Tag: Madhyom

Madhyom

  • Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় নেই নয়া দিশা! শুধু গতানুগতিক ফিভার ক্লিনিক সমস্যা রুখতে পারবে?

    Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় নেই নয়া দিশা! শুধু গতানুগতিক ফিভার ক্লিনিক সমস্যা রুখতে পারবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গি সংক্রমণ চিন্তা বাড়াচ্ছে। গত কয়েক দিনে রাজ্যে সাত জন ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। আর তার পরেই বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য সচিব। কিন্তু বৈঠকে গতানুগতিক কিছু সিদ্ধান্ত ছাড়া, পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন কোনও দিশা নেই বলেই মনে করছে প্রশাসনের একাংশ।

    কী সিদ্ধান্ত (Dengue) হল স্বাস্থ্য সচিবের বৈঠকে? 

    নদিয়া, কলকাত সহ একাধিক জেলায় ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের মৃত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বৈঠকে বসেছিলেন। এই বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং সরকারি হাসপাতালের সুপার। এছাড়াও একাধিক স্বাস্থ্য কর্তা এই বৈঠকে ছিলেন। এই বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব জানান, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে কেউ এলেই, তার ডেঙ্গি পরীক্ষা করতে হবে। প্রত্যেক বছরের মতোই হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালু হবে। আক্রান্তের চিকিৎসার ক্ষেত্রে শয্যার যাতে সঙ্কট না হয়, তার আগাম ব্যবস্থা করতে হবে। অকারণ রেফার চলবে না। ডেঙ্গি আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য বিসি রায় শিশু হাসপাতালকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশপাশি, রক্তের সঙ্কট আটকাতে প্লেটলেট সংক্রান্ত যে নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতর দিয়েছিল, অর্থাৎ, দশ হাজারের কম হলে তবেই প্লেটলেট দেওয়া হবে, সেই নির্দেশ মেনে কাজ করতে হবে বলে এদিন ফের জানান স্বাস্থ্য সচিব। 
    সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদিয়া এবং হুগলি জেলার উপরে বাড়তি নজরদারির কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, নদিয়া ও উত্তর চব্বিশ পরগনা, এই দুই জেলার বর্ডার এলাকায় বাড়তি নজর দিতে হবে। সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় মোকাবিলা করতে হবে।

    কতখানি কার্যকরী এই সিদ্ধান্ত (Dengue)? 

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় এই গতানুগতিক ফিভার ক্লিনিক পর্যাপ্ত নয় বলেই মনে করছে প্রশাসনের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, প্রত্যেক বছর ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়। কিন্তু তারপরেও রোগী ভোগান্তি অব্যাহত থাকে। ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে প্রত্যেক এলাকায় প্রশাসনের সক্রিয়তা জরুরি। যা হয় না। বর্ষার মরশুমে অধিকাংশ জায়গায় জল জমছে। রাস্তা, পার্ক, বসতি এলাকা অপরিচ্ছন্ন। আর তার জেরেই বাড়ছে মশার উৎপাত। মশা দমন করতে না পারলে ডেঙ্গি কমানো মুশকিল। আর এই কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও পুর, পঞ্চায়েত দফতরের একসঙ্গে সক্রিয়তা জরুরি। যে সব জেলা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, অর্থাৎ, হুগলি, নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, এই সব জেলার বাসিন্দারা নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও কাজ হয় না। তাই এই সব এলাকায় মশার উপদ্রব বেশি। চিন্তা বাড়ায় ডেঙ্গি সংক্রমণ। তাছাড়া, রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত আসে না। ফলে, একদিকে আক্রান্তের চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়, আরেকদিকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই প্রশাসনের একাংশ মনে করছে, গতানুগতিক কিছু সিদ্ধান্ত নয়। ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসনের হাতে কলমে কাজ করতে হবে। যার অভাব রয়েছে। তার জেরেই ভোগান্তি বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডির! ২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

    Kalighater Kaku: সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডির! ২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করল ইডি। গ্রেফতারির ৫৯ দিনের মাথায় এই চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মোট ১২৬ পাতার এই চার্জশিটে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে তদন্তকারী সংস্থা। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ২০ কোটি টাকার তছরূপের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন কালীঘাটের কাকু। প্রিভেনশন অফ কোরাপশন অ্যাক্টের ৪ নম্বর ধারায় চার্জশিট জমা দেয় ইডি।

    কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) বিরুদ্ধে  চার্জশিট পেশ করল ইডি

    এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে এই চার্জশিট পেশ করে ইডি। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে ১২৬ পাতার চার্জশিটে রয়েছে প্রায় ৭০০০ পাতার নথি। এদিন ট্রাঙ্কে করে কাগজ এনে তা জমা দেন ইডির অফিসাররা। সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ এনেছে ইডি। সুজয়কৃষ্ণ দুটি সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। চার্জশিটে নাম রয়েছে ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেড এবং এসডি কনসালটেন্সির। এই সংস্থাগুলির সাহায্যে কালো টাকা সাদা করা হতো বলে নিশ্চিত ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি শেয়ারে বিনিয়োগের মাধ্যমেও সুজয়কৃষ্ণ কালো টাকা সাদা করতেন বলে অভিযোগ। কীভাবে কালো টাকা সাদা করা হতো তার উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে।

    কাকুর জামিনের আবেদন খারিজ

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) জামিনের আবেদন ফের খারিজ করে ব্যাঙ্কশাল আদালত। সম্প্রতি তাঁর হৃদযন্ত্রের ধমনীতে সমস্যা ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর ওপেন হার্ট সার্জারিও করানো হতে পারে বলে খবর মিলেছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে জামিনের আবেদন করেন কাকুর আইনজীবী। এবিষয়ে বিচারক বলেন, ‘‘বাংলার গর্ব হল এসএসকেএম হাসপাতাল। সেখানে চিকিৎসা করান।’’ তবে কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) ধারণা, তাঁর অস্ত্রোপচার বেসরকারি হাসপাতালেও করতে হতে পারে। তাই নিম্নআদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কাকু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ইসলামপুরে বাম নেতার ছেলেকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, শরীর ক্ষতবিক্ষত!

    Uttar Dinajpur: ইসলামপুরে বাম নেতার ছেলেকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, শরীর ক্ষতবিক্ষত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার ইসলামপুরে ছুরিকাহত হয়ে অসীম সাহার মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার চোপড়ায় বাম নেতার ছেলেকে ধারালো অস্ত্রের কোপ। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সেই যুবক। তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আহত ওই যুবকের নাম রবিউল হাবিব (৩২)। তার পিতা মোকলেশ্বর রহমান এলাকার প্রভাবশালী বাম নেতা। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় দলুয়া এলাকায় এক অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন রবিউল। গভীর রাতে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে আখতার আলি নামে এক ব্যক্তি তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তাঁর শরীরের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষত রয়েছে।

    শাসক দলের (Uttar Dinajpur) বিরুদ্ধেই অভিযোগ

    এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক হিংসা রয়েছে বলে অনুমান করছেন স্থানীয় বাম নেতৃত্ব। তাদের অনুমান, শাসক দল তৃণমূলের মদতেই ঘটনাটি ঘটেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আহত রবিউলের পিতা মোকলেশ্বর রহমান বলেন, “আমি বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ দেখি ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে আসে। আমি কোনওদিক না দেখে গাড়ি করে ছেলেকে নিয়ে সোজা ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে আসি। ওর শরীরের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষত রয়েছে। কী কারণে ওর উপরে হামলা হল, তা এখনই বুঝতে পারছি না।” অপরদিকে, সিপিআইএমের জেলা কমিটির সদস্য বিকাশ দাস বলেন,” আমরা খবর পাই যে আমাদেরই সদস্য মোকলেশ্বর রহমানের ছেলেকে কেউ বা কারা রাতের অন্ধকারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছে। আমরা তড়িঘড়ি ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে (Uttar Dinajpur) ছুটে আসি। ওর অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। চা গাছ কাটার যে ‘হাসুয়া’ রয়েছে সেই অস্ত্র দিয়েই তার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই আমাদের অনুমান।”

    কী বললেন তৃণমূল জেলা সভাপতি (Uttar Dinajpur)?

    অপরদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি (Uttar Dinajpur) কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “এ ঘটনার সাথে তৃণমূল জড়িত নয়। অভিযুক্ত যাতে দ্রুত গ্রেফতার হয় এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয় তা পুলিশকে জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রতিবাদী কবিতা লিখে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত নদিয়ার সাহিত্যিক, সর্বত্র নিন্দার ঝড়

    Nadia: প্রতিবাদী কবিতা লিখে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত নদিয়ার সাহিত্যিক, সর্বত্র নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল নদিয়ার শান্তিপুরের গোবিন্দপুর এলাকার নিজের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তায় বেশ কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী কবি কল্লোল সরকারের ওপর আক্রমণ চালায়। কবির দোষ, কেন সরকারের বিরুদ্ধে কবিতা লিখলেন! আর তাই আক্রান্ত কবি কল্লোল সরকার আজ শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন। এরপর থানায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় সাহিত্যিক মহলে তীব্র নিন্দার ঝড়।

    কবির ঠিক অভিযোগ কী (Nadia)?

    শান্তিপুরের (Nadia) কবি কল্লোল সরকার জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কিছু দিন আগেই একটি প্রতিবাদী কবিতা প্রকাশ করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজ্যের ধর্ষণ, হিংসা, হানাহানির কথা বলে সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। আর তাই নিয়েই শোরগোল পড়ে যায়, এমনকি তাঁকে একাধিকবার শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল, বিকেলে কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরার পথে শান্তিপুরের গলায়দড়ি বটতলা এলাকায় বেশ কিছু তৃণমূলের দুষ্কৃতী তাঁর ওপর আক্রমণ চালায়। তাঁকে একাধিকবার চড়, কিল, লাথি মারা হয়। এরপর এলাকাবাসী সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পরেই কবি কল্লোল সরকার শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

    কবিতায় কী লিখেছেন?

    কবি কল্লোল সরকার (Nadia) বলেন, তাঁর কবিতার মধ্য দিয়ে বাস্তব চিত্র তুলে ধরার কারণেই দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তাঁর কবিতায় রয়েছে, “বুদ্ধিজীবী তকমা নিয়ে/উল্লাসে চিৎকার করে/যারা বাংলাকে ধর্ষণ করে চলে!/আমি ঘৃণা করি,/আমি ঘৃণা করি যারা সরকারের পা চেটে চলে”। যারা এই রাজ্যে ধর্ষণ দেখে চুপ থাকে, সেইসব বুদ্ধিজীবী এবং চটিচাটা মানুষকে ঘৃণা করেন কবি। অরাজক রাজ্যের পরিস্থিতিতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কলরবের কথা বলেছেন। স্বপ্ন দেখার মানুষগুলি শকুনের চঞ্চুতে বন্দি হয়ে রয়েছেন। চারিদিকে বিষাদ আর বিষাদে কবি স্তব্ধ। এই ভাবেই বর্তমান সময়কে তুলে ধরেন কবিতায়। যারা কবিকে মারধর করল, তারা প্রত্যেকে তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত। এই ঘটনায় রীতিমতো নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • World Hepatitis Day: বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে কী বার্তা দিলেন চিকিৎসকরা?

    World Hepatitis Day: বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে কী বার্তা দিলেন চিকিৎসকরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ওয়ান লাইফ, ওয়ান লিভার! সুস্থ জীবন যাপনের জন্য লিভার সুস্থ থাকা হল প্রাথমিক শর্ত! বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে (World Hepatitis Day) এই বার্তাই দিল চিকিৎসক মহল। শুক্রবার ওয়ার্ল্ড হেপাটাইটিস ডে! বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে লিভারজনিত সমস্যা। হেপাটাইটিসের জেরে প্রাণ যাচ্ছে বহু মানুষের। আর তাই সচেতনতাকে হাতিয়ার করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    হেপাটাইটিস কী (World Hepatitis Day)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস লিভারের রোগ। পাঁচ ধরনের হেপাটাইটিস হয় (World Hepatitis Day)। এ, বি, সি, ডি এবং ই। এ এবং ই হল জলবাহিত রোগ। বর্ষার সময় অপরিচ্ছন্ন জল থেকে হতে পারে হেপাটাইটিস এ। বিশেষত শিশুদের জন্য যা মারাত্মক। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অবশ্য হেপাটাইটিস ই প্রাণঘাতী বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। হেপাটাইটিস ই হয় জল থেকেই। গর্ভবতী মহিলার এই লিভারঘটিত সমস্যা প্রাণ সংশয় তৈরি করে। তবে, হেপাটাইটিস বি এবং সি সংক্রমিত হয় রক্তের মাধ্যমে। আবার হেপাটাইটিস বি অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মায়ের দেহে হেপাটাইটিস বি থাকলে, সন্তানের দেহে তা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

