Tag: Madhyom

Madhyom

  • Calcium: তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়েই হাঁটু-কোমরের সমস্যা! কোন খাবারে মিলবে সমাধান? 

    Calcium: তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়েই হাঁটু-কোমরের সমস্যা! কোন খাবারে মিলবে সমাধান? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও একটানা বসে থাকলে নড়াচড়া করতে কষ্ট হয়। কোমরে ব্যথা হতে থাকে। আবার কখনও কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পরেই বা কয়েক পা সিঁড়ি দিয়ে উঠলেই হাঁটুর যন্ত্রণা শুরু হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়ে মহিলারা এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষত, হাঁটু ও কোমরের যন্ত্রণায় তাঁদের শারীরিক ক্ষমতা কমতে থাকে। ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতিই বিপদ বাড়াচ্ছে।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমীক্ষা বলছে, ভারতে ২৫ শতাংশ মহিলা বিপজ্জনক ভাবে ক্যালসিয়ামের (Calcium) অভাবে ভুগছেন। ৭৫ শতাংশ মহিলা প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পাচ্ছেন না। তবে, মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের মধ্যেও ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা যায়। যদিও মহিলাদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি। বিশেষত, তিরিশ বছরের উর্ধ্বে মহিলাদের মধ্যে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বেশি দেখা যাচ্ছে।

    কীভাবে বুঝবেন ক্যালসিয়ামের (Calcium) অভাব হচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেহে ক্যালসিয়ামের অভাব ঘটলে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যায়। যেমন, পেশির যন্ত্রণা হয়। হাত-পায়ের পেশির শক্তি কমতে থাকে। ফলে, কোনও ভারী জিনিস টানলে বা কোনও কাজ বেশি সময় একটানা করলে যন্ত্রণা শুরু হয়। কোমর ও হাঁটুর যন্ত্রণা হয়। ক্যালসিয়ামের (Calcium) অভাবে হাড়ের শক্তি কমতে থাকে। ফলে, কোমর ও হাঁটুর শক্তিক্ষয় হয়। ক্যালসিয়ামের অভাবে দাঁতের সমস্যাও দেখা যায়। ফলে, অকালে দাঁত পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    কোন কোন খাবার কমাবে ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতি? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের খাদ্যাভ্যাসে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। তবেই ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতি কমানো যাবে। নিয়মিত দুগ্ধজাত জিনিস খাদ্যাভ্যাসে রাখলে তবেই কমবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। কারণ, দুধে থাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। তাই দুধ, দই, পনির, চিজের মতো খাবার নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। তবেই দেহে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম যাবে। দুধের পাশপাশি ডিমেও ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত থাকে। বিশেষত ডিমের সাদা অংশ। যাকে অ্যালবুমিন বলা হয়, তা দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটায়। তাই নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    সবুজ সবজি দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পালং শাক, ব্রকোলি, পুঁইশাকের মতো সবুজ সবজি দেহে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়। 
    খাবারের তালিকায় নিয়মিত সোয়াবিন রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, সোয়াবিন দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
    তাছাড়া, স্যালমন জাতীয় সামুদ্রিক মাছেও থাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। 
    নিয়মিত এই খাবার দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে পারবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে, সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হতে পারে বলে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: দুবরাজপুরে প্রাইমারি স্কুল থেকে উদ্ধার বোমা, এলাকায় তীব্র আতঙ্ক

    Birbhum: দুবরাজপুরে প্রাইমারি স্কুল থেকে উদ্ধার বোমা, এলাকায় তীব্র আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরের বিদ্যালয়ের রান্না ঘরের ছাদে বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল সোমবার। খবর দেওয়া হয় দুবরাজপুর থানার পুলিশকে। এদিনই দুবরাজপুরে আসার কথা ফিরহাদ হাকিমের। ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত থাকার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে বোমা উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কীভাবে উদ্ধার হল বোমা (Birbhum)?

