Tag: Madhyom

Madhyom

  • Alipurduar: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    Alipurduar: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি শাসিত অসম রাজ্যেই অবশেষে আশ্রয় নিতে হল সদ্য বিজেপির টিকিটে জেতা পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধিদের। মূল অভিযোগ, শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হুমকি-ধমকের জেরে তাঁরা গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে নয় জন, এবং সেই সঙ্গে আরও চারজন নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির জেলা কার্যালয়ে এসে শুক্রবার রাতে আশ্রয় নেন। ওই নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যাদের সঙ্গে শিশু-কিশোরও রয়েছে। এরপর তাঁরা সেখানেও নিরপদ নন বলে অসমে গিয়ে আশ্রয় নিলেন। পীড়িত এই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা।

    কেন যেতে হল অসমে?

    গত শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা (Alipurduar) ঘরছাড়া ওই পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের উপর নানা অত্যাচারের কথা শোনেন। দলীয় কার্যালয়েও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা। দলের জেলা নেতৃত্ব তাঁদেরকে নিরাপদ জায়গায় হিসেবে বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। এরপর বিজেপি জেলা কার্যালয় থেকে শনিবার রাতেই তাঁদেরকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Alipurduar) মিডিয়া সেলের মুখপাত্র শংকর সিনহা বলেন, শাসকদলের অত্যাচারে নিজেদের বাড়িতেই বিজেপির নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা থাকতে পারছেন না। তাঁদেরকে শাসক দলের যোগ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়াও নানা ধরনের হুমকি চলছেই। তাই ওই নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের আমরা নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করেছি অসমে।

    কীভাবে ভোট হয়েছে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)?

    এবারের পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে আসে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ বিজেপির দখলেই যেতে চলেছে। তা সত্ত্বেও এখানে বিজেপি জেলা পরিষদে একটি আসনেও জয়ী হতে পারেননি। তবে বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিজেপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। জেলার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ওই সকল গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শাসক দলে টানতে নানা  ভাবে হুমকি, এমনকি প্রলোভনও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের বাড়িতে থাকতে তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করায়, সদ্য নির্বাচিত ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা প্রথমে জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। এরপর জনপ্রতিনিধিদের নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করতে প্রতিবেশী বিজেপি শাসিত অসমে পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: জয়ী হওয়ার পর থেকে শান্তিপুরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বিজেপির দুই সদস্য

    BJP: জয়ী হওয়ার পর থেকে শান্তিপুরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বিজেপির দুই সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বিজেপির (BJP) দুই জয়ী প্রার্থী। তাঁরা হলেন তারাবাবু রায় এবং সুস্মিতা মুন্ডা। খোঁজ না মেলায় তীব্র আতঙ্কে দিন কাটছে দুই প্রার্থীর পরিবারের লোকজনদের। অভিযোগ, তাঁদের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার পিছনে রয়েছে তৃণমূল। নদিয়ার শান্তিপুর থানার বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসপাড়া এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন জয়ী বিজেপি (BJP) সদস্যদের পরিবারের লোকজন?

    বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২৭। সেখানে ১৬ টি আসনে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। আর ১১ টি আসনে বিজেপি জয়লাভ করে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের আসনটি সংরক্ষিত। তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের সংরক্ষিত হওয়ার কারণে যে দুটি উপজাতির বুথ ছিল, সেই দুটিতে বিজেপি (BJP) জয়লাভ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল সেখানে বোর্ড গঠন না করতে পারার আশঙ্কায় ভুগছে। অভিযোগ, সেই কারণেই ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিজেপির ওই দুই সংরক্ষিত জয়ী প্রার্থীদের পরিবারকে কখনও টাকার প্রলোভন, কখনও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তার একটাই কারণ যে কোন উপায়ে ওই দুটি তফশিলি উপজাতি প্রার্থীর মধ্যে একজনকে তৃণমূলে যোগদান করাতে হবে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই বাবলা অঞ্চলের এই দুটি বিজেপি প্রার্থী নিখোঁজ। কোথায় রয়েছেন তাঁরা, পরিবারের লোকজন কিছু জানেন না। সেই কারণে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। বিজেপি জয়ী প্রার্থীর পরিবার লোকজনের বক্তব্য, যত দ্রুত সম্ভব প্রশাসন নিখোঁজ দুজনকে ঘরে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক। তাঁরা যাতে শান্তিতে নিরাপদে বসবাস করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    পুরো ঘটনা অস্বীকার করেছেন বাবলা অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি গোরাচাঁদ প্রামাণিক। তিনি বলেন, আমরা মানুষের রায় মাথা পেতে নিয়েছি। বাবলা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। বিজেপি (BJP) নিজেরাই তাদের প্রার্থীকে লুকিয়ে রেখে নাটক করছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। তবে, পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও বর্তমানে বোর্ড গঠন নিয়ে চরম আশঙ্কায় রয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি, তারা পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে এত বিতর্ক কেন? কী আছে এতে?

    UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে এত বিতর্ক কেন? কী আছে এতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমগ্র ভারতবর্ষে এখন একটি বিষয় নিয়ে সব থেকে বেশি চর্চা ও সমালোচনা চলছে। আর সেটি হল UCC বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড, যাকে বাংলায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধিও বলা হয়। এই আইন বাস্তবায়ন করার জন্য অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে। আসলে এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি অনুযায়ী ধর্ম, জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে ভারতবর্ষের সমস্ত নাগরিককে একটি অভিন্ন আইনের ছত্রচ্ছায়ায় আনা হবে। প্রত্যেক ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের জন্য একই আইন প্রণয়ন হবে। আর এই সিভিল কোড যদি একবার কার্যকর হয়, তাহলে বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, সন্তান দত্তক, সম্পত্তি ভাগ প্রভৃতি বিষয়ে সকল নাগরিকদের জন্য একই নিয়ম কার্যকর হবে। সংবিধানের ৪৪ নং ধারায় এই আইন নিয়ে স্পষ্ট আলোচনা করা হয়েছে। এই ৪৪ নং ধারায় বলা হয়েছে “রাষ্ট্র ভারতের সমগ্র অঞ্চল জুড়ে নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সুরক্ষিত করার চেষ্টা করবে।”

    ভারতীয় ইতিহাসে অভিন্ন নাগরিক আইন (UCC) সম্পর্কিত কিছু মামলা

    ভারতের সর্বপ্রথম ১৯৮৫ সালে মহম্মদ আহমেদ খান বনাম শাহবানু বেগমের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সংসদকে এই অভিন্ন নাগরিক আইন গঠনের উপদেশ দেয়। এই মামলাটি ছিল ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫ ধারা অনুযায়ী তিন তালাক পাওয়ার পর স্বামীর কাছে থেকে ভরণপোষণের সমস্ত অধিকার পাওয়া সংক্রান্ত। কিন্তু ১৯৮৬ সালে মুসলিম মহিলা আইন নিয়ে এসেই এই সুপ্রিম কোর্টের মামলাটিকে সম্পূর্ণ রূপে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এই আইন অনুসারে একজন মুসলিম মহিলা তালাক পাওয়ার পর তাঁর কোনও ভরণপোষণের দায়িত্ব চাওয়ার অধিকার ছিল না। অবশেষে ২০১৭ সালে তিন তালাক বা তালাক-ই-বিদাতকে অসাংবিধানিক বা আইন-বিরুদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়। আবার আরেকটি মামলা চর্চায় এসেছিল ১৯৯৫ সালে, যা হল সরলা মুদ্গাল মামলা। এটি ব্যক্তিগত আইনের মধ্যে দ্বি-বিবাহ ও বিবাহ সম্পর্কিত মতবিরোধের বিষয়গুলিকে সামনে নিয়ে এসেছিল।

    UCC -র পক্ষে যুক্তি কী?

