Tag: Madhyom

Madhyom

  • Panchayat Vote: তৃণমূল বিধায়কের স্বামীকে মারধরের অভিযোগ দলেরই মহিলা কর্মীদের বিরুদ্ধে

    Panchayat Vote: তৃণমূল বিধায়কের স্বামীকে মারধরের অভিযোগ দলেরই মহিলা কর্মীদের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডিতে তৃণমূল বিধায়কের স্বামীকে হেনস্থার অভিযোগ দলেরই মহিলা কর্মীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এই গোষ্ঠীকোন্দলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলা জুড়ে। অস্বস্তিতে শাসক দল। এদিন রীতিমতো কলার ধরে মাটিতে বসানো হয় বিধায়কের স্বামীকে। বিদ্রোহী মহিলা কর্মীদের অভিযোগ, দলের প্রার্থীপদ (Panchayat Vote) বিলি নিয়ে অনিয়ম করেছেন বিধায়কের স্বামী।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ…

    ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থানার ৩ নং উদয়পুর অঞ্চলে। কুশমন্ডি বিধানসভার বিধায়ক রেখা রায়ের স্বামী নকুল রায়। অভিযোগ, নকুল রায়ের অঙ্গুলিহেলনে এলাকার দলীয় যোগ্য কর্মীরা প্রার্থী হতে পারেননি। টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন বিধায়কের স্বামী। আর এই অভিযোগে দলেরই মহিলারা বিধায়কের স্বামীকে হাতের নাগালে পেয়ে তার উপর চড়াও হন। জামার কলার ধরে বসিয়ে আটকে রাখেন ও বিক্ষোভ দেখান। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ঘটনার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। খবর পেয়ে কুশমন্ডি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ‘‘এরকম একটা খবর আমাদের কাছে এসেছে। আমরা দলীয় পর্যায়ে নির্দেশ দিয়েছি প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য। দলের উচ্চপদস্থ যাঁরা আছেন, তাঁরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত। কলকাতাতেও এই খবর দেওয়া হয়েছে। তারা যা সিদ্ধান্ত জানাবে, আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব। দলের ওপরে তো কেউ নয়।’’

    কী বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘কুশমন্ডির বিধায়কের স্বামীকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। এটা নতুন কিছু নয়। তৃণমূলে তো টাকা দিয়েই টিকিট হয়। বিশেষ করে ভাইপো জমানা শুরু হতেই তৃণমূলে টাকা ছাড়া টিকিট হয় না। টাকা ছাড়া টিকিট কেন, টাকা ছাড়া কিছুই হয় না।’’

    কী বলছেন বিদ্রোহী মহিলারা? 

    বিদ্রোহী মহিলাদের বক্তব্য, তাঁদের অন্ধকারে রেখে টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদ বিলি করেছেন অসীম রায়। এদিন এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘আমাকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। আমি ব্যানার ছাপিয়ে ফেলি। পরে শুনি আমি বাদ গিয়েছি। আসলে টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদ বিক্রি হয়। ’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Vote: বিজেপির দেওয়াল লিখন মোছার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Panchayat Vote: বিজেপির দেওয়াল লিখন মোছার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বিজেপির দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার রায়দিঘিতে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এনিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণা থেকেই চলছে বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কোনওরকম সর্বদলীয় বৈঠক না করেই রাজীব সিনহা ভোট ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি ছড়ায় সারা রাজ্য জুড়ে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনে বিরোধীরা। ভাঙড়, ক্যানিং সহ একাধিক জায়গা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এখনও পর্যন্ত সন্ত্রাসের বলি ৯ জন।

    ঠিক কী ঘটনা?

    জানা গিয়েছে, রায়দিঘি বিধানসভার খাঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনের চক ১২৭ নং বুথের বিজেপি প্রার্থী বিভাস কাঞ্জির সমর্থনে দেওয়াল লেখেন দলের কর্মীরা। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে সেই দেওয়াল লিখন মুছে দেয় শাসক দল। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: শাসকদলের সন্ত্রাসে এক মাসের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি দম্পতি

    কী বলছেন বিজেপি প্রার্থী বিভাস কাঞ্জি?