    সোমবার দুবরাজপুরের (Birbhum) লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদমপুর গ্রামে প্রাইমারি স্কুল থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। বোমা উদ্ধারে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুল চত্বরে। আতঙ্কিত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, মাত্র আর ৫ দিন বাকি! ফলে এই বোমা কি নির্বাচনে ভোট লুট করার জন্য মজুত রাখা হয়েছিল? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। খবর পেয়েই ছুটে এসেছে এলাকার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই স্কুলেই মিড ডে মিলের খাবার রান্না হত। এই স্কুলের ছাদ থেকেই প্লাস্টিকে মোড়ানো তাজা বোমা উদ্ধার হয়। তবে কে বা কারা এই বোমা মজুত করেছে, সেই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    আর কোথায় উদ্ধার বোমা?

    এছাড়াও দুবরাজপুরের (Birbhum) যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পছিয়াড়া গ্রামের শেখ আলমের বাড়ি থেকে ১৪ থেকে ১৫ টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায়ও তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে বোদাই পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বস্তা ভর্তি ১৫টি তাজা বোমা উদ্ধার করে আমডাঙা থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উদ্ধার হওয়া বোমাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকাগুলিতে।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    স্থানীয় গ্রমাবসী (Birbhum) মীর নাজিরুদ্দিন বলেন, এই স্কুলেই বুথ রয়েছে! সমানে পঞ্চায়েত ভোট। এখানে বোমা উদ্ধারে আমরা ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটে, এর থেকে লজ্জার কিছু হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ভোটদানের দিন কী ঘটবে, তা নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা ব্লক কনভেনর (Birbhum) রফিকুল খান বলেন, উদ্ধার হওয়া বোমার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন আছে। তারাই তদন্ত করবে। তিনি আরও বলেন, সত্যি কি বোমা? নাকি সুতলি দিয়ে বাঁধা রয়েছে কোনও বস্তু! তবে এখানে কোনও রাজনীতির যোগ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: জালে পড়ল ১৩ কেজি ওজনের দৈত্যাকার চিতল!

    Purba Medinipur: জালে পড়ল ১৩ কেজি ওজনের দৈত্যাকার চিতল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) সুবর্ণরেখা নদীতে জালে পড়ল ১৩ কেজির দৈত্যাকার চিতল মাছ। লম্বায় প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট। এই মাছকে ঘিরে এলাকায় বেশ উৎসাহের ছবি ধরা পড়ে।

    কীভাবে ধরা পড়ল (Purba Medinipur)?

    শনিবার বিকেলে দৈত্যাকার এমনই এক চিতল মাছ ধরা পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার দাঁতনের বালিডাংরি এলাকায়। সুবর্ণরেখা নদীতে জাল ফেললে ১২ কেজি ৭৫০ গ্রাম ওজনের এই বিশাল মাছটি ধরা পড়ে গতকাল বিকেলে। স্থানীয় এক মৎস্যজীবীর জালে ধরা পড়ে ‘এক মানুষ সমান’ এই চিতল মাছটি। মূলত মিষ্টি জল বা স্বাদু জলের মাছ হল এই চিতল। এই মাছের মুইঠ্যা বাঙালি ভোজন রসিকদের অত্যন্ত প্রিয়। বিকেলে জালে ধরা পড়া দৈত্যাকার চিতল মাছটিকে ঘিরে নিমেষে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। মাছটিকে শুধু একবার চোখের দেখা দেখতে ভিড় জমান বহু মানুষ। যাঁরা নিজের চোখে মাছটি দেখেছেন তাঁরাই জানান, “বড় চিতল মাছ দেখেছি। কিন্তু, এমন দৈত্যাকার, এক মানুষ সমান চিতল মাছ দেখিনি!”। এই মাছকে ঘিরে এলাকার মানুষ রীতিমতো ছবি তুলে সামজিক গণমাধ্যমে ব্যবহার করেছেন। কেউ কেউ আবার যিনি ধরেছেন মাছটি, তাঁকে ঘিরেও ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন।

    মৎসজীবীর বক্তব্য

    যিনি মাছ ধরেছেন তিনি বলেন, প্রত্যেক দিনের মতো আজও কয়েকজন মিলে নদীতে (Purba Medinipur) মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। বিকালের দিকে জাল তুলে দেখি এই বড় চিতল মাছটি জালে পড়ল। অনেকদিন পর এত বড় একটা চিতল মাছ ধরতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। তিনি আরও বলেন, এই মাছ বিক্রি করতে সমস্যা হয়নি। বাজারে নিয়ে গেলে, কিছুক্ষণের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায় মাছটি। বিক্রি হল প্রায় ১০ হাজার টাকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ভাতারে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও! অভিযুক্ত তৃণমূল

    Purba Bardhaman: ভাতারে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে দলবল নিয়ে হুমকি ও মারধরের অভিযোগ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ভাতারের বড়বেলুন গ্রামে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। আপাতত পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    ঘটনা কী ঘটল (Purba Bardhaman)?

