Tag: Madhyom

Madhyom

  • South 24 Parganas: জল জীবন মিশন প্রকল্পের তদারকিতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় কেন্দ্রীয় দল

    South 24 Parganas: জল জীবন মিশন প্রকল্পের তদারকিতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের প্রকল্প জল জীবন মিশনের কাজে তদারকি করতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় টিম। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদ এলাকা ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বেশ কিছু গ্রামে গিয়ে তাঁরা প্রকল্পের কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন। তবে কেন্দ্রীয় টিমের এই তদারকি ভালভাবে নেয়নি স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতারা। প্রসঙ্গত, মোদি সরকার ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে গান্ধী জয়ন্তীতে শুরু করে জল জীবন মিশন প্রকল্প। এই প্রকল্প সারা দেশে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ২০২৪ সালের মার্চে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া এ রাজ্যে নতুন কিছু নয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা হয়েছে বাংলার আবাস যোজনা। যা নিয়ে বিতর্কে দানা বেঁধেছে। আবার কেন্দ্রীয় সরকারের জল জীবন মিশনের নামও বদল করে রাখা হয়েছে জল স্বপ্ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় ডায়মন্ড হারবার সংলগ্ন হুগলি নদীর জল তুলে তা পরিশুদ্ধ করে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কথা।

    বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুরে কেন্দ্রীয় টিম

    বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর-১ ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সোদিয়াল গ্রামে যায় কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন এস নেগী। তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছিলাম এখানে কাজ দ্রুত হচ্ছে না। এই প্রকল্প এতদিন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছি, সবাই পরিশুদ্ধ জল পাচ্ছেন কিনা!’’ মূলত ডোঙ্গারিয়া মথুরাপুর জল প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজের তদারকি করতে কেন্দ্রীয় সরকারের ২ জনের প্রতিনিধি দল আসে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সঠিকভাবে জলপরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (South 24 Parganas)?

    ভিলেজ ওয়াটার স্যানিটেশন কমিটির (South 24 Parganas) সদস্য বাপি হালদার বলেন, ‘‘কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারের উপর জোর করে সব কিছু চাপিয়ে দেয়। এখনও পর্যন্ত জল প্রকল্পের কাজ বাকি রয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বৃহস্পতিবার, ২৭/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বৃহস্পতিবার, ২৭/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যস্ততার কারণে পারিবারিক বিষয়ে নজর কম দেবেন।

    ২) হঠাৎই কোনও সমস্যা উৎপন্ন হতে পারে, যার ফলে মনে দুশ্চিন্তা থাকবে।
         
    বৃষ

    ১) বাড়িতে উৎসব-অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে।

    ২) জীবনসঙ্গী ও সন্তানের সঙ্গে বিনোদনমূলক সময় কাটাবেন।

    মিথুন

    ১) আলস্য ত্যাগ করুন। তখনই আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে।

    ২) পারিবারিক জীবনে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

    কর্কট

    ১) সতর্কতার সঙ্গে কাজ পুরো করুন।

    ২) জমি-সম্পত্তি কেনার আগে সব দিক ভালোভাবে যাচাই করে নিন।             

    সিংহ 

    ১) কাজ ও ব্যবসায় দিনের শুরু থেকে অনুকূল সংবাদ পাবেন।

    ২) চাকরিতে সহকর্মীদের মর্জিমাফিক ব্যবহারের কারণে মানসিক দিক দিয়ে সমস্যা হতে পারে।        

    কন্যা

    ১) পরিবারের কোনও সদস্যের স্বাস্থ্যের কারণে চিন্তিত হতে পারেন।
     
    ২) সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি হবে।      

    তুলা 

    ১) আইনি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তাই গাফিলতি এড়িয়ে যান।

    ২) ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে যে কোনও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃশ্চিক

    ১) জীবনসঙ্গীর ভরপুর সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ২) সন্তানের তরফে সুসংবাদ পাবেন।       

