Tag: Madhyom

Madhyom

  • South 24 Parganas: করমণ্ডল দুর্ঘটনার ১ মাস ২২ দিন পর মৃত আব্বাস শেখের দেহ এল কাকদ্বীপে

    South 24 Parganas: করমণ্ডল দুর্ঘটনার ১ মাস ২২ দিন পর মৃত আব্বাস শেখের দেহ এল কাকদ্বীপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১ মাস ২২ দিন পর অবশেষে ফিরল নিথর দেহ। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত আব্বাস উদ্দিন শেখের দেহ পৌঁছাল কাকদ্বীপ (South 24 Parganas) পুলিশ মর্গে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার অন্তর্গত মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৪ বাড়ি এলাকায় যুবক আব্বাস উদ্দিন শেখের বাড়ি।

    কীভাবে ফিরল দেহ (South 24 Parganas)?

    আব্বাস উদ্দিন শেখ ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে ২ জুন ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিল আব্বাসের। সেই ভয়াবহতার ছবি যেন আজও ভেসে বেড়াচ্ছে তাঁর পরিবারের চোখে মুখে। তবে প্রথমে শত শত মৃতদেহের মাঝে তাঁদের পরিবারের একমাত্র রোজগের ছেলেকে কোনও ভাবেই খুঁজে পাচ্ছিল না পরিবার। অবশেষে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এক মাস বাইশ দিন পর ভুবনেশ্বর থেকে পরিবারের কাছে খবর আসে, তাঁদের ছেলেকে পাওয়া গেছে। এরপর নিয়ে আসা হয় আব্বাস উদ্দিন শেখের দেহ। তবে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় পরিবারে (South 24 Parganas) নেমেছে শোকের ছায়া।

    সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ভুবনেশ্বর হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয় পিতা এবাদ আলি শেখকে, যে আপনার ছেলের ডিএনএ পরীক্ষার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। আপনারা এসে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর শনিবার পরিবারের লোক ভুবনেশ্বরে পৌঁছালে, রবিবার বিকেলে মৃতদেহ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর কাকদ্বীপের বিডিওর সঙ্গে কথা বলে কাকদ্বীপ মর্গে তা নিয়ে আসা হয়।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত আব্বাসের পিতা এবাদ আলি শেখ বলেন, আমরা দুর্ঘটনার পর মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারছিলাম না। আর সেই জন্য আমরা গত ৬ জুন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে ৭ তারিখে বাড়িতে ফিরে আসি। আর গতকাল একমাস ২২ দিন পর ডিএনএ রিপোর্ট অনুযায়ী আমার ছেলের মৃতদেহ চিহ্নিত করতে পেরেছি। তবে আব্বাসের মা খুব ব্যথিত হয়ে আছেন! ভেবেছিলেন ছেলে বাড়িতে ফিরে আসবে। কিন্তু ছেলে এল বটে, নিথর দেহ নিয়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস, কৃষ্ণনগরে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের

    TMC: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস, কৃষ্ণনগরে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে গোটা এলাকায় দুষ্কৃতী-তাণ্ডব। তৃণমূল (TMC) কর্মীদের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ।ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার আনন্দবাস এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে ওই এলাকার বসবাসকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে আচমকা শতাধিক দুষ্কৃতী কৃষ্ণনগরের আনন্দবাস এলাকায় এসে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। বেশ কয়েকজন কর্মীকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করতে গেলে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বোমাবাজি করারও অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল (TMC) কর্মী জখম হন। তাঁদেরকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতাদের অভিযোগ, গত ৮ই জুলাই এলাকার ২৩২ নম্বর বুথে যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে আমাদের একজন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছিল। তারপরেই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ, থানা থেকে কেস তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে সিপিএমের অনুগামীরা। আমরা তাদের সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে বারংবার হুমকি দেওয়া হয়। আর সোমবার রাতে এই ঘটনার পিছনে পুরনো সেই আক্রোশ রয়েছে বলেই আমাদের আশঙ্কা।   

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএম নেতাদের বক্তব্য, এই ধরনের হামলার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। নিজেদের কোন্দল ঢাকতে তৃণমূল (TMC) এখন আমাদের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। আমরা চাই, এই ঘটনার তদন্ত হোক। প্রকৃত যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথীতে ওষুধের পর এবার রাশ সিটি স্ক্যান সহ একাধিক ব্যয়বহুল পরীক্ষায়! 

    Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথীতে ওষুধের পর এবার রাশ সিটি স্ক্যান সহ একাধিক ব্যয়বহুল পরীক্ষায়! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা রাজ্যে কার্যত বিজ্ঞাপনে পরিণত হয়েছে। বারবার এমনই অভিযোগ তোলেন সাধারণ মানুষ। এবার সেই ভোগান্তির তালিকা আরও দীর্ঘ হতে চলেছে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। শুধু ভোগান্তি নয়। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Swasthya Sathi) নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের নয়া নির্দেশে, রোগীদের স্বাস্থ্য নিয়েও জটিলতা বাড়ার আশঙ্কায় চিকিৎসক মহল।

    কী নয়া নির্দেশ (Swasthya Sathi) স্বাস্থ্য দফতরের? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ডে আর সিটি স্ক্যান, এমআরআই-র মতো জটিল অর্থবহুল শারীরিক পরীক্ষা সহজে করা যাবে না। এই ধরনের শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজন হবে একাধিক অনুমতির। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, সিটি স্ক্যান, এমআরআই-র মতো ব্যয়বহুল শারীরিক পরীক্ষার জন্য খরচ বাড়ছে। বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে। সেই খরচে রাশ টানতেই নতুন একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। 
    সূত্রের খবর, এবার থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আওতায় এই ধরনের শারীরিক পরীক্ষা করাতে হলে হাসপাতালের চিকিৎসককে নিজের পুরো সই, তারিখ ও সিল দিয়ে ব্যাখ্যা করতে হবে। লিখিত ভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে, কেন রোগীর ওই পরীক্ষা জরুরি। তারপরে রোগীর দ্বিতীয় দফায় ওই পরীক্ষা করতে হলে, সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকেও সমস্ত রকম ব্যাখ্যা দিতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দিষ্ট কমিটি থাকবে। তারা ব্যাখ্যা যাচাই করে দেখবে। তারা প্রয়োজন বুঝলে, তবেই পরীক্ষার অনুমতি দেবে। তারপরে রোগীর পরীক্ষা হবে। তাছাড়া, কোনও রোগী জরুরি বিভাগে দেখাতে এলেই, তার এই ধরনের পরীক্ষা স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আওতায় করা যাবে না। হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন থাকলে তবেই পরীক্ষা করা যাবে। তাছাড়া, যেসব সরকারি হাসপাতালে পিপিপি মডেলে এই পরীক্ষাগার চলে, সেখানে আলাদা রেজিস্ট্রেশন নথি তৈরি করতে হবে। কোনও রোগীর কেন এই ধরনের পরীক্ষা হচ্ছে, তা বিস্তারিত লিখতে হবে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর, তারিখ লিখে সম্পূর্ণ সই করতে হবে। যাতে পরবর্তীতে হিসাব সংক্রান্ত জটিলতা হলে চিকিৎসককে তলব করা যায়।

    কোন ভোগান্তির (Swasthya Sathi) আশঙ্কা করছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এর জেরে রোগীদের ভোগান্তি বাড়বে। আগেই ন্যায্য মূল্যের ওষুধ নিয়ে রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। বারবার অভিযোগ ওঠে, সরকারি হাসপাতালে, বড় বড় ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থাকলেও, সেখানে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যায় না। এমনকী স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড থাকলেও বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি নিতে রাজি হয় না, এমনও অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে। এবার সেই তালিকায় পরীক্ষার সমস্যা যুক্ত হবে বলেই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তারা জানাচ্ছে, যে ভাবে লাল ফিতের ফাঁস তৈরি হচ্ছে, তাতে সময় মতো রোগীর পরীক্ষা করাই কঠিন হয়ে উঠবে। চিকিৎসকরা জটিলতার ভয়ে হয়তো অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষার পরামর্শ এড়িয়ে চলবেন। যার ফল হবে ভয়ানক। তাছাড়া, অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে একাধিকবার সিটি স্ক্যানের মতো পরীক্ষা করাতে হয়। আর সেই পরীক্ষা সময় মতো করা জরুরি। যে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য দফতর করছে, তাতে রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হবে কিনা, তা নিয়েও উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Maidan: জোর যার, ফুটপাথ তার! হাওড়ায় জেলাশাসকের দফতরের সামনেই দখলদারি

