Tag: Madhyom

Madhyom

  • Panchayat Election: জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ গ্রেফতার হতেই গণ-ইস্তফা! প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল

    Panchayat Election: জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ গ্রেফতার হতেই গণ-ইস্তফা! প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়নের মাঝেই গ্রেফতার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা সোমনাথ বেরা। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমনাথ বেরার গ্রেফতারিতে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শাসক দলের অন্দরে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ দিন। তার আগে এমন ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন তমলুক ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদ্যুৎ বর্মন। পাশাপাশি আরও ১২ টি অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিরা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে থানার সামনে একপ্রস্থ বিক্ষোভ দেখান তাঁর অনুগামীরা। তারপর সেখান থেকে তাঁরা পৌঁছে যান এলাকার বিধায়ক তথা তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের অফিসের সামনে। সেখানেও তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন।। তাঁরা অভিযোগ জানাতে থাকেন, অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে সোমনাথকে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, এমনিতেই বিভিন্ন ইস্যুতে পূর্ব মেদিনীপুরে ব্যাকফুটে রয়েছে শাসকদল। তারপর মনোনয়নের মাঝে সোমনাথের গ্রেফতারিতে যেভাবে শাসক দলের বিবাদ প্রকাশ্যে এসেছে, তার প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) পড়বে।

    আরও পড়ুুন: গভীর রাত পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, প্রকাশ্যে কোন্দল

    আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ 

    সোমনাথ বেরার বিরুদ্ধে দলের অন্দরেই অভিযোগ উঠে আসছিল আর্থিক দুর্নীতির। চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা তিনি বেকার ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। একের পর এক এফআইআর দায়ের হতে থাকে সোমনাথের নামে।

    বেকার যুবক-যুবতীদের চাপে পড়েই কি পুলিশ গ্রেফতার করল সোমনাথকে?

    একাধিক প্রতারণা মামলা দায়ের হতে থাকে সোমনাথের বিরুদ্ধে। বেকার যুবক-যুবতীদের অভিযোগ, ‘‘লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সোমনাথ। এলাকার বহু শিক্ষিত বেকার ঘটি-বাটি হারিয়েছে সোমনাথের কারণে।’’ এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেকের গাড়ি ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান প্রতারিতরা।

    আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে এনে বিক্ষোভ সুকান্ত-শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বৃহস্পতিবার, ১৫/০৬/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বৃহস্পতিবার, ১৫/০৬/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য-কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) সন্ধ্যাবেলা কোনও পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে শুভ অনুষ্ঠান ও উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন।

    ২) জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুকূল পরিস্থিতিতে লাভ অর্জন করতে পারবেন।  

    বৃষ

    ১) অফিসে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবেন। 

    ২) সহকর্মীদের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    মিথুন

    ১) পরিবারে প্রেম ও বিবাহের প্রসঙ্গ তুললে প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন।  

    ২) ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ত্যাগ করুন।

    কর্কট

    ১) যে কাজে মনোনিবেশ করবেন, তাতেই পূর্ণ ফলাফল লাভ করবেন। 

    ২) সহকর্মী ও সঙ্গীদের সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে।

    সিংহ 

    ১) পারিবারিক বিবাদের সমাধান হবে। 

    ২) কর্মক্ষেত্র বিস্তার লাভ করবে। সহকর্মীদের সহযোগিতা পাবেন।

    কন্যা

    ১) অতীতের ভুলের পরিণাম ভোগ করতে হবে।

    ২) ব্যবসায় অধিক পরিশ্রম করবেন।

    তুলা 

    ১)  জমি-বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করলে দিন ভালো।

    ২) জমি-সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি মামলায় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। 

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় বিভ্রান্তির কারণে সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাবেন।

    ২) কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে।

    ধনু

    ১) দূরদর্শিতা ও কার্যকুশলতার ফলে আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে। 
     
    ২) পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি মামলা চললে, দুপুরের মধ্যে সেখান থেকে কোনও ইতিবাচক সংবাদ পাবেন।

