Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bankura: “দিদি আমাদের ন্যায় চাই, টাকা ফেরত চাই” দাবিতে তৃণমূল কর্মীর অবস্থান-বিক্ষোভ

    Bankura: “দিদি আমাদের ন্যায় চাই, টাকা ফেরত চাই” দাবিতে তৃণমূল কর্মীর অবস্থান-বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৭০ জনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তুলে ওন্দা (Bankura) তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে ধর্নাতে বসলেন বহুল চর্চিত তৃণমূল সমর্থক প্রতিবাদী মহিলা প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক প্রতারিত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের হাতে ছিল তৃণমূলের দলীয় পতাকা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। মূল অভিযোগ হল ওন্দা ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আশিষ দে’র বিরুদ্ধে।

    মূল দাবি কী (Bankura)?

    প্রতিবাদী তৃণমূল সমর্থকদের দাবি, দিদি আমাদের ন্যায় চাই, টাকা ফেরত চাই! আশিষ দে তৃণমূলের কলঙ্ক। ওন্দা (Bankura) ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তম কুমার বিটের সহযোগিতায় প্রতারিত প্রিয়ঙ্কা গোস্বামী, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আশিষ দে’র কাছ থেকে অর্ধেক টাকা ফেরত পেলেও বাকিরা এখনও পর্যন্ত ফেরত পাননি। তাই আজ তাঁরা ওন্দা তৃণমূল ব্লক পার্টি অফিসের সামনে টাকা ফেরত পেতে ধর্নাতে বসেছেন।

    পুলিশের কাছে আগেও অভিযোগ করেছিলেন

    প্রসঙ্গত রামসাগরের (Bankura) বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা গোস্বামীর অভিযোগ ছিল, বর্তমানে ওন্দা ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আশিষ দে করোনা কালে ‘বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেন’। এ বিষয়ে তিনি পুলিশেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে গত ১২ জুলাই রামসাগরে বাজারে তাঁর স্বামী সুব্রত গোস্বামী এবং তাঁর বন্ধুদের নিয়ে পিকনিক করছিলেন। আর সেই সময় আশিষ দে ও তাঁর সঙ্গী দোলন পরামানিক সহ অন্যান্যরা তাঁদের উপর হামলা চালান। পরে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে, তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন। ওই ঘটনার পর গত ১৫ জুলাই ওন্দা ব্লকের সাধারণ সম্পাদক আশিষ দে ও তাঁর সঙ্গী দলীয় কর্মী দোলন পরামানিককে ওন্দা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক আশীষ দে ও দোলন পরামানিকের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    উল্লেখ্য গত ১২ এপ্রিল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওন্দায় এলে আর্থিক প্রতারণার বিষয়টি তাঁর নজরেও এনেছিলেন এই প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Transport: বাবুঘাট থেকে সরিয়ে সাঁতরাগাছি, নয়া বাস টার্মিনাসের প্রকল্পও কি ফাইলবন্দি?

    West Bengal Transport: বাবুঘাট থেকে সরিয়ে সাঁতরাগাছি, নয়া বাস টার্মিনাসের প্রকল্পও কি ফাইলবন্দি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে যানজট কমাতে রাজ্য পরিবহণ দফতরের (West Bengal Transport) উদ্যোগে কয়েক বছর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কলকাতার বাবুঘাটের আন্তঃরাজ্য বাসস্ট্যান্ডকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর কেটে গেলেও এখনও সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসে সরানো যায়নি বাবুঘাট বাসস্ট্যান্ডকে। সম্প্রতি আদালত নির্দেশ দেয় দ্রুত এই বাসস্ট্যান্ড বাবুঘাট থেকে সাঁতরাগাছিতে সরানোর৷ তার পরেও সেই নির্দেশ মানা হয়নি।

