Tag: Madhyom

Madhyom

  • Panchayate Vote: দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    Panchayate Vote: দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর ৭দিন বাকি। তার আগে আবার তৃণমূলে ভাঙন। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি বিধানসভার লোহাগঞ্জ এলাকায় একটি যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ যেখানে তৃণমূল ছেড়ে ২০টি আদিবাসী পরিবারের প্রায় ৯০ জন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেন। এদিন বিকেলে সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। জেলা সভাপতির পাশাপাশি যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ২০টি আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় বিজেপির শক্তি (Panchayat Vote) বাড়ল বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে মানুষ যেভাবে বিজেপিতে যোগাদান করছে, তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় বিজেপি ভালো ফল করবে বলে আশাবাদী দলের জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী।

    কী বললেন যোগদানকারীরা (Panchayat Vote)?

    এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, তৃণমূল দল আমাদের দেখে না। আমরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূল নেতারা বলে, আমরা তাদের ভোট (Panchayat Vote) দিইনি। তারা ভোটের সময় খাওয়াদাওয়া দিয়েছিল। সেই খাওয়াদাওয়া দিয়ে পরে বলে, আমরা তোমাদের ভোট কিনে নিয়েছি। তোমরা কোনও সুযোগ সুবিধা পাবে না। তাই আমরা তৃণমূল দল থেকে বেরিয়ে আজ বিজেপিতে ২০ টি পরিবার যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি (Panchayat Vote)?

    বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, লোহাগঞ্জে এদিন ২০ টি আদিবাসী পরিবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করল। যোগদানকারীরা সবাই তৃণমূল করত। কিন্তু তৃণমূল দল তাদের কোনও সুযোগ সুবিধা দেয়নি। তৃণমূল তাদের বার বার বলেছে, আমরা ভোট কিনে নিয়েছি, কেন সুযোগ সুবিধা দেব। তৃণমূল এইভাবে দিনের পর দিন এই লোহাগঞ্জ এলাকার মানুষদের বঞ্চিত করেছে। সেই জন্য আজ লোহাগঞ্জের ২০ টি আদিবাসী পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। এরা যোগদান করায় বিজেপির আরও শক্তি বাড়ল ও আগামী দিনে এই এলাকায় বিজেপি আরও ভাল ফলাফল (Panchayat Vote) করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ০২/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ০২/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) সমস্ত কাজে শুভ ফলাফল লাভ করবেন। 

    ২) বাড়িতে কোনও শুভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে। 

    বৃষ

    ১) পারিবারিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। চাকরিজীবীরা বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন। 

    ২) পরিবারে অতিথি আগমন হতে পারে।

    মিথুন

    ১) চাকরিজীবীরা আজ বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন। 

    ২) কাউকে কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলে তা পূরণ করতে হবে।

    কর্কট

    ১) বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ কাজ পূর্ণ করার চেষ্টা করবেন। মা-বাবার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করবেন।   

    ২) সন্ধ্যাবেলা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাবেন।

    সিংহ 

    ১) নতুন বস্তু কেনার পরিকল্পনা করে থাকলে অবশ্যই জীবনসঙ্গীর পরামর্শ নিন।

    ২) ছাত্রদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অধিক পরিশ্রম করতে হবে, তখনই সাফল্য লাভ সম্ভব।

    কন্যা

    ১) শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কোনও বিবাদ চললে আজ তার সমাধান হবে।  

    ২) সন্ধ্যাবেলা মা-বাবার সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন।

    তুলা 

    ১) দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন করতে পারেন।  

    ২) ছাত্ররা কোনও পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) পরিশ্রম অনুযায়ী ফলাফল পাবেন না। তবে অর্থ লাভে সন্তুষ্ট থাকবেন। 

    ২) পরিবারের সদস্যদের উচ্চাকাঙ্খা পূরণে সক্ষম হবেন।

    ধনু

    ১) পারিবারিক ব্যবসায় ঝুঁকি নিলে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    মকর

    ১) কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মন একাগ্র থাকবে না। এর ফলে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। 

    ২) কারও সাহায্যে কাজ করলে অন্যেরা এর মধ্যে আপনার স্বার্থ খোঁজার চেষ্টা করবে।

    কুম্ভ

    ১) সামাজিক ক্ষেত্রে সম্মান লাভ করবেন।

    ২) সন্ধ্যাবেলা কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।     

    মীন

    ১) যে কাজ হাতে নেবেন, তাতে শীঘ্র সাফল্য লাভ সম্ভব। এর ফলে আপনার মন প্রসন্ন হবে। 
     
    ২) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।   

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Governor: দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল! কেন জানেন?

