Tag: Madhyom

Madhyom

  • Paschim Medinipur: লক্ষ্য নিরাপত্তা, খড়্গপুরে রুট রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেম পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী

    Paschim Medinipur: লক্ষ্য নিরাপত্তা, খড়্গপুরে রুট রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেম পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল ট্রেন (Coromandel Express) দুর্ঘটনা ঘটেছিল ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা রেল স্টেশনের পাশেই। এই রেল দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এই বড় রেল দুর্ঘটনা থেকে প্রশ্ন উঠেছে রেলের রুট রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেম নিয়ে। এবার দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের সদর খড়্গপুর (Paschim Medinipur) স্টেশনে এসে এশিয়ার বৃহত্তম রুট রিলে ইন্টারলকিং পরিদর্শন করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেই সঙ্গে রেল মন্ত্রী ঘোষণা করলেন, আরও শক্তিশালী করা হবে খড়্গপুরের রুট রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেমকে। রেল মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

    কী বললেন রেলমন্ত্রী

    রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব খড়্গপুরে এসে রেলের অফিস থেকে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, খড়্গপুর (Paschim Medinipur) রেল স্টেশন হল এশিয়ার সব থেকে কমপ্লেক্স রেল স্টেশন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন হল এই খড়্গপুর। যেহেতু খুব বড় স্টেশন, তাই খুব সচেতন ভাবে এখানে কাজ করতে হয়। সুরক্ষা বিধি এবং আগামী পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেন জানান তিনি। রেলমন্ত্রী আরও জানান, সকল দিক খতিয়ে দেখার জন্য খড়্গপুর রেল স্টেশনে এসেছেন তিনি। কীভাবে রেলকে খড়্গপুর শহরের সঙ্গে জুড়ে নতুন ভাবে উন্নয়ন করা যায়, সেই বিষয়েও রেলের আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, এই জংশনের ইন্টারলকিং ব্যবস্থা সব থেকে বৃহৎ ইন্টারলকিং ব্যবস্থা। আর তাই এর সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করে কাজ সম্পর্কে বিস্তৃত বিবরণ নেওয়া হয়েছে। রেলের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সচল, নিরাপদ এবং সুরক্ষিত হওয়াটা একান্ত প্রয়োজনীয়। আর তাই রেল বিভাগ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদ বিক্রির অভিযোগ মেমারিতে! অস্বস্তিতে তৃণমূল

    Panchayat Vote: টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদ বিক্রির অভিযোগ মেমারিতে! অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) শাসক শিবিরে অন্তর্কলহ লেগেই রেয়েছে। জেলায় জেলায় যা নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল। এবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও দলীয় প্রতীক না পাওয়ার অভিযোগ পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি-১ ব্লকের তৃণমূল কর্মীদের। দলীয় প্রতীক না পেয়ে তাঁরা প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন। সেই সঙ্গে মেমারি-১ ব্লক  সভাপতি নিত্যানন্দ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রতীক বিক্রির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বিক্ষুব্ধরা। সব মিলিয়ে বেশ অস্বস্তিতে শাসক শিবির। এমনিতেই দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে বেশ ব্যাকফুটে শাসক শিবির। তারপর দলের এই গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে।

    বিদ্রোহী কর্মীদের দাবি

    বিদ্রোহীদের একাংশের দাবি, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মলয় ঘটকের সম্মতিতে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও শেষ মুহূর্তে দলীয় প্রতীক পেলেন না প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা তৃণমূল কর্মীরা। অদৃশ্য কোনও অঙ্গুলিহেলন বা উপঢৌকনের বিনিময়ে তালিকায় পরিবর্তন হয়েছে বলে অভিযোগ। দলে যে প্রার্থী তালিকা নিয়ে এমন দুর্নীতি হয়েছে, তা কার্যত স্বীকার করে নেন মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। তিনি জানান, প্রথমে একটি প্রার্থী তালিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে পুনরায় আরেকটি প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ ও মলয় ঘটকের নেতৃত্বে।

