Tag: Madhyom

Madhyom

  • Diarrhea: ডায়রিয়ার থাবায় গোটা গ্রাম! মৃত ১, অপরিশ্রুত পানীয় জলকেই দূষছেন স্থানীয়রা

    Diarrhea: ডায়রিয়ার থাবায় গোটা গ্রাম! মৃত ১, অপরিশ্রুত পানীয় জলকেই দূষছেন স্থানীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মধ্যেই  ডায়রিয়ার (Diarrhea) হানা। আক্রান্ত আস্ত একটি গ্রাম। বোলপুর সংলগ্ন সিয়ান- মুলুক আদিবাসী অধ্যুষিত বেরুগ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপে কমবেশি ২৫০ জন অসুস্থ বলে জানা গিয়েছে। আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। তাঁদের মধ্যে ৩০ জনের বেশি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    ডায়রিয়ার (Diarrhea) প্রকোপে মৃত ১

    গ্রামবাসীদের দাবি, পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে জার্মান প্রকল্প এবং টিউবওয়েলের বেশ কয়েকটি কল থাকলেও সেগুলি অচল। পানীয় জল নিয়ে আসতে হয় তিন কিলোমিটার দূর থেকে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই জিবা কিস্কু (৬০) নামের এক গ্রামবাসী মারা গিয়েছেন। অপরিশ্রুত পানীয় জল থেকেই এই রোগ ছড়িয়েছে বলে ধারনা গ্রামবাসীদের। সোলার সিস্টেমের একটি জলের ব্যবস্থা থাকলেও প্রায় দিনই খারাপ হয়ে থাকে। স্থানীয় প্রশাসনকে বারংবার জানানো সত্বেও মেলেনি কোনও সুরাহা, এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের অধিকাংশ আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এলাকা জুড়ে।

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাড়তে থাকে প্রকোপ

    বৃহস্পতিবার সকালের পর থেকেই ক্রমশ গ্রামে ডায়রিয়ার (Diarrhea) প্রকোপ বাড়তে থাকে বলে খবর। কারও বমি, মাথাব্যথা, কারও আবার পেট ব্যথা। চিকিৎসা চললেও প্রতিদিনই কোনও না কোনও আক্রান্তের খবর আসছেই।
    জনৈক গ্রামবাসী সুকুল সাহানি, সোমাই সোরেনরা বলছেন, ‘‘পানীয় জল থেকেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। একাধিক জার্মান প্রকল্পের কল থাকা সত্ত্বেও সেগুলি অচল। টিউবওয়েল ব্যবহার করা অযোগ্য। বাধ্য হয়েই পাশের গ্রামে তিন কিলোমিটার অতিক্রম করে জল আনতে হয়। গোটা গ্রামই এখন আতঙ্কিত।’’ অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী রীতা কর্মকার বলেন, ‘‘২৭৪ নম্বর কেন্দ্রেও জল না থাকার কারণেই অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পাশের গ্রাম থেকে জল নিয়ে আসতে হয়। গোটা গ্রামই এখন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।’’

    কী বলছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক?

    যদিও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণ অথবা পানীয় জল থেকে এই ধরনের রোগ হতে পারে। অবশ্যই খবর নিয়ে দেখা হবে। ঘাবড়ানোর কিছু নেই। প্রয়োজনে আশা কর্মীদের দিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: খেলনা ভেবে খেলতে গিয়ে সালারে বোমা বিস্ফোরণে জখম দুই শিশু

