Tag: Madhyom

Madhyom

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার, ২৫/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার, ২৫/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১)  কাজ ও ব্যবসায় কোনও আত্মীয়ের ওপর বিশ্বাস করবেন না।  

    ২) শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের নিজের মনের কথা জানাবেন না।
         
    বৃষ

    ১) নিজের লগ্নি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। 

    ২) ভাইদের সঙ্গে বিবাদ চলতে থাকলে আজ তার সমাধান হবে।          

    মিথুন

    ১)  সহকর্মীদের সাহায্যে একাধিক চিন্তা দূর হবে। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা কোনও মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।

    কর্কট

    ১) সন্তানের পড়াশোনায় আগত আর্থিক সমস্যা উন্নত হবে।

    ২) যাঁরা চাকরির খোঁজে রয়েছেন বা যাঁরা নতুন ব্যবসা শুরুর চেষ্টা করছেন, তাঁরা ভালো পদক্ষেপ করবেন।              

    সিংহ 

    ১)  চাকরি ও ঘরে সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।

    ২) মনের কথা কাউকে জানাবেন না, তা না-হলে পরিবারের কোনও সদস্য আপনার উন্নতিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।        

    কন্যা

    ১) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত জাতকরা কেরিয়ারে সাফল্য লাভ করবেন।
     
    ২) সন্ধ্যাবেলা বাড়ির পরিবেশ গম্ভীর থাকবে।       

    তুলা 

    ১) সরকারি চাকরিজীবীরা সহকর্মীর সঙ্গে বিরোধিতায় জড়াতে পারেন। 

    ২) বিবাহযোগ্যরা বিয়ের ভালো প্রস্তাব পাবেন।  

    বৃশ্চিক

    ১) বাড়ির পুরনো ও বহুদিন ধরে আটকে থাকা কাজ পূর্ণ করার চেষ্টা করবেন। 

    ২) প্রেম জীবনে প্রেমীর সঙ্গে ঘোরার পরিকল্পনা করতে পারেন।        

    ধনু

    ১) আজ আপনার রুচি কোনও সৃজনশীল কাজে বাড়বে। 

    ২) কোনও পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে সন্তুষ্ট হবেন।

    মকর

    ১) সুসংবাদ পাওয়ায় মনে আনন্দ জাগবে।  

    ২) অনাবশ্যক বিবাদ এড়িয়ে যান।         

    কুম্ভ

    ১) প্রেম জীবনে আনন্দিত ও উৎসাহিত থাকবে।

    ২) অফিসে আপনার পদোন্নতি ও বেতনবৃদ্ধির আলোচনা হতে পারে।

    মীন

    ১) সকাল থেকেই জরুরি কাজ মেটাতে ব্যস্ত থাকবেন।
     
    ২) আজ পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গে কোনও কারণে কথা কাটাকাটি হতে পারে।          

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Birbhum: ‘পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি,’ টোটোর ব্যানারে প্রতিবাদ

    Birbhum: ‘পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি,’ টোটোর ব্যানারে প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুকেশ চক্রবর্তী, বীরভূমের (Birbhum) শান্তিনিকেতনের টোটো চালক। তিনি কোনও রাজনীতি করেন না। তবে, সব সময় তিনি প্রতিবাদী মুখ হিসেবে পরিচিত। বার বার তাঁর টোটোর ব্যানারে রাজনৈতিক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ উঠে এসেছে। এবার ‘পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি’ লেখা ব্যানার লাগিয়ে ফের প্রতিবাদ করলেন শান্তিনিকেতনের এই টোটো চালক।

    এর আগেও ব্যানারে একাধিক প্রতিবাদ তুলে ধরেছিলেন সুকেশ

    অনুব্রতের খাসতালুক বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরের নীচুপট্টির বাসিন্দা সুকেশ চক্রবর্তী। পেশায় টোটো চালক। প্রায় সময় টোটোর পিছনে বিভিন্ন প্রতিবাদমূলক ছবি ও কথা লিখে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর শান্তিনিকেতনের অপা বাড়ি সংক্রান্ত ব্যানার দেখা দিয়েছে সুকেশের টোটোয়। একই ভাবে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরে তাঁর কার্টুন ছবির সঙ্গে ব্যঙ্গাত্মক লেখা ব্যানারও দেখেছেন শান্তিনিকেতনবাসী। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে তাঁকে ‘ভগবান’ লিখে ব্যানার লাগাতেও দেখা গিয়েছে।

    পিসিমণির হেঁসেল নিয়ে কী বললেন টোটোচালক?