    পুরনো কর্মীদের টিকিট দেয়নি দল

    জানা গিয়েছে, মেমারি-১ ব্লকের ২১২টি আসনের মধ্যে ৫৯ জন রয়েছেন, যাঁরা দলের দীর্ঘদিনের কর্মী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। সেই হিসাবে তাঁদের প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণবশত তাঁদের অনেকেই শেষ মুহূর্তে তৃণমূলের প্রতীক পাননি। স্বাভাবিকভাবেই আদি ও নব্য তৃণমূলের এই দ্বন্দ্বের প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) পড়ে কিনা, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Music Day: শারীরিক ও মানসিক শান্তি এনে দিতে পারে গান বা সঙ্গীত

    World Music Day: শারীরিক ও মানসিক শান্তি এনে দিতে পারে গান বা সঙ্গীত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন খারাপ হোক বা ভালো। সব কিছুর সঙ্গী গান বা সঙ্গীত। এই সঙ্গীতের আছে এমন শক্তি, যা আপনাকে ও আপনার মস্তিষ্ককে শান্তি এনে দিতে পারে। এই সঙ্গীত মনের অবস্থা ব্যক্ত করতে, সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে ভীষণ ভাবে উপযোগী। প্রত্যেক বছর ২১ শে জুন বিশ্ব সঙ্গীত দিবস (World Music Day) পালন করা হয়। সমস্ত সঙ্গীত প্রেমীদের কাছে এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।

    কীভাবে ও কবে শুরু হয় এই বিশ্ব সঙ্গীত দিবস (World Music Day)?

    ১৯৮২ সালে ফরাসি মন্ত্রী জ্যাক ল্যাং-এর হাত ধরে এই দিবসের সূচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৯৮৫ সালের ২১ জুন প্রথম গোটা ইউরোপ এই দিবস পালন শুরু করে। পরে গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এই দিবস। ‘গান হতে হবে মুক্ত, সংশয়হীন’-এই স্লোগানটি তখন জনপ্রিয় হয় এবং এই স্লোগানকে সামনে রেখে ১১০ টি দেশ যুক্ত হয় এই বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের সাথে। বিশ্ব সঙ্গীত দিবসকে (World Music Day) ফরাসি ভাষায় বলে, ‘ফেট ডে লা মিউজিক’।

    কেন পালন করা হয় এই দিবস (World Music Day)?

    বর্তমানে বিশ্বের সমস্ত সঙ্গীতজ্ঞদের সম্মান জানাতে এই বিশেষ দিনটিকে (World Music Day) বেছে নেওয়া হয়। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আজকের দিনে অনেক অনুষ্ঠান এবং বিশেষ বিশেষ অভিজ্ঞ সঙ্গীতকারদের সম্মান জানানো হয়। প্রত্যেক বছর একটি নির্দিষ্ট থিম নির্বাচন করা হয় এই দিনটির জন্য। একটি বিশেষ দিন ও সময়কে এই বিশ্ব সঙ্গীত দিবস হিসাবে পালন করা হয় কেন? তার পিছনে আবার আছে একটি ইতিহাস। পৃথিবী সূর্যের চারপাশে যখন প্রদক্ষিণ করে, তখন ২১ শে জুন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ থাকে সূর্যের সব থেকে কাছাকাছি। দিন সব থেকে বড় হয় এবং রাত সব থেকে ছোট হয়। এর ওপর নির্ভর করে পশ্চিমী দেশগুলিতে এই দিনটি থেকেই গ্রীষ্মকালের সূচনা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। বিশেষ করে পশ্চিমে কয়েকটি দেশে গ্রীষ্মকাল খুবই সুখদায়ক। কারণ সেখানে বেশিরভাগ অঞ্চল শীতপ্রধান। তাই এই বিশেষ দিনটিকে গান-বাজনার সাথে সেলিব্রেট করার মাধ্যমে পালন করা শুরু হয়। ১৯৮২ সালে প্রথম ফ্রান্সে এই দিনটির সূচনা হয়। এর পর ভারত সহ আরও ১২০ টি দেশ এই দিবস পালন শুরু করে। সারা বিশ্ব জুড়ে নানান ঘরানার সঙ্গীত গেয়ে পালন করা হয় এই দিনটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Vote: হুমায়ুনের পর এবার বিদ্রোহী মনোরঞ্জন! ছাড়লেন দলীয় পদ

    Panchayat Vote: হুমায়ুনের পর এবার বিদ্রোহী মনোরঞ্জন! ছাড়লেন দলীয় পদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল চলছেই। মঙ্গলবারই সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এবার ফেসবুক পোস্ট করে দলের পদ ছাড়লেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। জোড়া বিধায়কের বিদ্রোহে অস্বস্তিতে শাসক দল। দীর্ঘদিন ধরেই দলের প্রতি মনোরঞ্জনের অসন্তোষ বাড়ছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, হুগলি জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির সদস‍্য ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ‍্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কমিটির পদে ছিলেন তিনি। এই দুটি পদ থেকেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

    কেন ইস্তফা দিলেন মনোরঞ্জন?

