Tag: Madhyom

Madhyom

  • Hooghly: পেটে লাথি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল খানাকুল

    Hooghly: পেটে লাথি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল খানাকুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) তৃণমূলের বিদায়ী প্রধানের সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারা হল গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে। ভাঙচুর করা হল বাড়ি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের বিদায়ী প্রধানের পরিবারের। কিন্তু ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেন তিনি। গোষ্ঠী কোন্দলে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে জেলায়।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Hooghly)?  

    ঘটনা ঘটেছে খানাকুলের (Hooghly) ঘোষপুর এলাকায়। আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা মহিলার নাম সুমাইয়া পারভিন। বর্তমানে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, রবিবার ঘোষপুর এলাকায় খানাকুল ১ নং তৃণমূল ব্লক সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বাইক মিছিল করা হয়। সেই মিছিলেই ওই এলাকার বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান হায়দার আলিকে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু তিনি সেই মিছিলে যোগ না দেওয়ায় হঠাৎ হামলা চালানো হয় তাঁর বাড়িতে। সোমবার বাড়িতে ঢুকেই ব্লক সভাপতি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালায় এবং বিদায়ী প্রধানের সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকেও মারধর করে। শুধু তাই নয়, তাঁকে লাথি মারা হয় বলেও অভিযোগ। পুরো ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূলেরই ব্লক সভাপতি এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ছেলের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে খানাকুল থানায়। যদিও ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী।

    আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা কী বললেন?

    আক্রান্ত সুমাইয়া পারভিন (Hooghly) বলেন, আমার স্বামী তৃণমূল করে, আর যারা এসেছিল তারাও তৃণমূলই করে। গতকাল একটা বাইক মিছিলে না যোগদান করার জন্য আমার বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে। শেখ আক্তার, শেখ আক্রম, শেখ আরাবুলরা এসে আক্রমণ করে। তিনি আরও বলেন, আমাকে প্রচুর মারধর করে, লাথি মারে। আমার স্বামী এবং মেয়েকে মারধর করে। ঘটনায় ইলিয়াস এবং ওয়াসিম আক্রামের ছেলেরা এসে আমাকে লাথি মারে এবং এরপর মাটিতে ফেলে মারধর করে। আমার পেটে সাত মাসের বাচ্চা, আমি খুব অসুস্থ বোধ করছি। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি চান বলে দাবি করেছেন সুমাইয়া। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gilgit Baltistan: ট্যুইটারে গিলগিট-বালতিস্তানকে ভারতের অংশ দেখানো হচ্ছে, দাবি বাসিন্দাদের

    Gilgit Baltistan: ট্যুইটারে গিলগিট-বালতিস্তানকে ভারতের অংশ দেখানো হচ্ছে, দাবি বাসিন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গিলগিট-বালতিস্তানকে (Gilgit Baltistan) ভারতের অংশ হিসাবে দেখাচ্ছে ইলন মাস্কের ট্যুইটার। যা নিয়ে রীতিমতো প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘ডন’-এ। পাকিস্তানের ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, যদি ওই অঞ্চলের কোনও নাগরিক ট্যুইটারে লগ-ইন করছেন তখন তাঁর লোকেশন জম্মু ও কাশ্মীর দেখানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচনের দিনও বোমাবাজি, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বলছেন গিলগিটের বাসিন্দারা?

    গিলগিটের (Gilgit Baltistan) রহিমবাদের বাসিন্দা জনৈক ইয়াসির হুসেন বলেন, ‘‘আমি গিলগিটের বাসিন্দা, ট্যুইটারে কোনও রকম ট্যুইট দেখা যাচ্ছেনা, উপরন্তু গিলগিটকে ভারতীয় অংশ বিসাবে দেখানো হচ্ছে।’’ তার দাবি, পাকিস্তান সরকারের অবিলম্বে সক্রিয় হওয়া দরকার এবং গোটা বিষয়টি ট্যুইটারকে জানানো উচিত। বালুচিস্তানের অপর এক বাসিন্দা করিম সাহ নিজারিরও একই বক্তব্য। তাঁর মতে, ‘‘যখনই ট্যুইটারে লোকেশন সেট করতে যাচ্ছি তখন পাকিস্তানের কোনও অপশন দেখা যাচ্ছেনা, শুধুই জম্মু ও কাশ্মীর দেখাচ্ছে।’’ তাঁর আরও দাবি, তিনি আদপে ইয়াসিন ভ্যালির বাসিন্দা হলেও দেখানো হচ্ছে তিনি ভারতের বাসিন্দা। পাকিস্তানের এক প্রযুক্তিবিদের মতে, এটা আসলে টেকনিক্যাল কোনও সমস্যার কারণেই হচ্ছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের টেলিকম সংস্থা জানাচ্ছে, এই ঘটনার তদন্ত হয়েছে এবং তেমন কিছুই ধরা পড়েনি।

    চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতে বন্ধ হয় পাকিস্তান সরকারের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের মার্চ মাসেই ভারতে বন্ধ হয়েছে পাকিস্তান সরকারের ট্যুইট অ্যাকাউন্ট। এখন কোনও ভারতীয় ব্যক্তি যদি ট্যুইটারে পাকিস্তান সরকারের অ্যাকাউন্ট সার্চ করেন, তাহলে স্ক্রিনে ভেসে উঠছে – ‘অ্যাকাউন্ট উইথহেল্ড’ বার্তাটি।  এর আগে ২০২২ সালের জুলাই ও অক্টোবর মাসে পাক সরকারের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়। প্রসঙ্গত বলা দরকার, ট্যুইটারের গাইডলাইন অনুযায়ী, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বা সরকারের তরফে কোনও আইনি পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে কোনও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে টুইটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: জেলাশাসকের দফতরের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির, উত্তাল বীরভূম

    Birbhum: জেলাশাসকের দফতরের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির, উত্তাল বীরভূম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুনঃনির্বাচনের দিনই বীরভূম (Birbhum) জেলাশাসকের দফতরের সামনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল। ভোট লুঠ-সন্ত্রাস-ছাপ্পা-হত্যালীলার প্রতিবাদে আগুন জ্বালিয়ে বীরভূম পুলিশ সুপারের উদ্দেশে লজ্জাজনক স্লোগান উঠল “হায়-হায়”। এভাবেই প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাল বীরভূম বিজেপি। নির্বাচনে হিংসার বিরুদ্ধে বিজেপির কর্মীরা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে খালি গায়ে মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখান। ৮ ই জুলাই রাজ্যের জেলায় জেলায় যে সন্ত্রাস হয়ছে, তার জন্য একমাত্র দায়ী নির্বাচন কমিশন। কমিশনকে এই হিংসার দায়িত্ব নিতে হবে বলে দাবি করে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে খুনী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে খুনীর প্রধান সঞ্চালক বলে দাবি করা হয়।

    বিজেপি জেলা সভাপতির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Birbhum) সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ১৪ টি বুথে রিপোলিং হচ্ছে, সেখানে তৃণমূল নিশ্চিত হারছে বলে! অন্যান্য জায়গায় ১০০-১৫০ টি বুথে রিপোলিং হচ্ছে। কিন্তু বীরভূমে হচ্ছে না। এর কারণ হল তৃণমূল হেরে যাবে ভোটে। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের নামে একটা প্রহসন চলছে। আমরা বীরভূমবাসীরা সেই প্রহসনের ভাগীদার। বীরভূমের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। দুবরাজপুরে বিজেপির ১০০ জনকে সরকারি কাজে বাধার অজুহাত দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় এলাকায় মহিলা, শিশুদের উপর তৃণমূলের গুন্ডারা সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ময়নাডাল গ্রামের ভোট পড়ার সংখ্যা শূন্য দেখিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করছে কমিশন। এই বুথের মহিলা-পুরুষ শূন্য করে নির্বাচন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রাজ্য জুড়ে যেভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করা হল। এই আগুন ছোট, এরপর বড় আগুন জ্বলবে। অভিনব ভাবে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে প্রশাস যেমন উলঙ্গ হয়েছে ঠিক সেইভাবেই বিজেপি কর্মীরা গায়ের জামা খুলে প্রতীকী প্রতিবাদ করলেন। রাজ্যের ভোট জুড়ে সকল হিংসার দায়িত্ব এই প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। আজ নির্বাচনের নামে যে প্রহসন চলছে তাকে অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। 

