Tag: Madhyom

Madhyom

  • Daily Horoscope 04 May 2025: স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 04 May 2025: স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল নয়।

    ২) দৈনন্দিন কাজকর্মে মনোনিবেশ করতে হবে।

    ৩) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি সাধারণ থাকবে।

    ২) ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক জীবনে হতাশার শিকার হবেন।

    ৩) ব্যবসায়ে নতুন পরিকল্পনা শুরুর আগে সতর্ক হন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) নিজের কাজে বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন।

    ৩) কাজে ভালো প্রদর্শন করতে পারবেন, যার ফলে জীবনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) কাজে সফল হবেন।

    ৩) নতুন প্রকল্পের দায়িত্ব পেতে পারেন।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি কঠিন।

    ২) কাজ সতর্কভাবে করুন।

    ৩) একাধিক সমস্যায় জেরবার।

    কন্যা

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল নয়।

    ২) কাজে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন।

    ৩) সিদ্ধান্ত গ্রহণ কঠিন হয়ে পড়বে।

    তুলা

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) স্বপ্নপূরণের সুযোগ পাবেন।

    ৩) কেরিয়ারে সুবর্ণ সুযোগ পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত শুভ।

    ২) সাধারণের চেয়ে অধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে, তাই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।

    ৩) শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকুন।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি বিশেষ অনুকূল নয়।

    ২) নতুন কিছু করার পরিবর্তে পুরনো কাজে মনোনিবেশ করুন।

    ৩) স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।

    মকর

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত শুভ।

    ২) অসম্পূর্ণ ইচ্ছা পূরণ হবে।

    ৩) কোনও প্রকল্পের কাজে অধিক ব্যস্ত হয়ে পড়বেন।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি প্রতিকূল।

    ২) কাজে সংযত থাকতে হবে।

    ৩) চিন্তাভাবনা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি ভালো।

    ২) কাজে সাফল্য অর্জন করবেন।

    ৩) জীবনের সমস্ত চ্যালেঞ্জ ভালো ভাবে অতিক্রম করতে পারবেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Post Poll Violence: ৪ বছর পরেও ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত, তৃণমূলের সবুজ সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?

    Post Poll Violence: ৪ বছর পরেও ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত, তৃণমূলের সবুজ সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনটা ছিল ২ মে, ২০২১। আজ থেকে চার বছর আগে সপ্তদশ বিধানসভার নির্বাচনী ফল ঘোষণা হয়েছিল। দুপর ১ টার মধ্যেই নির্বাচনী ফলে স্পষ্ট হয় যে পশ্চিমবঙ্গে টানা তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে (Post Poll Violence) পরাজিত হয়েছিলেন। শাসক দলের নেতা-কর্মীরা “ঠিক ঠিক খেলা হবে এই মাটিতেই খেলা হবে” গান বাজিয়ে হিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে শুরু করে দেয়। এরপর শুরু হয় রাজ্যজুড়ে শাসকদলের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য এবং হিংসালীলা (West Bengal)। বিজয় মিছিলের নামে বিজেপি কর্মী, আরএসএসের স্বয়ংসেবক এবং সাধারণ নিচুতলার হিন্দুদের টার্গেট করে শুরু হয় প্রশাসনিক মদতে সন্ত্রাস। তৃণমূলের স্লোগান ছিল ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’, জয় নিশ্চিত বুঝেই নিজের মেয়ে মমতার হাতেই হিন্দু বাঙালিদের চরম অত্যাচারের শিকার হতে হয়। টানা হিংসায় মে মাসেই খুন করা হয় ২২ জনের বেশি মানুষকে।

    বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা

    দুপুর ২ টোর মধ্যেই কাঁকুড়গাছি রেলকলোনিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে হামলা করে ২০০ জনেরও বেশি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। বাড়িতে নিজের মা-দাদার সামনেই পাথর দিয়ে থেঁতলে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় তাঁকে। বাড়িতে গৃহপালিত কুকুরগুলির গলায় ইলেকট্রিক তার জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। মুড়িমুড়কির মতো বোমা মেরে গোটা বাড়ি তছনছ করে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর শুরু হয় দেদার লুটপাট। মৃত্যুর পর ৪ বছর কেটে গেলও, হাইকোর্টে মামলা চলছে। কিন্তু দোষীরা এখনও সাজা পায়নি। শাসক দলের নেতা বলে দোষীদের টিকিও ছুঁতে পারেননি তদন্তকারী অফিসাররা।

    শাসক দলের দুষ্কৃতীদের উল্লাস

    তখন রাত ৮টা। নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর শাসক দলের দুষ্কৃতীদের উল্লাসে গোটা গ্রাম আতঙ্কে ভয়ে সিটিয়ে গিয়েছিল। কৃষ্ণনগর শহরের কাছেই বাড়ি ছিল পলাশ মণ্ডলের। পেশায় দিন মজুর ছিলেন। প্যান্ডেলের বাঁশ বাঁধার কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাতেন। নির্বাচন চলাকালীন মমতার দুর্নীতি এবং কর্মসংস্থান নেই বলে বিক্ষোভ সভায় বিজেপি মঞ্চের বাঁশ বেঁধেছিলেন তিনি। এলাকায় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য লিফলেটও বিলি করেছিলেন। ফল প্রকাশের আগেও হুমকি দিয়েছিল এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। হুমকি উপেক্ষা করে তবুও বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার দিনে রাত ১১ টায় বাড়িতে বড় বড় দা, তলোয়ার নিয়ে হামলা করে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী। ভয়ে পলাশ নিজের বউ আর দুই মেয়েকে নিয়ে চৌকির নিচে লুকিয়ে পড়েন। ঘরের টিন কেটে দুর্বৃত্তরা ঢুকে নীচ থেকে মারতে মারতে পলাশকে টেনে হিঁচড়ে বের করে (West Bengal)। এরপর শুরু হয় ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে এলোপাথাড়ি কোপ। শেষে যাওয়ার সময় কানের কাছে মাথায় গুলি করে যায় হত্যাকারীরা। সব কিছু শেষ হয়ে যায়! পরিবারে একমাত্র রোজগার করতেন পলাশ। কীভাবে চলছে পলাশের ফেলে যাওয়া সংসার জানেন? স্ত্রী এখন লোকের বাড়িতে কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালান। আর ভয়-আতঙ্কে এখনও নিজের বাড়িতে ঢুকতে ভয় পান (Post Poll Violence)।

