Tag: Madhyom

Madhyom

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এমন দিন আসবে তৃণমূলকে নৌকা, সাইকেল প্রতীক বাছতে হবে’’, খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘এমন দিন আসবে তৃণমূলকে নৌকা, সাইকেল প্রতীক বাছতে হবে’’, খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসের ৮ তারিখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। বৃহস্পতিবারই ছিল মনোনয়নে শেষ দিন। ঘটনাক্রমে কয়েক মাস আগেই জাতীয় দলের তকমা খুইয়েছে ঘাসফুল শিবির। এনিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, এমন দিন আসবে যেদিন তৃণমূলকে কলাগাছ নারকেল গাছ প্রতীক হিসেব বেছে নিতে হবে।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘আঞ্চলিক তোলামূল দল বিজেপির সঙ্গে গোয়া, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে টক্কর দিতে গিয়েছিল। এরপর তারা জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়েছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তোলামূল পার্টির দলীয় প্রতীক চিহ্ন আঞ্চলিক দলের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।’’

    শুভেন্দু আরও লিখেছেন, ‘‘এমন দিন আসবে যখন আঞ্চলিক তোলামূল পার্টি থেকে কেউ ভোটে লড়তে চাইলে তাঁদের নৌকা, সাইকেল রিকশ, নারকেল বা কলাগাছের মতো প্রতীক চিহ্ন, যা ফ্রি সিম্বল, সেটাই বেছে নিতে হবে।’’

    পঞ্চায়েত ভোটে আঞ্চলিক দল ও জাতীয় দল

    এবারের পঞ্চায়েত ভোটে লড়াইয়ের জন্য ৬টি জাতীয় দল রয়েছে। আম আদমি পার্টির ঝাড়ু, বহুজন সমাজ পার্টির হাতি, ভারতীয় জনতা পার্টির পদ্মফুল, সিপিআই(এম)-এর কাস্তে-হাতুড়ি-তারা, কংগ্রেসের হাত ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বইয়ের চিহ্ন রয়েছে। আঞ্চলিক দলের তালিকায় তৃণমূলের ঘাসফুলের পাশাপাশি রয়েছে সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের সিংহ।

     

    আরও পড়ুুন: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, পুলিশি এসকর্টে চলল গুলি, আইএসএফ কর্মী সহ মৃত ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: জলপাইগুড়িতে বিরোধীদের মনোনয়ন ছেঁড়ার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    Panchayat Election: জলপাইগুড়িতে বিরোধীদের মনোনয়ন ছেঁড়ার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মনোনয়ন কেন্দ্রগুলিতে শাসক দলের সন্ত্রাস চলছেই। উত্তর থেকে দক্ষিণ চিত্রটা একই। এবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অশান্তি দেখা গেল জলপাইগুড়িতে। শেষ দিনের মনোনয়ন ঘিরে সারাদিন চলল তৃণমূলের তাণ্ডব। কোথাও বিরোধীদের ঢুকতে দেওয়া হল না, তো কোথাও ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হল। কেউ কেউ আবার মনোনয়ন জমা দিতে বিডিও অফিসে ঢুকেছিলেন। কিন্তু অফিসের ভিতরেই মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয়, অভিযোগ বিরোধীদের

    বিরোধীদের অভিযোগ, এই সব কিছুই হয়েছে পুলিশের উপস্থিতিতে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা সদর্থক ছিল না। এই ধরনের ঘটনা আগে জলপাইগুড়িতে কখনও দেখা যায়নি বলে জানান মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা প্রার্থীরা। পাহাড়পুর থেকে একজন মহিলা নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলেন। কিন্তু বিডিও অফিসের ১ কিলোমিটার আগেই তাঁকে আটকে তাঁর হাত থেকে নমিনেশন পেপার ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। একই ঘটনা ঘটে অপর এক মহিলা প্রার্থীর ক্ষেত্রেও। কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। অন্যদিকে মালকানির একজন বিজেপি প্রার্থী জলপাইগুড়ির বিডিও অফিসের ভিতরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁর হাত থেকে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে, সেখানে কীভাবে দুষ্কৃতীরা অফিস চত্বরে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে পারে? একই ঘটনা ঘটেছে আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ দিনে চার প্রার্থীর নমিনেশন পেপার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুই সিপিএম প্রার্থী, এক বিজেপি প্রার্থী ও এক নির্দল প্রার্থীর নমিনেশন ফর্ম ঘরে ঢুকে ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। এই সব অভিযোগই শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    কী বলছেন শাসক দলের নেতা?

    যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে এ সমস্ত ঘটনার কথাই অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা তপন ব্যানার্জি বলেন, এমন ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এমন প্রতিশ্রুতি যে ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছু নয়, তা জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে শাসক দলের সন্ত্রাসই বলে দিচ্ছে। অন্যদিকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন আক্রান্ত সমস্ত প্রার্থীরাই। এর পরেই পুলিশ সেই প্রার্থীদের ফের বিডিও অফিসে ঢুকিয়ে পুনরায় নমিনেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েই বদলে দেওয়া হল পার্টি অফিস। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের কোহেতপুর গ্রামের তৃণমূলের পার্টি অফিস বদলে হয়ে গেল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। অফিস থেকে খুলে ফেলা হল পতাকা এবং ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স। মুছে দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়াল লিখন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

    কী হয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)?

    বুধবার সকাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতাপগঞ্জ (Murshidabad) অঞ্চলের যুব সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই দেখা যায়, চূড়ান্ত তালিকায় জাহাঙ্গিরের বদলে অন্য একজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আর তাই কার্যত তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। বৃহস্পতিবার সকালেই কোহেতপুর গ্রামে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস থেকে তৃণমূলের পতাকা সহ যাবতীয় ফ্লেক্স সরিয়ে দেওয়া হয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেস্টুনও। মুছে দেওয়া হয় দেওয়াল লিখন এবং তৃণমূলের প্রতীক। তৃণমূলের যাবতীয় পতাকা সরিয়ে কংগ্রেসের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় স্লোগান তোলেন স্থানীয়রা। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের হয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করার কথা ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ।

    কী বললেন এলাকার মানুষ?

    যুব সভাপতি (Murshidabad) মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ অনেক দিনের পুরনো তৃণমূল কর্মী। এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য, আমরা এই এলাকায় ২০০৯ থেকে তৃণমূল করি। এই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে বাইরের ব্যক্তিদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষকে এলাকার কাজ করার কেন সুযোগ দেওয়া হবে না? বহিরাগত কোনও লোককে আমরা নেতা বলে মানতে পারব না। জাহাঙ্গির শেখ বলেন, এই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা আজ পদত্যাগ করে, তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছে। এলাকার সমস্ত তৃণমূল অফিসকে আজ থেকে কংগ্রেসের পার্টি অফিস বলে ঘোষণা করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mental Health: মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্লু স্পেসের নিদান! কী বলছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা? 

    Mental Health: মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্লু স্পেসের নিদান! কী বলছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নীল জল আর ঢেউ শুধু চোখের আরাম দেয় না, শরীর আর মনের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে। তাই মানসিক অবসাদ ও চাপ কাটাতে সমুদ্রের পাড়কেই সঙ্গী করতে বলছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।তাঁরা বলছেন, ব্লু স্পেস কাজ করবে থেরাপির মতো (Mental Health)।

    কী এই ব্লু স্পেস (Mental Health)? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সমুদ্রের পাড়, যেখানে বার বার ঢেউ আছড়ে পড়ছে, সামনে দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র, একেই বলা হচ্ছে ব্লু স্পেস। সমুদ্রের ফাঁকা পাড় মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি, একটি আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে আমেরিকার মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ব্লু স্পেস থেরাপির (Mental Health) মতো কাজ করে। মানসিক চাপ ও অবসাদগ্রস্ত রোগী সমুদ্রের পাড়ে সময় কাটালে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।

    কীভাবে সমুদ্র মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতে সাহায্য করে (Mental Health)? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সমুদ্রের অবিরত ঢেউ এক বহমানতা বজায় রাখার কথা বোঝায়। নীল জলের গভীরতা ও হাওয়া মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে। সমুদ্রের কাছের আবহাওয়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই আবহাওয়া দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health) জন্য এই আবহাওয়া খুব ভালো।মনোরোগ চিকিৎসকরা আরও জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদ তৈরি হয় মস্তিষ্কের কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য। দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় না থাকার জেরেই নানা মানসিক রোগ জন্মায়। আর সামুদ্রিক আবহাওয়া যেহেতু মস্তিষ্ক ও হরমোনের জন্য ভালো, তাই এই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সমুদ্র থেরাপির মতোই কাজ করে।

    কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল (Mental Health)? 