    আক্রান্ত সিপিএম প্রার্থী

    হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভয়ে গৃহবন্দি হয়ে বসে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী। এরকমই ঘটনার দেখা মিলল বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে। সেখানেও হচ্ছে উপ নির্বাচন। সেখানকার সিপিএমের মহিলা প্রার্থীর অভিযোগ, রবিবার রাতে এসে হুমকি দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাঁর স্বামীর হাতে শনিবার চাকু মেরেছে গুন্ডারা। ভোটকেন্দ্রে গেলে, মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। এর জেরে মহিলা প্রার্থী ও তাঁর স্বামী যেতে পারছেন না ভোটকেন্দ্রে। যদিও এ নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেননি সিপিএম প্রার্থী। তাঁর ভয়, অভিযোগ করলে ভোটের পর ঘরবাড়ি আর আস্ত থাকবে না! তাঁদেরও প্রাণ সংশয়ের মুখে পড়তে হবে। যদিও হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছন স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী।

    তৃণমূল প্রার্থী সঞ্জয় দাস বলেছেন, “সিপিএম প্রার্থীর সঙ্গে লোক নেই। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। খুব শান্তিতে ভোট হচ্ছে এখানে। কোনও অসুবিধা হয়নি।” এদিকে ময়ূরেশ্বরের ভোটাররাও ভয় দেখানোর অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে সেন্ট্রাল ফোর্স ওই এলাকায় পৌঁছেছে এবং তারপরই ভোটাররাও ভোট দিতে বের হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুনর্নির্বাচনেও ভোটে বাধা তৃণমূলের, রাস্তা অবরোধ, বাইক ভাঙচুর করল উত্তেজিত জনতা

    TMC: পুনর্নির্বাচনেও ভোটে বাধা তৃণমূলের, রাস্তা অবরোধ, বাইক ভাঙচুর করল উত্তেজিত জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুনর্নির্বাচনের দিনেও অশান্তি। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার বার্নিয়ায়। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। তাঁরা এদিন জোটবদ্ধ হয়ে শ্রীকৃষ্ণপুরে তেহট্ট ঘাট থেকে দেবগ্রাম রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ৮ জুলাই তৃণমূলের (TMC) সন্ত্রাসের কারণে তেহট্টের বার্নিয়া এলাকায় বহু মানুষ ভোট দিতে পারেননি। এরপর এই এলাকায় ফের ভোট করার দাবি জানানো হয়। সেই মতো প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এদিন সকালে ভোট দিতে গেলে তাদের ভয় দেখিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এরপর কয়েকজন গ্রামে ঢুকে গ্রামবাসীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। এমনিতেই এর আগে ভোট দিতে না পারার রাগ ছিল। তৃণমূলের ওই দুষ্কৃতীদের সামনে পেয়ে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করেন। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ করলে তৃণমূলের এক দুষ্কৃতীকে তাঁরা ধরে ফেলেন। যদিও সে বাইক রেখে পালিয়ে যায়। এরপরই উত্তেজিত জনতা তার বাইক ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরে, পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে বোঝানোর পর অবরোধ ওঠে। ভোটদানের ব্যবস্থা হয়।

    কী বললেন আন্দোলনকারীরা?

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, এর আগেও আমরা তৃণমূলের (TMC)  সন্ত্রাসের কারণে ভোট দিতে পারিনি। আমাদের দাবি মেনে ফের এলাকায় ভোট হচ্ছে। এদিনও তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাসের চেষ্টা করে। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC)  কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, ওই এলাকায় সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছিল। কিন্তু বিরোধীরা একজোট হয়ে সন্ত্রাস করার চেষ্টা করেছে। আমাদের দলীয় কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমরা চাই, সুস্থ এবং শান্তিতে নির্বাচন হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistan Movement: তেরঙ্গায় ছাইল আকাশ! কানাডার দূতাবাসে খালিস্তানিদের আটকাল প্রবাসীরা

    Khalistan Movement: তেরঙ্গায় ছাইল আকাশ! কানাডার দূতাবাসে খালিস্তানিদের আটকাল প্রবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে পালটা পথে নামল প্রবাসী ভারতীদের একাংশ। শনিবার টরন্টোয় ভারতীয় কনসুলেটের (Indian Consulate) সামনে জাতীয় পতাকা হাতে চলে আসেন তাঁরা। নেতার খুনে সুবিচারের দাবিতে কানাডার (Canada) ভারতীয় দূতাবাসে বিক্ষোভের পরিকল্পনা ছিল খলিস্তানিদের। কিন্তু বিক্ষোভ শুরু হওয়ার আগেই থামিয়ে দিলেন সেদেশের ভারতীয়রা। তাঁদের তেরঙ্গার ভিড়ে হারিয়ে গেল খলিস্তানিদের (Khalistan Movement) হলুদ পতাকা।