    এই ঘটনায় বিভাস কাঞ্জি বলেন, ‘‘আমাদের দেওয়াল লিখনে কাদা লেপে দিয়ে যায় তৃণমূল। আমরা প্রশাসনকে পুরো বিষয়টা জানিয়েছি। ওই দেওয়ালে আমরা তৃণমূলের একাধিক দুর্নীতির কথা তুলে ধরেছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই তা পছন্দ হয়নি শাসক দলের। তাই রাতের অন্ধকারে ওরা মুছে দেয় ওই দেওয়াল। শাসকদল এখানে সন্ত্রাস করে আমাদের দাবিয়ে রাখতে চাইছে। ’’    

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদলের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নের জেরে কোনও ইস্যু পাচ্ছে না। বিরোধীরা তাই নিজেরাই দেওয়ালে কাদা লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর দোষ চাপাতে চাইছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীকে বাড়ি বয়ে হুমকি! সুকান্তর তাড়ায় চম্পট দিল শাসক দল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: শাসকদলের সন্ত্রাসে এক মাসের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি দম্পতি

    Panchayat Vote: শাসকদলের সন্ত্রাসে এক মাসের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী হিংসার ছবি যেন ফিরে এসেছে পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) প্রাক্কালে। তৃণমূল আছে সন্ত্রাসেই! এবার এক মাসের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঘরছাড়া এক দম্পতি বিজেপি প্রার্থী। বর্তমানে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন আসানসোলের এক গোপন ডেরায়। সালানপুর ব্লকের দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ কিসকু ও সুনীতা কিসকু। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দিচ্ছে ও বাড়ি বয়ে শাসিয়ে গেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা থেকেই চলছে বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কোনওরকম সর্বদলীয় বৈঠক না করেই রাজীব সিনহা ভোট ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি ছড়ায় সারা রাজ্য জুড়ে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনে বিরোধীরা। ভাঙড়, ক্যানিং সহ একাধিক জায়গা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এখনও পর্যন্ত সন্ত্রাসের বলি ৯ জন।

    আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীকে বাড়ি বয়ে হুমকি! সুকান্তর তাড়ায় চম্পট দিল শাসক দল

    কী বলছেন আক্রান্ত দম্পতি?

    আসানসোলের ওই গোপন আস্তানা থেকে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ কিসকু বলেন, ‘‘প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে শাসকদল। আমরা আতঙ্কিত। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে শুনছি। এতে কিছুটা আশাবাদী।’’ অন্যদিকে একমাসের বাচ্চাকে কোলে শুইয়ে সুনীতা কিসকু বলেন, ‘‘তৃণমূল ভয় দেখাচ্ছে। ভোটে দাঁড়ালে এর ফল ভালো হবে না। তাই আমরা ঘরছাড়া।’’ আসানসোলের বিজেপি নেতৃত্বের মতে, ‘‘শাসকদলের এই সন্ত্রাস নতুন কিছু নয়। পঞ্চায়েতে মনোনয়নের সময় ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধকেও রাস্তায় ফেলে মেরেছে তৃণমূল।’’

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যথারীতি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। তৃণমূলের সালানপুরের ব্লক সহ সভাপতি ভোলা সিং বলেন, ‘‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।’’

     

    আরও পড়ুন: ‘র’-এর প্রধান পদে অভিজ্ঞ আইপিএস অফিসার রবি সিনহা, জানেন কে তিনি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ২১/০৬/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ২১/০৬/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) বন্ধুরা পরিচিতদের সাথে স্নেহপূর্ণ আচরণ করবে। 

    ২) আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিতে হবে. কারণ আজ হঠাৎ শারীরিক ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

    বৃষ

    ১) ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কিছু নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে, তবে আজ পুরানো পরিকল্পনা থেকে লাভ সীমিত থাকবে। 

    ২) পরিবারের কোনও সদস্যের জেদ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য বিরক্ত করবে। 

    মিথুন

    ১) ঘরোয়া কলহের কারণে সারাদিন মন অস্থির থাকবে, কর্মক্ষেত্রেও এর ফল দেখা যাবে। 

    ২) কোনও কাজে উৎসাহ থাকবে না। 

    কর্কট

    ১) কিছুদিন ধরে চলমান অর্থনৈতিক বিভ্রান্তি কমবে এবং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও করতে পারবেন। 

