Tag: Madhyom

Madhyom

  • Panchayat Election: ভোটের ময়দানে জমে উঠেছে মা ও মেয়ের লড়াই

    Panchayat Election: ভোটের ময়দানে জমে উঠেছে মা ও মেয়ের লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মা জয়ী হবেন, না মেয়ে? পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি এই আলোচনায় সরগরম। এমনিতেই ভোটের ময়দানে কাকা-ভাইপো, দুই ভাই কিংবা দুই জায়ের লড়়াইয়ের একাধিক নজির রয়েছে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের লড়াইয়ের ময়দানে মা ও মেয়ে। ভোট প্রচারে বেরিয়ে মুখোমুখি হতেই হল সৌজন্য বিনিময়ও।

    মা ও মেয়ে কোন দলের প্রার্থী হয়েছেন?

    পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) একই বুথে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তাঁরা ভোট প্রচারও চালাচ্ছেন জোরদার। খেজুরির হলুদবাড়ি অঞ্চলের দেখালি ১৫৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন পূর্ণিমা রানি দোলাই। ওই একই বুথে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন পূর্ণিমা রানি দোলাইয়ের মেয়ে তথা বিজেপি প্রার্থী পম্পা মাইতি। সকাল থেকেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট প্রচার করছে যুযুধান দু পক্ষই। একদিকে মা শাসক দলের উন্নয়নকে সামনে রেখে ভোট প্রচার করছেন। অপরদিকে শাসক দলের দুর্নীতি ও এলাকার রাস্তাঘাটের সমস্যা নিয়ে বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচার করছেন মেয়ে।

    কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী মা?

    মা ও মেয়ে দুজনেই আশাবাদী, একে অপরকে টেক্কা দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে বাজিমাত করবেন। ভোটের ময়দানে (Panchayat Election) লড়াই যাই হোক না কেন, সম্পর্কে একটু ভাটা পড়বে, এমনটাই জানালেন দুই প্রার্থী। এক অপরকে ভোটে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। বাম আমলে খেজুরি ছিল সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি। পালা বদলের পর তৃণমূল রাজত্ব করতে শুরু করে। কিন্তু, ২০২১ বিধানসভা ভোটে সেই রাজত্ব ভেঙে দিয়ে জায়গা করে নেয় বিজেপি। তাই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খেজুরিতে কার রাজত্ব কায়েম হয়, সেটাই এখন দেখার। তৃণমূল প্রার্থী পূর্ণিমা রানি দোলাই বলেন, উন্নয়নের নিরিখে মানুষের কাছে যাচ্ছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি। মেয়ে নির্বাচনে লড়াই করলেও কোনও ফ্যাক্টর হবে না। আমি জয়ের বিষয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী মেয়ে?

    বিজেপি প্রার্থী পম্পা মাইতি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মায়ের বিরুদ্ধে লড়াই হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু, আমি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। মায়ের সঙ্গে নয়। মায়ের জায়গা যেমন ছিল তেমন রয়েছে। মূলত পানীয় জলের সমস্যা, রাস্তা বেহাল সহ একাধিক অনুন্নয়ন নিয়ে আমরা সরব হয়েছি। সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। ফলে, ভোটে জয়ী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ফের গোষ্ঠী কোন্দল! আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    Cooch Behar: ফের গোষ্ঠী কোন্দল! আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত দিনহাটা (Cooch Behar)। এবার দিনহাটা গিতালদহ-১ এর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মাহফুজার রহমান এবং তাঁর শ্যালককে নির্দল প্রার্থী রফিকুল বেধড়ক মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান অভিযুক্ত রফিকুল তৃণমূলের কর্মী। কিন্তু সে এবার নির্দল প্রার্থী। বর্তমানে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কোচবিহারের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Cooch Behar)?

    গীতালদহ-১ এর (Cooch Behar) ভোরাম গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী খলিল মিয়ার ছেলেকে আটকে প্রচণ্ড মারধর করার কথা শুনতে পান মাহফুজার রহমান। তিনি যেহেতু সেখানকার অঞ্চল সভাপতি, তাই সেই এলাকায় খলিলের ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে মাহফুজারকে নির্দলের দুষ্কৃতীরা বেঁধে প্রচণ্ড মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। মাহফুজার রহমান এখন গুরুতর আহত অবস্থায় নার্সিংহোমে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানা গেছে।

