Tag: Madhyom

Madhyom

  • TMC: তৃণমূলের সন্ত্রাসে পুরুষশূন্য গ্রাম, আক্রান্ত নির্দলদের পাশে আব্দুল করিম চৌধুরী

    TMC: তৃণমূলের সন্ত্রাসে পুরুষশূন্য গ্রাম, আক্রান্ত নির্দলদের পাশে আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত ইসলামপুরে। তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সন্ত্রাসের জেরে এলাকা পুরুষশূন্য রয়েছে। আক্রান্তরা সকলেই নির্দল প্রার্থী এবং তাঁর অনুগামী হিসেবে পরিচিত। তাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। লুটপাট চালানো হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের আগডিমটিখুন্তি অঞ্চলের বুধাগছ, দিঘিরপাড় সহ অন্যান্য গ্রামের সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী।

    কী বললেন আক্রান্ত নির্দল কর্মীরা?

    উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরোধ ‘ওপেন সিক্রেট’। দুজনের মধ্যে বিরোধিতা আরও বাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিধায়ক করিম অনুগামীদের প্রার্থী করেননি বলে অভিযোগ। তার জন্য পঞ্চায়েত ভোটে করিম চৌধুরীর অনুগামীরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা করিম অনুগামীদের বাড়ি ভাঙচুর, মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের সন্ত্রাসের ভয়ে মহিলারা আতঙ্কিত। এদিকে বিধায়ক করিম চৌধুরী ভুজাগছ গ্রামে পার্শ্ববর্তী গ্রামে যেতে চাইলে জাকির হোসেনের অনুগামীরা বাধা দিলে বিধায়ক সেখান থেকে ফিরে আসেন।  বিধায়ক অনুগামী নির্দল কর্মী সালমা খাতুন, ফরিদা বানুদের বক্তব্য, আমরা সকলেই তৃণমূল কর্মী ছিলাম। এবার টিকিট না পাওয়ার কারণে নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন করেছিলাম। আর তার জন্যই ভোট হওয়ার পর থেকেই লাগাতার বাড়িতে এসে তৃণমূলের লোকজন হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বলা সত্বেও তিনি কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এই অত্যাচার বন্ধ না হলে তিনি সরকারের কাজকর্মের বিরোধিতা চালিয়ে যাবেন। ভোটের দিন থেকেই সন্ত্রাসবাদী জাকির হোসেনের লোকেরা আমার অনুগামীদের মারধর, বাড়িঘর ভাঙচুর এবং ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এই অত্যাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তিনি সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এলাকার মানুষদের সঙ্গে দেখা করবেন।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি?

    তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, যারা বাড়িঘর ছেড়ে বাইরে আছে ভোটের দিন তারা এলাকায় গুলি চালিয়ে ভোট বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই অভিযোগে পুলিশ তাদের খুঁজছে। গ্রেফতার এড়াতেই তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। বিধায়ক না জেনে এলাকায় অশান্তি তৈরি করতেই মিথ্যা অভিযোগ করছেন। শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন বিধায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘পাঁচ-ছ’মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকার পড়ে যাওয়া অসম্ভব নয়’’, মত সুকান্তর

    BJP: ‘‘পাঁচ-ছ’মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকার পড়ে যাওয়া অসম্ভব নয়’’, মত সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ-ছ’মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকার পড়ে যাওয়া অসম্ভব নয়, এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রসঙ্গত, শনিবারই কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছিলেন, ‘‘আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, পাঁচ মাসের মধ্যে এই রাজ্যের সরকার পড়ে যাবে।’’ রাজ্য জুড়ে লাগামছাড়া হিংসা ছড়িয়েছে পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে। প্রতিটি অভিযোগই উঠে এসেছে শাসক দলের বিপক্ষে। ভোট ঘোষণার দিন থেকে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৫৭ ছাড়িয়েছে। এরই মাঝে বারবার জোরালো দাবি উঠেছে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের। রবিবার সুকান্ত মজুমদারের সাংবাদিক সম্মেলন সেই দাবিকেই ইন্ধন দিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    সুকান্তর সাংবাদিক সম্মেলন 

