Tag: Madhyom

Madhyom

  • Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে বিস্ফোরণ ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের ট্রান্সফর্মারে, মৃত ১৬

    Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে বিস্ফোরণ ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের ট্রান্সফর্মারে, মৃত ১৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) নতুন বিপদ। অলকানন্দা নদীর ধারে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় মঙ্গলবার রাতে। ফেটে যায় ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের ট্রান্সফর্মার। আর তাতেই কম করে ঝরে গেল অন্তত ১৬টি প্রাণ। জানা গিয়েছে, মৃতদের অধিকাংশই শ্রমিক। এই ঘটনায় আহত কমপক্ষে ২১ জন। দুর্ঘটনায় এক পুলিশকর্মীরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের সকলেই কোনও না কোনওভাবে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের কাজে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ ঘটার সঙ্গে সঙ্গে একটি গোটা সেতু বিদ্যুৎবাহী (ইলেক্ট্রিফায়েড) হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, সেতুটি নমামি গঙ্গা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ছিল। গোটা সেতুটি বিদ্যুৎবাহী হয়ে যাওয়ায় সেই সেতুর উপরে কর্মরত প্রত্যকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যান। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ জনই মারা গিয়েছেন বলে খবর। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে চামেলি জেলা প্রশাসন।

    কী বলছে চামোলি জেলা প্রশাসন?

    সূত্রের খবর মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের কাজ চলছিল। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, আসে উদ্ধারকারী দলও। চামেলি পুলিশের এসপি পরমেন্দ্র ডোভাল নিজে ঘটনাস্থলের তদারকি করছেন। তিনি জানিয়েছেন, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে বেশিরভাগজনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। উদ্ধারকাজ চলছে। আহতদের হেলিকপ্টারে করে ঋষিকেশ এইমসে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। আমি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।’’ এদিনের ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malta Fruit: মাল্টা বেশি খেলে ঝুঁকি আছে কি? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    Malta Fruit: মাল্টা বেশি খেলে ঝুঁকি আছে কি? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমলালেবুর মতো গাঢ় রং! কিন্তু ভিতরে কমলালেবুর কোয়া নেই। বরং মুসুম্বি লেবুর মতো। তবে, গন্ধে আর স্বাদে মুসুম্বি লেবুকে কয়েক গোল দেবে। এর নাম মাল্টা (Malta Fruit)। এই লেবু মূলত উত্তরাখণ্ড থেকে আমদানি হয়। বর্ষার শুরু থেকেই বাজারে পাওয়া যায় মাল্টা। প্রায় পুজোর মরশুম পর্যন্ত, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর মাস পর্যন্ত ভালো মানের মাল্টা বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু এই লেবুর উপকার কতখানি? দেখতে সুন্দর। কিন্তু গুণে পরিপূর্ণ কী? বিশেষজ্ঞ মহল অবশ্য জানাচ্ছে, নিয়মিত একটা মাল্টা খেলে অনেক বিপদ এড়ানো যাবে।

    মাল্টা (Malta Fruit) খেলে কী উপকার পাওয়া যাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ যাদের আছে, মাল্টা তাদের জন্য সবচেয়ে উপকারী। মাল্টায় থাকে হেসপেরিডিন এবং প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম। যার জন্য উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমায় মাল্টার রস। 
    তাছাড়া, মাল্টায় থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত মাল্টার (Malta Fruit) রস খাওয়ালে সর্দি-কাশির ঝুঁকি কমবে। কারণ, ভিটামিন সি সর্দি-কাশি প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে। আর বর্ষার মরশুমে শিশু ও বয়স্কদের সর্দি-কাশিতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই এই সময়ে তাদের নিয়মিত মাল্টা খাওয়ালে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। 
    তাছাড়া, মাল্টা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটা ফল। যার জেরে রক্তে শ্বেত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শ্বেত কণিকা রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই মাল্টা খেলে দেহের প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। 
    মাল্টায় ভিটামিন সি ছাড়াও রয়েছে প্রচুর অন্যান্য ভিটামিন। যেমন যার জেরে দাঁত, চুল, ও ত্বক ভালো থাকে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাল্টা খেলে দাঁতের সমস্যা, জিহ্বায় ঘায়ের মতো সমস্যা কমে। পাশপাশি ত্বকের শুষ্ক ভাব কমাতে সাহায্য করে মাল্টা। 
    যেহেতু মাল্টায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, তাই মাল্টা ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাল্টার মতো ফল নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া, মাল্টা স্থূলতা কমাতেও সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    অতিরিক্ত মাল্টা (Malta Fruit) খেলে কোনও সমস্যা হতে পারে কি? 

