Tag: Madhyom

Madhyom

  • Rajasthan: রাজস্থানে ইঁটভাটায় পড়ে কিশোরীর দগ্ধ দেহ! গণধর্ষণের পর খুন, অনুমান পুলিশের

    Rajasthan: রাজস্থানে ইঁটভাটায় পড়ে কিশোরীর দগ্ধ দেহ! গণধর্ষণের পর খুন, অনুমান পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইটভাটা থেকে উদ্ধার কিশোরীর দগ্ধ দেহ। এ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে তোলপাড়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজস্থানের (Rajasthan) ভিলওয়াড়া জেলার একটি ইটভাটা থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর দেহ। ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলেই পুলিশের অনুমান। প্রমাণ লোপাট করতেই ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারা হয় কিশোরীকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে নারী নিরাপত্তার ইস্যুতে সরব বিজেপি।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ 

    পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ভোররাতে ওই কিশোরী ছাগল চরাতে যায়। সঙ্গে অবশ্য কিশোরীর মাও ছিলেন। কিন্তু হঠাৎই কিশোরীর মা লক্ষ্য করেন, আশেপাশে কোথাও তাঁর মেয়ে নেই। অনেকক্ষণ ধরে তন্নতন্ন করে খুঁজেও কিশোরীর সন্ধান পাননি তাঁর মা। এরপরে  গ্রামবাসীরাও ওই মহিলার সঙ্গে খোঁজা শুরু করেন, কিন্তু হদিশ মেলেনা কিশোরীর। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় একটি ইটভাটা থেকে কিশোরীর দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশের দল পৌঁছালে দেখতে পায়, কিশোরীর হাড়গোড়, রুপোর তোড়া ও এক পাটি জুতো পড়ে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে (Rajasthan) জানা গিয়েছে, পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, তখনও নাকি কিশোরীর দেহ আগুনে পুড়ছিল। গণধর্ষণের পরেই খুন বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ইটভাটা থেকে তিনজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।

    বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    জানা গিয়েছে, কিশোরীর দগ্ধ দেহ উদ্ধারের পরই শতাধিক গ্রামবাসী ইটভাটায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, বুধবারই ওই কিশোরী নিখোঁজ বলে থানায় অভিযোগ জানাতে যান তাঁরা। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগ গ্রহণ করতে নানা টালবাহানা করে। অন্যদিকে, এই দেহ উদ্ধারকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও চলছে রাজস্থানে (Rajasthan)। বিরোধী দল বিজেপির নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেনবলে জানা গিয়েছে। বিজেপি নেতা বিক্রম গৌড়ে এনিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেসকে। তিনি বলেন, কংগ্রেস জমানায় রাজস্থানে (Rajasthan) মহিলাদের নিরাপত্তা প্রহসন ছাড়া কিছু নয়। প্রসঙ্গত, এর আগেও বাবার সহকর্মীদের হাতে রাজস্থানে ধর্ষিতা হতে হয় ১৩ ও ১৫ বছর বয়সী দুই বোনকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: গৃহবধূ তুলতে গিয়েছিলেন ঝিঙে, দেখতে পেলেন ১১ টি তাজা বোমা!

    Hooghly: গৃহবধূ তুলতে গিয়েছিলেন ঝিঙে, দেখতে পেলেন ১১ টি তাজা বোমা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চুঁচুড়া স্টেশনের (Hooghly) অদূরেই আনন্দমঠ এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ির বারান্দা থেকে ১১ টি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। এদিন সকালের এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পাশের বাড়ির এক গৃহবধূ ওই বোমাগুলি দেখতে পান। তিনি ভেবেছিলেন, গোলাকার ওই বস্তুগুলি বোধহয় নারকেল। কিন্তু কাছে গিয়ে ভুল ভাঙে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পাড়ার লোকজনদের খবর দেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও খবর পেয়ে আসেন। খবর দেওয়া হয় চুঁচুড়া থানায়। পুলিশ ওই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করে। বস্তুত বিশাল সাইজের ওই বোমাগুলি দেখে পুলিশও অবাক। জায়গাটি সিল করে বোম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে হদিশ মিলল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন সকালে এলাকার (Hooghly) বাসিন্দা মমতা রায়ভৌমিক ঝিঙে তুলতে বাড়ি লাগোয়া জমিতে গিয়েছিলেন। ওই জমির পিছনেই একটি পরিত্যক্ত ঘর আছে। সেখানেই ওই ঘরের বারান্দায় অনেকগুলি বোমা পড়ে থাকতে দেখেন। ভয় পেয়ে পড়শিদের জানান তিনি। কিন্তু ওই বোমাগুলি এল কোথা থেকে? রেললাইন সংলগ্ন ওই এলাকা কোদালিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধানের বুথ। পঞ্চায়েত নির্বাচন সবে মিটেছে। তারপর এই বোমা উদ্ধার।

    বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূলের জবাব (Hooghly)

    স্থানীয় বিজেপি নেতা (Hooghly) সুরেশ সাউয়ের কটাক্ষ, ভোটে রিগিং করবে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে, এই উদ্দেশ্যেই শাসক দল ওই বোমাগুলি ওখানে মজুত করেছিল। কিন্তু ওই এলাকায় আমাদের মজবুত সংগঠন। কিছু করতে পারেনি। তাই এবার নিজেরাই পুলিশকে খবর দিয়ে একটা নাটক তৈরি করে বোমাগুলি সরিয়ে দিল। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান দেবাশিষ চক্রবর্তী ( টুকুন) জানিয়েছেন, এসব দুষ্কৃতীদের কাজ। আমাদের এখানে শান্ত এলাকা। আজ অবধি ভোটে কোনওদিন অশান্তি হয়নি। তাই বোমা-গুলির প্রয়োজন এখানে হয় না। ওখানে কিছু বাইরের দুষ্কৃতী আনাগোনা করছে। পুলিশ ভালভাবে তদন্ত করলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

    কী বলছে পুলিশ (Hooghly)?

    চুঁচুড়া থানার (Hooghly) এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিকভাবে বোমই মনে হচ্ছে। ওই বাড়িটিতে গত ১০ বছর ধরে কেউ থাকে না। কীভাবে বোমাগুলি ওই জায়গায় এল, সে বিষয়ে আশপাশের বাড়িগুলিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের বক্তব্য, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, কিছু অসামাজিক যুবক এখানে আনাগোনা করত। এটা তাদের কাজ হতে পারে। জোরদার তদন্ত চলছে। স্থানীয় কেউ জড়িত আছে, এটা নিশ্চিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ার পর হাওড়ার শিবপুরে তদন্তে এল এনআইএ

    NIA: রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ার পর হাওড়ার শিবপুরে তদন্তে এল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীতে হাওড়ার শিবপুরে অশান্তি ও সংঘর্ষের ঘটনার তদন্তে নামল এনআইএ (NIA)। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল আজ বৃহস্পতিবার হাওড়ার শিবপুরে আসে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগেই এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এনআইএকে। তারপর আজ এনআইএ-র একটি তিন সদস্যর প্রতিনিধি দল শিবপুর থানায় আসে। এখান থেকেই অফিসাররা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন। জানা গেছে, থানা থেকে সেদিনের ঘটনা পরম্পরার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি নির্যাতিত ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। 

    কী ঘটেছিল সেদিন?

    রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে গত ৩০ মার্চ হাওড়ার শিবপুরের কাজিপাড়া এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। অঞ্জনী সেনাপুত্র এবং আরও কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের মিছিল প্রতি বছরের মতো এবারেও একই রোড দিয়ে বার করা হয়। অভিযোগ, কাজিপাড়া মোড় থেকে মিছিল যখন হাওড়া ময়দানের দিকে আসছিল, সেই সময় পিএম বস্তির কাছে মিছিলের ওপর হামলা হয়। তা নিয়েই মিছিলকারীদের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে এবং গভীর রাত পর্যন্ত সেই খণ্ডযুদ্ধে একাধিক গাড়ি পোড়ানো হয়, একাধিক বাড়ি ভাঙচুর করা হয়, দুপক্ষের বহু মানুষ এমনকী পুলিশ কর্মীরা পর্যন্ত জখম হন।