    Howrah Maidan: জোর যার, ফুটপাথ তার! হাওড়ায় জেলাশাসকের দফতরের সামনেই দখলদারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে গোদের ওপর বিষফোঁড়া। হাওড়া শহর জুড়ে ফুটপাথ দখল যেন এরকমই বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। জোর যার ফুটপাথ তার। শুধুমাত্র শহরের ভিতরেই নয়, শহরের প্রাণকেন্দ্র হাওড়া ময়দান (Howrah Maidan), যেখানে রয়েছে হাওড়া শহরের সমস্ত প্রশাসনিক ভবন, সেখানেই চলছে এই দখলদারি। জেলাশাসক বাংলো থেকে হাওড়া আদালত, পুরসভা, জেলা হাসপাতাল, জেলা পরিষদ ভবন, এমনকী জেলার মুখ্য ডাকঘর। শহরের  প্রধান প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় যেখানে রয়েছে, সেই এলাকাতেই সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে চলছে ফুটপাথ দখল করে হকারি এবং রাস্তা দখল করে বেআইনি পার্কিং। এই পার্কিং ও ফুটপাথ দখল শুরু হচ্ছে খোদ জেলাশাসকের দফতর থেকে।

    নিকাশি নালার ওপর বসার পাটাতনেরও চড়া দর!

    জেলাশাসকের দফতর কাম জেলাশাসক বাংলোর প্রধান প্রবেশদ্বারের ঠিক বাঁদিকে রীতিমতো রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে তৈরি হয়েছে টোটো স্ট্যান্ড। ডানদিকে জেলাশাসক বাংলোর পাঁচিল বরাবর সরকারি ও বেসরকারি গাড়ির পার্কিং। একইভাবে আদালতের সামনে সারি সারি গাড়ি ও বাইক পার্কিং। হাওড়া জেলা হাসপাতালের ভিতরেই গাড়ি পার্কিং। আর এইসব অফিসগুলির সামনের যে ফুটপাথ, তার কোনও অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। কোথাও চায়ের দোকান, কোথাও ফলের জুসের দোকান আবার কোথাও মঙ্গলা হাটের ডালা সাজানোর তক্তা ডাঁই করে রাখা হয়েছে ফুটপাথ দখল করে। প্রতি মঙ্গলবার হাওড়া ময়দানে (Howrah Maidan) মঙ্গলা হাট বসার কথা থাকলেও আদতে সপ্তাহে তিন দিন ধরে মঙ্গলা হাট বসে। তবে মঙ্গলবার হাওড়া শহরের প্রায় সমস্ত রাস্তার ধারেই খুচরো বিক্রেতারা তাঁদের ডালি সাজিয়ে বসে পড়েন। যেহেতু হাওড়ার রাস্তা অনেক ছোট, তার উপর রাস্তা দখল করে আগে থেকেই গাড়ি পার্কিং করা থাকে, ফলে মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীদের বসার অসুবিধা হয়। তাই ফুটপাথের ধারে যে নিকাশি নালা রয়েছে, সেই নিকাশি নালার ওপরেই কাঠের পাটাতন বা তক্তা বিছিয়ে তার ওপর বসে মঙ্গলা হাটের কাপড়ের দোকান। ওই একদিনের জন্য কয়েকটি এজেন্সি থেকে ওই পাটাতন চড়া দামে ভাড়া করেন কাপড় ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার যেহেতু ভোর থেকেই ব্যবসা শুরু হয়, তাই রবিবার বিকেল থেকে আবার কখনও সোমবার সকাল থেকেই হাওড়া ময়দানের আশপাশে যত ফুটপাথ রয়েছে, তার পাশে নিকাশি নালার উপর পাটাতন বিছানোর কাজ শুরু হয়ে যায়। মঙ্গলা হাট উঠে গেলে এই পাটাতনগুলিকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় না। জায়গা দখল করে এই পাঠাতনগুলি সারি সারি ফুটপাথের দেওয়ালে রাখা হয়। এর ফলে গাড়ি পার্কিং বা হকার ঠেলে কোনও রকমে মানুষ যদি ফুটপাথ দিয়ে হাঁটাচলার চেষ্টা করেন, তখন তাঁদের বাধা পেতে হয় এই পাটাতনে। ফলে হাওড়া ময়দান চত্বরে সাধারণ মানুষের কাছে এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    মানুষ বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে দুর্ঘটনার শিকার (Howrah Maidan)

