Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bjp: জয়ী প্রার্থীদের লাগাতার হুমকি, থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বিজেপি সাংসদ

    Bjp: জয়ী প্রার্থীদের লাগাতার হুমকি, থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের রাতের অন্ধকারে লাগাতার হুমকি দিচ্ছে পুলিশ। এমনই অভিযোগ ঘিরে শুক্রবার ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হল শান্তিপুর থানার সামনে। এদিন একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে থানার সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দলীয় কর্মীদের নিয়ে অবশেষে থানার সামনে বসে পড়েন বিজেপির (Bjp) সাংসদ। দীর্ঘক্ষণ ধরে থানার গেট আটকে চলে অবস্থান-বিক্ষোভ। যদিও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তার খাতিরে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

    থানার ওসিকে তীব্র আক্রমণ

    ভোট পরবর্তী হিংসার পর থেকেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা এবং বিজেপির (Bjp) জয়ী প্রার্থীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগে থানা ঘেরাও কর্মসূচি বিজেপির। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির এই অবস্থান বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে শান্তিপুর থানার ওসিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। স্লোগান ওঠে ‘তৃণমূলের দালাল ওসি দূর হটো’। ‘পুলিশ তুমি উর্দি ছাড়ো, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরো’। ‘তৃণমূলের দালাল ওসি সুব্রত মালাকার দূর হটো’।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    তাঁর দাবি, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপি কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারপরে রাতের অন্ধকারে বিজেপির (Bjp) জয়ী প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যার মদত দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সম্পূর্ণভাবে তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। আমরা এর তীব্র ধিক্কার জানাই। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীদের উপর যদি কড়া ব্যবস্থা পুলিশ প্রশাসন না নেয়, তাহলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তম আন্দোলনের পথে নামবে বিজেপি। শান্তিপুর থানার গেটের সামনে বসে দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান-বিক্ষোভ করেন বিজেপি (Bjp) সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় এবার বিষ্ণুপুরে এক বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় এবার বিষ্ণুপুরে এক বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার বলি আরও এক বিজেপি প্রার্থী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিষ্ণুপুর-১ ব্লকের কেওড়াডাঙা পঞ্চায়েতের ঘটনা। গণনার দিন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক মারধর করে। তারপর আতঙ্কে ঘরছাড়া ছিলেন। অবশেষে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ভোলানাথ মণ্ডল (৫৩)। রাজ্য জুড়ে ভোটের সন্ত্রাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছে (South 24 Parganas)?

    কেওড়াডাঙা (South 24 Parganas) পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথের ঘটনা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ জুন রাতে তৃণমূলের বাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রথম বার। সেই সময় মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। ভোটে মনোনয়নের পর থেকেই ভোলানাথ মণ্ডলকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এরপর গত ১১ জুলাই গণনার দিন বিষ্ণুপুরে ভোটের গণনায় হেরে যান। আর তার পরেই গণনা কেন্দ্র থেকে বেরনোর সময় বিকেলে তাঁকে ঘিরে ধরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। এবারও মাথায় আবার আঘাত পান তিনি। এরপর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি শিরাকোলে গিয়ে উঠেছিলেন ভোলানাথ। কিন্তু আজ ভোরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আজ বেলা বারোটা নাগাদ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ভোলানাথ মণ্ডলের। মৃত্যুর পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।

    বিজেপির বক্তব্য

    ডায়মন্ডহারবার (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি দীপক হালদার বলেন, তৃণমূলের সন্ত্রাসে সারা রাজ্য উত্তাল। কেবল মাত্র বিজেপি করা এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য খুন করা হয় ভোলানাথ মণ্ডলকে। মনোনয়নের পর থেকেই তাঁকে দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল। অবশেষে খুন হতে হল তাঁকে। এই মৃত্যুর দায় রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। অপর দিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হত্যার দায় পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: কালিয়াচকে লিচু বাগানে বোমা তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত ১, আহত ২

