Tag: Madhyom

Madhyom

  • Murshidabad: ঠিক ভোটের আগের দিন হিংসা কবলিত নবগ্রামে কেন গেলেন রাজ্যপাল?

    Murshidabad: ঠিক ভোটের আগের দিন হিংসা কবলিত নবগ্রামে কেন গেলেন রাজ্যপাল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুর্শিদাবাদ ঘুরে মানুষের কাছ থেকে পঞ্চায়েতের যে সন্ত্রাস চলছে সেইসব আক্রান্ত পরিবারদের বাড়িতে খোঁজখবর নেয়ার জন্য আজ মুর্শিদাবাদ জেলায় কলকাতা থেকে হাজার দুয়ারী এক্সপ্রেসে গিয়ে পৌঁছান। হিংসা কবলিত এলাকা এবং আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পঞ্চায়েত নির্বাচন হিংসা মুক্ত করার আহ্বান জানান রাজ্যপাল।

    কেন গেলেন রাজ্যপাল (Murshidabad)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে রাজ্যজুড়ে শাসক-বিরোধী, শাসক-নির্দল এবং শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সংঘর্ষে হিংসা কবলিত এলাকা হিসাবে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) পৌঁছালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রথমে বহরমপুর রোড স্টেশনে নামেন এবং সেখান থেকে নবগ্রামে নিহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে যান। রাজ্যপাল মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে নিহত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ঘটনার বিবরণ শোনেন, কীভাবে গত ১৫ ই জুন পঞ্চায়েত ভোটের নমিনেশন করে বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা রড বাঁশ লাঠি দিয়ে মারধর করে হত্যা করেছিল। পরিবার রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেন, দোষীদের যেন অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হয়। সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রাজ্যপাল এবং পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। কোনও সমস্যা হলে রাজ্যপালকে অবশ্যই যেন জানান পরিবার।

    রাজ্যপাল কী বললেন? 

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ক্যানিং, ভাঙর, বাসন্তী, দিনহাটা, সীতাই, শীতলকুচিতে হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেন। সর্বত্র রাজ্য প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনকে বার বার আইনের শাসন প্রয়োগের কথা বলেন। দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের কথা বলেন। ঠিক একই ভাবে নবগ্রামে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে হিংসা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস এবং হিংসা চলছে। বুলেটের জবাব ব্যালটে দিতে হবে এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে পদে থেকে বাংলার মানুষের জন্য কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন রাজ্যপাল।   

    নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    এক দিকে যেমন রাজ্যের জুড়ে বোমা, বন্দুক ও গুলি উদ্ধার হচ্ছে তেমনি উত্তর থেকে দক্ষিণ হচ্ছে রক্তাক্ত। নির্বাচন ঘোষণা থেকে মনোনয়ন, মনোনয়ন প্রত্যহার থেকে নির্বাচনের প্রচার পর্যন্ত সময়ের মধ্য দিয়ে এখনও পর্যন্ত শাসক-বিরোধী মিলিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আগামীকাল নির্বাচন, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় সবথেকে বেশী স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত হয়েছে। ভোট পূর্ববর্তী কালে সবথেকে বেশী ৫ জন মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানা গেছে এই জেলায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগের দিন মুর্শিদাবাদে রাজ্যপালের যাত্রা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। আইন শৃঙ্খলা ঠিকঠাক রাখা, প্রশাসনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা এবং শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজ্যপালের এই যাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় জোট প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Malda: মালদায় জোট প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগের রাতে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল মালদার (Malda) রতুয়ার-২ নম্বর ব্লকের পরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বাম ও কংগ্রেস জোট প্রার্থী‌ ও কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পাশাপাশি ব্যাপক মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনার জেরে আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে পরানপুরে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালদার (Malda) রতুয়া-২ নম্বর ব্লকের পরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্জাদপুর চাঁদপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা নিজেদের প্রচার ক্যাম্পে বসেছিলেন ওই এলাকার বাম কংগ্রেস সমর্থিত কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রার্থী শারিফুল শেখ ও তাঁর কর্মী সমর্থকেরা। অভিযোগ, ওই সময় হঠাৎ করেই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি শেখ শাহজাহান ১২ থেকে ১৪ জনের দল নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায় জোট প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী সমর্থকদের ওপর। মোট সাত রাউন্ড গুলি চালানোর পাশাপাশি জোট প্রার্থী ও কর্মীদের ব্যাপক মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর ও টেবিল চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। হামলার জেরে  মোট ৯ জন জোট কর্মী সমর্থক জখম হন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন জোটের নেতৃত্ব?