    মানসিক রোগীদের সুস্থ রাখতে প্রকৃতির সাহায্য সব সময় কাজে আসে বলে জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা! তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ক্রিন টাইম কমিয়ে গ্রিন টাইম বাড়ানোর কথা বার বার বলা হয়। রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয়, মন সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত ইন্টারনেট আসক্তি কমাতে হবে। মোবাইল, ট্যাবলেট, ল্যাপটপের স্ক্রিনের বদলে, সময় কাটাতে হবে প্রকৃতির সঙ্গে। গাছপালা আছে এমন জায়গায়, বাগানের মধ্যে দিনের কিছু সময় কাটালে মানসিক চাপ কমে। অবসাদের ঝুঁকিও কমে। তবে, সাম্প্রতিক এই গবেষণাপত্র জানাচ্ছে, গ্রিন টাইমের মধ্যে ব্লু স্পেস মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health) জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। 
    তবে, মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু মনের সমস্যা একেক জনের জন্য একেক রকম, তাই মানসিক সমস্যায় সবার যে এক রকম জায়গায় সমান উপকার হবে, এমন নিশ্চয়তা নাও থাকতে পারে। সমস্যা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই সময় কাটানো উচিত।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: কোন্দলে ভাঙন শাসক দলে, বিজেপিতে যোগদান ৩০০ তৃণমূল কর্মীর

    Paschim Medinipur: কোন্দলে ভাঙন শাসক দলে, বিজেপিতে যোগদান ৩০০ তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) নারায়ণগড়ে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ভাঙন শাসক দল তৃণমূলে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি, বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ সহ ৩০০ জন তৃণমূল কর্মী। দলের তরফে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে প্রাক্তন তৃণমূল কর্মীদের হাতে পতাকা তুলে দিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, যে সমস্ত নেতাকর্মীরা আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁদের মধ্যে ২০ জন আজই মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপির পক্ষ থেকে।

    নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur) কী ঘটেছে?

    উল্লেখ্য, নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur) শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল বার বার প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিককালে। নারায়ণগড়ের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই কোন্দল যে কোনও ভাবেই মেটানো গেল না, বৃহস্পতিবারের ঘটনা ফের তা প্রমাণ করল।

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার (Paschim Medinipur) বিজেপি নেতা লক্ষ্মীকান্ত সাউ বলেন, এলাকায় তৃণমূলের কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে ভালো মানুষগুলো বিজেপিতে যুক্ত হয়েছেন। তার কারণ, তাঁরা ভালো করে জানেন, তৃণমূলের শাসনে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। মাত্র ৮ দিন সময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন চলছে। আমরাও বিরোধী হিসাবে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই করছি। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপি শক্তিশালী হল বলে দাবি করলেন এই বিজেপির নেতা।

    তৃণমূল বিধায়কের প্রতিক্রিয়া

    যদিও এ প্রসঙ্গে নারায়ণগড়ের (Paschim Medinipur) তৃণমূল বিধায়ক সূর্য অট্টর দাবি, আজ যারা বিজেপিতে যোগদান করেছে, তারা এর আগেও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। পরে অবস্থা অনুকূল নয় বুঝতে পেরে তারা আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তারা দলের সাথে দূরত্ব তৈরি করেছিল। তিনি আরও বলেন, প্রায় চার বছর আগে ২০১৯ সালে ওরা সবাই বিজেপিতে যুক্ত হয়েছিল! এখন আবার এই সময় যুক্ত হল। একই মানুষকে কতবার যুক্ত করবে বিজেপি? এই প্রশ্নের উত্তর বিজেপিই জানে। বিধায়ক আরও বলেন, ওরা বিজেপিতে চলে যাওয়াতে এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে। সব মিলিয়ে মনোনয়নের শেষ দিনে যোগদান প্রসঙ্গে রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা জারি জেলা জুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: ২১ কিলোমিটার রাস্তা দৌড়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন স্মরণ সুব্বা! কেন জানেন?

    Darjeeling: ২১ কিলোমিটার রাস্তা দৌড়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন স্মরণ সুব্বা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ির কনভয় নিয়ে নয়। স্কুটি বা বাইকেও নয়। ২১  কিলোমিটার রাস্তা দৌড়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন স্মরণ সুব্বা। সোনাদা থেকে ২১ কিলোমিটার রাস্তা চার ঘণ্টায় দৌড়ে সুখিয়াপোখরিতে (Darjeeling) গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন এই নির্দল প্রার্থী। বিজেপির মহাজোট নিয়ে পাহাড়ে ভোটের হাওয়া গরম হয়ে উঠেছিল। সেখানে গত বুধবার স্মরণ সুব্বার দৌড় ভোটচর্চায় আলাদা জায়গা করে নিয়েছে।

    কেন দৌড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন স্মরণ (Darjeeling)?

