Tag: Madhyom

Madhyom

  • Mahishadal Rath Yatra: বাংলার ২৪৭ বছরের প্রাচীন রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহিষাদলে

    Mahishadal Rath Yatra: বাংলার ২৪৭ বছরের প্রাচীন রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহিষাদলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর মতো বাংলার বিখ্যাত হল মহিষাদলের রথযাত্রা (Mahishadal Rathayatra)। বাংলা থেকে স্বয়ং শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু পুরীতে গিয়ে রথাযাত্রা উৎসবে যোগদান করেছিলেন। শ্রীচৈতন্যদেব পুরীর নীলাচলে আত্মলীন হয়েছিলেন বলে জানা যায়। বাংলায় প্রাচীন রথযাত্রাগুলির মধ্যে মহিষাদলের রথযাত্রা হল অত্যন্ত সুপ্রাচীন।

    ইতিহাসে রথযাত্রা

    রথের প্রসঙ্গ উঠলেই প্রথমে আসে পুরীর নাম। কিন্তু মাহেশের রথের (Mahishadal Rathayatra) কথা জানেন কি? পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথও ঐতিহ্যের দিক থেকে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। ইতিহাস ঘাঁটলে অন্তত তেমনই জানা যায়। এই রথের বয়স ২৪৭ বছর। এই রথ আজও একই রকম ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। মহিষাদল রাজ পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই রথের যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য এই রাজপরিবার থেকেই ১৭৩৮ সালে রাজা হন যুবরাজ আনন্দলাল উপাধ্যায়। ৩১ বছর রাজত্ব করার পরে তিনি মারা গেলে, তাঁর স্ত্রী রানী জানকী এই রথের দায়িত্ব নেন। তিনিই ১৭৭৬ সাল থেকে এই রথযাত্রা শুরু করেন।

    কেমন হয় রথযাত্রা?

    সেই সময় এই রথে (Mahishadal Rathayatra) ১৭টি চূড়া ছিল। চাকার উচ্চতা ছিল ৬ ফুট। এই রথ তৈরিতে সে সময় খরচ হয়েছিল ৬৪ হাজার টাকা। পরে এই রথের চূড়া কমে ১৩টি করা হয়। ২০১৭ সালে এই রথকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়, তখন খরচ হয়েছিল ২৮ লক্ষ টাকা। এক মাস ধরে এই রথের মেলা চলে মহিষাদলে। রাজ পরিবার ও মহিষাদল সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই রথযাত্রা চলে। এই মেলায় হাজার মানুষের ভিড় হয়। এই মেলায় বিভিন্ন শিল্পীরা ভিড় করেন। নানা রকমের হস্তশিল্প থেকে খাওয়া দাওয়া, সব মিলে একেবারে জমে ওঠে মহিষাদলের রথযাত্রা।

    এলাকার বিধায়কের বক্তব্য

    এলাকার বিধায়ক বলেন, এই রথ (Mahishadal Rathayatra) অনেক পুরানো ঐতিহ্যবাহী। প্রশাসনের তরফ থেকে আগত সকল ভক্তবৃন্দের জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সিসিটিভি, ড্রোন ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Yellow Colour: সব স্টেশনের বোর্ডে কেন হলুদ রং? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Yellow Colour: সব স্টেশনের বোর্ডে কেন হলুদ রং? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু ক্ষেত্রে পোস্টার হোক বা কোনও সচেতনতামূলক বোর্ড। সব জায়গাতেই কিছু বিশেষ রঙের ব্যবহার দেখা যায়, যেগুলি মানুষকে আকর্ষণ করে। যেমন সিগন্যালে লাল ও সবুজ রং মানুষকে সচেতন করে। প্রত্যেকটি রং বিশেষ বার্তা এবং মানেও বহন করে। এই বিশেষ কোনও একটি রঙের ব্যবহার নিয়ে আবার অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে, কেন সেই জায়গায় শুধু ওই একটি রংই ব্যবহার করা হয়? অন্য রং কেন ব্যবহৃত হয় না? আজ আমরা যে রংটি নিয়ে বিশেষ ভাবে আলোচনা করব, সেটি হল হলুদ (Yellow Colour)। রেল স্টেশনের বোর্ড থেকে শুরু করে স্কুল বাস, সবেতেই কেন হলুদ রং ব্যবহার করা হয়? এর পিছনে কি আছে বিজ্ঞান?