    অশান্তি চলেছিল আরও কয়েকদিন

    এই ঘটনার পরদিন এবং তারপর তিনদিন ধরে এই অশান্তি বজায় থাকে। দফায় দফায় হামলা এবং পাল্টা হামলা চলতে থাকে ফ্ল্যাটে, বাড়িতে। অভিযোগ ওঠে, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই গন্ডগোল ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নির্ধারিত রুট দিয়ে মিছিল না যাওয়ার কারণে এবং পুলিশি অনুমোদন না থাকার কারণে এই অশান্তি বাধে। অন্যদিকে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা পুলিশের কাছ থেকে যে অনুমোদন নিয়েছি্লেন, তার প্রমাণ দেখান, এমনকী মিছিলের ওপর সংগঠিত হামলা বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, মিছিলের রুট বদল করা হয়নি, প্রতি বছরের মতো একই সময়ে একই রুটে মিছিল শুরু হয়। কিন্তু মিছিল একটু এগোতেই মিছিলের উপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলতে থাকে। প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে শিবপুর থানার পুলিশ। পরে সেই তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। সিআইডি তদন্ত শুরু করলেও পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় এনআইএকে। এই ঘটনার তদন্ত করতেই এবার এলাকায় এল এনআইএর (NIA) প্রতিনিধি দল। বাসিন্দাদের আশা, তদন্তে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Seema Haider: নামী প্রযোজক সংস্থার তরফে অভিনয়ের প্রস্তাব সীমাকে! পেলেন চাকরির অফারও

    Seema Haider: নামী প্রযোজক সংস্থার তরফে অভিনয়ের প্রস্তাব সীমাকে! পেলেন চাকরির অফারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন সীমা হায়দার (Seema Haider)। যদিও তাঁর গতিবিধির সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় বলেই মনে করেছে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা। এখনও চলছে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু পাক রহস্যময়ী ভারতের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই যেন তাঁর কপাল খুলতে শুরু করেছে। প্রতিমাসে একলাখি চাকরির অফার যেমন পেয়েছেন এই দম্পতি, ঠিক তেমনি আসছে অভিনয়ের কাজের সুযোগও। সামান্য মধ্যবিত্ত পরিবারের সচিনের আর্থিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়। কিন্তু এবার আসতে শুরু করেছে একের পর এক রোজগারের সন্ধান। 

    প্রতিমাসে একলাখি বেতনের চাকরির অফার পেয়েছে সীমা-সচিন (Seema Haider)

    চলতি সপ্তাহের গ্রেটার নয়ডার রাব্বুপুর গ্রামে সচিনের বসত বাড়িতে একটি চিঠি আসে। সে চিঠি ঘিরে পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। সুরক্ষা স্বার্থে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠির বিষয়ে জানায়। মেলে চিঠি খোলার অনুমতি!  চিঠি খুলতেই বোঝা যায় এযেন রত্নের খনি! দেখা যায় সচিন এবং সীমা উভয়কেই কাজের অফার দিয়েছেন এক গুজরাটি ব্যবসায়ী। প্রতিজনের মাসে বেতন পঞ্চাশ হাজার টাকা করে ঠিক করেছেন ওই ব্যবসায়ী। এতো গেল চাকরির সুযোগ! পাশাপাশি অভিনয়ের প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে পাকবধূ সীমা হায়দারকে (Seema Haider)। 

    অভিনয়ের অডিশনও দিয়েছেন সীমা (Seema Haider)

    বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সীমা (Seema Haider) নাকি ছবির অডিশনও ইতিমধ্যে দিয়ে ফেলেছেন। তাঁর অডিশন নিতে রব্বুপুর গ্রামে হাজির হয়েছিলেন দুই পরিচালক। জানা গিয়েছে ‘ফায়ারফক্স প্রোডাকশন হাউসের’ সদস্যরা সচিন-সীমার বাড়িতেও আসেন।  ‘আ টেলার মার্ডার স্টোরি’ নামের ওই ছবিতে নাকি ইতিমধ্যে অডিশনও দিয়েছেন পাবজি প্রেমিকা সীমা। সেখানে তাঁকে দেখা যেতে পারে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এজেন্টের ভূমিকায়। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে এখনও পর্যন্ত সীমা সম্মতি দেননি। কারণ উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা এখনও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং জেরা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব থেকে মুক্তি পেলেই তিনি অভিনয়ে নামবেন বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Employment: এমএ পাশ করেও মেলেনি চাকরি, অলংকার তৈরি করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টায় রিয়া!

    Employment: এমএ পাশ করেও মেলেনি চাকরি, অলংকার তৈরি করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টায় রিয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখে, বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে চাকরির (Employment) জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এরকম অসহায় যুবক-যুবতীর সংখ্যা এ রাজ্যে যত দিন যাচ্ছে, বেড়েই চলেছে। এঁদেরই মধ্যে কেউ কেউ মনের জোর নিয়ে নেমে পড়েছেন ব্যবসায়, খুলে ফেলেছেন চায়ের দোকান, হোটেল, এমনকি রাস্তার ধারে বসে সবজিও বেচছেন। রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং চাকরির করুণ চিত্র একটা প্রজন্মকে ক্রমশ যেন হতাশার অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। তবুও মনের জোর এবং লেগে থাকার মানসিকতা নিয়ে যাঁরা নিজে কিছু করার জন্য জীবনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তাঁদেরই একজন হলেন রিয়া। আসুন, জেনে নিই তাঁর লড়াইয়ের কাহিনি।

    কীভাবে এগিয়ে চলেছেন রিয়া?

    নদিয়ার কৃষ্ণনগর শক্তিনগরের বাসিন্দা রিয়া বিশ্বাস। বাংলায় এমএ পাশ করে আর পাঁচজন শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীর মতো তিনিও টিউশনকেই একমাত্র বেঁচে থাকার রসদ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই বুঝলেন, শুধু এই দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। তাই এর পাশাপাশি নিজের হাতে তৈরি করতে শুরু করলেন বিভিন্ন ধরনের জুয়েলারি। এমএ পাশ করার পর থেকেই চেষ্টা করছেন চাকরির (Employment)। কিন্তু ভাগ্য বিরূপ। তাই নিজের হাতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি করেন এই সমস্ত অলংকার। এখন ‌যে কোনও উৎসবের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তোলা ট্রেন্ড। তাই সামনেই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের পতাকার রঙের বিভিন্ন কারুকার্য এবং নকশা করা জুয়েলারি তৈরি করে বিক্রি করছেন তিনি। কোনও দোকানে নয়, সমস্ত জিনিসপত্র কিনে এনে বাড়িতে বসেই সেই সমস্ত জুয়েলারি বানিয়ে সরাসরি খরিদ্দারের কাছে বিক্রি করেন তিনি। শুধু স্বাধীনতা দিবসই নয়, আসন্ন বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো উপলক্ষেও বিভিন্ন ধরনের আধুনিক জুয়েলারি বানিয়ে বিক্রি করছেন। প্রথম দিকে সাধারণত শখের বসেই তিনি এই জুয়েলারি বানান। তবে ধীরে ধীরে তাঁর এই জুয়েলারির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জায়গায়। নিজের ইচ্ছাশক্তি ও অদম্য জেদ থেকেই নিজের সঙ্গে আরও মানুষকে কর্মসংস্থান করে দেওয়ার আশায় রয়েছেন তিনি। কম পুঁজিতে অধিক লাভ এই ব্যবসায়। তাই অন্যদেরও স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন রিয়া।

    কী বলছেন রিয়া?