    ৭১ জনকে হত্যা

    ওই বছর ২ মে থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে মোট ৭১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তালিকায় কোনও জেলা বাদ ছিল না। তৃণমূলের লাগাম ছাড়া অত্যচারে ১ লক্ষ মানুষ নিজের বাড়ি-ঘর ঘরছাড়া হয়েছিল। মানুষ বাংলা ছেড়ে অসম, ঝাড়খণ্ডে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। ৪০ হাজার মানুষের বাসস্থানকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সওকত মোল্লা, শেখ শাহজানের নেতৃত্বে তৃণমূলী গুণ্ডারা হিন্দুদের দোকান, বাড়ি, ফসলের ক্ষেতে বুলডোজার চালিয়ে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। নন্দীগ্রামে এক মহিলা শুধুমাত্র হিন্দু বলে ধর্ষণ করা হয়। অত্যাচারের মাত্রা লাগাম ছাড়া ছিল দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, বীরভূম এবং কোচবিহার জেলায়। দোষীদের একজনেরও সাজা হয়নি। দেখে নিন জেলা ভিত্তিক মৃতদের তালিকা –

    ভোটপরবর্তী হিংসায় মৃতের নাম, স্থান এবং তারিখ

    বাঁকুড়া (৩ জন)

    ১। অরূপ রুইদাস, ইন্দাস,  ৩ মে ২০২১

    ২।  কুশ ক্ষেত্রপাল, কোতলপুর, ৮ মে ২০২১

    ৩। গৌর দাস, বিষ্ণুপুর, ১৬ মে ২০২১

    বীরভূম (৫ জন) (Post Poll Violence)

    ৪। গৌরব সরকার, বোলপুর,  ২ এপ্রিল ২০২১

    ৫। জাকির হোসেন, ময়ূরেশ্বের,  ৮ মে ২০২১

    ৬। প্রসেঞ্জিৎ দাস, রামপুরহাট, ২৩ মে ২০২১

    ৭। মনোজ জসওয়াল, নলহাটি, ৬ মে ২০২১

    ৮। মিঠুন বাগদি, ১৪ জুন ২০২১

    কোচবিহার (১৪ জন) (West Bengal)

    ৯। মিঠুন বর্মণ, শীতলকুচি, ২৭ মার্চ ২০২১

    ১০। মানিক মৈত্র, শীতলকুচি, ৩ মার্চ ২০২১

    ১১। হারাধন রায়, দিনহাটা, ৪ মার্চ ২০২১

    ১২। ধীরেন বর্মণ, শীতলকুচি, ২৪ মে ২০২১

    ১২। অলোকলতা মণ্ডল, তফানগঞ্জ, ২৫ মে ২০২১

    ১৪। অনিল বর্মণ, শীতলকুচি, ২৯ মে ২০২১

    ১৫। শ্রীধর দাস, দিনহাটা, ২৩ জুন ২০২১

    ১৬। আনন্দ বর্মণ, শীতলকুচি, ২৭ মার্চ ২০২১

    ১৭। রবিন বর্মণ, শীতলকুচি, ৪ মে ২০২১

    ১৮। বিশ্ব বর্মণ, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ১৯। বিপুল রায়, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ২০। বিকাশ চন্দ্র বর্মণ, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ২১। বীরেন্দ্রনাথ রায়, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ২২। ফারুখ মণ্ডল, তুফানগঞ্জ, ৪ মে ২০২১

    হুগলি (২ জন)

    ২৩। রবি হরি, আরামবাগ, ৪ জুন ২০২১

    ২৪। সুকুমার মণ্ডল, কৃষ্ণরামপুর, ৭ মে ২০২১

    হাওড়া (১ জন)

    ২৫। গুড্ডু চৌরাসিয়া, শিবপুর, ১০ মে ২০২১

    জলপাইগুড়ি (১ জন)

    ২৬। সুশান্ত রায়, জলপাইগুড়ি, ২ মে ২০২১

    ঝাড়গ্রাম (২ জন)

    ২৭। কিশোর মান্ডি, বিনপুর, ৫ মে ২০২১

    ২৮। তারক সাহু, ঝাড়গ্রাম, ৩১ মার্চ ২০২১

    কলকাতা (২ জন)

    ২৯। অভিজিৎ সরকার, কাঁকুড়গাছি, ২ মে ২০২১

    ৩০। নাম পাওয়া যায়নি, অন্বেষা বেরা অভিযোগ করেছেন।

    মালদা (৩ জন)

    ৩১। মনোজ মণ্ডল, মোথাবাড়ি, ৩ মে ২০২১

    ৩২। চৈতন্য মণ্ডল, মোথাবাড়ি, ৩ মে ২০২১

    ৩৩। দেবাশিস সরকার, গাজোল, ২ মে ২০২১

    নদিয়া (৫ জন)

    ৩৪। উত্তম ঘোষ, চাকদা, ২ মে ২০২১

    ৩৫। ধর্ম মণ্ডল, চাপড়া, ৬ মে ২০২১

    ৩৬। সাগর মাঝি, চাকদা, ২ মে ২০২১

    ৩৭। দিলীপ কীর্তনিয়া

    ৩৮। পলাশ মণ্ডল, কৃষ্ণনগর, ১৩ মে ২০২১

    উত্তর ২৪ পরগনা (১৩ জন)

    ৩৯। শোভারানী মণ্ডল, জগদ্দল, ৩ মে ২০২১

    ৪০। হারান অধিকারী, সোনারপুর, ২ মে ২০২১

    ৪১। আকাশ যাদব, ভাটপাড়া, ২ মে ২০২১

    ৪২। সন্তু মণ্ডল, নৈহাটি, ৩ মে ২০২১

    ৪৩। জ্যোৎস্না মল্লিক, বারাসাত, ১২ মে ২০২১

    ৪৪। রোহিত প্রকাশ যাদব, ভাটপাড়া, ৬ জুন ২০২১

    ৪৫। রোহিত প্রকাশ, ভাটপাড়া, ০৬ জুন ২০২১

    ৪৬। শিবনাথ বারুই, হিংলগঞ্জ, ৫ মে ২০২১

    ৪৭। জয়দেব মিস্ত্রি, হিংলগঞ্জ, ৫ মে ২০২১

    ৪৮। বিক্রম ঢালি, মিনাখাঁ, ৬ মে ২০২১

    ৪৯। জয়প্রকাশ যাদব, ভাটপাড়া, ৬ মে ২০২১

    ৫০। প্রসেঞ্জিত দাস, বাগুইহাটি, ২৩ মে ২০২১

    ৫১। রঞ্জিত দাস, আমডাঙ্গা, ১৩ মে ২০২১

    পশ্চিম মেদিনীপুর (১ জন)