    সারাদিন ফাঁকাই পড়ে থাকে টার্মিনাস

    বাস চালক থেকে পরিবহণের (West Bengal Transport) সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা জানান, সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ড এখনও সম্পূর্ণ তৈরি হয়নি। কারণ সেখান থেকে সহজে বাসগুলি কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে বেরনো বা ঢোকার জন্য যে উড়ালপুল নির্মাণ হচ্ছিল, সেটি অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। বাস টার্মিনাসে প্রথমে সাঁতরাগাছি স্টেশন সংলগ্ন বাসগুলি দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানা হয় না। শুধুমাত্র সাঁতরাগাছি স্টেশনের কাছ থেকে যে সব বাস কলকাতা বা দক্ষিণবঙ্গের উদ্দেশে ছাড়ে সেই বাসগুলি রাতে পার্কিং-এর জন্য এই নব নির্মিত বাস টার্মিনাস ব্যবহার করে৷ বাকি সময় এখান থেকে কোনও বাস চলে না৷ সারা দিন ফাঁকা, ধু ধু করে বাস টার্মিনাস। বর্তমানে অবশ্য কলকাতা বন্দরে যাতায়াতকারী বড় বড় লরি ও কন্টেনারগুলি এখানে পার্কিং করে রাখা হয়।

    উড়ালপুল হল না, মিটল না জল জমার সমস্যাও

    বাসযাত্রীরা জানান, কলকাতা থেকে সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসে ঢুকতে গেলে বাঁ দিকে সহজেই বাসগুলি ঢুকতে পারে। কিন্তু এই টার্মিনাস থেকে বাস ছেড়ে কলকাতার দিকে আসতে হলে অনেকটা জাতীয় সড়কের দিকে এসে সেখান থেকে ইউটার্ন করে আসতে হয়৷ যে সব বাস জাতীয় সড়কের দিক থেকে এই বাস টার্মিনাসে আসতে চায়, তাদেরও একই সমস্যা। তাদের সাঁতরাগাছি স্টেশনের কাছ থেকে ইউটার্ন করে ঢুকতে হয়। এই সমস্যা দূর করতেই বাস টার্মিনাস তৈরির কিছুদিন পর এখানে একটি ফ্লাইওভার তোরির কাজ শুরু হয়।  কিন্তু সেটিও কিছুটা কাজ এগনোর পর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (West Bengal Transport) বাস টার্মিনাস পরিদর্শন করে বলেন, এবার দ্রুত ফ্লাই ওভার শেষ হয়ে যাবে। এই টার্মিনাসে জল জমার একটা সমস্যা রয়েছে। তাই নিকাশি সমস্যা মেটাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু সেই সমস্যাও মেটেনি। ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হয়নি। এমনকি বর্ষা কালে এই বাসস্ট্যান্ডে জল জমে যায়, সেই সমস্যাও মেটেনি।

    কী বলছেন যাত্রীরা (West Bengal Transport)?

    এদিকে রেল যাত্রীদের অভিযোগ, সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে এই নতুন বাস টার্মিনাসের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। ফলে এতটা রাস্তা কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে হেঁটে গিয়ে তাঁদের পক্ষে বাস ধরাও খুব মুশকিল। একই ভাবে এই রোদে, গরমে বা বৃষ্টিতে বাসস্ট্যান্ড থেকে এতটা রাস্তা হেঁটে স্টেশনে আসাও খুব সমস্যার। এক বাসযাত্রী বলেন, বাবুঘাট থেকে বাস উঠে এলে তাঁদের কলকাতা যেতে সুবিধা হবে এটা ঠিকই। কিন্তু সাঁতরাগাছি স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসের চাপে এমনিতেই যানজট (West Bengal Transport) লেগে থাকে। ফলে ভবিষ্যতে যে কী পরিস্থিতি হবে, তা কেউ জানে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: ফের ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত স্কুলের কর্মী! তীব্র শোরগোল আসানসোলে

    Asansol: ফের ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত স্কুলের কর্মী! তীব্র শোরগোল আসানসোলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে (Asansol) এক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল স্কুলের এক কর্মীর বিরুদ্ধেই। সামজিক গণমাধ্যমে এই ঘটনা ভাইরাল হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্কুলের অভিভাবকরা। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে স্কুলে তীব্র উত্তেজনা। অবশেষে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানা গেছে।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Asansol)?