    রবিবার সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে বিজেপির (BJP) দফতরে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। দলীয় অফিসের সামনে সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, ‘‘সরকার পাঁচ মাস, ছ’মাস যখন খুশি পড়ে যেতে পারে। অসুবিধার তো কিছু নেই। সরকার কী ভাবে চলে? বিধায়কদের সমর্থনে। বিধায়কেরা হঠাৎ মনে করল, আমরা সমর্থন করব না। আমরা অন্য কাউকে সমর্থন করব। বিধায়কদের তো মনে হতেই পারে। না হওয়ার তো কিছু নেই।’’ সুকান্তর আরও সংযোজন, ‘‘আবার ধরুন, এমন গণ আন্দোলন শুরু হল, যে বিধায়কেরা বলল, ‘আমরা আজ থেকে আর বিধায়ক পদে থাকব না।’ হাত জোড় করে সবাই বিধায়ক পদ ছেড়ে দিল। এরকমও গণ আন্দোলন হতে পারে। সব সম্ভাবনাই আছে। রাজনীতিতে কোনও সম্ভাবনা অস্বীকার করা যায় না।’’

    শনিবারই একই দাবি করেন শান্তনু ঠাকুর

    শনিবারই তৃণমূলকে একহাত নেন শান্তনু ঠাকুর। শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা ফুলশড়া পাঁচপোতায় এলাকায় হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। পঞ্চায়েতে বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন তিনি। শান্তুনু নিজের বক্তব্য বলেন, ‘‘তৃণমূল ভেবে নিয়েছে এরা চিরস্থায়ী। কখনই এরা চিরস্থায়ী নয়। আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে এদের সরকার পড়ে যাবে। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলে যাচ্ছি।’’ তাঁর সঙ্গে এদিন হাজির ছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি রামপদ দাস সহ বিজেপি (BJP) নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Transport: বিপর্যস্ত যাত্রী পরিবহণ! উত্তর হাওড়া থেকে কলকাতা গামী বহু বাসরুট বন্ধ

    Transport: বিপর্যস্ত যাত্রী পরিবহণ! উত্তর হাওড়া থেকে কলকাতা গামী বহু বাসরুট বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর হাওড়া থেকে কলকাতা গামী একের পর এক বাস রুট (Transport) বন্ধ হতে বসেছে। যার ফলে চরম দুর্ভোগ পড়েছেন হাওড়া শহরের বাসিন্দারা। একটা সময় উত্তর হাওড়ার সালকিয়া, বেলগাছিয়া, বালি সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে হাওড়া স্টেশন হয়ে কলকাতা যাওয়া খুবই সহজ ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে বিভিন্ন রুটের গাড়ির সংখ্যা ক্রমশ কমতে শুরু করে। এখন বেশ কিছু রুটে গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ। কয়েকটি রুটে নামমাত্র গাড়ি চললেও যাত্রীদের মূলত ভরসা করতে হয় টোটো ও অটোর ওপর। যদিও বাস মালিকদের দাবি, একদিকে তেলের দাম বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে অটো ও টোটোর দৌরাত্ম্য বাড়তে থাকায় তাঁদের বাধ্য হয়েই বাস রুটগুলি বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

    কী বলছেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা?

    উত্তর হাওড়ার এক বাসিন্দা সুজিত পাল জানান, একটা সময় শ্রীরামপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত এল ৩১ নামে একটি সরকারি বাস (Transport) চলত। যেটি উত্তর হাওড়ার সালকিয়া হয়ে যেত। সেই বাস বহু বছর ধরে বন্ধ। তারপর থেকে এই রুটে কোনও সরকারি বাস চলে না। একমাত্র নির্ভর ছিল বেসরকারি বাস। তার মধ্যে বেলগাছিয়া থেকে সল্টলেক রুটে ১৭ নম্বর মিনিবাস চলত। যেটি পোস্তা হয়ে যেত। উত্তর হাওড়ার বাসিন্দাদের উত্তর কলকাতা যাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল এই বাসটি। বিগত চার বছর ধরে যে রুটটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া হাওড়ার বালুহাটি থেকে ধর্মতলা রুটে মিনি বাস চলত আধ ঘণ্টা ছাড়া। বর্তমানে সেই রুটে সারাদিনে মাত্র দুটি গাড়ি চলে। অন্যদিকে সত্যবালা থেকে দক্ষিণ কলকাতার কসবা রুটে যে মিনিবাস চলত, সেটিও প্রায় বন্ধের পথে। এখন দিনে ২ থেকে তিনটি গাড়ি চলে। রবীন্দ্র সদন হয়ে সরাসরি দক্ষিণ কলকাতা সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই গাড়িটির। অন্যদিকে হাওড়া থেকে ডোমজুড়, শিয়াখালা, চন্ডীতলা, জগদীশপুর সহ বিভিন্ন রুটে ১৫ মিনিট ছাড়া চলত ৫৭ এ বাস। বর্তমানে এই রুটে শুধুমাত্র কয়েকটি বাস সালকিয়া হয়ে জগদীশপুর যায়। কখনও শিয়াখালা রুটে দু-একটি বাস যায়। বর্তমানে যাত্রীদের ভরসা বলতে ভট্টনগর-ধর্মতলা মিনিবাস, জগদীশপুর-হাওড়া বাস ও সালকিয়া-ধর্মতলা মিনিবাস।