    ৫২। বিশ্বজিত মাহেশ, স্বয়ং, ৪ মে ২০২১

    পূর্ব বর্ধমান (৬ জন)

    ৫৩। বলরাম মাঝি, কেতুগ্রাম, ৫ মে ২০২১

    ৫৪। কাকলি ক্ষেত্রপাল, জামালপুর, ৩ মে ২০২১

    ৫৫। নারায়ণ দে, বর্ধমান, ৬ মে ২০২১

    ৫৬। দুর্গা বালা, রাইনা, ৩ মে ২০২১

    ৫৭। বাবুল দাস, রাইনা, ৮ মে ২০২১

    ৫৮। সোম হাঁসদা, ভাতার, ২৩ জুন ২০২১

    পূর্ব মেদিনীপুর (২ জন)

    ৫৯। দেবব্রত মাইতি, নন্দীগ্রাম, ১৩ মে ২০২১

    ৬০। দেবাশিস শীল, তমলুক, ২৩ মে ২০২১

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১১ জন)

    ৬১। সৌরভ বর, মথুরাপুর, ২ মে ২০২১

    ৬২। রাঞ্জিত দাস, আমডাঙ্গা, ১৩ মে ২০২১

    ৬৩। অরিন্দম মিদ্দে, ডায়মন্ড হারবার, ১৫ মে ২০২১

    ৬৪। প্রদীপ বৈদ্য, বাসন্তী, ১৮ মে ২০২১

    ৬৫। নির্মল মণ্ডল, সোনারপুর, ২০ মে ২০২১

    ৬৬। রাজু সামন্ত, ডায়মন্ড হারবার, ২৮ মে ২০২১

    ৬৭। চন্দন হালদার, সাতগাঁছি, ২ জুলাই ২০২১

    ৬৮। ঊষা দাস, বজবজ, ৬ জুলাই, ২০২১

    ৬৯। হারান অধিকারী, সোনারপুর, ২ মে ২০২১

    ৭০। মানস সাহা, মগরাহাট, ২২ সেপ্টম্বর ২০২১

    ৭১। মিঠুন ঘোষ, রায়গঞ্জ, ১৮ অক্টোবর ২০২১

    এই সন্ত্রাসে পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নিষ্ক্রিয় (Post Poll Violence)। তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি সত্ত্বেও হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। সরকারের উপর চাপ তৈরি করেছিলেন। মানবাধিকার কমিশন, মহিলা ও শিশু সুরক্ষা কমিশন, এসসি-এসটি কমিশন-সহ একাধিক সংস্থা হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে (West Bengal)। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে থানায় অভিযোগ বা মামলা গ্রহণ করেনি। নির্যাতিতরা অগত্যা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইমেল-এর মাধ্যমে অভিযোগ নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দেলের রায়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংন্থা এবং সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তদন্ত এখনও চলছে, রাজ্য সরকার হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের কোনও রকম আর্থিক সহযোগিতাও করেনি। উল্লেখ্য, অভিযুক্তরা এখনও উন্মুক্ত এবং এলাকায় ভয়ের পরিবেশ বজায় রাখতে সক্ষম। এই হিংসার পর থেকেই পরবর্তী পঞ্চায়েত নির্বাচন, পুরসভার নির্বাচন এবং লোকসভার ভোটের পরও ভোট পরবর্তী হিংসা একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের (West Bengal) রাজনীতিকরণ ১০০ শতাংশ সার্থক হয়েছে। এ রাজ্যে ভোটের অর্থ হল হিংসা, ধর্ষণ, খুন, অত্যাচার আর লুটপাট। রাজনীতিতে অত্যাচার এবং হিংসা কবে বন্ধ হবে তাও এই রাজ্যের মানুষের কাছে একটি বড় প্রশ্ন (Post Poll Violence)।

  • Pakistans Terror Track: ভারতে প্রতিটি জঙ্গি হামলার পর একই বুলি আওড়ায় পাকিস্তান!

    Pakistans Terror Track: ভারতে প্রতিটি জঙ্গি হামলার পর একই বুলি আওড়ায় পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে প্রতিটি জঙ্গি হামলার (Pakistans Terror Track) পর একই কৌশল প্রয়োগ করে পাকিস্তান। গত ২২ এপ্রিল রক্তাক্ত হয় ভূস্বর্গ। পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় প্রাণ হারান ২৭ জন পর্যটক ও একজন স্থানীয় যুবক। ওই ঘটনার পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ একটি বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ তদন্তের (Neutral Probe Call) আহ্বান জানান। ভারত ও পাকিস্তানের দশকের পর দশক ধরে চলা দ্বন্দ্ব পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট হয় যে, সন্ত্রাসই ইসলামাবাদের সব চেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার।

    সন্ত্রাসবাদের ব্যবহার (Pakistans Terror Track)

    পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সন্ত্রাসবাদের ব্যবহার নতুন কোনও ঘটনা নয়। স্বাধীনতার পর থেকেই ইসলামাবাদের আগ্রাসী নীতির অংশ হিসাবে সন্ত্রাসবাদে জড়িত রয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় জম্মু ও কাশ্মীর দখল করতে পাকিস্তান উপজাতীয় মিলিশিয়াদের সমর্থন করেছিল। তার পরেও থেমে থাকেনি পাকিস্তান। ক্রমেই দেশটি জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে ওঠে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় এটিকে আবারও ব্যবহার করা হয়েছিল। স্থানীয়দের ছদ্মবেশে তারা কাশ্মীরিদের মধ্যে একটি বিদ্রোহ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল।