    সদ্য ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার দিন হাবড়ায় সিপিএম প্রার্থীকে হারাতে টেবিলের উপরে থাকা কয়েকটি ব্যালট পেপার খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল প্রার্থীর এক অনুগামীর বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে এবার সুকেশের টোটোতে দেখা গেল, সে নিজে একটি প্রতীকী ব্যালট পেপার মাটির থালায় সাজিয়ে খাচ্ছে সেই ছবি। ছবি পাশে লেখা আছে, পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি, তার সঙ্গে থাকছে বোমা, বন্দুক আর গুলি। আরও লেখা আছে, এটা হল পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র। এই ব্যানার টোটোয় লাগিয়ে যথারীতি যাত্রী নিয়ে শান্তিনিকেতনে ঘোরাফেরা করছেন তিনি। এই টোটো দেখে অনেকেই দাঁড়িয়ে পড়ছেন, অনেকে ছবি তুলছেন। টোটো চালক সুকেশ চক্রবর্তী বলেন, দেখলেন তো কিভাবে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হল? তৃণমূল প্রার্থী ব্যালট পেপার খেয়ে নিল। এটারই প্রতিবাদে আমি এই ব্যানার লাগিয়েছি। মানুষ আরও জানুক, প্রতিবাদ করুক। কত মানুষ আমাকে বলে এভাবেই প্রতিবাদ করতে থাকো, তোমার সাহস আছে। আমি চাই সবাই প্রতিবাদ করুক। নাহলে দুষ্কৃতীরা রাজ্যে রাজত্ব করবে। আর পুলিশ টেবিলের তলায় থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: ট্রেনের টিকিটের ৫ অঙ্কের নম্বরে লুকিয়ে কোন অজানা রহস্য?

    Indian Railways: ট্রেনের টিকিটের ৫ অঙ্কের নম্বরে লুকিয়ে কোন অজানা রহস্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনে চড়তে কে না ভালোবাসে? আট থেকে আশি, সবারই ট্রেনের (Indian Railways) প্রতি এক অগাধ ভালোবাসা। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াতে সব থেকে আরামদায়ক ও দ্রুততম মাধ্যমও হল ট্রেন। আর এই পরিষেবা ভারতীয়রা ১৭০ বছর ধরে পেয়ে আসছেন। এর মধ্যেই ঘটে গিয়েছে অনেক বিবর্তন, কয়লার ইঞ্জিন থেকে ডিজেল চালিত ইঞ্জিন আর এখন ইলেকট্রিক ইঞ্জিন। এই ভারতীয় রেলের এমন কিছু নিয়মবিধি আছে, যেগুলি হয়তো অনেকেরই অজানা। আসলে সাধারণ মানুষ সেগুলি নিয়ে ভাবার কথা মাথায়ও আনতে পারেন না। কিন্তু সেগুলি জানলে অবাকই হবেন। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে এমনই অজানা তথ্য জানব ভারতীয় রেলের টিকিটের সম্বন্ধে। টিকিটের গায়ে থাকে একটি ৫ অঙ্কের নম্বর, যার মধ্যে লুকিয়ে থাকে অসংখ্য তথ্য।

    ট্রেনের (Indian Railways) টিকিটের নম্বরের মধ্যে কী তথ্য লুকিয়ে থাকে?