    কী সমস্যার কথা শোনালেন বাস মালিকরা (Transport)?

    উত্তর হাওড়ার সালকিয়া থেকে ধর্মতলা রুটের মিনিবাসও দিন দিন কমে যাচ্ছে। ওই রুটের এক বাস মালিক গৌতম পাইন জানিয়েছেন, ছোট ছোট রুটে যাত্রীরা আগে যাওয়ার জন্য বাসে উঠত। কিন্তু এখন তারা অটো বা টোটোতে চলে যায়। ফলে তাদের যাত্রী কমছে। তিনি বলেন, হাওড়া ব্রিজে অটো ও টোটো উঠতে দেওয়া হয় না। সেটা যদি দেওয়া হত, তাহলে এখন যে কয়েকজন যাত্রী পান সেটাও বন্ধ হয়ে যেত। এর পাশাপাশি তিনি জানান, বর্তমানে একটা নতুন বাস কিনতে দাম যেমন অনেক বেশি পড়ে, একইভাবে বাস চালানোর খরচ অনেক বেশি। সঙ্গে রয়েছে পুলিশি ঝামেলা। যখন তখন নানা কারণে কেস দেয় পুলিশ। সেই কেসের টাকা মেটাতেই লাভের গুড় পিঁপড়েয় খেয়ে নেয়। তিনি বলেন, যেহেতু আদালতের নির্দেশ রয়েছে ১৫ বছরের উপরে কোনও বাস চালানো যাবে না, এর ফলে যে সমস্ত বাসের বয়স ১৫ বছর হয়ে গেছে, সেগুলি (Transport) বসে গেলে মালিকরা আর নতুন বাস রাস্তায় নামাতে চাইছে না। এর ফলে রুটগুলি আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, সালকিয়া এবং কোনা রুটের দুটি মিনি বাস গত মাসে ১৫ বছরের কারণে বসে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০২৪ সালের মধ্যে উত্তর হাওড়া থেকে ধর্মতলা গামী সমস্ত রুট বন্ধ হয়ে যাবে বলে তাঁর আশঙ্কা। তিনি বলেন, নতুন বাস কেনার ক্ষেত্রেও সরকার যদি কিছু ছাড় দেয় এবং পুলিশ যদি কেস দেওয়া বন্ধ করে ও বিভিন্ন বাসের রুট ঘুরিয়ে দেয় যাতে বাসগুলি যাত্রী পায়, তাহলে হয়তো তাঁরা নতুন করে বাস নামাতে পারবেন। না হলে তাঁদের বাস চালানো বন্ধ করে দিতে হবে।

    কী জানালেন পরিবহণ (Transport) অফিসার?