    বিশেষজ্ঞ মহল অবশ্য জানাচ্ছে, মাল্টার উপকার অনেক। কিন্তু অতিরিক্ত মাল্টা খেলে সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, অতিরিক্ত মাল্টা খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। মাল্টার রস পেটের জন্য বিশেষত লিভারের জন্য ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত মাল্টার (Malta Fruit) রস খেলে পেটের সমস্যা বা বারবার মলত্যাগের মতো সমস্যা হতে পারে। 
    আবার যাদের রক্তচাপ ওঠা-নামা অর্থাৎ, রক্তচাপ নিম্নমুখীর প্রবণতা, তাদের অতিরিক্ত মাল্টা বিপদ বাড়াতে পারে। কারণ, তাতে রক্তচাপ কমে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, রোজ সকালে ভারী জলখাবারের পরে একটা মাল্টা খাওয়া যেতে পারে। তাতে শরীরে উপকার পাওয়া যাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: রাস্তা তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ, আরামবাগে কাজ বন্ধ করে দিলেন বাসিন্দারা

    Hooghly: রাস্তা তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ, আরামবাগে কাজ বন্ধ করে দিলেন বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগ ব্লকের মায়াপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্যাণ কেন্দ্র এলাকার ঘটনা। সূত্রধরপাড়া থেকে অহল্যাবাই রোড পর্যন্ত হুগলি (Hooghly) জেলা পরিষদের অধীনে টেন্ডারের মাধ্যমে পিসি সেন রোড ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের মূল অভিযোগ, কাজ চলাকালীন রাস্তায় যে সমস্ত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে, তা খুবই নিম্নমানের। প্রতিবাদে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা।

    এলাকার সমস্যা কী (Hooghly)?

    গ্রামের (Hooghly) মানুষের অভিযোগ, আগে যে পঞ্চায়েতের তৈরি ঢালাই রাস্তা ছিল, তা ১০ ফুট চওড়া ছিল। কিন্তু সূত্রধরপাড়ার রাস্তা এবং পিসি সেন রোড কোথাও ৭ ফুট, আবার কোথাও ৮ ফুট চওড়া করা হচ্ছে। রাস্তার মাপ সমান নেই! এমনকি মোড়ে মোড়ে রাস্তার ঢালাই কম করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গ্রামের একমাত্র প্রধান রাস্তা হল এটি! এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রত্যেক দিন যাতায়াত করে শত শত গাড়ি ও মানুষ। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যেভাবে রাস্তা তৈরি হওয়ার কথা হয়েছে, সেই অনুযায়ী নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে না। তাই গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। গ্রামের মানুষ দাবি করেন, যতক্ষণ না সঠিক ভাবে নিয়ম মেনে কাজ হবে, ততক্ষণ কাজ করতে দেওয়া হবে না।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এক গ্রামাবাসী (Hooghly) গৌরহরি সূত্রধর বলেন, গ্রামের ভিতরে যে রাস্তা হয়েছে, ঢোকার মুখে তা চওড়ায় অনেকটাই কম হয়েছে। গ্রামে ঢোকার মুখে রাস্তা বড় না হলে কীভাবে মানুষ চলাচল করবে? জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে এমন ভাব করেন, যেন দয়া করে রাস্তা করে দিচ্ছেন! কিন্তু আদতে তা নয়, সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় হচ্ছে রাস্তা। নির্মাণসামগ্রীও অত্যন্ত নিম্নমানের বলেই আমরা রাস্তা বন্ধ করেছি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা দয়া ভিক্ষা চাই না, চাই রাস্তা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Hooghly) জেলার এক নেতা বলেন, আমি ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়েছি। রাস্তার মাপ কোথাও ১০ ফুট আবার কোথাও ১২ ফুট করা হচ্ছে। কিন্তু নিয়ম মেনেই কাজ হচ্ছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর কথা প্রসঙ্গে বলেন, এই অভিযোগ মিথ্যা। তিনি আরও বলেন, কিছু লোক থাকেন যারা কেবল বিরোধিতা করতে হয় বলে কাজের বিরোধিতা করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kidney Disease: কোন পাঁচ উপসর্গ কিডনির রোগের জানান দেয়? 