    সব স্টেশনের বোর্ডে কেন হলুদ রং (Yellow Colour) ব্যবহার করা হয়?

    বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর অন্যতম কারণ হল, হলুদ রঙের (Yellow Colour) বোর্ডের ওপর কালো কালিতে লেখা জায়গার নাম সহজেই ট্রেনের ড্রাইভার দূর থেকে বুঝতে পারেন। সামনে কোনও স্টেশনের উপস্থিতি দূর থেকেই তাই জানতে পারেন তাঁরা। এটি অন্য কোনও রঙের দ্বারা সম্ভব নয়। 

    স্কুল বাসগুলিতেও কেন হলুদ রং (Yellow Colour) করা হয়?

    এর পিছনেও আছে বিজ্ঞান। কারণ হলুদ রং (Yellow Colour) বাচ্চাদের মস্তিষ্কে খুব ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। হলুদ রং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে। আর নিরাপত্তার দিক থেকে ভাবলে দেখা যায়, আগের কারণটির মতোই হলুদ রং খুব দূর থেকে লক্ষ্য করা যায় এবং তা সহজেই চোখে পড়ে। স্কুল বাসে উপস্থিত বাচ্চাদের পথ দুর্ঘটনা থেকে এড়াতে এই রঙের ব্যবহার করা হয়। এমনকী কুয়াশা থাকেলও সহজেই এই রং ধরা দেয় চোখে। হলুদের পেরিফেরাল দৃষ্টি লাল রঙের চেয়ে দেড় গুণ বেশি। দুর্ঘটনার প্রবণতা কমাতে তাই স্কুল বাসে হলুদ রংই বেশি করা হয়।

    অনেক খাবারের দোকান ও রেস্টুরেন্টের বোর্ড হলুদ (Yellow Colour) ও লাল হয়, কারণ কী?

    এর পিছনে আছে এক মনস্তাত্ত্বিক কারণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লাল রঙের মধ্যে এমন এক গুণ আছে, যা মানুষের খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। আর তার সাথে হলুদ রং (Yellow Colour) মস্তিষ্কের নেতিবাচক প্রভাবগুলিকে বাড়িয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং ভালোলাগার অনুভূতিগুলো জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই অনেক রেস্তোরাঁ কোম্পানি যেমন ডোমিনোজ, ম্যাকডোনাল্ড, বার্গার কিং, পিৎজা হাট, কেএফসি বরাবর এই লাল ও হলুদ রঙের ব্যবহার বেশি করে থাকে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হল পানীয় জলের সংযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হল পানীয় জলের সংযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি বিজেপি (BJP) প্রার্থী। এটাই তাঁর অপরাধ। আর এই অপরাধে তাঁর বাড়িতে জল বন্ধ করল তৃণমূল। এমনই অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের আগরা গ্রামে। জল বন্ধের অভিযোগ পেয়ে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে পৌঁছে যান দলের জেলা সভাপতি সহ জেলা নেতৃত্ব। প্রার্থীর বাড়ি থেকে বিডিওকে ফোন করে নালিশ জানান তাঁরা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৩ নম্বর বুথের আগড়া গ্রামের বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়েছেন ভারতী দিগার। তাঁর বাবা স্বপন দিগার বলেন, মেয়ে বিজেপি প্রার্থী হয়েছে বলে পানীয় জল বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল। প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে জল আনতে গেলে আমাদের গালিগালাজ করছে। আর রাতে তৃণমূলের লোকজন বাড়িতে এসে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিডিওর কাছে আমি অভিযোগ জানিয়েছি। তিনি ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু, চারদিন হয়ে গেল আমরা পানীয় জল সংযোগ পাইনি।

    কী বলল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিষয়টি জানার পর বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাসের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে আসে। প্রার্থীর বাড়ি থেকে বিডিওকে বিজেপির জেলা সভাপতি ফোন করেন অভিযোগ জানান। পরে তন্ময়বাবু বলেন, এই গরমে পানীয় জল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার মতো জঘন্য ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। তৃণমূল যদি সন্ত্রাস করার চেষ্টা করে, তাহলে পাল্টা প্রতিরোধ হবে।

    কী বলল তৃণমূল নেতৃত্ব?

    সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। দলের নামে মিথ্যা অপপ্রচার করছে বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JEE Advanced: প্রকাশিত হল জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষার ফল! রাজ্যে প্রথম বাঁকুড়ার সাগ্নিক

    JEE Advanced: প্রকাশিত হল জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষার ফল! রাজ্যে প্রথম বাঁকুড়ার সাগ্নিক

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: রবিবার প্রকাশিত হল জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষার রেজাল্ট। পরীক্ষার ১৪ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশ করল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) গুয়াহাটি। পরীক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন নম্বর, জন্ম তারিখ এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে jeeadv.ac.in ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখতে পারবেন। এই বছর জেইই অ্যাডভান্সড-এর ফলাফল অনুযায়ী দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ভাভিলালা চিদবিলাস রেড্ডি। ভাভিলালা আইআইটি হায়দরাবাদ জোনের অন্তর্গত। ৩৬০ নম্বরের পরীক্ষায় ভাভিলালার প্রাপ্ত নম্বর ৩৪১। মেয়েদের প্রথম নয়কান্তি মোট ৩৬০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ২৯৮। এ বছর জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ১৮০৩৭২ জন পড়ুয়া। যার মধ্যে পাশ করেছেন ৪৩৭৭৩ জন। এঁদের মধ‍্যে ৩৬২৬৪ জন পুরুষ এবং ৭৫০৯ জন মহিলা।

    আইআইটি জয়েন্টে রাজ্যে প্রথম ৪ জনের ২ জন কলকাতার

    রাজ্যে প্রথম স্থান পেয়েছেন বাঁকুড়ার সাগ্নিক নন্দী। দ্বিতীয় ও তৃতীয় কলকাতার মহম্মদ সাহিল আখতার ও সোহম দাস। রাজ্যে চতুর্থ স্থান পেয়েছেন মেদিনীপুরের সৌহার্দ্য দণ্ডপাট।

    বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে সাহিল দেশে প্রথম

    বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের মধ্যে গোটা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সাহিল। আইআইটির প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভালো ফল করে উত্তীর্ণ হলেও, আইআইটিতে পড়তেই চান না তিনি। সারা ভারতে প্রথম ১০০ জনের তালিকায় থাকার পাশাপাশি রাজ্যেও দ্বিতীয় হয়েছেন সাহিল।

    আইআইটিতে না পড়ে আমেরিকার MIT তে অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে গবেষণা করতে চান সাহিল। ইতিমধ্যেই এমআইটির তরফে স্কলারশিপ অফার করা হয়েছে সাহিলকে। শুধুমাত্র উচ্চ বেতনের চাকরির জন্যই পড়াশুনা নয়, বরং জীবনে বিভিন্ন রকম প্রতিকূলতা থাকা সত্বেও যাঁরা প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছেন, তাঁদের পাশেই পরবর্তীতে দাঁড়াতে চান সাহিল।

    এক নজরে দেখে নিন সেরাদের তালিকা

    ভ্যাভিলালা চিদবিলাস রেড্ডি (আইআইটি হায়দরাবাদ জোন)
    রমেশ সূর্য থেজা (আইআইটি, হায়দরাবাদ)
    ঋষি কালরা (আইআইটি, রুরকি)
    রাঘব গোয়াল (আইআইটি, রুরকি)
    আদ্দগাদা ভেঙ্কটা শিভারম (আইআইটি, হায়দরাবাদ)
    প্রভব খান্দেলওয়াল (আইআইটি, দিল্লি)
    বিক্কিনা অভিনব চৌধুরী (আইআইটি, হায়দরাবাদ)
    মালয় কেডিয়া (আইআইটি, দিল্লি)
    নাগিরেড্ডি বালাজি রেড্ডি (আইআইটি, হায়দরাবাদ)
    ইয়াকান্তি পানি ভেঙ্কটা মানেন্দর রেড্ডি (আইআইটি, হায়দরাবাদ)