    স্মরণ সুব্বা বলেন, পাহাড়ে (Darjeeling) যেভাবে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, তাতে ভয়ঙ্কর যানজটের পাশাপাশি পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। পাহাড়কে বাঁচাতে হলে যানবাহনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।  তা না তাহলে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় দার্জিলিং বিরক্তিকর জায়গা হয়ে উঠবে। সে ক্ষেত্রে দার্জিলিংয়ের সুনাম নষ্ট হবে। পর্যটকরাও দার্জিলিঙ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবেন। তার প্রভাব পড়বে পাহাড়ের জনজীবনে। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব মানুষ। কেননা, পর্যটকদের প্রতীক্ষায় এখানকার মানুষ বসে থাকে তাদের রুজি রোজগারের জন্য। 

    জিতলে কী করবেন এই নির্দল প্রার্থী (Darjeeling)?

    নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। জিতলে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) যানবাহনের সংখ্যার নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে রাস্তা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র করবেন বলে জানান স্মরণ সুব্বা। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ের রাস্তাঘাট সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। কারণ গ্রামের বহু মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন।সময়মতো চিকিৎসা করাতে না পারায় নানা ধরনের রোগব্যাধি জটিল আকার নিচ্ছে। এই জায়গা থেকে পাহাড় ও পাহাড়বাসীকে মুক্ত করার জন্যই আমি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছি। আর তার আগে মানুষকে দার্জিলিংকে বাঁচানোর বার্তা দিতেই আমি ২১ কিলোমিটার দৌড়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। শুধু পাহাড়বাসীকেই নয়, সমতলের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সচেতনতার এই বার্তা পৌঁছে যাক, এটাই আমি চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মনোনয়ন কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক-পত্নীকে দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান

    Murshidabad: মনোনয়ন কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক-পত্নীকে দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের প্রার্থী তালিকায় নাম নেই। অথচ বৃহস্পতিবার দেখা গেল, দলেরই সিম্বলে মনোনয়নপত্র জমা করলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী টগরী সাহা। আর এর পরই বিরোধীরা ‘চোর চোর’ স্লোগানে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিধায়ক-পত্নীকে।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) মনোনয়নপত্র জমা করতে গিয়ে কী ঘটল?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করার আজ বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিন। ইতিমধ্যেই সর্বত্র মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। মনোনয়নকে ঘিরে কোথাও চলেছে বোমা, আবার কোথাও চলেছে গুলি। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির টিকিটে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের স্ত্রীকে দেখা গেল মনোনয়নপত্র জমা করতে। উল্লেখ্য, এই জীবনকৃষ্ণ সাহাকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা করে বেরিয়ে আসছিলেন। ঠিক সেই সময় ব্লক অফিসের ভিতরেই মনোনয়ন দাখিলের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা বিরোধী দলের বিজপি প্রার্থীরা বিধায়কের স্ত্রী টগরী সাহাকে দেখেই চোর চোর স্লোগান তোলেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিরোধী প্রার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে মনোনয়নপত্র জমা করতে পারছিলেন না। অথচ বিধায়ক-পত্নী কোনও লাইন না দিয়েই নিজের মনোনয়ন জমা করেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিধায়ক-পত্নী মনোনয়ন জমা করতে এসে থেমে থাকেননি। তিনি সুযোগ পেয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রের ভিতরেই বিরোধীদের কুকুর-ছাগলের মতো আচরণ করেন বলে অভিযোগও শোনা গেছে। আর এই নিয়ে প্রশাসনের কাছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগও করা হয়।

    বিজেপির অভিযোগ

    ভারতীয় জনতা পার্টির স্থানীয় বুথ সহ সভাপতি ইলিয়াস শেখ বলেন, এতকাল এই তৃণমূল বিধায়ক (Murshidabad) কেবল চুরিই করে গেলেন, প্রাপ্য সুযোগসুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করলেন! আজ সেই বিধায়কের পত্নী পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন করলেন। আমরা সকাল থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি, আমাদের সময়ের কোনও দাম নেই। অথচ একজন বিধায়কের পত্নীর জন্য সব সুবিধা প্রশাসন দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বললেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত বিধায়কের পত্নীকে মনোনয়ন জমা করতে এসে লাইনে দাঁড়াতে হল না। ব্লক অফিসের আধিকারিকরা বিরোধী দলের প্রতি অসহযোগিতা করছেন। তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ করেন ইলিয়াস শেখ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: মনোনয়নের শেষ দিনে ঝরল রক্ত, অগ্নিগর্ভ চোপড়ায় গুলিতে মৃত ২, জখম ১