    মাহফুজার রহমানের পরিবারের বক্তব্য

    মাহফুজারের ভাইপো সম্রাট বলেন, নারায়ণগঞ্জ সাতঢলের পাড়ে (Cooch Behar) নির্দল প্রার্থী রফিকুল, আমার কাকা মাহফুজার রহমান এবং তাঁর শ্যালককে দলবল নিয়ে হামলা করে। বাঁশ, কাঠ লোহা এবং বন্দুক দিয়ে হামলা করে। বাঁ হাত এবং বাঁ পায়ে ব্যাপক আঘাত লাগে। আঘাতের চিহ্নে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। রাজনৈতিক কারণেই এই হামলা বলে মন্তব্য করেন সম্রাট।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, বর্ডার এলাকাগুলোতে (Cooch Behar) বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। ভোটের মুখে সীমান্তবর্তী এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘটনায় মোট তিনজন আহত হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, শুধু মারধরই করেনি, সেই সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায়, পায়ে আঘাত করা হয়েছে আমাদের অঞ্চল সভাপতিকে। দুষ্কৃতীরা মদত কোথা থেকে পাচ্ছ্‌ সেটা তদন্ত করার কথা বলেন তিনি। অঞ্চল সভাপতিকে এভাবে মারধর করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল প্রার্থীর দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম, জেলা জুড়ে শোরগোল

    TMC: তৃণমূল প্রার্থীর দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই ব্যক্তির দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম। এরকম একজনকে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল (TMC)। বিষয়টি জানাজানি হতে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার জেমেরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়  রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি।

    তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার জেমেরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪১ নম্বর বুথে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী পঙ্কজ কুমার যাদব। পঙ্কজ কুমার যাদব জে কে নগর এলাকায় বসবাস করেন। এখানকার তিনি ভোটার। এই সংসদ থেকেই তিনি ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু, পঙ্কজ কুমার যাদবের বিহার রাজ্যের লক্ষ্মীসরাই জেলার ১৬৭ সুরোজগরা কেন্দ্রে পার্ট নম্বর ৩০৯ এবং সিরিয়াল নম্বর ২৭৭ এ নাম রয়েছে। এরকম একজন ব্যক্তিকে প্রার্থী করায় দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী?

    পঙ্কজ কুমার যাদব বলেন, আমার বাড়ি বিহারে। তবে, সেখানে আমি খুবই কম যাই। দল যখন আমাকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন আমি জানতে পারি বিহারে আমার ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে বিহারে ভোটের তালিকায় নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করি। তারপরই বিহারের ভোটার তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। এই বিষয় নিয়ে আমি কিছুই জানি না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিতে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, কীভাবে এক ব্যক্তির দুই জায়গায় ভোটার কার্ড থাকতে পারে। দ্রুত পঙ্কজ কুমার যাদবের প্রার্থী পদ বাতিল করতে হবে, নাহলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আসানসোল দক্ষিণ গ্রামীণ তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের ব্লকের সহ-সভাপতি চঞ্চল মুখোপাধ্যায় বলেন, পঙ্কজ কুমার যাদবের জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিরোধী প্রার্থীরা ভোটের ময়দানে পঙ্কজের কাছে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত হতে বাধ্য। সেই জন্য বিরোধীরা পঙ্কজের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ২০২২ সালে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিহারের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। বর্তমানে তাঁর শুধুমাত্র এক জায়গাতেই নাম রয়েছে। বিরোধীরা চক্রান্ত করে তাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। রানীগঞ্জের বিডিও অভীক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই বিষয় নিয়ে আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: ‘‘নারীর অধিকার রক্ষায় ইউসিসি খুব গুরুত্বপূর্ণ’’, মত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর

    Uniform Civil Code: ‘‘নারীর অধিকার রক্ষায় ইউসিসি খুব গুরুত্বপূর্ণ’’, মত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হতে পারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বিল। গত বেশ কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে চলছে জোর চর্চা। সম্প্রতি সেই জল্পনা গতি পেয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের মধ্যে একমাত্র গোয়া রাজ্যে চালু রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানবিধি। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘লিঙ্গ বৈষম্য রোধ করতে এবং নারী ক্ষমতায়নের জন্য অভিন্ন দেওয়ান বিধি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’ 

    অভিন্ন দেওয়ান বিধি নিয়ে কী বললেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী?