    Malda: কালিয়াচকে লিচু বাগানে বোমা তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত ১, আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়ে মৃত এক এবং আহত দুই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচকের খাসচাঁদপুরের একটি লিচু বাগানে। জানা গেছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম মুকলেসুর রহমান। বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার ঘেরা ভগবানপুরের বাসিন্দা এই ব্যক্তি। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য। বাকিদের নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কয়েকজন নির্জন স্থানে বোমা বাঁধছিল। এমন সময় আচমকাই বোমা বিস্ফোরণে গোটা এলাকা কেঁপে উঠে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে আহতরা। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরেই মারা যায় মুকলেসুর রহমান। এরপর বাকি আহতরা তাকে ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে জানা যায়।

    পুলিশের ভূমিকা

    বিস্ফোরণের ঘটনার খবর পুলিশের কাছে গেলে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখনও পর্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও উপকরণ। পুলিশ ইতিমধ্যেই সেগুলোর নমুনা সংগ্রহ করেছে। এর পরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু হয়েছে এলাকায়।

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কালিয়াচক ব্লক কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বাড়ির কাছে এক লিচু বাগানে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হয় এক ব্যক্তি। এই বোমা এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্যই বানাচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করার কাজই করছে রাজ্যের শাসক দল। তাই বলব প্রশাসন যেন এলাকায় টহলদারি নিয়মিত করে। তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণের এই ঘটনার পেছনে যারা আছে সেই দুষ্কৃতীদেরকে অবিলম্বে পুলিশ যেন গ্রেফতার করে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূলের সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোন‌ও সম্পর্ক নেই, কংগ্রেসের সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা চাই পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে এবার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ছাপ মারা ব্যালট!

    Panchayat Election 2023: দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে এবার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ছাপ মারা ব্যালট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার ব্যালট উদ্ধার কুমারগঞ্জে। শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর ব্লকের কুমারগঞ্জের ধাদলপাড়ায় বেশ কিছু ব্যালট (Panchayat Election 2023) দেখতে পাওয়া গেলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিন কুমারগঞ্জের বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্রে (ডাম্পিং গ্রাউন্ড) এই ব্যালটগুলি দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ ব্যালটগুলি উদ্ধার করে।

    বিজেপির ছাপ মারা ব্যালটই (Panchayat Election 2023) বেশি

    উল্লেখ্য, কুমারগঞ্জ ব্লকের পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা হয়েছিল কুমারগঞ্জ হাই স্কুলে। গতকাল সেই গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটার দূরে আত্রেয়ী নদীর ধারে প্রায় ৪০টি ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরেই শুরু হয় চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্বরা। গতকালের ব্যালট উদ্ধারকে নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। এমনকি বিক্ষোভে চলে পুলিশের লাঠিচার্জ। আহত হন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। সেই বিক্ষোভের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার ব্যালট (Panchayat Election 2023) উদ্ধার। যার ফলে ফের চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে কুমারগঞ্জে। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যালটগুলিতে ছাপ মারা রয়েছে। যার বেশিরভাগ বিজেপির দলীয় চিহ্নে, কিছু বামেদের এবং সামান্য কিছু তৃণমূলের দলীয় চিহ্নে ছাপ রয়েছে। যার মধ্যে বিজেপি ও সিপিএমের দলীয় চিহ্নে বেশি ছাপ রয়েছে। গণনার পরপরই একের পর এক ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় গোটা রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    একে স্থানীয় বাসিন্দা জানান,আমরা গতকাল দেখেছিলাম কুমারগঞ্জের আত্রেয়ী নদীর ধারে ব্যালট (Panchayat Election 2023) উদ্ধার হওয়া । আজ আবার কুমারগঞ্জে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে প্রায় ৫০ টি ব্যালট উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে বিজেপির দলীয় চিহ্নে, কিছু বামেদের এবং সামান্য কিছু তৃণমূলের দলীয় চিহ্নে ছাপ রয়েছে। আমরা পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ ব্যালটগুলি উদ্ধার করে।