     জোট প্রার্থী শারিফুল শেখ বলেন, পঞ্চায়েতে মালদা (Malda) জেলা জুড়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর লক্ষ্যে এবং সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য আমাদের উপর পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালিয়েছে তৃণমূল প্রধানের স্বামী শাহজাহান শেখ ও তাঁর দলবল। আমরা আক্রমনের পরেও চুপ রয়েছি। কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান তথা জেলা কংগ্রেসের সদস্য আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন,  পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের হার নিশ্চিত জেনেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডা বাহিনী। আমরা কোনও প্ররোচনায় পা না দিলেও তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোট বানচাল করে দেওয়া। আমরা আমাদের কর্মী সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     যদিও জোটের তোলা এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই জোট প্রার্থী ও তাঁর দলবল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবারেও তারাই আমাদের কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। আমাদের কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক মারধর করেছে। আমরা চাই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে ভাঙল সেতু! আটকে বহু মানুষ

    Uttarakhand: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে ভাঙল সেতু! আটকে বহু মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) একের পর এক দুর্যোগ চলছেই। এবার মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে রাজ্যের পিথোরাগড় জেলায় একটি আস্ত সেতু জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে ওই এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরাও। বর্ষা শুরু হতেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরাখণ্ডে। 

    মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভাঙল সেতু

    দিনকয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী ধামি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে নির্দেশ দেন সতর্ক থাকতে। জেলায় জেলায় খোলা হয় ত্রাণ শিবির। কারণ ভারতবর্ষের এই রাজ্যে (Uttarakhand) বর্ষার সময় হড়পা বান, ধস এগুলো হয়ে থাকে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে পিথোরাগড়ের ধরচুলা এলাকার চল গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। গত কয়েক দিন ধরেই সেখানে একনাগাড়ে বৃষ্টি পড়ছিল বলে খবর। মেঘভাঙা বৃষ্টির দাপটে যে সেতুটি ভেঙে পড়েছে, সেটিই ছিল গ্রামের সঙ্গে সংযোগের একমাত্র মাধ্যম। পার্বত্য এলাকা এমনিতেই দুর্গম, একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ভেঙে পড়ায় জীবন জীবিকার রশদ ক্রমশই ফুরিয়ে আসছে। ওই গ্রাম এখন কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা বলছে, ‘‘সেতু ভাঙার পর তার ধ্বংসাবশেষ ভেজা মাটির সঙ্গে মিশে দীর্ঘ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে গিয়েছে। ফলে ওই অংশে পৌঁছতে পারছেন না কেউই।’’

    প্রকাশ্যে এসেছে ঘটনাস্থলের ভিডিও

    ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেতুর ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে এলাকা পরিষ্কার করার কাজ করছেন স্থানীয়রাই।

    এমন বিপত্তির মাঝেও অবশ্য রেহাই আপাতত মিলবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে আগামী পাঁচদিন ধরে। উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সমেত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলে এবং পশ্চিম ভারতের গুজরাতের বেশ কিছু অঞ্চলে। বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি, ধসের মুখোমুখি হতে পারেন মানুষ। সেই কারণে আগে থেকেই সতর্ক করেছে মৌসম ভবন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Forced Conversion: ‘অপহরণ করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ’! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিবিআই-এর