    Bomb Blast: খেলনা ভেবে খেলতে গিয়ে সালারে বোমা বিস্ফোরণে জখম দুই শিশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেলনা ভেবে একটি কৌটো নিয়ে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) জখম হল হল দুই শিশু। শনিবার সকালে ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার সালার থানার কাগ্রাম অঞ্চলের বাবলা গ্রামে। জখমদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সাহিল শেখ এবং সাকিব শেখ নামে দুই শিশু বাড়ির কাছেই খেলা করছিল। রাস্তার পাশেই প্লাস্টিকে মোড়া কৌটো বোমা ছিল। তবে, কতগুলি বোমা ছিল তা জানা যায়নি। দুই শিশু সেটিকে খেলনা ভেবে কৌটো বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। বিস্ফোরণের  জেরে গুরুতরভাবে দুজন জখম হয়। দুজনকেই চিকিৎসার জন্য সালার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাবলা গ্রামে প্রায় পাঁচটি কৌটো বোমা পড়েছিল। আর সেই কৌটো বোমাকে খেলনা ভেবে খেলতে যাই দুই শিশু। একটি কৌটো বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে ওই এলাকায় আরও চারটি কৌটো বোমা পড়ে আছে। ঘটনায় উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছই সালার থানার পুলিশ। সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে ওই বোমাগুলি মজুত করে রেখেছিল তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    জখম শিশুর এক পরিবারের সদস্য বলেন, আক্রান্ত শিশু আমার ভাইপো। এভাবে যেখানে  সেখানে বোমা ফেলে রাখা অন্যায়। আরও হয়তো অনেক বোমা গ্রামে পড়ে রয়েছে। পুলিশ তল্লাশি করলে খুঁজে পাবে। আমাদের দাবি, যে বা যাদের জন্য আমাদের বাড়ির দুই সন্তান এভাবে জখম হল, তাদের আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গড়বেতায় বিজেপির কর্মীকে পার্টি অফিসের ভিতরে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গড়বেতায় বিজেপির কর্মীকে পার্টি অফিসের ভিতরে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। ফের বিজেপির (BJP) পোলিং এজেন্টকে তুলে নিয়ে এসে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সবং, দাঁতনের পর এবার ঘটনাস্থল গড়বেতার মায়তা অঞ্চলের খুনবেড়িয়া। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। শাসক শিবির যাই বলুক না কেন একের পর এক অভিযোগে শাসকদলের অন্তরে অস্বস্তি যে ক্রমে বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী ঠিক কী অভিযোগ?

    শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজেপির (BJP) পোলিং এজেন্ট বরুণ রুইদাসকে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কা অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার গভীর রাতে ওই বিজেপি কর্মীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাতেই বিজেপি কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছায় রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি সমিত দাস সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সহ সভাপতি সমিত দাস বলেন, বিজেপি পোলিং এজেন্টের কাছে পিকনিকের টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় দলীয় কর্মীর উপর হামলা চালানো হয়। আর আক্রান্ত কর্মী জল চাইলে তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া হয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটের তথা বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসার নামে আষাঢ়ে গল্প ফাঁদছে বিজেপি (BJP)। পাড়াগত বা পারিবারিক গণ্ডগোল হলেও তৃণমূলের নাম দিয়ে চালানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন এলাকায় প্ররোচনা তৈরি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Flood in North India: ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি উত্তর ভারতে! রোজই মিলছে মৃত্যুর খবর

    Flood in North India: ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি উত্তর ভারতে! রোজই মিলছে মৃত্যুর খবর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যায় (Flood in North India) জনজীবন বিপর্যস্ত রাজধানী দিল্লিতে। একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। যমুনার জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে, এর জেরে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে রাজধানীর রেড ফোর্ট, রাজঘাটের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। যমুনা ফুঁসছে, তবে এখনও আশার বাণী শোনাতে পারেননি হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা। আবারও বৃষ্টি হবে বলে সতর্কবার্তা জারি করেই চলেছে মৌসম ভবন। জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। একই অবস্থা উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলেরও। হরিদ্বারে সাত বছরের শিশু সমেত তিন জন ভেসে গিয়েছে বলে খবর মিলেছে। একাধিক রাস্তা সেখানে ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে উত্তরাখণ্ডে প্রায় ৬০০ এর কাছাকাছি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়েছে। জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত।

    জনজীবন স্তব্ধ উত্তরাখণ্ডে

    হরিদ্বার, ভগবানপুর, লস্কর এবং রুরকি এই সমস্ত জায়গার অবস্থা খুব খারাপ। এই সমস্ত এলাকার মানুষজনকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খাবারের প্যাকেট, পানীয় জল এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। জানা গিয়েছে, বন্যার (Flood in North India) কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ এবং সেনা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার হরিদ্বারের বন্যাকবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। রোজই মিলছে মৃত্যুর খবর। সূত্রের খবর, হাবিবপুর কুণ্ডি গ্রামে সৎপাল নামে ৪৭ বছর বয়সি এক ব্যক্তি জলের তোড়ে নিঁখোজ। আবার বাসেদি খাদার গ্রামে বন্যার জলে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে অজয় কুমার নামে ২৭ বছরের এক যুবকের।