    ট্রেনের টিকিট লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন রয়েছে অসংখ্য নম্বর। প্রত্যেকটি নম্বরের অনেক তাৎপর্য আছে। আপনার ভ্রমণ ও ট্রেন সংক্রান্ত প্রায় সমস্ত নথি এই টিকিটের মধ্যেই থাকে। তার মধ্যে যেটি সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহন করে, সেটি ৫ অঙ্কের একটি নম্বর। এই সংখ্যাটি আপনার গন্তব্যের সমস্ত খুঁটিনাটি বলে দিতে পারে। জেনে নেওয়া যাক এই রকমই কিছু লুকিয়ে থাকা তথ্য। 

    ট্রেনের (Indian Railways) টিকিটের মধ্যে থাকা 0 থেকে 9 নম্বরগুলির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। যদি আপনার টিকিটের প্রথমে 0 নম্বরটি থাকে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে সেটি কোনও স্পেশাল ট্রেন, অর্থাৎ এই ট্রেনটি কোনও হলিডে স্পেশাল বা গ্রীষ্মকালীন স্পেশাল বা অন্যান্য কোনও স্পেশাল ট্রেন হতে পারে। 
    আবার অপরদিকে আপনার টিকিটের প্রথম সংখ্যাটা যদি 1 অথবা 2 হয়, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে এই ট্রেনটি দীর্ঘ পথ যাত্রা করে। আবার এই দুটি সংখ্যা থাকলে আপনাকে বুঝতে হবে এটি শতাব্দী, রাজধানী,গরিব রথ, দূরন্তর মতো বিশেষ শ্রেণির ট্রেন।

    আরও কিছু নম্বরের উদাহরণ, যা বিশেষ মানে বহন করে

    টিকিটের প্রথম সংখ্যাটি যদি 3 হয়, তবে জানতে হবে এই ট্রেনটি কলকাতা শহরতলির একটি ট্রেন (Indian Railways)। আবার মেট্রো শহর যেমন নয়াদিল্লি সেকেন্দ্রাবাদ, চেন্নাই ইত্যাদি শহরের শহরতলির ট্রেন হলে এতে টিকিটের প্রথম সংখ্যা 4 দিয়ে শুরু হবে। প্রথমে যদি 5 থাকে, তাহলে জানতে হবে এটি একটি যাত্রীবাহী ট্রেন। 6 ও 7 থাকলে সেটি যথাক্রমে MEMU ও DEMU ট্রেন। আর কিছু সংরক্ষিত ট্রেনের জন্য টিকিট নম্বর 8 দিয়ে শুরু হয়। আর মুম্বই সাবারবান ট্রেনের জন্য প্রথম সংখ্যাটি থাকে 9।

    দ্বিতীয় সংখ্যাটিরও বিশেষ অর্থ থাকে, কী সেটি?

    দ্বিতীয় সংখ্যাটি রেলের বিভাগ সম্বন্ধে আমাদের জানান দেয়। যদি কোনও রেলের (Indian Railways) প্রথম সংখ্যাটি 0, 1 অথবা 2 দিয়ে শুরু হয়, তাহলে বাকি 4 টি সংখ্যা রেলের জোন ও বিভাগ সমন্ধে আমাদের জানান দেয়। 
    সেন্ট্রাল রেলওয়ে, নর্থ সেন্ট্রাল রেলওয়ে, ওয়েস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ের জন্য দ্বিতীয় সংখ্যাটি থাকবে 0।
    পূর্ব মধ্য রেলওয়ে এবং পূর্ব রেলের জন্য থাকবে 3।
    উত্তর-উত্তর পশ্চিম এবং উত্তর মধ্য রেলওয়ের জন্য থাকে 4 নম্বর।
    জাতীয় পূর্ব ও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জন্য থাকে 5 নম্বর।
    দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম রেলওয়ের জন্য থাকে 6।
    দক্ষিণ-মধ্য এবং দক্ষিণ-পশ্চিম রেলওয়ের জন্য 7।
    সাউদার্ন ইস্টার্ন এবং ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের জন্য থাকে 8।
    উত্তর-পশ্চিম এবং পশ্চিম মধ্য রেলওয়েতে থাকে 9।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: কী ধরনের খাবারে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস? কতদিনে মিলবে সুফল? 