    মকর

    ১) পরিবারের সিদ্ধান্ত আপনাকে সুখ-শান্তি প্রদান করবে।

    ২) সন্তান সংক্রান্ত বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। 

    কুম্ভ

    ১) তাড়াহুড়োয় কাজের ক্ষতি হবে।

    ২) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। বাইরের খাওয়া-দাওয়া এড়িয়ে যান। 

    মীন

    ১) রোজগারের চেষ্টায় থাকলে অসাধারণ ফলাফল লাভ করতে পারেন।
     
    ২) ব্যবহার ও কথার মাধ্যমে সহকর্মীদের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারবেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সন্ত্রাসী শাসকের আমলে কোনও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে না’’, ফেসবুকে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘সন্ত্রাসী শাসকের আমলে কোনও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে না’’, ফেসবুকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়নের পঞ্চম দিনেও অশান্তি অব্যাহত রাজ্য জুড়ে। ভাঙড় থেকে ক্যানিং সর্বত্র। বাদ যায়নি তৃণমূল কর্মীরাও। ক্যানিং-এ মনোনয়নে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে গুলিবিদ্ধ দলেরই এক কর্মী। এনিয়ে এবার ফেসবুকে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    কী লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নিজের ফেসবুক পোস্টে বুধবার শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যতদিন এই দুর্নীতিগ্রস্ত, সন্ত্রাসী শাসক দল ক্ষমতায় আছে, কোনওদিনই কোনও নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হবে না। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম হবে না। বর্তমান সরকারের আমলে শাসক দলের সন্ত্রাসের হাত থেকে নিস্তার নেই বিরোধী দলের প্রার্থীদের।”

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সংযোজন, ‘‘ভয়মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ভাবে মনোনয়ন দাখিল করতে পারছেন না বিরোধী প্রার্থীরা’। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়,’ বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় – ১ এবং ২ নম্বর ব্লক ও ক্যানিং–১ এবং ২ নম্বর ব্লক; বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর, পাত্রসায়র, ইন্দাস; বীরভূম জেলার লাভপুর ও নানুর; উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি–১ এবং ২ নম্বর ব্লক ও মিনাখাঁ; হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর ও বাগনান–২ নম্বর ব্লক সহ রাজ্যের অন্যান্য ব্লকে। বিডিও অফিস তথা মনোনয়ন কেন্দ্রগুলি সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।’’

    তৃণমূল আছে সন্ত্রাসেই!

    প্রথম কোনও পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট! মনোনয়ন কেন্দ্রগুলিতে জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। কিন্তু তাতে কী! এদিনই সুকান্ত মজুমদার বিজেপির পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের বাসে করে বসিরহাট থেকে কলকাতায় নিয়ে এসে রাজ্য নির্বাচন দফতরের সামনে উপস্থিত হন। কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন সুকান্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর এসেছে প্রত্যেক দিন। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভাঙড়, ক্যানিং, ইন্দাস, ডোমকল। রাজ্য জুড়ে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি লেগেই রয়েছে। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বউদিকে প্রার্থী করল বিজেপি

    BJP: পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বউদিকে প্রার্থী করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে রাধিকাপুরের চাঁদগাও গ্রামের রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মন খুন হয়েছিলেন। এবার তাঁর বউদি কণিকা রায় বর্মনকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি (BJP)। বুধবারই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বিডিও অফিসে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজবংশী পরিবারের বধূকে প্রার্থী করে বিজেপি মাস্টার স্ট্রোক দিল বলে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই আসনে বিজেপির জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে এলাকাবাসীর দাবি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী?

    গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী কণিকাদেবীর স্বামী বিষ্ণু বর্মন এতদিন বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মির্জাগর এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির আসনটি মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাই বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করা হয়। এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর বিজেপি প্রার্থী কণিকাদেবী বলেন, আমার দেওরকে পুলিশ নৃশংসভাবে গুলি করে খুন করেছে। রাজ্যবাসী তা জানেন। বিজেপি আমার স্বামীর পর আমার উপর আস্থা রেখেছে। এই এলাকার সাধারণ মানুষও আমার উপর ভরসা রাখবে। এলাকাবাসীর সঙ্গে আমি সবসময় থাকব।

    কী বললেন মৃত্যুঞ্জয়ের দাদা?

    কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার রহস্যমৃত্যু ও পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় তাণ্ডবের ঘটনায় বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মণকে ধরতে যায় পুলিশ। সে সময় তল্লাশি অভিযানে তাঁর খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশ গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য। এদিন বিষ্ণু বর্মন বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে আমি মানুষের সঙ্গে ছিলাম। আমি বিজেপি করি বলে পুলিশ আমাকে ধরতে এসেছিল। আমাকে না পেয়ে আমার ভাইকে পুলিশ গুলি করে খুন করেছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আর আমাদের এই লড়াইয়ে এলাকার মানুষ সঙ্গে রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Infertility: জীবন যাপনের ধরন বদলে কি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব?

    Infertility: জীবন যাপনের ধরন বদলে কি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক ব্যস্ত জীবনে বদলে গিয়েছে প্রতিদিনের রুটিন। কাজের সময়, খাদ্যাভ্যাস কিংবা ঘুমানো, সবটাই বদলে যাচ্ছে। অফিসের নির্দিষ্ট সময় না থাকা, তার জেরে চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া, আবার রাতে ঘুমের জন্য সময়ের স্বল্প বরাদ্দ! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের নানা অভ্যাসের জেরেই বাড়ছে বন্ধ্যাত্বের (Infertility) মতো সমস্যা।

    সমস্যা (Infertility) কোথায়? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের (Infertility) সমস্যা বাড়ছে। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে পিসিওডি, ওভারির ক্যানসারের মতো একাধিক অসুখ।

    কী কারণে বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব (Infertility)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গর্ভধারণের জন্য সুস্থ শরীর ও মন প্রয়োজন। আর সমস্যা হচ্ছে, খুব কম বয়স থেকেই মহিলারা জরায়ু ও ওভারির একাধিক অসুখে ভুগছেন। এই অসুখ বাড়ার অন্যতম কারণ, ফাস্টফুড।পিৎজা, বার্গার, বিরিয়ানির মতো অতিরিক্ত তেলমশলার খাবার বা প্রিজারভেটিভ খাবারেই অভ্যস্ত তরুণ প্রজন্ম। আর এই ধরনের খাবার একেবারেই স্বাস্থ্যকর হয় না। অধিকাংশ সময় কাজের চাপে তাঁরা দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকেন। আর যখন খাবার সুযোগ হয়, তখন চটজলদি তেলমশলা যুক্ত খাবার খান। আর তার ফলেই দেখা দেয় একাধিক সমস্যা। অধিকাংশ সময় যে ধরনের খাবার খাওয়া হয়, তাতে স্থূলতা বাড়ে। যেমন প্যাকেটজাত ঠান্ডা পানীয়, চিপস, হটডগ জাতীয় প্রসেসড খাবার। স্থূলতার সমস্যা বন্ধ্যাত্বের সমস্যাকে বাড়াতে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। 
    মানসিক চাপ বন্ধ্যাত্বের (Infertility) অন্যতম কারণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। গর্ভধারণের জন্য যেমন সুস্থ শরীর প্রয়োজন, তেমনি দরকার সুস্থ মন। কিন্তু, আধুনিক জীবনে বাড়ছে মানসিক চাপ, অবসাদের মতো সমস্যা। তাই বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হলে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়েও নজরদারি জরুরি বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    ব্যস্ত জীবনে কমছে ঘুমের সময়। অনেকেই রাত জেগে কাজ করেন। অফিস চলে রাতে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমানোর সময় শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য তৈরি হয়। যা দিনের বেলায় বা অসময়ে ঘুমালে হয় না। বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব সেই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