    ধনু

    ১) সন্ধ্যাবেলা ধর্মীয় ও মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

    ২) বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ হবে।

    মকর

    ১) ব্যবসায় পরিকল্পতি প্রকল্প পুরো হবে, এর ফলে সন্তোষজনক লাভ অর্জন করতে পারবেন।

    ২) হঠাৎই কোনও মহিলা বন্ধুর কাছ থেকে ধনলাভ হতে পারে।         

    কুম্ভ

    ১) পারিবারিক জীবনে প্রেম ও ভালোবাসা বজায় থাকবে।

    ২) কোনও প্রত্যাশা পূরণ না-হওয়ায় ঘনিষ্ঠরা রেগে যেতে পারেন।

    মীন

    ১) জীবনসঙ্গীর পূর্ণ সহযোগিতা ও সান্নিধ্য লাভ করবেন।
     
    ২) ছাত্ররা কোনও কোর্সে ভরতি হতে চাইলে, তার জন্য দিন ভালো।        

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Murshidabad: হরিহরপাড়ায় স্কুলের কাছেই মিলল দু’ ব্যাগ সকেট বোমা, খড়গ্রামেও উদ্ধার তাজা বোমা

    Murshidabad: হরিহরপাড়ায় স্কুলের কাছেই মিলল দু’ ব্যাগ সকেট বোমা, খড়গ্রামেও উদ্ধার তাজা বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটপর্ব মিটে গেলেও মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলাতে বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন জায়গাতে উদ্ধার হচ্ছে তাজা বোমা। বুধবার ফের মুর্শিদাবাদের দুটি থানা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হল। হরিহরপাড়ায় স্কুল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা এত বোমা মজুত করেছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    স্কুলের কাছে কত বোমা উদ্ধার হল?

    বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়া থানার সদানন্দপুর এলাকায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সদানন্দপুর প্রাইমারি স্কুল থেকে ৩০ মিটারের মধ্যে দু’ ব্যাগ ভর্তি সকেট বোমা বাজেয়াপ্ত করে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা তাড়াতে ঘটনাস্থল পাহারা দিয়ে রয়েছে কেন্দ্র বাহিনীর জওয়ান ও হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোম্ব স্কোয়াডের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা কী কারণে বোমা মজুত করে রেখেছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, স্কুলের কাছে এভাবে বোমা রাখা ঠিক হয়নি। বোমা বিস্ফোরণ হলেই বড় বিপদ হওয়ার আশঙ্কা ছিল। বিশেষ করে স্কুলের পড়ুয়াদের জখম হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। অবিলম্বে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে।

    খড়গ্রামেও উদ্ধার হল প্রচুর বোমা

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার খড়গ্রাম থানার সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দরপুর গ্রামে মাঠের মধ্যে থেকে দুই বালতি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। এলাকার বাসিন্দারা প্রথমে দুই বালতি তাজা বোমা মাঠের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে, পুলিশকে খবর দেওয়া হয়, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই বালতি তাজা বোমা উদ্ধার করে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বনবিজ্ঞানীর কৃতিত্ব অর্জন করলেন বালুরঘাটের রেখা মাহাতো, উচ্ছ্বসিত পরিবার

    Dakshin Dinajpur: বনবিজ্ঞানীর কৃতিত্ব অর্জন করলেন বালুরঘাটের রেখা মাহাতো, উচ্ছ্বসিত পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) ব্লকের চিঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেয়ে বন বিভাগের বিজ্ঞানী হওয়ার অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ফরেস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন পরীক্ষায় পাশ করেই এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন রেখা মাহাতো। দেশের মধ্যে ২৭ জন এই সফল তালিকায় আছেন। তার মধ্যে শুধুমাত্র বায়ো টেকনোলজিরই আছেন চারজন। তার মধ্যে রেখা অন্যতম। আগামীতে দেশের বনাঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিয়ে গবেষণা করবেন তিনি। রেখা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের রাবার বোর্ডে চাকরিও পেয়েছেন। গ্রামের মেয়ের বনবিজ্ঞানী হওয়ার সাফল্যে গর্বিত গোটা গ্রাম। কৃষক পরিবারের বছর পঁচিশের তরুণীর এমন সাফল্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে জেলার মানুষ।

    কী বললেন রেখা মাহাতো (Dakshin Dinajpur)?