    Diabetes: কী ধরনের খাবারে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস? কতদিনে মিলবে সুফল? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রতি মিনিটে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বয়স কিংবা নারী নাকি পুরুষ, কোনও বিশেষ পরিচয় নয়। যে কেউ এই বিপদের শিকার হতে পারেন। বাঁচার একমাত্র উপায় খাদ্যাভ্যাস! ভারতে ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ২০ বছরের পর থেকেই ডাযাবেটিসে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তবে, ইংল্যান্ডের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন তথ্য। শুধুমাত্র খাবার নিয়ন্ত্রণ করেই ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। রাশ টানা যেতে পারে এই ক্রনিক সমস্যার।

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের অনুমান ছিল, ৭ কোটির বেশি ভারতীয় ডাাবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত। কিন্তু ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-র রিপোর্ট জানাল, পরিস্থিতি তার চেয়েও বেশি ভয়াবহ। ১০ কোটি ভারতীয় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আর ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ মানুষ প্রি-ডায়াবেটিক। অর্থাৎ, ভবিষ্যতে তাঁরা ডায়বেটিসে আক্রান্ত হবেন। আর এই রিপোর্ট যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    উদ্বেগের কারণ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস (Diabetes) জীবন যাপনের মান কমায়। অর্থাৎ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, অন্য যে কোনও রোগের ঝুঁকি বাড়ে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। আর ডায়াবেটিস আক্রান্তের হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, লিভারের সমস্যা, চোখ সহ একাধিক অঙ্গের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি গর্ভবতীর ডায়াবেটিস থাকলে, তা গর্ভস্থ শিশুর জন্য নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। ভারতে যে বিপুল হারে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে, তাতে পরবর্তী প্রজন্ম কতখানি সুস্থ জীবন যাপন করতে সক্ষম হবে, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

    নতুন গবেষণা মুক্তির কী পথ (Diabetes) দেখাচ্ছে? 

    ডায়াবেটিস নিয়ে সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উঠে এসেছে স্বস্তির বার্তা। ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাদ্যাভ্যাসে রাশ টানলে ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি কমে। ২০ থেকে ৬০ বছরের নানা বয়সের ডায়াবেটিস আক্রান্ত ও প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়ে একদল ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ গবেষণা চালান। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে, শুধুমাত্র খাবারে রাশ টানলে এক বছরের মধ্যে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। কোনও ওষুধের প্রয়োজন হচ্ছে না। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারকেই মূল হাতিয়ার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, নানা রকমের খাবার মেনুতে থাকুক। ডায়াবেটিস আক্রান্তকে কখনোই এক রকমের খাবার যেমন, ভাত, রুটি বা ন্যুডলস বেশি পরিমাণে দিয়ে পেট ভরানো যাবে না। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন সব রকমের খাবার অল্প অল্প পরিমাণে দিয়ে খাবার তৈরি করতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে পর্যাপ্ত সব্জি, চিকেন কিংবা ডিম, তার সঙ্গে রাখতে হবে খেজুর, কিসমিসের মতো ড্রাই ফ্রুটস। তাহলে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে খনিজ পদার্থ, প্রোটিন, ফাইবার আবার ভিটামিন পাওয়া যাবে। আবার জলখাবারে পাউরুটি বা মুড়ি খেলেও সঙ্গে থাকুক কলা, বেদানা, আপেল, পেয়ারার মতো ফল। তাঁরা জানাচ্ছেন, নানা রকমের ফল যেমন, আপেল, কলা, স্ট্রবেরি, নাশপাতি এক সঙ্গে টুকরো করে কেটে টক দই মিশিয়ে খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত দুধ, টক দই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। নিজের ওজন বুঝে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ফাইবার, ফ্যাট জাতীয় খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, মিষ্টি জাতীয় খাবার, যেমন, কেক, রসগোল্লা, পেস্ট্রি একেবারেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তবে, সবচেয়ে জরুরি সময় মতো খাবার খাওয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই রোগীর খাবারের মাঝে দীর্ঘ ব্যবধান থাকে। সেটা চলবে না। নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Mangla Haat: মঙ্গলাহাটে পুড়ে ছাই হাজারের বেশি দোকান, পুজোর মুখে মাথায় হাত ব্যবসায়ী, কারিগরদের