    ২) বিবাহিত জীবনেও সম্প্রীতি থাকতে পারে। 

    সিংহ 

    ১) দিনের শুরুতে, কিছু কাজ করার তাড়া থাকবে, তবে তারপরে আপনি প্রায় সমস্ত কাজই স্বাচ্ছন্দ্যে করবেন।

    ২) সন্তানদের কোনও কাজে সাফল্য লাভ হবে। 

    কন্যা

    ১) আপনার ব্যক্তিত্বে সবাই সহজেই আকৃষ্ট হবে। 

    ২) দাম্পত্য জীবন ভালোবাসায় ভরপুর হবে।

    তুলা 

    ১) আজ উপকার পেতে আপনাকে আচরণে নরম হতে হবে। 

    ২) আজকের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলি স্থগিত করা ভালো হবে। 

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখার ফলে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আয় হবে। 

    ২) দান-খয়রাতের পাশাপাশি পারস্পরিক ব্যবহারিকতার আদান-প্রদান হবে।

    ধনু

    ১) পুরনো ঋণ শোধ করলে স্বস্তি মিলবে। 
     
    ২) সময়মতো গৃহকর্তার চাহিদা পূরণের মাধ্যমে শান্তি বজায় থাকবে।

    মকর

    ১) ব্যবসায়ীদের আকস্মিক লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) পরিবারে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা হতে পারে। তবে পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

    কুম্ভ

    ১) শারীরিক দুর্বলতা থাকবে, তবুও বাধ্য হয়ে কাজ করতে হতে পারে। 

    ২) আর্থিক বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে কারও সাহায্য নেওয়া নিশ্চিত করুন। 

    মীন

    ১) ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে দূরে থাকুন। 
     
    ২) শেয়ার, ফটকাবাজি ইত্যাদির মাধ্যমে সম্পদের তহবিল বৃদ্ধি পাবে। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তোপ দলেরই বিধায়কের!

    Panchayat Election: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তোপ দলেরই বিধায়কের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলকে এলাকায় জেতালেও নিজের মেয়েকে দলীয় টিকিটে দাঁড় করাতে পারলেন না চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হামিদুল রহমান। তাঁর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে টিকিট বন্টন (Panchayat Election) করা হয়েছে। অভিযোগের তীর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে। অপরদিকে, যারা টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে, দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগম উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে করিম চৌধুরীর অনুগামী হিসেবে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন। আর তার ফলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব খানিকটা বিপাকে পড়েছে। মেয়েকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জেতাতে মরিয়া বিধায়ক হামিদুল রহমান। এই ঘটনায় আবারও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।

    কেন প্রার্থী (Panchayat Election) করা হল না বিধায়কের মেয়েকে?

    উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে প্রার্থী (Panchayat Election) করা হয় চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগমকে। নির্বাচনে প্রায় ৪৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাজকর্ম পছন্দ না হওয়ায় অর্জুনা বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী হয়ে কাজকর্ম করেন। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিদ্রোহী বিধায়ক করিম চৌধুরীর মনোনীতদের প্রার্থী তালিকার বাইরে রেখেছেন বলে অভিযোগ। বাতিলদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ৪৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুন বেগমও। শুধুমাত্র করিম চৌধুরীর অনুগামী হবার কারণেই তাঁকে জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে প্রার্থী করা হয়নি বলে অভিযোগ।

    দলের বিরুদ্ধেই তোপ বিধায়কের

    অপরদিকে মেয়েকে প্রার্থী না করায় জেলা সভাপতিকে এক হাত নিয়েছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। বিধায়কের অভিযোগ, একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন জেলা সভাপতি। চার নম্বর আসনে দল যাকে প্রার্থী (Panchayat Election) করেছে, সে নিজের এলাকাতেই জিততে পারবে না। জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি ফারহাদ বানু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব হওয়ার পরেও তাঁকেও প্রার্থী করা হয়নি। বিধায়কের আরও অভিযোগ, রাজ্যের সমস্ত জেলায় বিধায়কদের প্রার্থী নির্বাচনের প্রধান দায়িত্ব থাকলেও একমাত্র ইসলামপুরের বিধায়ককে সেই দায়িত্বের বাইরে রাখা হয়েছে। জেলা সভাপতি এবং রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগম আরেক ধাপ এগিয়ে বলেন, জেলা সভাপতি তাঁদের প্রতি অবিচার করেছেন। তাই তাঁরা নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন।

    কী জবাব দিলেন দলের জেলা সভাপতি?