    এ বিষয়ে রিয়া বিশ্বাস বলেন, চাকরি (Employment) না পেয়ে প্রথমে নেশা হিসেবে কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীকালে বাবা মারা যাওয়ার পর আর্থিক সংকটের কারণে এটা পেশায় পরিণত হয়। বাড়িতে দাদা রয়েছে, তিনিও কাজ করেন। কিন্তু তাঁর নিজস্ব সংসার রয়েছে। সেই কারণে কিছুটা যদি সবাইকে সাহায্য করতে পারি আর্থিক দিক থেকে, তার প্রচেষ্টাই চালাচ্ছি আমি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Allahabad High Court: ‘অপ্রাপ্তবয়স্কদের লিভ-ইন সম্পর্ক অনৈতিক ও বেআইনি’, মত এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Allahabad High Court: ‘অপ্রাপ্তবয়স্কদের লিভ-ইন সম্পর্ক অনৈতিক ও বেআইনি’, মত এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের পছন্দের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে একত্রবাস করতে পারেনা নাবালক নাবালিকারা। ১৮ বছরের কম বয়সীদের একত্রবাস শুধু অনৈতিক নয় এবং তা বেআইনিও বটে। একটি লিভ-ইন মামলার শুনানি চলাকালীন এমনটাই পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court)।

    মামলার বিস্তারিত বিবরণ

    একসঙ্গে থাকার অনুমতি চেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court) মামলা দায়ের করেছিল ১৭ বছর বয়সী আলি আব্বাস এবং তার ১৯ বছর বয়সী লিভ-ইন পার্টনার সালোনি যাদব।  সেই মামলাটির শুনানি এতদিন চলছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের(Allahabad High Court) বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি রাজেন্দ্র কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলার শুনানি চলাকালীন আব্বাস আলী এবং সালোনির এই আবেদন খারিজ করে দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ এবং ৩৬৬ ধারায় এই মামলা দায়ের করেছিল ওই দুই লিভ-ইন পার্টনার।

    আরও পড়ুন: ‘‘নন্দীগ্রামে শীঘ্রই শুরু হবে রেল প্রকল্পের কাজ’’, বললেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জিএম

    কী বলল ডিভিশন বেঞ্চ?

    ডিভিশন বেঞ্চ (Allahabad High Court) এদিন বলে, একত্রবাসের বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। দুই বিচারপতির ডিভিশন জানিয়েছে, কোনও যুগল যদি একসঙ্গে থাকতে চায় তাহলে তাদের দুজনকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। তাদের যদি বিয়ের বয়স নাও হয় তাহলে অন্তত তাদের আঠারো বছর বয়স হতে হবে। একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে ও মেয়ে একসঙ্গে থাকা বৈআইনি এবং অনৈতিক বলে পর্যবেক্ষণ করেছে আদালত (Allahabad High Court)। আদালত আরও জানিয়েছে ১৮ বছরের কম বয়সীদের নাবালক বা নাবালিকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবং তাদের একত্রবাসে থাকার অনুমতি দেওয়া যায় না। পাশাপাশি আলি আব্বাসের বয়স ১৮ এর নিচে হওয়াতে আদালতের এটাও পর্যবেক্ষণ যে পক্সো আইন শুধুমাত্র মেয়েদের ওপর যৌন শোষণের ক্ষেত্রেই বিচার্য নয়, এটি লিঙ্গ নিরপেক্ষ আইন। তাই স্বাভাবিকভাবে নাবালক নাবালিকা একসঙ্গে থাকলে তা পক্সো আইনের ধারায় মামলাযোগ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rampurhat: স্ত্রীকে হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন, দেহ বস্তায় ভরে পাচারের চেষ্টা!

    Rampurhat: স্ত্রীকে হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন, দেহ বস্তায় ভরে পাচারের চেষ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্যান্য রাজ্যে এই ধরনের ঘটনার কথা মাঝে মধ্যেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। এবার রীতিমতো রোমহর্ষক ঘটনা ঘটল খোদ বাংলায়। স্ত্রীকে খুন করে বস্তায় ভরে পাচারের চেষ্টার মতো মর্মান্তিক এবং ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এল। তবে তার আগেই হাজির হয়ে গিয়েছিল পুলিশ। বীরভূমের মল্লারপুর থানার সোঁজ গ্রামের ঘটনা। মল্লারপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তের বাড়ি লাগোয়া পুকুরপাড় থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করে। এখনও ফেরার অভিযুক্ত স্বামী। মহিলার শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে রামপুরহাট (Rampurhat) মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

    কীভাবে ঘটনার কথা জানাজানি হল?