    হাওড়া জেলা হাসপাতালের সামনে গেলে দেখা যাবে, হাসপাতালের প্রবেশ পথের ডান দিকের ফুটপাথ এমন ভাবে পাটাতন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, তার ফলে ফুটপাথ বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। মানুষ বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে হাঁটাচলা করেন। একইভাবে হাওড়া গার্লস কলেজের সামনে এবং হাওড়া ময়দানের আনাচে কানাচে বিভিন্ন রাস্তার ফুটপাথে এভাবেই রাখা হয়েছে পাটাতন বা তক্তা। ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামছেন এবং দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন প্রায় প্রতিদিন। এক অফিস যাত্রী সুদীপ হাজরা বলেন, যেখানে শহরের প্রধান প্রধান প্রশাসনিক ভবন রয়েছে, সেখানে আইন সব থেকে বেশি কড়া হওয়া দরকার। অথচ সেখানেই (Howrah Maidan) চলছে শহরের সব থেকে বেশি বেআইনি দখলদারি। প্রশাসনিক কর্তা থেকে পুলিশ প্রশাসন, কারও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। আর তাঁদের মতো সাধারণ মানুষকে এই দুর্ভোগকে জীবনের অঙ্গ হিসেবে মেনে নিতে হচ্ছে।

    দায়সারা জবাব পুরসভার

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি ইতিমধ্যেই পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে (Howrah Maidan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দুর্গাপুজোর বৈঠকে নাক গলাতে না পেরে হামলা, জখম ৪, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: দুর্গাপুজোর বৈঠকে নাক গলাতে না পেরে হামলা, জখম ৪, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো কমিটিতে নাক গলানোর চেষ্টা শাসক দলের। আর সেখানে বাধা পেয়ে পুজো কমিটির সদস্যদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগদীশপুরে। হামলার জেরে চার জন গ্রামবাসী জখম হন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    রবিবার বিকেলে জগদীশপুর মাঝেরহাট এলাকায় দীর্ঘদিনের পুরানো দুর্গাপুজোর প্রস্তুতির জন্য মাঝেরহাট দুর্গা উৎসব কমিটির বৈঠক ডাকেন গ্রামবাসীরা। এলাকার মানুষের অভিযোগ, গত দুবছর ধরে বাইরের বেশ কয়েকজন তৃণমূলের (TMC) নেতা ও কর্মী পুজো কমিটি দখল করে পুজোর ব্যবস্থা করছেন। এলাকার মানুষ নিজেদের পুজোয় ঠিক মতো অংশগ্রহণ করতে পারছিলেন না। এই নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল। এবছর বহিরাগত তৃণমূলদের বাদ দিয়ে গ্রামবাসীরা জোট বেঁধে পুজো করবেন বলে ঠিক করেন। সেইমতো রবিবার বিকেলে ক্লাবের মধ্যে গ্রামবাসীরা বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে মহিলারাও অংশগ্রহণ করেন। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন বেশ কিছু বহিরাগত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আসেন। তাঁদের সঙ্গে পুজো কমিটির সদস্যদের প্রথমে বচসা বাধে। পরে, তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। গ্রামবাসীদের বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চার জন গ্রামবাসী জখম হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে লিলুয়া থানার পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করেন। পরে, পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা তাপস আইন বলেন, এটা পুরোপুরি গ্রামবাসীদের মিটিং ছিল পুজো নিয়ে। সেখানে গ্রামবাসীদের একাংশ বাইরে থেকে লোক এনে কমিটি দখল করতে চাইছিল। এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ব্যাপার নেই। ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে কুলপির বিরোধী তিন প্রার্থীকে অপহরণ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে কুলপির বিরোধী তিন প্রার্থীকে অপহরণ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়তে আইএসএফের জয়ী দুই প্রার্থী এবং কংগ্রেসের এক প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভার গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। কংগ্রেস ও আইএসএফের জয়ী প্রার্থীজোট এই পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তাই বিরোধীদের তিনজনকে নিয়ে তৃণমূল (TMC) সেই পঞ্চায়েত দখল করতেই এমন আচরণ করছে বলে অভিযোগ।

    কেন বিরোধীদের তিন সদস্যকে তুলে নিয়ে গেল তৃণমূল (TMC)?