    অপরদিকে, এ বিষয়ে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল ফোনে জানিয়েছেন, “টাকা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কে টিকিট পাবে না পাবে, সমস্তটাই দল ঠিক করেছে। দলের ওপরে আমরা কেউ নই। দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে (Panchayat Election) সেটাই মেনে চলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Rath Yatra: জগন্নাথ দেবের পাশেই মদনগোপাল জিউ, মহিষাদল রাজবাড়ির রথে ভক্তের ঢল

    Rath Yatra: জগন্নাথ দেবের পাশেই মদনগোপাল জিউ, মহিষাদল রাজবাড়ির রথে ভক্তের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরী, মাহেশের পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের রাজবাড়ির রথও (Mahishadal Rath Yatra) ঐতিহ্যের দিক থেকে কোনও অংশেই কম সুপ্রাচীন নয়। এই বছর মহিষাদলের রথ পড়ল ২৪৭ বছরে। মহিষাদলের রাজবাড়ির রথের বিশেষত্ব হল, এই রথে জগন্নাথদেবের পাশাপাশি ওঠেন রাজবাড়ির কুলদেবতা মদনগোপাল জিউ। রথকে কেন্দ্র করে এক মাস ধরে মেলা চলে মহিষাদলে। প্রচুর ভক্ত সমাগমে পরিপূর্ণ আজকের এই রথের মেলা।

    ইতিহাসে রথযাত্রা

    রথের প্রসঙ্গ উঠলেই প্রথমে আসে পুরী, মাহেশের রথের (Mahishadal Rath Yatra) কথা। কিন্তু জানেন কি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথও ঐতিহ্যের দিক থেকে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। ইতিহাস ঘাঁটলে অন্তত তেমনই জানা যায়। এই রথ আজও একই রকম ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। মহিষাদল রাজ পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই রথের যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য এই রাজ পরিবার থেকেই ১৭৩৮ সালে রাজা হন যুবরাজ আনন্দলাল উপাধ্যায়। তিনি ৩১ বছর রাজত্ব করার পরে মারা গেলে, তাঁর স্ত্রী রানী জানকী জগন্নাথ পূজা এবং রথের দায়িত্ব নেন। তিনিই ১৭৭৬ সাল থেকে এই রথযাত্রা শুরু করেন।

    কেমন হয় রথযাত্রা

    সেই সময় এই রথে (Mahishadal Rath Yatra) ১৭টি চূড়া ছিল। চাকার উচ্চতা ছিল ৬ ফুট। এই রথ তৈরিতে সে সময় খরচ হয়েছিল ৬৪ হাজার টাকা। পরে এই রথের চূড়া কমিয়ে ১৩টি করা হয়। ২০১৭ সালে এই রথকে আরেক বার নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। তখনও খরচ হয়েছিল প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা। এক মাস ধরে এই রথের মেলা চলে মহিষাদলে। রাজ পরিবার ও মহিষাদল সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলায় হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়। এই মেলায় বিভিন্ন শিল্পীরা ভিড় করেন। নানা রকমের হস্তশিল্প থেকে খাওয়া দাওয়া সব মিলে একেবারে জমে ওঠে মহিষাদলের রথযাত্রা।

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকেও হাজার হাজার ভক্তের তীর্থধাম হয়ে ওঠে এই মহিষাদল। দুপুর তিনটের পর প্রথা মেনে রাজবাড়ির কোনও সদস্য রথের রশিতে টান দেওয়ার পর সেই রথ টানা শুরু হয়। মহিষাদল রথতলা থেকে গুন্ডিচাবাটি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিমি রথে করে জগন্নাথদেব গিয়ে থাকেন মাসির বাড়িতে। সাত দিন মাসির বাড়িতে থেকে আবার ফিরে আসেন উল্টো রথে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের হাস্যকর পরিণতি, একই বুথে দলের দুজন প্রার্থী!  