    পাকিস্তানি জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশ

    ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি জঙ্গিরা আবার ভারতে অনুপ্রবেশ করে। প্রথমে তারা অস্বীকার করে। পরে তদন্তে প্রমাণিত হয়, পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা কীভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পাকিস্তান লস্কর-ই-তৈবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদের মতো একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়। মূলত এরাই বারবার রক্তাক্ত করেছে ভারতকে। পাকিস্তানের সন্ত্রাস রফতানির ইতিহাস তামাম বিশ্বে সুবিদিত। ৯/১১ হামলার মূল হোতা ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে একটি সামরিক অ্যাকাডেমির কাছে বসবাস করতে দেখা গিয়েছিল। ২০১১ সালে মার্কিন সেনা তাকে খতম করে। ৯/১১ হামলার আর এক ষড়যন্ত্রকারী খালিদ শেখ মহম্মদকেও পাকিস্তানে আটক করা হয় (Pakistans Terror Track)।

    সন্ত্রাসে জড়িত পাক জঙ্গি সংগঠন

    এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, নরওয়ে, সৌদি আরব ও আফগানিস্তান-সহ বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানি নাগরিক বা তাদের পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত গোষ্ঠীগুলোর জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। সন্ত্রাসে অর্থায়নের জন্য আর্থিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এফএটিএফ পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অতীতে জঙ্গিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলেও পরবর্তীকালে সেগুলো আবার মুক্ত করে দেয়। এর মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয় যে, জঙ্গি নেটওয়ার্কের সঙ্গে তাদের যোগসূত্র রয়েছে।

    বিশ্বের দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা!

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড পাকিস্তানের লক্ষ্য অর্জনে সন্ত্রাসের ব্যবহার সম্পর্কে স্পষ্ট চিত্র প্রদান করে। দশকের পর দশক ধরে ভারতকে অস্থির করতে সীমান্ত-পারের সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তান যে একই কৌশল ব্যবহার করে আসছে, এই হামলায়ও তা প্রতিফলিত হয়েছে (Neutral Probe Call)। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছে পাকিস্তান। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানের নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন ন্যায়বিচারের ইচ্ছা থেকে নয়, বরং আন্তর্জাতিক মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া, তদন্ত ও দায়িত্ব এড়ানো এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার অধিকারকে দুর্বল করাই এর উদ্দেশ্য (Pakistans Terror Track)।

  • Gujarat High Court: গোধরাকাণ্ডে ৯ রেলপুলিশ কনস্টেবলের বরখাস্তের নির্দেশ বহাল রাখল গুজরাট হাইকোর্ট

    Gujarat High Court: গোধরাকাণ্ডে ৯ রেলপুলিশ কনস্টেবলের বরখাস্তের নির্দেশ বহাল রাখল গুজরাট হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগের (Godhra Carnage) ঘটনায় রেল পুলিশের ন’জন কনস্টেবলের বরখাস্তের নির্দেশ বহাল রাখল গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court)। সম্প্রতি এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নানাবতীর নেতৃত্বাধীন কমিশনের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সহমত পোষণ করে এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

    কমিশনের পর্যবেক্ষণ (Gujarat High Court)

    ২০০২ সালের ওই ঘটনার দিন সবরমতী এক্সপ্রেসে ডিউটি ছিল ন’জন পুলিশ কনস্টেবলের। ট্রেনটি ছ’ঘণ্টা দেরিতে চলায় তাঁরা সবরমতী এক্সপ্রেসে না উঠে অন্য একটি ট্রেনে করে আহমেদাবাদে ফিরে গিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তাঁর উষ্মা গোপন করেনি নানাবতী কমিশন। কমিশন তার পর্যবেক্ষণে বলেছিল, “ওই পুলিশকর্মীরা যদি সেই দিন তাঁদের কর্তব্য পালন করতেন, তা হলে এত বড় ঘটনা (সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগ) এড়ানো সম্ভব হত।” নানাবতী কমিশনের ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বরখাস্ত করা হয় অভিযুক্ত ৯ পুলিশ কনস্টেবলকে।

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    আদালত জানিয়েছে, বরখাস্ত হওয়া পুলিশকর্মীরা যদি তাঁদের কর্তব্যে অবহেলা ও অসাবধান না হতেন, তাহলে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি এড়ানো যেত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “রেলওয়ে পুলিশ বাহিনীর ওই ন’জন কর্মীর সেই দুর্ভাগ্যজনক দিনে দাহোদ থেকে সবরমতী এক্সপ্রেসের ওঠার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা তা করেননি। ট্রেনটি ছ’ঘণ্টা দেরিতে চলায় তাঁরা সেটির পরিবর্তে রাজিস্টারে মিথ্যা এন্ট্রি করে শান্তি এক্সপ্রেসে করে আমেদাবাদে ফিরে আসেন।”

    করসেবকদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা

    প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে করসেবকদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে। ওই ট্রেনটির এস-৬ কোচে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৫৯ জনের। এঁদের অধিকাংশই ছিলেন করসেবক, ফিরছিলেন অযোধ্যা থেকে। ওই ঘটনার পরেই গুজরাটজুড়ে শুরু হয় হিংসা। সেই হিংসার বলি হন হাজারেরও বেশি মানুষ। ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাট সরকারের (Gujarat High Court) তরফেও গঠন করা হয় একাধিক কমিশন। তার মধ্যে ছিল নানাবতী কমিশনও। যে কমিশন জানিয়েছিল, ওই পুলিশকর্মীরা যদি সেই দিন তাঁদের কর্তব্য পালন করতেন, তা হলে এত বড় ঘটনা (সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগ) এড়ানো সম্ভব হত। কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হয় ওই ৯ অভিযুক্তকে।

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবলরা

    এর বিরুদ্ধে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবলরা। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “যদি আবেদনকারীরা আমেদাবাদে পৌঁছনোর জন্য সবরমতী এক্সপ্রেস ট্রেনে করেই রওনা দিতেন, তাহলে গোধরায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটি ঘটত না। ঘটনাটি রোধ করা যেত। আবেদনকারীরা তাঁদের কর্তব্য অবহেলা ও অসাবধানতা প্রদর্শন করেছেন (Godhra Carnage)। উল্লিখিত অভিযোগগুলি প্রমাণিত হয়েছে।” আদালত রায় দিয়েছে, ২০০৫ সালে ওই পুলিশ কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা ন্যায্য ছিল। রায়ে আরও বলা হয়েছে, “সবরমতী এক্সপ্রেসে তাঁদের উপস্থিতি ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি যা ঘটেছিল, তাতে পরিবর্তন আনতে পারত।”