    আমাদের ভারতবর্ষ এক বৈচিত্র্যময় দেশ এবং এখানে অনেক ধর্ম ও জাতির মানুষ বসবাস করে এবং প্রত্যেকের ব্যক্তিগত আচার আচরণ ভিন্ন ভিন্ন। এর ফলে অভিন্ন নাগরিক আইন বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড (UCC) সমগ্র দেশকে একত্রিত করতে সাহায্য করবে। স্বাধীনতার সময় এই একত্রিত করার কাজ অনেকটা সম্পূর্ণ হলেও UCC এর মাধ্যমে এই একতা আরও বেশি জোরালো হবে বলে ধারণা। সমগ্র ভারতবর্ষের বিভিন্ন ধর্ম, জাতি ও বর্ণের মানুষকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসার জন্য এই ইউনিফর্ম সিভিল কোড যথাযথ। কোনও বৈষম্য ছাড়াই সমতার ধারণা আরও শক্তিশালী করা অর্থাৎ সকলকে এক করা এর উদ্দেশ্য। মানব জাতিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা সম্ভব এই আইনের মাধ্যমে।

    UCC বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধা কোথায়?

    ধর্ম, বর্ণ, ঐতিহ্য প্রথা সমগ্র ভারতে অঞ্চল অনুসারে ভিন্ন। অনেক ধর্মীয় সংখ্যালঘু মনে করেন যে এতে তাঁদের ব্যক্তিগত ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর সীমারেখা টানা হচ্ছে। ফলে এটি (UCC) ধর্মের স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করছে। ভারতবর্ষে এই নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক বিতর্কে সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মাধ্যমে ভারতের সমগ্র জাতি, বর্ণ ও ধর্মের মানুষকে একত্রিত করা সম্ভব। কিন্তু অপরদিকে বেশ কিছু মৌলিক অধিকারের সঙ্গে এর কয়েকটি অমিল রয়েছে। সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারায় বিচারবুদ্ধির স্বাধীনতা, ধর্মীয় বিশ্বাস প্রকাশ্যে তুলে ধরার স্বাধীনতা, ধর্মীয় রীতি পালন করার স্বাধীনতা, ধর্মের প্রচারের অধিকার প্রভৃতিকে লঙ্ঘন করছে এই আইন, এমনটাই বলছেন এর বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North India Flood: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হিমাচলে মৃত ১! বন্যায় বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড

    North India Flood: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হিমাচলে মৃত ১! বন্যায় বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা পরিস্থিতির (North India Flood) কারণে জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত উত্তর ভারতে। রবিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮৯ ছুঁয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার হিমাচলে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অর্থাৎ মোট মৃত ৯০। হিমাচল, জম্মু কাশ্মীর, হরিয়ানা, দিল্লি সর্বত্র স্বাভাবিক জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। গত কয়েক দিন ধরে একটানা প্রবল বৃষ্টিতে দিল্লির জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত। বন্যা পরিস্থিতি (North India Flood) এতটাই ভয়ঙ্কর যে লালকেল্লার দেওয়ালেও যমুনার জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। গোটা রাজধানী যেন নেমে এসেছে ত্রাণশিবিরে। অন্যদিকে, টানা বৃষ্টির কারণে উত্তরাখণ্ডেও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে সে রাজ্যের ১৩টি জেলাতেই ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। রবিবারই চার রাজ্যে বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। হিমাচল, উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি তালিকায় রয়েছে ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডও।

    মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হিমাচলে মৃত ১

    সূত্রের খবর, সোমবার মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কুলুতে মারা গিয়েছেন এক জন। জানা গিয়েছে, কুলুর কাইস এব‌ং নিয়োলি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয় এদিন সকালে। এর জেরে দু’জন আহত বলে জানা গিয়েছে। মেঘভাঙা বৃষ্টির (North India Flood) দাপটে ভেঙে পড়েছে দু’টি বাড়ি। ইতিমধ্যে হিমাচলের চার জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কুলুর কিয়াস গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মারা গিয়েছেন এক জন। আহত তিন জন। ন’টি যান ভেঙে গিয়েছে।’’

    যমুনার জলস্তর নামছে দিল্লিতে

    অন্যদিকে সোমবার সকালের শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধীরে ধীরে যমুনার জলস্তর নামছে দিল্লিতে। জানা গিয়েছে, যমুনার জল আগের তুলনায় সামান্য সামান্য বৃদ্ধি পেলেও এখন তা বিপদসীমার নীচেই রয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে দিল্লির বন্যা (North India Flood) হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। হরিয়ানায় জল ছাড়ার কারণেই ফুঁসছে যমুনা। তথ্য বলছে, সোমবার সকাল ৭টায় যমুনার জলস্তর ছিল ২০৫.৪৮ মিটার। ভোর চারটেয় যমুনার জলস্তর ছিল ২০৫.৪৫ মিটার। কেন্দ্রীয় জল কমিশন অনুমান করছে পরিস্থিতি উন্নত হবে।

    বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড

    বৃষ্টিতে এখনও বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। ধসের কারণে বন্ধ হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। জানা গিয়েছে, দেবভূমির দেবপ্রয়াগে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে গঙ্গা। হরিদ্বারেও জলস্তরের ব্যাপক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এনিয়ে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, রবিবার গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৯৩.৫ মিটার। বিপদসীমার মাপকাঠি ২৯৩ মিটার। এক নাগাড়ে ভারী বৃষ্টিতে হরিদ্বার তহসিল, লাকসার, রুরকি ইত্যাদি স্থানের ৭১ টি গ্রাম ভেসে গিয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ৩,৭৫৬টি পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৮১টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে। সাতটি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে বন্যা পরিস্থিতির (North India Flood) কারণে। হরিদ্বারে ভারী বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯টি সেতু, ১৭টি রাস্তা। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা, পুলিশ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: গণনার দিন থেকে বুদবুদে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    TMC: গণনার দিন থেকে বুদবুদে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর এক তৃণমূল (TMC) কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম চাঁদ বাউড়ি। তাঁর বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার বুদবুদ থানার পোতনা গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    কোথা থেকে উদ্ধার হল দেহ?

    গত ১১ জুলাই গণনার দিন চাঁদবাবু নামে ওই তৃণমূল (TMC) কর্মী বাজার করতে বুদবুদে গিয়েছিলেন। বাজারে পুলিশ জমায়েত দেখে লাঠিচার্জ করেছিল। তবে, বাজার করার পর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন চারদিকে খোঁজ করার পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু, এতদিন তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। রবিবার গভীর রাতে বুদবুদ জাতীয় সড়কের বাইপাসে জঙ্গল থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। সোমবার সকালে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। পরে, পুলিশ সিদ্ধান্ত নেয় দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্ত করা হবে। পরে, দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মৃতের ভাই ফাগন বাউড়ি বলেন, ভোট গণনার দিন দাদা বাজারে এসেছিলেন। তারপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। আমরা বহু জায়গায় খোঁজ করেছি। বুদবুদ বাজারে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছিল বলে শুনেছি। সেই লাঠির আঘাতে দাদা জখম হয়েছিল কি না জানি না। দাদার কোনও শত্রু ছিল না। কেন যে দাদাকে এভাবে খুন হতে হল বুঝতে পারছি না। তবে, পুলিশ একটু উদ্যোগী হলে আমার দাদাকে খুঁজে পাওয়া যেত। পুলিশ কোনও সাহায্য করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) গলসি-১ নম্বর ব্লকের সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন,  ওই তৃণমূল কর্মীর কীভাবে মৃত্যু হল তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভোট মিটে গেলেও স্কুলের পাশে কয়েকশো ব্যালট পেপার উদ্ধার, শোরগোল নদিয়াতে