    Governor: দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না। একথা জানিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবার কালিম্পং কলেজের একটি অনুষ্ঠানের খোলা মঞ্চ থেকে দর্শকাসনে থাকা ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে এই আহ্বান জানান রাজ্যপাল। চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার কালিম্পং সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি প্রথমে ১২ মাইলের এক বৃদ্ধাশ্রমে যান। সেখানকার আবাসিকদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শুনে উপহারও তুলে দেন। তার পর সেখান থেকে চলে যান কালিম্পং কলেজে।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor)?

    কালিম্পং কলেজের ওই অনুষ্ঠানের খোলা মঞ্চ থেকেই তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন। বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। তার পরে তিনি মঞ্চ থেকেই উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের মতামত আহ্বান করেন। তার রেশ ধরে তিনি দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সকলের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে তিনি (Governor) জানান। এই সফরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের ১৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করার বিষয়টিও এদিন তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। শিক্ষার পাশাপাশি সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার বার্তা এই অনুষ্ঠানে দেন রাজ্যপাল। এ ব্যাপারে উপস্থিত পড়ুয়াদের শপথও নেওয়ান তিনি।

    কী বলছে শিক্ষক সমাজ?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপক ও স্কুল শিক্ষকরা বলেন, নিয়োগ থেকে শিক্ষা, সর্বত্র দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগে কালিমালিপ্ত হয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূল সরকারের সংঘাত চলছে। এভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে একের পর পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এবার ব্যাট হাতে ময়দানে নেমেছেন খোদ আচার্য তথা রাজ্যপাল (Governor)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: অভিনব ছড়ার মাধ্যমে ভোট প্রচারে বিজেপি প্রার্থী

    Panchayat Poll: অভিনব ছড়ার মাধ্যমে ভোট প্রচারে বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুথে বুথে আওয়াজ তোলো/ চোরগুলোকে তাড়িয়ে ছাড়ো। কাঁদছে মাটি, কাঁদছে মা/এই দৃশ্য আর না। হুগলির পাণ্ডুয়ার বেনেপাড়া, কালীতলা, সামন্তগলি প্রভৃতি এলাকা পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll) এই ধরনের ফ্লেক্স, ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছে। সৌজন্যে ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রার্থী তনয়া সাহা। এবার বিজেপি থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী তিনি।

    ফ্লেক্সে অভিনব প্রচারে কী লেখা রয়েছে?                 