    Panchayat Election: শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের হাস্যকর পরিণতি, একই বুথে দলের দুজন প্রার্থী!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর বিধানসভার মধুসূদন চকের মাঝিপাড়া। এখানকার ২৮১ নম্বর বুথে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (Panchayat Election) প্রকাশ্যে। এই বুথে তৃণমূলের পক্ষে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এমনই দাবি করছেন দুই প্রার্থী। দুজনেই আবার শাসকদলের অনুগামী বলেও দাবি করছেন। ভারতীয় সংবিধানে এমন নজির কি আছে, যেখানে একই দলের দুজন প্রার্থী লড়বেন একই দলের হয়ে? এটা হাস্যকর বলে ব্যঙ্গ করতে ছাড়েনি অনেকেই।

    কীভাবে প্রকাশ্যে এল গোষ্ঠী কোন্দল (Panchayat Election)?

    বহুদিন ধরেই মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (Panchayat Election) খবর সামনে উঠে আসছে। বিগত দিনে জ্যোৎস্না পাত্র ছিলেন শাসক দলের প্রধান। হঠাৎ করেই গত বছর দল তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে বিরোধীদের সাহায্য নিয়ে অন্য আরেক জনকে প্রধান করে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে এল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৮১ নম্বর বুথে মনোরঞ্জন জানা পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন শাসকদলের। এবার তাঁর স্ত্রী তারামণি মণ্ডল জানা শাসকদলের হয়ে নমিনেশন জমা করেন। তাঁর স্বামী মনোরঞ্জন জানার দাবি, নির্দল হিসাবে তাঁর স্ত্রী নমিনেশন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁকে তৃণমূলের প্রার্থী হতে হবে। সেই মতো তাঁর স্ত্রী নমিনেশন জমা করেন। পরবর্তী কালে দেখা যায়, প্রিয়াঙ্কা মাইতিও সেখানে শাসকদলের হয়ে নমিনেশন জমা করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে কাউকে প্রতীক দেওয়া হয়নি। ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, দুজনই টিএমসি প্রার্থী। তবে নমিনেশনের শেষ দিনে প্রকৃত কে তৃণমূলের প্রতীক পাবে, সেটাই এখন দেখার। দলের প্রতীক না পেলে তাঁর স্ত্রী নির্দল হয়ে লড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মনোরঞ্জন জানা।

    একই আসনে আরেক প্রার্থী কে (Panchayat Election)?

    অন্যদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রিয়াঙ্কা মাইতিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে প্রার্থী (Panchayat Election) করা হয়েছে। তিনি দলীয় প্রতীক পাবেন। আর প্রতীক না পেলে তিনিও নমিনেশন তুলবেন না, নির্দল হয়ে লড়বেন, এমনটাই জানা গেছে। একমাত্র আগামীকালই জানা যাবে প্রকৃত তৃণমূলের প্রার্থী কে। কারণ আগামীকাল নমিনেশন তোলার শেষ দিন। তবে যাই হোক না কেন, শাসকদলের কোন্দলের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী শেষ হাসি হাসেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Vote: বিজেপি প্রার্থীকে বাড়ি বয়ে হুমকি! সুকান্তর তাড়ায় চম্পট দিল শাসক দল

    Panchayat Vote: বিজেপি প্রার্থীকে বাড়ি বয়ে হুমকি! সুকান্তর তাড়ায় চম্পট দিল শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হুমকি দিতে আসে তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী। খবর পেয়েই ছুটে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ধাওয়া করেন দুষ্কৃতীদের। চম্পট দেয় তারা। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বহিরাগতরা পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই এলাকায় অস্ত্র হাতে দাপাচ্ছে। বিরোধী প্রার্থীদের বাড়ি বয়ে খুনের হুমকি দিচ্ছে। এদিন বিডিও অফিসেও যান সুকান্ত। অভিযোগ, শাসক দলের কর্মীরা ১৪৪ ধারা ভেঙে জোর করে তুলে এনে কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করায়।

    কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?

    জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর ব্লকের সুকদেবপুর অঞ্চলে বিজেপি প্রার্থী (Panchayat Vote) হয়েছেন রূপালী রায়। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মতো এদিনই মনোনয়ন তোলার শেষ দিন। এদিন রূপালী রায়ের বাড়িতে একদল দুষ্কৃতী মনোনয়ন তোলার জন্য হুমকি দিতে আসে। তারা নম্বরহীন গাড়ি ও বাইকে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। এই খবর পেয়েই এলাকায় ছুটে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ দলের লোকজন। তাঁদের দেখে পালিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ছুটে আসে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘সুকদেবপুর অঞ্চলে দিনে রাতে দুষ্কৃতীরা এসে হামলা চালাচ্ছে। আমরা খবর পেয়ে আসি। এসে দেখি কিছু দুষ্কৃতী হাতে লাঠি নিয়ে আছে। পাশাপাশি তারা একটি চারচাকা গাড়ি ও দুটি মোটর বাইক নিয়ে আসে। যার মধ্যে একটির নাম্বার নেই। দুষ্কৃতীরা আমাদের প্রার্থীর স্বামীকে খুন করার হুমকি দেয় ও মনোনয়ন তুলে নেবার জন্য জোর করে। আমরা ওদেরকে ধরার জন্য ধাওয়া করি। ওরা আমাদের দেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ সময়মতো আসেনি। আমরা পুলিশকে বলছি এই গাড়িটিকে চেক করতে।’’ অন্যদিকে বিডিও অফিসে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘‘তৃণমূলের হার্মাদরা আমাদের প্রার্থীদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তারা নিজেই আমাদের প্রার্থীদের গাড়ি করে তুলে নিয়ে এসে ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিডিও অফিসে ঢুকে মনোনোয়ন প্রত্যাহার করাচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। হাতেনাতে ধরেছিলাম এক তৃণমূল নেতাকে। সেই নেতা ক্যামেরার সামনে বলেছে, আমি তৃণমূলের যুব সভাপতি, আমি ১৪৪ ধারার মধ্যে ঢুকতে পারি। আমরা আজ বিডিওকে বলেছি, যদি এর উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে বৃহত্তর আন্দোলন করব।’’

    কী বলছেন বিজেপি প্রার্থী রূপালী রায়?

    এই বিষয়ে বিজেপির প্রার্থী রুপালি রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাকে এসে ভয় দেখাচ্ছে আমাকে প্রার্থী হতে দেবে না। ভোট হবার পর আমাদের বাড়িতে থাকতে দেবে না বলছে। মনোনয়ন তোলার জন্য তারা জোর করছে।’’ অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থীর স্বামী রতন রায় বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে, একারণে দিনে-রাতে তৃণমূলের কর্মীরা আমাদের এসে  হুমকি দিচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Purba Medinipur: সিপিএমের পথেই তৃণমূল! বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে হুমকি

    Purba Medinipur: সিপিএমের পথেই তৃণমূল! বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম আমলে বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে যেভাবে প্রাণনাশের হুমিক দেওয়া হত, ঠিক তেমনই ঘটনার প্রতিফলন এবার পুর্ব মেদিনীপুরে। অভিযোগের তীর এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সমানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন নীলিমা দত্ত। কাঁথি (Purba Medinipur) ১ নম্বর ব্লক এলাকার সাবাজপুট গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৬ বুথের বিজেপির মনোনীত প্রার্থী তিনি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন, বাড়ির উঠানে একটা সাদা থান এবং সঙ্গে মিষ্টি, ফল, ফুলের মালা। সেই সঙ্গে রয়েছে একটি ছোট্ট চিরকূট। তাতে লেখা রয়েছে, ‘স্বামীর ভালো চাইলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়া’… । যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

    বিজেপি প্রার্থীর প্রতিক্রিয়া

    বিজেপির প্রার্থী নীলিমা দত্ত বলেন, আমরা রাতে খাওয়াদাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরবেলা আমার শ্বশুরমশাই বাইরে বের হলে দেখেন, কারা যেন বাড়ির (Purba Medinipur) উঠানে এই সাদা থান এবং একটি চিরকূট রেখে গেছে। তিনি খুব স্পষ্ট বলেন, তৃণমূলের হার্মাদরাই এই কাজ করেছে! আগে সিপিএমের লোকেরা এই কাজ করত, এখন তৃণমূল করছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই রাজ্যে। মানুষ নিজের পছন্দ এবং মতামত প্রকাশ করলেই এভাবে বিরোধীদের বাড়িতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই থান এবং চিরকূটের মাধ্যমে তাঁকে বিধবা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন নীলিমা দেবী। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনও প্রশ্ন নেই, লড়াই করব। তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি এবং সামাজিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে জনমত তৈরি করার চেষ্টা করব।

    কতটা সুরক্ষিত পঞ্চায়েত নির্বাচন?