    হেপাটাইটিসের (World Hepatitis Day) উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের হেপাটাইটিসের উপসর্গে কিছু মিল রয়েছে। যেমন, হেপাটাইটিস আক্রান্তের চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়। চামড়া খসখসে হয়ে যায়। এছাড়াও, হাত ও পায়ের পাতা অস্বাভাবিক রকমের ফ্যাকাসে হয়ে যায়। এছাড়াও পেটে যন্ত্রণা হয়। হাত-পায়ের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। জ্বর ও বমির মতো উপসর্গও দেখা দেয়।

    কীভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সচেতনতা কমাতে পারে হেপাটাইটিসের বিপদ (World Hepatitis Day)। তাঁদের পরামর্শ পরিশ্রুত জলের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। হেপাটাইটিস এ ও ই যেহেতু জলবাহিত রোগ, তাই পরিশ্রুত জলের উপর বাড়তি নজর দিতে হবে। বিশেষত, শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের সব সময়েই জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, হেপাটাইটিস রুখতে টিকাকরণ সবচেয়ে জরুরি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। হেপাটাইটিস বি-র মতো মারণ রোগ নিয়ন্ত্রণে টিকা সবচেয়ে কার্যকর। তাই টিকা নিতেই হবে। পাশপাশি, হেপাটাইটিস রয়েছে কিনা, তা যাচাই করতে প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা দরকার। বিশেষত গর্ভবতীদের এই স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা আবশ্যিক। যদি কোনও গর্ভবতীর হেপাটাইটিস বি-র মতো সংক্রমণ থাকে, তাহলে তার বাড়তি নজরদারি জরুরি। সদ্যোজাত যাতে হেপাটাইটিস বি রোগে আক্রান্ত না হয়, তার জন্য জন্মের পরেই তার টিকাকরণ প্রয়োজন। এই সব দিক নজরে রাখলে হেপাটাইটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, আর সুস্থ দীর্ঘ জীবন যাপন সহজ হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Howrah: হাওড়া যেন জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হচ্ছে, আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে পুকুর ও জলাশয়ও!

    Howrah: হাওড়া যেন জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হচ্ছে, আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে পুকুর ও জলাশয়ও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া শহরকে পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে হাওড়া (Howrah) পুরসভার উদ্যোগে ঘটা করে বিভিন্ন জায়গায় ময়লা তোলার নতুন ভ্যাট উদ্বোধন হয়েছে কিছুদিন আগেই। পুরসভা বাজার এলাকা থেকে জঞ্জাল চার্জ নেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু তার পরেও হাওড়া শহর নোংরাই থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে সময় মতো নোংরা-আবর্জনা না তোলার অভিযোগ তো রয়েছেই, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শহরের পুকুরগুলিতে নোংরা ফেলার অভিযোগ। হাওড়া শহরে এমনিতেই পুকুর বুজতে বুজতে জলাশয়ের অস্তিত্ব মুছতে শরু করেছে। যে কটা অবশিষ্ট আছে, সেখানেও পুকুর পাড়েই বাসিন্দারা নোংরা-আবর্জনা ফেলতে শুরু করেছেন। সেই নোংরা পুরসভার জঞ্জাল সাফাইয়ের গাড়ি তুলে নিয়েও যাচ্ছে না। ফলে সেই আবর্জনা পুকুর পাড় থেকে পুকুরের জলে মিশে পুকুরের জলকে দূষিত করে তুলছে। হাওড়া শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে যে কটি পুকুর অবশিষ্ট আছে তার বেশিরভাগ পুকুরেই এই ছবি দেখা যাবে। ফলে শহর পরিষ্কার তো হচ্ছে না উলটে দূষণ বেড়েই চলেছে। বাসিন্দাদের দাবি, শহরে ভ্যাটের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি এই নোংরা যাতে সময় মতো তোলা হয়, সেদিকে পুরসভার জোর দেওয়া উচিত।

    কী অভিযোগ করছেন পুর নাগরিকরা (Howrah)?