    কীভাবে রুখবেন এই সমস্যা (Infertility)? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্বাস্থ্যের যত্ন নিলে কমানো যায় ঝুঁকি (Infertility)। বিশেষত, যাদের কম বয়স থেকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়, বা ঋতুস্রাবে জটিলতা রয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি। কোনও রকম সমস্যা হলে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
    তবে, জীবনযাপনের ধরন বদলেও ঝুঁকি কমানো যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাবারে বাড়তি নজরদারি জরুরি। দিনে নির্দিষ্ট সময়ে খাবারের অভ্যাস রাখতে হবে। নিয়মিত ফল, ড্রাই ফ্রুটস রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। অতিরিক্ত তেলমশলা, চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পেঁপে, কলার মতো ফল নিয়মিত খেতে হবে। নিয়মিত সব্জি খাওয়া দরকার। এতে শরীর সুস্থ থাকে। 
    আট ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস রাখতে হবে। সকালে যোগাভ্যাস করতে হবে। নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটা আর যোগাভ্যাস শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশপাশি মনকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: শাসকদলে ফের ভাঙন, নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন উপপ্রধান!

    TMC: শাসকদলে ফের ভাঙন, নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন উপপ্রধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে শিলিগুড়ি লাগোয়া ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকা জুড়ে তৃণমূলের (TMC) ক্ষোভ-বিক্ষোভ চরমে উঠেছে। প্রার্থী তালিকায় নাম থাকবে না ধরে নিয়েই একাধিক তৃণমূলের নেতানেত্রী দলীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে স্থানীয় স্তরে দুই হেভিওয়েট নেতানেত্রী রয়েছেন। তাঁরা হলেন, ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান নির্মল বর্মন ও এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য সন্ধ্যা রায়।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) নেতা?

    সময় যত গড়াচ্ছে, প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের (TMC) মধ্যে বিদ্রোহ ততই ছড়িয়ে পড়ছে। মনোনয়ন পর্ব মেটার পর তৃণমূলের করুণ দশা আরও প্রকট হয়ে উঠবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেন। তার পরও কেন দিকে দিকে এত বিক্ষোভ, বিদ্রোহ? এ প্রশ্ন করছেন দলের নেতাকর্মীরা। ডাবগ্রামের তৃণমূলের উপ প্রধান নির্মল বর্মন বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোটাভুটি করে পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকা তৈরি হল। কিন্তু প্রক্রিয়ার পুরোটাই প্রহসন ছিল। কেননা ভোটাভুটিতে যাঁদের নাম প্রার্থী তালিকায় ছিল, তাঁদের প্রায় কেউই সেই তালিকা মতো টিকিট পাননি। যারা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করে আসছে তাদের চক্রান্ত করে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। কিছু নেতাদের পছন্দ মতো প্রার্থী তালিকা হয়েছে। এ কারণেই দলের একটা বড় অংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। দলের মধ্যে ভাঙন শুরু হয়েছে।

    কী বল তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?

    জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ বলেন, যাঁরা দলের থেকে নিজের স্বার্থকেই বড় করে দেখেন, তাঁরাই দলবদল করছেন বা নির্দল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। এতে ভোটে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: কোটি টাকার যন্ত্র কিনেও বন্ধ বিভাগ, চিকিৎসার জন্য ভরসা তাই ভিন রাজ্য! 

    West Bengal Health: কোটি টাকার যন্ত্র কিনেও বন্ধ বিভাগ, চিকিৎসার জন্য ভরসা তাই ভিন রাজ্য! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জেলা কিংবা কলকাতা, একাধিক সরকারি হাসপাতালের করিডরে পড়ে আছে কয়েক হাজার কোটি টাকার চিকিৎসার যন্ত্র। কিন্তু তারপরেও বন্ধ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগ! তার জেরেই চিকিৎসা পরিষেবা পান না সাধারণ মানুষ। ছুটতে হয় ভিন রাজ্যে! রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) আটকে রয়েছে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়েই, এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

    সমস্যা ঠিক কোথায়? 

    জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে কলকাতার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম, ছবিটা সর্বত্র এক! স্বাস্থ্য ভবন থেকে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। চিকিৎসার জন্য যন্ত্রও কেনা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সেই যন্ত্র একবারও ব্যবহার হয়নি। বরং পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে। যেমন, স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে কয়েক বছর ধরে পড়ে আছে গামা রে মেশিন। এই মেশিন কিনতে একশো কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। দীর্ঘদিন অব্যবহারের ফলে তা খারাপ হয়ে যায়। ফের কয়েক কোটি টাকা খরচ করে তা মেরামত করা হয়। কিন্তু রোগী পরিষেবায় সেই মেশিন ব্যবহার করা যায়নি। থাইরয়েড ক্যানসার সহ একাধিক চিকিৎসার গামা রে মেশিন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এসএসকেএম হাসপাতালে (West Bengal Health) এই মেশিন থাকা সত্ত্বেও তা রোগী পরিষেবায় কাজে লাগে না। কারণ, এই মেশিন চালানোর জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান। যার নিয়োগ স্বাস্থ্য দফতর করে না। ফলে রোগীকে বাধ্য হয়ে যেতে হয় ভিন রাজ্যে। 

    একই পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (West Bengal Health)। স্বাস্থ্য ভবনের খবর, কয়েক’শো কোটি টাকা খরচ হয়ে ওই সব হাসপাতালে স্নায়ু চিকিৎসার একাধিক যন্ত্র বসানো হয়। কিন্তু ওই সব হাসপাতালে নেই স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ! তাই রোগীরা পরিষেবা পান না। অসুস্থ অবস্থায় তাঁদের জেলা থেকে শহর ঘুরে বেড়াতে হয়। স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য তাঁরা ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন।
    এমনকী স্বাস্থ্য ভবনের বারান্দাতেও পড়ে আছে একাধিক যন্ত্র, যা কোটি কোটি টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। কিন্তু কোন হাসপাতালে তার প্রয়োজন, কোথায় সেগুলো বসানো হবে, তা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা হয়নি। ফলে, নষ্ট হচ্ছে সেসব যন্ত্র!

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, যন্ত্র চালানোর জন্য উপযুক্ত কর্মী পর্যাপ্ত নেই। বিশেষত রেডিয়েশন যন্ত্র যেগুলো থাইরয়েড, বিভিন্ন গ্ল্যান্ডের রোগ নির্মূল করতে প্রয়োজন হয়, সেই যন্ত্র পরিচালনা করার জন্য দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। তবে, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পরিকাঠামো গড়ে তুলে রোগী পরিষেবা (West Bengal Health) দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত কী? 

    পরিকল্পনা ও সদিচ্ছার অভাবকেই দায়ী করছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল। রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, একের পর এক মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হলেও পরিকাঠামো নিয়ে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। রাজ্যে স্নায়ু-শল্য, প্লাস্টিক সার্জারির মতো বিভাগে রোগীদের পরিষেবা (West Bengal Health) দেওয়ার জন্য যে পরিকাঠামো ও কর্মী প্রয়োজন, তা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, এই ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন দক্ষ কর্মী। কিন্তু রাজ্য সরকার স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করে না। চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী স্বল্প বেতনে এই কাজ অধিকাংশ প্রশিক্ষিত ব্যক্তি করতে নারাজ। কারণ, দেশের অন্যান্য রাজ্যে এই ধরনের কাজের জন্য অনেক বেশি বেতন ও সুবিধা এই প্রশিক্ষিত কর্মীরা পান। তাই কর্মীর অভাবে পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। পাশপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পর্যাপ্ত নেই। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা তলানিতে।

    কী বলছেন ভুক্তভোগীরা? 