    জলস্তর নামলেও বিপদসীমা থেকে অনেকটাই ওপরে বইছে যমুনা

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে যমুনার জলস্তর কিছুটা নেমেছে। কিন্তু এতেও পরিত্রাণ নেই কারণ বিপদসীমা থেকে এখনও অনেকটা ওপরে যমুনা বইছে। তথ্য বলছে, চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছিল যমুনার জলস্তর। ৫০ বছরের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছিল যমুনা। ছুঁয়ে ফেলেছিল ২০৮.৬৬ মিটার। বিপদসীমার (Flood in North India) থেকে তিন মিটার বেশি। তবে সূত্রের খবর, সামান্য কিছুটা পরিবর্তন হতে দেখা গিয়েছে শুক্রবার। জলস্তর এখন ২০৭.৯৮ মিটার। এদিকে রাস্তাঘাট জলমগ্ন হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। নীচু জায়গায় বসবাস করেন, এমন হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    দিল্লিতে ভেসে গিয়েছে তিন শিশু? 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির মুকুন্দপুর চকে চলছে মেট্রোর কাজ। স্থানীয়দের দাবি, বানের জলের তোড়ে শুক্রবার ভেসে গিয়েছে তিন শিশু। নিখিল, পীযুষ ও আশিস নামে তিন নাবালকের ভেসে যাওয়ার খবর সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় পুরো এলাকায়। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে এই পুরো ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। ওই জায়গা ঘিরে দেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে।

    সক্রিয় এনডিআরএফ-এর টিম

    জানা গিয়েছে, বর্তমানে বন্যা (Flood in North India) মোকাবিলায় দিল্লিতে কাজ করছে ১৬টি এনডিআরএফ-এর টিম। সূত্রের খবর, দিল্লির কমলা নগর, কালকাজি, পটেল নগর, শাস্ত্রী নগর, গোবিন্দপুরীর মতো একাধিক জায়গায় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাওয়া অফিস বলছে,  আগামী ৪-৫ দিনও দিল্লিতে আরও ভারী বৃষ্টি হবে। ১৭ ও ১৮ জুলাই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। দিল্লির এমন বন্যা পরিস্থিতি শুধুমাত্র বৃষ্টির জলে নয়, অন্য রাজ্য থেকে জল ছাড়ার ফলেই এই অবস্থা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ক্যানিংয়ে শাসক দলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন, বাসন্তীতে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    TMC: ক্যানিংয়ে শাসক দলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন, বাসন্তীতে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার গভীর রাতে তৃণমূল কর্মীকে (TMC) ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার সাতমুখী গাজিপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নান্টি গাজি। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। যদিও আইএসএফের পক্ষ থেকে হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাসন্তীতে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে। 

    ঠিক কী ঘটেছে?

    ক্যানিং থানার সাতমুখী গাজিপাড়া এলাকায় ভোটের ফল ঘোষণায় তৃণমূল জয়ী হয়। অনেক আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় তৃণমূল (TMC)  জয়লাভ করে। ভোটে জেতার আনন্দে শুক্রবার এলাকায় বিজয় উৎসব চলে। সেই ঘটনার পর রাতে এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। আইএসএফের বিরুদ্ধে এই বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে।  কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এলাকায় বোমাবাজি করার প্রতিবাদ করতে যান। তারপরই আইএসএফ কর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের  লক্ষ্য করে তেড়ে যায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে  তৃণমূল কর্মীরা ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন। ছুটতে গিয়ে নান্টু গাজি নামে ওই তৃণমূল কর্মী রাস্তায় পড়ে যান। ওই অবস্থায় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। পরে, হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ক্যানিং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। জখম তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চিকিৎসকরা কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তিরিত করা হয়।   সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল (TMC) নেতাদের বক্তব্য, ভোট তৃণমূল অধিকাংশ আসনে জিতে গিয়েছে তা আইএসএফ কর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। বিজয় মিছিল হওয়ার পর ওরা সন্ত্রাস করতে এলাকায় বোমাবাজি করা হয়েছিল। সেটার প্রতিবাদ করার দলীয় কর্মীকে এভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।