    হাওড়া শহর জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় নোংরা জমে থাকা পুকুরগুলি পরিষ্কারের জন্যে ইতিমধ্যেই হাওড়া পুরসভাকে চিঠি দিয়েছেন নাগরিকরা। তার পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। হাওড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাকলি দত্ত জানান, মধুসুদন পাল চৌধুরি লেনের (Howrah) কাছে একটি পুকুর দীর্ঘদিন নোংরা-আবর্জনায় ভরে রয়েছে৷ পুরসভার কাছে আবেদন করা সত্ত্বেও সেই পুকুর সংস্কার করা হয়নি। হাওড়ার ডুমুরজলার বাসিন্দা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক সুকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, পুরসভা পুকুরগুলি থেকে নোংরা তুলছে না। আর এই সুযোগকে কাজে  লাগিয়েই এক শ্রেণির লোক পুকুর পাড়ে নোংরা ফেলে একটু একটু করে পুকুরগুলিকে বুজিয়ে ফেলছে। তাই পরিবেশ রক্ষায় খুব দ্রুত পুকুরগুলি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, পুকুরের নোংরা আবর্জনা তুলে ফেলা হচ্ছে না বলেই দূষণ বাড়ছে।

    কী জানালেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান (Howrah)?

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ডক্টর সুজয় চক্রবর্তী বলেন, হাওড়া (Howrah) শহরের পুকুরগুলিতে এভাবে নোংরা ফেলা হচ্ছে, তা ইতিমধ্যেই পুরসভার নজরে এসেছে। তাই পুরসভার পক্ষ থেকে হাওড়া পুর এলাকায় ব্যক্তিগত ও ভেস্টেড এলাকা মিলিয়ে ১১০ টি পুকুরের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী পুকুর পাড়গুলিকে বাঁধিয়ে দিয়ে বেড়া দিয়ে দেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই পরিকল্পনা রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে৷ ফান্ড এলেই কাজ শুরু হবে। আপাতত নাগরিকরা যাতে এভাবে পুকুরের পাড়ে নোংরা না ফেলে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: তৃণমূল প্রধানের পদ বিক্রি হচ্ছে ৩০ লাখে! জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগে শোরগোল

    Asansol: তৃণমূল প্রধানের পদ বিক্রি হচ্ছে ৩০ লাখে! জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে (Asansol) পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন, ভোট, গণনা ও ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী ও কর্মীরা। জামুরিয়ায় ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি।

    ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের পাশে জিতেন্দ্র তেওয়ারি (Asansol)

    রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ি-ঘরছাড়া, লুটপাট, আক্রমণ, বাড়িঘর ভাঙচুর, খুন, হত্যা, মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় বারবার বিজেপি সরব হয়েছে। এই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা কেমন আছেন, তা দেখতেই বৃহস্পতিবার জামুরিয়া (Asansol) বিধানসভা অন্তর্গত তপসি বাহাদুরপুর লালগোলা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের সাথে দেখা করলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি। বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসীদের বাড়ি গিয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, যেভাবে বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চলেছে এবং ভোট লুট হয়েছে রাজ্যে অবিলম্বে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করা উচিত। তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই! সমস্তটাই চলে গেছে কয়লা চোর, বালি চোর, লোহা মাফিয়াদের হাতে। সারা রাজ্য জুড়ে এক অগণতান্ত্রিক এবং হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী বললেন?

    এদিন জিতেন্দ্র তেওয়ারি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস গ্রাম পঞ্চায়েতে হিংসার আশ্রয় করে জয়লাভ করেছে। এই নির্বাচনে টাকা দিয়ে টিকিট বিক্রি করেছে তৃণমূল। প্রার্থীর পদ বিক্রির দর উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধানের পদের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদের জন্য ৬০ লক্ষ টাকা। এই টাকা দেবে কয়লা চোর, বালি চোরেরা। তাদের হাতেই পঞ্চায়েত চালানোর দায়িত্ব থাকবে। সাধারণ মানুষ যেমন আগেও বঞ্চিত হয়েছে, এবারও বঞ্চিত হবে বলে তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বিজেপি একটি বড় পরিবার। ভোটের পর সকল সদস্যরা কেমন আছেন, তা জানতেই জামুরিয়াতে এসেছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়া থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা সকল স্তরেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। তাই তাঁদের সাথে দেখা করাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান ও সমিতির সদস্যদের পদ বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় (Asansol) তৃণমূল নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রানাঘাটে ডেঙ্গির সংক্রমণ ভয়াবহ, পুরসভাকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    Nadia: রানাঘাটে ডেঙ্গির সংক্রমণ ভয়াবহ, পুরসভাকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাট (Nadia) সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে নদিয়ার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে রোগী ভর্তির জায়গা পর্যন্ত নেই। যে সমস্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসছেন, তাঁদের নব্বই শতাংশই জ্বরের রোগী অথবা ডেঙ্গি আক্রান্ত। একই বেডে থাকতে হচ্ছে দু থেকে তিনজনকে, থাকতে হচ্ছে হাসপাতালের করিডরে অথবা মেঝেতেও। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে। এমনটাই দাবি রোগী পরিবারগুলির। অপর দিকে বিজেপির অভিযোগ পুরসভার দিকে। সবটা মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগের।