    পেটের সমস্যা, স্নায়ু কিংবা ক্যানসার-যে কোনও রোগের চিকিৎসার (West Bengal Health) জন্য এ রাজ্যের মানুষকে কখনও মুম্বই আবার কখনও দক্ষিণ ভারতে ছুটতে হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বারবার বিজ্ঞাপন দেয়, স্বাস্থ্য পরিষেবা বিনামূল্যে! সব মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। কিন্তু রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল খুব খারাপ। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, বিজ্ঞাপনের চেয়ে কবে পরিষেবা বেশি গুরুত্ব পাবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ায় (Bankura) বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিলে বাধা দিতে পুলিশকে নিয়ে ময়দানে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল। আর এই অভিযোগ তুলে মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই সরব গেরুয়া শিবির। আজ ইন্দাসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র পুলিশের সাথে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় গেরুয়া বাহিনীর। আক্রান্ত হন বিজেপির বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া।

    বাঁকুড়ায় (Bankura) অভিযোগ কী?

    বুধবার ইন্দাস (Bankura) বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু পুলিশ বিজেপিকে বাধা দেয়। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল আটকাতে পাল্টা ইন্দাসের পিরতলায় জমায়েত করে তৃণমূল। পাশাপাশি, সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। বিজেপির মিছিলকে জোর করে আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে সেখানেই ধর্ণা ও বিক্ষোভ শুরু করে দেন তাঁরা।

    পুলিশের ভূমিকা

    এরপর ইন্দাসের (Bankura) বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া দলবল নিয়ে মিছিল করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিডিও অফিসের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। আর তাতেই ছড়ায় উত্তেজনা। মুহূর্তের মধ্যে বিজেপি ও পুলিশে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। বিধায়কের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি, ইটের আঘাতে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে  জানানো হয়েছে। বিধায়ক নিজেও আহত হন বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    আক্রান্ত সাংসদও

    এদিকে ইন্দাস যাওয়ার পথে কাঁকরডাঙ্গায় আক্রান্ত হন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকজন এমনকী মহিলারা মিলে তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে কোনও রকমে বাঁচিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ বিধায়ক নির্মল ধাড়ার ওপর আক্রমণ চালায়। এবং এই ঘটনায় তিনি বিষ্ণুপুরের (Bankura) এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খানকে তীব্র ধিক্কার জানান। তিনি অভিযোগ তোলেন, এই অফিসার বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ, নেতা-কর্মীদের মেরে ফেললেও মনোনয়ন দেওয়া থেকে আটকাতে পারবেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নে যদি এই পরিস্থিতি হয়, নির্বাচনের দিনে কী হবে? তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সিপিএম, সিপিআই  এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের টিকিট?

    Murshidabad: সিপিএম, সিপিআই এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের টিকিট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি থানার অন্তর্গত কুমারষণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া মোড়ে রীতিমতো রাস্তায় নেমে, এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধের আন্দোলন করতে দেখা যায়। প্রতিবাদীদের একটাই দাবি, কেন তৃণমূল কর্মীদের টিকিট না দিয়ে সিপিএম, সিপিআই এবং কংগ্রেস কর্মীদের টিকিট দেওয়া হল।

    কী ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দিতে

    কান্দির (Murshidabad) দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার যাঁদের মনোনয়ন করার কথা ছিল, সকালে হঠাৎ তাঁরা জানতে পারেন, নাম বাদ গিয়েছে। আর তার পরিবর্তে সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বিক্রি করেছেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই অভিযোগ করেন কান্দি ব্লক মাদার তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক হাবিবুর রহমান। তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় বর্তমান বিধায়ক এবং তাঁর ভাই মিলে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। টিকিট না পেয়ে আরেক প্রতিবাদী তৃণমূল কর্মী বলেন, আমরা এই এলাকায় ২০০১ সাল থেকে তৃণমূল দল করি। অত্যাচার সহ্য করে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, এই এলাকা থেকে সিপিএমকে উৎখাত করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের নেতা বগবুল হোসেন। আজ পুরাতন তৃণমূল কর্মী হওয়ায় আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই এলাকার তৃণমূল নেতা বগবুল হোসেনের অনুগামী হওয়ার জন্য আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

    কেন এই দ্বন্দ্ব?