    জানা যায়, কুলপি বিধানসভার গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৫টি। নির্বাচনে ৬ টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হন। তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস পেয়েছে ৫ টি, আইএসএফ ২টি, বিজেপি ১টি, সিপিআইএম ১টি আসন পেয়েছে। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে দরকার ৮ জন সদস্য। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেস মোট পাঁচটি আসনে জয় লাভ করায় তাদের পক্ষে বোর্ড গঠন করা সম্ভব নয়। তাই আইএসএফের দুই জয়ী প্রার্থী এবং কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী মোজাফফর মোল্লাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে শাসক দলের গাজিপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা। এমনটাই অভিযোগ দুই রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তাদের।

    কী বললেন আইএসএফ নেতৃত্ব?

    আইএসএফের ব্লক নেতৃত্বের অভিযোগ, গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসক দল (TMC) বোর্ড গঠন করতে না পেরে আইএসএফ  ও কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তা নেওয়া হয়নি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে ওঠা  অভিযোগ অস্বীকার করেন গাজিপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা। তিনি বলেন, কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তাঁরা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। নিখোঁজ জয়ী প্রার্থীদের খোঁজ না মিললেও জয়ী প্রার্থীরা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জানান, তাঁরা নিরাপদ জায়গায় রয়েছেন এবং নিজেদের ইচ্ছায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। অবশ্য জয়ী বিরোধী দলের ৩ পঞ্চায়েত সদস্য কোথায় রয়েছেন, তার হদিশ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP MLA Death: প্রয়াত ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়! শোকপ্রকাশ শুভেন্দুর

    BJP MLA Death: প্রয়াত ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়! শোকপ্রকাশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA Death) বিষ্ণুপদ রায় (৬১)। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির বিধায়ক ছিলেন তিনি। এদিন সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে বিধায়কের মৃত্যু হয়। বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতেই তিনি উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। ওঠেন এমএলএ হস্টেলে। কিন্তু রবিবার হঠাৎই সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরেই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর ছেলে প্রদীপ্ত রায় জানিয়েছেন, বিধায়কের ফুসফুস-পাঁজরে বাতাস জমে গিয়েছিল। এরফলেই শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল।

    ধূপগুড়িতে প্রথমবার বিজেপির (Bjp Mla) প্রতীকে জেতেন বিষ্ণুপদ রায়

    ২০২১ সালের ভোটে ধূপগুড়ি আসন থেকে জয়লাভ করেন বিষ্ণুপদ রায়। বাড়ি ধূপগুড়ি পুরসভার ১১ নং ওয়ার্ডে। পরাজিত হন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী মিতালি রায়। প্রথমবারের জন্য ধূপগুড়ি আসন থেকে কোনও বিজেপি প্রার্থী (BJP MLA Death) জয়লাভ করেন। বিধায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সারা ধূপগুড়িতে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের দেহ এসএসকেএম থেকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে বিজেপির রাজ্য অফিসে। সেখানে দলীয় কর্মীরা হাজির থাকবেন। প্রয়াত বিধায়ককে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে বিধানসভায়। সেখানে শাসক এবং বিরোধী দলের উপস্থিত বিধায়করা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন প্রয়াত বিধায়কের প্রতি। জানা গিয়েছে, বিধানসভায় শোকপ্রস্তাবও পাঠ করা হবে এদিন।