    আসানসোল উমারানি গরাই মহিলা কল্যাণ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত ওই স্কুলের এক কর্মী। শ্লীতাহানির কথা সামজিক গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হয়। এরপর শুরু হয় স্কুলের সামনে প্রতিবাদ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসানসোল দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছায়। এরপর অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে অভিভাবকদের ধস্তাধস্তি হয়। এর পাশাপাশি আসানসোলের জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবকরা। অভিভাবকদের দাবি, এই ঘটনায় জড়িতের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে হবে। শেষে পুলিশের আশ্বাসে পথ অবরোধ উঠে যায়। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।

    অভিভাবকদের বক্তব্য

    এক অভিভাবক (Asansol) দেবযানী চন্দ বলেন, ঘটনা অনেকদিন আগেই ঘটেছে। আমাদের একটি গ্রুপে বিশেষ মেসেজ এসেছে, স্কুলের এক বাচ্চার সঙ্গে অভব্য আচরণ করছে প্রদীপ দাস নামক এক স্কুলের কর্মী। তাই অভিযুক্তের শাস্তি হওয়াটা ভীষণ দরকার। স্কুল থেকে আমাদের আজ সকল অভিভাবকদের ডাকা হয়। আর তাই আমরা স্কুলে এসেছি। আমরা চাই দোষীর অবিলম্বে শাস্তি হোক।

    স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    স্কুলের (Asansol) শিক্ষিকা পাপড়ি ব্যানার্জি বলেন, আমি এখনও পরিষ্কার করে কোনও অভিযোগ পাইনি। কে, কার বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ করছেন, সেই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। স্কুলের অভিভাবকদের ডেকেছি বিষয়টি জানবার জন্য। কিন্তু এতো উত্তেজিত পরিস্থিতিকে সামলাতে এবং স্কুলের পরিবেশকে ঠিক রাখতে পুলিশ ডেকেছি। কেউ অভিযুক্ত থাকলে অবশ্যই গ্রেফতার হবেন।

    পুলিশের বক্তব্য

    উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে পুলিশের এক আধিকারিক (Asansol) বলেন, আপনারা কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। অভিযুক্ত স্কুলের কর্মীকে আজই গ্রেফতার করা হবে। প্রদীপ দাস নামক এক ব্যাক্তির নাম পাওয়া গেছে, যাকে আজই আমরা ধরব। আপনারা শান্ত থাকুন! পুলিশের উপর ভরসা রাখুন। পুলিশকে কাজ করতে দিন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর ধারা প্রয়োগ করা হবে। তবে কোনও অভিযোগ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: দশ হাজারের নিচে নামলে তবেই প্লেটলেট! ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের নয়া নির্দেশিকায় বিতর্ক

    Dengue: দশ হাজারের নিচে নামলে তবেই প্লেটলেট! ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের নয়া নির্দেশিকায় বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি আতঙ্ক ফের জাঁকিয়ে বসেছে। একের পর এক ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের মৃত্যু, পরিস্থিতির ভয়াবহতা জানান দিচ্ছে। আর তার মধ্যেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এ নেমে পড়েছে স্বাস্থ্য ভবন। অন্তত স্বাস্থ্য ভবনের সাম্প্রতিক নির্দেশিকার পর এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের প্লেটলেট কখন দিতে হবে, তা ঠিক হবে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে। রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়লেই, তার সঙ্গে প্লেটলেটের চাহিদা বাড়ে। বিশেষত, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস, যখন প্রত্যেক বছর হাজার-হাজার মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হন, তখন প্লেটলেটের আকাল তৈরি হয়। আর এই সঙ্কট রুখতে, এবার প্লেটলেট নিয়ে প্রথম থেকেই কড়া হতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর। তাই স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ, ডেঙ্গি আক্রান্তের প্লেটলেট ১০ হাজারের কম না হলে, তাকে প্লেটলেট দেওয়া যাবে না। 
    আর এই নির্দেশ ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

    কী বলছেন চিকিৎসক মহল? 

    স্বাস্থ্য দফতরের এই ধরনের পদক্ষেপ ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছে, কোন রোগীর কখন প্লেটলেটের প্রয়োজন হবে, তা সেই রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। গাইডলাইন মেনে প্লেটলেট দিতে হলে, অনেক ক্ষেত্রেই শারীরিক ঝুঁকি বাড়বে। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, থাইরয়েডের মতো নানা কো-মরবিডিটি থাকলে, ডেঙ্গি আক্রান্তের শারীরিক জটিলতা বাড়ে। তখন প্লেটলেটের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও শিশু বা বয়স্ক কিংবা গর্ভবতীর ক্ষেত্রেও নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। দশ হাজারের নিচে প্লেটলেট নামার আগেও প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসক কিংবা রোগীর পরিজন কী করবেন, সে সম্পর্কে এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। আর এই ফাঁকগুলো বাড়তি জটিলতা তৈরি করবে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এই ধরনের পদক্ষেপের জেরে প্লেটলেটের আকাল কমবে না। বরং রোগী ভোগান্তি বাড়বে।

    বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা কী? 

    রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের একাংশের মতে, যেভাবে প্লেটলেটের (Dengue) নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য দফতর করতে চাইছে, তা একেবারেই অযৌক্তিক। চাহিদা বাড়ার ইঙ্গিত থাকলে, রক্তের জোগান বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। কারণ, তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর রোগীর চিকিৎসায় জটিলতা তৈরি হবে না। 
    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, উৎসবের মরশুম শুরু হলেই রক্তের সঙ্কট দেখা যায়। তাই স্বাস্থ্য দফতর এবং রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরের দায়িত্ব, সেই সঙ্কট আটকানোর জন্য রক্তদান শিবির করা। যাতে প্লেটলেটের জোগান থাকে। কিন্তু রোগীর কখন প্লেটলেটের প্রয়োজন হবে, তা ঠিক করবেন চিকিৎসক। নির্দেশিকা জারি করে প্লেটলেট দেওয়া বন্ধ রাখলে, জোগান ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য করা যাবে না। বরং পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হবে। এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভাঙড়ে আরাবুল পুত্র সহ একাধিক তৃণমূল নেতা পেলেন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী, জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: ভাঙড়ে আরাবুল পুত্র সহ একাধিক তৃণমূল নেতা পেলেন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই বার বার উত্তপ্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ভোটের দিন আইএসএফ-তৃণমূলের (TMC) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভোটের ফল বের হওয়ায় পর থেকেই ভাঙড়ে বার বার রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও ভাঙড়ে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। নিহত কর্মীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এবার সেই ভাঙড়ে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী পেলেন একাধিক তৃণমূল নেতা। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কোন কোন তৃণমূল নেতা পেলেন নিরাপত্তারক্ষী?

    তৃণমূল (TMC) সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা পেলেন আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলাম। পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক হিংসার পর তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। একাধিকবার হাকিমুলকে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। সে কারণেই সশস্ত্র পুলিশি নিরাপত্তা পাচ্ছে ভাঙড়ের এই যুব নেতা। হাকিমুলের পাশাপাশি তৃণমূল নেতা খইরুল ইসলাম ও আহসান মোল্লাও পাচ্ছেন একজন করে নিরাপত্তারক্ষী। সারাক্ষণই সশস্ত্র একজন করে নিরাপত্তারক্ষী থাকবে তৃণমূলের এই নেতাদের সঙ্গে। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয়েছে এই ব্যবস্থা।

    নিরাপত্তা পেয়ে কী বললেন আরাবুল পুত্র?

    তৃণমূল (TMC) নেতা তথা আরাবুল পুত্র হাকিমুল ইসলাম বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে প্রকাশ্যেই প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই প্রশাসনের কাছে আমরা দরবার করেছিলাম। আমাদের সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের এই উদ্যোগে আমরা খুশি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি উৎপল নস্কর বলেন, হাকিমুল বা আরাবুল অথবা শওকত এরাই নিরাপত্তা পাবে। তবে এটা নতুন কিছু নয়। যেখানে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শওকত মোল্লাকে পুলিশ প্রশাসনের সামনে বোমা বাঁধে বলে আখ্যায়িত করেন, সেখানে হাকিমুল রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা পাবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ রাজ্যের শাসক দল (TMC)  গুন্ডা মস্তানদের নিরাপত্তা দেয়। এই ঘটনা  তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: বিজেপি করেন, তাই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা!

    Purba Medinipur: বিজেপি করেন, তাই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁশকুড়া (Purba Medinipur) থানার চকগোপাল গ্রামে বিজেপি-তৃণমূলের ব্যাপক সংঘর্ষ। এর ফলে দুই পক্ষের আহত বেশ কয়েকজন কর্মী। বিজেপির অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি জয়লাভ করার পরেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় মারধর এবং বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ইতিমধ্যে বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর দিকে পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হবার পর তৃণমূলের কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়। ইতিমধ্যে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল ও বিজেপি, দুই তরফ থেকেই থানায় অভিযোগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকা এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রয়েছে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত পাঁশকুড়ার চকগোপাল এলাকা।