    Panchayat Election: মনোনয়নের শেষ দিনে ঝরল রক্ত, অগ্নিগর্ভ চোপড়ায় গুলিতে মৃত ২, জখম ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়নের শেষ দিনে রক্তাক্ত বাংলা। তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিতে বিরোধী দলের দুই কর্মীর মৃত্যু হল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়।  এখনও পর্যন্ত সিপিএম-কংগ্রেস জোটের তিন কর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর মিলেছে। সবমিলিয়ে চোপড়ার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছেে।

    ঘটনার বিস্তৃত ব্যাখ্যা

    বৃহস্পতিবার চোপড়ায় বাম-কংগ্রেস জোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল। সেইমতো জোট প্রার্থীরা বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, স্থানীয় রাখালবাড়ি এলাকায় তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে কয়েকশো যুবক দাঁড়িয়েছিল। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল বলেও শোনা যাচ্ছে। মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে এমন বাধা পেয়ে প্রতিরোধও গড়েন জোট প্রার্থীরা। অভিযোগ, তখনই ওই ভিড়ের মাঝখান থেকে তৃণমূলের কর্মীরা গুলি চালাতে থাকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন তিন জোট কর্মী। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি একজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

    পুলিশের দেখা মেলেনি, অভিযোগ বিরোধীদের

    গুলিচালনার ঘটনা বিডিও অফিস থেকে খুব দূরে ঘটেনি বলেই জানিয়েছে জোট নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, মনোনয়নের মিছিলের সময় কোথাও দেখা মেলেনি পুলিশের। বিডিও অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি সত্ত্বেও কীভাবে এমন জমায়েত করল তৃণমূল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন! শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চোপড়া থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

    তৃণমূলের জেলা সভাপতির বিবৃতি

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ফোনে বলেন, ‘‘আমি এখন ইসলামপুর মহকুমা শাসকের দফতরে রয়েছি নমিনেশন প্রক্রিয়ায়। চোপড়ার একটি ঘটনার কথা শুনেছি।  সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। সমস্তটা জেনেই মন্তব্য করতে পারব। পুলিশ-প্রশাসনকেও বলেছি যাতে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।’’

    গুলিতে জখম বিরোধী দলের কর্মী কী বললেন?

    হাসপাতালের বেডে শুয়ে গুলিবিদ্ধ এক কর্মী বলেন, ‘‘আমরা দল বেঁধে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলাম। তৃণমূল অ্যাটাক করল। ওরা যেতে মানা করেছিল। আমাকে গুলি করল। আমার হাতে গুলি করেছে। বড় বড় বন্দুক দিয়ে মারধরও করেছে।’’

     

    আরও পড়ুন: “গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেব?” কমিশনকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের “আদালত স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করতে পারে”…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রার্থী বাছাই এবং মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দলের বিধায়ক

    Nadia: প্রার্থী বাছাই এবং মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দলের বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই দলের কোনও অনুশাসন নেই, নেই নির্দিষ্ট কোনও গাইডলাইন। কেউ কাউকে মানে না। একশ্রেণির নেতারা এই দলটাকে শেষ করছে। যাদের কথা শুনে দল প্রার্থী ঠিক করছে সেই প্রার্থীর দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে। এখানে আমার কিছু করার নেই। দলের কর্মীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক তেহট্টের (Nadia) তৃণমূল বিধায়ক তাপসকুমার সাহা।

    নদিয়ায় (Nadia) মনোনয়নকে ঘিরে কী হয়েছে?

    উল্লেখ্য, এক দফা পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে চলছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ। আজ তার শেষ দিন। সেইমতো তেহট্ট (Nadia) বিডিও অফিসে দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপসকুমার সাহা। আর সেখানেই পছন্দের প্রার্থীদের নাম না থাকায় দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। 

    বিক্ষুব্ধ বিধায়ক কী বললেন?