    প্রবাসী ভারতীয়দের প্রতিরোধ

    বেশ কয়েকদিন আগেই খলিস্তানিদের তরফে ঘোষণা করা হয়, ব্রিটেনে নিহত নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুর সুবিচার চান তাঁরা। এই খুনের নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে বলেই দাবি খলিস্তানিদের। সেই কারণেই ভারতীয় দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচির পরিকল্পনা করে তারা।

    উল্লেখ্য, খালিস্তানপন্থীদের এবারের মিছিল ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা থাকায় কনসুলেটের সামনে বাহিনী মোতায়েন করেছিল কানাডা সরকার। তবে এবার জাতীয় পতাকা হাতে খলিস্তানিদের রুখে দিতে প্রবাসী ভারতীয়েরা নিজেরাই এগিয়ে আসেন। তেরঙ্গা উড়িয়ে একেবারে খলিস্তানিদের মুখোমুখি হন তাঁরা। রাস্তার দু’দিকে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। খালিস্তানি সমর্থক ও প্রবাসী ভারতীয়রা মুখোমুখি চলে এলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারন করে। ভারতীয়দের পোস্টারে লেখা ছিল, “খলিস্তানিরা প্রকৃত শিখ নন।” ভারতীয় দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’, ‘লং লিভ ইন্ডিয়া’র মতো স্লোগানও দেন ভারতীয়রা।

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কানাডা সব সময় পদক্ষেপ করেছে”, বললেন ট্রুডো

    ক্ষুব্ধ ভারত

    বিদেশের মাটিতে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় খলিস্তানিদের ভারত বিরোধী তৎপরতা (Khalistani activity) দিন দিন বাড়ছে। বিগত কয়েক মাস যাবৎ তা ক্রমে হিংসাত্মক ঘটনার রূপ নিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারত (India) সরকার সংশ্লিষ্ট দেশগুলির কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু গত সপ্তাহে ওই চার দেশে খলিস্তানিরা অবাধে ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় থেকে আগাম ওই চার দেশকে বলা হয়েছিল, খলিস্তানিদের স্বাধীনতা মিছিলের যেন অনুমতি না দেওয়া হয়। কারণ তা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার পরিপন্থী। বিদেশের মাটিতে খালিস্তানিদের তাণ্ডব নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে নয়াদিল্লি। অন্যদিকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IIT Madras: তানজানিয়ার জাঞ্জিবারে শুরু হচ্ছে আইআইটি মাদ্রাজের নতুন ক্যাম্পাস

    IIT Madras: তানজানিয়ার জাঞ্জিবারে শুরু হচ্ছে আইআইটি মাদ্রাজের নতুন ক্যাম্পাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন পালক আইআইটি মাদ্রাজের (IIT Madras) মুকুটে। এবার বিদেশের মাটিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্যাম্পাস তৈরি করতে চলেছে আইআইটি মাদ্রাজ (IIT Madras)। সোমবার সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন আইআইটি মাদ্রাজের ডিরেক্টর অধ্যাপক কামাকোটি। জানা গিয়েছে, তানজানিয়ার জাঞ্জিবার হতে চলেছে আইআইটি মাদ্রাজের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্যাম্পাস।

    কী বললেন আইআইটির ডিরেক্টর?

    এদিন সংবাদ মাধ্যমকে আইআইটির ডিরেক্টর বলেন, ‘‘এটা আইআইটির ইতিহাসে অনেক বড় পাওনা যে তানজানিয়াতে আমরা নতুন ক্যাম্পাস শুরু করতে চলেছি।’’ কোন কোন বিষয়ে পাঠ সেখানে ছাত্ররা নিতে পারবেন? এই প্রশ্নের জবাবে আইআইটি মাদ্রাজের ডিরেক্টর বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে দুটি বিষয়ের ওপর পড়ুয়া সেখানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি নিতে পারবেন। ডেটা সায়েন্স এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ওপর সেখানে কোর্স করানো হবে। ক্লাস শুরু হবে চলতি বছরের অক্টোবরে।’’