    বাসন্তীতে চলল গুলি

    বাসন্তীতে ফের চলল গুলি। গুলিতে জখম হয়েছেন এক তৃণমূল (TMC)  কর্মী। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম শামিম সর্দার। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভরতগড় এলাকায়। ঘটনায় অভিযোগের তির আর এস পির দিকে। রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল বিধয়াক পরেশরাম দাস বলেন, ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই সন্ত্রাস চলছে। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি। আরএসপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে এই ঘটনা ঘটছে। এরসঙ্গে আরএসপির কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আলিপুরদুয়ার ও বালুরঘাটে ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী

    BJP: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আলিপুরদুয়ার ও বালুরঘাটে ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘর ছাড়া শতাধিক বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থক। বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। প্রতিদিন ঘরছাড়াদের সংখ্যা বাড়ছে জেলায়। একই অবস্থা আলিপুরদুয়ার জেলাতেও। সেখানে মহিলা সহ শিশুরা আশ্রয় নিয়েছে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে।

    দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘর ছাড়া বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকরা

    জেলাজুড়ে বর্তমানে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে ১০০ বেশি দলীয় কর্মী সমর্থক আশ্রয় নিয়েছেন। তারা সকলেই শাসক দলের দুষ্কৃতিদের দ্বারা অত্যাচারিত। শুধুমাত্র বিজেপির জেলা কার্যালয়ে নয় অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন নিকট আত্মীয়র বাড়িতে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রাণ সংশয়ের হুমকি দেওয়া হয়েছে ঘরছাড়াদের, ভাঙা হয়েছে বাড়িঘর। বাড়িঘর ছেড়ে এখন এই সমস্ত বিজেপি নেতা কর্মীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়। জেলা কার্যালয়ে তাদের থাকা ও খাওয়ার সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর, তপন, কুমারগঞ্জ, বালুরঘাট সহ বিভিন্ন এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছে। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে প্রাণ নাশের হুমকি। ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে জেলার শতাধিক বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থক ঘরছাড়া। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি যে সব জায়গায় জয়ী ও পরাজিত হয়েছে সব জায়গাতেই এই সন্ত্রাস সমান ভাবে চলছে। ঘরছাড়াদের অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। পুলিশকে হামলার প্রসঙ্গে জানালে সবকিছু হয়ে যাওয়ার পর তারা আসছে। ততক্ষণে তো সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। তাই প্রাণভয়ে পরিবার সহ বিজেপি কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। তারা আদৌ ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রতিদিনই ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সংখ্যা বাড়ছে জেলায়। এই বিষয়ে এক ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘আমাদের ওপর ভোটের আগে থেকে তৃণমূলের কর্মীরা হামলা করছে, প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে ও বাড়িঘর ভাঙচুর করছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি কিন্তু পুলিশের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। সেই জন্য আমরা জীবন বাঁচাতে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছি।’’ বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, ভোটের আগে এবং ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস চলছে। ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। শতাধিক কর্মকর্তারা বাড়ি যেতে পারছে না। তাঁদেরকে হুমকি দিচ্ছে তাই তাঁরা প্রাণ বাঁচাতে  পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছে।