    অনেক রাজনৈতিক দল এটা নিয়ে রাজনীতি করছে, এমনই অভিযোগ করেন এদিন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা অভিন্ন দেওয়ান বিধির বিরোধিতা করছেন তাঁরা আসলে নারী ক্ষমতায়ন চাইছেন না। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ধর্ম জাতিতে কোনও বৈষম্য করেনা। ’’

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধির জন্য প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী

    গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘ এই বিলের কথা ভাবার জন্য মোদীজিকে ধন্যবাদ। গত ৬০ বছর ধরে গোয়াতে চালু রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। কোথাও সমস্যা হয়নি।’’

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    বর্তমানে দেশে বিবাহ, বিচ্ছেদ এবং দত্তক গ্রহণের মতো ব্যক্তিগত বিষয়গুলির জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব ব্যক্তিগত আইন রয়েছে। যেমন মুসলিম ল’, হিন্দু পার্সোনাল ল’। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) লাগু হয়ে গেলে অবসান ঘটবে এই সব ব্যক্তিগত আইনের। গত ১৪ জুন কেন্দ্র নিযুক্ত আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সাড়ে ৮ লক্ষ ব্যক্তি ও সংগঠন। সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “কোনও পরিবারে যদি প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা আইন থাকে, তাহলে কি সেই সংসার চালানো যায়?” তিনি বলেন, “দেশের এক একটি সম্প্রদায়ের জন্য যদি এক এক রকম আইন থাকে, তাহলে দেশ এগোতে পারে না। সংবিধানেও সকলের জন্য সমান আইনের (Uniform Civil Code) কথা বলা আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: “মণিপুরকে ভাগ হতে দেব না”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং

    Manipur: “মণিপুরকে ভাগ হতে দেব না”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) হিংসা অব্যাহত। প্রায় দুই মাস পার করে গেলেও কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি। মণিপুরের এমন পরিস্থিতিতেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। স্থানীয় সংবাদপত্রগুলির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী লিখে ফেলেছিলেন ইস্তফাপত্র, জমাও দিতে যাচ্ছিলেন রাজ্যপালের কাছে। শেষ মুহূর্তে সাধারণ মানুষের অনুরোধে সিদ্ধান্ত বদল করেন মুখ্য়মন্ত্রী। শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি কোনওভাবে মণিপুরকে বিভক্ত হতে দেব না।”

    ৩ মে থেকেই চলছে মণিপুর (Manipur) হিংসা 

    মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্য়ে সংঘর্ষ শুরু হয় বিগত ৩ মে থেকে। জনজাতি ছাত্র সংগঠনের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে সেদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। সরকারি হিসাবে এখনও অবধি ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০০ জন। কমপক্ষে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে ১০১ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

    কী বলছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী?

    বিভিন্ন সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বলেন, “মণিপুর (Manipur) যাতে বিভক্ত না হয় এবং ভিন্ন প্রশাসন তৈরি না হয়, তার জন্য আমি চেষ্টা করব। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এবং বিজেপির তরফ থেকেও বলছি যে ভিন্ন প্রশাসন তৈরি করে মণিপুরকে বিভক্ত হতে দেব না। রাজ্যের অখণ্ডতা বজায় রাখতে সব ধরনের ত্যাগ করতে রাজি।” সংঘর্ষের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, “আমি নিজেও বিভ্রান্ত যে কেন এই সংঘর্ষ হচ্ছে। মণিপুর হাইকোর্টের তরফে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে মেতেইদের তফশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা, তা নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তাবনা জমা দিতে। হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই আমি পাহাড়ি এলাকার বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা বলেছিলেন যে প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার আগে ভাবনাচিন্তার জন্য যেন কিছু সময় দেওয়া হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: প্রয়োজনে ঘরে ঢুকে মেরে আসতে পারি, পাকিস্তানকে বার্তা রাজনাথের

    Rajnath Singh: প্রয়োজনে ঘরে ঢুকে মেরে আসতে পারি, পাকিস্তানকে বার্তা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও নাম না করে পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি এদিন বলেন, ‘‘কোনও প্রতিবেশী যদি ভারতের ক্ষতি করতে চায়, তাকে যথাযোগ্য জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত।’’ এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হাজির ছিলেন ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত জেলা কানকেড়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এদিন জানান, মোদি জমানায় সারা দেশেই কমেছে নকশালদের উপদ্রব। এদিন ছত্তিশগড়ে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণেরও অভিযোগ তোলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বিজেপি সারা দেশেই প্রচার কর্মসূচি চালাচ্ছে মহা জনসম্পর্ক অভিযানের নামে। মোদি সরকারের ৯ বছরের সাফল্য তুলে ধরাই লক্ষ্য এই কর্মসূচির। সে রাজ্যের নরহরদেব হাইস্কুলের মাঠে এই কর্মসূচি আয়োজিত হয়।   