    গত বুধবারই এবিষয়ে দুই দেশের মধ্যে মউ স্বাক্ষর হয়

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফে গত বুধবারই জানানো হয়, তানজানিয়ার আধা স্বয়ংশাসিত অঞ্চল জাঞ্জিবারে শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির নয়া ক্যাম্পাস। গত বুধবার তানজানিয়া সফরে ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে একটি মউ স্বাক্ষর করেন জাঞ্জিবারের প্রেসিডেন্ট হুসেন আলি মিনউইর। এক বিবৃতিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানায়, এই প্রথম ভারতের বাইরে জাঞ্জিবারে গড়ে উঠছে আইআইটি ক্যাম্পাস। যা আসলে ভারত এবং তানজানিয়ার দীর্ঘ সুসম্পর্কের ফল। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এই বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করবে জাঞ্জিবারের শিক্ষা মন্ত্রক এবং আইআইটি মাদ্রাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: কাঁথির বুথে নেই পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী, ভোট বয়কট ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা

    Purba Medinipur: কাঁথির বুথে নেই পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী, ভোট বয়কট ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন ব্যাপক গন্ডগোলের জেরে আজ পুনরায় ভোট ঘোষণা করা হয়েছে কাঁথি (Purba Medinipur) দেশপ্রাণ ব্লকের আমতলীয়া পশ্চিম বুথে। কিন্তু বুথে পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকায় ভোটাররা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন। মহিলারাও লাঠি-বঁটি নিয়ে প্রতিবাদ করেন। অপর দিকে এগরায় স্ট্রং রুমের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ, পুলিশকে লক্ষ্য করে চলল ইটবৃষ্টি! পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের লাঠিচার্জ। এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য। 

    কাঁথিতে (Purba Medinipur) কী ঘটল?

    ভোট কর্মী এবং পুলিশ কর্মীরা উপস্থিত হলেও বুথে হাজির হননি কোনও ভোটার। কারণ নিরাপত্তার অভাব অনুভব করছেন সাধারণ ভোটাররা। বুথে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় ভোট বয়কটের পথে হেঁটেছেন দলমত নির্বিশেষে গ্রামের মানুষজন। বঁটি-ঝাঁটা হাতে প্রতিবাদে গ্রামের রাস্তায় দেখা গেল এলাকার মহিলাদের। নির্বাচনের দিনে তীব্র উত্তেজনা এলাকায়।

    এগরায় (Purba Medinipur) কী হয়েছে?

    ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোট মিটলেও অশান্তি থামছে না। স্ট্রং রুম পাহারাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম ঘটনা ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এগরাতে। রাতের অন্ধকারে ব্যালট বাক্সে কারচুপির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ফলে এগরা দু’নম্বর ব্লকের বালিঘাই হাইস্কুলে স্ট্রং রুমের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি কর্মীরা। এখানে প্রধান অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীরা স্ট্রং রুমের মধ্যে যায়। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। স্ট্রং রুমের মধ্যে তৃণমূল ঢুকে ব্যালট বাক্সে কারচুপি করছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে স্ট্রং রুমের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের ওপর শুরু হয় ইটবর্ষণ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কার্যত রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে কেন্দ্র। ভোটের পরে ব্যালট পরিবর্তন যাতে না করতে পারে তৃণমূল, সেই জন্য এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তোলে বিজেপির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুনর্নির্বাচনের দিনও বোমাবাজি, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: পুনর্নির্বাচনের দিনও বোমাবাজি, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুনর্নির্বাচনের দিনও বোমাবাজি। সাধারণ ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২০ নম্বর বুথে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমাবাজির ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। ধৃতদের ইসলামপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরে ভোটাররা ভোট দিতে আসে।

    বোমাবাজি করে বুথে আসতে ভোটারদের বাধা দিল কারা?

    এই জেলার ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় গত ৮ জুলাই শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোট লুট, মারামারি, বোমাবাজি সহ ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে মাটিকুন্ডা- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২০ নম্বর বুথেও ভোটলুট হয় বলে অভিযোগ। বিরোধী দলগুলি এই বুথে পুনরায় নির্বাচনের দাবি তুললে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বুথে ফের ভোটের ব্যবস্থা করা হয়। তবে, সোমবার সকাল থেকেই তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় দাপাদাপি করে এবং ভোটারদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। ভোটারদের ভয় দেখাতে এলাকায় বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে অভিযোগ জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে আসেন। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    কী বললেন নির্দল প্রার্থী?