    হাওড়ার অতিরিক্ত রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট (Transport) অফিসার বিপ্লব গোস্বামী বলেন, যাতে এই বাস রুটগুলি বন্ধ হয়ে না যায়, তাই ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে যেমন ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বাস মালিকদের সময় দেওয়া হয়েছে ই ভেহিকেল বা ইলেকট্রিক বাসে রেজিস্ট্রি করার জন্য। ওই সময়ের মধ্যে তারা যদি ই ভেহিকেল বা ইলেকট্রিক বাস কেনার রেজিস্ট্রি করে, তাহলে তাদের রোড ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি যদি কোনও বাস রুটের রুট পরিবর্তন, পরিমার্জন বা সংযোজন করতে হয় তার জন্য সার্ভে করে পরিবহণ দফতরে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এবং সেই সার্ভের কাজও তাঁরা এখন জোর কদমে চালিয়ে যাচ্ছেন। এক মাসের মধ্যেই তাঁরা রাজ্যকে সমস্ত রিপোর্ট পেশ করবেন। ইতিমধ্যেই বাস মালিকদের সঙ্গে তাঁরা এ নিয়ে কথা বলেছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে রাজ্য সরকার সমস্ত বাসকে ইলেকট্রিক বাসে রূপান্তরিত করার যে পরিকল্পনা নিয়েছে তা যেমন বাস্তবায়িত হবে, এর পাশাপাশি পুরনো রুটগুলি আবার ফিরে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বালুরঘাট গণনা কেন্দ্র থেকে চুরি সিসিটিভি, অভিযোগ বিডিও-র,  ট্যুইট সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বালুরঘাট গণনা কেন্দ্র থেকে চুরি সিসিটিভি, অভিযোগ বিডিও-র, ট্যুইট সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটের গণনা কেন্দ্র থেকেই সিসিটিভি ও তার সঙ্গে মেমরি কার্ড চুরি হয়ে গিয়েছে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বালুরঘাট কলেজে। পঞ্চায়েত ভোটে গণনা হয়েছিল ১১ জুলাই। ১২ জুলাই বালুরঘাট সদরের বিডিও বালুরঘাট থানায় সিসিটিভি চুরির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিডিওর করা এই অভিযোগকে ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শুরু হয়েছে।

     বিজেপি রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বিডিওর অভিযোগ নিয়ে ট্যুইট করেছেন

    ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটের গণনা কেন্দ্র করা হয়েছিল বালুরঘাট কলেজ। সেই গণনা কেন্দ্রের কেবি-৫ রুম থেকে চুরি গিয়েছে সিসিটিভি এবং তার মেমরি কার্ড। এমন অভিযোগ গত ১২ তারিখে বালুরঘাট থানায় দায়ের করেছেন বালুরঘাটের বিডিও অনুজ শিকদার। বিডিওর করা অভিযোগ সামনে আসতেই সরব বিজেপি। ইতিমধ্যে এনিয়ে রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার টুইট করেছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট হিলির জেডপি ১৩ মণ্ডলে কারচুপি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। যদিও এনিয়ে বালুরঘাট ব্লকের বিডিও সহ জেলা পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা কেউ সংবাদ মাধ্যমের ফোন ধরেননি। প্রসঙ্গত, গণনার দিন বিকেলে গণনায় কারচুপি হয়েছে, এই অভিযোগ করে জেলাশাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেন  সুকান্তবাবু। পরে রাত বারোটা থেকে ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত গণনা কেন্দ্রের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর অভিযোগ ছিল গণনা কেন্দ্রে ব্যাপক কারচুপি করা হচ্ছে এবং সেটা প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই। এই ঘটনার পর সিসিটিভি চুরি যাওয়ার যে তথ্য সামনে এসেছে তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) ?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বিডিও নিজেই অভিযোগ করেছে যে গণনা কেন্দ্র থেকে সিসিটিভি ও মেমরি কার্ড চুরি হয়ে গিয়েছে। ভয়টা এই কারণেই ওই সিসিটিভিতে সে ভিডিওগুলো আছে সেটা বেরোলে ধরা পরে যাবে, তৃণমূল গণনার নামে লুট করেছে। আমি বাধ্য হয়েছিলাম রাত ২ টার সময় গণনা কেন্দ্রর ২০০ মিটার দূরে গিয়ে দাঁড়াতে। লুট চলছে কতক্ষণ দেখা সম্ভব। আমরা বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাব এবং আদালত সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইতে পারে। তাই আগেভাগেই সেগুলিকে হারিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিরোধীদের করা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই জড়িত নয়। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: তৃণমূলের বিজয় মিছিলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, চটুল গান ও নাচ, ভাইরাল ভিডিও

    North 24 Parganas: তৃণমূলের বিজয় মিছিলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, চটুল গান ও নাচ, ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হিংসার মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত ৫০ জন মানুষের প্রাণ গেছে। জেলায় জেলায় শাসক দলের আশ্রিত গুন্ডারা বোমাবাজি করে এলাকাছাড়া, ঘরছাড়া করেছে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের। আর এই হিংসার আবহের মধ্যে বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থীর বিজয় মিছিলে চলছে চটুল গানের সঙ্গে নাচ। উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) বিজয় মিছিলে ভাড়া করা বৃহন্নলাদের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি এবং চটুল গানের নাচে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। বিজয় মিছিলের ভিডিও সমাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এই নিয়ে বিরোধীরা তীব্র কটাক্ষ করেছে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (North 24 Parganas)?