    আলিপুরদুয়ারেও একই ছবি 

    জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা এখন ঘরছাড়া। অভিযোগ, শাসক দল আশ্রিত  দুষ্কৃতীদের হুমকি, চমকানিতে তাঁরা নিজেদের বাড়িতেই থাকতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই এসে আশ্রয় নিয়েছেন বিজেপি (BJP) জেলা কার্যালয়ে। সাত মাসের দুধের শিশু কোলে সদ্য নির্বাচিত এক পঞ্চায়েত সদস্যা সহ আরও কয়েকজন মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যার এখন ঠিকানা দলের জেলা কার্যালয়। এছাড়া পুরুষ পঞ্চায়েত সদস্যরাও অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন দলের জেলা কার্যালয়ে। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তাঁরা এসে জেলা কার্যালয় আশ্রয় নিলেও এখন যেন তারা সকলে একটি পরিবারের মতো একসঙ্গে ঢালা বিছানায় রাতে ঘুমোচ্ছেন, একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সারছেন। ওই নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা জানেন না, তাঁরা ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা। বিজেপির মিডিয়া সেলের জেলা মুখপাত্র শংকর সিনহা বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারের পাতলাখাওয়া, চকোয়াখেতি পূর্ব কাঠালবাড়ি তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এবারেও তৃণমূলের ভোট লুট,বুথ জ্যামের পরেও সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি সদস্যরা সেখানে জয়ী হয়েছেন। বিজেপি তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড  দখল করতে পারবে, সেটা বুঝতে পেরেই শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দলের নবনির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর দলত্যাগের চাপ সৃষ্টি করেছে। বাধ্য হয়ে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয় আমাদের রাখার ব্যবস্থা করতে হয়েছে।’’ সাত মাসের শিশু পুত্রকে কোলে নিয়ে জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, ‘‘এলাকার মানুষ বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু শাসকদলের স্থানীয় কিছু নেতা আমাকে বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মানুষের রায়কে সম্মান জানাতে দুধের শিশুকে কোলে নিয়েই পার্টি অফিসে চলে এসেছি। গ্রাম পঞ্চায়েত  বিজেপির বোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরব না।’’ জেলা পার্টি অফিসে আশ্রয় নেওয়া আরেক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, ‘‘আমাকে টাকা পয়সা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তাতে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে  মানসিক চাপ দিচ্ছে এলাকারই কিছু শাসকদলের নেতা। তাই বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে পার্টি অফিসে এসে আশ্রয় নিয়েছি।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: চন্দ্রযানে জুড়ল বাঙালি নাম! ক্যামেরা ডিজাইন করেছেন অনুজ নন্দী

    Chandrayaan-3: চন্দ্রযানে জুড়ল বাঙালি নাম! ক্যামেরা ডিজাইন করেছেন অনুজ নন্দী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের চন্দ্রযানের কথা মনে আছে? ইসরোর বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রম করে শুরু করেছিলেন মিশন চন্দ্রযান ২। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সেই অভিযানে, চাঁদের মাটি ছোঁয়ার কিছু আগেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রোভারটি। বছর চার আগের ব্যর্থতা দূরে ঠেলে শুক্রবার চাঁদের দেশে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। আর এই সফল অভিযানের অন্যতম অংশীদার বাংলাও। কারণ চন্দ্রযান-৩ ক্যামেরার ডিজাইন করেছেন ইসলামপুরের অনুজ নন্দী।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

    ইসলামপুরের অনুজ নন্দী

    স্বাভাবিক ভাবেই এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা অনুজ নন্দীর বাড়িতে  খুশির মহল দেখা যাচ্ছে। এই ঐতিহাসিক অভিযানের সঙ্গে নাম জুড়ে গিয়েছে জেলার ছেলের। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে ইসলামপুর হাইস্কুলে  পড়াশোনা শেষ করার পর রায়গঞ্জ কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন অনুজ। এরপরই আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে৷ বেঙ্গালুরুর ইসরোতে গত আট বছর ধরে কাজ করছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। ছেলের কাজে গর্বিত কৃতী বিজ্ঞানীর মা সোমাদেবী আজ উচ্ছ্বসিত৷ তিনি বলেন, “একমাস আগেই ইসলামপুরের বাড়িতে এসেছিল। বেঙ্গালুরু থেকে আজ ফোনে সবটা জানিয়েছে। আমরা এখানে বসেই মোবাইল ফোনে চন্দ্রযান অভিযানের দৃশ্যের সাক্ষী থাকলাম।” 

    শুক্রবার ২ টো বেজে ৩৫ মিনিটে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)

    শুক্রবার পূর্ব নির্দিষ্ট মাহেন্দ্রক্ষণ, দুপুর ঠিক ২ টো বেজে ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। মাত্র ১৭ মিনিটে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছনোর কথা। তবে চাঁদে পৌঁছতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে ইসরোর তৈরি চন্দ্রযানের। বিজ্ঞানীদের অঙ্ক বলছে, ২৩ বা ২৪ অগাস্ট উপগ্রহের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান-৩। আর চাঁদ অভিযানে ভারতের এই সাফল্যে নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণার জগতে বিশাল কীর্তি। এর আগে এমন কৃতিত্বের অধিকারী রাশিয়া, আমেরিকা, চিন। ভারত বসল চতুর্থ স্থানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মালদায় রাস্তার ধারে উদ্ধার প্রায় ৩ হাজার ব্যালট! বিক্ষোভে বিজেপি