    পাঁচ বছর আগে মেদিনীপুরে কাজে গিয়ে স্থানীয় তরুণী প্রিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সোঁজ গ্রামের সুফল মণ্ডল। বিয়েও হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, তাদের মধ্যে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত। বুধবার সন্ধেয় অশান্তি চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করে সুফল। মৃত্যুর পর দেহ চালের বস্তায় ঢুকিয়ে পুকুরপাড়ে পাচারের জন্য রেখে দেয়। প্রমাণ লোপাটে রাতে সেই বস্তাটি অন্যত্র পাচারের উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু খুনের পরে তার ছোট মেয়ের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসে। প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী (Rampurhat) অর্ঘ্য ভুঁইমালি বলেন, “আমরা যখন আসি তখন সুফল ঘরের বাইরে হন্তদন্ত হয়ে ছোটাছুটি করছিল। বলল, আমাকে বউ লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। তাই আমিও তাকে মেরেছি। তারপর গলায় দড়ি দিয়ে স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছে।” কথা পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই অন্ধকারে সে ছুটে পালিয়ে যায়। দাদা দোলগোবিন্দ মণ্ডলকে সুফলই তার স্ত্রীর মৃত্যুর খবর দিয়ে পালিয়ে যায়।

    পুলিশ (Rampurhat) প্রাথমিক তদন্তে কী জানতে পারল?

    খবর পেয়ে রামপুরহাট (Rampurhat) মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্রের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বস্তা খুলে টিনের চালের বারান্দার সামনে দেহটি উদ্ধার করে। সেখানে চাপ চাপ রক্ত পড়েছিল। একটি হেলমেট পড়েছিল। প্রিয়ার মাথায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হেলমেট দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে তাকে খুন করেছে সুফল। কিন্তু তাকে খুনের পরে দেহটি একার পক্ষে বস্তাবন্দি করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কে তাকে সাহায্য করল, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। আপাতত সুফলের মা শোভারানি মণ্ডল গড়াইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুফলের খোঁজে তল্লাশি চলছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lung Cancer: বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার সচেতনতা সপ্তাহে কী নতুন পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকরা? 

    Lung Cancer: বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার সচেতনতা সপ্তাহে কী নতুন পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফুসফুসের বাড়তি যত্ন জরুরি। শ্বাস নেওয়ার সময়েও নজর রাখতে হবে, কতখানি শুদ্ধ বাতাস ফুসফুস পেল! আর তা না হলে হয়তো ক্যান্সার বিজয়ীর তকমা পেতে হবে! কিন্তু বিজয়ী কি সকলে হতে পারবেন? বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার (Lung Cancer) সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে এই প্রশ্ন সকলের সামনে রাখল বিশেষজ্ঞ মহল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মতোই অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে এই রোগ নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি করা হয়। চিকিৎসক মহল জানাচ্ছ, সচেতনতার ঘাটতি এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মূল চ্যালেঞ্জ!

    ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের (Lung Cancer) প্রকোপ কতখানি? 

    ভারতে বাড়ছে ফুসফুসে ক্যান্সার (Lung Cancer) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর ৭০ হাজারের বেশি মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ভারতে প্রথম যে চারটি ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে, তার মধ্যে একটি ফুসফুসের ক্যান্সার। তিরিশ থেকে ষাট বছরের মধ্যে এই ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি। পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার বেশি দেখা যাচ্ছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মোট মৃত্যুর ৯ শতাংশের কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার।