    সন্ত্রাস দমনে সফল মোদি সরকার

    এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর (Rajnath Sing) ভাষণে উঠে আসে ২০১৬ সালের উরি হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামার সন্ত্রাস হানা প্রসঙ্গ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী স্মরণ করান, দেশ এখন শক্তিশালী হাতেই রয়েছে। ঠিক এই কারণে এই দুই হামলার কুচক্রীদের যোগ্য জবাব ভারত দিতে পেরেছে। তিনি এদিন এই হামলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘তখন আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলাম, সন্ত্রাসী হামলায় কয়েকজন জওয়ানের শহিদ হওয়ার খবর পেলাম। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সম্পন্ন হল। মাত্র ১০ মিনিটেই পাল্টা আক্রমণের সিদ্ধান্ত হল। আমাদের সেনা সন্ত্রাসীদের যোগ্য জবাব দিল।’’

    পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    এদিন নাম না করে কড়া ভাষায় পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায় রাজনাথ সিংকে (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার প্রতিবেশীকে বলতে চাই, কোনও প্ররোচনা ছড়াবেন না। প্রয়োজন পড়লে ঘরে ঢুকে মেরে আসতে পারি আমরা। এখন আমার দেশ অনেক পরিবর্তিত।’’ এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির ভূয়সী প্রশংসাও শোনা যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মুখে। তিনি জানান, গরিব এবং দলিত কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী মোদির নীতি ঠিক তাঁর পূর্বতন অটল বিহারী বাজপেয়ির মতোই। এদিন ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকারকেও এক হাত নেন রাজনাথ। তাঁর দাবি, গত পাঁচ বছরে কোনও কাজই করেনে কংগ্রেস সরকার। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই ছত্তিশগড় রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: গোষ্ঠী কোন্দলের জের, বাসন্তীতে যুব তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন

    Panchayat Poll: গোষ্ঠী কোন্দলের জের, বাসন্তীতে যুব তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। শুধু গুলিবিদ্ধ হয়ে একের পর এক রাজনৈতিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এবার যুব তৃণমূল কর্মীকে খুন করার ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ওই যুব তৃণমূল কর্মীর। মৃতের নাম জিয়ারুল মোল্লা (৪২)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বাসন্তী থানার ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতরাখালি এলাকায় রাস্তার পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুব তৃণমূল কর্মীকে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। রাতে বিশেষ কাজের জন্য ক্যানিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের চাতরাখালি-ঘাগরামারি এলাকায় রাতের অন্ধকারে তাঁকে কেউ বা কারা গুলি করে পালিয়ে যায়। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেখা যায়, ঠিক মাথায় গুলি লেগেছে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বাসন্তী থানার পুলিশ গিয়ে জিয়ারুলকে উদ্ধার করে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। খানিক পরেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    কী বললেন নিহত যুব তৃণমূল কর্মীর ছেলে?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জিয়ারুল যুব তৃণমূল করত, সেই কারণে তাকে প্রায়শই খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাদের দাবি, রাজনৈতিক শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে জিয়ারুলকে। নিহতের ছেলে মিজানুর মোল্লা বলেন,  বাবাকে অনেকদিন ধরেই মাদার তৃণমূলের লোকেরা নিজেদের সঙ্গে যোগ দিতে বলেছিল, কিন্তু, বাবা রাজি হয়নি। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) আগে নতুন নতুন অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হত। এবার বাবাকে গুলি করে খুন করা হল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।

    পুলিশের প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    এদিকে খবর পেয়ে ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস সহ পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। ক্যানিং হাসপাতালে আসেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস। জিয়ারুলের মৃত্যুকে শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। এদিকে এ বিষয়ে ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস বলেন, মৃতের পরিবারকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যদিও এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Saff Cup 2023: লেবাননকে হারিয়ে সাফ কাপের ফাইনালে ভারত! সামনে কুয়েত

    Saff Cup 2023: লেবাননকে হারিয়ে সাফ কাপের ফাইনালে ভারত! সামনে কুয়েত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাইব্রেকারে লেবাননকে হারিয়ে সাফ কাপের (Saff Cup 2023) ফাইনালে ভারত। বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে এই অনন্য জয় পেল সুনীল ছেত্রীদের দল। ম্যাচ ট্রাইবেকার পর্যন্ত গড়াত না, তার আগেই জিতে যাওয়ার কথা ভারতের। কিন্তু কিছু সহজ সুযোগ এদিন হাতছাড়া করে ভারত। ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু শনিবার লেবাননের বিরুদ্ধে ম্য়াচের নায়ক। ৪-২ গোলে লেবাননকে হারিয়ে ফাইনালে কুয়েতের সামনে ভারত।