    BJP: মালদায় রাস্তার ধারে উদ্ধার প্রায় ৩ হাজার ব্যালট! বিক্ষোভে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তি ছড়ায়। জেলায় জেলায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ৮ জুলাই ভোটের দিনও সকাল থেকেই ছাপ্পা, বোমাবাজি, রাজনৈতিক খুনের খবর আসতে থাকে। ১১ জুলাই গণনাতেও কারচুপির অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গণনাকেন্দ্রের বাইরে থেকে উদ্ধার হতে থাকে ব্যালট। শুক্রবার সকালে মালদাতেও দেখা যায় একই চিত্র। মানিকচক ব্লকের মথরাপুর হাটখোলা গরু হাটে অসংখ্য ব্যালট পেপার ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ব্যালটগুলিতে দেখা যায়, বিজেপিকে ভোট দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে  ঘটনাস্থলে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা গৌর মন্ডল যান। প্রায় ৩০০০ ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়। এরপরই বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় মানিকচক ব্লকে। দেওয়া হয় ডেপুটেশনও। বিডিও ও প্রশাসন শাসকদলকে জেতাতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। অন্যদিকে একই চিত্র দেখা যায় গঙ্গাসাগরেও। সেখানেও গণনাকেন্দ্রের বাইরে উদ্ধার হয়েছে অজস্র ব্যালট।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ! কুন্তলের চিঠির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি সিবিআই-এর

    বিজেপির (BJP) অভিযোগ পত্র

    শুক্রবার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে স্থানীয় মানিকচক ব্লকের বিডিওকে ডেপুটেশনও জমা দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ পত্রে, তাঁরা উল্লেখ করেন, নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা হয়েছে। শাসক দল ব্যালট বক্স বদল করেছে বলেও সরব হয় বিজেপি। এপ্রসঙ্গে, মানিকচক ব্লকের একটি বুথের উদাহরণও দেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা তথ্য দিয়ে বলেন, উত্তর চন্ডীপুর মানিকনগর বুথে মোট ভোটার ১১০৪ অথচ ভোট পড়েছে ১২৯৮।

    কী বলছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এসডিও এবং বিডিও-এর মদতে বদলে ফেলা হয়েছে ব্যালট বক্স। শুধু তাই নয়, বিজেপি নেতৃত্বের আরও অভিযোগ, এসডিও এবং বিডিওদের গাড়িতেই এসেছে তৃণমূলের বদলে ফেলা ব্যালট বক্সগুলি। নির্বাচনের নামে এই প্রহসনের শেষ দেখে ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। প্রয়োজনে তাঁরা হাইকোর্টেও যাবেন বলেছেন।

     

    গঙ্গাসাগরের গণনা কেন্দ্রের পিছনে উদ্ধার ব্যালট পেপার

    অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের গণনা কেন্দ্রের পিছন থেকে মিলল অসংখ্য ব্যালট পেপার। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। গঙ্গাসাগর চৌরঙ্গী জনকল্যাণ সঙ্ঘ বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে সম্পন্ন হয়েছিল ভোট গণনার কাজ। ঠিক স্কুলের পিছনে পড়ে রয়েছে অজস্র ব্যালট পেপার। বিজেপি এবং সিপিএমের প্রতীকে ছাপ রয়েছে ব্যালটগুলিতে। কীভাবে ব্যালটগুলি এখানে এল তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাস্থলে চলে আসেন সাগর বিধানসভার বিজেপি নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ১৫/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ১৫/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) আজ আপনারা নিজের দৈনন্দিন ব্যয় পুরো করতে সক্ষম হবেন।

    ২) ব্যবসায়িক সহকর্মীদের ব্যবহার আপনাকে রাগিয়ে তুলবে।

    বৃষ

    ১) বাড়ির বয়স্ক ও অফিসের আধিকারিকরা আপনার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারেন।

    ২) কম সময়ের মধ্যে অধিক অর্থ উপার্জনের ইচ্ছা থাকবে।     

    মিথুন

    ১) স্বাস্থ্যে ওঠা-পড়া দেখা দেবে। এর ফলে চিন্তিত থাকবেন।

    ২) সন্ধ্যাবেলা সন্তানের সমস্যার সমাধান করবেন।    

    কর্কট

    ১) বড়দের সঙ্গে বিচারধারার মতভেদ হলে, লোকসান সম্ভব।

    ২) ব্যবসায় লাভজনক সুযোগ পেলে তা গ্রহণ করতে কোনও বিলম্ব করবেন না।    

    সিংহ 

    ১) কাজ ও ব্যবসায় মন্দা থাকবে।

    ২) ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে। তবে বাধার কারণে কম সময় দিতে পারবেন।   