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই দলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বলাগড়ে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর বিবাদ প্রকাশ্যে আসে। বলাগড়ে দলের ব্লক সভাপতি সেই সময় অভিযোগ করে বলেছিলেন যে, মনোরঞ্জনের বাড়ির পরিচারিকাকেও টিকিট দেওয়া হয়েছে। এরপর বিধায়ক ব্লক সভাপতির বিভিন্ন দুর্নীতির প্রসঙ্গ সামনে আনেন। এ দিন ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, দলের তরফ থেকে তাঁকে আরও দু’টি পদের অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনওটাই নেননি। ভবিষ্যতে তিনি রাজনীতি করতে চান না বলেও জানিয়েছেন। বিধায়ক পদও ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, তিনি যে চাকরি করতেন, তার পেনশন ও গ্র্যাচুইটি কিছুই পাননি। তাই পেনশন শুরু হলে বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন মনোরঞ্জন। এর আগেও অবশ্য বলাগড়ের বিধায়ক বিদ্রোহী হয়েছেন। বলাগড়ে দলেরই এক নেতা চাকরি দেবার নাম করে টাকা তুলেছেন বলে সেবার সরব হন মনোরঞ্জন।

    সংবাদ মাধ্যমকে কী বললেন মনোরঞ্জন? 

    এদিন সাংবাদিকদের মনোরঞ্জন বলেন, “আমি জেলা সভাপতির কাছে ৫০ বার গিয়েছিলাম। পদ নিয়ে কী করব যদি আমায় মর্যাদা না দেয়? সেই সময় যাঁরা আমায় জিতিয়েছিলেন আজ আমি তাঁদের টিকিট দেব না? এক সময় যাঁরা বিজেপি-র হয়ে কাজ করেছিল, তাঁরা টিকিট পাবে, আর আমি বসে দেখব? আমায় দলের তরফে ৬০ থেকে ৭০টি টিকিট দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো কারা পাবেন, তাঁদের একটি তালিকাও তৈরি করি। মনোনয়নও জমা দেন তাঁরা। এসবের পরও ব্লক সভাপতি অতিরিক্ত টিকিট কোথা থেকে পেল যে গোঁজ প্রার্থী ঢুকিয়ে দিল? পানের দোকানে টিকিট বিক্রি করল কীভাবে?”

    কী বলছে শাসক দল?

    তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র তাপস রায় যথারীতি দলের গোষ্ঠী কোন্দল মানতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন, দলের দুই বিদ্রোহী বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবং মনোরঞ্জনের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: দৈহিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য চাই যোগাভ্যাস, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার

    Bankura: দৈহিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য চাই যোগাভ্যাস, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষায় যোগাভ্যাস জরুরি’। বুধবার বাঁকুড়া (Bankura) স্টেশন সংলগ্ন মাঠে বিশ্ব যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের একথা বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিঘার সমুদ্র সৈকতে প্রাক্তন সেনা কর্মীদের নিয়ে যোগাভ্যাসের মধ্যে দিয়ে যোগ দিবস পালন করলেন। এছাড়াও বিজেপির সাংসদ, বিধায়করা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করলেন। ২১ শে জুন বিশ্ব যোগ দিবস। শরীরী চর্চার মধ্যে দিয়ে কীভাবের সুস্থ এবং রোগমুক্ত থাকা যায়, সেই কথা মনে রেখেই বিশ্ব যোগ দিবস পালন করা হল এই দিনটিতে।