    Mangla Haat: মঙ্গলাহাটে পুড়ে ছাই হাজারের বেশি দোকান, পুজোর মুখে মাথায় হাত ব্যবসায়ী, কারিগরদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হাওড়ার মঙ্গলাহাট (Mangla Haat)। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে হাজারের বেশি দোকান। পুজোর আগে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। মাথায় হাত হাটের উপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ী, দর্জি ও অন্যান্য কারিগরদের। তাঁরা ভেবে পাচ্ছেন না, কী ভাবে এই ক্ষতি পূরণ করবেন।

    পুজো এলেই বাড়ে ব্যস্ততা (Mangla Haat)

    হাওড়ায় ঘরে ঘরে তৈরি হয় নানা রঙের পোশাক। দিন-রাত কাজ করে চলেছেন দর্জি, কারিগররা। হাওড়ার বাঁকড়া, উনসানি, ডোমজুড়, জগৎবল্লভপুর, পাঁচলা ও উলুবেড়িয়ায় বাড়ি বাড়ি দেখা যায় এই ছবি। পুজো এলে তাঁদের বাড়ে ব্যস্ততা। হাওড়ার মঙ্গলাহাটে (Mangla Haat) যে পোশাক আসে, তা তৈরির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক। বড় বড় দোকান থেকে কাপড় এনে তৈরি হয় জামা-প্যান্ট, সালওয়ার, ফ্রক। কেউ পোশাকে ডিজাইন করেন, কেউ কাপড় কাটেন, কেউ সেলাই করেন, আবার কেউ জামায় বোতাম বসান। অনেকে আবার প্যাকিংয়ের কাজ করেন। এটাই একমাত্র উপার্জনের পথ। তাই রুটি-রুজির টানে পুরুষদের সঙ্গে হাত লাগান বাড়ির মহিলারাও।

    কী বলছেন ব্যবসায়ী এবং কারিগররা (Mangla Haat)

    মঙ্গলাহাটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে রাতের ঘুম উড়েছে পোশাক ব্যবসায়ীদের। এরকমই এক ব্যবসায়ী শ্যামসুদ্দিন পিয়াদা বলেন, আমরা কী ভাবে সংসার চালাব, ভেবে পাচ্ছি না। পুজোর জন্য অনেক মাল তৈরি হয়ে গেছে। এত কাজ হয়ে গেছে, এদের পয়সা কী করে দেব, মাল বেচব কী করে, সেই নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছি। তিনি বলেন, তাঁর ৪০ বছরের পুরনো দোকান (Mangla Haat)। এখানে ১৫-১৬ জন দর্জি আছে। এখন মাল বিক্রি না হলে তাঁদের বেতন দেব কী ভাবে, সেটাই ভেবে পাচ্ছি না। দর্জি কারিগর শেখ হাবিব বলেন, ‘কী করে চলবে আমাদের? কী করে খাব? ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ২-৩ জন ওস্তাগারে কাজ করি। হাওড়া হাটে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে, এখন তাঁদের মাল বিক্রি হচ্ছে না। খুব চিন্তায় পড়ে গেছি কী করব, কোথায় মাল বিক্রি করব।

    সবাই তাকিয়ে সরকারের দিকে

    বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেছে মঙ্গলাহাট (Mangla Haat)। হাট আবার কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে, জানা নেই কারও। সামনে পুজো। এই পরিস্থিতিতে সরকারের দিকে তাকিয়ে ব্য়বসায়ী, দর্জি ও কারিগররা। দর্জিমিস্ত্রি সাহেব আলি পিয়াদা বলেন, এই মাল তাঁদের  হাটে যায় প্রতি সপ্তাহে। হাট পুড়ে গেছে। মাল আর হাটে যাবে না। ওস্তাগর আমাদের পয়সা দিতে পারবেন না। এই করে আমরা খাই। কী করে আমাদের সংসার চলবে। ওস্তাগররা এখন কিছু বলছে না। দিদি তো গিয়েছিল দেখলাম। দিদির উপর আশা আছে।

    পুজো আসছে। এই সময় ঘরে ঘরে কাজ যখন বাড়ার কথা, তখন অগ্নিকাণ্ড কেড়ে নিয়েছে সব কিছু। পুজোর আগে কবে আবার আগের ছন্দে ফিরবে মঙ্গলাহাট, সেই অপেক্ষায় সকলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আমতায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা, শুনলেন ক্ষতিগ্রস্তদের কথা