    কন্যা

    ১) সরকারি কাজে গাফিলতি করলে সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে পারেন।
     
    ২) পারিবারিক ব্যবসায় ভাইদের পরামর্শের প্রয়োজন হবে।      

    তুলা 

    ১) দাম্পত্য জীবনে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে পারে, এর ফলে সমস্যায় পড়বেন।

    ২) মানসিক চিন্তা ত্যাগ করুন ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    বৃশ্চিক

    ১) ভুল ব্যবহার ও রাগের কারণে পরিবারের সদস্যরা সমস্যার মুখোমুখি হবেন।

    ২) বাণীতে মাধুর্য বজায় রাখুন।    

    ধনু

    ১)  পরিবারের কোনও বিষয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন।
     
    ২) ব্যয় হওয়ায় অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন না।

    মকর

    ১) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত থাকবে।

    ২) নিজের কাজে নতুন কিছু করবেন।      

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে কাজ কম থাকায় মন এদিক ওদিক ছুটবে। 

    ২) বন্ধুর সাহায্যে বোনের বিয়েতে আগত বাধা সমাপ্ত হবে।   

    মীন

    ১) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সুখপূর্ণ সময় কাটাবেন।
     
    ২) ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার পথে আগত বাধা দূর হবে।         

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Anubrata Mondal: নেটওয়ার্ক খারাপ! তিহাড় বন্দি কেষ্টর শুনানি হলনা আসানসোল আদালতে

    Anubrata Mondal: নেটওয়ার্ক খারাপ! তিহাড় বন্দি কেষ্টর শুনানি হলনা আসানসোল আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে এই শুনানি ছিল। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতর আইনজীবীরা এদিন আদালতে উপস্থিতও ছিলেন। কিন্তু বাধা খারাপ নেটওয়ার্ক। কোনওভাবেই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগই করা গেল না। বারবার সংযোগ করতে চেয়েও এদিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় আসানসোল আদালতের। শুক্রবার তাই শুনানি সত্ত্বেও জামিনের কোনও আবেদন করতে পারলেন না, কেষ্টর আইনজীবীরা।

    নিয়োগ দুর্নীতিতেও কেষ্ট?

    গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জানা গিয়েছে, এবার আরও এক দুর্নীতিতে জড়িয়েছে কেষ্টর নাম।  সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে। সূত্রের খবর এনিয়ে উদ্যোগ নিতেও শুরু করেছে ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, একধাপ এগিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করার জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বিশেষ আবেদন জানিয়েছে ইডি। আগামী ২০ জুলাই বিচারক রঘুবীর সিং-এর বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি রয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে। ইডি-র আর্জি আদালতে মঞ্জুর হলে তারা তিহাড় জেলে গিয়ে কেষ্টকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে পারবে। 

    সুকন্যার নামে পেট্রল পাম্পের হদিশ

    সিবিআই তদন্তে উঠে এল নতুন তথ্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, বীরভূমে একটি পেট্রল পাম্প অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং তৃণমূল (Anubrata Mondal) নেতার ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের নামে রয়েছে। সিবিআই এর আরও অভিযোগ, খন্দকার কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানিতে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা জমা হয়েছে। সিবিআই এর দাবি,  ওই কোম্পানির মালিক সায়গলের সম্পর্কে শ্যালক। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, অনুব্রতের নামে চারটি পেট্রল পাম্প থাকার কথা এর আগে আদালতকে জানিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, নতুন একটি চালকলের খোঁজও পেয়েছে সিবিআই। এই চালকলের সঙ্গে কেষ্টর প্রত্যক্ষ আর্থিক লেনদেন হতো বলে খবর। অন্যদিকে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জমি কেনা বেচা নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সিবিআই আদালতে বিচারককে জানিয়েছে, কেষ্টর জমিগুলোর রেজিস্ট্রি হয়েছ নগদ টাকায়। প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থে জমির রেজিস্ট্রি হয়েছে, কিন্তু তা নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিস কোনও প্রশ্নই নাকি তোলেনি। এতেই বোঝা যায়, কেষ্ট কতটা প্রবাবশালী, মত ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share