    এই বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙা এলাকার শশিপুর গ্রামে। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে সাউন্ড সিস্টেম লাগিয়ে উচ্চ স্বরে হিন্দি গানে চটুল নাচের ভিডিও সামজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা গেছে। আজ রবিবার সকাল থেকেই এই চটুল নাচ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, গালিগালাজ এবং বিকৃত নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। কয়েকজন বৃহন্নলা নর্তকীদের সঙ্গে করে ছোট চোট বাচ্চাদের সামনে তৃণমূল কর্মীদের সবুজ আবির মেখে চটুল গানে বিকৃত যৌন অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায় ভিডিওতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের কথা বলেন। কিন্তু তবুও তৃণমূলের কর্মীদের দ্বারা প্রকাশ্য দিনের বেলায় ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে-মেয়ে, মহিলা, বৃদ্ধের সামনে বিজয় মিছিলের নামে এই অপসংস্কৃতি এবং বিকৃত যৌন অঙ্গভঙ্গির দৃশ্য ভিডিওতে লক্ষ্য করা গেল। সামজিক গণ মাধ্যমে এই ভিডিও নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বলে জানা গেছে।    

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই এলাকায় চণ্ডীগড় (North 24 Parganas) পঞ্চায়েতের ৭৫৭ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী হয়েছেন আজমিরা খাতুন। তিনি বলেন, ভোটের ফলাফলের পর এলাকার মানুষ একটু বিনোদন চেয়েছিল, আর তাই একটু আনন্দ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এলাকায় আমরা ১৯৯ ভোটে জয়ী হয়েছি। তাই দলের কর্মীদের আবেদন রাখতে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি কীভাবে এইরকম একটি অশ্লীল বিজয় মিছিলের আয়োজন করলেন, সেটাই এখন প্রশ্নের মুখে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Adeno Virus: ফের বাড়ছে অ্যাডিনোর দাপট! সন্তানকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে?

    Adeno Virus: ফের বাড়ছে অ্যাডিনোর দাপট! সন্তানকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চোখ রাঙাচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। বছরের শুরুতেই এই ভাইরাসের (Adeno Virus) দাপটে নাজেহাল হয়েছিল রাজ্যবাসী। কয়েকশো শিশুর প্রাণহানি ঘটেছিল। কলকাতার হাসপাতালে শিশু ভর্তি নিয়ে নাজেহাল হয়ে উঠেছিলেন বাবা-মায়েরা। সেই ভাইরাসের দাপট ফের দেখা দিয়েছে।

    কী বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? 

    কলকাতার একাধিক হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফের অ্যাডিনোর (Adeno Virus) উপসর্গ নিয়ে শিশুরা ভর্তি হচ্ছে। ভর্তি থাকা রোগীদের বেশির ভাগের বয়স পাঁচ বছরের বেশি। তবে, ভর্তি থাকা রোগীদের জন্মগত বা ক্রনিক ফুসফুস ঘটিত সমস্যা থাকার জেরে, পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়েছে। তাই এখন থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, পরিস্থিতি যে কোনও সময় বিপজ্জনক হতে পারে বলেই তাঁদের আশঙ্কা।

    কোন কোন উপসর্গে বাড়তি সতর্কতা জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adeno Virus) আক্রান্ত হলে সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা যায়। তার সঙ্গে জ্বর হয়। তাছাড়াও চোখে সংক্রমণ হয়। তার জেরে ভোগান্তি বাড়ে শিশুদের। তাই সর্দি-কাশির পাশাপাশি চোখ লাল হয়ে উঠলে বা চোখে অস্বস্তির মতো উপসর্গ দেখা দিলে বাড়তি সতর্ক হতে হবে। তাছাড়া, যাদের হাপানি বা ফুসফুসের অন্য কোনও সমস্যা কিংবা শ্বাসকষ্ট জাতীয় কোনও সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। কারণ, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকলে অ্যাডিনো বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। তাই জ্বর বা কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই আর সময় নষ্ট করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