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Medinipur) বিজেপি কর্মী অলোককুমার দুলই বলেন, চকগোপাল গ্রাম বহুদিন ধরে সন্ত্রাস কবলিত। তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অসামাজিক কাজ করে জনজীবনকে অস্বস্তিতে রেখেছিল। মানুষ জানেন যে, এলাকাকে সন্ত্রাস কবলিত দুষ্কৃতীদের হাত থেকে একমাত্র বিজেপিই মুক্ত করতে পারবে। আর তাই গত বিধানসভায় মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। ঠিক একই রকম ভাবে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ বিজেপিকেই ভোট দিয়েছেন। ফলে বিজেপি এলাকায় জয়ী হওয়ার জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ করে। বাড়ির মহিলাদের মারধর করে বাড়ি, ঘর ভাঙচুর করে! এমনকি বাড়ির সামনে রাখা গাড়ি এবং টোটকেও ভাঙচুর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের উপর বিজেপির আক্রমণের ঘটনা মিথ্যা। আক্রান্ত আরেক বিজেপি কর্মী দিলীপ দুলই বলেন, ভোটের আগে থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল, অবশেষে গতকাল রাতে এলাকায় বিজেপি করি বলেই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Purba Medinipur) তৃণমূল কর্মী বিশ্বনাথ দুলই বলেন, আমরা চাষ করে দিনপাত করি। এলাকায় তৃণমূল করি। গতকাল রাত ১০ টার সময় রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ দেখি প্রায় ১০ জন বিজেপির কর্মী এসে বাড়িতে হামলা করে। দোষ আমার একটাই কেন তৃণমূল করি! অপর দিকে পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজিত রায় বলেন, বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ওটি থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হল রোগীকে, কাঠগড়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

    Siliguri: ওটি থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হল রোগীকে, কাঠগড়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে দিতে না পারায় এক গরিব রোগীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেরও সুবিধা পাওয়া যায়নি। তৃণমূল নেতার অনুরোধেও কোনও কাজ হয়নি। বুধবার শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ, হাসপাতালের কর্তাব্যক্তিদের একাংশের মদতে দালালরাজ চলছে অর্থোপেডিক বিভাগে।

    কেন এই অভিযোগ?

    শিলিগুড়ির (Siliguri) শান্তিনগর বউবাজারের বাসিন্দা মন্তেশ্বর বর্মন ডান পায়ে আঘাত নিয়ে গত ২৪ জুলাই  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর জামাই লিটন রায় বলেন, ভর্তির পরের দিন সিনিয়র ডাক্তার শ্বশুরমশাইকে দেখেন। তারপর ডাক্তার ও নার্স একটি স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে বলেন, এই জিনিসগুলি কিনে আনতে হবে। কোথায় থেকে কিনবো তারজন্য একটি ফোন নম্বরও লিখে দেন তাঁরা। শুধু লিটন রায় নয়। এখানে ভর্তি প্রতিটি রোগীর আত্মীয়ের একই অভিজ্ঞতা। সকলেরই অভিযোগ, হাসপাতালের ঠিক করা ব্যক্তির কাছ থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে আনতে হয় মোটা টাকা দিয়ে। কোনও বিল পাওয়া যায় না। দামেও ছাড় মেলে না। জোরাজুরি করলে দুর্ব্যবহার করা হয়। লিটন রায় বলেন, হাসপাতালের থেকে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে এক ব্যক্তি  অগ্রিম ছ’হাজার টাকা জমা দিতে বলেন। তিনি জানান, আরও টাকা লাগবে। অস্ত্রোপচারের পর হিসেব করে তা দিতে হবে। আমাদের টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই বলতেই ওই ব্যক্তি দুর্ব্যবহার করেন। তারপর তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের দ্বারস্থ হই। তৃণমূল নেতার সঙ্গে আলোচনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর অপারেশন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে বিনা পয়সায় অপারেশন করার কথা বলা হয়েছিল। সেই মতো বুধবার ওটিতে শ্বশুরমশাইকে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরের দিকে সরঞ্জাম কিনে দেওয়া হয়নি বলে ওটি থেকে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ফোন করে দামে কিছুটা ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করায় ওই ব্যক্তিকে দুর্ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসা সরঞ্জাম না দেওয়ার  হুমকি দেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অভিভাবকহীন অবস্থায় চলছে। এখানে অব্যবস্থা দেখার কেউ নেই।

    কী বললেন হাসপাতাল সুপার?

    হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, অর্থোপেডিক সার্জারির প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম অনেকদিন ধরে সরবরাহ নেই। আমাদের এখানে ফেয়ার প্রাইস শপেও এধরনের সরঞ্জাম বিক্রি করা হয় না। তাই রোগীদের শিলিগুড়ি (Siliguri) জেলা হাসপাতালের ফেয়ার প্রাইস শপ থেকে কিনে আনতে বলা হয়। এক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim: মহিলা সরকারি কর্মীরা পাবেন ১ বছরের মাতৃত্বকালীন ছুটি! বড় ঘোষণা সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর

    Sikkim: মহিলা সরকারি কর্মীরা পাবেন ১ বছরের মাতৃত্বকালীন ছুটি! বড় ঘোষণা সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় ঘোষণা সিকিম (Sikkim) সরকারের। বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, সে রাজ্যের মহিলা সরকারি কর্মীরা এবার থেকে ১২ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। অন্যদিকে পুরুষ কর্মীদের ক্ষেত্রে ১ মাসের পিতৃত্বকালীন ছুটিও ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। বুধবার তিনি বক্তব্য রাখেন সিকিমের রাজ্য সিভিল সার্ভিস অফিসারদের একটি সম্মেলনে। সেখানেই এমন ঘোষণা করতে শোনা যায় প্রেম সিং তামাংকে।

    সিকিমের (Sikkim) মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    প্রেম সিং তামাং বুধবার বলেন, ‘‘মাতৃত্বকালীন ছুটির এই ঘোষণা খুব শীঘ্রই কার্যকর হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে কর্মচারীরা তাঁদের সন্তানদের আরও বেশি সময় দিতে পারবেন।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘সরকারি কর্মীরা হলেন সরকারের মেরুদণ্ড। তাঁদের কাজের ফলেই উন্নতির শিখরে পৌঁছায় কোনও রাজ্য।’’ রাজ্যের নবনিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের শুভেচ্ছাও জানান তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৬১ সালের আইন অনুযায়ী সরকারি মহিলা কর্মচারীরা সাধারণভাবে ২৬ সপ্তাহ বা ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি পেতেন। কিন্তু হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ভারতের ছোট্ট এই রাজ্যে এবার থেকে মিলবে ১ বছরের ছুটি।

    আরও পড়ুন: এবার বুলেট ট্রেনের মানচিত্রে জুড়ল বাংলা! লোকসভায় ঘোষণা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর সিকিম সরকারের

    সিকিমের (Sikkim) জনসংখ্যা হল ৬ লাখ ৩২ হাজার। জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে উৎসাহ দিতেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর আগেও একাধিক এমন ঘোষণা সামনে এসেছে সিকিম সরকারের তরফ থেকে। যেমন, ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে শুরু হয়েছে একটি প্রকল্প। যেখানে বলা হয়েছে, ২টি বা ৩টি সন্তান রয়েছে যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীর তাঁদের অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেবে সরকার। গত ১০ মে এক নির্দেশিকা জারি করে একথা জানিয়েছেন সিকিম সরকারের আধিকারিক ভুটিয়া। সারা দেশে যেখানে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, সেখানে সিকিম হাঁটছে বিপরীত পথে।

     

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: নন্দীগ্রামে বোমা বিস্ফোরণ, জখম কিশোর, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Bomb Blast: নন্দীগ্রামে বোমা বিস্ফোরণ, জখম কিশোর, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফাঁকা মাঠে তাজা বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম হল ১১ বছরের এক কিশোর। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের মনোহরপুর গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। জখম কিশোরের নাম নুর ইসলাম। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, মনোহরপুর গ্রামে ফাঁকা মাঠে নুর ইসলাম গরুকে জল খাওয়াতে যায়। ফাঁকা মাঠে ঘাসে কিছু পড়ে থাকতে দেখে সে। কিছু বুঝতে না পেরে তার ওপর পা দিয়ে দেয় সে। সঙ্গে সঙ্গে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। গুরুতর জখম হয় ওই নাবালক। বোমা বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ শুনে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নুরকে উদ্ধার করে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আরও দু’টি তাজা বোমা উদ্ধার করে তারা। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। আরও কোথাও তাজা বোমা পড়ে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কী বললেন জখম কিশোরের পরিবারের লোকজন?