    কোন উপসর্গ জানান দেয় এই রোগের (Lung Cancer)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্তের রোগ (Lung Cancer) নির্ণয়ে অনেক দেরি হয়ে যায়। উপসর্গ জানান দিলেও, শরীরকে অবহেলা এবং সচেতনতার অভাব এই রোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে রোগী সময়মতো চিকিৎসা করানোর সুযোগ পেলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। কিন্তু ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসা এতটাই দেরিতে শুরু হয় যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ৫ থেকে ৭ শতাংশ থাকে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বারবার জ্বর হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করা উচিত নয়। খুসখুসে কাশি ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম উপসর্গ। অনেকেই কাশি অবহেলা করেন। এমনকী কাশি হলে শুধু আবহাওয়ার পরিবর্তন বলে অবহেলা করেন। ফলে, পরবর্তীতে বিপদ বাড়ে। তাছাড়া অনেক সময়ই কাশি থেকে রক্তপাত হয়, যা ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম উপসর্গ বলে জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    ফুসফুসের ক্যান্সারের (Lung Cancer) ঝুঁকি বাড়ানোর নেপথ্যে কে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে তামাক! সিগারেট কিংবা বিড়ির মতো তামাকজাত দ্রব্যের অভ্যাস বিপজ্জনক। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপানের জেরে একাধিক ঝুঁকি বাড়ে। যেমন, মুখ ও গলার ক্যান্সার, স্ট্রোক, হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে ধূমপান। তবে, এই সব ক্ষেত্রে যিনি ধূমপান করছেন, তাঁর ঝুঁকি বাড়ছে। কিন্তু ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও গুরুতর। শুধু যিনি ধূমপান করছেন, তাঁর ফুসফুসের ক্যান্সারের (Lung Cancer) ঝুঁকি বাড়ছে না, ধূমপান যাঁদের সামনে করা হচ্ছে, তাঁদের ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। কারণ, ধূমপান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয়কেই সমান প্রভাব ফেলছে। এমনকী গর্ভবতী মহিলার সামনে ধূমপান করলে, গর্ভস্থ শিশুর ফুসফুসের রোগের ঝুঁকিও ৬০ শতাংশ বেড়ে যায় বলে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তদের একটা বড় অংশ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। অর্থাৎ তাঁরা নিজেরা তামাকজাত দ্রব্য সরাসরি সেবন করেন না। কিন্তু তাঁদের পরিবারের কেউ ধূমপান করেন। আর সেই ধোঁয়ার জেরে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়েছে। 
    তবে, তামাক ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানোর নেপথ্যে প্রধান কাণ্ডারি হলেও বায়ুদূষণকেও বাদ দিতে চাইছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে হারে দূষণ বাড়ছে, তা মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করছে। বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডের মতো উপাদান বাড়লে শুদ্ধ বাতাসের ঘাটতি হয়। যা ফুসফুসের জন্য একেবারেই ভালো নয়। তাই বায়ু দূষণ বাড়লে ফুসফুসের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ধূমপান সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে। কোনও ভাবেই তামাকজাত দ্রব্য সেবন করা চলবে না। এতে নিজের পাশপাশি পরিবারের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এই সচেতনতা জরুরি। প্রয়োজনে নানান কাউন্সেলিংয়ের সাহায্য নিয়ে এই অভ্যাস বর্জন করতে হবে। তার পাশপাশি নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এছাড়াও দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়ে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • TMC: ইছাপুরে দিনেরবেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, এলাকায় আতঙ্ক

