Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bomb Blast: বল ভেবে খেলতে গিয়ে দৌলতাবাদে বোমা বিস্ফোরণে জখম তিন স্কুল পড়ুয়া

    Bomb Blast: বল ভেবে খেলতে গিয়ে দৌলতাবাদে বোমা বিস্ফোরণে জখম তিন স্কুল পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পঞ্চায়েত ভোট থেকে মুড়ি মুরকির মত আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকছে বোমা। প্রতিদিনই প্রশাসন বোম উদ্ধার করছে এবং এই বোমের আঘাতে অনেকে জখমও হচ্ছে। সোমবারই ফের বোমা বিস্ফোরণ ঘটল মুর্শিদাবাদে। বল  ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) জখম হল তিন স্কুল পড়ুয়া। সোমবার ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার দৌলতাবাদের গুরুদাসপুর গ্রামে। জখমদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুঁসছেন। বোমা মজুতকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানা তাঁরা।

    কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন পড়ুয়া দৌলতাবাদের গুরুদাসপুর প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র। এদিন স্কুল থেকের ফেরার পর পরই তারা তিনজনে মিলে খেলা করতে যায়। বাড়ির কাছে সাঁকোর নীচে বলের মতো একটি বস্তু দেখে তারা খেলা করতে যায়। সঙ্গে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। আর তিনজন ছিটকে পড়ে। বিকট শব্দ শুনে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গত ১৫ জুলাই সালার থানার কাগ্রামে দুজন শিশু কৌটো বোমাকে খেলনা ভেবে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। তাতে দুজনই জখম হয়। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    জখম পড়ুয়ার পরিবারের এক সদস্য বলেন, আক্রান্ত স্কুল পড়ুয়া আমার ভাগ্নে হয়। এভাবে যেখানে  সেখানে বোমা ফেলে রাখা অন্যায়। আরও হয়তো অনেক বোমা গ্রামে পড়ে রয়েছে। যে বা যারা বোমা রেখেছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। কারণ, পুলিশের উদাসীনতার কারণেই এত বোমা রাস্তাঘাটে পড়ে থাকছে। আরও অনেকের বিপদ হতে পারে। এভাবে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করাই কঠিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘চুরিতে নোবেল পেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘চুরিতে নোবেল পেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের আক্রান্ত কর্মীকে দেখতে বসিরহাট হাসপাতালে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পরে তিনি হাবড়ায় আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর বেঙ্গলুরুর বৈঠক নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    শনিবার বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার বেঙ্গালুরু সফর নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বেঙ্গালুরুতে গিয়েছেন। যেতেই পারেন। সেখানে গিয়ে দেখে আসুন কর্ণাটকের বিভিন্ন জায়গায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে কতজন পরিয়ায়ী শ্রমিক কাজ করছেন।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি দেশের সেরা চোর বলে আখ্যা দেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘ভাইপোকে দাঁড় করাতে বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকে গিয়েছেন মমতা। আর প্রধানমন্ত্রী মোদিজি সেটা জানেন। ভারতবর্ষের চুরিতে যদি কেউ নোবেল পেতে পারেন, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যত রকমের চুরি আছে, রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে. আকাশে চন্দ্রযান যাচ্ছে, চান্স পেলে ওটাও চুরি করে নিতে পারে, চান্স পায়নি তাই।’

    পঞ্চায়েতে বোমা-গুলি উদ্ধার নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, পশ্চিমবঙ্গ এখন বোমা, গুলি, বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। আমার তো মনে হয়, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই তৃণমূলের এক জয়ী সদস্যের কাছে থেকে বিরাট পরিমাণ জিলেটিন স্টিক পাওয়া গিয়েছে। এর আগে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ২৭ হাজার কেজি ধরা পড়ল কলকাতার বুকে। এই নিয়ে বৃহত্তর একটি তদন্ত হোক। এনআইএ-র মাধ্যমে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তদন্ত হওয়া উচিত। এর সঙ্গে কী শুধু রাজনৈতিক কারণ রয়েছে, না দেশ বিরোধী যে সংগঠনগুলি কাজ করে তাদের যোগ রয়েছে তা তদন্ত হওয়া দরকার। না হলে আগামী দিনে এই রাজ্যের জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে। এদিন বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকায় তৃণমূলের আক্রমণে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্তবাবু। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: খুনের প্রতিবাদে ফাঁড়িতে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, আইসি-কে ঝাঁটা দেখালেন মহিলারা