    বিজেপির অভিযোগ, ভাতার ব্লকের (Purba Bardhaman) বড়বেলুন গ্রামের ৯২ ও ৯৮ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস এবং তাঁর স্ত্রী মমতা দাস। ঘটনার দিন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী অভিষেক পালের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও হয়। বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস বাড়িতে না থাকায় তাঁর স্ত্রী ও কন্যাদের প্রথমে হুমকি এবং এরপর নির্যাতন চালায়। বিজেপির পক্ষ থেকে ভাতার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর পর এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস বলেন, আমরা মনোনয়ন করার পর থেকেই তৃণমূল থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কেন বিজেপির প্রার্থী হলাম? আমি প্রচারের কাজে ছিলাম, সেই সময় অভিষেক পালের নেতৃত্বে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে (Purba Bardhaman) লাঠি, বাঁশ নিয়ে স্ত্রী, কন্যাকে হুমকি দিয়ে যায়। এরপর থেকে আমার পরিবার আতঙ্কিত। জেলার বিজেপি নেতা রাজকুমার হাজরা বলেন, আমরা অভিযোগ জানিয়ে কোর্টে যাব।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের জেলার নেতা প্রসেনজিত দাস বলেন, বিরোধীদের অভিযোগ মিথ্যা। জেলার (Purba Bardhaman) যেখানে যেখানে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে, সেখানে এখন প্রচারের জন্য লোক খুঁজে পাচ্ছে না। আর তাই সব দোষ তৃণমূলের ওপর চাপাচ্ছে। কিন্তু এই ভাবে তৃণমূলের বদনাম করেও বিজেপি জয়ী হতে পারবে না।  ওদের পরাজয় নিশ্চিত। তাই তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য নানা পথ অবলম্বন করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মানবাজারে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু, সিবিআই তদন্তের দাবি

    BJP: মানবাজারে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু, সিবিআই তদন্তের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে ফের পুরুলিয়ায় বিজেপি (BJP) কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হল। সোমবার এই জেলায় যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই এদিন সকালে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়া মানবাজার-২ ব্লকের বোরো থানার কেন্দাডি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বঙ্কিম হাঁসদা। তাঁর বাড়ি কেন্দাডি গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মানবাজারের হেঁসলা অঞ্চলের ২০২ বুথের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিম হাঁসদা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে এলাকায় তিনি দিনরাত পরিশ্রম করছিলেন। রবিবার রাত ১০ টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন চারদিকে খোঁজ করলেও কোনও হদিশ মেলেনি। সোমবার সকালে গ্রামের অদূরে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে এলাকায়। স্থানীয় বিজেপি (BJP) কর্মীরা পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে ঘটনার তদন্তের দাবি জানান। কিন্তু, পুলিশ দাবি না মেনে ওই বিজেপি কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, পুলিশ কুকুর নিয়ে এলে খুনি কে তা জানা যেত। কিন্তু, পুলিশ তা হতে দিল না।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    দলীয় কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানার পরই এদিন বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা, সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাত সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে যান। বিজেপি সাংসদ বলেন, তৃণমূল আদিবাসীদের উপর অত্যাচার করছে। খুন করছে। ওই বিজেপি কর্মী আমাদের দলের ভাল সংগঠক। তাঁকে পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়ছে। এই মৃত্যুর জন্য তৃণমূলই একমাত্র দায়ী। এই এলাকায় বিজেপির শক্তি বেশি থাকায় দলীয় কর্মীদের মনে আতঙ্ক ছড়াতে তৃণমূল এই কাজ করেছে। আমরা এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সন্ত্রাস কবলিত বাসন্তীতে রাজ্যপাল, দিলেন সব রকম সাহয্যের আশ্বাস