    Kidney Disease: কোন পাঁচ উপসর্গ কিডনির রোগের জানান দেয়? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অসময়ে খাওয়ার অভ্যাস কিংবা শারীরিক নানা জটিলতা, নানা কারণে কিডনির সমস্যা (Kidney Disease) বাড়ছে। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। সমস্যা বুঝতেই রোগীর দেরি হয়। তাই সমস্যা বাড়তে থাকে। অনেক সময়ই চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সুযোগ থাকছে না। তাই আগে থেকেই সতর্ক হলে বড় বিপদ এড়ানো যায়।

    কাদের কিডনির রোগে (Kidney Disease) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কিডনির রোগে যে কোনও বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতেই পারেন। কিন্তু ৪০ বছরের চৌকাঠ পেরলে বাড়তি সতর্ক হতে হয়। বিশেষত মহিলাদের কিডনির রোগ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাছাড়া, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। 
    কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর মোট মৃত্যুর ১০ শতাংশের কারণ কিডনি ফেলিওর (Kidney Disease)! তাছাড়া একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ মহিলা পঞ্চাশ বছরের পরে নানা ক্রনিক কিডনির সমস্যায় ভোগেন। তবে, কিডনি ফেলিওর হয়ে মৃত্যুর ঘটনা মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের বেশি হয়।

    কোন পাঁচ উপসর্গ কিডনি সমস্যার (Kidney Disease) জানান দেয়?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ত্বকের সমস্যার কারণে অনেক সময়ই কিডনির রোগ (Kidney Disease) হয়। কিন্তু অধিকাংশ সময় তা বোঝা যায় না। ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণ কিডনির সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় ত্বকে নানা চুলকানি, কিংবা হাত-পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়ার মতো উপসর্গ সাধারণ বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঠিকমতো শারীরিক পরীক্ষা করলে জানা যায়, কিডনির সমস্যা থেকেও এগুলো হতে পারে। 
    রাতে ঘুম না হওয়া বা অনিদ্রার মতো সমস্যার কারণ কিডনির রোগ বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানান, কিডনির সমস্যা থাকলে ঘুমের অসুবিধা হয়। তাই রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে সতর্ক হতে হবে। কিডনির সমস্যার কারণে ঘুম কম হতে পারে। 
    পা ফুলে যাওয়া কিডনির সমস্যার অন্যতম উপসর্গ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনির সমস্যা থাকলে দেহে সোডিয়াম, পটাশিয়াম সহ একাধিক উপাদান কমতে থাকে। তার জেরে দেহের একাধিক অংশ ফুলতে পারে। বিশেষত পা ফুলে যায়। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। 
    বারবার মূত্রত্যাগ কিডনি সমস্যার আরেক উপসর্গ বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই বারবার মূত্রত্যাগকে শুধুমাত্র ডায়বেটিসের উপসর্গ বলে ভুল করেন। কিন্তু কিডনির সমস্যা হলেও এই এক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা দরকার। 
    পেটের যন্ত্রণা কিডনির সমস্যার অন্যতম উপসর্গ। বিশেষত পেটের নীচের অংশে প্রায় যন্ত্রণা অনুভব হলে অবহেলা করা উচিত নয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো দরকার। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যে কোনও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, সময় মতো চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন রাজ্যপালের! বাধাহীন বিচারপ্রক্রিয়া

    Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন রাজ্যপালের! বাধাহীন বিচারপ্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে ট্রায়াল চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু হঠাৎ রাজ্যপালের অনুমোদনের প্রয়োজন কেন? সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও মন্ত্রী বা আইন প্রণেতা বা সরকারি ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চালাতে অনুমোদন প্রয়োজন হয়। ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, নিজের ক্ষমতাবলে এই অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল।’’ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন মমতার মন্ত্রিসভায়। সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। আবার পার্থ যেহেতু বিধানসভারও সদস্য, তাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে বিধানসভার অধ্যক্ষেরও সম্মতি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়া হল সিভি আনন্দ বোসের। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজ্যপালের অনুমোদনে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতিতে আর কোনও বাধা রইল না।

    ২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার হন পার্থ (Partha Chatterjee) 

    প্রসঙ্গত, এক বছর আগে নিজের নাকতলার বাড়ি থেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তখনই তাঁর বান্ধবী অর্পিতার বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। সেখান থেকে মেলে ২২ কোটি টাকা। পরে আবারও অর্পিতার অন্য ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া যায় ২৮ কোটি টাকা। ইডি গ্রেফতার করলেও পরে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সিবিআই। পার্থর বিচারের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন জরুরি ছিল। সিবিআইয়ের সেই আবেদনেই সিলমোহর দিলেন রাজ্যপাল। বিচার প্রক্রিয়ায় আর কোনও বাধা রইল না।

    প্রেসিডেন্সি জেল যেন তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কদের পর্যটন কেন্দ্র 

    প্রেসিডেন্সি জেল যেন তৃণমূলের নেতাদের কাছে পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ছাড়াও জেলে আছেন আরও দুই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহা। রয়েছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও। এঁদের সবাই গ্রেফতার হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। পার্থর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে তারা, এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের। তা আদালতে ইতিমধ্যে পেশও করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ইয়েচুরি-মমতা বৈঠককে ঘৃণা করি, জানিয়ে দিল নিহত সিপিএম কর্মীর পরিবার

    Uttar Dinajpur: ইয়েচুরি-মমতা বৈঠককে ঘৃণা করি, জানিয়ে দিল নিহত সিপিএম কর্মীর পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল চোপড়ার (Uttar Dinajpur) সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলমের। মনসুরের পরিবারের সেই ক্ষত আজও দগদগে। এরই মধ্যে বেঙ্গালুরুতে এক টেবিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে দেখে মর্মাহত মনসুরের পরিবার।

    কেন মর্মাহত (Uttar Dinajpur)?

    সাধারণ নিচু তলার রাজনৈতিক কর্মীরা বোঝেন না জাতীয় রাজনীতি। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতেই খুন হয়েছেন সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলম। তাই এই মৃত্যুতে নিহত মনসুরের (Uttar Dinajpur) দাদু মহঃ গিয়াসুদ্দিন বলেন, সিপিআইএম-তৃণমূলের জোটকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না। সর্বভারতীয় স্তরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনও মুখকে তুলে না ধরে, মানুষকে ভাঁওতা দেবার জন্য বৈঠক করছেন। তিনি আরও বলেন, এই বৈঠককে নিচু তলার সিপিআইএম কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। তৃণমূলের সঙ্গে সিপিআইএমের এই বৈঠক আমাদের কাছে লজ্জার। যেভাবে তৃণমূল ভোট দিতে দিল না, রাজ্যে সন্ত্রাস চালাল, ভোট লুট করল, গুলি করল, বোমা মারল, মানুষ খুন করে মায়ের কোল খালি করল, তা আমরা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। সিপিআইএম-তৃণমূলের এক টেবিলে বৈঠক! একসঙ্গে চা পান! এটাকে অত্যন্ত ঘৃণা করি।

    প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন পরিবারের

    অপর দিকে বেঙ্গালুরুতে বিরোধী ২৭টি দলের জোটের বৈঠককে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হামলায় সিপিএম এবং কংগ্রেসের কর্মীরা মারা যাচ্ছেন। আর এই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের নেতারা বৈঠক করছেন। মোদির এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন নিহত মনসুরের (Uttar Dinajpur) দাদু মহঃ গিয়াসুদ্দিন।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল ভোটে

    উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় চোপড়া (Uttar Dinajpur) ব্লকের কাঠালবাড়ি গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল মনসুর আলম নামে এক সিপিআইএম কর্মী। এরপর আহত মনসুরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত ২২ জুন শিলিগুড়িতে মৃত্যু হয়। শাসক দলের নেতারা এই ঘটনায় যুক্ত থাকায় পুলিশ ঘটনার তদন্তে অনিহা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। পরিবার ছেলেকে হত্যার ঘটনায় বিচার থেকে বঞ্চিত। ঘটনার একমাস কাটতে না কাটতে সর্বভারতীয় নেতারা ঘাতক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠককে ভাল ভাবে নিতে পারছে না এই মৃতের পরিবার। সিপিএমের নিহত কর্মীর পরিবার জাতীয় নেতৃত্বের জোটের বিরুদ্ধে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: আন্দুলে তৃণমূল-আইএসএফ ব্যাপক সংঘর্ষ, লাঠি, রড, ভোজালি নিয়ে হামলা

    Panchayat Election 2023: আন্দুলে তৃণমূল-আইএসএফ ব্যাপক সংঘর্ষ, লাঠি, রড, ভোজালি নিয়ে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে হাওড়া জেলার আন্দুলের আরগোড়িতে তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ (Panchayat Election 2023) হয়। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, আইএসএফ কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় চার জন আহত হয়েছে। সাঁকরাইল থানার পুলিশ এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে। আইএসএফের পক্ষ থেকে অবশ্য হামলার কথা অস্বীকার করা হয়।

    কী ঘটনা ঘটেছে?

    গতকাল রাতে আন্দুলের আড়গোড়িতে স্থানীয় একটি ক্লাবে ভোজের ব্যবস্থা করা হয়। উপলক্ষ্য আন্দুল পঞ্চায়েতের ৪৬ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর জয় (Panchayat Election 2023)। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা যখন ক্লাবের বাইরে রান্নাবান্না করছিলেন, সেই সময় আইএসএফের ছেলেরা দল বেঁধে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা লাঠি, রড, কাটারি এবং ভোজালি নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বাধা দিলে তাদের মারধর করে ওই আইএসএফ কর্মীরা। এই ঘটনায় চারজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়। তাদের সাঁকরাইলের হাজি এস টি মল্লিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যার সত্যতা সংবাদ মাধ্যম যাচাই করেনি।

    কী বলল বিবদমান দুই দল

    তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, ভোটে জেতার কারণে আইএসএফ কর্মীরা বাইরে থেকে ছেলে এনে পরিকল্পনামাফিক তাদের ওপর হামলা করেছে। যদিও আইএসএফ নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করে। আইএসএফ জানিয়েছে, ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে গন্ডগোল। এতে রাজনৈতিক (Panchayat Election 2023) রং লাগানো হচ্ছে। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। তারা সব এলাকারই ছেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, হামলার ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আজ হাওড়া আদালতে তোলা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম! জীবন বাঁচাতে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

    Assam Flood: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম! জীবন বাঁচাতে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যায় অসম (Assam Flood) সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত। সরকারি হিসেব বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কমপক্ষে এক লক্ষ মানুষ। এখানেই শেষ নয়, প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংখ্যা। ত্রাণ শিবিরে সংকুলান হচ্ছে না জায়গা। কিন্তু শুধুমাত্র মানুষ নয়। বন্যায় একই ভাবে দুর্গত হয়ে পড়েছে বন্য প্রাণীও। সড়ক পথে প্রাণ ভয়ে আশ্রয় নিতে দেখা যাচ্ছে, সাপ, হরিণ ইত্যাদিকে। বিপদসীমা তো কবেই পার হয়েছে, আপাতত ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র। ব্রহ্মপুত্রের দাপটে জলোচ্ছ্বাস (Assam Flood) দেখা গিয়েছে কাজিরাঙার অভয়ারণ্যের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সেখানকার বন্য জীবন। অরণ্যের বাইরে লোকালয়ে তাদের দেখা মিলছে। বন্যা কবলিত অসমে কাজিরাঙার অন্যতম বড় আকর্ষণ আগোরাতলি রেঞ্জও জলের তলায়। ফি বছর এখানে উপচে পড়ে পর্যটকদের ভিড়। কয়েক জায়গায় তো জলস্তরের উচ্চতা সাত ফুট ছুঁয়েছে। ফলে সেই এলাকায় যে বন্য জন্তু-জানোয়ারের বসবাস, তাদের প্রাণ বাঁচাতে জায়গা ছাড়তে হচ্ছে। কিন্তু যাওয়ার তো জায়গা নেই, তাই ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে।