    Forced Conversion: ‘অপহরণ করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ’! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই। কালিয়াচকের ওই সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দোর করে দুই ব্যক্তিকে হিন্দু থেকে মুসলমান ধর্মে (Forced Conversion) ধর্মান্তকরণ করেছে তারা। জানা গিয়েছে, মালদার মোথাবাড়ি ও কালিয়াচকের ৬ জায়গায় বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় সিবিআই। সাত অভিযুক্তের বাড়ি থেকে মোবাইল সহ বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২০২১ সালে মালদার মালদার কালিয়াচকের ঘটে এই ঘটনা। দুই বোনের অভিযোগ ছিল, তাঁদের স্বামী বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডল বিজেপির সমর্থক হওয়ার কারণে ভোট পরবর্তী সময়ে তাদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হয়। তাঁরা কোর্টের কাছে আরও জানান, ২৪ নভেম্বর ২০২১ সাল থেকে তাদের স্বামীরা নিঁখোজ। পুলিশকে এব্যাপারে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। হাইকোর্টের কাছে রাজ্য অবশ্য রিপোর্ট দেয়, ওই দুই ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং পারিবারিক বিবাদের কারণে তারা বাড়ি ছেড়েছে। যদিও পরিবারের দাবির সঙ্গে কোনওভাবেই মিলছে না রাজ্যের রিপোর্ট। এবিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে সিবিআই রিপোর্ট জমা দেয় গত ২০ ফেব্রুয়ারি, যার ভিত্তিতে চলতি বছরের ৬ জুন হাইকোর্ট এফআইআর করতে নির্দেশ দেয়। সেই মতো এফআইআর করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নাম রয়েছে, খুরশেদ সেখ, রবিউল সেখ, মুক্তাবুল সেখ, তিনু সেখ, নজু সেখ, বরকতি সেখ এবং হাবিব সেখের। জানা গিয়েছে প্রত্যেকেরই বাড়ি মালদায়।

    তদন্তে কী উঠে এল?

    জানা গিয়েছে পেশায় রাজমিস্ত্রি দুই ভাই বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডল ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর কাজে যান। গৌরাঙ্গ মণ্ডল যান রবিউল সেখের বাড়ি এবং বুদ্ধ মণ্ডল যান হাবিব সেখের বাড়ি। এরপর সেদিন দুপুর দুটোর সময় তাঁরা বাড়িতেও ফেরেন মধ্যাহ্নভোজ সারতে। তারপর আবার বেরিয়ে যান। পরে রাতে আর বাড়ি ফেরেন নি। এরপর নিঁখোজ দুইজনের স্ত্রী (বু্দ্ধ মণ্ডলের স্ত্রী পার্বতী মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডলের স্ত্রী কলাবতী মণ্ডল) জানতে পারেন তাঁদের স্বামীদের ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে এবং নমাজ পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। পুলিশ এরপর বুদ্ধ মণ্ডল ও গৌরাঙ্গ মণ্ডলের সন্ধান পায় একটি মুসলিম বাড়িতে। মামলাকারীদের পুলিশ জানায়, বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডলকে কোর্টে তোলা হবে ২৮ নভেম্বর ২০২১। পরিবারের দাবি, কোর্টে তোলার দিন তাঁরা সকাল থেকেই আদালত চত্বরে হাজির ছিলেন, কিন্তু গোটা দিন উপস্থিত থাকার পরেও যখন বু্দ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে কোর্টে তোলা হল না তখন কলাবতীদেবী এবং পার্বতীদেবী বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর বিকালের পরে বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে এসডিও এর সামনে হাজির করানো হয়, সেসময় প্রচুর পরিমাণে মুসলিমদের ভিড় সেখানে ছিল। তারা বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যায়, পরিবারের লোকের অনুপস্থিতিতে। এরপর ২০২২ সালের সালের ৪ জানুয়ারি স্থানীয় ধরলা গ্রামে বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। খবর পেয়ে তখনই গ্রামে পৌঁছান পার্বতী দেবী ও কলাবতী দেবী। তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হলে স্থানীয় মুসলিমরা হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এরপর গৌরাঙ্গ কোনওভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের খপ্পর থেকে পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়। এবং কলাবতীকে সঙ্গে করে সে একটি গোপন আস্তানায় থাকতে শুরু করে। অভিযোগ, অপহরণকারীদের চাপে কলাবতী ও গৌরাঙ্গর নামে এফআইআর করে বুদ্ধ। এরপর গৌরাঙ্গকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। কলাবতী জামিনে মুক্ত হন। পরিবারের অভিযোগ, দুইভাই ফোনে জানিয়েছে, তাদের জোরপূর্বক মাদকের নেশা করানো হচ্ছে এবং পশু হত্যা করার প্রশিক্ষণও দিচ্ছে মুসলিমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: নদিয়ায় বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে অপরহরণ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: নদিয়ায় বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে অপরহরণ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) প্রার্থীর দেওরকে অপহরণ। আর অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধুবুলিয়া থানার পন্ডিতপুর এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার ধুবুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পন্ডিতপুর এলাকার বিজেপি (BJP) প্রার্থীর নাম সঙ্গীতা মণ্ডল। তাঁর দেওর অষ্টম মণ্ডল এলাকার দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সক্রিয় কর্মী। এবছর তাঁর বউদি বিজেপির প্রার্থী হয়ে পঞ্চায়েতে লড়াই করছেন। এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতেই তৃণমূল অপহরণ করেছে। জানা গিয়েছে, গত পাঁচ জুলাই রেশন তুলে অষ্টমবাবু সন্ধ্যা নাগাদ দলীয় প্রচারে বের হয়েছিলেন। তারপরে আর তিনি বাড়ি ফেরেনি। এরপরে ই পরিবারের পক্ষ থেকে ধুবুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই বিজেপি কর্মীর। তাই চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