    Malda: খুনের প্রতিবাদে ফাঁড়িতে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, আইসি-কে ঝাঁটা দেখালেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) দলীয় কর্মী বুরান মুর্মুকে খুনের প্রতিবাদে বিজেপির বামনগোলা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বামনগোলা পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি আইসিকে ঝাঁটা দেখিয়ে প্রতিবাদ জানান মহিলা বিজেপি কর্মীরা। মারমুখী পুলিশকে কার্যত তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করেন আন্দোলনকারীরা। ঘটনায় উত্তপ্ত মালদা।

    থানা ঘেরাও কেন (Malda)?

    দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ হয় থানার (Malda) সামনে। পুলিশ বিক্ষোভে যোগদান করা আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। উল্লেখ্য, খুনের অভিযোগ উঠেছে মৃত বিজেপি কর্মীর ছেলের বিরুদ্ধে। ছেলে বিপ্লব মুর্মু এবং বৌমা শর্মিলা মুর্মুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আজ তাদের মালদা জেলা আদালতে তোলা হয়। এই খুনের ঘটনায় আর যেসব তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা যুক্ত রয়েছে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে হবে বলে পুলিশের কাছে দাবি জানানো হয়।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    সাংসদ খগেন মুর্মু (Malda) বলেন, মৃত বুরন মুর্মু অনেক দিনের পুরাতন বিজেপি কর্মী। ছেলের বৌ তৃণমূলে দাঁড়ালেও নিজে দায়িত্ব নিয়ে আদিবাসী সমাজের মন জয় করে বিজেপি প্রার্থীকে জয়যুক্ত করেন। এই নির্বাচন এবং জয়ের পিছনে বুরন মুর্মুর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদিবাসী সমাজের কোনও ভোট তাঁর ছেলের বৌ তৃণমূলের জন্য পায়নি। তৃণমূল জয়ী হতে পারেনি বলে বুরনবাবুকে খুন করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।

    আইসিকে ঝাঁটা নিয়ে প্রতিবাদ

    বিজেপির কর্মী-সর্মথকরা পুলিশ (Malda) ফাঁড়িতে চড়াও হয়ে খুনিদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানায় আইসির কাছে। ঝাঁটা উঁচিয়ে মহিলা বিজেপি কর্মীরা তেড়ে যান আইসির দিকে। বিজেপির অভিযোগ, এই খুনের ঘটনায় শাসকদলের নেতাদের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে বিজেপি কর্মীর বাবাকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের ব্যবহারে মানুষ অধৈর্য হয়ে গেছে।আর সেই কারণেই এভাবে থানায় চড়াও হয়েছে তারা, দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    কেন খুন করা হয়েছিল?

    তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বৌমা। কিন্তু বাবা নিজে বিজেপি সমর্থক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন বৌমা হেরেছে! সেই জন্য যাবতীয় আক্রোশের শিকার হন বিজেপি সমর্থক বাবা। মূলত খুনের কারণ এটাই ছিল। বাবাকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিজের ছেলের বিরুদ্ধেই। মালদা জেলার বামনগোলা ব্লকের মদনাবতীর কয়নাদিঘি গ্রামে। মৃতের নাম বুরন মুর্মু, অভিযুক্ত ছেলে বিপ্লব মুর্মু। বিপ্লব মুর্মুর স্ত্রী এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিল। আক্রোশের বশেই নিজের বাবাকে খুন করে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয় ছেলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বামনগোলা থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ঘর পেতে ৫০ হাজার টাকা দাবি, তৃণমূল যুব নেতার অডিও ঘিরে শোরগোল

    Dakshin Dinajpur: ঘর পেতে ৫০ হাজার টাকা দাবি, তৃণমূল যুব নেতার অডিও ঘিরে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনায় ঘর পেতে তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগের অডিও ক্লিপ ফাঁস। সোশ্যাল মিডিয়ায় অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাটের রাজনৈতিক মহলে। অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ মাধ্যম। বিজেপির শহর মণ্ডল সোমবার বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) মহকুমা শাসককে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে ডেপুটেশন দিয়েছে বলে জানা গেছে।

    কে সেই তৃণমূল যুব নেতা (Dakshin Dinajpur)?