    কী বলছেন বিজেপি ও তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, ভোটের (Panchayat Election 2023) নামে প্রহসন হয়েছে। গতকাল নদীর ধার থেকে ব্যালট উদ্ধারের পর এদিন আবার ডাম্পিং গাউন্ড থেকে ব্যালট উদ্ধার হয়েছে। এভাবেই বিজেপি প্রার্থীদের হারানো হয়েছে। ব্যালট বাইরে থাকার কথা নয়, এর জবাব প্রশাসকে দিতে হবে। এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী জানান, ব্যালটের নমুনা প্রিন্ট করে, এটা বিজেপি চক্রান্ত করে করছে। কেউ চুরি করলে কি রাস্তায় ফেলে দেবে? বিজেপি একটা নাটক তৈরি করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Body Pain: শরীরে যন্ত্রণা, হাঁটলেই পায়ে ব্যথা? পেশির যন্ত্রণা কমানোর উপায় কী? 

    Body Pain: শরীরে যন্ত্রণা, হাঁটলেই পায়ে ব্যথা? পেশির যন্ত্রণা কমানোর উপায় কী? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরলেই বাড়ছে নানা সমস্যা। অধিকাংশ মানুষ এখন চেয়ারে বসে ল্যাপটপে কাজ করেন। দিনের বেশির ভাগ সময় বসে কাটান। তাই আরও সমস্যা বাড়ছে। তার মধ্যে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে পেশির সমস্যা (Body Pain)। হাত-পায়ে যন্ত্রণা, কিছুক্ষণ হাঁটার পরেই পায়ে ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া কিংবা ভারী কিছু তুলতে হলে কোমর বা হাতের পেশিতে খিঁচুনি অনুভব হওয়ার মতো সমস্যা বাড়ছে। তাই জীবন যাপনে বদল এনে পেশির সমস্যার সমাধান জরুরি, জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    কোন কোন খাবারে পেশি মজবুত হবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পুষ্টিকর এবং পরিমিত খাবার জীবন শক্তি বাড়াতে সব চেয়ে বেশি সাহায্য করে। তাই পেশির দুর্বলতা কাটাতে নজরে থাকুক খাদ্যাভ্যাসে। 
    পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন রয়েছে এমন খাবার তালিকায় থাকলে তবেই পেশির যন্ত্রণা (Body Pain) কমবে। পেশি মজবুত হবে। তাই তাঁরা আটার রুটি, বাজরা, যবের মতো দানাশস্যের যে কোনও রকম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ এই ধরনের খাবারে কার্বোহাইড্রেট থাকে। আবার এগুলোতে স্থূলতার সমস্যাও হয় না। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট আবার স্থূলতার সমস্যা তৈরি করে। তাই সমতা আনতে যব, ভূট্টা, বাজরার মতো দানাশস্যের তৈরি রুটি, পাউরুটি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    তাছাড়া নিয়মিত তরমুজ, আপেলের মতো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। পেশি মজবুত করতে এই দুই ফল বিশেষ সাহায্য করে। 
    নিয়মিত ডিমের কুসুম খাওয়া জরুরি। ডিমের কুসুমে থাকে একাধিক প্রোটিন ও ভিটামিনের উপাদান। এগুলো পেশিকে মজবুত করে। তাছাড়া মাংস বিশেষত চিকেন স্ট্র্যুর মতো খাবার পেশির জন্য বিশেষ উপকারী। তবে, চর্বিজাতীয় মাংস বা মাছ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাতে পেশি মজবুত হলেও কোলেস্টেরল, রক্তচাপ সহ একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে, নিয়মিত সোয়াবিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ, সোয়াবিনে থাকে পর্যাপ্ত প্রোটিন। কিন্তু তাতে কোলেস্টেরল বা স্থূলতার সমস্যা হয় না। তাই সবদিক থেকেই উপকার পাওয়া যায়।

    পেশির যন্ত্রণা (Body Pain) কমানোর উপায় কী? 