    নির্দল প্রার্থী আমিরুদ্দিন বলেন, রবিবার রাত থেকেই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল (TMC) আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছে। সোমবার সকালে এলাকায় বোমাবাজি করেছে। ফলে, ভোটাররা ব্যাপক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে, পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমরা অভিযোগ জানাই। এখন ভোট দেওয়া শুরু হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। তৃণমূল প্রার্থী আনন্দ সিংহ বলেন, কোথাও কোনও বোমাবাজি, ভয় দেখানো হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভালই ভোট হচ্ছে। তৃণমূলের নামে অকারণে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Swami Vivekananda: চারদিকে দুশ্চিন্তা, অবসাদ! স্বামীজির বাণী আজ বড়ই প্রাসঙ্গিক

    Swami Vivekananda: চারদিকে দুশ্চিন্তা, অবসাদ! স্বামীজির বাণী আজ বড়ই প্রাসঙ্গিক

    স্বামী অলোকেশানন্দ

    আজ মানুষ বড়ই অসহায়। খুব বেশিদিন হয়নি, করোনা ভাইরাস পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে চরম সঙ্কটে ফেলে দিয়েছিল। নিরাময় সম্পূর্ণ হতে না হতেই অনুরূপ ভাইরাস নতুন নতুন ভাবে এসে উপস্থিত হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যেই অনেক প্রাণ অসময়ে শেষ হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে মানুষের দুঃখ-কষ্ট লেগেই আছে। অসহায় বেকার যুবক-যুবতীরা হয় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, না হয় অবসাদগ্রস্ত। মানুষ মানুষের প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারছে না। অধিকাংশ মানুষ নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যের জন্য চিন্তাভাবনা করার তাদের সময় নেই। নিজেকে নিয়ে খুবই ব্যস্ত তারা। 

    শিক্ষিত মানুষের মধ্যে অসহায়তা ও অবসাদ চোখে পড়ার মতো

    অন্যদিকে, একদল মানুষ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজেদের স্বার্থ প্রতিফলিত করার চেষ্টা করছে। আরেক দল সৎ পথে থেকে পরিশ্রম করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সংসারের ক্ষুধা মেটাতেই ব্যস্ত। এছাড়া প্রকৃতি সময় মতো বৃষ্টি না দেওয়াতে চাষের ক্ষতি হচ্ছে। কলকারখানায় লোক অবসর নিলে নতুন নিয়োগ না থাকার ফলে বেকারত্বর বিকাশ ঘটছে। কেউ কেউ নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য খুব গরিবদের সামান্য অর্থ বা সামান্য খাদ্যদ্রব্য দিয়ে তাদের অলস করে দিচ্ছে। শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে অসহায়তা ও অবসাদ চোখে পড়ার মতো। এক কথায় সাধারণ মানুষ কাঁদছেন। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? কেউ কী বলেছেন? 

    পরিত্রাণের কথা বলে গেছেন (Swami Vivekananda), শুনছে কে?

    হ্যাঁ বলেছেন, পরিত্রাণের কথাও বলেছেন। কিন্তু শুনছে কে? বহুদিন আগেই বলে গেছেন স্বামী বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda)। কিন্তু শুনবে কে? প্রায় অধিকাংশ মানুষই নিজের ও পরিবারের জন্য রাত-দিন পরিশ্রম করছেন। কীভাবে আয় বাড়ানো যায়, তার চিন্তা। সমাজে প্রায় সকলেই জগতের ভোগ্য বস্তু, দেহসুখ নিয়েই ব্যস্ত। কিন্তু একবারও ভাবে না, যাদের জন্য আমি পরিশ্রম করছি, যা ভবিষ্যতের জন্য মজুত করছি, এই সব জিনিস কিছুই আমি ভোগ করে যেতে পারব না। আমার দেহ শেষ হবার সাথে সাথে ওই বস্তুগুলির আমার আর প্রয়োজন থাকবে না। যা সত্যিকারের প্রয়োজন তা হল, অপূর্ণতাকে পূর্ণ করা। পার্থিব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য থেকে পরমকে পাওয়া। যা স্বামীজি (Swami Vivekananda) তাঁর বাণী ও বক্তৃতায় বার বার মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।

    কী বলেছেন স্বামীজি?