    কী বললেন স্থানীয় বিজেপি (BJP) কর্মীরা?

    এই বিষয়ে এলাকারই এক বিজেপি (BJP) কর্মী পরিমল মণ্ডল বলেন, ৫ জুলাই সন্ধ্যায় ঘোষপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন। প্রচার শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। আমাদের ধারণা, এই এলাকায় বিজেপি শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। তাই, দলীয় প্রার্থীর দেওরকে অপহরণ করে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল।  

    কী বললেন নিখোঁজ বিজেপি (BJP) কর্মীর মা?

     নিখোঁজ বিজেপি (BJP) কর্মী অষ্টম মন্ডলের মা উরফি মণ্ডল বলেন, আমার ছেলে বিজেপি করে, সেই কারণে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। প্রশাসনকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। আমাদের দাবি, আমার ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় প্রশাসন বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসুক।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনভাবেই জড়িত নয়। ওই এলাকায় বিজেপির কোন অস্তিত্ব নেই। সেটা বুঝতে পেরেই নির্বাচনের আগের দিন নাটক করছে বিজেপি। পুলিশ তদন্ত করে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসলেই বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ডোমকলে তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা, হাঁসুয়ার কোপ, অভিযুক্ত সিপিএম

    TMC: ডোমকলে তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা, হাঁসুয়ার কোপ, অভিযুক্ত সিপিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দুদিন আগেও উত্তপ্ত রাজ্য। বৃহস্পতিবার রাতে দিনহাটায় ৩ জন বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতেই তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। প্রথমে প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। পরে, ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম প্রার্থীর নাম সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদের ডোমকলের গড়াইমারি পঞ্চায়েতের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর নাম সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস দুবারের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। এবারও তিনি প্রার্থী। বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় ভোটের প্রচার করছিলেন। আচমকাই দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে এসে তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। পরে, তাঁকে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথারি কোপানো হয়। তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে থাকা এক তৃণমূল কর্মী বলেন, প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথেই হামলা চালানো হয়। হঠাৎ আমাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারপরে আমরা ছুটে পালিয়ে গিয়ে পাটের জমিতে আশ্রয় নিই। দলীয় প্রার্থীকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। তারপর হামলাকারীরা পালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রার্থীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ডোমকল সুপার ষ্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি হাজিকুল ইসলাম বলেন, সাইফুলসাহেব এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি দুবার জয়ী হয়েছেন। এবারও তিনি জিতবেন। এটা এই এলাকার সিপিএম তথা জোটের কর্মীরা মেনে নিতে পারছে না। তাই, পরিকল্পিতভাবে তারা এই হামলা চালিয়েছে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, বোমা, গুলির কারবার তৃণমূলরাই (TMC) শুধু করছে। গোটা রাজ্যে তারা বিরোধীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সিপিএম কোনওভাবেই জড়িত নয়। এটা ওদের নিজেদের গণ্ডগোল। এরসঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ‘‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে বঞ্চিত থাকবে এলাকাবাসী’’, হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রীর