    টাকা চাওয়ার অভিযোগ যে তৃণমূল যুবনেতার বিরুদ্ধে, সেই কল্লোল সরকার হলেন বালুরঘাট যুব তৃণমূল টাউন কমিটির সদস্য। সেই সঙ্গে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিমল সরকারের পুত্রও তিনি। কল্লোল সরকারের সাথে তাঁদের দলের এক কর্মীর কথাবার্তার অডিও শোনা যায়। এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৩ লক্ষ টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে পঞ্চাশ হাজার, পরে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা দিতেই হবে বলে দাবি করতে শোনা গেছে অডিওতে। এই তৃণমূল নেতার যুক্তি, মিউনিসিপ্যালিটিতে দুজন আছেন, যাঁরা এই টাকার ভাগ নেবেন। আর বাকি টাকা দিতে হবে জেলা ট্রেজারি দফতরে। কারণ টাকাটা ওখান থেকেই অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়। অর্থাৎ ৩০ হাজার টাকার ভাগ বাঁটোয়ারা কেমন হবে, সেটাও বলতে শোনা গেছে অভিযুক্ত কল্লোল সরকারের কণ্ঠে। আর এই নিয়েই বিজেপি অভিযোগ দায়ের করেছে বালুরঘাট মহকুমা শাসকের কাছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বালুঘাট (Dakshin Dinajpur)  শহর মণ্ডল প্রাক্তন সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার পরিবর্তে কল্লোল সরকারের ৫০০০০ টাকা চাওয়ার একটি অডিও ক্লিপ পাওয়া গিয়েছে। তাতে শোনা গিয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চেয়ে ৩০ হাজার টাকার রফা হয়েছে। অডিও ক্লিপেই পরিষ্কার, কাটমানি ছাড়া গরিব মানুষের কোনও কাজ করে না তৃণমূল।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিমল সরকার বলেন, আমার দুর্নাম ছড়াতেই চক্রান্ত করে এই অডিও ক্লিপ করা হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন। বালুরঘাট টাউন তৃণমূল কমিটির সভাপতি মহেশ পারেখ বলেন, অডিও ক্লিপ পরীক্ষা করে সত্যতা পাওয়া গেলে দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওই যুব তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    এই বিষয়ে মহকুমা (Dakshin Dinajpur) শাসক সুমন দাসগুপ্ত বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানান, এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে প্রশাসনিক স্তরে এবং দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: পাঁচজন অতিরিক্ত কনেযাত্রী, বউভাতে খাওয়ার বদলে জুটল বরপক্ষের বেধড়ক মার

    Birbhum: পাঁচজন অতিরিক্ত কনেযাত্রী, বউভাতে খাওয়ার বদলে জুটল বরপক্ষের বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন বরপক্ষের বাড়ির লোকজন। কিন্ত, কনেপক্ষ পাঁচ জন বেশি নিয়ে গিয়েছিল। এটাই অপরাধ। আর তাই প্যান্ডেলে বসে ভুরিভোজ খাওয়ার বদলে জুটল উত্তম-মধ্যম। বরপক্ষের হামলায় কনেপক্ষের বাড়ির বেশ কয়েকজন জখম হন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরের শিমুলডিহি গ্রামে। আহত হয়ে বেশ কয়েকজন ভর্তি সিউড়ি হাসপাতালে। অন্যদিকে কনের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বউভাতের দিন বর সহ বরপক্ষের চারজনকে গ্রেফতার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরের লোবা পঞ্চায়েতের শিমুলডিহি গ্রামের সুরিয়া খাতুনের সঙ্গে পাশের সদাইপুর থানার গুনসিমা গ্রামের শেখ আতিকুলের মুসলিম মতে বিয়ে হয়। রবিবার বউভাত খেতে শিমুলডিহি থেকে ৩০ জন কনেযাত্রী যান গুনসিমা গ্রামে। কিন্তু, ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরিবর্তে ৫ জন বেশি অতিথি নিয়ে যাওয়ায় বচসা শুরু হয়ে যায়। অতিরিক্ত ৫ জনের খাওয়ার খরচ মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পরও বরপক্ষ তা মানতে চাননি। বচসা থেকে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। এরপরই বরপক্ষের বাড়ির লোকজন কনেপক্ষের বাড়ির লোকজনদের বেধড়ক পেটায়। নিজের বাড়ির লোকজনদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন নতুন কনেও। সব মিলিয়ে বউভাত অনুষ্ঠান বানচাল হয়ে যায়। যে সব অতিথিরা ভোজ খেতে এসেছিলেন, তাঁরা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছুটে পালান। অনুষ্ঠান বাড়িতে দুপক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। গোটা বউভাত বাড়ি কার্যত রণক্ষেত্রের আকার নেয়। কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বউভাত অনুষ্ঠান।