    কলকাতা হাইকোর্ট নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করলে সুপ্রিম কোর্টও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দেয়। বাহিনী দিয়েই ভোট করাতে হবে বলে নির্দেশ বহাল রাখা হয়। পাশাপাশি রাজ্যপাল রাজভবনে ‘পিস রুম’ খুলে মানুষের অভিযোগ জানানোর বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন। অপর দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আগামী দশ দিনের মধ্যে রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়েছেন। মিনাখাঁ, ভাঙড়ে যে সব বিরোধীরা মনোনয়ন করতে পারেননি, তাঁদের সুরক্ষা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় রাজ্য পুলিশের কী ভূমিকা ছিল? যে কোনও রকম হিংসা ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন? হিংসার আগে-পরে কী কী ঘটেছে? কত জন গ্রেফতার হয়েছে! সেইসব কথাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। সব মিলিয়ে নির্বাচনে মনোনয়ন জমা, মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং নির্বাচনের দিনে বিরোধী রাজনৈতিক দল কতটা সুরক্ষিত! তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সাধারণ ভোটাররা। ৮ই জুলাই নির্বাচনের দিন কাঁথিতে (Purba Medinipur) কেমন নিরাপত্তা বলয় থাকে, তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: টিকিট না পেয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুরের তৃণমূল নেতা

    Panchayat Vote: টিকিট না পেয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুরের তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছেই। এবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) প্রার্থী না হতে পারায় ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম মুখ দুধকুমার ধাড়া। সিঙ্গুর (Singur) পঞ্চায়েত সমিতির ৩ নম্বর আসনে দলীয় তালিকায় নাম ছিল দুধকুমার ধাড়ার। সেই মতো মনোনয়নও জমা দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, এরপর দলের প্রতীক অন্য একজন পেয়ে যায়। এ নিয়ে দুধকুমার জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠিও খেলেন সিঙ্গুর আন্দোলনের এই কৃষক নেতা।

    আরও পড়ুুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    কী লিখলেন দুধকুমার?

    ফেসবুকে দুধকুমার ধাড়া লেখেন, ‘‘এই নির্বাচনে আমাকে বেড়াবেড়ি পিএস ৩ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য নাম দেওয়া হয়। সেই মতো নমিনেশন জমা দিই। কিন্তু জানতে পারলাম আমাকে প্রার্থী করা হচ্ছে না। কারণ জানতে বেচারাম মান্নার কাছে যাই। আমার অপরাধ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনও অপরাধ নেই’। ‘এত বড় অপমান সহ্য করতে পারছি না।’’ দুধকুমারের আরও প্রশ্ন, ‘‘২০০৩ সাল থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে দীর্ঘদিন দলের কাজ করার পরও কেন তিনি টিকিট পেলেন না?’’ দুধকুমারের এই পোস্ট নিয়ে জোর শোরগোল ছড়িয়েছে জেলার রাজনীতিতে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দুধকুমার বলেন, “এই পোস্ট আমার অপমানের পোস্ট। আমাকে যে অপমান করা হল তার বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছি।”

    দুধকুমারের পরিবর্তে কে প্রার্থী হলেন?  

    জানা গিয়েছে, দুধকুমার ধাড়ার আসনে যিনি দলীয় প্রতীক পেয়ে প্রার্থী হয়েছেন, তিনিও সিঙ্গুর জমি আন্দোলনেরই অন্যতম আরেক মুখ তথা হুগলি জেলা পরিষদের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ মানিক দাস। মানিক বলেন, “উনি টিকিট পেয়েছিলেন তা আমার জানা ছিল না। আগে থেকে কেউই জানত না, কে কোথায় টিকিট পাবে। দল যেটা ভাল মনে করেছে সেটা করেছে। আমিও ভেবেছিলাম জেলা পরিষদে টিকিট পাব কিন্তু দল দেয়নি। তাতে আমার কিছু বলারও নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share