    নানাবতী-মেহতা কমিশন গঠন

    গোধরাকাণ্ডের (Gujarat High Court) তদন্তে গুজরাট সরকার গঠন করে নানাবতী-মেহতা কমিশন। কমিশনের বক্তব্য ছিল, ট্রেনটির ওই কোচে আগুন লাগার ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয়। এর নেপথ্যে ছিল ষড়যন্ত্র। ২০০২ সালে গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসের ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২০১১ সালের ১ মার্চ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাদের মধ্যে ১১ জনের ফাঁসির সাজা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ২০ জনের। মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ৬৩ জন অভিযুক্তকে। শাস্তির রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরা একাধিক মামলা দায়ের করে গুজরাট হাইকোর্টে (Godhra Carnage)। ২০১৭ সালের অক্টোবরে গুজরাট হাইকোর্ট ১১ জনের ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিল। ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছিল।

    গুজরাটজুড়ে শুরু হয় হিংসা

    সবরমতীকাণ্ডের পরে পরে গুজরাটজুড়ে শুরু হয় হিংসা। সেই সময় মেহসানার বিজাপুর তহসিলের সর্দারপুরা গ্রামে সংখ্যালঘুদের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীদের একটি দল। ভয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে পাড়ারই একটি পাকাবাড়িতে আশ্রয় নেন অসহায় কিছু মানুষ। সেই বাড়িটিরই চারপাশে পেট্রল ঢেলে বাড়িটিকেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তাদের মৃত্যু হয় ২২ জন মহিলা-সহ মোট ৩৩ জনের (Gujarat High Court)। ওই ঘটনায় মোট ৭৬জনকে গ্রেফতার করেছিল বিশেষ তদন্তকারী দল। ২০০৯ সালের জুনে তাঁদের মধ্যে থেকে ৭৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ২০১২ সালে তাঁদের মধ্যে থেকে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। তার চার বছর পর ওই ৩১ জনের মধ্যে ১৪ জনকে বেকসুর খালাস (Godhra Carnage) করে দেয় গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court)।

  • India Pakistan Conflict: প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ – পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

    India Pakistan Conflict: প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ – পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরাসরি হোক বা ঘুরপথে, পাকিস্তানি পণ্য কোনও ভাবেই এ দেশে প্রবেশ করতে পারবে না। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাকিস্তান থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ, সমস্ত আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত (India Pakistan Conflict)। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে জঙ্গি হানায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি সহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিল করেছে ভারত সরকার। এবার পাকিস্তান থেকে কোনওরকম পণ্য আমদানিতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করল মোদি সরকার। শনিবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র। ভারত আমদানি বন্ধ করায় পাকিস্তানের বাণিজ্য ও অর্থনীতি বড় ধাক্কা খাবে, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কী বলা হল নিষেধাজ্ঞায়

    শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, “পাকিস্তানে উৎপন্ন বা রফতানি করা সমস্ত পণ্যের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ আমদানি বা পরিবহণ, তা অবাধে আমদানিযোগ্য হোক বা অনুমোদনসাপেক্ষ, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাৎক্ষণিকভাবে নিষিদ্ধ করা হল। জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননীতির স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার যে কোনও ব্যতিক্রমের জন্য ভারত সরকারের থেকে পূর্ব অনুমোদনের প্রয়োজন।” ইতিমধ্যেই লাগু হয়ে গিয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের সমস্ত বন্দরও। বর্তমানে যে সব পণ্য ট্রানজিটে রয়েছে, তার উপরও এই নির্দেশ লাগু হয়েছে। বস্তুত, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দু’দেশের মধ্যে অন্যতম বাণিজ্যপথ ছিল। কিন্তু পহেলগাঁওয়ে হামলার পর দিনই অটারী সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    বিপদে পাকিস্তান

    গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হওয়া সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের। এই হামলার পিছনে পাকিস্তানের মদতের যোগসূত্র মিলেছে। হামলাকারীদের মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি বলেও দাবি। হামলার নেপথ্যে হাফিজ সইদের জড়িত থাকার সম্ভাবনাই প্রবল। এমতাবস্থায় দুই দেশের সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগেই পাক সরকার ভারতের সঙ্গে সমস্তরকম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। তাতেও বিপাকে পড়েছে ইসলামাবাদই। এমনিতে পাকিস্তান একাধিক ক্ষেত্রে ভারতের পণ্যের উপর নির্ভরশীল। তবে বাণিজ্য বন্ধের জেরে পাক বাজারে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটার সংকট সবচেয়ে বেশি রয়েছে তা হল ওষুধ। ভারতের বাজার থেকে কাঁচামাল না গেলে বিনা চিকিৎসায় প্রাণ যেতে পারে বহু পাকিস্তানির।

    ঘুরপথেও বাণিজ্য নয়

    আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কে (India Pakistan Trade) ওয়াকিবহাল একাংশের মতে, পাকিস্তান থেকে সরাসরি খুব বেশি পণ্য ভারতে আসে না। তবে ঘুরপথে দুবাই হয়ে কিছু পণ্য ভারতে আসত। বিশেষত, পোশাক, মশলা বা ছোট যন্ত্রাংশের মতো কিছু পণ্য ঘুরপথে ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করত। তা-ও খুব বেশি নয়। বাণিজ্যমহলের কারও কারও মতে, ঘুরপথেও যাতে কোনও পাকিস্তানি পণ্য ভারতে প্রবেশ না করে, তা নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। বস্তুত, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করেছিল। ওই সময়ে ফল, সিমেন্ট, পেট্রোপণ্য, আকরিক-সহ পাকিস্তান থেকে আসা বেশ কিছু পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল ভারত। বাণিজ্যিক ভাবে ভারতের অন্যতম পছন্দের দেশ (মোস্ট ফেভার্‌ড নেশন)-এর তালিকা থেকেও পাকিস্তানকে সরিয়ে দিয়েছিল ভারত।

    বাণিজ্যিক সম্পর্ক তলানিতে

    গত কয়েক বছরে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক (India Pakistan Trade) ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে পাকিস্তান থেকে মাত্র ৪ লক্ষ ২০ হাজার ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল ভারত। এক বছর আগেও যে পরিসংখ্যান ছিল, তার থেকে ২০ লক্ষ ডলারেরও কম মূল্যের আমদানি হয়েছিল ওই সময়ে। এখানেই শেষ নয়, বহুজাতিক ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে দিল্লি। আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের মতো ব্যাঙ্কগুলির কাছে ভারতের আর্জি যেন পাকিস্তানকে ঋণ না দেওয়া হয়। সন্ত্রাসে মদত দেয় ইসলামাবাদ- এই অভিযোগ তুলেই আর্জি জানাচ্ছে নয়াদিল্লি।

    পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজের উপরেও নিষেধাজ্ঞা

    পাকিস্তানি পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজের উপরেও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ শিপিং’-এর তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের পতাকা থাকা কোনও জাহাজ ভারতীয় বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। একই রকম ভাবে কোনও ভারতীয় জাহাজও পাকিস্তানের কোনও বন্দরে যাবে না। এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ভারতীয় সম্পদ, পণ্য ও বন্দর সুরক্ষার স্বার্থে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলি এখনই কার্যকর হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

    পাকিস্তান থেকে আসা চিঠি বা পার্সেলেও জারি নিষেধাজ্ঞা

    শুধু তাই নয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও একটি বড় পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তান থেকে ডাকযোগে পাঠানো কোনও চিঠি বা পার্সেল আর ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়েছে ভারতীয় যোগাযোগ মন্ত্রক। ভারত সরকার জানিয়েছে, আকাশপথ বা স্থলপথে পাকিস্তান থেকে আসা সব ধরনের চিঠি ও পার্সেলের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

  • Bangladesh: বিপাকে পড়ে ঢোঁক গিলল বাংলাদেশ, দূরত্ব বাড়াল ফজলুরের সঙ্গে

    Bangladesh: বিপাকে পড়ে ঢোঁক গিলল বাংলাদেশ, দূরত্ব বাড়াল ফজলুরের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ঢোঁকই গিলল বাংলাদেশ (Bangladesh)! সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল (Indias Northeast), ফজলুর রহমানের বক্তব্য মতামতের প্রতিফলন। এটি কোনওভাবেই বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বা নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারি নীতি ও কূটনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে এই বিবৃতি সম্পূর্ণ বেমানান। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মন্তব্যগুলি তাঁর (ফজলুর রহমানের) ব্যক্তিগত মতামত। বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান কিংবা নীতিকে প্রতিফলিত করে না। এমন পরিস্থিতিতে সরকার এমন বক্তব্যের কোনও প্রকার সমর্থন বা স্বীকৃতি দেয় না এবং কোনওভাবেই এই ধরনের বাকপটুত্বকে সমর্থন করে না।” বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, পারস্পরিক সম্মান এবং সকল রাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিমালায় বাংলাদেশ অবিচলিতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    ফজলুরের বক্তব্য (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু সহ ২৭ পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এছাড়া, এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় গুলি করে খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলমান ঘোড়চালককে। এর পরেই বেড়েছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা। সৃষ্টি হয়েছে সংঘাতের আবহ। এমতাবস্থায় চিনের সাহায্য নিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ দখলের ডাক দেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সহযোগী ফজলুর। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান ও জাতীয় স্বাধীন কমিশনের বর্তমান চেয়ারপার্সন। তিনি বর্তমানে ইউনূসের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করলে, বাংলাদেশের উচিত হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেওয়া। এ ব্যাপারে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি (Bangladesh)।”

    চিনা আগ্রাসনে ইন্ধন!

    প্রসঙ্গত, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত রয়েছে ভারতের। এই আবহে কিছু দিন আগে চিন সফরে গিয়ে প্রায় একই রকম মন্তব্য করেছিলেন ইউনূস। তাঁর ওই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। প্রশ্ন ওঠে, ভারতের বিরুদ্ধে কি তাহলে চিনা আগ্রাসনে ইন্ধন জোগাচ্ছে ইউনূস সরকার? এর ঠিক পর পরই ভারতের মাটির ওপর দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। যার জেরে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ সরকার। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বস্তুত (Indias Northeast) তার পরেই ঢোঁক গিলতে বাধ্য হয় ইউনূস সরকার (Bangladesh)।

  • Russia’s Victory Day Parade: সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি! মোদির পর রাশিয়া সফর বাতিল রাজনাথের, ভারত থেকে যাচ্ছেন কে?

    Russia’s Victory Day Parade: সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি! মোদির পর রাশিয়া সফর বাতিল রাজনাথের, ভারত থেকে যাচ্ছেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে আগেই রুশ সফর বাতিল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির পরিবর্তে রাজনাথের ৯ মে মস্কো সফরে যাওয়ার কথা ছিল। এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও রাশিয়ার বিজয় দিবসের (Russia’s Victory Day Parade) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মস্কো যাচ্ছেন না। অন্তত সূত্রের খবর এমনই। আগামী সপ্তাহেই রাশিয়ায় বিজয় দিবস পালন করার কথা। ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়। জানানো হয়, ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সূত্রের খবর, এই সফর বাতিল করতে চলেছেন রাজনাথ সিং। তাঁর জায়গায় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন বলেও খবর। জানা গিয়েছে, পহেলগাঁও হামলার পরে উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

    রাশিয়ায় বিজয় দিবসের গুরুত্ব

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী (MoS) সঞ্জয় শেঠ। মস্কোর ওই অনুষ্ঠানে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ বিশ্বের প্রায় ২০ দেশের প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা আছে। পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। যে কোনও সময় পাল্টা জবাব দিতে পারে নয়াদিল্লি। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই রাজনাথও তাঁর মস্কো সফর বাতিল করতে চলেছেন। ইতিমধ্য়েই পহেলগাঁও হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এই হামলাকে নৃশংস অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার সমর্থন যে ভারতের সঙ্গে রয়েছে সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন পুতিন।

    ভারতের পাশে রাশিয়া

    প্রধানমন্ত্রী মোদির মস্কো সফর না করার সিদ্ধান্তের কারণ স্পষ্ট করেনি রাশিয়া (Russia’s Victory Day Parade)। রাশিয়ার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ও কুচকাওয়াজে বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা এবং সামরিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি গত বছর দুবার রাশিয়া সফর করেছিলেন। একবার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য এবং দ্বিতীয়বার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য। এই বছরের শেষের দিকে পুতিন দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত আসতে পারেন।

    যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের

    সীমান্তে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। এই নিয়ে টানা নবমবার বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে গুলি ছুড়ল পড়শি দেশ। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শুক্রবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, উরি এবং আখনুর সেক্টরে গুলি ছুড়তে শুরু করে পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। পহেলগাঁও হামলার পরও নাগাড়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। এই নিয়ে দিন তিনেক আগেই সতর্ক করেছে ভারত। তবে সোজা পথে আসার বান্দা নয় পড়শি দেশ। ফের চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে সে দেশের সেনা।