    কী বললেন ডাঃ সুভাষ সরকার

    যোগ দিবসের দিন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং বাঁকুড়ার (Bankura) সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, এবছর বিশ্ব যোগ দিবসের থিম ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিউ ইয়র্কে, রাষ্ট্রসংঘের কার্যালয় থেকে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে তিনি জানান। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে যোগ দিবস নিয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ভারতে এই যোগ দিবসকে, গত ৯ বছর ধরে, বিশ্ব যোগ দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে। দেশের মানুষ যেমন এই যোগ দিবসে যোগদান করছেন, তেমনি বিদেশের মানুষও যোগ দিবসে, যোগের প্রয়োজনীয়তাকে গ্রহণ করছেন। তিনি আরও বলেন, যোগ আজকে ভারত থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই যোগ সাধনার মাধ্যমেই। ভারতীয় সংস্কৃতি কতটা পরিবেশ বান্ধব এবং প্রকৃতির অনুকুল, সেটা অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে এই যোগ দিবসে ভেবে দেখা দরকার বলে মনে করেন তিনি। বিশ্ববাসীর শারীরিক সুস্থতা এবং মঙ্গল কামনায় এই যোগের ভূমিকা অত্যন্ত উপযোগী বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাক্তার সুভাষ সরকার। দৈহিক সুস্থতা এবং মানসিক সুস্থতার জন্য প্রত্যেক দিন স্বল্প সময়ের জন্য যোগ অভ্যাস করা একান্ত প্রয়োজন। বিশ্ব যোগ দিবস ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে এক সামজিক আন্দোলনের রূপ নিতে চলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    যোগ দিবসে বিশেষ উপস্থিতি

    এই অনুষ্ঠানে বাঁকুড়া (Bankura) রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী কৃত্তিবাসানন্দ মহারাজ যোগ দিবস পালনের সমাপনী ভাষণ দেন। মহারাজ বলেন, এই যোগ দিবসে যাঁরা যাঁরা অংশ গ্রহণ করেছেন, তাঁদের অনেক অভিন্দন জানাই। যোগের প্রয়োজনীয়তাকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যাঁরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের ভূমিকাকে বিশেষ ভাবে সাধুবাদ জানান মহারাজ। এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন বর্গের মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের দৃশ্য চোখে পড়ে অনুষ্ঠানে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cesarean Death: বাড়ছে অপ্রয়োজনীয় সিজার, প্রসূতি মৃত্যুও বাড়ছে কি তারই জেরে?

    Cesarean Death: বাড়ছে অপ্রয়োজনীয় সিজার, প্রসূতি মৃত্যুও বাড়ছে কি তারই জেরে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হাসপাতালে পৌঁছালেও মৃত্যুর আশঙ্কা থাকছেই! গ্রাম থেকে শহর, রাজ্যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসবের প্রবণতা বাড়লেও, প্রসূতি মৃত্যুও (Cesarean Death) বাড়ছে! তার জেরেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আর তারপরই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য ভবন।

    কী নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার অনেক বেশি। অপ্রয়োজনীয় সিজারের সংখ্যাও বেশি। আর তার জেরেই প্রসূতির স্বাস্থ্যে অবনতি ঘটেছে। এমনকী মৃত্যুর ঝুঁকিও (Cesarean Death) বাড়ছে। আর অপ্রয়োজনীয় সিজারের প্রবণতা শুধু শহরে আটকে নেই। রাজ্যের গ্রামগুলোতেও এক অবস্থা। তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে প্রসবের পরে, সিজার কেন করা হল, সে বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এমনকী বেসরকারি হাসপাতালেও এই নিয়ম কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক। অপ্রয়োজনীয় সিজার কমিয়ে, মায়েদের প্রাণের ঝুঁকি কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

    সমীক্ষায় কী তথ্য জানা যাচ্ছে?

    কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে রাজ্যে সিজারের প্রবণতা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা রাজ্যের শহরাঞ্চলে ৪৩.৫ শতাংশ সিজারের মাধ্যমে প্রসব হয়। আর গ্রামে হয় ২৮.৬ শতাংশ। শহরের সরকারি হাসপাতালে মোট প্রসবের ৩১.৭ শতাংশ হয় সিজার। আর গ্রামে সংখ্যাটা ২১.৩ শতাংশ। শহরের বেসরকারি হাসপাতালে সিজারের সংখ্যা ৮০.২ শতাংশ। গ্রামে সেটা আরও বেশি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চলের বেসরকারি হাসপাতালের ৮৪.৪ শতাংশ প্রসূতির সিজারের মাধ্যমে প্রসব হয়।