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ১৯/০৬/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ১৯/০৬/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) পরিজনদের ব্যবহার আপনার প্রতিকূলে থাকবে। 

    ২) সকলে আপনার সমালোচনা করবে। ব্যবসার গতি কম হবে।

    বৃষ

    ১) ধৈর্য ধরুন। চাকরিজীবীরা কর্মক্ষেত্র থেকে অধিক প্রত্যাশা করবেন না। 

    ২) কোনও না কোনও ভাবে আকস্মিক লাভের ফলে সঞ্চয় বাড়বে। 

    মিথুন

    ১) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও কারণে কথা কাটাকাটি হতে পারে। তবে কোনও বিষয়কে অধিক গম্ভীর হতে দেবেন না। 

    ২) ব্যবসায়িক যাত্রার ফলে ধন লাভ সম্ভব।  

    কর্কট

    ১) ঝামেলার কাজ থেকে দূরে থাকুন। 

    ২) স্বামী-স্ত্রীর কোনও গোপন ইচ্ছা পূর্ণ না হওয়ায় মনে তিক্ততা দেখা দেবে।

    সিংহ 

    ১) বুক বা বুকের ওপরের অংশে সমস্যা উৎপন্ন হতে পারে। 

    ২) বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হবেন। তবে মনের মিল না ঘটায় কষ্ট হবে। 

    কন্যা

    ১) বাড়িতে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে পারে। 

    ২) কারও সঙ্গে বিবাদ সম্ভব। ঝুঁকি নেবেন না, দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। 

    তুলা 

    ১) ছোটখাট কথায় বিতর্ক হতে পারে। স্বাস্থ্য দুর্বল হবে।

    ২) কাজ ও ব্যবসায় আর্থিক স্থায়িত্ব থাকবে না। মহিলারা ভেবেচিন্তে কথা বলুন। 

    বৃশ্চিক

    ১) ধর্মীয় কাজে আস্থা থাকা সত্ত্বেও ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন না। 

    ২) পুরনো অসম্পূর্ণ কাজের ফলে সমস্যায় পড়বেন।

    ধনু

    ১) দৌড়ঝাপ সত্ত্বেও বিশেষ আয় সম্ভব নয়। 
     
    ২) সহকর্মীরা নিজের কাজ আপনার ওপর জোর করে চাপিয়ে দেবেন।

    মকর

    ১) নিষ্ঠার সঙ্গে ধর্মীয় কাজ করবেন। 

    ২) পরিজনদের সময় দিন।

    কুম্ভ

    ১) কাজ ও ব্যবসায় প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও কোনও বাধা আসবে না। 

    ২) অতীতের পরিকল্পনা কার্যকর হবে।

    মীন

    ১) বাড়ির পরিবেশ শান্ত থাকবে। 
     
    ২) ব্যবসা বা অন্যান্য পারিবারিক কারণে বিবাদ হতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। 

  • RSS: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে আবেদন সঙ্ঘের! গৃহহারা প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সাহায্য

    RSS: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে আবেদন সঙ্ঘের! গৃহহারা প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সাহায্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে চলা হিংসার ঘটনায় নিন্দা জানাল আরএসএস (RSS)। পাশাপাশি সে রাজ্যের প্রশাসন, নিরাপত্তা আধিকারিক সমেত রাজ্য সরকারের কাছে শান্তি স্থাপনের উদ্দেশে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধও জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। আর্ত এবং দুর্গতদের মধ্যে সেবাকাজও শুরু করেছে সঙ্ঘ (RSS)। প্রসঙ্গত,সেখানকার মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মণিপুর। হিংসায় প্রায় ১০০ এর বেশি মানুষ নিহত হন। ১১টি জেলাতে জারি করতে হয় কার্ফু। বন্ধ রাখতে হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। সেখানে  শান্তি স্থাপনের উদ্দেশে দিন কয়েক আগেই পা রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘোষণা করেন ১০১ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্যাকেজ।