    লোকালয়ে বন্য প্রাণী, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    লোকালয়ে বন্য প্রাণী ঢুকলে তা নিশ্চিতভাবেই আতঙ্কের কারণ। বিভিন্ন উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা বলছেন, ‘‘আমরা সঙ্গে নিয়ে এসেছি গোরু, মহিষ এবং গবাদি পশুগুলিকেও। কারণ এইগুলিই আমাদের আয়ের উৎস। ভয় লাগছে এই গবাদি পশুগুলিকেও আক্রমণ করতে পারে বন্য প্রাণীরা। কারণ চিতা, বন্য শূকর এবং অন্যান্য প্রাণী আমাদের ক্যাম্পের কাছে চলে আসছে। তাই স্বেচ্ছাসেবকরা এখন রাতে মশাল জ্বালিয়ে ওই প্রাণীগুলিকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে।’’

    চোরা শিকারিদের উৎপাত বাড়তে পারে এইসময়

    সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ৬৮টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গল ক্যাম্প আপাতত জলের তলায় (Assam Flood)। অরণ্যে বসবাসকারী পশুরা প্রাণ বাঁচাতে জঙ্গল ছেড়ে উঠে পড়েছে অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায়। আবার কিছু পশুকে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হতেও দেখা যাচ্ছে। বিগত বছরগুলিতে চোরাশিকারিদের উৎপাত বন্ধ করা গেছে সরকারি কড়া পদক্ষেপে। বন্য জন্তুদের প্রাণ বাঁচাতে বিজেপি সরকারের এমন উদ্যোগ দেশ বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। তবে বন্যার (Assam Flood) এমন পরিস্থিতিতে তাদের উৎপাত ফের বাড়তে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পর্যবেক্ষকরা বলছেন,  এই সময়েরই অপেক্ষায় থাকে চোরাশিকারিরা। কারণ, এই সময় পশুরা বিভ্রান্ত থাকে। ফলে তাদের ফাঁদে ফেলে মেরে দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। বন দফতরের কর্মীদের সে দিকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে। এছাড়া ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনাতেও প্রাণ যাচ্ছে বন্য জন্তুদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “মোদিজিকে দেখে মমতাদির শেখা উচিত”, আমতা ঘুরে মন্তব্য বিজেপির মহিলা সাংসদদের

    Howrah: “মোদিজিকে দেখে মমতাদির শেখা উচিত”, আমতা ঘুরে মন্তব্য বিজেপির মহিলা সাংসদদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে মহিলাদের উপর হিংসার তথ্য নিতে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার পর এবার হাওড়ার আমতা (Howrah)। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখানে ভোটের পর ব্যাপক সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়ি। রেহাই পাননি মহিলারাও। এদিন ওই গ্রামে পৌঁছে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বললেন বিজেপির মহিলা তথ্যানুসন্ধান দলের পাঁচ সাংসদ। উল্লেখ্য, শুধু আমতা নয়, পঞ্চায়েত ভোটের পরে গোটা হাওড়া জেলা জুড়েই বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এমনকী বিজেপি কর্মীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে তাদের এলাকা ছাড়া করারও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন দলের প্রতিনিধিরা (Howrah)?