    ট্রাইব্রেকারে প্রথম গোল বাঁচিয়ে দেন গুরুপ্রীত

    টাইব্রেকার শুরু হতেই প্রথম পেনাল্টি মারতে যান সুনীল। লেবাননের গোল রক্ষক বাঁচাতে পারেননি সুনীলের শট। অন্য দিকে লেবাননের অধিনায়ক হাসান মাটুকের প্রথম শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত। ফলে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে লেবানন। ভারতের হয়ে সুনীলের পরে আনোয়ার আলি, মহেশ নাওরেম সিংহ ও উদান্তা সিংহ গোল করেন। লেবাননের চতুর্থ শট বারের উপর দিয়ে উড়ে যেতেই ম্যাচ জিতে যায় ভারত।

    প্রথম থেকে ভালো খেলেছে লেবানন

    লেবাননের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। প্রথম থেকেই আক্রমনে ছিল তারা। বেশ কয়েক বার ভারতের বক্সে পৌঁছে যান লেবাননের ফুটবলাররা। কিন্তু গোল করতে পারেননি তাঁরা। এরপর ১৫ মিনিটের পর থেকে ধীরে ধীরে খেলায় ফেরে ভারত। নিজেদের মধ্যে পাশ খেলে আক্রমণ শানাতে থাকেন সুনীলরা। ১৬ মিনিটের মাথায় সুনীলের কাছ থেকে বক্সে ভালো জায়গায় বল পান জিকসন সিংহ। গোল করার সুযোগ থাকলেও তা না করে সাহাল আব্দুল সামাদের দিকে বল বাড়ান তিনি। সাহাল গোলে বল জড়াতে পারেননি। 

    দুই দলের ফুটবলারদের ধাক্কাধাক্কি

    ৩৫ মিনিটের মাথায় লেবানন বক্সের ঠিক বাইরে ফাউল করা হয় শুভাশিস বসুকে। তিনি উঠে ধাক্কা মারেন লেবাননের ফুটবলারকে। মাঠের পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। ফলে দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়। ফ্রি কিক (ফুটবলারকে অন্যায় ভাবে ফেলে দিলে সেই দল বল মারার সুযোগ পায়) থেকে গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গোল হয়নি। ৪১ মিনিটের মাথায় লেবাননের অধিনায়ক মাটুকের ডান পায়ের শট ভালো বাঁচান গুরপ্রীত। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দু’দল। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দু’দল। প্রান্ত ব্যবহার করে বিপক্ষের রক্ষণকে সমস্যায় ফেলেন ভারত ও লেবাননের ফুটবলাররা। কিন্তু কোনওভাবেই গোলে বল জড়াতে পারেননি দুই দলের ফুটবলাররা। ম্যাচ গড়ায় ট্রাইব্রেকার পর্যন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Digital Book: স্বামীজি, নেতাজি ও প্রভুপাদের স্পর্শ পাওয়া দর্শনের পুস্তক এবার ডিজিটাল ফর্মে

    Digital Book: স্বামীজি, নেতাজি ও প্রভুপাদের স্পর্শ পাওয়া দর্শনের পুস্তক এবার ডিজিটাল ফর্মে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিংশ শতাব্দীর তিন উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রীল প্রভুপাদ ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। আর এক অদ্ভুত সমাপতন এই যে তিন দেশনায়ক উত্তর কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র ছিলেন। এই কলেজে অধ্যয়ন কালে তাঁদের মধ্যে আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও চেতনার  উন্মেষ ঘটতে শুরু করে। কলেজের দিনগুলিতে গ্রন্থাগারে গিয়ে তাঁরা মাঝে মধ্যেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দর্শনের বিভিন্ন গ্রন্থের মধ্যে ডুবে থাকতেন। আর এমনই সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে কলেজের তৎকালীন ইতিহাস থেকে। এবার এই তিন মহাপুরুষের হাতের স্পর্শ পাওয়া দর্শনের সেই সব গ্রন্থের ডিজিটাইজেশনের (Digital Book) কাজ শুরু করল স্কটিশ চার্চ কলেজ। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দর্শন এষণা’।

    কী বললেন কলেজের অধ্যক্ষ (Digital Book)?