    কী বললেন কনেপক্ষের পরিবারের লোকজন?

    কনেপক্ষের পরিবারের সদস্য শেখ জলিল বলেন, ৫০ জন বরযাত্রী আসবে বলে ওরা ৮৫ জন এসেছিলেন। আমরা প্রত্যেককে সম্মান করেছি। আমরা ৫০ জন কনেযাত্রী যাওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, ওরা তা মানতে রাজি হয়নি। ওরা ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল। আমরা ৩০ জন নিয়ে যাব বলেছিলাম। অতিরিক্ত ৫ জনের যা খাওয়া খরচ হবে, তা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, ৩০ জন কনেযাত্রী দেখেই আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের বেধড়ক পেটায়। বেশ কয়েকজন জখমও হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূলকে শিখণ্ডী করে হকারে হকারে ছেয়ে যাচ্ছে হাওড়া বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন চত্বর!

    Howrah: তৃণমূলকে শিখণ্ডী করে হকারে হকারে ছেয়ে যাচ্ছে হাওড়া বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন চত্বর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে, ততই বেড়ে চলেছে হকারের সংখ্যা। এর ফলে ক্রমশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে হাওড়া (Howrah) স্টেশনে যাওয়ার প্রধান রাস্তা। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাস স্ট্যান্ড থেকে হকারের দৌরাত্ম্য কমাতে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যেই অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেই অভিযানের সময় কয়েক দিন হকার বসা বন্ধ হয়ে গেলেও তারপর দু-চার দিন যেতে না যেতেই ফের জিনিসপত্রের পসরা নিয়ে হাজির হয় হকাররা। ফলে সাধারণ রেলযাত্রীদের কাছে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড এবং স্টেশনে ঢোকার সাবওয়ে রীতিমতো যন্ত্রণার যাত্রাপথ হয়ে উঠেছে। হাওড়া বাসস্ট্যান্ড চত্বর এবং সাবওয়ের ভিতরে রাস্তা দখল করে সারি সারি বাজার এবং হকার বসছে বছরের পর বছর ধরে। কখনও দু-একজন যাত্রীর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এই হকারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। কিন্তু কখনই পাকাপাকিভাবে হকার সরে না এই জায়গা থেকে।

    পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই ব্যবসা, বলছেন হকাররা (Howrah) 

    হাওড়া স্টেশনে ঢোকার পথে হকার ঠেলে ঢোকা এক রকম অভ্যাস হয়ে গেছে যাত্রীদের। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে দেখা যাচ্ছে স্টেশন (Howrah) সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে যেসব জায়গায় হকার বসত, তার বাইরেও যেটুকু ফাঁকা অংশ আছে, সেখানেও নতুন নতুন হকারের আমদানি ঘটছে। হকারদের দাবি, তারা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই এখানে ব্যবসা করে। আবার পুলিশ জানিয়েছে, রাজনৈতিক নেতাদের মদতে হকারদের পুরোপুরি তোলা যায় না। একটা সময় সিপিআইএম নেতা লগনদেও সিংয়ের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড, গঙ্গার ধার, মাছ বাজার এলাকায়। এখন তিনি তৃণমূলে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড চত্বরে তৈরি হয়ে গেছে বেশ কিছু তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। হাওড়া বাসস্ট্যান্ডে শরৎচন্দ্রের মূর্তির সামনে বড় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস তৈরি হয়েছে। হকারদের একাংশ জানিয়েছে, রাজনৈতিক দাদাদের সন্তুষ্ট করে তারা এখানে হকারি করে এবং সামনে পার্টি অফিস থাকায় তাদের উচ্ছেদের ভয় করতে হয় না। মাঝে মধ্যে পুলিশ অভিযান চালালেও তারা দুদিন পরে আবার বসে পড়ে।

    কী বলছেন রেলযাত্রীরা (Howrah)?