    আরএসএস-এর প্রেস বিবৃতি…  

    রবিবার এক প্রেস বিবৃতিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সর কার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে জানান, বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য ইতিমধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছে সঙ্ঘ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পারস্পরিক ঘৃণা এবং হিংসার কোনও স্থান নেই। কুকি এবং মেইতেই  দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতার জন্য পারস্পরিক আলোচনার আবেদনও জানিয়েছে সঙ্ঘ। মণিপুরের সাধারণ নাগরিক, বিশিষ্ট নাগরিক, রাজনৈতিক দলগুলির কাছেও সঙ্ঘ আর্জি জানিয়েছে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের। ওই প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী মণিপুরে এখনও পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে সঙ্ঘ। সঙ্ঘ নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, বিগত ৪৫ দিন ধরে মণিপুরে যা চলছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেখানে শান্তি স্থাপন করতে হবে।

    গত সপ্তাহের শুক্রবার থেকে ফের শুরু হয়েছে হিংসা

    শুক্রবার রাত থেকে আবারও অশান্তির আগুন জ্বলেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। দফায় দফায় হয়েছে সংঘর্ষ। লাগানো হয়েছে আগুন। গুলি চালানোর খবরও মিলেছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে কাওয়াকতা ও কাঙ্গভাইয়ে গুলি চলে। আজ, শনিবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় গুলি চলেছে বলে পুলিশ ও সেনা সূত্রে খবর। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয়েছে ভাঙচুর, লাগানো হয়েছে আগুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। দুই বিজেপি (BJP) প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবারকে এমনই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামে। ঘটনার পর থেকে গ্রামছাড়া দুই বিজেপি প্রার্থী। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রবিবার দুই বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে যায় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। তাঁরা গ্রামবাসীদের জোটবদ্ধ হয়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামের দুটি আসনে বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়েছেন দয়াল কোনাই এবং সুনিতা লেট। হুমকির আশঙ্কা ছিলই। তাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তাঁরা গ্রামের বাইরে ছিলেন। শনিবার গভীর রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী দয়াল কোনাইয়ের বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসে। দয়ালবাবু বলেন, “আমরা বাড়িতে ছিলাম না। তবে বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় মনোনয়ন তুলে না নিলে রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলা হবে। লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঁচতে চাইলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আকবার আলির (অঞ্চল সভাপতি) সঙ্গে দেখা করে আসতে বলবে”।

    বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের আত্মীয়রা কী বললেন?

     বিজেপি (BJP) প্রার্থী দয়াল কোনাইয়ের দিদি ঠান্ডু কোনাই বলেন, “দুষ্কৃতীদের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। ওরা প্রথমেই ভাইয়ের খোঁজ করছিল। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায় মনোনয়ন তুলে না নিলে খুন করে দেওয়া হবে। সকালে যেন আকবরের সঙ্গে দেখা করে আসে।” আর এক বিজেপি প্রার্থী সুনিতা লেটের শ্বশুর সনত লেটে বলেন, “দুষ্কৃতীদের হাতে পিস্তল ছিল। বার বার তারা আকবরের নাম করছিল। বলে যায় সকাল ১০ টার মধ্যে আকবরের সঙ্গে দেখা করতে হবে। ভয়ে বউমা এখন গ্রামের বাইরে রয়েছে।”