    এই কাজে আর্থিক‌ ও কারিগরী‌ সহযোগিতা দিয়ে সাহায্য করেছে কলকাতার ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার। কলেজের গ্রন্থাগারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ডিজিটাইজেশন প্রজেক্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষা ডক্টর মধুমঞ্জুরি মণ্ডল। তিনি বলেন, কলেজের জন্ম লগ্ন অর্থাৎ ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দ থেকে সংরক্ষিত প্রায় ১০০০ এর বেশি দুষ্প্রাপ্য দর্শনের বই রয়েছে কলেজের গ্রন্থাগারে। এই সব মহাপুরুষদের হাতের স্পর্শ পাওয়া গ্রন্থ সমূহ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হতে বসেছে। তাই অনেক দিন থেকেই এই সমস্ত বই ডিজিটাইজ (Digital Book) করার পরিকল্পনা চলছে। সম্প্রতি কলেজের গভর্নিং বডি সিদ্ধান্ত নেয় এই কাজ শুরু করার এবং সেই কাজ বর্তমানে চলছে। ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় তাঁরা খুবই উপকৃত হলেন। এর ফলে মূল্যবান ইতিহাস রক্ষিত হতে পারল।

    সাহায্য করছে ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার (Digital Book)

    ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন সুমন্ত রুদ্র বলেন, প্রায় এক হাজার বই ডিজিটাইজ (Digital Book) করতে ৮ মাস সময় ধরা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে দর্শনের বই ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। পরবর্তীকালে অন্যান্য দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের ডিজিটাইজেশনের কাজে তাঁরা কলেজের পাশে থাকবেন।  ভবিষ্যতে কলেজের ওয়েবসাইট থেকেই এইসব পুস্তক পাঠ করার সুযোগ পাওয়া যাবে ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pm Modi: ‘‘প্রতি বছর কৃষি ক্ষেত্রে সরকারের বরাদ্দ ৬.৫ লাখ কোটি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Pm Modi: ‘‘প্রতি বছর কৃষি ক্ষেত্রে সরকারের বরাদ্দ ৬.৫ লাখ কোটি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষি এবং কৃষকদের জন্য প্রতি বছর ৬.৫ লাখ কোটি টাকা ব্যয় হয় সরকারি কোষাগার থেকে, এমনই তথ্য উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘প্রতিটি কৃষক ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা করে লাভ করবেনই, এটা আমার গ্যারান্টি (ইয়ে মোদি কা গ্যারান্টি হ্যায়)।’’ শনিবার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন দিল্লিতে আয়োজিত ১৭ তম কো-অপারেটিভ কংগ্রেসের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দিতে। সেখানেই তিনি এ কথা বলেন।

    আরও পড়ুন: ইতিহাসের পাতায় পুরানো! বাদল অধিবেশন কি নয়া সংসদ ভবনেই?

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)?

    শনিবার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমি যা বলছি তা প্রতিশ্রুতি নয়। যা কাজ করতে পেরেছি, তার ভিত্তিতেই কথা বলছি। ২০১৪ সালের আগে দেশে যখন কংগ্রেস জমানা ছিল তখন মাঝারি এবং ছোট কৃষকরা হতাশায় ভুগতেন। কংগ্রেস সরকারের কোনও নীতি ছিল না তাঁদের প্রতি।’’

    ২০১৪ সালের পর থেকেই দেশের নীতি পরিবর্তিত হয়েছে 

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এদিন বলেন, আপনারা সকলেই নিশ্চয় উপলব্ধি করতে পারছেন যে ২০১৪ সালের পর থেকে দেশের নীতি পরিবর্তিত হয়েছে। এবং তার সুফলও মিলছে। ২০১৪ সালের আগে দেশের কৃষকরা বলতেন সরকার খুবই সামান্য সাহায্য করে। যেটুকু সাহায্য কংগ্রেস জমানায় পাওয়া যেত সেটাও আবার দালালদের অ্যাকউন্টে ঢুকতো। কিন্তু এখন দিন বদলেছে।  

    কয়েক কোটি কৃষক পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি  

    প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও জানান, কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ২.৫ লাখ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটাই হল গত ন’ বছরের পরিবর্তন। কোনও মিডলম্যান নেই। ’’ প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘২০১৪ সালের আগে দেশে কৃষিক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ হতো ৯০ হাজার কোটি টাকা।’’

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি, তুষার লিঙ্গ দর্শনে অমরনাথের পথে পাড়ি দ্বিতীয় দলেরও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share