    ট্যুইট শুভেন্দুর

    বিধায়কের (BJP MLA Death) মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, “আমার সহকর্মী এবং ধূপগুড়ির বিধায়ক শ্রী বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যু সম্পর্কে জেনে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরশু তাঁকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমি তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মারধর করে বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    South 24 Parganas: মারধর করে বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটলেও সন্ত্রাস কমেনি বিন্দুমাত্র। জেলায় জেলায় (South 24 Parganas) বিরোধীদের ওপর হামলা চলছেই। এখনও ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী। সাত-আটমাসের শিশুদের নিয়েও বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের জেলা অফিসে আশ্রয় নিতে দেখা গিয়েছে। ফের একবার বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধর করে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। রায়দিঘির খাঁড়ি শাসন (South 24 Parganas) এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, একই ঘটনা ঘটেছিল ঠিক পঞ্চায়েত ভোটের আগে। আহত বিজেপির বুথ সভাপতির নাম গোপাল অধিকারী বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    আহত বিজেপির বুথ সভাপতির অভিযোগ, রবিবার রাতে রায়দিঘির খাঁড়ি শাসন পাড়ায় (South 24 Parganas) হঠাৎই তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা দলবল নিয়ে গোপাল অধিকারীর উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে গোপাল অধিকারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সোমবার রায়দিঘি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির বুথ সভাপতি। অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: ‘উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম, পিছিয়ে পড়া মনে হয়’, একী বললেন তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব

    কী বলছেন আক্রান্ত?

    আক্রান্ত গোপাল অধিকারীর ডান চোখে ব্যাপক আঘাত লেগেছে। রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে চোখের আশেপাশে। হাসপাতালে বসে থেকে গোপাল বলেন, ‘‘আনোয়ার হোসেনের লোকজন দল বেঁধে হামলা চালায় আমার ওপর। পঞ্চায়েত ভোট থেকেই আমাকে টার্গেট করেছে ওরা। সেসময় এলাকায় বোমাবাজি করে চলে যায় ওরা। তবে ভোটের পরে দেখে নেওয়ার হুমকি তারা দিচ্ছিল। এদিন তারা আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চোখে ঘুষি চালাতে থাকে। আমি বারবার বলার চেষ্টা করেছিলাম, আমি তো তোমাদের কোনও ক্ষতি করিনি, কিন্তু তাও ওরা মারতে থাকে আমাকে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট! গত ২ দিনে মায়ানমার থেকে ৭১৮ জনের অনুপ্রবেশ মণিপুরে

    Manipur: চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট! গত ২ দিনে মায়ানমার থেকে ৭১৮ জনের অনুপ্রবেশ মণিপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরে (Manipur) কি এখন হিংসা ছড়াতে আসছে বহিরাগতরা? এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। কেন এই প্রশ্ন উঠছে? অসম রাইফেলস মণিপুর সরকারকে দু দিন আগে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে। ওই রিপোর্টে অসম রাইফেলস-এর দাবি, ২২ জুলাই এবং ২৩ জুলাই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই মণিপুরে ঢুকেছে ৭১৮ জন মায়ানমারের বাসিন্দা। সোমবার একটি বিবৃতি দিয়ে একথা জানিয়েছে মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দফতর। এই খবর সামনে আসতেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

    দু-মাস ধরে অগ্নিগর্ভ মণিপুর (Manipur)

    বিগত দু-মাস ধরে কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে ইতিমধ্যে ১৬০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। বাড়ি বাড়ি অগ্নিসংযোগ, লুঠ তো চলছেই, দিন কয়েক আগে এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কুকি এবং মেইতেই উভয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে ১০১ কোটি টাকার প্যাকেজও ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাতেও বদলায়নি অশান্তির চিত্র। সব থেকে বড় কথা, এখনও বোঝা যাচ্ছে না ৭১৮ জনের এই দল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মণিপুরে ঢুকেছে কিনা! অসম রাইফেলসের মতে, চান্দেল জেলা হয়ে এই অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকেছে। এখানেই রয়েছে ইন্দো-মায়ানমার সীমানা। মণিপুরে (Manipur) মুখ্যসচিব বিনীত যোশী জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে সীমান্তের নিরাপত্তারক্ষীদের বলা হয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নওয়ার জন্য।

    কী বলছে মণিপুর প্রশাসন?  

    মণিপুর সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিতে জানিয়েছে, মণিপুরের এই ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে ৭১৮ জন অনুপ্রবেশকারীর ভারতে প্রবেশ যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এতে। জানা গিয়েছে, এই অনুপ্রবেশকারীদের পুনরায় মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে তৎপর হয়ে উঠেছে মণিপুর (Manipur) প্রশাসন।

    আরও পড়ুন: প্রবীণ আরএসএস নেতা মদন দাস দেবীর জীবনাবসান, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share