    পেশি দুর্বল হলেই হাতে-পায়ের যন্ত্রণা হয়। এমনকি পেশির সমস্যার জন্য কোমরেও নানান সমস্যা হয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকলেও ব্যথা হয়। তাই পেশির যন্ত্রণা কমানো জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর পেশির যন্ত্রণা (Body Pain) কমাতে মূল হাতিয়ার নিয়মিত ব্যায়াম। এমনটাই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছে, নিয়মিত হাত ও পায়ের কসরত জরুরি। অন্তত দিনে আধঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে। তবেই পেশি সচল থাকবে। পেশি যত সচল থাকবে, তত খিঁচুনি বা অন্যান্য সমস্যা কম হবে। তাছাড়া নিয়মিত হাঁটতে হবে। দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটলে পেশির যন্ত্রণার উপশম হবে। পাশপাশি, যাদের একটানা চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাঁরা অন্তত ঘণ্টাখানেক কাজ করার পরে, মিনিট দশেক হাঁটা চলা করেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। এক রকম ভাবে টানা বসে থাকলে, পেশির সমস্যা তৈরি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Violence: লাঠি, বাঁশ নিয়ে অতর্কিত হামলা, সংঘর্ষ, মারধর, উত্তপ্ত গোঘাট, গলসি, খেজুরি

    Panchayat Violence: লাঠি, বাঁশ নিয়ে অতর্কিত হামলা, সংঘর্ষ, মারধর, উত্তপ্ত গোঘাট, গলসি, খেজুরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট শেষ, গণনাও শেষ। বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোট, সন্ত্রাস চালিয়ে তৃণমূল রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছে। কিন্তু শাসক দলের রক্তচক্ষু শান্ত হয়নি। বিরোধীদের উপর একের পর এক হামলা হয়েই চলেছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িছাড়া করার ঘটনাও (Panchayat Violence) ঘটেছে হাওড়া জেলার আমতায়। শুক্রবার ফের একাধিক জায়গায় হামলা এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।

    ফের ভোট পরবর্তী হিংসা (Panchayat Violence) হুগলির গোঘাটে

    বিজেপি ও তৃণমুল সংঘর্ষে উত্তেজনা গোঘাটের সন্তা এলাকায়। ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই চাপা উত্তেজনা তৈরি হয় গোঘাটের সন্তা এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, গতকাল রাতে হঠাৎ করে তৃণমুলের দলবল লাঠি, বাঁশ নিয়ে গ্রামে ঢুকে অতর্কিত হামলা (Panchayat Violence) চালায়। গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাদের মধ্যে দু’জনকে রাতেই গোঘাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় গোঘাট থানার পুলিশ। আটক করা হয় ৮ জনকে। রাতের পর শুক্রবার সকালেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে ওই এলাকায়। যদিও এলাকায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল ও মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, গোঘাটের বিজেপি বিধায়কের উস্কানিতে তৃণমূলের উপর চড়াও হয় বিজেপির লোকজন।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত (Panchayat Violence) গলসি

    এদিন বেলা ১১ টা নাগাদ আচমকা শাসক দলের লোকেরা সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থকদের উপরে চড়াও (Panchayat Violence) হয় বলে অভিযোগ। এরপরই এক মহিলা সহ চার সিপিএম সমর্থকের উপর হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি ঘটনায় তৃণমূলের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জাহাঙ্গীর সেখকে ছুরি চালানোর অভিযোগ উঠেছে সিপিআইএম সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গলসি ১ নম্বর ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের করকডাল গ্রামে।  ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে চারজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের বর্ধমানে স্থানান্তর করা হয়।

    খেজুরিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, বাড়ি ভাঙচুর (Panchayat Violence) 

    ভোটের ফল ঘোষণার পরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে (Panchayat Violence) উত্তপ্ত খেজুরি। আহত দুপক্ষের বেশ কয়েক জন। খেজুরি দুই ব্লকের বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দেখালি গ্রামের ১৬১ নম্বর মহামায়া বুথের ঘটনা। তৃণমূলের অভিযোগ, এই বুথে তৃণমূল জয় লাভ করায় তাদের কর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, এই বুথে তৃণমূল কংগ্রেস জেতার ফলে তাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তিও রয়েছে। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশি টহলও চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: প্রবল বর্ষণে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত, জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা

    North Bengal: প্রবল বর্ষণে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত, জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে তেমন বৃষ্টি না হলেও উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতে বেহাল সাধারণ জনজীবন। গোটা উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলে চাষের জমি, বাড়িঘর প্লাবিত। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিঙে আগামী দুই থেকে তিনদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। পাহাড় থেকে সমতল, উত্তরের বেশ কিছু  জেলায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।

    কোচবিহার

    কোচবিহারের (North Bengal) তোর্সা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জলে প্লাবনের সৃষ্টি হয়েছে। তুফানগঞ্জ, বালাভূত অঞ্চলর অনেক মানুষের বাড়িঘর অধিক বৃষ্টিপাতে জলামগ্ন হয়ে পড়েছে। মেখলিগঞ্জে ক্ষেতের জমি, সৌরসেচ প্রকল্প, বৈদ্যুতিক ল্যাম্প ঝাউকুঠি নদীর জলে ডুবে গেছে।

    আলিপুরদুয়ার

    আলিপুরদুয়ারের (North Bengal) মেচপাড়া এলাকয় জলমগ্ন হয়ে আটকে পড়েছেন অনেক মানুষ। উদ্ধার কাজের জন্য সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, বায়ুসেনা একযোগে কাজ শুরু করেছে। বাঙরি নদীর জল ঢুকে ভেসে গেছে অঙ্গনঅওাড়ির এক কেন্দ্র। বৃষ্টির জলের স্তর এবং স্রোত এতটাই প্রবল ছিল যে লালো নাগাসিয়া নামক এক বৃদ্ধার রাস্তা পার হতে গিয়ে মৃত্যু ঘটেছে বলে জানা গেছে।

    জলপাইগুড়ি

    জলপাইগুড়ির (North Bengal) বানারহাটে সবথেকে অধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়াও মালবাজার, হাসিমারায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়। অপর দিকে তিস্তা, জলঢাকা, ডায়না নদীর জল বিপদ সঙ্কেতের উপর দিয়ে বইছে। অধিকাংশ নদীর জল ঢুকে পড়ছে আশেপাশের গ্রামে। জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য শুকনো খাবার এবং রান্না করে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্গতদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কার্যত অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।

    পাশাপাশি পাহাড় অঞ্চলের ভূটান, সিকিম, দার্জিলিং (North Bengal) সর্বত্র ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। শিলিগুড়ি পুরনিগমের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে গেছে। ফুলেশ্বরী, জোড়াপানি, সাহু নদীতে জলের স্তর অনেক বেড়ে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই বর্ষণ আগামী আরও ২ দিন হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Naushad Siddiqui: ভাঙড়ের পথে নওশাদকে আটকাল পুলিশ! গাড়িতেই বসে আইএসএফ বিধায়ক

    Naushad Siddiqui: ভাঙড়ের পথে নওশাদকে আটকাল পুলিশ! গাড়িতেই বসে আইএসএফ বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন পর্ব থেকেই ভাঙড় খবরের শিরোনামে। মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি, তরতাজা প্রাণ লুটিয়ে পড়া, এসব কিছুই দেখেছে ভাঙড়বাসী। ভোট পর্বেও ছড়ায় ব্যাপক হিংসা। এবার ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত ভাঙড়ে যেতে বাধা দেওয়া হল সেখানকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভাঙড় যাওয়ার পথে নিউটাউনের হাতিশালার কাছে নওশাদের (Naushad Siddiqui) গাড়ি আটকায় কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ গাড়ি আটকানো হয় আইএসএফ বিধায়কের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও গাড়িতে বসে রয়েছেন নওশাদ। প্রশাসন সূত্রে খবর, ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই ওই এলাকায় নওশাদকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

    কী বলছেন আইএসএফ বিধায়ক?