    পাণ্ডুয়া ব্লক জুড়েই পানীয় জলের সমস্যা। ঘটা করে সজলধারা প্রকল্প আনা হয় বাড়ি বাড়ি। কিন্তু সেখানে সারা দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা সরু সুতোর মতো জলের গতি। তাও চালু হয়েছে মাস দুয়েক আগে। পানীয় জলের জন্য গ্রামে গোটা চারেক নলকুপই ভরসা। কথা হচ্ছিল পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৮২ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী তনয়া সাহার সঙ্গে। এই আসনে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Poll) তৃণমূল প্রার্থী জিতলেও গত বিধানসভাতে বিজেপির লিড ছিল। আর সেই ভরসায় বিজেপি এই আসনে প্রার্থী করেছে গৃহবধূ তনয়া সাহাকে। তফশিলি সংরক্ষিত এই আসনে এবার ত্রিমুখী লড়াই। প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের মামনি রায় এবং সিপিএমের অর্চনা দাস। চুঁচুড়া কোর্টের আইনজীবী সৌম্যদীপ্ত সাহার ঘরণী তনয়া মূলত স্বামীর প্রেরণাতেই এবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন। আর নির্বাচনে দাঁড়িয়েই রীতিমতো চমক সৃষ্টি করেছেন ব্যানার, ফ্লেক্স ও দেওয়াল লিখনে। পাণ্ডুয়ার বুকে এধরনের ছড়া কেটে আর কেউ প্রচার করেননি। বুথে বুথে আওয়াজ তোলো/চোরগুলোকে তাড়িয়ে ছাড়ো। বুক ফুলিয়ে ঘুরিস যে তুই কিসের এতো জোর? বিজেপি করি দাদা, কেউ বলে না চোর।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    তনয়া দেবীর বর্ধিষ্ণু পরিবার। পাণ্ডুয়ার আদি বাসিন্দা। তিনি বলেন, মোদিজির আমলে দেশের উন্নয়ন যে ভাবে হয়েছে, সেটা দেখেই আমি অনুপ্রাণিত হয়ে বিজেপিতে এসেছি। আমি মোদিজির ফ্যান। মানুষের পাশে দাঁড়াবার জন্য, গরিব মানুষগুলোকে সাহায্য করতে আমি প্রার্থী হয়েছি। আমি ভেবে দেখেছি এ রজন্য বিজেপিই হল উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম। আসলে যে এলাকা থেকে আমি পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll) প্রার্থী হয়েছি, সেখানে সাড়ে পাঁচশো ভোটারের মধ্যে অধিকাংশই প্রান্তিক মানুষ। এলাকায় ড্রেনেজ প্রকল্প বলে কিছু নেই। অলিগলিতে পর্যাপ্ত আলো নেই। সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয় জলের। আমার লক্ষ্য নিজের এলাকার উন্নয়ন। আর সেই জন্যই আমার জেতা খুব জরুরি। আর এটা বোঝানোর জন্য স্বামীকে নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় চষে বেড়াচ্ছেন তনয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tala Tank: কলকাতায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে টালা ট্যাঙ্ক, চমকপ্রদ এর ইতিহাস!

    Tala Tank: কলকাতায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে টালা ট্যাঙ্ক, চমকপ্রদ এর ইতিহাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশদের কথা ভাবলে ভারতীয়দের ওপর অত্যাচার, জোর-জুলুমের কথাই বেশি মাথায় আসে। কিন্তু তাদের শাসিত ভারতে ব্রিটিশরা এমন সব স্থাপত্য দিয়ে গিয়েছে, যেগুলির ভূমিকাও উপেক্ষা করার নয়। ব্রিটিশদের এই ধরনের কৃতিত্বের মধ্যে অন্যতম হল কলকাতায় অবস্থিত ‘টালা ট্যাঙ্ক’। এই সুবিশাল ওভারহেড রিজার্ভারটি শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্বের বৃহত্তম ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক (Tala Tank)। এটি কোনও সাধারণ ট্যাঙ্ক নয়। এর পিছনে আছে অনেক ইতিহাস।

    কী উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল এই ট্যাঙ্ক (Tala Tank)?

    ব্রিটিশ আমলে ধীরে ধীরে কলকাতা যখন একটি পূর্ণ শহরে পরিণত হচ্ছে, সেই সময় পরিষেবা বাড়ানো ছিল ব্রিটিশদের মূল লক্ষ্য। তার মধ্যে সব থেকে বেশি যেটির প্রয়োজন ছিল, তা হল নাগরিকদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করা। আর সেই উদ্দেশ্যেই কয়েকটি পুকুর খনন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হেদুয়া, ওয়েলিংটন স্কোয়ার, ভবানীপুরের পুকুর থেকে সেই সময় কলকাতায় পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু, শহর আরও বাড়তে থাকলে পানীয় জলের প্রয়োজনও বাড়তে থাকে। এই সমস্যাকে মাথায় রেখে তৎকালীন পৌর ইঞ্জিনিয়ার মিস্টার ডেভেরাল তাঁর সহকারী মিস্টার পিয়ার্স-এর সাথে মিলিতভাবে ১৯০১ সালে একটি ওভারহেড ট্যাঙ্ক (Tala Tank) তৈরির প্রস্তাব তুলে ধরেন। এই প্রস্তাবটি ১৯০২ সালে গ্রহণ করা হয়। 

    কত খরচ হয় এই ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক (Tala Tank) নির্মাণে?