    Nadia: ভোট মিটে গেলেও স্কুলের পাশে কয়েকশো ব্যালট পেপার উদ্ধার, শোরগোল নদিয়াতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) জঙ্গলে পড়ে রয়েছে কয়েকশো ব্যালট পেপার, যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিজেপির অভিযোগ, ওই ব্যালট পেপারগুলিতে বিজেপিতে ভোট পড়েছিল। ভোট মিটে গেলেও কেন বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের পাশের জঙ্গলে এইভাবে পড়ে রয়েছে ব্যালট পেপার! প্রশাসনের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছে বিজেপি।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট দু নম্বর ব্লকের ধানতলা থানার নারায়ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে। ওই বিদ্যালয়ের বুথ নম্বর ৫৬/১। আজ সোমবার, সকালে বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী দেখতে পান, পাশের জঙ্গলে পড়ে রয়েছে বিজেপির সিম্বল দেওয়া একাধিক ব্যালট পেপার। চোখ ঘোরাতেই তাঁদের নজরে পড়ে, কয়েকশো ব্যালট পেপার, যা ছেঁড়া ও পোড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় ধানতলা থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থলে তদন্তে আসে ধানতলা থানার পুলিশ এবং এরপরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। এলাকার এক সাধারণ ভোটার আনন্দ রায় বলেন, সবগুলিতে বিজেপিই ভোট পেয়েছে। কিন্তু ভোটের পর কেন এই ভাবে ব্যালট পড়ে থাকবে! অবিলম্বে সিবিআই তদন্ত চাই।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির এই বুথের (Nadia) প্রার্থী অখিলচন্দ্র রাহা অভিযোগ করে বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন যেভাবে তৃণমূল ছাপ্পা মেরেছে এবং লুটপাট করেছে ব্যালট বক্সগুলিকে, এর দায় পুলিশকেই নিতে হবে। কেননা পুলিশের মদতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। ফলে এর দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে। ব্যালট যত্রতত্র পড়ে থাকার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেন বিজেপির এই প্রার্থী।

    তৃণমূলের অভিযোগ

    অন্যদিকে তৃণমূল স্থানীয় ১৭০ নম্বর বুথের জয়ী প্রার্থী (Nadia) অসিত পাণ্ডে বলেন, ঘটনা জানতে পেরে এসে দেখি, সই করা অবস্থায় ব্যালট পেপারগুলি পড়ে রয়েছে যেখানে সেখানে। তবে আদৌ কি ওই ভোটকেন্দ্রের ব্যালট পেপার! নাকি অন্য কোনও জায়গা থেকে ব্যালট পেপারগুলি এখানে নিয়ে আসা হয়েছে! এই নিয়ে প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করে তদন্ত করতে বলব। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক এই ঘটনার পিছনে কী চক্রান্ত রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: মধ্যপ্রদেশে বন্দে ভারতের কোচে আগুন! হতাহতের কোনও খবর নেই 

    Vande Bharat: মধ্যপ্রদেশে বন্দে ভারতের কোচে আগুন! হতাহতের কোনও খবর নেই 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat) একটি কোচে আগুন! যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে ভোপাল থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বন্দে ভারত। কিছুক্ষণ পরেই মধ্যপ্রদেশের কুড়ওয়াই কেথোরা এলাকায় হঠাৎ ট্রেনের একটি কোচে আগুন ধরে যায় বলে খবর। এর জেরে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও তরতাজা। এর মাঝেই অগ্নিকাণ্ডে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যাত্রীরা। রেল সূত্রে খবর, আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল কর্মীরা। কোচের যাত্রীদের নিরাপদে বাইরে বার করে আনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।

    কীভাবে লাগল আগুন?

    রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রথমে আগুন দেখা যায় ব্যাটারি বক্সে। প্রসঙ্গত, আগুন লাগার ঘটনা সামনে আসতেই রেল একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat) তলায় থাকা ব্যাটারির বাক্সে আগুন দেখা দিয়েছে। দমকল বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং আগুন নিভিয়েছেন। যদিও ব্যাটারি বক্সে আগুন কীভাবে লাগল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। রেল অবশ্য বলছে, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ নিয়ে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে কোচে (Vande Bharat) আগুন লাগার ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়েছে।

    সকাল ৮টায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর ৫:৪০ নাগাদ মধ্যপ্রদেশের ভোপালের রানি কমলাপতি স্টেশন থেকে ট্রেনটি (Vande Bharat) রওনা হয়। এরপর ৮টা নাগাদ আগুন লাগার ঘটনা সামনে আসে। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রেও এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরা দমকল কর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। ভোপাল-দিল্লিগামী এই বন্দে ভারত ট্রেনটি সাড়ে সাত ঘণ্টায় ৭০১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। ট্রেনটি দিল্লির হজরত নিজামউদ্দিন স্টেশনে পৌঁছয় ভোপাল থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Cold and Cough: বৃষ্টিতে ভিজে সর্দি-কাশি! কোন কোন ঘরোয়া উপাদান কমাবে ভোগান্তি? 

    Monsoon Cold and Cough: বৃষ্টিতে ভিজে সর্দি-কাশি! কোন কোন ঘরোয়া উপাদান কমাবে ভোগান্তি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম! কখন বৃষ্টি হবে, অনেক সময়ই আগাম বোঝার উপায় নেই। প্রায়ই স্কুল ফেরত কিংবা অফিস যাওয়ার সময় অঝোর বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে। যার জেরে হাঁচি-কাশি, সর্দি, গলা ব্যথার মতো সমস্যা (Monsoon Cold and Cough) লেগেই থাকছে। এমনকী লাগাতার সর্দির জন্য নানা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে ভোগান্তি বাড়ছে। সব মিলিয়ে নাজেহাল বঙ্গবাসী। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কিছু ঘরোয়া উপাদান সঙ্গে থাকলে এই ভোগান্তি কমতে পারে।

    কোন কোন উপাদান নিয়মিত সঙ্গী হলে ভোগান্তি (Monsoon Cold and Cough) কমে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত লেবু খাওয়া দরকার। যে কোনও ধরনের লেবুর রস নিয়মিত খেতে হবে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা সর্দি-কাশি প্রতিরোধে শরীরে বাড়তি শক্তি জোগায়। তাই নিয়মিত লেবুর রস খেলে সর্দি-কাশির হাত থেকে রেহাই পাওয়া সহজ হয়। 
    যাঁরা অতিরিক্ত সর্দি-কাশিতে ভোগেন, তাঁদের সকালে মধু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের মধু খাওয়ার পরামর্শ তাঁরা দিচ্ছেন। মধুতে শরীর গরম থাকে। ফলে, সর্দির প্রকোপ (Monsoon Cold and Cough) কমে। 
    বৃষ্টিতে ভিজলে একটা গোটা লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। লবঙ্গ গলার জন্য খুবই উপকারী। তাই গলার আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশন এড়াতে লবঙ্গ বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। 
    গোলমরিচ আর তুলসী পাতা একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশিতে (Monsoon Cold and Cough) বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এগুলো শরীর গরম রাখে, আবার সংক্রমণ রুখতেও সাহায্য করে।
    রাতে ঘুমনোর আগে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুধে রয়েছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম আর হলুদে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর ক্ষমতা। এই দুটি এক সঙ্গে খেলে শরীর সুস্থ থাকে। 
    খাবারে আদা ও রসুন দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। আদা ও রসুনে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। যার জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যে কোনও সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। তাই খাবারে এই দুই উপকরণ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।