    রেলযাত্রী তুহিন মজুমদার বলেন, অফিস যাওয়ার পথে এবং অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তা চলতে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়। ইদানীং দেখা যাচ্ছে কলকাতা থেকে হাওড়াগামী বাসগুলি হাওড়া ব্রিজ থেকে নেমে যাত্রী নামানোর পর সেই যাত্রী গঙ্গার ঘাটের দিকে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে মূলত হাওড়া স্টেশনে ঢোকেন। কিন্তু স্টেশনে যাওয়ার রাস্তার মাঝখানেই বেশ কিছু ডিম, পাউরুটি, ফল এবং চায়ের দোকান বসে পড়েছে। ফলে সেইসব হকার ঠেলে তাদের হাওড়া (Howrah) স্টেশনে ঢুকতে খুবই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। আরেক যাত্রী গার্গী সাহা জানান, অফিস টাইমে তো পা গলানোর জায়গা পাওয়া যায় না। রাস্তার দু’ধারে হকার বসায় সাধারণ মানুষ অফিস ফেরার সময় সেখান থেকেই কেনাকাটা করে। ফলে ট্রেনের সময় হয়ে গেলেও তাঁরা দ্রুত হাওড়া স্টেশনে পৌঁছাতে পারেন না ক্রেতাদের ঠেলায়। তাই সরকারের উচিত অন্তত স্টেশনে ঢোকার রাস্তায় যাতে হকার না বসে, সেদিকে খেয়াল রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। হাওড়া সিটি পুলিশের দুটি বুথ রয়েছে হাওড়া স্টেশনের সামনে এবং ট্যাক্সিস্ট্যান্ড সংলগ্ন অনুসন্ধান কেন্দ্রের সামনে। কিন্তু তারা মূলত  ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত থাকার ফলে হকারদের দিকে তাদের নজর নেই বলে যাত্রীদের অভিযোগ।

    কী বলছে পুলিশ ও পুরসভা (Howrah)?

    যদিও পুলিশ জানিয়েছে, তারা মাঝে মধ্যেই হকার উচ্ছেদ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই হকাররা ফের বসে পড়ে। হাওড়া পুরসভার বক্তব্য, হাওড়া বাসস্ট্যান্ড চত্বর মূলত কেএমডিএ-র আওতাধীন। ফলে সেখানে পুরসভা সরাসরি কিছু করতে পারে না। এদিকে হাওড়া (Howrah) স্টেশনের বাইরের নিরাপত্তা দেখা বা যাত্রী নিয়ন্ত্রণ যেহেতু হাওড়া সিটি পুলিশের আওতায়, তাই রেল পুলিশও সেখানে কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ফলে সমস্যার কোনও সমাধান তো হয় না, উল্টে সমস্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ব্যালট বাক্সে জল ঢালার পরও গণনা কীভাবে হল! প্রশাসনকে প্রশ্ন বিজেপির

    Purba Bardhaman: ব্যালট বাক্সে জল ঢালার পরও গণনা কীভাবে হল! প্রশাসনকে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাটোয়ার (Purba Bardhaman) মণ্ডলহাটের রাজমহিষী স্কুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করে সরব হয়েছিল বিজেপি। শুধু তাই নয়, ব্যাপক ছাপ্পা এবং রিগিং আটকাতে প্রশাসনকে বলেও কোনও কাজ না হলে অবশেষে ভোট বন্ধ করতে ১৫, ১৬, ১৭ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থীরা জল ঢেলে দিয়েছিল ব্যালট বক্সে। গণনার সময় সেই জল ঢালা বাক্স থেকে ব্যালট গণনা করে প্রশাসন। তাই বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে, জল ঢালা ব্যালট বাক্স থেকে কী করে গণনা হল! কাটোয়া ১ নম্বর ব্লক অফিসে বিডিওর কাছে এই অভিযোগ জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন ১৩১ জন বিজেপি প্রার্থী।

    অভিযোগ কী (Purba Bardhaman)?