    নির্বাচনে মনোনয়নের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে এই তৃণমূল বিধায়ক (Nadia) বলেন, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি এবং আমি একসঙ্গে বসে দলের নির্দেশে যে তালিকা দলকে পাঠিয়েছিলাম, সেখান থেকে অনেকের নাম বাদ গেছে। অথচ দল যেভাবে বলেছে, সই করে নাম সেই ভাবেই পাঠিয়েছি। কিন্তু তারপরেও আমাদের অনেকের নাম বাদ গেছে। আমরা বুঝতে পারছি, কেউ দলকে শেষ করার জন্যই এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। এরপর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের আইপ্যাক এবং দলের শীর্ষ স্তর থেকেও কেউ কেউ এই নাম বদল করেছেন বলে অভিযোগ করেন। বলেন, আমার তালিকার বাইরে যে নামগুলি এসেছে, তাঁদের দায়িত্ব আমি নেবো না! আর আমার দেওয়া যে সমস্ত নাম দল নির্বাচিত করেছে, তাঁদের দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। পাশাপাশি তিনি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে বলেন, এই দলের কোনও অনুশাসন নেই, নির্দিষ্ট গাইডলাইন নেই। জেলা সভাপতি, আইপ্যাক, অঞ্চল সভাপতিদের মধ্যে কোনও সংযোগ নেই। দলের তরফ থেকে নেই কোনও বিশেষ নির্দেশিকাও। এই প্রসঙ্গে আরও স্পষ্ট করে বলেন, দলের একটা অংশের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটছে এবং এই বিষয়ের মধ্যে প্রদেশের কিছু নেতা যুক্ত হয়ে তৃণমূল দলকে নষ্ট করছেন বলে অভিযোগ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: প্রার্থী পছন্দ নয়! জেলায় জেলায় দলের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে তৃণমূল কর্মীরা

    Panchayat Election 2023: প্রার্থী পছন্দ নয়! জেলায় জেলায় দলের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে তৃণমূল কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) টিকিট না পেয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে বহু জায়গায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নব্য তৃণমূল এবং আদি তৃণমূলের দ্বন্দ্বই প্রকাশ্যে আসছে। এরকমই বিক্ষোভের চিত্র দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের কালনা এবং মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। 

    টিকিট না পেয়ে কালনায় বিক্ষোভ

    গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Election 2023) প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল সামনে এল। বুধবার বিকেলে হাট কালনা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধর্মডাঙ্গা এলাকায় প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভে সরব হল দলেরই একাংশ। এঁদের দাবি, নির্মল বৈদ্য এবং শোভা রায় দুজনই তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন এই এলাকায়। কিন্তু এই প্রার্থীদের মেনে নিতে চাইছেন না এলাকার তৃণমূলের একাংশ। আর তাই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার আদি তৃণমূল কর্মীরা। এলাকার এক তৃণমূল কর্মী অরুণ মণ্ডল বলেন, আমরা এলাকায় ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করছি। বহু সময় ধরে আমরা অত্যাচার সহ্য করে সিপিএমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এলাকায় রাজনীতি করছি। আজ আমাদের উপেক্ষা করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্য লোককে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করলে, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। কালনা ছাড়া মুর্শিদাবাদেও টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভের চিত্র নজরে আসে।

    লালগোলায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) প্রার্থী তালিকায় নাম নেই তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য হজরত উমরের। তাঁর বদলে নাম রয়েছে মোতাহার হোসেনের। আর তার জেরেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানালেন তৃণমূলের নশিপুর এলাকার নেতা ও কর্মীরা। ক্ষোভে গত বুধবার পথ অবরোধও করেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের সমর্থকরা। এদিন লালগোলার তৃণমূলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় কর্মীরা। অপর দিকে মোতাহার হোসেন রিপন নামক ব্যক্তি জেলা পরিষদের প্রার্থী হলেও তাঁর স্ত্রীকে আবার পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী করা হয়েছে। এক পরিবার থেকে এত প্রার্থী কেন? এই নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে উঠেছে প্রশ্ন! আর তাই শাসক দলের প্রার্থী তালিকায় নাম দেখেই এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের বিক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এখানকার তৃণমূল বিধায়ক এবং সাংসদ টাকা নিয়ে প্রার্থী ঠিক করে আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি যাদের প্রার্থী করা হয়েছে তারা এই অঞ্চলের বাসিন্দা নয়। কোনও বহিরাগত লোককে অঞ্চলের পদপ্রার্থী হিসাবে মানতে নারাজ তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share