    বগবুল হোসেন বলেন, আমার অনুগত কেউ নন, সবাই আমরা দলের অনুগত। কে বা কারা বিক্ষোভ করছেন, আমার জানা নেই। তবে সবাইকে বলব, দলের হাত শক্ত করুন। অপরদিকে পাশেই রয়েছে ভরতপুর (Murshidabad) বিধানসভা এবং বিধায়ক হলেন হুমায়ন কবীর। উল্লেখ্য, অঞ্চলে ভোটের আগেই প্রায় ৪১ জনকে নিয়ে একটি বিশেষ অঞ্চল কমিটি গঠন করেন বিধায়ক হুমায়ন কবীর। কিন্তু কান্দি তৃণমূল ব্লক সভাপতি বগবুল হোসেন এবং তাঁর অনুগামীদের কাউকেই কমিটিতে রাখা হয়নি। ফলে কীভাবে নির্বাচন হবে এবং কারা দলের হয়ে কাজ পাবেন, তাও স্পষ্ট হয় এই কিমিটিতে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পাওয়াটা দলের অন্দরে কোন্দলেরই ফল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ৯ বছরে ৭টি বিমানবন্দর, ১২টি মেডিক্যাল কলেজ! মোদি জমানায় এগিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত

    PM Modi: ৯ বছরে ৭টি বিমানবন্দর, ১২টি মেডিক্যাল কলেজ! মোদি জমানায় এগিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-১২

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করে এসেছে কংগ্রেস সরকার, অভিযোগ এমনটাই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জমানায় উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রভূত উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে বিগত ৯ বছরে। মোদি সরকারের উত্তর-পূর্ব ভারতের নীতির ফলে সেখানকার দুর্গম অঞ্চলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ট্রেন ব্যবস্থা চালু করা গেছে। আর্থিকভাবে উন্নতি সাধন করা সম্ভব হয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতের। স্থানীয় সংস্কৃতিকে দেশ জুড়ে তুলে ধরা হয়েছে মোদি জমানায়। বিগত নয় বছর ধরে দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতিটি মানুষের দরজায় পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরা বার বার পৌঁছেছেন সেখানে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষদের সঙ্গে মিশে তাঁদের সংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছেন। তাঁদের মতো করে পোশাক পরে প্রধানমন্ত্রী নিজেই যেন উত্তর-পূর্ব ভারতের ব্রান্ড-অ্যাম্বাসাডর হয়ে উঠতে পেরেছেন।

    বিগত ৯ বছর ধরে উত্তর-পূর্ব ভারতের আর্থিক উন্নতি উল্লেখযোগ্য ভাবে হয়েছে। ৩,৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে মোট ১৫৫টি প্রকল্পে। নর্থ ইস্ট স্পেশাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টস-এর অধীনে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই বরাদ্দ হয়েছে। অন্যদিকে ১,৩৫০ টি বিভিন্ন প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫,৮৬৭ কোটি টাকা। এই হিসাব ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের ফলে বাজেটেরও অনেকখানি অংশ বরাদ্দ হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নে। উত্তর-পূর্ব ভারতে বোগিবেল ব্রিজ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) উদ্বোধন করেন ২০১৮ সালে। উদ্বোধনের ষোলো বছর আগে এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ি। উত্তর-পূর্ব ভারতের রেলপথ সম্প্রসারণের কাজও চোখে পড়ার মতো হয়েছে। সেখানে ৭টি নতুন এয়ারপোর্ট স্থাপন করা গেছে। নতুন মেডিক্যাল কলেজও হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম এইমস স্থাপন করা গেছে অসমে। সেখানে দিনের পর দিন বেড়ে চলা পর্যটকদের ভিড় প্রমাণ করে এই উন্নতির কথা। উত্তর-পূর্ব ভারত বিভিন্ন সময়ে সাক্ষী থেকেছে নানা অভ্যন্তরীণ সংকটের। এই সমস্যার সমাধানের জন্য মোদি সরকার বেশ কতগুলি শান্তি চুক্তিও করেছে। ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নতির জন্য নেওয়া হয়েছে জাতীয় বাম্বু মিশন প্রকল্প। বাঁশ উৎপাদন এবং তা থেকে ঘর সাজানোর উপকরণের সামগ্রী সেখানে ভালই তৈরি হচ্ছে। জৈব চাষেও মিলেছে নজরকাড়া সাফল্য। দেশের সিকিম রাজ্য হয়ে উঠেছে বিশ্বের মধ্যে প্রথম ১০০ শতাংশ প্রাকৃতিক চাষের রাজ্য। মোদি সরকারের এই সাফল্য দেখে মনে হয় যে ভারতবর্ষের উন্নয়নের ইঞ্জিন হতে চলেছে উত্তর-পূর্ব অঞ্চল।