    ১৯০৩ সালে পুরসভায় নিযুক্ত হন নতুন ইঞ্জিনিয়ার ডব্লু বি ম্যাকক্যাবে। তিনি এই প্রস্তাব দেখেন এবং কিছু রদবদল করার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে কলকাতার মানুষ আরও উন্নত জল পরিষেবা পেতে পারে। আর এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায় সমস্ত পৌরসভা। এই সময় ট্যাঙ্কটি (Tala Tank) নির্মাণ করতে তিনি ৬৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৭৪ টাকা খরচ ধার্য করেন, যা ছিল আগের অঙ্কের থেকে অনেকটাই বেশি। কিন্তু এতে পূর্ণ সমর্থন ছিল সবার।

    কোথায় এবং কীভাবে নির্মিত হয় এই ট্যাঙ্কটি (Tala Tank)?

    ১৯০৯ সালে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার এডওয়ার্ড বেকার এই ট্যাঙ্ক নির্মাণের (Tala Tank) সূচনা করেন। ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু করে টি সি মুখার্জি অ্যান্ড কোম্পানি। কংক্রিট ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু করে স্যার রাজেন্দ্রলাল মুখার্জির মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানি। আর তার সাথে বাকি কাজে যুক্ত ছিল লিডসের ক্লেটন কোম্পানি। 
    প্রথমে যে স্থানে ট্যাঙ্কটি নির্মাণ করা হবে, সেখানে পুকুরগুলি বোজানোর কাজ শুরু হয়। পুকুরগুলিকে জলশূন্য করে চারদিকে শালবল্লার খুঁটি দিয়ে ২০-২৫ ফুট পাইল করে খোয়া দিয়ে ভর্তি করে স্টিম রোলার দিয়ে সমান করা হয়। এর ওপর বোল্ড স্টিল জয়েন্টের ওপর স্তম্ভগুলিকে দাঁড় করানো হয়। ১৯১১-র ১২ জানুয়ারি এর কাজ শেষ হয় এবং এই বছরেই ১৬ই মে এটি চালু করা হয়। এটি ছিল ১১০ ফুট উঁচু, ১৬ ফুট গভীরতা বিশিষ্ট, ১ লক্ষ বর্গফুট আয়তনের। এর জলধারণ ক্ষমতা  ৯ লক্ষ গ্যালন। গোটাটা চারটি কম্পার্টমেন্টে ভাগ করা হয়, যাতে জল পরিষেবা বন্ধ না রেখেই অন্য একটি ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা যায়। 

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯৬২ ও ১৯৭১-এর যুদ্ধে লক্ষ্য ছিল টালা ট্যাঙ্ক (Tala Tank) ধ্বংস করা

    ভারতীয় ইতিহাসের ঐতিহ্যবাহী অতীত বহন করে চলেছে এই টালা ট্যাঙ্ক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই ট্যাঙ্ককে লক্ষ্য করে জাপানিরা পর পর অনেকগুলি বোমা নিক্ষেপ করে। কিন্তু ধ্বংস করতে পারেনি একে। মাত্র নয়টি বোমার ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। ১৯৬২ ও ১৯৭১-এর যুদ্ধেও চিন ও পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল এই ট্যাঙ্ক। কিন্তু তারাও কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে এই টালা ট্যাঙ্ক। আজও তা (Tala Tank) কলকাতার জল পরিষেবার একমাত্র আধার হিসাবে জল পৌঁছে দিচ্ছে গোটা শহর জুড়ে।

    আর বর্তমানে পরিচিতি পেয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক হিসেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির প্রতি আনুগত্য! ভোট না দেওয়ার বার্তা নিয়ে প্রচারে নির্দল প্রার্থী

    BJP: বিজেপির প্রতি আনুগত্য! ভোট না দেওয়ার বার্তা নিয়ে প্রচারে নির্দল প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় ভোট দেবেন না”। এই বার্তা দিয়ে প্রচার করছেন পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির ২৩ নম্বর আসনের নির্দল প্রার্থী মদনকুমার মণ্ডল। রীতিমতো এলাকায় ফ্লেক্স টাঙিয়ে তিনি প্রচার করছেন। নিজেকে ভোট না দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। রাজ্যে শাসক দলের টিকিট না পেয়ে বহু তৃণমূল কর্মী নির্দল প্রতীকে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূলকে হারানোর জন্য নির্দলরা রীতিমতো উঠেপড়ে লেগেছেন। জেলায় জেলায় তৃণমূল-নির্দলদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে নির্দল প্রার্থীর এই উদ্যোগকে গেরুয়া শিবির কুর্ণিশ জানিয়েছে।