    TMC: ইছাপুরে দিনেরবেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে বারাকপুর মহকুমার ইছাপুরে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটল। এক তৃণমূল (TMC) কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম তৃণমূল কর্মীর নাম রবীন দাস। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  রবীনবাবু ইছাপুর এলাকায় তৃণমূলের (TMC) সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। তিনি ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি মাঝেমধ্যেই বাজার থেকে ফুল কিনে বাড়িতে দিয়ে কাজে বের হতেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে ২১ নম্বর রেল গেটের কাছে ফুল কিনতে গিয়েছিলেন। আচমকা তিনজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই রবীনবাবুকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি করে বলে অভিযোগ। তাঁর শরীরে তিনটে গুলি লাগে। একটি গুলি হাতে লাগে। পেট ছুঁয়ে আর একটি গুলি বেরিয়ে যায়। আর অন্যটি পীঠের শিড়়দাঁড়ার পাশে লাগে। এমনিতেই সকালের দিকে ২১ নম্বর রেল গেটের কাছে বাজারে লোকজনের ভিড় লেগে থাকে। আর অফিস টাইম হওয়ায় ভিড় অনেকটাই বেশি ছিল। আচমকা গুলির শব্দ শুনে বাজারে থাকা লোকজন ছুটে পালাতে শুরু করে। দুষ্কৃতীরা বাইকে করে না পায়ে হেঁটে এসেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার পর পরই তৃণমূল কর্মী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান জগদ্দলের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তিনি বলেন, রবীনের ডাকনাম ডন। এলাকায় তিনি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। কী কারণে দুষ্কৃতীরা তাঁকে এভাবে গুলি করল তা বুঝতে পারছি না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: বর্ধমান শহরের ভিতরে ঢুকবে না বাইরের বাস, হাইকোর্টের নির্দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

    Burdwan: বর্ধমান শহরের ভিতরে ঢুকবে না বাইরের বাস, হাইকোর্টের নির্দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যানজট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন জমা পড়েছিল আদালতে। তার পরিপেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে বর্ধমান (Burdwan) শহরের ভিতর দিয়ে বাইরের বাস চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর সেই নির্দেশ কার্যকর করতে কড়া জেলা প্রশাসন। চলছে অভিযান। অন্যদিকে এই ধরনের ব্যবস্থার জেরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল শহরবাসী, যাত্রী ও বাসকর্মীদের মধ্যে।

    আগের নির্দেশই বহাল রেখেছে হাইকোর্ট

    গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বর্ধমান (Burdwan) শহরের মূল অংশের ভিতর টাউন সার্ভিস আর স্কুল বাসই শুধু চলবে বলে হাইকোর্টের বিচারপতি (সিঙ্গল বেঞ্চ) নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বড়শুল, মেমারি, খণ্ডঘোষের বাস মালিকদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে ডিভিশন বেঞ্চ আগের রায়কেই বহাল রাখে। এই নির্দেশের ফলে বর্ধমান শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া আরামবাগ, বাঁকুড়া, মেমারি, বড়শুল, খণ্ডঘোষ, রায়নার বিভিন্ন ছোট ও বড় রুটের বাস আর ঢুকবে না। সেই রায় কার্যকর করতে মঙ্গলবারই পরিবহণ দফতর ও পুলিশ যৌথভাবে উল্লাসের আলিশা বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালায়।

    কী ব্যবস্থা নিল জেলা পরিবহণ দফতর (Burdwan)?

    জেলা (Burdwan) পরিবহণ দফতরের অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক (এআরটিও) সুপ্রভাত দাস বলেন, শহরের যানজট মোকাবিলায় পূর্বেই হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছিল। কিন্তু তারপর আবারও পাল্টা কেস হয়। গত ২৬ শে জুলাই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পূর্বের রায়ই বহাল রাখে। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে ও রুট ঠিক করে দেওয়ার জন্যই আজ অভিযান চালানো হয়। বাসগুলি যাতে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট রুটে যাতায়াত করে, সেটাই বলা হচ্ছে।

    বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া (Burdwan) 

    এদিকে, শহরের (Burdwan) ভিতর বাস ঢোকায় বাধা পড়তেই ভোগান্তির মুখে পড়েন অনেক যাত্রী। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এই নির্দেশের ফলে একদিকে যেমন খরচ বাড়বে, তেমনি সময়ও অপচয় হবে।। বাসকর্মীদের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, এই নির্দেশের ফলে বাসের রুট ছোট হয়ে যাচ্ছে। তাই খরচ উঠবে না, লোকসান হবে। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়বে। যদিও যানজট মোকাবিলায় আদালতের দেওয়া নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরের একাংশ। অন্যদিকে বর্ধমান জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জানকীরঞ্জন সিনহা জানিয়েছেন, যানজট মোকাবিলায় ও দুর্ঘটনা এড়াতে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত সঠিক। তাঁরা এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছেন।।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share