    কোন কোন দিক এড়িয়ে চলা বিশেষ জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খাবার ও ঘরোয়া উপকরণ রোগ (Monsoon Cold and Cough) প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে, সতর্ক ও সচেতন না হলে ভোগান্তি বাড়বে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় আইসক্রিম, ঠান্ডা নরম পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, এগুলো খেলে দ্রুত আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। 
    তাছাড়া, যেহেতু আবহাওয়ার খামখেয়ালি ধরন রয়েছে, দ্রুত তাপমাত্রা ওঠানামা করছে, তাই লাগাতার এসি ঘরে থাকা উচিত নয় বলেই পরামর্শ চিকিৎসকদের। বিশেষত, বৃষ্টিতে ভিজে গেলে তারপর কখনই এসি ঘরে থাকা চলবে না বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। এতে সর্দি-কাশির (Monsoon Cold and Cough) ঝুঁকি বাড়বে। 
    তাছাড়া, পরিবারের কেউ সর্দি-কাশি বা জ্বরে আক্রান্ত হলে বাকিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যাতে সংক্রমণ বেশি না ছড়ায়। বিশেষত শিশুদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: কয়লা কারবারি রাজু ঝা খুনের মামলায় চার্জশিট পেশ করল সিট

    Asansol: কয়লা কারবারি রাজু ঝা খুনের মামলায় চার্জশিট পেশ করল সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা কারবারি রাজেশ ঝা ওরফে রাজুকে খুনের মামলায় (Asansol) ১০৬ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট পেশ করল সিট। ঘটনায় ধৃত অভিজিৎ মণ্ডল, ইন্দ্রজিৎ গিরি, লালবাবু কুমার, মুকেশ কুমার ও পবন কুমার ওরফে ভক্তের বিরুদ্ধে পরিকল্পনামাফিক খুন, খুনের চেষ্টা, মারাত্মকভাবে জখম করা ও অস্ত্র আইনে শনিবার চার্জশিট পেশ করেছেন সিটের তদন্তকারী অফিসার। তবে, পরবর্তীকালে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশের কথাও আদালতে জানিয়েছে সিট।

    কীভাবে চার্জশিট গঠন হল (Asansol)?

    অভিযোগ প্রমাণে কেসের তদন্তকারী অফিসার সহ ৮০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তদন্ত যে মূলত প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল তা চার্জশিট (Asansol) থেকে পরিষ্কার। বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সরঞ্জাম ও মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের উপর ভিত্তি করে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করেছে সিট। ঘটনাস্থলে মুকেশ ও পবনের উপস্থিতির কথা পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। গরু পাচারে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফের গাড়ির চালক শেখ নূর হোসেন ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। রাজুর সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। তিনিও গুলিতে জখম হন। বর্ধমান সংশোধনাগারে টিআই প্যারেডে মুকেশ ও পবনকে শনাক্ত করেন ব্রতীন ও নূর। স্বাভাবিকভাবেই রাজুকে খুনের সময় মুকেশ ও পবন যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল, তা দুই প্রত্যক্ষদর্শীর শনাক্তকরণ থেকে পরিষ্কার হয়েছে। চার্জশিট সিজেএম চন্দা হাসমত গ্রহণ করেছেন।

    তদন্তকারী অফিসার কী বললেন?