    প্রত্যাঘাতের দাবি

    পহেলগাঁওয়ে হত্য়ালীলার (Pahalgam Terror Attack) পর প্রত্যাঘাতের দাবি দেশজুড়ে। তিন বাহিনীও বুঝিয়ে দিচ্ছে তারা আঘাত হানতে প্রস্তুত। নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিচ্ছেন, কল্পনাতীত শাস্তি হবে। বিরোধীরাও জোটবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার পক্ষে!প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁপছে পাকিস্তানও। অজ্ঞাতবাস নিয়ে হইচই পড়ে যাওয়ার পর আচমকা প্রকাশ্য়ে এসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানও বোঝানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা প্রস্তুত। এদিকে, পহেলগাঁও সন্ত্রাসের ১১ দিন পরেও অধরা হামলাকারী জঙ্গিরা। কিন্তু কোনওভাবেই কাউকে যে ছাড়া হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়ে জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকা জুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি। বিভিন্ন জঙ্গলে ও দুর্গম এলাকায় যৌথ অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। শ্রীনগরের আকাশ দিয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরের দিকে ঘন ঘন উড়ছে সেনাবাহিনীর চপার! শুক্রবারও উপত্যকায় ছিলেন এনআইএ-র ডিজি সদানন্দ দাতে। এদিনও তিনি যান ঘটনাস্থলে। জরুরি বৈঠক করেন তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে।

    সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি

    ইতিমধ্যেই কাশ্মীর ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মানুষ যুদ্ধের ‘প্রস্তুতি’ শুরু করেছেন। উভয় পক্ষই নিজেদের বাঁচানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতের দিকে চুরান্ডা এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের চাকোঠির মতো গ্রামগুলি সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কায় বাঙ্কার এবং সুরক্ষিত আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করছে। জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসন সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারীদের দুই মাসের জন্য খাদ্যশস্য মজুত করার আহ্বান জানিয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার-উল-হক বলেন, নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে অবস্থিত ১৩টি নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের দু’মাস খাদ্যশস্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের মৌলিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ তহবিলও গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকার রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকেও মোতায়েন করা হচ্ছে। কার্যত সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলছে প্রশাসন। পাকিস্তানে আতঙ্কের পরিস্থিতি এমন যে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ১০০০ জঙ্গি ঘাঁটি বন্ধ করেছে পাকিস্তান। জঙ্গিদের সেখান থেকে সরানো হয়েছে। এছাড়া পাঞ্জাব থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। বড় শহরগুলির আকাশসীমাও প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পর্বে সাইরেনও লাগানো হচ্ছে। সদা সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনাও।

  • Netherlands: পহেলগাঁও হামলার নিন্দা, পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ নেদারল্যান্ডসে

    Netherlands: পহেলগাঁও হামলার নিন্দা, পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ নেদারল্যান্ডসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে ২৬ হিন্দু পর্যটককে হত্যার ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে নেদারল্যান্ডসের (Netherlands) দ্য হেগ শহরে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ একত্রিত হয়ে এক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। এই প্রতিবাদের আয়োজন করে গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স (GHRD) এবং হেট লিখ্‌ট নেদারল্যান্ডস। নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই প্রতিবাদে সমবেত হন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়াজিত এই সমাবেশের শুরুতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

    ‘শান্তি ও ন্যায়বিচারের আন্তর্জাতিক রাজধানী’ হিসেবে খ্যাত দ্য হেগ শহর। এখানেই পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদে সন্ত্রাস দমনে একত্রিত হন বহু মানুষ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্য অনুসারে একটি প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে নিহতদের স্মরণ করা হয়। এরপর শান্তি মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ আনেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ডাচ সরকারের কাছে সন্ত্রাস দমনে জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান জানান এখানে উপস্থিত সকলে। বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান-ভিত্তিক গোষ্ঠীর দ্বারা সীমান্ত পার সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানার প্রদর্শন করেন। তাঁরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীরা পহেলগাঁওয়ে হামলার জন্য পাকিস্তানের সমালোচনা করেন। জোর দিয়ে বলেন যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের পৃথিবীতে কোনও স্থান নেই।

    মানবতার হয়ে সওয়াল

    একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “এটা শুধু প্রতিবাদ নয়, এটা ছিল মানবতার পক্ষ থেকে একটি সম্মিলিত আবেদন – আমরা ন্যায়বিচার চাই এবং শান্তির বিজয় নিশ্চিত করতে চাই।” একজনের কথায়, “নীরবতা মানে অপরাধে অংশগ্রহণ। আমাদের এই প্রতিবাদ বিশ্ববাসীর জন্য একটি জাগরণী বার্তা – ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে নিরীহ মানুষদের উপর এই ধরনের আক্রমণ আমরা মেনে নিতে পারি না।” মোমবাতির আলো ও শান্তি মন্ত্রের সুরে মোড়ানো এই প্রতিবাদ শুধু এক শোকসভা ছিল না, বরং এটি বিশ্বব্যাপী এক দৃঢ় বার্তা দেয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানবতার পক্ষে দাঁড়ানোই আজকের সময়ের প্রয়োজন, বলে মন করে প্রতিবাদকারীরা।

  • Cyberattacks by Pakistan: সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা! পাকিস্তানের সাইবার হামলা প্রতিহত করল ভারত

    Cyberattacks by Pakistan: সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা! পাকিস্তানের সাইবার হামলা প্রতিহত করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার (Indian Army) ৪টি ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করল পাকিস্তানি হ্যাকাররা (Cyberattacks by Pakistan)। জানা গিয়েছে, শ্রীনগর, রানিক্ষেতের আর্মি পাবলিক স্কুলের ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা করা হয়েছে। আর্মি ওয়েলফেরার হাউজিং অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটেও হামলার চেষ্টা হয়। কিন্তু বার বারই সেই চেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারত। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তান-ভিত্তিক হ্যাকারদের একাধিক সমন্বিত সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। হ্যাকারদের লক্ষ্যই ছিল ভারতের সাইবার সুরক্ষা নষ্ট করা।