    ৮ই জুলাই রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের দিন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করে বিজেপি। অভিযোগ কাটোয়ার (Purba Bardhaman) রাজমহিষী স্কুলের বুথে নির্বাচনকে নিয়ে। তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে রাজমহিষী স্কুলের ১৫, ১৬, ১৭ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী ও এলাকার বিজেপি কর্মীরা একত্রিত হয়ে কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিলেন। সেখানে পরিষ্কার তাঁরা উল্লেখ করেছেন, তৃণমূল দুষ্কৃতীরা ব্যাপক রিগিং, সন্ত্রাস ও ছাপ্পা ভোট করেছে নির্বাচনের দিনে। বুথের ভেতর ছাপ্পা চলায় ভোটের পর বিজেপি জেলা পরিষদের প্রার্থী জল ঢেলে দেন ব্যালট বাক্সে। বিজেপি প্রার্থীর জল ঢালার পর এলাকাবাসীরাও ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেন অন্য দুটি বুথে। বাক্সে জল ঢালার পর গণনা কীভাবে হয়েছে, এটাই প্রধান অভিযোগ।

    বিজেপির বক্তব্য

    জল ঢালার পর বাইরে থেকে অন্য ব্যালট এনে তাতে ছাপ মেরে, পুনরায় ব্যালট বক্সে ফেলে দিয়েছিল তৃণমূল কর্মীরা। তাই বিডিওর (Purba Bardhaman) কাছে বিজেপি জানতে চেয়েছে, কী করে জল ঢালা ব্যালট বক্সের ভোট গণনা করা হল! উত্তর মেলেনি। পরে জল ঢালা ব্যালট বাক্স গণনার পর দেখা যায়, তৃণমূল প্রার্থীরা কোথাও ৬০০ ভোট, কোথাও ৪০০ ভোটে জয়লাভ করেছে। পুরোটাই শাসক দল কারচুপি করছে প্রশাসনের মদতে, এমনটাই অভিযোগ।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের জেলা (Purba Bardhaman) সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভোটের পরে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ থাকলে তখন কোনও অভিযোগ জানায়নি। এরপর আরও তিনি বলেন, যদি ছাপ্পা ভোট হয়, তাহলে তো ওই এলাকার মানুষ ভোট দিতে পারত না। কিন্তু ওই এলাকার মানুষও তো কোনও অভিযোগ করেনি। পাশাপাশি ওই তিনটি বুথে রাত আটটা পর্যন্ত ভোট হয়েছে। ফলে বিজেপির অভিযোগ সব মিথ্যা।

    অপর দিকে আজ ভারতীয় জনতা পার্টির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণের উদ্যোগে পঞ্চায়েতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের উপর তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর অত্যাচারের প্রতিবাদে বহরমপুর থানার সামনে বিজেপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। তৃণমূল আশ্রিত হার্মাদ বাহিনী, পুলিশ, বিডিও এবং ডিএমের অত্যাচার চলছে জেলায়। মানুষ তাঁর গণতন্ত্রের অধিকার প্রয়োগ করে যে সকল প্রার্থীদের জয় লাভ করিয়েছেন, সেই সব প্রার্থীদের যদি প্রশাসন এবং হার্মাদ বাহিনী পঞ্চায়েত গঠনে বাধা দেয়, তাহলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না, বললেন বহরমপুর জেলা বিজেপি সভাপতি শাখারাভ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পাঁচলার জয়েন্ট বিডিওকে কালো গোলাপ আর মিষ্টির প্যাকেট কেন দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: পাঁচলার জয়েন্ট বিডিওকে কালো গোলাপ আর মিষ্টির প্যাকেট কেন দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে যথেচ্ছ লুট, ছাপ্পা, অনিয়ম করেছে তৃণমূল। আর এসব অপকর্মে মদত দিয়েছে ব্লক প্রশাসন। এমনই অভিযোগ এনে এবার বিডিও অফিসে কালো গোলাপ ফুল এবং মিষ্টির প্যাকেট বিতরণ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার হাওড়া জেলার পাঁচলা বিডিও অফিস থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। সারা রাজ্যে এই কর্মসূচি চলবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    বিডিওকে কালো গোলাপ ও মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    সোমবার বেলা দেড়টা নাগাদ হাওড়ার পাঁচলা বিডিও অফিসে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিডিও এদিন অফিসে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন না। বিডিওকে না পেয়ে জয়েন্ট বিডিওকে একটি কালো গোলাপ এবং একটি মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী জয়েন্ট বিডিওকে বলেন, আপনারা পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র রক্ষা করেছেন। তার জন্য এই ফুল আর মিষ্টি দিয়ে গেলাম। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এরা এত সুন্দর গণনা করেছে, মমতাময়ী নির্মমতাকে সব ভোট লুট করে উপহার দিয়েছে। চৌর্য বৃত্তির কাজে যুক্ত গোটা পশ্চিমবাংলার বিডিওরা।’ আগামী দিনে অন্যান্য জায়গাতেও বিজেপি নেতৃত্ব কালো গোলাপ ফুল এবং মিষ্টির প্যাকেট বিডিওদের হাতে তুলে দেবে বলে তিনি জানান।