    বর্ষাকাল কি অ্যাডিনো (Adeno Virus) আক্রমণে বাড়তি শক্তি জোগাবে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্ষার মরশুমে অ্যাডিনো বাড়তি শক্তি সঞ্চয় করবে। কয়েক মাস আগে অ্যাডিনো যখন থাবা বসিয়েছিল, তখন শীতের শেষ ও গরমের শুরু ছিল। অর্থাৎ, ঋতু পরিবর্তনের সময়েই এই ভাইরাস দাপট বাড়িয়েছিল। এ বছর বর্ষায় দ্রুত তাপমাত্রার পারদ কমছে। আবহাওয়ার তারতম্য দ্রুত হচ্ছে। ফলে, ভাইরাসঘটিত রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। এই আবহাওয়ায় অ্যাডিনোও শক্তি বাড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাছাড়া, স্কুল পড়ুয়ারা যাতায়াতের সময় অনেকেই হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যায়। ফলে, সর্দি-জ্বরের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই বর্ষায় অ্যাডিনোর (Adeno Virus) ঝুঁকি বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    সন্তানকে কীভাবে সুস্থ রাখবেন? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, তাপমাত্রার এই তারতম্যে সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। অতিরিক্ত এসি না চালানোর পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, কোনও ভাবেই এই আবহাওয়ায় সারা রাত এসি চালিয়ে ঘুমনো চলবে না। এতে সর্দি-কাশির ঝুঁকি বাড়বে। তাছাড়া, এসি চালালেও তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রির নিচে রাখা যাবে না। 
    বৃষ্টিতে ভিজলে অবশ্যই বাড়িতে ফিরে গরম জলে ফের স্নান করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাছাড়া গরম দুধ বা যে কোনও গরম পানীয় খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ তাতে গলাব্যথা বা অন্যান্য সমস্যা কমে। 
    আইসক্রিম বা ঠান্ডা পানীয় এই আবহাওয়ায় বাচ্চাদের না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। কারণ, তাতে ভাইরাস ঘটিত রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
    এছাড়াও, বাইরে থেকে ফিরে অবশ্যই হাত-মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। পরিচ্ছন্নতা যে কোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখ ঠেকাতে সাহায্য করে। 
    চোখে কোনও রকম অস্বস্তি হলে কিংবা লাল হয়ে গেলে, বারবার চোখ পরিষ্কার জলে ধুতে হবে। প্রয়োজনে গরম জলে পরিষ্কার তুলো ভিজিয়ে চোখ পরিষ্কার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এতে ভাইরাসের (Adeno Virus) শক্তি কমবে বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: চাপড়ায় বিজেপি কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: চাপড়ায় বিজেপি কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা রাজ্য জুড়ে ঘটেই চলেছে। ভোটে তৃণমূল জয়ী হওয়ার পরও বিরোধীদের উপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে বিজেপি (BJP) কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি তৃণমূল কোনও বুথে হারলেও নিজের আধিপত্য দেখাতে এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে। নদিয়ার চাপড়ায় ঘোষপাড়া এলাকাতেই ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এক বিজেপি কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মী?

    প্রদীপবাবু এলাকায় সক্রিয় বিজেপি (BJP) কর্মী। চাপড়ার ঘোষপাড়া এলাকায় দলীয় প্রার্থীদের হয়ে তিনি প্রচুর খেটেছেন। এই এলাকায় বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। শনিবার রাতে শিবানী হালদার নামে নব নির্বাচিত বিজেপি সদস্যার বাড়িতে তিনি দেখা করতে যান। সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা দল বেঁধে এসে তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রদীপবাবু বলেন, এই এলাকায় দলের হয়ে আমি নেতৃত্ব দিই। তিনজন বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এটা তৃণমূলের ছেলেরা মেনে নিতে পারছে না। তাই, আমি দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তৃণমূলের লোকজন দল বেঁধে এসে হামলা চালায়। আমাকে বেধড়ক মারে। আমি মাটিতে পড়ে গেলে ওরা বুকে লাথি মারে। আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মুখে বেধড়ক মারে। আমার মুখ ফেটে যায়। জানা গিয়েছে, ঘটনার পর পরই গুরুতর জখম অবস্থায় চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) উত্তরের জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে বিজেপির একাধিক পঞ্চায়েত দখল নেওয়ার কারণে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। সেই কারণে আতঙ্কিত করতে বিজেপি কর্মীদের মারধর করছে তৃণমূল। আর তাদের সাহায্য করছে প্রশাসন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে ঘটনার কথা অস্বীকার করে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক তৃণমূলের জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের জয় দেখে নিজের দলীয় কর্মীদের মারধর করে তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি (BJP)। প্রশাসন তদন্ত করছে, নিশ্চয় সঠিক ঘটনা সামনে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বর্ষার মরশুমে প্রথম ডায়মন্ড হারবারের মৎস্যজীবীদের জালে উঠল টন টন ইলিশ