    South 24 Parganas: সন্ত্রাস কবলিত বাসন্তীতে রাজ্যপাল, দিলেন সব রকম সাহয্যের আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাসন্তীতে (South 24 Parganas) গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ রাজ্যপাল যান বাসন্তীর গাগড়ামারি গ্রামে। সেখানে গত কয়েক দিন ধরে তৃণমূলের যুব, মাদার এবং নির্দলের মধ্যে অশান্তি লেগেই রয়েছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। সেই সমস্ত সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে বাসন্তীর নিহত যুব তৃণমূল কর্মী জহিরুল মোল্লার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। জহিরুল মোল্লার বড় মেয়ে আবার তৃণমূলের প্রার্থী। তাঁর দাবি, প্রশাসন চক্রান্ত করে বাড়িতে আসতে দেয়নি রাজ্যপালকে। শাসক দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করছেন তৃণমূল প্রার্থী।

    কেন গেলেন রাজ্যপাল (South 24 Parganas)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে উত্তাল। এই পর্যন্ত গত ২৩ দিনে ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু যে শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ ঘটছে তাই নয়, এলাকা বিশেষে পুরাতন এবং নব্য তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের কথাও উঠে এসেছে। শুধু সংঘর্ষই নয়, মারামারি, প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটছে নির্বাচনকে ঘিরে। এর মধ্যে তৃণমূলের যাঁরা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছে বঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহ। গতকাল কোচবিহারের দিনহাটায় নির্দল প্রার্থীর ঘনিষ্ঠ গুন্ডারা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে ধরালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। আহত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে হাসপাতালে দেখতে যান রাজ্যপাল। ফেরার সময় ট্রেন থেকে রাতে খবর নেন আরও আক্রান্তদের।

    এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বসন্তীতে তৃণমূলের যুব এবং মাদার সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্পষ্ট হয়। বাসন্তীর যুব তৃণমূল নেতা জহিরুল মোল্লাকে গুলি করে হত্যা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই। মৃত জহিরুল মোল্লার বড় মেয়ে রাজ্য পুলিশের প্রতি আস্থা নেই বলে জানিয়ে দেন। এমনকি সিবিআই এবং রাজ্যপালের উপর ভরসা আছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আজ সোমবার তাই রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই পরিদর্শনে যান বাসন্তীতে (South 24 Parganas)। নির্বাচন সময় পর্বে রাজ্য জুড়ে ঘটা অশান্তির এলাকা পরিদর্শন করে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ভয়মুক্ত পরিবেশ গঠনের কথাই বারবার বলেন তিনি।

    স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য

    কাঁঠালবেড়িয়া (South 24 Parganas) অঞ্চলের তৃণমূলের যুব সভাপতি সনৎ দত্তের মা বীণা দত্ত বলেন, আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাজা গাজি নির্দলের হয়ে মাদার তৃণমূলের পক্ষ থেকে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। বীণা দেবী বলেন, আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিনপাত করছি। আমরা যুব তৃণমূল করি। কিন্তু মাদার তৃণমূলের সঙ্গে নির্দলরা যুক্ত হয়ে রোজ ভয় দেখাচ্ছে। বাড়িতে বেশ কয়েকবার বোমাও মারা হয়। ইতিমধ্যেই আমার স্বামী বোমার আতঙ্কে তিনবার স্ট্রোক হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাজ্যপাল এসেছেন, আমাদের কথা তাঁকে বলেছি। রাজ্যপাল সব রকম সাহয্যের আশ্বাস দিয়েছেন। উনি একটি নম্বরও দিয়ে গেছেন। যদি আরও কোনও রকম অসুবিধা হয়, তাহলে সেই কথাও জানাতে বলেছেন।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: হাতে দলের ঝান্ডা, পুলিশি কায়দায় রাস্তায় নাকা চেকিং তৃণমূলের!