    রেখা মাহাতো বলেন, ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছে ছিল। গাছের প্রতি একটা আলাদা টান রয়েছে। তাই ছোটবেলা থেকেই কষ্ট করে পড়াশোনা করে এই জায়গায় পৌঁছেছি। খুব ভালো লাগছে। আগামীতে গাছ নিয়েই গবেষণা করব। পাশাপাশি দেশের জন্যও কাজ করব। রেখার বাবা বিষ্ণুপদ মাহাতো ও মা জয়ন্তী মাহাতো বলেন, আমরা কৃষক পরিবারের হলেও খুব কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছি। তবে মেয়ে এত দূরে পৌঁছবে কল্পনাও করতে পারিনি। মেয়ের জন্য খুব গর্ব হচ্ছে। রেখার বাড়ি বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে। শুরু থেকেই লড়াইটা সহজ ছিল না। আত্মীয়ের বাড়িতে কিংবা ভাড়া বাড়িতে থেকেই স্কুলের গণ্ডি পার করেছেন। পরবর্তীতে কলকাতা ও দিল্লিতে থেকে পড়াশুনা করেছেন। বর্তমানে চাকরি সূত্রে থাকেন অসমে। তবে খুব শীঘ্রই দেরাদুনে বায়ো টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেবেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    রেখার দুই দাদা অনুপ মাহাতো ও মানস মাহাতো বলেন, সীমান্তবর্তী এই গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে পড়াশোনা করতে হয়েছে বোনকে। আজ ওর সাফল্যে গোটা গ্রাম খুশি। বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) শিক্ষক দীপক মণ্ডল বলেন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক থাকলে মানুষ সাফল্য পাবেই। রেখা তারই প্রমাণ। কিছুদিন আগেও বালুরঘাটের একছাত্র বিজ্ঞানী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এবার বালুরঘাটের মেয়ে বিজ্ঞানী হচ্ছেন। জেলার এমন সাফল্যে আমরা গর্বিত।

    কীভাবে পড়াশুনা করেছেন?

    জানা গিয়েছে, রেখা ২০১৩ সালে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) ব্লকের বাদামাইল হাইস্কুল থেকে ৮৮.৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর বালুরঘাট গার্লস স্কুল থেকে ৯২ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। কল্যাণীতে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। তারপর দিল্লির ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট থেকে এমএসসি পাশ করেন। ২০২২ সালে পরীক্ষা দিয়ে ভারত সরকারের অধীন রাবার বোর্ডে চাকরি পান। কিন্তু বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন থেকে সরে আসেননি। ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী হওয়ার পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেও ইন্টারভিউতে পাশ করেননি। অতঃপর ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ফরেস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনের পরীক্ষায় পাশ করে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্নপূরণ করলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TNPSC: ফুড ডেলিভারি পার্টনার থেকে পিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ! উচ্ছ্বাসে ভাসল নেট দুনিয়া

    TNPSC: ফুড ডেলিভারি পার্টনার থেকে পিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ! উচ্ছ্বাসে ভাসল নেট দুনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কঠোর অধ্যবসায়, প্রবল মনের জোর এবং সর্বোপরি জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের মানসিকতা। এসব থাকলে কেউ যে কোন উচ্চতায় (TNPSC) পৌঁছাতে পারে, তার উদাহরণ কম নেই। বেকারত্বের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে একদিকে যেমন উচ্চ শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের অনেকেই চায়ের দোকান খুলে বসছেন, রাস্তায় বসে সবজি বিক্রি করছেন, ঠিক তার উল্টো পথে হেঁটে অনেকের কাছেই উদাহরণযোগ্য হয়ে উঠেছেন তামিলনাড়ুর জিগনেশ। তাঁর উত্থানের কাহিনি একদিকে যেমন চমকপ্রদ, অন্যদিকে অনুপ্রেরণারও। অনেকের কাছে মনে হতে পারে স্বপ্ন। না, এখানে স্বপ্নের কিছু নেই, পুরোটাই বাস্তব।