    Panchayat Vote: ‘‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে বঞ্চিত থাকবে এলাকাবাসী’’, হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Panchayat Vote) প্রচারে গিয়ে আবারও বিতর্কে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা উত্তরদিনাজপুরের হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন। ‘‘আমার প্রার্থী না জিতলে আগামী পাঁচ বছর এই এলাকায় না হবে রাস্তা, না হবে লাইট, না হবে জলের ব্যবস্থা।’’ এমনই হুঁশিয়ারী দিতে শোনা গেল সত্যজিৎ বর্মনকে। যা রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

    হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর… 

    নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে। ততই বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। নিয়ম মতো বৃহস্পতিবারই ভোট প্রচারের শেষ দিন। আর এদিনই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের প্রচারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে স্যোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটিতে রাজ্যের মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট না দিলে তিনি এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ আটকে দেবেন। এলাকার রাস্তা, জল, আলো সব বন্ধ করে দেবেন।

    স্ত্রীর হারের আশঙ্কায় কী এমন হুঁশিয়ারি? প্রশ্ন বিরোধীদের

    উল্লেখ্য, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী এবারে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১৬ নম্বর আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। নিজের স্ত্রীকে জেতাতে কার্যত এলাকায় এলাকায় হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। দিন কয়েক আগেও সরকারি পাইলট ও লালবাতির গাড়ি  ব্যবহার করে এলাকায় এলাকায় প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সত্যজিৎ বর্মনের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ জানাতে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ সেদিন দিয়েছিলেন সত্যজিৎ বর্মন। 

    কী বলছে বিজেপি?

    ভোটারদের (Panchayat Vote) হুমকি এবং প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাইরাল ভিডিও ক্লিপ জমা করে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন বাসুদেব সরকার। তিনি বলেন, ‘‘হেমতাবাদের এমএলএ বিদ্যুৎ চোর। এখনও মামলা চলছে তাঁর নামে। পুরো খানদানি চোরকে তৃণমূল শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী বানিয়েছে।’’

    কী বলছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব? 

    বিরোধীদের তোলা অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর প্রচারে হুমকি দেওয়া বক্তব্য ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সত্যজিৎ বাবুর দুটি সত্ত্বা রয়েছে। প্রশাসনিক সত্ত্বা নয় তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন সেটি তার রাজনৈতিক সত্ত্বা। আর এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন কথা বহু রাজনৈতিক নেতানেত্রী বলে থাকেন। বিরোধীরা গোটা বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: জটিলতা এড়াতে ত্রিস্তরে ৩ রঙের ব্যালট পেপার, কী কী সেই রং?

    Panchayat Election 2023: জটিলতা এড়াতে ত্রিস্তরে ৩ রঙের ব্যালট পেপার, কী কী সেই রং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত ফুরোলেই ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোট। এই বছর নতুন ভোটার হিসাবে ভোটদান করবেন, এমন অনেকেই আছেন। আবার যাঁরা শহরে থাকেন, পঞ্চায়েত ভোট সম্পর্কে তাঁদের অনেকেরই সুস্পষ্ট ধারণা নেই। একটা কথা শুরুতেই বলা যায়, পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) কিন্তু লোকসভা বা বিধানসভা ভোটের থেকে অনেকাংশেই আলাদা। এখানে থাকে না কোনও ইভিএম মেশিন, থাকে তিনটি বড় বাক্স যা ব্যালট বাক্স নামে পরিচিত। আর সঙ্গে থাকে তিনটি আলাদা রঙের ব্যালট পেপার। ভারতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট হয়ে থাকে। অর্থাৎ এখানে থাকে গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমতি ও জেলা পরিষদ। তাই এখানে ভোটাররা তিনটি জায়গার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে ভোট প্রদান করে থাকেন।

    পঞ্চায়েতে ভোট প্রদানের (Panchayat Election 2023) পদ্ধতি কী?