    বিগত ৯ বছরে উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে মোদি সরকারের (PM Modi) সাফল্য এক নজরে 

     ১) ১৬ বছর পর সম্পূর্ণ হয়েছে বোগিবেল ব্রিজ।

    ২) ২০২২ সালে সম্পন্ন হয়েছে আদিবাসী অসম শান্তি চুক্তি, সেখানকার স্থানীয় বোরো, নাগা, এনএলএফটিদের মধ্যে শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে।

    ৩) উত্তর-পূর্ব ভারতে বিগত ৯ বছরে স্থাপিত হয়েছে সাতটি বিমানবন্দর। ২০১৪ সালের আগে সেখানে ছিল ৯টি বিমানবন্দর।

    ৪) ব্রডগেজ রেলওয়ে ব্যবস্থার মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রত্যেকটি রাজ্যের রাজধানীকে সংযুক্ত করা গেছে। 

    ৫) জৈব চাষের জন্য সেখানকার ১.৫৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ চলছে মোদি সরকারের উদ্যোগে।

    ৬) বর্তমানে চলছে ৪,০১৬ কিলোমিটার সড়ক পথ নির্মাণের কাজ। 

    ৭) ২০০০ এরও বেশি প্রকল্পের বরাদ্দ হয়েছে ২২,০০০ কোটি টাকা।

    ৮) সেখানকার বাঁশের শিল্পের উন্নতির জন্য বিশেষ নজর দিয়েছে মোদি সরকার।

    ৯) অসমে ১২টি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা গেছে।

    ১০) স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে মণিপুরে ২০২২ সালে এবং মেঘালয়ে ২০২৩ সালে পণ্য ট্রেন চালু করা গেছে। 

    ১১) সাতটি ক্যান্সার হাসপাতাল চালু হয়েছে ডিব্রুগড়, কোকরাঝোড়, তেজপুর, লক্ষীপুর এবং জোড়হাটে।

    ১২) উত্তর-পূর্ব ভারতের মহান বীর লাচিত বরফুকনের ৪০০ তম জন্মজয়ন্তী দেশজুড়ে পালন করেছে মোদি সরকার।

     

    আরও পড়ুন: প্রতি জিবি ডেটা ৩০৮ থেকে কমে ১০ টাকারও নিচে! প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্য মোদি সরকারের

    আরও পড়ুন: ৩.২৮ লক্ষ কিমি গ্রামীণ রাস্তা থেকে চেনাব ব্রিজ! মোদি জমানায় বদলে গেছে দেশ

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ব্যবসার আদর্শ পরিবেশ দেশে! ৯ বছরে স্টার্টআপ বেড়েছে ২৬০ গুণ

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় মজবুত অর্থনীতি, বছরে ৩১ কোটি মোবাইল উৎপাদন!

    আরও পড়ুন: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ৯ বছরে ১৫ টি নতুন এইমস, ৩৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বিমা!

LinkedIn
Share