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    হুমকির খবর পেয়ে বেলেবাড়ি গ্রামে যান বিজেপির (BJP) জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী রশ্মি দে, জেলা সহ সভাপতি স্বরূপ রতন সিনহা, শ্রাবস্তি মুখোপাধ্যায়, রূপা মণ্ডল। শান্তনু মণ্ডল বলেন, “আমরা তৃণমূলের হুমকির নিন্দা করছি। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের কাছে আবেদন রেখেছি ভোট পর্যন্ত বহিরাগত কেউ রাতে গ্রামে ঢুকলে তাদের বেঁধে রাখুন। গ্রামে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা আবেদন করব।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আকবর আলি। তবে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “দলের নির্দেশ কাউকে কোনওরকম হুমকি দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কি হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দলীয় ফতোয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক

    TMC: দলীয় ফতোয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে তৃণমূলের সুপ্রিমো যতই চাপ সৃষ্টি করুক তাতে চিন্তিত নন করিমসাহেব। দলীয় নেতা কর্মীরা দলের অফিসিয়াল প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের আবেদন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। শনিবার দলের বৈঠকে নির্দল প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কী বললেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

     উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও বহু তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেতা কর্মীরা প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ইসলামপুর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামীরা দলের প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, দুর্নীতিমুক্ত,স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গঠন করতে দলনেত্রীর কাছে স্বচ্ছভাবমূর্তি থাকা মানুষদের তালিকা পাঠিয়েছিলেন। দল সেই তালিকা অনুমোদন করেনি। দলের এই ভূমিকায় হতাশ হয়ে পড়েন কর্মীরা। ২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনে যারা আমার হয়ে নির্বাচনে পরিশ্রম করেছেন তাঁদের দলে রাখতেই আমি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের হয়ে আমি প্রচারেও যাবে। দলের বিধায়ক হয়েও দলের কোনও প্রার্থীর হয়ে প্রচার বা বিরুদ্ধে কিছুই করব না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন ইসলামপুর ব্লক নিয়ে যেন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তিনি। পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে নির্দল প্রার্থীদের যাতে হেনস্থা না করেন তাঁর আবেদন করেছেন বিদ্রোহী এই বিধায়ক।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, তৃণমূল (TMC)  কংগ্রেসের অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা দলবিরোধী কাজ। কোনও নেতা বা বিধায়কের মদতে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর উপযুক্ত প্রমাণ পেলে দল ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি, দোকান লুটপাট, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Election: বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি, দোকান লুটপাট, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি। প্রার্থীর স্বামীর দোকানে লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠলো শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে  জলপাইগুড়ির পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রঙধামালি ১৮/১৮৪ নম্বর বুথের ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এদিন দুপুরে কোতোয়ালি থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি প্রার্থী মিনতি সন্ন্যাসীর স্বামী বিপ্লব সন্ন্যাসী। কোতোয়ালি থানার আইসি জানান,অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থীর স্বামী?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন পর্বের পর এবার প্রত্যাহারের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই তপ্ত হয়ে উঠছে গ্রাম বাংলা। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করানোর জন্য নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। শনিবার রাত থেকে পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রঙধামালি ১৮/১৮৪ নম্বর বুথের বিজেপির মহিলা প্রার্থী মিনতি সন্ন্যাসী ও তাঁর পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রঙধামালি এলাকা থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মিনতিদেবী। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই আসন থেকে মনোনয়ন পত্র তুলে ছিলেন তাঁর স্বামী বিপ্লববাবু। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে আমাকে মারধর করে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। এবার বিজেপি নেতৃত্ব পাশে থাকার আশ্বাস পেয়ে স্ত্রীকে প্রার্থী করেছিলাম। শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে অত্যাচার। বাড়ি বয়ে এসে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন স্ত্রী। রঙধামালি বাজারের উপর আমার খাতা-পেনের দোকান রয়েছে। সেই দোকানের তালা ভেঙে লুটপাট করা হয়।  এদিন দুপুরে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কোতোয়ালি থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করানোর জন্য জলপাইগুড়ি পলাতকা, বারোপেটিয়া, পাহাড়পুর সহ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বিজেপি প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের উপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে শাসক দল। প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। 