    পুরসভার দিকে অভিযোগের আঙুল বিজেপির (Nadia)

    বর্তমানে রানাঘাটে (Nadia) ডেঙ্গির ভয়াবহতা নিয়ে রানাঘাট পুরসভার দিকে আঙুল তুলছেন রানাঘাট পৌরসভার বিরোধী বিজেপি কাউন্সিলার কামনাশিষ চ্যাটার্জি। তাঁর বক্তব্য, প্রথম থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধে একাধিকবার রানাঘাট পৌরসভায় চিঠি করেছিলাম, কিন্তু পুরসভা কোনও গুরুত্ব দেয়নি। আগে থেকে কোনও রকম সচেতনতার প্রচার পুরসভা করেনি। পুরসভার প্রধানকে বারবার কীটনাশক তেলের ব্যবস্থা করে এলাকায় দেওয়ার কথা বলেছিলাম, কিন্তু কোনও উদ্যোগের চিত্র নজরে আসেনি। চোর পালালে বুদ্ধি আসে! আর তাই ডেঙ্গি যখন মারাত্মক তখন পুরসভার জ্ঞান ফিরেছে। তিনি আরও বলেন, আগে থেকে যদি ডেঙ্গি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিত পুরসভা, তাহলে আজকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাটা এতো বাড়তো না।

    পুরসভার বক্তব্য

    বিরোধী বিজেপি কাউন্সিলারের তোলা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে রানাঘাট (Nadia) পুরসভার পুরপ্রধান কৌশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা ঠিক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু বিজেপি কাউন্সিলারের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, প্রথম থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধের সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা। প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে করা হচ্ছে সার্ভে, এছাড়াও ড্রেন থেকে শুরু করে জলাশয়ের জায়গাগুলিতে দেওয়া হয়েছে কীটনাশক তেল। কলকাতা থেকে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা এসে করছেন পর্যবেক্ষণ।

    তবে ডেঙ্গি সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সাথে যোগাযোগ করলে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malaria: ডেঙ্গির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ম্যালেরিয়া! জোড়া আক্রমণে নাজেহাল বঙ্গবাসী!

    Malaria: ডেঙ্গির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ম্যালেরিয়া! জোড়া আক্রমণে নাজেহাল বঙ্গবাসী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যেক বছর ডেঙ্গির দাপটে নাজেহাল হয় বঙ্গবাসী। এবার তার সঙ্গে শক্তি বাড়িয়েছে ম্যালেরিয়া (Malaria)। যার জেরে ভোগান্তি আরও বাড়ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মশার এই জোড়া আক্রমণ সামলাতে পারবে কি রাজ্য প্রশাসন? নাকি ডেঙ্গির মতো ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে? উদ্বিগ্ন রাজ্যবাসী!

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট (Malaria)? 

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহেই ম্যালেরিয়া (Malaria) সংক্রমণ ছড়িয়েছে দ্বিগুণ। তাই উদ্বেগ বাড়ছে। ২০২২ সালে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬২৬ জন। কিন্তু ২০২৩ সালের জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১২৯০ জন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। 
    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিশেষত, গিরিশ পার্ক, শোভাবাজার, শিয়ালদহ, কসবা, খিদিরপুরে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ মারাত্মক। তবে, কলকাতার পাশপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং হাওড়া। এই তিন জেলাতেও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। সংক্রমণ আরও ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ।

    কেন বাড়ছে ম্যালেরিয়ার (Malaria) প্রকোপ? 