    ফ্লেক্সে এভাবে প্রচার নিয়ে কী বললেন নির্দল প্রার্থী?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মদনবাবু দীর্ঘদিনের বিজেপি (BJP) কর্মী। কোলাঘাট মণ্ডল ৪ এর সাধারণ সম্পাদক পদেও ছিলেন তিনি। মনোনয়নপত্র পার্টির অনুমতি নিয়েই জমা করেন তিনি। তবে, শেষ মুহূর্তে অজ্ঞাত কোনও কারণে দলের টিকিট তিনি পাননি। সেই জায়গায় কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির ২৩ নম্বর সিটে বিজেপির টিকিট পান বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তবে, এই ঘটনার পরই মদনবাবু নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হন। মদনবাবু বলেন, শেষ মুহূর্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার সুযোগ হয়নি আমার। পাশাপাশি টোটো চিহ্নে নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হই। কোলাঘাটের কুশাড়, যোগীবেড়, পয়াগ, ধর্মবেড়, ক্ষেত্রহাট, পারুলিয়া ও পাথুরিয়া বুথ এলাকায় ফ্লেক্স টাঙিয়ে আমাকে ভোট না দেওয়ার অনুরোধ করছি। তিনি ফ্লেক্সের মাধ্যমে এই বার্তাই দিচ্ছেন, তাঁকে যেন ভোট না দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আমি বিজেপিতে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। 

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    মদনবাবুর এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির কোলাঘাট ব্লক কনভেনর তথা বিজেপির (BJP) জেলা সহ সভাপতি তুষার দোলই। তিনি বলেন, মদনবাবু দলের সক্রিয় কর্মী। তিনি দলের স্বার্থে যে ভাবে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তা প্রশংসার যোগ্য। তিনি দলের অন্য কর্মীদের কাছে কার্যত উদাহরণ হয়ে উঠেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বালুরঘাটে তৃণমূলে ফের ভাঙন, বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক

    BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বালুরঘাটে তৃণমূলে ফের ভাঙন, বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট আর হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি। তার আগেই তৃণমূলে ফের ভাঙন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি এলাকা থেকে ৪৫টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করল। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিনায়পোতা এলাকা ও ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নকশা এলাকায় বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তপনের বিজেপির বিধায়ক বুধরাই টুডু ও জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার। এছাড়াও যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বরা।

    যোগদানকারীদের কী বক্তব্য?

    মূলত এলাকার অনুন্নয়নের কারণেই এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন দুটি গ্রামের বাসিন্দারা। এদিকে ভোটের কয়েক দিন আগে বালুরঘাটে বিজেপিতে (BJP) বড়সড় যোগদানের ফলে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ল বলে জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছে। এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, আমরা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে আসলাম। আমরা তৃণমূলে থেকে শুধু বঞ্চনা ভোগ করেছি। এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। দলটা সুবিধাবাদী আর দুর্নীতিগ্রস্ত লোকজনে ভরে গিয়েছে। তাই আমরা সবাই মিলে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক বলেন, অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিনায়পোতা গ্রামে ২০ টি পরিবার ও ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নকশা গ্রামে ২৫ টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগাদান কর। তারা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করত। কিন্তু, তৃণমূল মানুষের জন্য কাজ করে না। তাই তারা এদিন বিজেপিতে যোগদান করল। এই যোগদানের ফলে আমাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ভালো হবে বলে আশা করছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের বালুরঘাট ব্লকের সভাপতি স্বপন বর্মন বলেন, যারা যোগদান করেছে তারা কেউ তৃণমূলের নয়। বিজেপি (BJP) দেখানোর জন্য নিজেরাই নিজেদের লোককে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছে। বরং জলঘর গ্রাঞ্চায়েতের চককাশিতে বিজেপি ছেড়ে ২৩ টি পরিবার তৃণমূলে এসেছে। তৃণমূলের কেউ বিজেপিতে যোগদান করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cancer: খাদ্যাভ্যাসের বদল কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি? কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    Cancer: খাদ্যাভ্যাসের বদল কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি? কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে দুশ্চিন্তার কারণ ক্যান্সার। উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, দেরিতে চিকিৎসা শুরু করা ইত্যাদির জেরে ক্যান্সার বিপদ বাড়ায়! তবে, আধুনিক জীবনযাপন ক্যান্সারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বাড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই ক্যান্সার রুখতে তাঁরা খাবারের উপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    ক্যান্সার নিয়ে গবেষণাকারী এক আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্প্রতি এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে জানানো হচ্ছে, ভারত সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে মোট মৃত্যুহারের বড় অংশের কারণ ক্যান্সার। গলা, মুখ, ফুসফুস, অন্ত্র সহ দেহের একাধিক জায়গায় ক্যান্সারের অন্যতম কারণ খাদ্যাভ্যাস। কারণ, কী খাবার খাওয়া হচ্ছে, কত পরিমাণে তা শরীরে যাচ্ছে, এসবের জন্য নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়।