    BJP: আমতায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা, শুনলেন ক্ষতিগ্রস্তদের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার আমতা সহ বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত ভোটে গোলমালের কারণ খুঁজতে একের পর এক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি (BJP)। দলীয় সাংসদদের প্রতিনিধি দলের পর সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরের মহিলা সাংসদদের প্রতিনিধিরা ঘুরে গিয়েছেন বাংলা থেকে। এ বার তফশিলি সাংসদদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এল আমতায়। আমতার কাঁকরোলে ভোটের পর বিজেপি কর্মীদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তা খতিয়ে দেখতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন তফশিলি সাংসদ দলের সদস্যরা। যদিও এই প্রতিনিধি দল আসার আগে আমতায় রাস্তা আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে, তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।

    কী বললেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা?

    বিজেপির (BJP) তফশিলি সাংসদদের এই দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মনোজ রাজরি, এস মুনিস্বামী। তাঁরা বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যে তফশিলি সম্প্রদায়ের ২৮ জন মানুষ খুন হয়েছেন। বিজেপির যে ১০ জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৮জন তফশিলি।’ মনোজের অভিযোগ, ‘বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। পুলিশ রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করছে। আমতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা জানান,  এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন। অথচ এই রাজ্যে গণতন্ত্রকে কিভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে তা আপনারা (সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন) সারা দেশের সামনে তুলে ধরুন। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যেই মহিলাদের উপর সব থেকে বেশি নির্যাতন চলছে। গরিব ও দলিত মানুষদের উপর সব থেকে বেশি অত্যাচার হয়েছে। তাদের অভিযোগ, পুলিশ ঠিক মতো তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে সব ঘটনার পুনরায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে।

    প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সামনে কী বললেন ক্ষতিগ্রস্তরা?

    প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন ক্ষতিগ্রস্ত মহিলারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সামনে তাঁরা বলেন, আমাদের ঘরবাড়ি, দোকান ঘর সবকিছু ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা কোথায় থাকব তা ভেবে পাচ্ছি না। মনোজ রাজরি তখন তাদের শান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আপনারা চিন্তা করবেন না। সব অপরাধীরা সাজা পাবে। তিনি বলেন, এই বোনেদের চোখের জল মমতা দিদির সরকারকে ডোবাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Seema Haider: সীমা ও সচিনের আধার কার্ডে তথ্য বদল! উত্তরপ্রদেশে গ্রেফতার ২

    Seema Haider: সীমা ও সচিনের আধার কার্ডে তথ্য বদল! উত্তরপ্রদেশে গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেমিক সচিনের টানে ভারতে আসা পাকিস্তানি নাগরিক সীমা হায়দারের (Seema Haider) আধার কার্ড-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি বদলানোর অভিযোগ উঠল। নথি বদলানো হয়েছে প্রেমিক সচিন মিনারও। এই ঘটনায় যোগী পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন দুই যুবক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই যুবক বুলন্দশহরের আহমদগড়ের একটি জনসেবা কেন্দ্রে কাজ করতেন। সেখান থেকেই তাদের আটক করেছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস (অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড)। পুলিশ সূত্রে খবর দুই অভিযুক্তের নাম পুষ্পেন্দ্র মিনা এবং পবন মিনা। এঁরা দুজনে দাদা-ভাই। পাশাপাশি পাবজি প্রেমিক সচিনেরও তুতো ভাই বলে পরিচিত তারা। কেন এই দুই অভিযুক্ত সীমা-সচিনের নথি পরিবর্তন করেছেন? তা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। এর পিছনে অন্য কোনও চক্র কাজ করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    পাক-দূতাবাসে গেল সীমার (Seema Haider) পরিচয় পত্র