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান হেমব্রম। তিনি বলেন,পুরোটাই সাজানো নাটক। একটা পারিবারিক সমস্যাকে রাজনৈতিক রঙ দিচ্ছে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও টিকিট!” তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Hooghly: “বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও টিকিট!” তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) বলাগড় এখন বিখ্যাত। প্রাথমিক শিক্ষার নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ডের মাথা শান্তনু-কুন্তলদের খাসতালুক এই বলাগড়। এবার বলাগড় শিরোনামে মূলত পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে। প্রার্থী ঘোষণা হবার পর থেকে বেশ কিছু এলাকার মতো বলাগড়েও শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। উঠে এসেছে টাকা দিয়ে প্রার্থী করার মতো গুরুতর অভিযোগ। প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়িতে মেতে উঠেছেন স্থানীয় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি। একে অপরের নামে বিস্ফোরক সব অভিযোগ তুলেছেন। মূল দ্বন্দ্ব টাকা নিয়ে জেলখাটা দুষ্কৃতীদের কেন টিকিট দেওয়া হয়েছে!

    কেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছিল বলাগড়ের (Hooghly) তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। শনিবার বিকালে তার গণবিস্ফোরণ ঘটে। ওই দিন হুগলির বলাগড়ের জিরাটে একটি লজে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন বলাগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গাঙ্গুলি। আর সেখানেই ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের কর্মীরা। বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির আগের বারের বোর্ডের ছজন বিজয়ী কর্মাধ্যক্ষ বাদ পড়েছেন, একাধিক প্রধান, উপ-প্রধান এমনকী ব্লক সভাপতি, সহ-সভাপতিদেরও টিকিট দেওয়া হয়নি। আর এর পিছনে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিশেষ হাত রয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূল দলেরই কর্মী-সমর্থকরা।

    ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর বক্তব্য

    ব্লক (Hooghly) সভাপতি নবীন গাঙ্গুলি বলেন, যে কোনওদিন দল করেনি, এরকম, এমনকি বিজেপির লোককেও টিকিট দিয়েছেন বিধায়ক। এখন দল বলছে ভোট করতে হবে। কর্মীরা যারা সারা বছর কাজ করে, তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। দলকে সব জানিয়েছি। দেখি কী হয়। ব্লকের সাধারণ সম্পাদক সুজয় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও প্রার্থী করা হয়েছে। বিদায়ী বোর্ডের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বাদল সরকার বলেন, প্রথম থেকে দল করছি। প্রতি বছরই টিকিট নিয়ে এই ধরনের গন্ডগোল হয়। বাইরে সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করতে হয়, আর ভিতরে দলের টিকিট নিয়ে লড়াই করতে হয়। তবে এবারে পঞ্চায়েতে যেভাবে প্রার্থী করা হয়েছে, তাতে দলের কর্মীদের কথা শোনা হয়নি বলে জানান তিনি।

    বিধায়ক গোষ্ঠীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে বলাগড়ের (Hooghly) বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ২৩৮ টা গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৯০ টা আমি নিয়েছি। যারা আমাকে জেতাতে সাহায্য করেছিল, তাদের দেওয়া হয়েছে। আমি একটাকাও নিইনি। টাকা নিয়ে টিকিট দিয়েছে ব্লক সভাপতি স্বয়ং। যাদের থেকে টাকা নিয়েছে ব্লক সভাপতি তাদের টিকিট দিতে পারছে না বলে এসব বলছেন। বিজেপিকে টিকিট ওরাই দিয়েছে। বিধায়ক আরও বলেন, সব কানে যাচ্ছে বিজেপির। মুচকি মুচকি হাসছে তারা।

    বিজেপির বক্তব্য

    এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপির হুগলি (Hooghly) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, যে দলের কোনও গণতন্ত্র নেই, যে দলের উদ্দেশ্য কেবলমাত্র টাকা কামানো, সেই দলের মিটিংয়ে বলাগড়ে যেটা হয়েছে, সেটাই স্বাভাবিক। আজ যারা টাকা দিয়েছে, তারা টিকিট পেয়েছে। আর যারা দেয়নি, তারা পায়নি। যার ফলেই ঝামেলা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share