    ভোট কেন্দ্রে ভোটার প্রবেশ করলে প্রাথমিক কাগজপত্র এবং ভোটার তালিকা পরীক্ষার পর সেখানে উপস্থিত ভোটকর্মীরা তাঁকে হাতে তিনটি আলাদা রঙের কাগজ ধরিয়ে দেন। এই তিনটি কাগজকেই ব্যালট পেপার বলা হয়। এই ব্যালট পেপারের মধ্যে প্রার্থীর নাম, দলের নাম ও চিহ্ন ছাপা থাকে। এই কাগজগুলি নিয়ে যেখানে ব্যালট বক্স থাকে, সেই স্থানে নিজের পছন্দসই পার্থীকে নির্বাচন করে ছাপ দিতে হয়। তার পর একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ব্যালট পেপারগুলি ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সতে ফেলতে হয়। এইভাবেই ভোট প্রদান (Panchayat Election 2023) প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

    তিনটি আলাদা ব্যালট পেপার (Panchayat Election 2023) কোন কোন রঙের?

    পঞ্চায়েতে ভোটদাতাদের জন্য তিনটি আলাদা আলাদা রঙের ব্যালট পেপার ব্যবহৃত হয়। সেই রংগুলি যথাক্রমে গোলাপি, সাদা এবং হলুদ। পঞ্চায়েতে তিনটি স্তরে আলাদা আলাদা ভাবে ভোট প্রদান করতে হয় এবং আলাদা আলদা প্রার্থীও থাকে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে একটি জায়গায় তিনটি স্তরে প্রার্থী নাও থাকতে পারে। এর মধ্যে থাকতে পারে নির্দল প্রার্থী, বিশেষ করে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে। এবার তিনটি স্তরের ক্ষেত্রে যদি একই রঙের ব্যালট পেপার (Panchayat Election 2023) ব্যবহৃত হয়, তাহলে ভোটারদের সমস্যা হতে পারে। আবার ভোট গণনার সময়ও নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তার জন্যই প্রত্যেকটি ইউনিটে আলাদা আলাদা বাক্স এবং আলাদা রঙের ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হয়।

    কোন রং কীসের জন্য (Panchayat Election 2023)?

    পঞ্চায়েত স্তরের জন্য সাধারণত থাকে সাদা রঙের পেপার, পঞ্চায়েত সমিতির জন্য থাকে গোলাপি ব্যালট পেপার, আর জেলা পরিষদের জন্য থাকে হলুদ পেপার। এই পেপারগুলির মধ্যেই যেসব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা (Panchayat Election 2023) করছেন, তাঁদের নাম এবং দলের চিহ্ন উল্লেখ করা থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল ছাড়লেন বীরভূম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল ছাড়লেন বীরভূম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচার শেষ হতে না হতেই দলত্যাগ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়। বুধবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথাই জানালেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ দল ছাড়ার হিড়িক দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে। সেই তালিকায় নব সংযোজন অতনু।

    আরও পড়ুন: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চায় মমতা ব্যানার্জি”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    কী বললেন অতনু?

    অতনু জানিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন ততদিন পর্যন্ত দলে সম্মান ছিল। কিন্তু তিনি যেহেতু জেলে রয়েছেন তার পর থেকে দলের বাকি সদস্যদের আর সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এমনকি সম্মানও দেওয়া হয় না। তাছাড়া দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন অতনু চট্টোপাধ্যায়। অতনুর আরও দাবি, তৃণমূলে যোগদান করার সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে দলে থেকে তিনি কাজ করতে চান। অথচ দলের উচ্চ নেতৃত্ব আশ্বাস দিলেও সেই সুযোগ তিনি পাননি বলে বুধবার অভিযোগ করেন। রাজনৈতিক জীবন থেকে সরে আসার কোন ইচ্ছেই ছিল না। কিন্তু নেহাত বাধ্য হয়ে দল ছাড়তে হচ্ছে বলে জানান অতনু চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ছাড়া কথা ঘোষণা করলেও গত ২৫ মে ২০২৩ তারিখে দল ছাড়ার কথা উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই দলীয় কর্মসূচিগুলোতে গরহাজির থাকছিলেন অতনু।

    আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল সমাজবিরোধীদের ভোটে দাঁড় করাচ্ছে’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা?