    খবর (TNPSC) প্রকাশ্যে আনল ফুড ডেলিভারি সংস্থাই

    জিগনেশ ছিলেন দেশের একটি প্রথম সারির ফুড ডেলিভারি কোম্পানির ডেলিভারি পার্টনার। শিক্ষিত হয়েও চাকরি না মেলায় এই পথই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর চোখ-মুখ ছিল স্বপ্নে ভরা। জীবনে আশা কখনও ছেড়ে দেননি। তাই কাজের ফাঁকে চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনা। আর তাতেই হল স্বপ্নপূরণ। তামিলনাড়ুর পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (Clear) হয়েছেন তিনি। ফলে তাঁর বাড়িতে যে খুশির বন্যা বয়ে যাবে, এটা প্রত্যাশিত, স্বাভাবিকও। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে এই খবর প্রকাশ্যে এনেছে ওই ফুড ডেলিভারি সংস্থাই। তারাই ট্যুইটারে জানিয়েছে, তাদের এই ডেলিভারি পার্টনারের সাফল্যের খবর। তারা লিখেছে, জিগনেশের জন্য একটা লাইক দিন, যিনি কিনা আমাদের ডেলিভারি পার্টনার হিসেবে কাজ করে তামিলনাড়ু পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (TNPSC) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। সঙ্গে রয়েছে হার্টের সাইন। একটি ছবিও দেওয়া হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন এই কৃতী।

    উচ্ছ্বসিত নেটাগরিকরা

    এই পোস্টটি দেখার পর থেকেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন নেটাগরিকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা দেখেছেন, এমন মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার। লাইক পড়ে যায় প্রায় পাঁচ হাজার, রি-ট্যুইট করেন অনেকে। তাঁর এই সাফল্যে (TNPSC) সকলেই তাঁকে অভিনন্দন জানান। একজন লিখেছেন, জিগনেশ তাহলে এবার থেকে অর্ডারে সই করবেন। আরেকজন লিখেছেন, অভাবনীয় সাফল্য। তৃতীয় জনের মন্তব্য, জীবনে এরকমই ডেডিকেশন দরকার। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল সেই পোস্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগ জুড়ে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নদী থেকে দেদার উঠছে বালি

    Arambagh: আরামবাগ জুড়ে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নদী থেকে দেদার উঠছে বালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারবার অভিযোগ উঠলেও কিছুতেই কমছে না বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন নদী থেকে রাতের অন্ধকারে অবৈধ ভাবে চুরি হয়ে যাচ্ছে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর বালি। আবার কোথাও গরুর গাড়িতে করে চুরি হচ্ছে বালি। আরামবাগ ও গোঘাট এলাকায় এমনই বেআইনি বালি চুরিতে ক্ষতি হচ্ছে নদী বাঁধের। ফাঁকি যাচ্ছে রাজস্ব কর। তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের তুষ্ট করেই চলছে এই কারবার। ইতিমধ্যে দুদিন আগেই অভিযান চালিয়ে দুই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে আরামবাগ থানার পুলিশ। এখানেই প্রশ্ন, কেন আগে থেকে প্রশাসন কোনও ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি? যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব বালি মাফিয়াদের মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    কীভাবে রাতের অন্ধকারে রমরমিয়ে বালি চুরি করে মাফিয়াদের একাংশ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাট ও আরামবাগের (Arambagh) দ্বারকেশ্বর নদীতে যে সমস্ত বৈধ্য বালি খাদান ছিল তা সবই সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। অভিযোগ, তার পরেও বেশ কয়েকটি বালি খাদান থেকে বালি চুরি হচ্ছে অবাধে। রাতের অন্ধকারে নদীতে ট্রাক্টর ও গরুর গাড়িতে করে বালি চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই সমস্ত বালি চুরি চলছে মাফিয়াদের একাংশের মদতে। এলাকায় তৃণমূলের দাদাদের তুষ্ট করেই বালি মাফিয়ারা এই কারবার চালাচ্ছে। প্রথমে মাফিয়াদের কাছে ট্রাক্টর পিছু ১০০০ টাকা করে তাদের তোলা দিতে হচ্ছে। তবেই ছাড় মিলছে খাদানে নামার। পরে অবশ্য বালি নিয়ে যাওয়ার আগে আরও পৃথক ভাবে তাদের শ্রমিক ও রাস্তা মেরামতি বাবদ দিতে হচ্ছে ৪০০ টাকা। এই ভাবেই প্রায় রাতের পর রাত বালি চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরামবাগে ট্রাক্টরে করে যেমন চুরির অভিযোগ উঠেছে, ঠিক তেমনি গোঘাটে গরুর গাড়িতে করে নদী থেকে বালি চুরি করে অন্য জায়গায় মজুত করা হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    সাধারণ মানুষের অভিযোগ, যেভাবে বালি কেটে পাচার হচ্ছে তাতে করে আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা এলাকায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। নদী বাঁধে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। কিন্তু কেন প্রশাসন এতদিন কোনো নজরদারি চালায়নি? প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির নেতাদের বত্তব্য, শাসক দল ও পুলিশের মদতে চলছে এই বালি চুরির ঘটনা। তৃণমূলের মদতেই বালি মাফিয়াদের রমরমা শুরু হয়েছে। অবিলম্বে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে নদী বাঁধের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ডাইনি অপবাদ দিয়ে খুনের অভিযোগ, দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    Malda: ডাইনি অপবাদ দিয়ে খুনের অভিযোগ, দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) ডাইনি অপবাদে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। আজ দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক অসীমা পাল। দোষীদের শাস্তির ঘটনায় খুশি মামলাকারী ঠাকুর হেম্ব্রম।