    ভোটে কারচুপি নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কর্মীরা ছাড়াও সরকারি আধিকারিকদের একাংশ কারচুপিতে যুক্ত ছিলেন বলে মনে করছেন তিনি। ভোটে কারচুপি করতে তাঁরা অনেকটা সাহায্য করেছেন। তবে, গোলাপ ও মিষ্টি বিতরণ কোনও পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল না। হঠাৎই এদিন হাওড়া জেলার পাঁচলা অফিসে গিয়ে হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত জয়েন্ট বিডিও কিছু বলতে চাননি। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিডিও অফিসে যাওয়ার পর তাঁকে দু একবার বসার জন্য অনুরোধ করা হয়। তবে তিনি গোলাপ ও মিষ্টি দিয়েই বিডিও অফিস ছেড়ে বেরিয়ে যান। জানা গিয়েছে, এদিন তিনি এলাকায় তৃণমূলের সন্ত্রাসে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে আসেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: জয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েও বিজেপির প্রার্থী ফিরলেন দলেই

    Hooghly: জয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েও বিজেপির প্রার্থী ফিরলেন দলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ইটের জবাব বিজেপি দিল পাটকেলে। ঘটনা হুগলির (Hooghly) আরামবাগের গোঘাটের। নাটকীয় ভাবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে জয়ী বিজেপি প্রার্থী আবার নিজের ঘরেই ফিরে এসেছেন। এই নিয়ে জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য।

    কীভাবে ঘটল

    দুদিন আগে বিজেপির টিকিটে গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয়ী হয়েছিলেন গোঘাটের (Hooghly) ভাদুর গ্রামে ২০৬ নম্বর বুথের সঞ্জয় সাঁতরা। তিনি প্রথমে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে শামিল হয়েছিলেন। জয়লাভের দুদিন পরেই তাঁকে দেখা যায় ব্লক সভাপতির হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিতে। তৃণমূলে যোগদান করেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলে কর্মকাণ্ডের ঢালাও প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু তার ঠিক ৪৮ ঘণ্টা না কাটতে না কাটতেই ভোলবদল হল। সোমবার ফের বিজেপিতে ফিরলেন সঞ্জয়। বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের হাত ধরে আরামবাগে (Hooghly) যোগ দেন সঞ্জয় সাঁতরা। আর এই যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বোর্ড গঠনের আগেই চলছে জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে টানাটানি। একজন প্রার্থী কখনও যোগ দিচ্ছে তৃণমূলে, আবার কখনও বিজেপিতে। আর তাঁকে ঘিরেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। 