    কোন ধরনের খাবার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের প্রিজারভেটিভ ফুড ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। যেমন পিৎজা, বার্গার, হটডগ জাতীয় খাবার একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছেন ক্যান্সার গবেষকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের প্রিজারভেটিভ খাবারে মাংস বা মাছের যে পুর দেওয়া হয়, সেখানে যে রাসায়নিক মেশানো হয়, তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 
    এছাড়া অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বিরিয়ানি, মোগলাই বা চাউমিন জাতীয় ফাস্ট ফুড নিয়মিত খেলে, সেটাও শরীরে নানা রোগের কারণ হয়। কারণ, এই ধরনের খাবারে শরীরে স্থূলতা বাড়ে। তাছাড়া, কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়ায়! তাই এই ধরনের খাবার ঝুঁকি বাড়ায়।

    কোন দশ খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে? 

    ওই আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, নিয়মিত কিছু খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ক্যান্সার হলে এই খাবার খেলেই সুস্থ হয়ে ওঠা যাবে, এ ধারণা ভুল। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে, যার পুষ্টিগুণ ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। 
    নিয়মিত কিসমিস কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কিসমিসে যে ধরনের মিনারেল থাকে, তা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত তাঁরা শিশুদের নিয়মিত অন্তত পাঁচটি কিসমিস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাতে শিশুদের হজম ক্ষমতা বাড়বে ও অন্ত্র সুস্থ থাকবে বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। 
    সব্জি বিশেষত পালং শাক নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন। তাই এই ভিটামিন শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।
    ভিনিগারে ভিজিয়ে রাখা আপেল ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে বলেও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। 
    যে কোনও রান্নায় রসুন ও হলুদ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, এই দুই মশলা শরীরে একাধিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষত, হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। তাই হলুদ বিশেষ উপকারী। 
    যে কোনো ধরনের লেবু যেমন পাতিলেবু, কমলালেবু নিয়মিত একটা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম যা ত্বক ও হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই নিয়মিত লেবু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 
    রান্নায় নারকেল তেলের ব্যবহার ক্যান্সার রুখতে সাহায্য করে বলে জানাচ্ছে ওই গবেষণা। তবে, তেল খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, নারকেল তেলের বেশি ব্যবহার আবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাছাড়া অলিভ অয়েলের ব্যবহার শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে বলেও ওই গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। 
    ভুট্টা (কর্ন) বা ওটস জাতীয় দানাশস্য ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে শরীরের ওজন বাড়ে না। আবার প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট শরীর পায়। তাই এই ধরনের দানাশস্য খুব উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hul Diwas: ৩০ জুন ‘হুল’ দিবস! জানুন সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিহাস

    Hul Diwas: ৩০ জুন ‘হুল’ দিবস! জানুন সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন ব্রিটিশ শক্তির ভিত কেঁপে উঠেছিল সাঁওতাল বিদ্রোহে। এই আন্দোলনের ধ্বনি ছিল ‘হুল’ (Hul Diwas), যার আক্ষরিক অর্থ বিদ্রোহ। ফি বছর ৩০ জুন পালিত হয় ‘হুল দিবস’। একই পরিবারের ছয় ভাইবোনের (সিধু, কানু, বিরসা, চাঁদ, ভৈরব, আর দুই বোন ফুলমণি এবং ঝানু মুর্মু ) নেতৃত্বে এই জনজাতি আন্দোলন শুধুমাত্র ভারত নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’ এক দৃষ্টান্তও বটে। শাসকের শোষণ, অত্যাচার, বঞ্চনার বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে অধিকার চাওয়ার এই সংগ্রাম আজও প্রেরণার স্রোত। সিপাহী বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল ১৮৫৭ সালে। তার আগে ১৮৫৫ তে এই বিদ্রোহ ব্রিটিশ ভারতের প্রথম সশস্ত্র সংগ্রাম বলে মনে করেন অনেক ঐতিহাসিক।

    কেন অস্ত্র হাতে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন সহজ, সরল সাঁওতালরা?

    সহজ, সরল জনজাতিদের জল-জঙ্গলের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে থাকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ভূমির ওপর কর চাপায় তারা। যা আদায় করত কোম্পানির লেঠেল বাহিনী। এছাড়া সাঁওতাল রমণীদেরও খারাপ নজরে দেখা হত। যা কখনও মেনে নিতে পারেনি সাঁওতালরা। বঞ্চিত ক্ষোভ পূঞ্জীভূত হতে হতে তা বিদ্রোহের আকার নেয়। বর্তমান ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার ভাগনাদিহির মাঠে শুরু হয় জমায়েত। গবেষকদের মতে, আশপাশের চারশোর বেশি গ্রামের সাঁওতাল সেদিন জড়ো হয়েছিলেন অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে। সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। ঐতিহাসিকদের মতে, সেদিন জমায়েত হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি জনজাতি সমাজের মানুষজন। শুধুমাত্র ইংরেজ নয়, পাশাপাশি স্থানীয় জমিদার ও মহাজনরাও সাঁওতালিদের ওপর জোর-জুলুম ও অত্যাচার চালাত। সেখানেই প্রাপ্য দাবি ছিনিয়ে নিতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন জনজাতির বীর সন্তানরা। এরপরেই শুরু হয় যুদ্ধ। বিদ্রোহের থেকে যুদ্ধ বলাই ভালো। কারণ ব্রিটিশ সেনাকে সেদিন নামতে হয়েছিল বীর জনজাতিদের বিরুদ্ধে লড়তে। ‘হুল’ ‘হুল’ ধ্বনিতে সেদিন আকাশ-বাতাস কেঁপে উঠেছিল বর্তমান ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, বাংলার পুরুলিয়া প্রভৃতি এলাকার।

    ভাগনাদিহি থেকে কলকাতার অভিমুখে সশস্ত্র পদযাত্রা

    সিধু-কানুর নেতৃত্বে ভাগনাদিহি থেকে কলকাতার অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে প্রায় ৩০ হাজার সাঁওতাল। পরবর্তীকালে দেশ অনেক গণপদযাত্রার সাক্ষী থেকেছে। কিন্তু আজ থেকে ১৬৮ বছর আগে অধিকারের দাবিতে এমন পদযাত্রা যে কোনও স্বাধীনতাকামী মানুষের মনকে নাড়া দেয়। ঐতিহাসিকদের মতে, পদযাত্রার সময় অত্যাচারী দারোগা মহেশাল দত্ত ছয়-সাতজন সাঁওতাল নেতাকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করে। এরপর ব্রিটিশ পুলিশ সিধু ও কানুকে গ্রেফতার করতে উদ্যত হলে বিক্ষুব্ধ সাঁওতাল বিপ্লবীরা ৭ জুলাই পাঁচকাঠিয়া নামক স্থানে মহাজন কেনারাম ভগত, মহেশাল দত্ত সহ ইংরেজ পক্ষের ১৯ জনকে হত্যা করেন এবং সেখানেই সাঁওতাল বিদ্রোহের আগুন প্রজ্বলিত হয়। গবেষকরা বলছেন, এরপর টানা আট মাস ধরে চলে সাঁওতাল বিদ্রোহ। দাপট, শৌর্য, বীরত্বে তখন ওই অঞ্চলগুলিতে শেষ হয় ব্রিটিশ আধিপত্য। ২১ জুলাই কাতনা গ্রামে ইংরেজ বাহিনী বিপ্লবীদের কাছে পরাজয় স্বীকার করে। রণে ভঙ্গ দেয় ব্রিটিশরা।