    কীভাবে খুনের ঘটনা ঘটে (Malda)?

    খুনের মামলা (Malda) সূত্রে জানা যায়, এই কেসের আসামী হল দুই খুড়তুতো ভাই ভাকুম হেমব্রম ও দুনুয় হেমব্রম। ঠাকুর হেমব্রম হলেন ভাকুম হেমব্রমের বাবা। যদিও ঠাকুর হেমব্রম প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার ২০ বছর পর দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন বুদিন মুর্মুকে। বিবাহ করে ঘর সংসার করছিলেন ঠাকুর হেমব্রম। ইতিমধ্যে ভাকুম হেমব্রম সম্পত্তির দাবিতে ঠাকুর হেমব্রমের সামনে চড়াও হতেন মাঝে মাঝেই। সেই সঙ্গে এরপর ঠাকুর হেমব্রমের স্ত্রী বুদিন মুর্মুকে ডাইনি অপবাদ দেয় ওই দুই জন। ভাকুম হেমব্রম বলত, বুদিন মুর্মু ডাইনি। আর তাঁর জন্যই আমার সন্তান হচ্ছে না। অপর দিকে দুনুয় হেমব্রম বলত, আমার বাবা-মা মারা গেছেন বুদিন মুর্মুর জন্যই। এরপর গত ৩রা মে ২০১৯ তারিখে বুদিন মুর্মুকে বাড়িতে ঢুকে হাঁসুয়া দিয়ে শরীরে আঘাত করে খুন করে দুইজন। মূলত সম্পত্তির অধিকার এবং ডাইনি অপবাদে এই খুন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন বুদিন মুর্মুর স্বামী ঠাকুর হেমব্রম।

    আইনজীবীর বক্তব্য

    সরকারি আইনজীবী লোকমান আলি জানান, ২০১৯ সালের ৩ মে হবিবপুরে (Malda) ঘটনাটি ঘটে। সেই রাতে ভাকুম হেমব্রম ও দুনুয় হেমব্রম রাতের বেলায় বাড়িতে ঢুকে হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করে বুদিন মুর্মুকে খুন করে। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার স্বামী ঠাকুর হেমব্রম। আজ পঞ্চম কোর্টের বিচারক অসীমা পাল ১১ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • School: শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদ, স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ, গ্রেফতার অভিযুক্ত

    School: শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদ, স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ, গ্রেফতার অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের এক শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল অভিভাবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বীরভূমের বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের বাঁধনবগ্রাম স্কুলে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে প্রাক্তন পড়ুয়ারা। এই মুহূর্তে পঠন-পাঠন বন্ধ রয়েছে স্কুলে।

    শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    ২৪ জুলাই ক্লাসে পড়া না পারার জন্য স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক উত্তম সাহা বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে কান ধরে ক্লাসের বাইরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। শিক্ষক হিসেবে এটাই ছিল তাঁর অপরাধ। সেই আক্রোশেই শাস্তি পাওয়া এক ছাত্রীর বাবা বাসুদেব দাস ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মঙ্গলবার স্কুলে আসার পথে রাস্তার মধ্যে শিক্ষক উত্তম সাহাকে পেয়ে বেধড়ক মারধর করেন। মারধরের জেরে তাঁর একটি হাত ও পা ভেঙে যায়। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারী পড়ুয়া, স্কুলের প্রাক্তনী ও গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শিক্ষকের উপর চড়াও হওয়া অভিযুক্ত বাসুদেব দাস ও তার স্ত্রী শিখা দাসকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তার সঙ্গে তাদের মেয়েকে এই স্কুল থেকে টিসি দিতে হবে। সকলেই এই দাবিতেই সোচ্চার হয়ে ওঠেন। বুধবার স্কুল শুরুর পরই পঠন-পাঠন বন্ধ করে স্কুলের সামনে বিক্ষোভে বসেন প্রাক্তন পড়ুয়ারা। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গেই যোগ দেয় বর্তমান পড়ুয়ারা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, পড়াশুনা না পারলে শিক্ষকরা শাসন করতেই পারেন। এতে অন্যায় কিছু নেই। সামান্য শাসন করার জন্য একজন শিক্ষকের উপর যদি এরকম হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে স্কুলে শিক্ষকরা কী করে পড়াশুনা করাবেন? আমাদের দাবি, হামলাকারীদের সকলকেই গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাসুদেব দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, তার স্ত্রী স্কুলেরই প্যারা টিচার শিখা দাসকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। সেই দাবিতেই স্কুল বয়কট করে পঠন-পাঠন বন্ধ রেখে চলছে বিক্ষোভ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বিচারপতির হস্তক্ষেপে এক বছরের মধ্যেই নতুন স্কুল ভবন বলাগড়ে, উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী

    Hooghly: বিচারপতির হস্তক্ষেপে এক বছরের মধ্যেই নতুন স্কুল ভবন বলাগড়ে, উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর খানেকের মধ্যেই নতুন ভবন পেল বলাগড়ের (Hooghly) চক খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বলাগড় ব্লকের জিরাট পঞ্চায়েতের অধীনে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গঙ্গা ভাঙনের ফলে বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। পাড় ভাঙতে ভাঙতে এমন অবস্থা হয়েছিল যে বিদ্যালয়ের জানালা খুললেই গঙ্গা। জনা পঞ্চাশেক ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে ভীষণ চিন্তায় থাকতেন। ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও ছিলেন আশঙ্কায়। আর তাই এবার চক খয়রামারি (Hooghly) স্কুলের নতুন বিল্ডিং উদ্বোধন করে ক্লাস শুরু হল। নতুন ভবনে ক্লাস শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা উচ্ছ্বসিত।

    কীভাবে এলো নতুন ভবন (Hooghly)?

    যে কোনও দিন গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে স্কুলবাড়িটি (Hooghly)। এরকম খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হতেই অনেকের মতো নজর পড়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি খবরটি জেনে স্তম্ভিত হয়ে যান। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই বিষয়ে সুয়োমোটো কেস করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান সুচন্দ্রা রায়কে সঠিক তথ্য কোর্টকে প্রদান না করার জন্য আদালতের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। আসলে গত কয়েক বছর ধরেই স্কুল বাড়িটির এক একটি অংশ গঙ্গার গ্রাসে চলে যাচ্ছিল। এরপর তাঁরই নির্দেশে হাইকোর্ট থেকে স্পেশাল অফিসার স্কুলবাড়িটির পুরো অবস্থা সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করে আদালতে রিপোর্ট দেন। এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ওই বাড়ি থেকে স্কুল সরিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে অস্থায়ী ভাবে নিরাপদ জায়গায় আনা হয়। আদালতের নির্দেশে গঙ্গা থেকে নিরাপদ দূরত্বে টিন দিয়ে ঘিরে একটি জায়গায় ক্লাস করানো শুরু হয়। অন্যদিকে প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল থেকেও কোর্টকে জানানো হয় যে বছর দেড়েকের মধ্যেই নতুন স্কুল বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।

    কীভাবে ক্লাস শুরু হল?