    কোন কোন ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, পাকিস্তান (Cyberattacks by Pakistan) প্রায় প্রতি দিন নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের চেষ্টা করছে। সেই আবহেই পাকিস্তানি হ্যাকারেরা ভারতের সাইবার সুরক্ষা ভেদ করতে একটি নতুন গোষ্ঠী তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক কালে ‘ইন্টারনেট অফ খিলাফাহর’ (আইওকে) নামে একটি হ্যাকার গোষ্ঠীর নাম বার বার উঠে এসেছে। নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে খবর, শ্রীনগর এবং রানিক্ষেতের সেনাবাহিনী স্কুলের ওয়েবসাইটগুলিতে হানা দিয়েছিল হ্যাকারেরা। বিভিন্ন প্ররোচনামূলক পোস্ট ওয়েবসাইটে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এ ছাড়াও, ‘আর্মি ওয়েলফেয়ার হাউজিং অর্গানাইজেশন’-এর তথ্যভাণ্ডারের হামলা করেছিল। শুধু তা-ই নয়, ‘ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স প্লেসমেন্ট অর্গানাইজেশন’ পোর্টালও হ্যাকারেরা নিশানা করে। শুধু ‘আইওকে’ নয়, ভারতের বিভিন্ন সাইবার হানার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে অন্য পাকিস্তানভিত্তিক হ্যাকার গোষ্ঠীর। ‘আর্মি কলেজ অফ নার্সিং’-এর ওয়েবসাইট হ্যাকের অভিযোগে নাম জড়ায় হ্যাকার গোষ্ঠী— ‘টিম ইনসেন পিকে’র।

    সাইবার হানা প্রতিহত কীভাবে

    গোয়েন্দা (Cyberattacks by Pakistan) সূত্রে খবর, সাইবার হানার বিষয় নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েবসাইটগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। তার পর হ্যাকারদের কবল থেকে তা পুনরুদ্ধার করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়। পহেলগাঁও হামলার পর সীমান্তে টানটান উত্তেজনা রয়েছে। এর মধ্যে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর নতুন ছক প্রকাশ্যে এসেছে। ভারতকে অশান্ত করার পাক চক্রান্ত ফাঁস হয়েছে। ভারতীয় অফিসারের নাম বলে ফোন করে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা। সেনারা যে গাড়িতে যাতায়াত করেন, তার রাস্তা জানার চেষ্টা করেছে আইএসআই। এবার, ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলি হ্যাক করে সাইবার জগতে উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে পাকিস্তান।

  • IAF: রাজপথ হয়ে গেল রানওয়ে, পর পর নামল সুখোই, রাফাল, মিরাজ! যুদ্ধের প্রস্তুতি?

    IAF: রাজপথ হয়ে গেল রানওয়ে, পর পর নামল সুখোই, রাফাল, মিরাজ! যুদ্ধের প্রস্তুতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন যুদ্ধের প্রস্তুতি। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে (Ganga Expressway) মহড়া চালাল ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড পরবর্তী সংঘাতের আবহে জাতীয় সড়কের উপর তৈরি করা এফ ফালি রানওয়েতেই জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ ও উড়ানের মহড়া দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। লক্ষ্য, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আপৎকালীন ব্যবহার।

    এই এয়ারস্ট্রিপের বিশেষত্ব

    উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলায় গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের (Ganga Expressway) ওপর তৈরি হল এমন এক এয়ারস্ট্রিপ, যেখানে শুধু দিনে নয়, রাতেও নামতে পারবে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। শুক্রবার এই এয়ারস্ট্রিপের উদ্বোধন করল ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এটি এক নতুন অধ্যায়। কারণ এই প্রথমবার, কোনও রাস্তার ওপর তৈরি রানওয়েতে দিন-রাত নির্বিঘ্নে নামল যুদ্ধবিমান। এই এয়ারস্ট্রিপটি তৈরি হয়েছে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের অন্তর্গত জলালাবাদ এলাকায়। মেরঠ থেকে প্রয়াগরাজ পর্যন্ত প্রায় ৫৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের ৮৫ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ। এর আগে উত্তরপ্রদেশেই আরও তিনটি এক্সপ্রেসওয়েতে এমন সামরিক উদ্দেশ্যে তৈরি রানওয়ে চালু হয়েছে— আগরা-লখনউ, পূর্বাঞ্চল (পুর্বাঞ্চল) এবং বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়েতে। তবে এই শাহজাহানপুরের এয়ারস্ট্রিপই প্রথম, যেখানে রাতে যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারবে।

    যুদ্ধের সময় কতটা গুরুত্বপূর্ণ

    সাধারণত বিমান ওঠা-নামার জন্য আলাদা এয়ারবেস বা বিমানঘাঁটি দরকার হয়। কিন্তু যুদ্ধ বা জাতীয় বিপর্যয়ের সময়ে যদি কোনও বিমানঘাঁটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে, তখন রাস্তার ওপর এই ধরনের বিকল্প রানওয়ে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ভীষণই কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে। এই সাময়িক রানওয়েতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক আলো ও ন্যাভিগেশন সিস্টেম। ‘ক্যাট-২’ যোগ্যতাসম্পন্ন ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (ILS) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে ঘন কুয়াশা বা রাতের অন্ধকারেও সঠিক ভাবে বিমান নামানো যাবে। বিশেষভাবে তৈরি কংক্রিট ব্যবহার করা হয়েছে যাতে ভারী ও দ্রুতগতির যুদ্ধবিমানও অনায়াসে অবতরণ করতে পারে।

    মহড়ায় কোন কোন যুদ্ধবিমান

    ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) সূত্রে খবর, এদিন ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল, মিরাজ ২০০০, সুখোই সু-৩০ এমকেআই-সহ একাধিক যুদ্ধবিমান নিয়ে আসা হয় এই মহড়ার জন্য। এছাড়াও ছিল সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস, এএন-৩২ এবং মি-১৭ভি৫ সেনা চপার। দিনে ও রাতে — দুই পর্যায়েই অবতরণ ও উড়ানের মহড়া হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতিতেই যাতে ভারতীয় বায়ুসেনাকে রোখা না যায়, তা পরীক্ষা করে দেখে নিতেই এই সামরিক মহড়া। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বিষিয়ে যাওয়ার পর থেকেই একের পর এক মহড়া শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। এবার গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে রাজধানী লখনউকে সংযোগকারী গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছিলেন।

LinkedIn
Share