    অন্যদিকে দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাসে পাঠানো হল সীমা হায়দারের (Seema Haider) পরিচয় পত্র। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর সীমা হায়দারকে নিয়ে একাধিক বিতর্ক সামনে এসেছে। সে কি শুধুই ভালবাসার টানে এখানে এসেছে নাকি অন্য কোনও উদ্দেশে, তারই রহস্য উন্মোচন করছেন গোয়েন্দারা। সীমার (Seema Haider) ভাই এবং মামা পাক সেনাবাহিনীতে কর্মরত বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দার। ভারতীয় প্রান্তিক বধূ সাজতে প্রশিক্ষণও নেন সীমা। আবার তাঁর ঝরঝরে ইংরেজি বলাও গোয়েন্দা রেডারে রয়েছে। সীমা (Seema Haider) কোনও পাক গুপ্তচর কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে। ফলে গত ৪ জুলাই থেকেই সীমার ওপর কড়া নজর রয়েছে উত্তরপ্রদেশের এটিএস-এর।

    রাষ্ট্রপতির কাছে ভারতে থাকতে দেওয়ার আর্জি সীমার

    পাবজি খেলতে গিয়ে সচিনের প্রমে পড়েন সীমা (Seema Haider)। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর গ্রেফতার করা হয় সীমাকে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণের দাবি করেন। পাবজি প্রেমিকার কথায়, ‘‘সীমা হিন্দু এবং মুসলমান যে কোনও ধর্মের মেয়েদেরই নাম হয়। তাই আমি এখন থেকে শুধুই সীমা। অথবা, নিজেকে সীমা সচিন বলে পরিচয় দেব। আমার সন্তানদেরও নাম পরিবর্তন করে রাজ, প্রিয়ঙ্কা, পরি এবং মুন্নি রেখেছি।’’ জানা গিয়েছে, এর মধ্যেই ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ভারতে থাকার আর্জি জানিয়েছেন সীমা। তাঁর আবেদন, তিনি আর পাকিস্তান ফিরতে চান না। সন্তানদের নিয়ে ভারতেই থেকে যেতে চান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South Dinajpur: বেপাত্তা চিকিৎসক, তালাবন্ধ সরকারি হাসপাতাল, রোগী মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

    South Dinajpur: বেপাত্তা চিকিৎসক, তালাবন্ধ সরকারি হাসপাতাল, রোগী মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেপাত্তা চিকিৎসক। ৩ দিন ধরে তালা বন্ধ হয়ে রয়েছে সরকারি হাসপাতাল। খোঁজ নেই নার্স ও অনান্য স্বাস্থ্যকর্মীদেরও। আর যার জেরে বিনা চিকিৎসাতেই মৃত্যু হয়েছে এক রোগীর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের সমজিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনা নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) কুমারগঞ্জ ব্লকের সমজিয়া গ্রামপঞ্চায়েত।  প্রত্যন্ত এলাকায় মানুষের সুবিধার জন্য গড়ে উঠেছিল ১০টি বেডের সমজিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বৃদ্ধি পেয়েছে বেডের সংখ্যাও। বর্তমানে ২০টি বেড রয়েছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। প্রসূতি মহিলাদের সমস্ত রকম চিকিৎসা ছাড়াও ডায়েরিয়া বা রাতবিরেতে যে কোনও অসুখ  বিসুখের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির দায়িত্বে রয়েছেন একমাত্র চিকিৎসক এস বি মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পরিচালনার জন্য রয়েছেন ৫ জন নার্স এবং ৭ জন সরকারি কর্মী। অভিযোগ, সরকারি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসক শুক্রবার থেকে আচমকাই বেপাত্তা হয়ে যান। শুধু তাই নয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স সহ বাকি কর্মীরাও হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। যার জেরেই প্রায় ৩ দিন ধরে তালাবন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে সরকারি এই হাসপাতালটি। এদিকে গত ২২ জুলাই স্থানীয় রসুলপুর এলাকার এক যুবক তথা মৎস্যজীবী সাগর মহন্ত আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে তড়িঘড়ি সমজিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হলেও তার চিকিৎসা হয়নি। তালাবন্ধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাউকেই খুঁজে পায়নি তাঁর পরিবারের লোকজন। এরপর স্থানীয় কুমারগঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    হাসপাতালে পরিষেবা না পেয়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতাল কেন তালাবন্ধ হয়ে পড়ে থাকবে? একমাত্র চিকিৎসক ছুটিতে থাকলেও তা নিয়ে কেন হেলদোল নেই স্বাস্থ্য দফতরের। বাকি নার্স ও  স্বাস্থ্যকর্মীরাই কেন বেপাত্তা হয়ে থাকল? এই সব প্রশ্ন তুলে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চরম অব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই একই সমস্যা চলছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। হাসপাতাল তালাবন্ধ থাকার কারণে বিনা চিকিৎসাতেই এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। কেন বারবার এসব ঘটনা ঘটছে। এসব বন্ধ হওয়া উচিত। স্বাস্থ্য দফতরের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।