    এরপর ওই গ্রামের এক সহৃদয় ব্যক্তি চক খয়রামারি (Hooghly) স্কুলের নতুন বিল্ডিং করার জন্য ১০ কাঠা জমি দান করেছেন। সেই জমির মধ্যেই দেড় কাঠা জমির মধ্যে সর্বশিক্ষা মিশনের ১১ লক্ষ টাকায় তৈরি হয়েছে নতুন দোতলা বিল্ডিং। একতলাতে মিড ডে মিলের রান্না ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে আর দোতলায় একটি রুম। সেখানেই ক্লাস করানো হবে। বলাগড় আর্সেনিক যুক্ত এলাকা। তাই আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ জলের ব্যবস্থা হয়েছে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর উদ্যোগে। সোমবারই নতুন ভবনে ক্লাস শুরু হল নতুন ভাবে। বলাগড়ের বিদ্যালয় পরিদর্শক (সাব ইন্সপেক্টর) গৌরব চক্রবর্তী এই নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে নিজে ক্লাস নেন। জানা গেছে, ওই একটি ঘরেই পার্টিশন করে বিভিন্ন কক্ষ করা হবে। সোমবার ৫২ জনের মধ্যে ৪৫ জন ছাত্রছাত্রীই আসে স্কুলে। সকল ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিলে মাংস-ভাত খাওয়ানো হল এদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ-দুর্নীতিতে নজরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর পুরসভা! সিবিআই তলবে হাজির আধিকারিকরা

    CBI: নিয়োগ-দুর্নীতিতে নজরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর পুরসভা! সিবিআই তলবে হাজির আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় পুরসভার আধিকারিকদের ডেকে পাঠাল সিবিআই (CBI)। বুধবার তাঁদের জেরা করা হবে বলে সূত্রের খবর। এদিন নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর এবং শান্তিপুর পুরসভা থেকে বেশ কয়েকজন আধিকারিক নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা দেন। দুপুর ২ টোর পরই তাঁরা পৌঁছে যান নিজাম প্যালেসে। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তে নতুন কী তথ্য উঠে আসে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলে।

    কী বললেন শান্তিপুর পুরসভার কর্মী?

    সূত্রের খবর, অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পরেই পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির কথা উঠে আসে। হুগলি থেকে অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI) প্রতিনিধি দল। এরপরেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অয়ন শীলের সংস্থা পুরসভার নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছিল বলে জানা যায়। সেখানেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছিল বলে তথ্য উঠে আসে। সেই তথ্যকে সামনে রেখে গত ৭ জুন কৃষ্ণনগর এবং শান্তিপুর পুরসভায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি চালিয়ে তারা কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে যায় বলে জানা যায়। গতকাল সিবিআই দফতর থেকে দুই পুরসভার কাউন্সিলারের কাছে ফোন করে তাদের আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয় বলে জানা যায়। ইতিমধ্যেই দুই পুরসভার আধিকারিকরা সিবিআই অফিসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে শান্তিপুর পুরসভার প্রধান করণিক উদয়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, মূলত ২০১৮ সালের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই প্রতিনিধি দল তদন্ত করতে এসেছিল শান্তিপুর পুরসভায়। কিন্তু সেই সময় আমাদের কোনও নিয়োগ হয়নি। আমরা সেদিনও সিবিআই প্রতিনিধি দলকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। আজও তাঁরা যা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন এবং যে সাহায্য আমাদের কাছে চাইবেন আমরা পুরোটাই তাঁদের জানাব।

    কী বললেন পুরসভার কাউন্সিলার?

    এ বিষয়ে শান্তিপুর পুরসভার কাউন্সিলার সুব্রত ঘোষ বলেন, এর আগেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI) আমাদের পুরসভায় এসে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার নিজাম প্যালেস থেকে আমাকে ফোন করা হয় এবং পুরসভার প্রতিনিধিদের এদিন ডেকে পাঠিয়েছেন তাঁরা। আমরা সিবিআইকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share