    স্থানীয় আইন প্রণেতা হওয়া সত্ত্বেও কেন ভাঙড়ে তিনি প্রবেশ করতে পারবেন না? এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নওশাদ (Naushad Siddiqui)। তাঁর আরও অভিযোগ, শওকত মোল্লা কীভাবে বহিরাগত হয়ে ভাঙড়ে ঢুকে প্রেস কনফারেন্স করছে! এদিন এক পুলিশ আধিকারিককে নওশাদ বলেন, ‘‘আমি ভাঙড়ের জনপ্রতিনিধি। আমার পরিচয়পত্র রয়েছে। তা হলে কেন যেতে পারব না?’’ পাল্টা পুলিশের আধিকারিক বলেন, ‘‘১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই সেখানে যাওয়ার তাঁর অনুমতি নেই।’’ পরে সংবাদমাধ্যমে নওশাদ বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ আমি বিধায়ক, আর আমায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এভাবে আমায় আটকে রাখা যাবে না।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘কতক্ষণ আটকে রাখে দেখি।’’ নওশাদ (Naushad Siddiqui) আরও বলেন, ‘‘আমি শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরো ভাঙড়ে তল্লাশি চালানো হোক। নির্বাচন কমিশন সক্রিয় থাকলে এত মৃত্যু দেখতে হত না। মৃতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতাম। মানুষকে বলব, কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না।’’

    কী বলছে তৃণমূল?

    ভাঙড়ের অশান্তিতে নাম উঠে এসেছে বারবার ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার। নওশাদের ভাঙড় না যেতে পারা সম্পর্কে শওকত বলেন, ‘‘১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আমরা কেউ ঢুকতে পারছি না। আবার উস্কানি দেওয়ার জন্য যাচ্ছেন নওশাদ (Naushad Siddiqui)? আবার খুনোখুনি চাইছেন? মায়ের কোল খালি করার চেষ্টা করছেন।’’ প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পর্ব, ভোটের পর মঙ্গলবার গণনার দিনও প্রাণহানি হয়েছে ভাঙড়ে। সেখানকার কাঁঠালিয়ায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। তাঁদের মধ্যে দু’জন আইএসএফ কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অন্য একজন এক জন গ্রামবাসী বলে জানা গিয়েছে। আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তও চেয়েছেন এদিন। গণনার দিনের পর বৃহস্পতিবারও অশান্তি ছড়ায় ভাঙড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘বামপন্থী সরকারের অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা’’, তোপ রবিশঙ্কর প্রসাদের

    BJP: ‘‘বামপন্থী সরকারের অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা’’, তোপ রবিশঙ্কর প্রসাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বামপন্থী সরকারের অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা, কোচবিহারে একথা বললেন বিজেপি (BJP) নেতা রবিশঙ্গর প্রসাদ। পঞ্চায়েত ভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে  সারা রাজ্য। শুধুমাত্র ভোটের দিনই সন্ত্রাসের বলি হয়েছে ১৭টি তরতাজা প্রাণ। ছাপ্পা, বুথ দখল, গুলি, বোমায় রক্তাক্ত হয়েছে বাংবলা, ভুলুণ্ঠিত হয়েছে গণতন্ত্র। নিন্দায় সরব হয়েছে সারা দেশ। এই আবহে রাজ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। হাইকোর্টের নির্দেশকে কমিশন কতটা নির্বাচনের সময় কার্যকর করেছে, তা নিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কমিশনের রিপোর্টে অসন্তোষ ব্যক্ত করছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্বাচনে ব্যালট লুট করা এবং রাস্তায় পড়ে থাকার দিক সহ সমগ্র অশান্তি ঠেকাতে কমিশন কতটা ব্যর্থ ছিল, সে কথাও স্পষ্ট করেছেন। তাই বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় স্তর থেকে প্রাক্তন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে চার সাংসদের দল নির্বাচনে হিংসা কবলিত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পরিদর্শন করেন, এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত পরিবারে সঙ্গে দেখা করেন। এরপর শুক্রবার এই টিম উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে যায়। সন্ত্রাস কবলিত এলাকা ঘুরে দেখে। এই টিম বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার কাছে নির্বাচন এবং হিংসার উপর বিশেষ রিপোর্ট জমা করবে।