    স্বামীজি (Swami Vivekananda) বলেছেন, “সমগ্র মানব জাতির আধ্যাত্মিক রূপান্তর-ইহাই ভারতীয় সাধনার মূল মন্ত্র, ভারতের চিরন্তন সঙ্গীতের মূল সুর, ভারতীয় সত্তার মেরুদণ্ড-স্বরূপ, ভারতীয়তার ভিত্তি, ভারতবর্ষের সর্বপ্রধান প্রেরণা ও বাণী। তাতার, তুর্কী, মোগল, ইংরেজ-কাহারও শাসন কালেই ভারতের জীবন সাধনা এই আদর্শ হইতে কখনও বিচ্যুত হয় নাই। বারংবার এই ভারতভূমি মূর্ছাপন্না হইয়াছিলেন। এবং বারংবার ভারতের ভগবান আত্মাভিব্যক্তির দ্বারা ইহাকে পুনরুজ্জীবিত করিয়াছেন” তিনি (Swami Vivekananda) বলছেন, “হে ভাতৃবৃন্দ, সত্যই মহিমময় ভবিষ্যৎ। প্রাচীন উপনিষদের যুগ হইতে আমরা পৃথিবীর সমক্ষে স্পর্ধাপূর্বক এই আদর্শ প্রচার করিয়াছি: ‘ন প্রজায়া ন ধনেন ত্যাগেনৈকে অমৃতত্বমানশুঃ’-সন্তান বা ধনের দ্বারা নয়, ত্যাগের দ্বারাই অমৃতত্ব লাভ হইতে পারে। জাতির পর জাতি এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হইয়াছে।”

    কিন্তু আমি বা আমরা এই বিষয়ে কি যত্নবান হয়েছি। নিজের মনে প্রশ্ন করলে উত্তর আসবে, না। তাই আজ মানুষ কাঁদছে। জগত সংসারে অনেক কিছুই পাওয়ার নয়, ভবিষ্যতের জন্য থাকার নয়। পরকালে নিয়ে যাবার মতো এই জগতে কিছু নেই। যা আছে ত হল পরম তত্ত্ব। যাকে পেলে আমি বা আমরা পূর্ণতা লাভ করব। তাকে লাভ করাই জীবনের উদ্দ্যেশ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কর্মীকে মারধর করল প্রার্থী, মুরারইতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র

    Birbhum: কর্মীকে মারধর করল প্রার্থী, মুরারইতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী আবার নির্দল প্রার্থী হয়েছেন পাশের বুথে। ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রীকে মুরারই (Birbhum) গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম রমজান আলি ও স্ত্রীর নাম রুকসানা খাতুন। তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।  

    কোথায় ঘটনা ঘটল (Birbhum)?

    ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মুরারই থানার পানিয়ারা গ্রামে। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর নাম রেজাউল দফাদার। তিনি এবার মুরারই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৭ নম্বর পানিয়ারা গ্রামের প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী শিল্পী বেগম আবার পাশের ৫৬ নম্বর বুথে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়াই করলেও রেজাউল দফাদার নিজের স্ত্রীকে জয়ী করতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল গোঁজ প্রার্থী দিয়েছেন। এই নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জমা দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। অপর দিকে তৃণমূল কর্মী রমজান আলি ৫৬ নম্বর বুথে তৃণমূলের হয়ে ভোট করাতে গিয়েছিলেন। তৃণমূলের হয়ে ভোট করাতেই রেজাউল দফাদারের রোষানলে পড়েন। দুই পক্ষের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। মূল অভিযোগ, রেজাউল দফাদার তাঁর লোকজনদের নিয়ে এসে রমজান আলির বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। মারধরে আহত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী রমজান আলি ও তাঁর স্ত্রী রুকসানা খাতুন। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে মুরারই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

    আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বক্তব্য

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী রমজান আলি (Birbhum) বলেন, তৃণমূলের ভোট করাতে গিয়েছিলেন বলে নির্দল প্রার্থীর দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করে। যদিও দুষ্কৃতীরা নির্দল প্রার্থীর স্বামীর প্রার্থীর অনুগামী। রামজান আলি আরও বলেন, বুথে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের হয়ে ভোট করাতে গিয়েছিলাম বলে ব্যাপক মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর স্ত্রীকেও খুব মারধর করে এবং কাপড়জামা ছিড়ে দিয়ে ধর্ষণ করারও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন। হামলার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে বন্দুক এবং বোমা ছিল বলে অভিযোগ করেন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share