    বোমায় জখম কিশোরের দাদু সেখ সোহরাব বলেন, বাড়ির গরু ও ছাগলকে ফাঁকা মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য বেঁধে দিয়ে আসা হয়। গরু ও ছাগলকে জল দেওয়ার জন্য ফাঁকা মাঠে গিয়েছিল নাতি। তখনই বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক।  আমাদের প্রশ্ন, এই বোমাগুলি কোথা থেকে এল? আমার অনুমান, আশেপাশে আরও বোমা পড়ে রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, শুধু নন্দীগ্রাম নয়, গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য গোটা রাজ্যে বোমা-বন্দুক অবৈধভাবে জড়ো করা হয়েছে। তারই ফলশ্রুতি হল এই ঘটনা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • High Speed Rail: এবার বুলেট ট্রেনের মানচিত্রে জুড়ল বাংলা! লোকসভায় ঘোষণা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    High Speed Rail: এবার বুলেট ট্রেনের মানচিত্রে জুড়ল বাংলা! লোকসভায় ঘোষণা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরে বাংলা পেয়েছে ২টি বন্দে ভারত, আরও ৬টি পেতে চলেছে বলে খবর। আধুনিকতা, নিরাপত্তা, বিশ্বমানের সুবিধা, গতি বন্দে ভারতকে ভারত জোড়া খ্যাতি দিয়েছে। বাংলার জন্য আবারও সুখবর। বুলেট ট্রেনের (Bullet Train) মানচিত্রেও এবার জুড়তে চলেছে বাংলা। রেলমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, হাওড়া থেকে বারাণসী পর্যন্ত তৈরি হবে হাই স্পিড (High Speed Rail) রেল করিডর। প্রসঙ্গত, বর্তমানে মুম্বই থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত দেশের মধ্যে প্রথম হাই স্পিড ট্রেন চলাচলের ট্র্যাক তৈরি হচ্ছে। এবার বাংলায় তৈরি হবে এই হাই স্পিড ট্র্যাক। দেশের হাই স্পিড ট্র্যাক তৈরিতে সাহায্য করছে জাপান। প্রসঙ্গত, ২৪টি বুলেট ট্রেন সংগ্রহ করতে ১১ হাজার কোটি টাকার দরপত্রও বানিয়েছে রেল। জানা গিয়েছে, বুলেট ট্রেনগুলির গতি হবে সর্বোচ্চ ৩৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ১০টি কোচ থাকবে এবং ৬৯০ জন যাত্রী নিয়ে ছুটবে হাই স্পিডের ট্র্যাকে।

    কোন কোন রুটে চলবে হাই স্পিড ট্রেন (High Speed Rail)? 

    বুধবার লোকসভায় দেশে হাইস্পিড(High Speed Rail) রেল নেটওয়ার্ক নিয়ে বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর ভাষণে উঠে আসে দেশে আরও ৭টি রুটে হাই স্পিড ট্রেন চালানোর কথা। এই ৭টি রুট হল, 
    হাওড়া-বারাণসী
    দিল্লি-বারাণসী
    দিল্লি-আহমেদাবাদ
    মুম্বই-নাগপুর
    মুম্বই-হায়দরাবাদ
    চেন্নাই-মহীশূর
    দিল্লি-অমৃতসর

    কবে নাগাদ সম্পূর্ণ হবে এই প্রকল্প?

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্য়েই ৭ টি রুটে ছুটবে ট্রেন (Bullet Train)। রেলমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশি যাত্রী মহলও। ট্রেন হল দেশের লাইফলাইন। নয়া ট্রেন নেটওয়ার্ক অনেক বেশি শক্তিশালী হতে চলেছে বলে জানিয়েছে রেল। জাপানি সংস্থার সহযোগিতায় এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। রেল সূত্রে আরও খবর মিলেছে, এই ট্রেন লাইন (High Speed Rail) দিয়ে দ্রুত গতির রেল চলাচল করবে। যার ফলে উন্নত হবে পরিষেবা। প্রসঙ্গত, দেশের নানা প্রান্তে এখনও পর্যন্ত মোট ৫০টি বন্দে ভারত ছুটছে। রেল পরিষেবা যেন দিন দিন উন্নত হয়েই চলেছে। মোদি সরকারের আমলে নতুন প্রাণ পেয়েছে ভারতীয় রেল। দেখছে লাভের মুখও। দেশে এখন আলোচনা বন্দে ভারত নিয়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share