    কোচবিহারে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম 

    বিজেপির (BJP) ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম কোচবিহারের দিনহাটা, ফলিমারী সহ বিভিন্ন প্রান্তে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার হয়েছে তার সমস্ত জায়গা পরিদর্শন করলেন শুক্রবার। কোচবিহারের বিভিন্ন প্রান্ত পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে টিমের সদস্যরা বলেন, ‘‘যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই প্রশ্ন জাগছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা মাটি মানুষের সরকারে কোথায় গেলো। এখানে তো জঙ্গল রাজ চলছে। যেখানেই যাচ্ছি সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচারের ঘটনা চোখে পড়েছে।’’

    আগামীর নির্বাচনে থাকবে না তৃণমূল

    বিজেপি (BJP) নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘‘মমতাদি আপনি তো বামপন্থীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে এখানে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সাধারণ মানুষ আপনাকে ভরসা করেছিল। এখন দেখা যাচ্ছে আপনি বামপন্থীদের অত্যাচারের সীমাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। আপনাদের বিরুদ্ধে যে ভোট দেবে, তাদের ওপর গুলি করবেন ? বাচ্চাদের অপহরণ করবার হুমকি দেবেন এটাই কি আপনার শাসন ব্যবস্থা?’’ এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ আরও অভিযোগ করেন, গর্ভবতী মহিলাদেরও মারধর করেছে এরা। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘আগামীর নির্বাচনে এই সরকার আর থাকবে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Fever: বৃষ্টি শুরু হতে না হতেই বারাসতে ডেঙ্গির বলি ১, পুরসভার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ

    Dengue Fever: বৃষ্টি শুরু হতে না হতেই বারাসতে ডেঙ্গির বলি ১, পুরসভার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বৃষ্টি শুরু হতে না হতেই ডেঙ্গিতে (Dengue Fever) মৃত্যু হল বারাসত পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রমোদ নগরের বাসিন্দা বছর ১৩র সায়নিকা হালদারের। গত ৩-৪ দিন ধরে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সায়নিকা। প্রথমে তাকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত বুধবার মধ্য রাতে আরজিকর হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বছর ১৩র সায়নিকা হালদারের। পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিলরকে বলেও কোন কাজ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই ড্রেনের অবস্থা খুব খারাপ, জল পাশ হয় না। আর তার ফলে বার বারই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে গোটা এলাকায়।

    পরিবার কী অভিযোগ করল (Dengue Fever)?

    পরিবারের আরও অভিযোগ, ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু কথা দিলেও সে কথা কোনওদিনই পূরণ করেনি কাউন্সিলর। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, কয়েকবার কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছে এই বিষয় নিয়ে। কেননা যেভাবে ওয়ার্ডে ময়লা জমে থাকে, কোনওদিনই তা পরিষ্কার করা হয় না। তাই এবার পরিবারের লোকজন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম যেই আসুক না কেন কারোর কোন কথা শোনা হবে না। কেননা ভোট আসলেই এদের দেখা পাওয়া যায়। আর ভোট চলে গেলে এরা কোনও কাজই করে না।

    কী জবাব দিলেন কাউন্সিলর (Dengue Fever)?

    এ বিষয়ে কাউন্সিলর জানান, ওয়ার্ড সব রকম ভাবে পরিষ্কার করা হয়। কোথাও কোন জমা জল থাকলে তা নির্মল বন্ধু ও নির্মল সাথী যাঁরা আছেন, তাঁরা এসে রোজই পরিষ্কার করে যান। পাশাপাশি কাউন্সিলর আরও বলেন, ওই বাচ্চাটির মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তবে ওয়ার্ডে যাতে আর কেউ আক্রান্ত না হয়, সে বিষয়টি এবার আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে কথা দিয়েছেন তিনি। তবে বাস্তব চিত্রটা কিন্তু অন্যরকম ওই ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। বিভিন্ন ড্রেনে কিন্তু জল আটকে রয়েছে এবং তার থেকেই যে ডেঙ্গির (Dengue Fever) বাড়বাড়ন্ত, তা কিন্তু এক প্রকার বলাই চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share