    এইসব জিনিস খতিয়ে দেখতে আজ বুধবার সকালে আমতায় (Howrah) যান রমা দেবী, কবিতা পাতিদার, অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, সন্ধ্যা রায় এবং সরোজ পাণ্ডে। উপদ্রুত এলাকা ঘুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন কমিটির সদস্যারা। তাঁরা জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে দেখে মমতাদির শেখা উচিত, কীভাবে গ্রামীণ গরিব মানুষদের উন্নয়ন করেছেন তিনি। কীভাবে তাঁদের রুজি রোজগারের উপায় করেছেন। কীভাবে বাড়িঘর, পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এখানে গরিব মানুষদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মহিলারাও আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। তাঁদের  অভিযোগ, বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের নামে কেবল হিংসা হয়েছে। বিরোধী রাজনীতি করলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর ধেয়ে আসছে আক্রমণ। শুধু ওই ব্যক্তিই নয়, তাঁর পরিবারের উপরও হিংসার আঁচ এসে পড়ছে। তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরানো হচ্ছে। মহিলাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে এক জন মহিলা, সেখানে এমন ঘটনা একেবারেই অনভিপ্রেত বলে কটাক্ষ করেছে এই তথ্যানুসন্ধান দল। এদিন প্রতিনিধিদলের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতা মহিলারা।

    রিপোর্ট দেবেন নাড্ডাকে

    তাঁরা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঙ্গালুরু গিয়ে ইন্ডিয়ার কথা বলছেন। অথচ তাঁর প্রদেশে (Howrah) কী ঘটছে, তা তিনি চোখে পটি বেঁধে আছেন না দেখার জন্য। দলের সদস্যেরা জানিয়েছেন, দিল্লি ফিরে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে এ নিয়ে রিপোর্ট দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: এবার তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি, আতঙ্কে মহিলারা, কাঠগড়ায় সিপিএম

    Murshidabad: এবার তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি, আতঙ্কে মহিলারা, কাঠগড়ায় সিপিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের ধুলাউড়ি (Murshidabad) অঞ্চলের যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে তুলসীপুর গ্রামে ধুলাউড়ি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি আঞ্জারুলের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয় বলে জানা গেছে। পরপর তিনটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। বাড়ির লোকজন ঘটনায় ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

    কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ হল (Murshidabad)?

    তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক হওয়ায়, তাঁর বাড়ি (Murshidabad) লক্ষ্য করে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। এরপর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আঞ্জারুল, সিপিএমের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সরজমিনে গিয়ে তদন্ত শুরু করে দেখে, কে বা কারা এই বোমা বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, ভোটের দিন থেকেই  তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারে সিপিএম কর্মীরা এলাকাছাড়া রয়েছেন। সিপিএম কর্মীদের নামে মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।

    আক্রান্ত পরিবারের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা আঞ্জারুলের মা মঞ্জুরা বিবি বলেন, ভোটের দিন থেকেই আমাদের উপর অত্যাচার চলছে। গতকাল রাতে পরপর তিনটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা। আমার ছেলে আঞ্জারুল, রানা প্রত্যেকেই ঘরছাড়া সিপিএমের দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে। ভোটের দিনেই বাড়িতে ঢুকে মারামারি করে ছেলেদের সঙ্গে। প্রাণের ভয়ে ছেলেরা বাড়িতে ঢুকতে পারছে না। গতকাল রাতে ১০ টার পর আমি এবং আমার বৌমা বাড়িতে (Murshidabad) ছিলাম। রাতের খাবার খেয়ে নমাজ পড়ার পর হঠাৎ দেখি ঘর ধোঁয়ায় ভরে গেছে। এরপর বাইরে বেরিয়ে দেখি বোমা বিস্ফোরণ করেছে দুষ্কৃতীরা। যারা করেছে তাদের চিনি না। তবে সকলেই সিপিএম করে। আমরা দুই মহিলা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। পুলিশে খবর দিলে পুলিশ আসে এবং এসে উল্টে আমদের বিরুদ্ধেই বোমা মারার অভিযোগ করে। অত্যন্ত অসহায় বোধ করছি!

    সিপিএমের বক্তব্য

    সিপিএমের ডোমকল (Murshidabad) লোকাল কমিটির সম্পাদক মস্তাফিজুর রহমান বলেন, সিপিএমের কর্মীরা এলাকায় তৃণমূলের অত্যাচারে ঘর ছাড়া। তৃণমূলের এই অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের কর্মীরা নিজেরাই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে মিথ্যা কেস দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share