    জুলাই মাসেই বীরভূম জেলার তৎকালীন জনপদ নাগপুর বাজার ধ্বংস করে বিদ্রোহীরা। অভিযোগ, সেখানে সাঁওতাল জনগণকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দেওয়ার পরিবর্তে অত্যাচার করা হত। ১৮৫৫ সালের অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সিধু-কানুর বিরুদ্ধে ইংরেজ সরকার ‘অস্বা সামরিক আইন’ (অস্ত্রশস্ত্র বহনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা) জারি করে। কিন্তু আন্দোলনের সামনে এখানেও পিছু হঠতে হয় ব্রিটিশদের। ১৮৫৬ সালের ৩ জানুয়ারি সামরিক আইন প্রত্যাহার করে তারা। আট মাসব্যাপী বিদ্রোহের শেষ পর্যায়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ইংরেজদের সঙ্গে লড়াইয়ে সিধু নিহত হন এবং বিপ্লব সংগঠিত করার অপরাধে কানু মুর্মুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। বিদ্রোহের অন্যতম বীরাঙ্গনা ফুলমণি মুর্মুকে ব্রিটিশ সেপাইরা নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করে তাঁর লাশ রেললাইনে ফেলে রেখে যায়, এমনটাই মত কোনও কোনও গবেষকদের। আজও এই বীরাঙ্গনা জনজাতি সমাজে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

    সাঁওতাল বিদ্রোহ (Hul Diwas) আমাদের সামনে এক দৃষ্টান্ত। যা স্মরণ করায় অন্যায়ের শিকার হয়ে সারাজীবন মাথা নিচু করার থেকে, মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ অনেক সম্মানের, অনেক মর্যাদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: রায়দিঘিতে বিজেপির বুথ সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: রায়দিঘিতে বিজেপির বুথ সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে তৃণমূলী তাণ্ডব শুরু হয়েছে। রাজ্যে এখন প্রধান বিরোধী শক্তি হচ্ছে বিজেপি। সেই বিজেপির (BJP) প্রার্থী এবং দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটছে জেলায় জেলায়। এবার বিজেপির বুথ সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার বামুনের চক ১২৭ নম্বর বুথে। জখম বিজেপি কর্মীর নাম দেবাশিস হালদার। ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রায়দিঘি বিধানসভার খাঁড়াপাড়া এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি দেবাশিস হালদার। সেই সময় কয়েক জন তৃণমূল কর্মী তাঁকে ঘিরে ধরে প্রথমে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে, রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। পরে জখম ওই বুথ সভাপতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পর এলাকা ছেড়ে পালায় হামলাকারীরা।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মী?

    বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি দেবাশিসবাবু বলেন, বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের ছেলেরা আমাকে ঘিরে ধরে। বিজেপি না করার জন্য চাপ দেয় তারা। পঞ্চায়েতে হারলে বা জয়ী হলেও হামলা চালানো হবে এবং স্ত্রীর শাঁখা ভাঙার হুমকি দেওয়া হয়। আমি আপত্তি করলেই ওরা আমায় রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটায়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। হাতে, পায়ে গুরুতর চোট লাগে।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    স্থানীয় বিজেপি (BJP) প্রার্থী বিভাস কাজি বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই। ওরা সেটা বুঝে গিয়েছে। বিজেপির পক্ষেই এবার জনমত যাবে, এই আশঙ্কা করেই ওরা আমাদের দলীয় কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি। আর এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে, তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যুব তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপি হালদার বলেন, বিজেপি (BJP) নাটক করছে। এই ধরনের হামলার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। নিজেরা হারবে জেনে আগাম এসব সন্ত্রাসএর মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share