    কী বললেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক?

    জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, বিষয়টি শুনেছি। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে তারজন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: রানিনগরে কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: রানিনগরে কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে ওই কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার রানিনগর থানার ডেপুটিপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম কংগ্রেস কর্মীর নাম রেন্টু শেখ। তাঁকে রানিনগর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কেন হামলা?

    রানিনগর এলাকায় ডেপুটিপাড়া এলাকায় এবার কংগ্রেস তথা জোট প্রার্থীর কাছে তৃণমূল হেরে যায়। এরপর থেকেই তৃণমূলের (TMC) লোকজন এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে। কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ির সামনে তৃণমূলের লোকজন জমায়েত করত বলে অভিযোগ। সেখান থেকে মাঝে মধ্যে হুমকিও দেওয়া হত। রবিবার রাতে রেন্টু শেখ নামে কংগ্রেস কর্মীর বাড়়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়। পরে, কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে প্রথমে রানিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে  মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে। গুলি ও বোমায় তাঁর একটি পা ও হাত গুরুতরভাবে জখম হয়েছে।

    কী বললেন জখম কংগ্রসে কর্মীর পরিবারের লোকজন?

    জখম কংগ্রেস কর্মী রেন্টু শেখের স্ত্রী বলেন, ভোটে এই গ্রামে জোট প্রার্থীর জয় হওয়ার পর থেকেই বাড়ির সামনে তৃণমূলের (TMC)  লোকেরা জমায়েত করত। রবিবার রাতে হঠাৎ আমাদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি ও গুলি করা হয়। তাতেই আমার স্বামী জখম হয়েছে। ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতাদের বক্তব্য, কংগ্রেস কর্মীরাও তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করেছে। তাতে আতর আলি শেখ নামে তৃণমূল এক কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ফরাক্কায় বোমা উদ্ধার

    ফের মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধার। বাজেয়াপ্ত করা হল বোমা তৈরির মশলাও। সোমবার সকালে ফরাক্কা থানার মহেশপুর পঞ্চায়েতের শিবতলা এলাকা থেকে বোমা ও মশলা উদ্ধার করে সিআরপিএফ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: সুতিতে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, এলাকায় শোরগোল

    TMC: সুতিতে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, এলাকায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধানকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার  উমরাপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম তৃণমূল নেতার নাম মুজিবর রহমান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই জখম তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মজিবরসাহেব ২০১৩ সালে তৃণমূলের উমরাপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। পরে, তিনি পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। এবারও তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী ছিলেন। তবে, তিনি পরাজিত হন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিবাদ নিয়ে এলাকায় গণ্ডগোল হয়েছিল। তৃণমূল নেতা হিসেবে তিনি গণ্ডগোলের মীমাংসা করতে যান। সেখানে দুপক্ষকে নিয়ে সমস্যার সমাধানও করেন। পরে, তিনি বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা তাঁর পথ আটকায়। এরপরই ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালেই তিনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) সুতি -২ ব্লকের সভাপতি লতিফুর রহমান বলেন, বাড়ি ফেরার পথেই দলীয় নেতার উপর হামলা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করার জন্যই কংগ্রেস এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার পিছনে দলের কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    হামলার ঘটনায নিয়ে কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল চারিদিকে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আর দলের কোন্দল তো রয়েছে। বিরোধীরা হামলা চালাবে তা হতে পারে না। আসলে এই হামলার পিছনে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। আমরা চাই, অবিলম্বে হামলাকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share