    অপ্রয়োজনীয় সিজারে কেন নারাজ কেন্দ্র? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ সমস্যা বা অন্য কোনও শারীরিক ঝুঁকি কিংবা গর্ভস্থ শিশু বা মায়ের অন্য কোনও শারীরিক জটিলতা না থাকলে সিজারের মাধ্যমে প্রসব অপ্রয়োজনীয়। সিজারে মায়ের বাড়তি ঝুঁকি (Cesarean Death) তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সিজারের মাধ্যমে প্রসবে প্রসূতির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। সাধারণ প্রসবে প্রসূতির ২৫০ মিলিলিটার রক্তক্ষরণ হয়। সেখানে সিজারের মাধ্যমে প্রসব করলে ১০০০ মিলিলিটার রক্তক্ষরণ হয়। তাছাড়া ও অস্ত্রোপচার পরবর্তী নানান সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকে। তাই অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধ জরুরি বলেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    কী পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন? 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ম্যাটারনিটি ডেথ (Cesarean Death) অডিট গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও হাসপাতালে প্রসব কালে বা প্রসবের পরে মা মারা গেলে, তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা করতে হবে। পাশাপাশি সিজারের মাধ্যমে প্রসবের কারণও স্পষ্ট করতে হবে। জুনের প্রথম থেকেই এই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য কর্তারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সরজমিনে তদন্ত শুরু হয়েছে। সরকারির পাশাপাশি শহর থেকে গ্রাম, ইতিমধ্যেই ২৫টি বেসরকারি হাসপাতালেও সরজমিনে রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম সকলকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সরকারের নির্দিষ্ট পোর্টালে প্রসব সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিয়মিত আপডেট করতে হবে।

    কী বলছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা? 

    স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলছেন, শিশু ও মাকে সুস্থ ভাবে বাড়ি ফেরানোই প্রধান লক্ষ্য। তাই সব রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের সঙ্গে একযোগে কাজ করেই এই পরিস্থিতির (Cesarean Death) পরিবর্তন করা সম্ভব। তাই দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: নবজোয়ারে দু’হাজার পুলিশ, আর নির্বাচনে মাত্র ২২০০ আধা সেনা? কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার

    Bardhaman: নবজোয়ারে দু’হাজার পুলিশ, আর নির্বাচনে মাত্র ২২০০ আধা সেনা? কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় এক কোম্পানি আধা সেনা দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট কি সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তরে আসানসোলের (Bardhaman) বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল কটাক্ষের সুরে বলেন, তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে যুবরাজের নিরাপত্তার জন্য মোতায়ন দু’হাজার রাজ্য পুলিশ। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার জন্য মাত্র ২২০০ আধা সেনা। সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! 

    কী বললেন বিধায়িকা?

    বিজেপি নেত্রী (Bardhaman) বলেন, রাজ্যে এই নির্বাচনের সময় নতুন জুটি তৈরি হয়েছে রাজীব সিনহা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এই জুটি রাজ্যের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে বাজারে নেমেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা ও মানুষ খুনের খেলায় মত্ত এই জুটিকে আটকাতে বাংলার মানুষ সর্বত্র নামছেন। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট ২২ কোম্পানি আধা সেনা দিয়ে করলে অবশ্যই রক্তগঙ্গা বইবে, যদি না অতিরিক্ত আধা সেনা আসে। এই বিষয়ে আমরা আদালতের দারস্থ হব।

    প্রশাসনকে নিয়ে কী বললেন?

    দেগঙ্গায় আইএসএফ এবং তৃণমূলের ফের খণ্ডযুদ্ধ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পল বলেন, ১২ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই! বিজেপির বুকের পাটা আছে বলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে এককভাবে মনোনয়ন জমা করছে। অন্যদিকে তৃণমূল নির্বাচনে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছে। পুলিশ-প্রশাসন এবং তৃণমূল প্রার্থীরা একত্রিত হয়েছে বলেই মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। দুদিনের মধ্যেই তৃণমূল ১০০% জায়গায় তাদের প্রার্থীর মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। তা না হলে দু-মিনিট করে সময়ে কীভাবে তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারে! অন্যদিকে এই পুলিশ পশ্চিম বর্ধমানে (Bardhaman) বিরোধীদের মনোনয়ন জমা করার কাজে বাধা দিতে সব রকম চেষ্টা চালিয়ে গেছে।

    তৃণমূল বিধায়কের দল ছাড়া নিয়ে কী বললেন?