    পতঙ্গবিদরা জানাচ্ছেন, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের জন্য বাড়ছে ম্যালেরিয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়ার (Malaria) সংক্রমণ বহন করে স্ত্রী অ্যানোফিলিস স্টিফেনসাই। এই মশার প্রজাতি জমা জলে বংশ বিস্তার করে। বিশেষত, বড় জায়গার জমা জল, যেখানে সূর্যের আলো পড়ে, সেখানেই ম্যালেরিয়ার রোগ বহনকারী মশার আঁতুড় ঘর। আর শহরের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হলেই জল জমে। বৃষ্টি কমলেও, শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল সরতে কয়েক দিন সময় লাগে। আর জমা জল থেকেই বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। শহরের রাস্তায় জল জমা বন্ধ করতে না পারলে কিংবা নর্দমা অপরিচ্ছন্ন থাকলে ম্যালেরিয়া থেকে রেহাই পাওয়া কঠিন বলেই মনে করছেন পতঙ্গবিদরা।

    ম্যালেরিয়া (Malaria) রুখতে কী করবেন সাধারণ মানুষ? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, ম্যালেরিয়া (Malaria) রুখতে নিজের বাড়ি ও আশপাশ পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ নজর দিক এলাকাবাসী। ছাদে কিংবা বাগানে যাতে কোনও ভাবেই জল না জমে, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হোক। পাশপাশি, নিকাশির সমস্যা হলে পুরসভাকেও জানাতে হবে। কারণ, পরিষ্কার পরিবেশ না থাকলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ মুশকিল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    তবে, জ্বর হলে মোটেও অবহেলা করা চলবে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর টানা তিন দিন থাকলে, অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। যাতে সময় মতো চিকিৎসা শুরু করা যায়।

    ম্যালেরিয়া রুখতে কী পদক্ষেপ করবে স্বাস্থ্য দফতর? 

    স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী অবশ্য জানিয়েছেন, ম্যালেরিয়া (Malaria) রুখতে পারেন সাধারণ মানুষ। তিনি জানান, মানুষের সচেতনতা না থাকলে এই সমস্যা আটকানো যাবে না। তবে, ডেঙ্গির মতো ম্যালেরিয়া ভয়াবহ হবে না। কারণ, তার চিকিৎসা রয়েছে। 
    কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শুধুই সাধারণ মানুষের সচেতনতা গড়ার কাজ কি যথেষ্ট? ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ রুখতে প্রশাসনের আরও তৎপরতার কি প্রয়োজন নেই? সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “প্রশাসন দায়িত্ব পালন করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ! কোন কোন জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে?

    Weather Update: উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ! কোন কোন জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে মানুষের বৃষ্টির আক্ষেপ (Weather Update) এবার দূর হতে চলেছে। অন্তত তেমনটাই খবর মিলেছে হাওয়া অফিস সূত্রে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয়েছে প্রবল নিম্নচাপ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এর জেরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে। তবে রবিবার থেকে বাড়বে বৃষ্টির দাপট। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত চলবে নিম্নচাপের কারণে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের এই ঘোষণার পরেই মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২৮ তারিখ থেকেই ফুঁসবে সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের তাই আজ ২৮ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই সাগরে মাছ ধরতে না যাওয়ার সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

    নিম্নচাপের খুঁটিনাটি

    বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে নিম্নচাপটি (Weather Update)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্তের আকার নিয়েছে ওই নিম্নচাপ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেটি আরও শক্তিশালী হবে। নিম্নচাপের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে হাওয়া অফিস। এই নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তাদের মতে, এই মুহূর্তে মৌসুমী অক্ষরেখা বাংলার উপরে অবস্থান করছে না। সেকারণে সেভাবে রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। 

    উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস…

    দক্ষিণবঙ্গের কম বেশি সব জেলাতেই আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়া একই রকম থাকবে বলে জানা গিয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতেই দিনভর ভিজবে দক্ষিণবঙ্গবাসী। তবে কখনও মেঘ কখনও রোদ আবার কখনও হালকা বৃষ্টি, এ খেলা চলবে। আলিপুরের অধিকর্তারা (Weather Update) জানাচ্ছেন, ২৯ তারিখের পর থেকে বৃষ্টির দাপট ফের বাড়তে শুরু করবে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই জেলাতেই ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন, হাওয়া অফিস। আগামী পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গে একনাগাড়ে চলবে বৃষ্টি। জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কার্শিয়াং, আলিপুরদুয়ার জেলাতে ব্যাপক বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গের মানুষ চলিত বছরের বর্ষায় (Weather Update) বৃষ্টি থেকে একেবারেই বঞ্চিত। এর জেরে ক্ষতি হচ্ছে চাষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share