজন করতে পারেন।
     
    ২) ব্যবসায়িক লাভে অসন্তুষ্ট থাকবেন।      

    কুম্ভ

    ১) মানসিক সমস্যাগুলিকে পরিবারের বরিষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। এর ফলে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

    ২) চাকরির খোঁজে থাকলে আজ কোনও নতুন সুযোগ পেতে পারেন।

    মীন

    ১) নিজের পরিশ্রম ও বড়দের আশীর্বাদে বহু প্রতীক্ষিত মূল্যবান বস্তু লাভ করবেন।

    ২) জীবনসঙ্গীর জন্য কোনও নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
         

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Pakistan PM: পাকিস্তানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন আনোয়ার-উল-কাকার

    Pakistan PM: পাকিস্তানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন আনোয়ার-উল-কাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে (Pakistan PM) শপথ নিলেন আনোয়ার-উল-কাকার। যতদিন না পর্যন্ত পাকিস্তানে সরকার গঠনে নির্বাচন হচ্ছে, ততদিন অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাজ চালিয়ে যেতে হবে পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রীকে। 

    কোন সময়ে আনয়ার-উল-কাকার প্রধানমন্ত্রী (Pakistan PM)?

    আনয়ার-উল-কাকার হলেন এমন এক ব্যক্তি, যিনি ৫২ বছর বয়সে পাকিস্তনের অন্তর্বর্তীকালের প্রধানমন্ত্রী (Pakistan PM) হয়েছেন। পাকিস্তানের বর্তমান সময়পর্ব একপ্রকার দৈন্য দশার সময়। এই সময়ে পাকিস্তানে রাজনৈতিক এবং আর্থিক সঙ্কট চলছে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ইমরান খান পাকিস্তানে সরকারে এসেছিলেন। কিন্তু ইমরান খান আর্থিক দুর্নীতির কারণে পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থার কাছে দোষী সাব্যস্ত হন এবং আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত নির্বাচন না লড়তে পারার শাস্তি ঘোষণা হয়। আপাতত জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। উল্লেখ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন যে তিনি ১৬ মাস দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি আরও বলেন যে তাঁরা সাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন, আবার সাংবিধানিক ভাবে চলে যাচ্ছেন, সংবিধানের নিয়মকে তাঁরা মান্য করেন।

    কে এই আনোয়ার-উল-কাকার?

    ১৯৭১ সালে বেলুচিস্তানের মুসলিমবাগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আনোয়ার (Pakistan PM)। বাল্যকালে সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুল থেকে পড়াশুনা করেন। এরপর ক্যাডেট কলেজ কোহাট থেকে স্নাতকের পড়াশুনা করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর হন। পাকিস্তান সংবিধানের ২২৪ নং ধারায় রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে শপথ গ্রহণ করে আনোয়ার-উল-কাকার বলেন, আমি আল্লার নামে শপথ গ্রহণ করে বলছি যে আমি পাকিস্তানের প্রতি সত্যকারের বিশ্বাস এবং আনুগত্য রাখবো। আনোয়ার ন্যাশনাল ডিফেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। সংবিধান অনুসারে গত সপ্তাহে নির্বাচনের ৯০ দিন আগে সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এই প্রধানমন্ত্রীকে আগামী পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত কাজ করে যেতে হবে। ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের এই প্রধানমন্ত্রীকে অনেকেই কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী বলছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share