    বিজয়ী প্রার্থীর বক্তব্য

    জয়ী সঞ্জয় সাঁতরা পুনরায় বিজেপিতে যোগদান করে বলেন, তৃণমূল তাঁকে ভয় দেখিয়েছিল। সেই জন্য তিনি বিজেপিকে ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী আমি, বিগত লোকসভা (Hooghly) নির্বাচন থেকে আমি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আগামী দিনেও আমি বিজেপিতেই থাকব।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূল কোথাও ভয় দেখিয়ে আবার কোথাও টাকার লোভ দেখিয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের (Hooghly) তৃণমূলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তৃণমূল একটা বিজেপি প্রার্থীকে কেনার চেষ্টা করে, তাহলে বিজেপিও দশটা কেনার ক্ষমতা রাখে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে তৃণমূলের এই এলাকার ব্লক (Hooghly) সভাপতি ভয় দেখানোর অভিযোগকে অস্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, এটা ব্যক্তি স্বাধীনতা, যার যা ইচ্ছে সে করতে পারে। গোঘাটের ভাদুর পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৮ টি। তার মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় একাই ১৫ টি আসন তৃণমূল দখল নেওয়ার পরেও এই সঞ্জয় সাঁতরাকে ঘিরে চলছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Homeopathy: বিশ্বের প্রথম হোমিওপ্যাথিক মিউজিয়াম হবে কলকাতায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে ঘোষণা

    Homeopathy: বিশ্বের প্রথম হোমিওপ্যাথিক মিউজিয়াম হবে কলকাতায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের প্রথম হোমিওপ্যাথিক মিউজিয়াম হবে কলকাতায়। জানিয়েছেন সল্টলেকের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির নির্দেশক ডক্টর সুভাষ সিং। সোমবার ইন্সটিটিউটে (Homeopathy) আন্ডার গ্র‍্যাজুয়েট বয়েজ হস্টেলের শিলান্যাস করেন কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। এই অনুষ্ঠানে সুভাস সিং বলেন, বর্তমানে এই হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার রোগীর চিকিৎসা চলে। সেটা পাঁচ হাজার করার পরিকল্পনা আছে। তার জন্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন। তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মধ্যে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে এই হোমিওপ্যাথি ইন্সটিটিউট। এখানে একটি আয়ুর্বেদিক গার্ডেন তৈরি করা হয়েছে। একটি বড় রিসার্চ ল্যাব খুব শীঘ্র তৈরি হবে। একটি হোমিওপ্যাথিক (Homeopathy) মিউজিয়াম তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। সরকারি অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে। সেখানে হোমিওপ্যাথির ইতিহাস থেকে তার বিবর্তন ও চিকিৎসা পদ্ধতি তুলে ধরা হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মহেন্দ্র মুঞ্জাপাড়া, হোমিওপ্যাথির নির্দেশক ডক্টর সঙ্গীতা দুগগাল প্রমুখ।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, সারা বিশ্বের মধ্যে আমাদের দেশকে সেরা বানাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এগিয়ে যেতে হবে। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির ৪৮ বছরের পথ চলায় এই প্রতিষ্ঠান থেকে কত চিকিৎসক সারা বিশ্বে সেবা দান করছেন, তাঁদের একটি তালিকা প্রস্তুত করছেন তাঁরা। ছাত্রছাত্রীদের তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আবেদন করেন। তিনি বলেন, কলকাতার এই ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির (Homeopathy) পরিকাঠামো আরও বাড়ানো হচ্ছে। অডিটোরিয়াম ছাড়াও ১৫০ বেডের হাসপাতাল হবে। পি জি স্টুডেন্টদের জন্য আলাদা হস্টেল হবে। এছাড়া এখানেই যাতে হোমিওপ্যাথির (Homeopathy) ওষুধ তৈরি করা যায়, সে ব্যাপারেও কাজ চলছে।

    মমতার জোটের উদ্যোগের বিরোধিতা

    মমতা বন্দোপাধ্যায় যে বিরোধী জোট তৈরি করতে চাইছেন, সে ব্যাপারে সর্বানন্দ বলেন, তারা যাই করুক, মোদিজির নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের মধ্যে প্রথম হওয়ার দিকে এগচ্ছে। এ রাজ্যে গণতন্ত্র চলে না। এরা গণতন্ত্রকে অপব্যবহার করছে। তৃণমূল যাই করুক, বিজেপি এ ধরনের রাজনীতি পছন্দ করে না। বিজেপি উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share