    এবিষয়ে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘তৃণমূল (TMC) দল এবার আসতে আসতে সবাই ত্যাগ করবে। যেভাবে নিয়োগ দুর্নীতি, গরু চুরিতে নাম জড়াচ্ছে একের পর এক নেতার তাতে দলে আর কেউ থাকতে চাইছেন না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ০৭/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ০৭/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা ক্ষেত্র, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য– কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) সামাজিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করবেন, এর ফলে লাভান্বিত হবেন।   

    ২) সন্তান সংক্রান্ত কোনও কারণে মনে হতাশা জাগবে। 

    বৃষ

    ১) পারিবারিক জীবনে জটিলতা হতে পারে। জীবনসঙ্গী ও নিকটাত্মীয়ের ইচ্ছাপূরণের জন্য সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হবে। 

    ২) প্রেম জীবনে আজকের দিনটি আপনাদের অনুকূল।    

    মিথুন

    ১) বাবার আশীর্বাদ ও আধিকারিকদের সাহায্যে লাভ অর্জন করতে পারবেন। আপনার কোনও বহুপ্রতীক্ষিত ইচ্ছা পূর্ণ হবে। 

    ২) জীবনসঙ্গীর জন্য সারপ্রাইজ প্ল্যান করতে পারেন।    

    কর্কট

    ১) তাড়াহুড়োয় কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন না। কারণ তাড়াহুড়োয় নিয়ে থাকা সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা পরিবারের সঙ্গে আনন্দপূর্ণ সময় কাটাবেন।  

    সিংহ 

    ১) কর্মক্ষেত্রের অবসাদ পরিবারের সদস্যদের সামনে প্রকাশ করবেন না। তা না-হলে পরিবারের পরিবেশ প্রভাবিত হবে। 

    ২) মা আপনার ওপর রেগে থাকতে পারেন। 

    কন্যা

    ১) শিক্ষা ক্ষেত্রে যে চেষ্টা করবেন, তাতে সফল হবেন এঁরা। সন্তানের তরফে সুসংবাদ শুনতে পাবেন। 

    ২) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।   

    তুলা 

    ১)  কোথাও যাত্রা করলে স্বাস্থ্যের যত্ন নিন, তা না-হলে অসুস্থত হতে পারেন। আকস্মিক পরিস্থিতির কারণে আপনার কাজ আটকে যেতে পারে।

    ২) প্রেম জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে মতভেদ হতে পারে। 

    বৃশ্চিক

    ১) দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কাজ পূর্ণ হবে। আপনার যশ-কীর্তি বৃদ্ধি পাবে। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা পরিবারের সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে।    

    ধনু

    ১) পারিবারিক জিনিসের কেনাকাটায় অর্থ ব্যয় হতে পারে। 
     
    ২) সন্ধ্যাবেলা কোনও ধর্মীয় স্থানে যাবেন। 

    মকর

    ১)  আজ কোনও কাজ সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে তা পুরো করার প্রচেষ্টা করবেন।   

    ২) ছাত্রছাত্রীরা কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকলে তাতে সাফল্য লাভ করবেন।  

    কুম্ভ

    ১) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা ও সান্নিধ্য লাভ করবেন। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা মা-বাবার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করবেন।     

    মীন

    ১) ব্যবসায় বহুদিন ধরে আটকে থাকা কাজ পূর্ণ করার জন্য নিকট ও দূরের যাত্রা করতে হবে।  
     
    ২) ছাত্রছাত্রীরা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন।      

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share