    হুগলির বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে বিজেপি বিধায়িকা বলেন, তিনি দলে থাকবেন, না বেরিয়ে যাবেন, তা তৃণমূলের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু যাঁরা তৃণমূলের প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে লড়াই করে এসেছেন, তাঁদের জায়গা বর্তমানে মঞ্চের নিচে। কেবল মাত্র যুবরাজের জায়গা মঞ্চের উপরে। বর্তমানে যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সুপার মুখ্যমন্ত্রী, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও উপরে।

    বুধবার বর্ধমানের (Bardhaman) বিজেপি সদর কার্যালয়ে রাঢ়বঙ্গের দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে আসেন বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বীরভূমের দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। এছাড়াও আসানসোল, বীরভূম ও বর্ধমান সদর জেলার সভাপতি  এবং  অন্যান্য নেতৃত্বরা বৈঠকে ছিলেন বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: বিজেপির প্রার্থীকে প্রচার না করার জন্য হুমকি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Paschim Bardhaman: বিজেপির প্রার্থীকে প্রচার না করার জন্য হুমকি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথমে মনোনয়নপত্র তোলা, তারপর মনোনয়নপত্র জমা করা এবং এরপরই মনোনয়ন প্রত্যাহার। বিরোধীরা শাসক দলের দুষ্কৃতীদের হাতে বার বার আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ধরনের বহু খবর সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। এবার নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীদের ভোটের প্রচারকে ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল বিজেপি। তাদের প্রচার করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানে (Paschim Bardhaman)। কাঁকসার মাধবমাঠ এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বুধবার সকাল থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

    কী ঘটেছে?

    কাঁকসা (Paschim Bardhaman) গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ৬৫ নম্বর বুথে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন ছোটন বাগদী। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে ভয় দেখাত। গতকাল গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয় এবং তাঁকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে বলে, তিনি যেন এলাকায় কোনও রকম ভোটের প্রচার না করেন। এমনকী ভোটের প্রচারে বের হলে তাঁকে দেখে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। তবে তিনি জানান, অন্ধকারে কাউকে চিনতে পারেননি। এই ঘটনার পরই কাঁকসা থানায় ফোন করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ছোটন বাগদী অবশ্য তাঁর দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছেন। বুধবার তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাঁকসা (Paschim Bardhaman) ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি হিরন্ময় ব্যানার্জি। তাঁর দাবি, এই এলাকায় একশো শতাংশ বিরোধীরা মনোনয়ন জমা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যের একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে দুই কোটি বেকারের চাকরি দিতে পারেনি কেন্দ্র! আর তাই বিজেপি প্রচার করতে গেলে তাঁদের প্রত্যাখ্যান করছে মানুষ। কার্যত প্রচারের আলোয় আসার জন্যই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে বিজেপি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: শাসকের সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট! ঝরল আরও একটি প্রাণ

    Panchayat Election 2023: শাসকের সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট! ঝরল আরও একটি প্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ (Panchayat Election 2023) উঠেছে বারবার। ফের তার প্রমাণ মিলল একটি প্রাণের বিনিময়ে। রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোটে ঝরল আরও একটি প্রাণ। চোপড়ার গুলিকাণ্ডে গুরুতর জখম মনসুর আলমের মৃত্যুতে এমনই অভিযোগ উঠেছে। টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর মঙ্গলবার গভীর রাতে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় মনসুরের।

    কী হয়েছিল?  