    South 24 Parganas: বর্ষার মরশুমে প্রথম ডায়মন্ড হারবারের মৎস্যজীবীদের জালে উঠল টন টন ইলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বর্ষা ঢুকে গেছে। বর্ষার এই মরশুমে প্রথম ডায়মন্ড হারবারের (South 24 Parganas) মৎস্যজীবীদের জালে উঠল টন টন ইলিশ। ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় মুখে চওড়া হাসি মৎস্যজীবী থেকে আড়ৎদারদের।

    কেমন ধরা পড়ল ইলিশ (South 24 Parganas)?

    গত দুদিনে ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) নগেন্দ্র বাজারে প্রায় ৮০ টন ইলিশ ঢুকেছে বলে জানা যায়। মৎস্যজীবীরা জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এই প্রথম বড় সাইজের ইলিশ মাছ ধরা পড়ল মৎস্যজীবীদের জালে। দুমাস গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর, গত এক মাস ধরে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে পাড়ি দিলেও সেভাবে জালে ইলিশের দেখা মেলেনি। ফলে লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছিল মৎস্যজীবীদের। মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে যাওয়ার খরচ তোলা নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন এই এলাকার মৎসজীবীরা। তার প্রভাব আড়ৎদারদের মধ্যেও পড়েছিল। এবার জালে ইলিশ পড়ায় অনেকটাই আশার আলো দেখছেন মৎসজীবীরা।

    মৎসজীবীদের বক্তব্য

    এক ট্রলারের মালিক বিপ্লব দাস বলেন, নামখানা, ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) মিলে প্রায় পাঁচ হাজার টনের কাছাকাছি ইলিশ এসেছে। প্রথমে কম ধরা পড়লেও এখন অনেকটাই বৃদ্ধি হয়েছে। এক একটা ট্রলারে প্রায় ১৬ থকে ১৮ জন মানুষ মাছ ধরতে যান। ট্রলার পিছু প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা খরচ হয়। এবারে ট্রলার পিছু দেড় থেকে দুই টনের কাছাকাছি ইলিশ ধরা পড়েছে বলে জানান তিনি। এখন সারা শ্রাবণ মাস জুড়েই ইলিশের মরশুম চলবে। এই বছরে আমরা খুব আশাবাদী বলে জানিয়েছেন বিপ্লব দাস।

    ইলিশের দাম কেমন হবে?

    তবে জালে ইলিশ ধরা পড়লেও বর্তমানে দাম খুব একটা যে কমবে না, তাও জানান আড়ৎদারেরা। ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) নগেন্দ্র বাজারে ইলিশের পাইকারি দর চলছে কেজি প্রতি ৭০০ টাকা, যা সাধারণ মধ্যবিত্তের নাগালের বাহিরে। তবে আড়ৎদারেরা জানান, এভাবে যদি ইলিশ জালে ধরা পড়ে তাহলে ইলিশের দাম কমতে পারে বলে আশা করা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমের বাঙালি সন্তানের যোগ মিলল চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণে, উচ্ছ্বসিত রাজ্যবাসী

    Birbhum: বীরভূমের বাঙালি সন্তানের যোগ মিলল চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণে, উচ্ছ্বসিত রাজ্যবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদে যান পাঠানোর কর্মযজ্ঞে বিশেষ যোগ মিলল বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের বাঙালি সন্তান বিজয়কুমার দাই-এর। ইসরোর গবেষণাগারে বসে চন্দ্রযান-৩ সফল উৎক্ষেপণে অংশ নিয়েছেন বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রামের দাই পাড়ার এই সন্তান। তফশিলি দরিদ্র চাষি পরিবারে জন্ম নেওয়া বিজয় কুমার দারিদ্রতাকে জয় করে চাঁদে যান পাঠালেন। বিশ্বজোড়া কর্মকাণ্ডে ছেলের অংশগ্রহণে গর্বিত বিজয়ের বাবা-মা ও তাঁর গ্রামের মানুষজন। চন্দ্রযান-২ সফল না হলেও চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে বলে আশা তাঁর বাবা ও মায়ের। এই যোগদানে বিজয় কুমারের জন্য রাজ্যবাসীও আপ্লুত।

    কোথায় পড়াশুনা করেছেন বিজয়কুমার দাই (Birbhum)?