    চার্জশিটে (Asansol) সিটের তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, ১ এপ্রিল দুর্গাপুর থেকে একটি ফরচুনা গাড়িতে রাজু, ব্রতীন, আব্দুল লতিফ কলকাতা যাচ্ছিলেন। নূর গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার থেকে গাড়িতে ওঠেন রাজু। শক্তিগড়ে ল্যাংচা হাবের কাছে তাঁদের গাড়িটি দাঁড়ায়। গাড়িটিকে পিছন থেকে অনুসরণ করছিল একটি নীল রঙের বালেনো গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে লতিফ, ব্রতীন ও নূর কিছু কিনতে যায়। রাজু একাই গাড়িতে ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ব্রতীন গাড়ির কাছে আসেন। সেই সময় বালেনো গাড়িতে আসা তিন দুষ্কৃতী রাজুর গাড়ির কাছে এসে দাঁড়ায়। দুষ্কৃতীরা গাড়ি থেকে নেমে রাজুকে গুলি করে। রাজুকে বাঁচাতে গিয়ে ব্রতীনের বাঁ হাতে গুলি লাগে। দুষ্কৃতীরা দ্রুত অপারেশন সেরে চম্পট দেয়। বালেনো গাড়িটি শক্তিগড় থানার কাছে রেখে অন্য একটি গাড়িতে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তদন্তে জানা যায় দুটি গাড়িই দিল্লি থেকে চুরি করে আনা হয়েছিল।

    কোন কোন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে

    তদন্তে নেমে পুলিশ দুর্গাপুর (Asansol) থেকে অভিজিৎকে গ্রেফতার করে। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে তার বাড়ি। সে পেশায় গাড়ি চালক। বর্তমানে সে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় থাকে। এরপর ইন্দ্রজিৎ গিরি ও লালবাবু কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিহারের বৈশালী থেকে মুকেশ ও পবনকে গ্রেফতার করা হয়। জাতীয় সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে পরিষ্কার হয়, সিটি সেন্টার থেকে রাজুর গাড়িকে খুনিদের গাড়িটি অনুসরণ করেছিল। সামান্য দূরত্ব বজায় রেখে তারা রাজুর গাড়িটিকে অনুসরণ করেছিল। অপারেশন সেরে কাটোয়ায় জাজিগ্রাম হয়ে দুষ্কৃতীরা পালায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও অভিজিতের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন থেকে সেই তথ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে চার্জশিটে দাবি করেছে সিট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ঘাটালে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে হামলা, বিজেপি সমর্থকদের ক্লাবে ভাঙচুর

    BJP: ঘাটালে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে হামলা, বিজেপি সমর্থকদের ক্লাবে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস অব্যাহত। তৃণমূল এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে ক্রমাগত বিরোধীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। রবিবারই বিজেপি (BJP) সমর্থিত ক্লাবে তাণ্ডব চালাল তৃণমূলের লোকজন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের কুঠিঘাট এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ভোটে জয়ী হওয়ার পর রবিবার বিকেলে কুঠিঘাট এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা বিজয় মিছিল বের করেন। বিজয় মিছিল যাওয়ার রাস্তায় বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকদের একটি ক্লাব রয়েছে। বিজয় মিছিল থেকে তৃণমূলের লোকজন ওই ক্লাবে হামলা চালায়। ক্লাবের ভিতরে ভাঙচুর করা হয়। ক্লাবের ভিতরে থাকা ট্রফি থেকে সমস্ত সরঞ্জাম ভেঙে চুরমার করা হয়। ক্লাবে তাণ্ডব চালানোর পরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    ঘাটালের বিজেপি (BJP) বিধায়ক শীতল কপাটের বক্তব্য, বিজেপি সমর্থকরা ওই ক্লাবে ওঠাবসা করেন। সেটা তৃণমূলের লোকজনের পছন্দ হয়নি। তাই, ভোটে জেতার পর সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। ক্লাবের ভিতরে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আমরা পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। কারণ, এভাবে সন্ত্রাস চালিয়ে তৃণমূল আমাদের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতে পারবে না।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল। চরম অস্বস্তিতে পড়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শংকর দোলুই। দ্রুত সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দেন তিনি। ক্লাব সদস্যের সঙ্গে শংকরবাবু কথা বলেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় কে বা কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, দলের কেউ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব। কেউ শান্ত এলাকায় অশান্তি পাকানোর জন্য এসব করেছে। আমরা এসব সমর্থন করি না। এমনকী আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা আর হবে না। আর এই বিষয় নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে আমি কথা বলব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share