    Panchayat Election: হাতে দলের ঝান্ডা, পুলিশি কায়দায় রাস্তায় নাকা চেকিং তৃণমূলের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্য রাতে শক্ত লাঠিতে বাঁধা ঝান্ডা হাতে পুলিশের ভূমিকায় তৃণমূল কর্মীরা। ‘পাহারাদার’ হয়ে রীতিমতো পুলিশের কায়দায় নাকা চেকিং করছে তৃণমূল প্রার্থী সহ তৃণমূলী বাহিনী। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে বিজেপির ‘আমদানি’ আটকাতেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ‘পাড়ায় পাড়ায় পাহারাদার’ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি জেলা নেতৃত্বের। বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এমন ছবি প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে, শাসক দল তৃণমূল কি তাহলে ভরসা হারাচ্ছে পুলিশের উপর থেকেও? আর এভাবে রাস্তায় গাড়ি আটকে পুলিশের মতো করে তৃণমূল কর্মীরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কী জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তৃণমূল কর্মীরা?

    ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২ টা ৪৫। মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন কঙ্কাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপগড় এলাকায় মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কের ওপর রীতিমতো পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন জনা কুড়ি তৃণমূল কর্মী। একেবারে পুলিশের কায়দায় রাজ্য সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী গাড়িদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তাঁরা। কোথায় যাবেন? কার কাছে যাবেন? গাড়িতে কী আছে? পুলিশি কায়দায় তৃণমূল কর্মীরা জেরা করছেন গাড়ির চালকদের। শাসক দলের এই কর্মীরাই হচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্বের ঘোষিত ‘পাহারাদার’। আর এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী সুখেন্দুবিকাশ জানা। তিনি বলেন, খবর মিলেছে এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে ভোট কিনতে টাকা ঢোকাচ্ছে বিজেপি। তাই পুলিশের উপর ভরসা না করে বিজেপির টাকা আটকাতে আমরা নেমেছি রাস্তায়। কারণ, রাজ্য পুলিশ এগুলো নিয়ে সব সময় নজর দিতে পারে না। তাই পুলিশের কাজ নিজেদের ঘাড়ে তুলে নিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। রাত দশটা থেকে ভোর তিনটে পর্যন্ত নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই পাহারাদারির কাজ করে যাব আমরা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, পাড়ায় পাড়ায় পাহারাদার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে বিজেপি টাকা ঢোকাতে পারে এলাকায়, সূত্র মারফত এমন খবর পাওয়ার পরেই তড়িঘড়ি জেলার বিভিন্ন গ্রামে রাত পাহারায় ‘পাহারাদার’ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এলাকায় সন্ত্রাস তৈরির জন্য এমন পদক্ষেপ, দাবি বিজেপির। স্বাভাবিকভাবেই শাসক দলকে কড়া নিশানা বিজেপির। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অরূপ দাস বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে পাহারাদারির নামে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য গ্রামে গ্রামে যুবকদের রাস্তায় নামিয়েছে শাসক দল তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের কাছে গোটা বিষয় লিখিত আকারে জানানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Stroke: চকোলেট, কেক বা রসগোল্লা, মিষ্টিপ্রেম কি বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের?

    Stroke: চকোলেট, কেক বা রসগোল্লা, মিষ্টিপ্রেম কি বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অনুষ্ঠানের শেষ পাতে গরম, নরম রসগোল্লা কিংবা অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কেটে উদযাপন। মিষ্টি ছাড়া কিছুই সম্পূর্ণ নয়। নতুন বছরের শুরু থেকে জন্মদিন, যে কোনও আনন্দে মিষ্টিমুখ করানোটা যেন বাধ্যতামূলক। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, মিষ্টিতেই আছে যত বিপদ! বিশেষত হাইপারটেনশনের সমস্যা থাকলে মিষ্টিপ্রেম বাড়াতে পারে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি! 

    কী বলছেন চিকিৎসকরা (Stroke)? 

    সম্প্রতি ইতালির মিলান শহরে ইউরোপিয়ান কার্ডিওভাসকুলার সোসাইটির সম্মেলন হল। সেখানেই চিকিৎসকরা জানালেন, বিশ্ব জুড়ে হাইপারটেনশনের সমস্যা বাড়ছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় শুধু বয়স্করা নন, কমবয়সীরাও সমান ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই জীবন যাপনের ধারায় পরিবর্তন দরকার। খাদ্যাভ্যাস থেকে ঘুম, শারীরিক কসরত, সব কিছু নিয়েই সজাগ থাকা জরুরি। না হলে বাড়তে পারে বিপদ (Stroke)!