    ২০০০ সালে বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রাম জগত্তারিণী বিদ্যায়তন থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন বিজয়কুমার দাই। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ থেকে। তারপর কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রি লাভ করেন। তারপরেই চাকরি পেয়ে যান ইসরোর গবেষণা কেন্দ্রে। এরপর সেখানেই চন্দ্রযান-২ এবং চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণে অংশগ্রহণ করেন তিনি। বিজয়কুমার দাই-এর এই সাফল্যে খুশি দক্ষিণগ্রামের মানুষজন। দক্ষিণগ্রাম জগত্তারিণী বিদ্যায়তনের শিক্ষককরাও ভীষণ উচ্ছ্বসিত।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Birbhum) পক্ষে বাবা নারায়ণচন্দ্র দাই বলেন, এই চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের সাফল্য কামনা করি। অনেক পরিশ্রম করে ইসরোতে চাকরি পেয়েছে আমার ছেলে। পড়াশুনায় কোনও খামতি রাখেনি বিজয়। দিনরাত পরিশ্রম এবং পড়াশুনা করে আজ এই জায়গাতে পৌঁছেছে। ওর মঙ্গল কামনা করি। তবে ছেলে কাজের জন্য খুব ব্যস্ত থাকে, তাই রাতের দিকেই মূলত ওর সঙ্গে কথা হয়। মা শ্যামলী দাই বলেন, টিভিতে দেখলাম চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের ছবি, খুব ভালো লাগেছে। ছেলের জন্য বেশ গর্ব অনুভব করি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমার বড় ছেলে ওকে এই পড়াশুনার জন্য উৎসাহ ও প্রেরণা যুগিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা তো চাষাবাস করি অত বুঝি না। বড় ছেলে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। বড় ছেলেই মেজ ছেলেকে যে পথ দেখিয়েছে তারপর থেকে সেই পথেই চলছে বিজয়। ভগবান ওর মঙ্গল কামনা করুক, ওঁদের অভিযান যেন সর্বাত্মক সাফল্য লাভ করে, ঈশ্বরের কাছে সেই কামনাই করি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটে হার তৃণমূল প্রার্থী স্ত্রীর, বিজেপি কর্মী বাবাকে খুন করার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে

    BJP: ভোটে হার তৃণমূল প্রার্থী স্ত্রীর, বিজেপি কর্মী বাবাকে খুন করার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল ঘোষণার পর স্ত্রী হেরে যেতেই বাবাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার বামনগোলা ব্লকের মদনাবতীর কয়নাদিঘি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বুরন মুর্মু। তিনি বিজেপি (BJP) কর্মী হিসেবে পরিচিত। অভিযুক্ত ছেলের নাম বিপ্লব মুর্মু। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    বাবাকে কেন খুন করল ছেলে?

    অভিযুক্ত বিপ্লবের বউ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। পঞ্চায়েত ভোটে বউয়ের হারের পর যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়ে বাবার উপর। আর তার জেরেই বাবাকে গলায় দড়ি দিয়ে  ঝুলিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে।  এই ঘটনায় জানাজানি হতেই কয়নাদিঘি গ্রামে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপ্লব মুর্মুর স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। কিন্তু, বাবা বিজেপি (BJP) প্রার্থীর হয়েই খাটছিলেন। বউমাকে জেতানোর জন্য কোনও চেষ্টা করেননি বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যে বিজেপি প্রার্থীকে জেতানোর জন্য় সবরকম চেষ্টা করেন। ফলে, ভোটের আগে থেকেই বাবার এই আচরণ ভালভাবে মেনে নেননি বিপ্লব। তবুও, ভোটের ফলাফলের জন্য তিনি অপেক্ষা করেছিলেন। আর ভোটের ফলাফল ঘোষণা হলে দেখা যায় ওই বুথে জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী। তারপর থেকেই বাবা বুরন মুর্মুর ওপর যাবতীয় আক্রোশ গিয়ে পড়ে ছেলে বিপ্লবের। অভিযোগ, সেই আক্রোশের বশেই নিজের বাবাকে খুন করে দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share