    গত ১৫ জুন উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন সিপিএম ও কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা। মাঝপথে তাদের সশস্ত্র আক্রমণ করা হয়। রক্ত ঝরে। জখম হন একাধিক। তিনজন গুরুতর জখম হন। তাঁদের মধ্যে দু’ জন, মনসুর আলম ও নাইমূল হককে শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।

    কারা আক্রমণ করেছিল, কী বলছে মনসুরের পরিবার

    মনসুরের পিসেমশাই মজফফর আলম বুধবার শিলিগুড়িতে বলেন, আমরা ১৮ কিলোমিটার পথ মিছিল করে মনোনয়নপত্র (Panchayat Election 2023) জমা দিতে যাচ্ছিলাম। বেশ কিছুটা যাওয়ার পর হঠাৎই রাস্তা আটকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চলে। আমাদের বেশ কয়েক জন জখম হয়। তার মধ্যে তিনজন গুরুতর জখম হয়েছিল। নাইমূল হক ও মনসুরকে শিলিগুড়িতে আনা হয়। মনসুরের মাথায় গুলি লেগেছিল। এজন্যই তার মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জুন এই ঘটনার পর আমাদের তরফে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু প্রকৃত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা এই ঘটনার সঙ্গে আদৌ যুক্ত ছিল কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

    চিকিৎসকরা কী বলছেন

    শিলিগুড়ির যে বেসরকারি নার্সিংহোমে মনসুর মঙ্গলবার গভীর রাতে মারা যায়, সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মনসুরের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। যদিও মৃতের পরিবারের দাবি, মনসুরের মাথায় সেদিন গুলি (Panchayat (Election 2023) লেগেছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই সবটা জানা যাবে। তার আগে তারা কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: তৃণমূল জেলা সভাপতির হুঁশিয়ারি শেয়ার করতে বলে বিতর্কে পুলিশ আধিকারিক

    Panchayat Vote: তৃণমূল জেলা সভাপতির হুঁশিয়ারি শেয়ার করতে বলে বিতর্কে পুলিশ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নদিয়ার শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূল জেলা সভাপতির রাজনৈতিক বক্তব্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করে প্রচার করতে বলছেন শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত মালাকার। এই পোস্ট ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই পুলিশ আধিকারিককে অপসারিত না করা হলে এসপি অফিস ঘেরাও এবং বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির সাংসদ। একজন পুলিশ আধিকারিক কীভাবে তৃণমূল জেলা সভাপতির বক্তব্য প্রচার করতে পারেন, তা নিয়েই বিরোধীরা তুলেছেন প্রশ্ন। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) দিন ঘোষণা হতেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠে আসছে। মনোনয়ন জমা থেকে শুরু করে বিজেপি এবং সিপিআইএম প্রার্থীদের জোরপূর্বক নমিনেশন বাতিল করানোর অভিযোগ উঠছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বিজেপি এবং সিপিএম উভয়েই অভিযোগ করছে, শাসকদল প্রশাসনকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে। শাসকদলের তাঁবেদারি করছে পুলিশ। এই ঘটনা যেন বিরোধীদের তোলা অভিযোগকেই মান্যতা দিল।

    হোয়াটসঅ্যাপে কোন বার্তা শেয়ার করলেন আইসি? 

    জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত মালাকার একটি গ্রুপে নদীয়া জেলা দক্ষিণ তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিষ গাঙ্গুলির একটি বক্তব্য শেয়ার করেছেন। নিচে লিখে দিয়েছেন এই বক্তব্যটি প্রচার করার জন্য। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল সভাপতি তাঁর দলের নির্দল প্রার্থীদের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। অর্থাৎ পুরো বক্তব্যটি রাজনৈতিক। শেয়ার করা সেই বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল।

    কী বলছেন বিজেপি সাংসদ?

    এ বিষয়ে রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এর পিছনে সম্পূর্ণ মদত দিচ্ছে প্রশাসন। এর আগেও দেখা গেছে, তৃণমূলের যুব কমিটির তালিকায় একজন পুলিশ রয়েছে। আর গতকালকের ঘটনা থেকে স্পষ্ট পুলিশ সরাসরি শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। আমরা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অনুরোধ করব ৭২ ঘন্টার মধ্যে এই পুলিশ আধিকারিককে অপসারিত করতে হবে। যদি না হয়, তাহলে গোটা দক্ষিণ জেলা স্তব্ধ করে দেব এবং বৃহত্তর আন্দোলনের নামব।’’ অন্যদিকে গোটা ঘটনার নিন্দা করে সিপিআইএম নেতা সঞ্জিত ঘোষ বলেন, ‘‘প্রশাসনের দায়িত্ব যাঁরা প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু যদি সেটা না করে শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে উল্টো কাজ করে, তাহলে আগামী দিনে আমরা অবশ্যই বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share