    কোন বিপদের (Stroke) আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা? 

    ওই সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে জরুরি। কারণ, হাইপারটেনশনের জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি (Stroke) বাড়ে। পাশপাশি বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি। যার জেরে শারীরিক অক্ষমতা তৈরি হতে পারে।

    কেন বাড়ছে হাইপারটেনশনের (Stroke) সমস্যা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে বাড়ছে মানসিক চাপ। কাজের চাপের পাশপাশি আধুনিক জীবনে পারিবারিক চাপও বাড়ছে। তার জেরে যেমন অবসাদের মতো মানসিক রোগ দেখা যাচ্ছে, তেমনি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দেখা যাচ্ছে। যার জেরে বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের (Stroke)। তাছাড়া, খাদ্যাভ্যাসের জেরেও দেহে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

    খাদ্যাভ্যাসে কী ধরনের বদলের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    সাম্প্রতিক এই সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চললে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি কমবে। কেক, চকোলেট, হটডগ বা যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবার হাইপারটেনশন রোগীর জন্য একেবারে ভালো নয়। তাছাড়া অতিরিক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও চর্বিজাতীয় মাংস, মাছ বা যে সব দুগ্ধজাত জিনিসে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা আছে, তা নিয়মিত খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, কিসমিস, খেজুর, পেস্তা, আখরোটের মতো ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খাওয়া দরকার। তাছাড়া, নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকুক যব, ভূট্টার মতো দানাশস্য। ডাল, বিনস নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। এছাড়া ফল ও সবজি খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে শরীরে ভিটামিন, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না হয়। তাছাড়া, দুধ জাতীয় জিনিস যেমন পনির, টক দই এগুলো নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, প্রাণীজ প্রোটিনও শরীরের জন্য জরুরি। কারণ, শরীরে আয়রন, ভিটামিন, ফসফরাস প্রাণীজ প্রোটিন থেকেই পাওয়া যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিম, চিকেন বা মাছ নিয়মিত খেতে হবে। তবে অতিরিক্ত ফ্যাট যাতে না থাকে, সেটা খেয়াল রাখা জরুরি। তাই যেমন চর্বিজাতীয় মাংস বাদ দিতে হবে, তেমনি অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রাতে সরকারি স্কুলে মদ-মাংসের পিকনিক! ভোট কেনার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Nadia: রাতে সরকারি স্কুলে মদ-মাংসের পিকনিক! ভোট কেনার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে সরকারি স্কুল খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে চলছে মাংস-ভাত খাওয়া। স্কুল চত্বরে পড়ে রয়েছে মদের বোতল। ভোটের আগে এলাকা দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি বলছে, নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের চোখে কি তুলসি পাতা লাগানো রয়েছে?

    ঘটনা কী ঘটেছে (Nadia)?

    সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। গ্রামগঞ্জের প্রতি বুথে চলছে রাতের বেলায় খাওয়া-দাওয়ার আসর। একই ভাবে নবদ্বীপ (Nadia) বিধানসভার চরমাজদিয়া চরব্রহ্মনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি সরকারি স্কুলে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা লাগিয়ে চলল মাংস-ভাত খাবার আয়োজন। গ্রামের মানুষকে নিমন্ত্রণ করে চরমাজদিয়া গভর্নমেন্ট কলোনি জুনিয়র স্কুলে হয়ে গেল পিকনিক। স্কুলের চৌদ্দহির ভিতরেই পড়ে রয়েছে মদের বোতল। আর এ নিয়েই বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীরা ওই এলাকায় মাংস-ভাত খাইয়ে ভোট কিনতে চাইছে! রাতের বেলায় স্কুলের চাবি পেল কোথায় তৃণমূল কংগ্রেস? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। স্কুলের ভিতরে মাইক এবং দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেদার অনুষ্ঠান রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। ভোটের আগে এলাকায় শাসক দলের এই আচরণে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Nadia) বিজেপি নেতা দিলীপ সরকার বলেন, এই স্কুলের শিক্ষকরা আসেন এবং চলে যান। পড়াশুনা হয় না বললেই চলে। রাজনৈতিক নেতাদের গোপন আস্তানা হয়েছে এই স্কুল। ভোটের নিয়মবিধি চালু হওয়ার পর থেকেই স্কুলের মধ্যে তৃণমূলের পাতাকা লাগিয়ে মাংস-ভাত খাইয়ে রাতের অন্ধকারে ভোট কেনাবেচা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা কি কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না! নাকি চোখে তুলসি পাতা লাগিয়ে রেখেছেন! ঠিক এই ভাবেই শাসকদলের ভোট কেনার কথা বলে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন এই বিজেপি নেতা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Nadia) তৃণমূল নেতা বলেন, খাওয়া দাওয়ার সেরকম কিছু ব্যাপার নয়। ওই এলাকায় সারা বছরই স্কুলে পিকনিক হয়। দুর্গাপুজো, কালীপুজো এরকম বছরের ১২ থেকে ১৩ বার খাওয়া দাওয়া চলে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই। মদ খাওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যারা মদ খায় তারা খেতেই থাকে, সারা বছরই মদ খায়। নির্বাচনকে সামনে নিয়ে বিরোধীরা মূলত অপ্রচার করছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gautam Buddha: চারদিকে চরম অস্থিরতা, বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বুদ্ধের পথে এগিয়ে চলার বার্তা

    Gautam Buddha: চারদিকে চরম অস্থিরতা, বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বুদ্ধের পথে এগিয়ে চলার বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব জুড়ে চরম অস্থিরতার মধ্যে মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে অনুষ্ঠিত হল ‘বিশ্ব শান্তি ও সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় বৌদ্ধ ধর্মের (Gautam Buddha) অবদান’ বিষয়ে এক আলোচনা সভা। চিনার পার্কের একটি সংগঠনের উদ্যোগে এই কনফারেন্সে দেশ-বিদেশের বৌদ্ধ ধর্মের সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউএসও কানাডার হাং সেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী টেম্পলের প্রধান ডক্টর ভেন ভিক্ষুনী টি এন জি ঐ হাঙ। 

    কী বার্তা দিলেন টেম্পলের (Gautam Buddha) প্রধান?

    ডক্টর ভেন ভিক্ষুনী টি এন জি ঐ হাঙ বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে বিশ্ব শান্তি ফিরিয়ে আনতে গৌতম বুদ্ধের (Gautam Buddha) দেখানো পথে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। গৌতম বুদ্ধ ভারতে জন্মেছিলেন। তাই তাঁরা যে সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ বিদেশে রয়েছেন, তাঁদের কাছে ভারত দ্বিতীয় জন্মভূমি। বিশ্ব শান্তির জন্য যে মানুষটি এত কাজ করে গেছেন, তাঁর জন্মভূমিতে এসে নিজেদেরকে গর্বিত মনে করছেন তাঁরা। গৌতম বুদ্ধের আদর্শে মানুষকে সেবা করার সংকল্প নিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে কাজ করে চলেছেন তাঁরা। সুদূর আমেরিকা থেকে অর্থ সাহায্য এনে তিনি ও অন্যান্য বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনীরা একত্রে চিনার পার্ক এলাকার গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের হাতে চাল, ডাল সহ খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। তিনি বলেন, গৌতম বুদ্ধের দেশে এসে মানুষকে সেবা করতে পেরে তাঁরা খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। গৌতম বুদ্ধের বাণী এবং কর্মকাণ্ড নিয়ে তাঁর লেখা ২৬ টি পুস্তক তিনি শহরের বিশিষ্ট মানুষদের হাতে তুলে দেন।

    কী বললেন উদ্যোক্তারা (Gautam Buddha)?

    সংগঠনের (Gautam Buddha) জেনারেল সেক্রেটারি বুদ্ধপ্রিয় মহাথের বলেন, সারা বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য গৌতম বুদ্ধের আদর্শকে পাথেয় করা উচিত। সমস্ত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই পরামর্শই তিনি সকলকে দিয়ে চলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share